যাদুকাটা নদীর যাদু

বছর শেষ, সবাই আছে ছুটির মেজাজে।
কেউ দেশে কেউ বিদেশে সবাই ছুটছে ছুটির কাটানোর নিমিত্তে। অনেকেই সিলেটে আসার প্ল্যান করতেছেন কিন্তু সিলেটের সৌন্দর্য যে বর্ষাকালে!!!

তাই বলে কি মিস হবে সিলেটের সৌন্দর্য ?
সিলেটে যারাই আসতেছেন এক দিনের জন্য হলেও ঘুরে যেতে পারেন সুনামগঞ্জ থেকে।
সকালে সিলেট থেকে রওনা দিয়ে সারাদিন ঘুরে আবার রাতের আগেই সিলেট ফিরতে পারবেন।

সিলেটের আম্বরখানা অথবা যেকোনো জায়গা থেকেই সি এন জি তে করে কুমারগাও বাসস্টান্ড আসবেন,তারপর বিরতিহীন বাসে সুনামগঞ্জ ৯০ টাকা ভারা, সময় দুইঘন্টা…☺

নতুন ব্রীজ এর একটু আগেই নামিয়ে দিবে হেটেই যেতে পারবেন নতুন ব্রীজ অথবা উঠতে পারবেন অটোতে নতুন ব্রীজ পার হয়েই পাবেন মোটরসাইকেল এর স্টান্ড,অসংখ্য ড্রাইভার আপনাকে বিভ্রান্ত করতে চাইবে। খুব শান্ত ভাবে হ্যান্ডল করবেন।

আমাদের প্ল্যান ছিলো

সুনামগঞ্জ থেকে যাদুকাটা নদী/শিমুল বাগান,বাশ বাগান হয়ে ট্যাকেরঘাট আসার পথে বারিক্কা টিলা ও যাদুকাটা নদী। দুই মোটরসাইকেল নিয়েছিলাম আসা যাওয়া সহ ৫০০😁 টাকায়,ওরা ১০০০ চাইছিলো।

সকাল ৭ টার দিকে রওনা দিলে ভালো সন্ধ্যার আগে সুনামগঞ্জ ফিরতে পারবেন।
মহিলা/মেয়ে মানুষ নিয়ে গেলে কোনো সমস্যা নেই শুধু মোটরসাইকেল এ ৪-৫ ঘন্টা যাওয়া আসাটা ছাড়া,ট্যাকেরঘাটে খাওয়ার হোটেল আছে।

ছবির জায়গাটা আমার খুব পছন্দের,বারিক্কা টিলার উপর দাঁড়িয়ে আপনি দেখছেন মনকাড়া সৌন্দর্যময় যাদুকাটা নদী যার পানির রং নীল/সবুজ। ওপারে কাটাতারের বেড়া হয়ে পাহাড়া দিচ্ছে মেঘালয়ের পাহাড়…

Post Copied From:JeWel RaNa‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

