কিছু সতর্কতা

1.যারা ইন্ডিয়ার ট্রানজিট ভিসা করে ভূটান অথবা নেপাল যেতে চান তারা অবশ্যই পিতা মাতার “previous nationality” ঘরটা পূরণ করবেন। যদিও এটা “mandatory option” না কিন্তু এটা অবশ্যই পূরণ করতে হবে নাহলে অকারনে ঝামেলা পোহাতে হবে।

2. ট্রানজিট ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই একদিন পূর্বে অনলাইন ফরম (http://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/) পূরণ করবেন। সকালে পূরণ করে নিয়া গেলে সার্ভারে ঝামেলা করে, ডাটা আপডেট থাকে না। আপনাকে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখবে। **এই অনলাইন ফর্মের সময়কাল পূরণের দিন থেকে ৫ দিন।**

3. যাদের একাধিক পাসপোর্ট তারা অবশ্যই দুটো পাসপোর্টের সকল তথ্য চেক করে নিবেন যেমন; বাবার নামের বানান, মায়ের নামের বানান, নিজের জন্ম তারিখ এবং স্থান। ভুল থাকলে আগে পাসপোর্ট অফিস থেকে সংশোধন করিয়ে পরে ভিসার জন্য জমা দিবেন। ভুল থাকলে কোন অবস্থাতেই পাসপোর্ট জমা নেয় না।

4. “Expected date of arrival” হবে বাংলাদেশ থেকে যাত্রার তারিখের পরের দিন। মানে যেইদিন আপনি ইন্ডিয়া পৌঁছাবেন। For Example; আপনি বাসের টিকিট কেটেছেন ১৫ তারিখ রাতে, তাহলে আপনার “Expected date of arrival” হবে ১৬ তারিখ।

5.যদি তারা আপনাকে ফিরিয়ে দেয় এবং পরের দিন আসতে হয় তাহলে আবার নতুন করে ৬০০/- টাকা ভিসা প্রসেস্যিং ফি দেয়া লাগবে।

6. ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দিবে না সুতরাং ব্যাগ নিবেন না। ফাইলে করে নিয়া যান দরকারি জিনিস পত্র।

7. Port of Entry & Exit দুটোই হবে Chengrabanda/Jaygaon ভুটানের জন্য আর নেপালের জন্য Chengrabanda/Ranigonj ।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে যা যা প্রয়োজনীয় কাগজ লাগে ট্রানজিট ভিসা করাতে;

১. MRP পাসপোর্ট।

২. পুরাতন থাকলে অবশ্যই সংযোজন করে নিয়ে জাবেন অন্যথায় জমাই নিবে না।

৩. ২ কপি “2by2” ছবি।

৪. অনলাইনে পূরণ করা ফরমের প্রিন্ট করা কপি।

৫. পাসপোর্টের ৩ কপি ফটোকপি (শুধু MRP)।

৬. জন্ম সনদ অথবা ন্যশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি। (Both if possible) অথবা যেটা দিয়ে পাসপোর্ট করা হয়েছে।

৭. ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা এন্ডোরসমেন্টের অরিজিনাল কপি এবং ফটোকপি।

৮. টিকিটের অরিজিনাল কপি এবং ফটোকপি। (রিটার্ন সহ অবশ্যই)।

৯.Note স্টুডেন্ট হলে আইডি কার্ডের ফটোকপি। চাকুরীজীবী হলে NOC (No Objection Certificate) এবং ভিসিটিং কার্ডের মূলকপি । ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি ও মূলকপি এবং ভিসিটিং কার্ডের মূলকপি ।

১০. স্টুডেন্ট হলে বাবার ভিসিটিং কার্ডের কপি। (if possible)

১১. ইউটিলিটি বিলের মূলকপি বং ফটোকপি। (অবশ্যই ৩ মাসের পুরাতন নয়)।

১২. CTG থেকে আবেদন করলে হোটেল বুকিং এর কনফার্মেশন। (DHK তে এটা লাগে না) ।

যদি কারো কাজে আসে তাহলে খুশি হবো, সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকেই অনেক সমস্যায় পরেন। তাই হালকা একটু সতর্ক হলে এই ধরনের সমস্যা খুব সহজেই এড়ানো সম্ভব। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.