শীতের টাঙ্গুয়ার হাওর

প্রকৃতি ঃ- কবি সুফিয়া কামাল বলেছেন শীত প্রকৃতিকে দেয় রুক্ষতার রূপ। (সম্ভবত কবি তাহিরপুর বেড়াতে যান নি, গেলে নিশ্চই বলতেন শীত আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, আমি শীতকে কিছুই দেই নি ভ্যাসিলিন ছাড়া)। যাকে ভালবাসলে আনন্দ ও প্রেম পাওয়া যায় তাই হল প্রকৃতি।
উপভোগীয় স্থান ঃ-
ভ্রমণ বলতেই আনন্দ। কিন্তু মজাটা তো ভিতরে, চলুন আমরা ভিতরে যাই। প্রথমেই দুইপাশে অপরূপ গ্রামের মধ্য দিয়ে মোটরবাইকে করে, মেঘালয় বিস্তীর্ণ পাহাড় দেখে দেখে, ধূ ধূ মরুভূমির মতো বিশাল বালুচর পেরিয়ে পৌছে গেলেন জাদুর নদী জাদুকাটায়, নদীর পানি আয়নার মতো স্বচ্ছ। নিজের বাস্তব প্রতিবিম্ব এইবার ল্যাবে না জাদুকাটাতেই দেখবেন। ট্রলার দিয়ে নদী পার হলেই পাবেন বারিক্কাটিলা, পাহাড়ের উপরে উঠলেই আপনার চোখে ভেসে উঠবে প্রকৃতির আসল মিলন, যেথায় নদী, পাহাড় এমনকি বালুচর থেকে মেঘালয় এক অসাধারণ সৌন্দর্যরূপ ধারণ করে আছ । যেতে মন চাইবে না কিন্তু যেতে হবে শিমুলবাগান, হাইওয়ে রাস্তার মতো ফাকঁ রেখে রেখে বিশাল লম্বা সারি বাধা বাধানো ভূমির সাথে সমান ও সমান্তরালভাবে বেড়ে উঠা শিমুল গাছ। এখানে প্রত্যেকটা গাছের স্ট্রাক্চার একই রকম যা আপনাকে আরেকটা বাড়তি আনন্দ দিবে। তারপর মন শিমুলবাগানে রেখেই চলে যাবেন বড়ছড়া এখানে পৌছে মোটর সাইকেলের কাজ শেষ। বড়ছড়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া শেষে হাটতে হাটতে চলে যাবেন নীলাদ্রী। এখানে পাবেন বাংলাদেশের বান্দরবান, পাহাড়ের উপর থেকে দেখতে পাবেন সূর্যাস্ত। নীলাদ্রী লেকের মায়াবী টান, আর সন্ধার পরপরই ওপার বাংলার সোডিয়ামের অালো আপনাকে যে অনুভূতি দিবে, সেই অনুভূতি আদু ভাই অক্সফোর্ডে চান্স পাইলে পাবে না। অবশেষে এই স্ট্যাটাসে রাত হয়ে গেল। আপনি তো অবশ্যই গাধা না, আপনাকে বিশ্রাম নিতে হবে। বিশ্রামটাও যদি হয় আনন্দঘন তবে জীবনে আর কিছু প্রয়োজন নেই। বিশ্রামটা আনন্দের তখন হবে যদি আপনি নৌকায় রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করেন, নীলাদ্রী থেকে নৌকা করে দুই ঘন্টায় পৌছাবেন টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ারে। যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন মিটিমিটি তারার আলো (চাইলে গুনতে ও পারবেন) যা প্রকৃতিকে করবে ধূসর কালো, পাবেন দূরের গ্রাম থেকে জ্বলে ওঠা বাল্ব, আর ওপার বাংলার সোডিয়ামের বাল্ব তো আছেই। হাওরের চরে নৌকা ভিড়িয়ে BBQ PARTY বা যার যা ইচ্ছা করতে পারেন। অার ভোর সকালে উঠেই ওঠেই ওয়াচ টাওয়ার থেকে উপভোগ করতে পারবেন সূর্যোদয়।তবে হ্যা আপনি যদি নীলাদ্রী লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান আর রাত্রিযাপন করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই নৌকা রেডি রাখতে হবে। তা না করলে আপনাকে আবার তাহিরপুর উপজেলায় ব্যাক করতে হবে, যা অবশ্যই কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ । নৌকা কোথায় পাওয়া যাবে, বা কোথায় আসবে, কীভাবে পৌছতে হবে তা স্থানীয় লোকদের সহায়তা নিতে পারেন। ওই এলাকার মানুষগুলা খুব ফ্রী মাইন্ডেড।
যেভাবে যাবেন ঃ-
পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে সুনামগঞ্জ নতুন ব্রীজ, পরে লেগুনা বা মোটরবাইক করে যাওয়া যায়। তবে মোটরবাইক বেটার হবে। লেগুনায় গেলে আপনি মিস করবেন মেঘালয়ের বিস্তৃত পাহাড়গুলো। আর গ্রামের অপরূপ দৃশ্য । একটি মোটরবাইকে করে সবই স্পট ঘুরে দেখতে পারবেন শুধু টাঙ্গুয়ার হাওর ছাড়া। মোটরবাইক সাথে রেখেই আপনাকে সবগুলা স্পট ঘুরে দেখতে হবে, বাইক ছাড়লে আপনাকে পস্তাতে হবে। কেননা অন্য স্পটে গেলে বাইক ভাড়া বেশী চাইবে।
খরচ ঃ- একটা বাইকে ২ জন করে। যদি আপনি কোন স্পট না ঘুরে ডিরেক্ট নীলাদ্রী চলে যান তবে ভাড়া মাথাপিছু ১৫০ টাকা আর স্পটগুলা ঘুরে ঘুরে গেলে দিতে হবে ২০০-২৫০ টাকা। আর রাত্রিযাপনের জন্য নৌকা লাগবে ৩৫০০-৪০০০ টাকা। নিজেরা রান্না করতে না পারলে নৌকার মাঝিকে বললে রান্না করে দিবে তবে এর জন্য কোন চার্জ লাগবে না যদি আপনি নৌকা কনর্ফাম করার আগে বলেন যে রান্না করে দিতে হবে।
বি ঃ দ্রঃ সকল আনন্দের মূল আনন্দ হল রাতে। রাতে না থাকলে ভ্রমণ পরিপূর্ণ নাও হতে পারে। যদি আপনি রাতে থাকেন তবে ভ্রমণ শেষে খোদার কাছে প্রার্থনা করবেন আপনাকে কচ্ছপের হায়াত দেওয়ার জন্য।

Post Copied From:Hussain Himu>Travelers of Bangladesh (ToB)

যারা একদিনে টাংগুয়ার হাওর,জাদুকাটা,নীলাদ্রি, বারেক টিলা ট্যুর দিতে চান পোস্টটি তাদের জন্য

১)দেশের যেকোন জায়গা থেকে সুনামগঞ্জের নতুন ব্রীজের এখানে চলে আসেন।নতুন ব্রীজ শহর থেকে সামান্য দূরে।এখানে আসার পরেই অনেক লেগুনা,মোটরসাইকেল দেখতে পাবেন।যেহেতু আপনার উদ্দ্যেশ্য দিনে দিনে সব স্পট কাভার করা তাই মোটর সাইকেল “রিজার্ভ” নিবেন।এক মোটরসাইকেলে ২/৩ জন বসা যাবে।রিজার্ভ মোটরসাইকেলের ভাড়া নিবে সাইকেল প্রতি ১০০০ টাকা(যত পারেন বারগেনিং করবেন)।কয়টা বাইক নিবেন এটা মেম্বারের উপর নির্ভর করছে।আমরা ৭ জনে ৩ টা বাইক নিছিলাম।টোটাল ৩০০০টাকা(জনপ্রতি ৩৩০)।এরা আপনাকে সব স্পট দেখিয়ে সন্ধ্যায় আবার নতুন ব্রীজের এখানে এনে দিবে।

(২)প্রথমে জাদুকাটা নদী দেখাতে নিয়ে যাবে।নতুন ব্রীজ থেকে সময় লাগবে দেড় ঘন্টা।জাদুকাটা নদীতে কিছুক্ষণ থেকে তারপর নদী পার হয়েই বারেক টিলা।টিলার উপর থেকে নদীর ভিউ অস্থির😍

(৩)তারপর আপনাকে নিয়ে যাবে লাইমস্টোন লেক/কেয়ারি/নীলাদ্রি।৪৫ মিনিট এর মত লাগবে।এখানে গোসল সেরে নিবেন।তবে খুব সাবধান।

(৪) তারপর বরছড়া বাজারে গিয়ে লাঞ্চ সেরে নিবেন।

(৫)তারপর আপনাকে নিয়ে যাবে “ডাম্পের বাজারে”।এখানে গিয়ে টাংগুয়ার হাওর ঘুরার জন্য নৌকা ঠিক করবেন।আমরা ৭ জন ছিলাম।ছোট নৌকার ভাড়া পড়ছে ১০০০ টাকা(জনপ্রতি ১৪২)দামাদামি করবেন।

(৬)ডাম্পের বাজার থেকে টাংগুয়ার হাওর ওয়াচ টাওয়ারে যেতে সময় লাগবে দেড়/দুই ঘন্টা।ওয়াচ টাওয়ারে গিয়ে ছবি টবি তুলে পানিতে ঝাপাঝাপি করে আবার ব্যাক করেন।

(৭)ওয়াচ টাওয়ার থেকে আবার নৌকা ডাম্পের বাজারে আসবে।বাইক চালক এখানে অপেক্ষা করবেন।তারপর তারা আবার আপনাকে নতুন ব্রীজের এখানে নামিয়ে দিবেন।সময় লাগবে দুই /আড়াই ঘন্টা প্রায়।
রাতে যেহেতু অনেক কুয়াশা পড়ে তাই অহেতুক লেইট করবেন না।

(৮)নতুন ব্রীজ থেকে অটোতে পুরাতন ব্রীজে চলে আসবেন।অনেক গাড়ি পাবেন।রাতের গাড়িতে ব্যাক করেন আর থাকতে চাইলে এখানেই অনেক হোটেল আছে।

ছবি::জাদুকাটা নদী😍

#happytravelling
#travellingdiaries

Post Copied From:Asif Muqtadir‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

নদীটির নাম জাদুকাটা নদী

ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে উৎপত্তি হওয়া জাদুকাটা নদীটি সুনামগঞ্জের একটি অপরূপ নদী। জাদুকাটা নদীর স্বচ্ছ নীল জল এতটাই স্বচ্ছ যে নদীর তীর থেকেই আপনি নদীর তলদেশ দেখতে পাবেন। নদীতীরে সবখানেই বড় পাথরখণ্ডের সাথে দেখা মিলবে আপনার। জাদুকাটা নদী থেকে বেশকিছু খালের সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো সুরমা নদীতে মিলিত হয়েছে।

নদীটির পাশেই প্রায় ১৫০ ফুট উচ্চতার একটি টিলা রয়েছে। স্থানীয়রা এই টিলাটিকে বারিক টিলা বলে থাকে। এই টিলায় অবস্থিত পিলারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাদুকাটা নদী সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলে অবস্থিত। একসঙ্গে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘোরার প্রস্তুতি নিয়েই আপনাকে জাদুকাটার উদ্দেশে বের হতে হবে। ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। মামুন, হানিফ, শ্যামলী, ইউনিকসহ অনেক বাস এই লাইনে চলে। ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জের ভাড়া ৫৫০ টাকা। সুনামগঞ্জ থাকার ব্যবস্থা মোটামুটি। এখানে ৬ জন + টিম যাওয়াই ভালো। সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর যেতে হবে। দুইভাবে যাওয়া যায়। লেগুনাতে করে, ভাড়া পার পারসন ৮০ টাকা। বাইকে পার পারসন ১০০ টাকা।
তাহিরপুর যেয়ে নৌকা ভাড়া করতে হবে। নৌকার সাইজ অনুযায়ী ভাড়াও বিভিন্ন। নৌকায় রান্না করে খেতে চাইলে তাহিরপুর থেকে বাজার করে নৌকায় উঠতে হবে। সরাসরি জাদুকাটায় যেতে পারেন। আবার টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরেও জাদুকাটায় যাওয়া যায়। আমার পরামর্শ হবে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে টেকেরঘাট রাতযাপন।

টেকেরঘাটে হোটেলে থাকতে পারেন। থাকতে পারেন নৌকাতে। পরদিন লাকমাছড়া, লাইমস্টোন লেক ও টিলা ঘুরে মোটরসাইকেলে চলে যান বারিকটিলা। বারিকটিলা আর জাদুকাটা পাশাপাশি। টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে মনে ভালোলাগা তৈরি হবে। টেকেরঘাট থেকে জাদুকাটা যাওয়ার পথটুকু সে ভালোলাগার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ আর জাদুকাটা আপনাকে ভালো লাগার স্বপ্নময় জগতে পৌঁছে দেবে!

Post Copied From:Ataul Islam Masum>Travelers of Bangladesh (ToB)

আনটাচড বিউটি

হ্যা, দেখতে তানজানিয়ার মতই লাগে। তবে এখানে হলদে খড়ের আড়ালে সিংহ লুকিয়ে থাকেনা। জেব্রা ও নেই।
মাথায় সাদা মুকুট পরা কিলিমাঞ্জারো ও দেখা যায় না। তবে এখানে হলদে খড়ের শেষে সবুজের রাজত্ব শুরু।

পাহার গুলো সকালে কুয়াশায় মুড়িয়ে থাকে, আবার দিনশেষে নীলচে দানবে রুপ নেয়।

সিলেট সুনামগঞ্জ এর সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোর চাইতে কোন অংশেই কম যায়না।

আমার বিউটিফুল বাংলাদেশ।

স্থান- নির্ঝর ঘাট, কলমাকান্দা, নেত্রকোনা।

ঢাকা থেকে বাসে নেত্রকোনা। তারপর নেত্রকোনা থেকে মোটরসাইকেলে কলমাকান্দা। কলমাকান্দা থেকে অটো তে সোজা নির্ঝর ঘাট।

Post Copied From:Muktar Mithu‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

বারেকটিলা ও জাদুকাটা নদী

আকাশ,, পাহাড়,, ঝর্ণা,, নদী,,নৌকা,,প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য😍এক সাথেই সব দেখতে পাবেন এক যায়গা থেকে😊
একদিকে ইন্ডিয়ার মেঘালয়ের পাহাড় আর তাদের আবাসস্থল আরেক দিকে আমাদের বারেকটিলা আর জাদুকাটা নদী😊
এই সব সৌন্দর্য আপনাকে উপভোগ করতে হলে যেতে হবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জাদুকাটা নদীর পাশে বারেক টিলার উপরে😊

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বাসে সুনামগঞ্জ সেখান থেকে বাইকে বা লেগুনা করে তাহিরপুর থেকে বাইকে করে বা নৌকা করে টাঙ্গুয়ার হাওড় হয়ে জাদুকাটা নদী হয়ে বারেকটিলায়😊

Post Copied From:Masum Hossen‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ট্যাকেরঘাট, নীলাদ্রি, সুনামগঞ্জ

নীলাদ্রির সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলা টা হয়তো বোকামি অথবা নিলাদ্রি কে অপমান করা হবে যদি ভাষায় বুঝাতে যাই। তার চেয়ে ভালো নিজে গিয়ে দেখে আসুন। লেখার সময় আমি আসলে কোন ভাষা পাচ্ছিলাম না কিভাবে নীলাদ্রির সৌন্দর্য তুলে ধরবো তাই একটা কথাই বলবো নিজে গিয়ে দেখে আসুন।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকার ফকিরাপুল আর সায়েদাবাদ থেকে রাত ১০-১১ টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে হানিফ, শ্যামলী, মামুন, এনা ঢাকা ছেড়ে যায়। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৫৫০(শ্যামলী, হানিফ)। ৬.৩০ এর মধ্যে তারা আপনাকে সুনামগঞ্জ নতুন ব্রিজের গোড়ায় নামিয়ে দিবে অথবা আপনি চাইলে সুনামগঞ্জ বাস কাউণ্টরে নেমে ফ্রেশ হয়ে নিতে পারেন। হানিফ বাস এর কাউণ্টরে মটামোটি ভালো পরিবেশ আছে। নতুন ব্রিজের গোড়া থেকে সিএনজি, লেগুনা, মোটর সাইকেল করে আপনাকে তাহিরপুর বাজারে যেতে হবে, সময় লাগবে ১.৩০ মিনিট। আমরা লেগুনা রিজার্ভ নিয়েছিলাম ভারা পড়েছিল ৮০০। ওরা ১০০০ টাকা চাবে এখন আপনি যেভাবে বারগেইন করে কমাইতে পারবেন সেটাই ভালো। অবশ্যই মনে রাখবেন সুনামগঞ্জ হলো বারগেইনিং এর জায়গা। আপনি যতো কমাবেন ততই আপনার খরচ কমে আসবে। তাহির বাজারে পৌঁছে দুই গ্রুপ হয়ে যাবেন। এক গ্রুপ যাবেন নৌকা ভারা করতে ১ দিনের জন্য ভারা পড়বে ৩০০০-৫০০০ টাকার মধ্যে। আবারো বলছি আপনি জেভাবে বারগেইন করবেন ওইটাই আপনার লাভ। আরেক গ্রুপ যাবেন বাজার করতে। মনে রাখবেন দুপুর আর রাতের খাবার এর জন্য আপনাকে এইখান থেকেই পর্যাপ্ত বাজার করে নিতে হবে কারণ লাঞ্চ আর ডিনার করবেন নৌকাতেই। আপনারা শুধু বাজার করবেন আর বাকি সব মাঝি দের কাছেই আছে। অবশ্যই নৌকাতে উথার আগে চুলা ঠিক আছে কিনা দেখে উঠবেন। আমাদের চুলা ঠিক ছিল না তাই রান্না করতে বিকেল হয়ে গিয়েছিল। মাঝপথে নৌকা থামিয়ে অথবা সাইডে কোথাও থামিয়ে দুপুরের খাবার রান্না করবেন। মনে রাখবেন আপনি যেইটা রান্না করবেন সেটাই আপনি রাতের খাবেন। আমরা এতটাই ক্ষুধার্ত ছিলা রাতের জন্য আর কিছু অবশিষ্ট ছিল না কেননা আমাদের খেতেখেতেই বিকে হয়ে গিয়েছিলো। বিকালের দিকে ট্যাকেরঘাট, নীলাদ্রি যাবেন। আপনার ১ দিন এখানেই শেষ হয়ে যাবে। রাতের দিকে এদিক ওদিক টইটই করে ঘুরে বেড়াবেন। গ্রামের মানুষের সাথে পরিচিত হবেন। বর্ডারের নিকটে যাবেন আর এইভাবেই সন্ধ্যা টা কেটে যাবে আপনার। আর রাতে নৌকা ট্যাকেরঘাটেই থাকবে। সূর্যোদয় দেখবেন হাওরের মাঝখান থেকে হয়তো এইটাই নয়নভিরাম টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য।
দ্বিতীয় দিন, মোটর সাইকেল ভাড়া করে জাদুকাটা নদী আর বারেক্কাটিকা দেখে আসবেন। এই গ্রামে মোটর সাইকেল একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। ভাড়া টা মনে নেই। ঘুরে এসে দুপুরের মধ্যে তাহিরপুর বাজারে ফিরবেন। আরেকটা কথা হাওরের মাঝখানে লাইফ জ্যাকেট পড়ে গোসল করে নিতে ভুলবেন না। আমরা যাওয়া ও আসা দুইবার-ই পানিতে ঝাপ দিয়েছিলাম। লাইফ জ্যাকেট তাহিরপুর বাজার থেকে ৮০ টা করে ভারা নিতে পারবেন। তাহিরপুর এসে আবার সুনামগঞ্জ টাউনে চলে যাবেন। লাঞ্চ করার আগে একটা হোটেল ভাড়া করবেন কারণ ঢাকয় যাওয়ার জন্য ২.৩০ এ শ্যামলি আছে আর বাকি সব বাস ১১ টার মধ্যে সুনামগঞ্জ ছেড়ে যায়।
**পানিতে আপনাদের ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না কারণ এই দেশ আপনার মতো আমাদের সবার। ভ্রমন হক ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল।

Post Copied From:Fairose Farabi‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

আপনি কি কখনো রাতে খোলা আকাশের নিচে তারাদের দেখে রাত কাটিয়েছেন?

নিলাদ্রি, ট্যাকেরঘাট, সুনামগঞ্জ।

আপনি কি কখনো রাতে খোলা আকাশের নিচে তারাদের দেখে রাত কাটিয়েছেন? তাও নৌকার ছাদে? 
কখনো ভরা পূর্নিমায় খোলা আকাশের নিচে, চারিদিকে পানি, আপনি নৌকায় শুয়ে শুয়ে তারা দেখেছেন??

যদি দেখে থাকেন তবে আপনি অনেক ভাগ্যবান, আর যদি না দেখে থাকেন তবে একটি বার নিলাদ্রি, ট্যাকেরঘাট, টাঙুয়ার হাওর ঘুরে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি।।
সারাদিন বিভিন্ন সৌন্দর্য দেখে চোখের ক্ষুধা মিটিয়ে বিকেলে যদি এমন একটা সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ পেয়ে যান, মনের শান্তির জন্য আর কি লাগে?? বলুন ত??

স্থানের নাম: নিলাদ্রি, ট্যাকেরঘাট।

যাতায়াত :
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ গামী বাসে সুনামগঞ্জ যাবেন। সেখান থেকে তাহিরাপুর সিএনজি অথবা বাইকে।
তাহিরপূরে গিয়ে নৌকা ঠিক করবেন টাঙ্গুয়ার হাওর ও অন্যান্য জায়গা দেখার জন্য। এক্ষত্রে দামাদামি টা ভালো মত করতে হবে।
নৌকায় ট্যাকেরঘাট পৌছে পায়ে হেটেই কিছু দূরত্বে এই সৌন্দর্যের দেখা মিলবে।

Cost:
মাথাপিছু ৩৫০০ করে পড়েছিলো।
মোট ৪ জন সদস্য ছিলাম।

দুই দিনের নৌকা ভাড়া ৪০০০ টাকা, কাভার করবে হাওড়, ওয়াচ টাওয়ার, বারেকের টিলা, টেকেরঘাট, নীলাদ্রী, যাদুকাটা নদী, শিমুল তুলার বাগান।

আমাদের মাঝিটা মোটামুটি বেশ ভালোই ছিলো, স্মার্ট, কর্মঠ, রান্নায় ভালো। তার নৌকা আমার মতে ৭-৯ জনের জন্য ওকে, কিন্তু রিল্যাক্স মুডের ট্যুরের জন্য আমার মতে ম্যাক্সিমাম ৪-৫ জন যেন ঘুমাতে বা শুতে প্রব্লেম না হয়, মাঝির নাম লোকমান, বিশ্বাসি, কর্মঠ আর স্মার্ট আছে।

তার ফোন নাম্বারঃ 01736447984 তার দুই দিনের প্যাকেজে উপরে উল্লেখিত জায়গা ছাড়াও, রান্না, বিচানা, বালিশ, ইনক্লুডেড ||

#পরামর্শ:
*৪/৫ জনের গ্রুপ হলে খরচ মাথাপিছু অনেকটা কম হবে।

*তাহিরপুর পৌছে নিজেদের বাজার নিজেরা করে নিবেন, মাঝির উপর ভরসা না করাই বেটার।

*দামী জিনিসপত্র নৌকায় রেখে সবাই ঘুরতে চলে যাবেন না। হয় জিনিসপত্র সাথে রাখুন না হয় কেউ একজন নৌকায় থাকুন।

*খাবার-দাবারের ব্যাপারে কথাবার্তা ক্লিয়ার করে নিবেন।

Post Copied From:Nazmul Hossain Nadim‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

নীলাদ্রি লেক

টেকেরঘাটের চুনাপাথরের পরিত্যক্ত খনির লাইমস্টোন লেক যা স্থানীয় ভাবে “নীলাদ্রি লেক” নামেই পরিচিত। একসময় এখান থেকেই চুনাপাথরের কারখানার কাঁচামাল সাপ্লাই করা হতো, ফলশ্রুতিতে লেকের গভীরতা অনেক বেশী। পাশেই সাইনবোর্ড টানিয়ে তাই সতর্ক করা হয়েছে। একটু দূরেই টহলরত বি.এস.এফ থেকে সাবধান থাকাটা জরুরি। (ঢাকা- সুনামগঞ্জ -তাহিরপুর- টেকেরঘাট)।

Post Copied From:Saikat Hussain‎>Travelers of Bangladesh (ToB)