বগালেক ট্যুরের খরচাপাতি

১২/১৩ জন গেলে ৩০০০ টাকার মধ্যেই বগালেক ঘুরে আসা যাবে, সেই হিসেবটা দিব আজকে!

ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়া আসা ৬২০+৬২০=১২৪০ টাকা

প্রথমদিন সকালের নাস্তা- ৭০ টাকা

বান্দরবন টু রুমা বাস ভাড়া- ১২০ টাকা

রুমাতে দুপুরের খাবার- ১৩০

রুমা টু কমলাবাজার চান্দের গাড়ি- ২০০ টাকা (রিজার্ভ ২৫০০ টাকা নিবে, একটা গাড়িতে ১৩ জন বসা যায়)

বগালেকে রাতে থাকা- ১৫০ টাকা

রাতের খাবার- ১৫০ টাকা

২য় দিন সকালের নাস্তা- ৮০ টাকা

দুপুরের খাবার- ১৫০ টাকা

ফেরার পথে চান্দের গাড়ি ভাড়া- ২০০

গাইডের খরচ- ১৫০ টাকা (২ দিনে গাইডকে ১২০০ টাকা দিতে হয়, উনার থাকা খাওয়ার খরচও আপনাদের বহন করতে হবে, ছোট একটা ফরমও কিনতে হয়, টোটাল ২০০০ এর বেশি না, তাহলে ১৩ জন গেলে জনপ্রতি ১৫০ টাকাই পড়বে)

রুমা টু বান্দরবন – ১২০ টাকা

বান্দরবনে বাসে উঠার আগে রাতের খাবার- ১৪০

তাহলে সর্বমোট খরচ দাঁড়ালো – ১২৪০+৭০+১২০+১৩০+২০০+১৫০+১৫০+৮০+১৫০+২০০+১৫০+১২০+১৪০=২৯০০

আর ১০০ টাকা যেখানে খুশি খরচ করেন!

১৩ জনের জায়গায় ১০/১১ জন গেলে জনপ্রতি খরচ আরো ২০০-২৫০ টাকা বাড়বে, গাইড আর রুমা থেকে কমলাবাজার যাওয়ার চান্দের গাড়িতেই এই এক্সট্রা খরচটা হবে, বাকিসব খরচ যত জনই যান না কেন একই থাকবে!

শীতকালই হচ্ছে বগালেক ঘুরে আসার উপযুক্ত সময়, অনেকেই হয়তো যাওয়ার প্ল্যান করতেছেন, আশা রাখি এই হিসেবটা আপনাদের কম খরচে ট্যুর করার ক্ষেত্রে কাজে দিবে!

যারা কখনো যান নাই তারা অন্তত একবারের জন্য হলেও ঘুরে আসুন!

কঠিন কোন পথ না, যে কেউ সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন, কমলাবাজার থেকে বগালেকে উঠতে ৩০-৩৫ মিনিটের মত ট্রেকিং করা লাগে মাত্র!

বন্ধুদের নিয়ে এখনই প্ল্যান করে ফেলুন, ভাল লাগার মত একটা জায়গা!

নেক্সটে কেক্রাডং ঘুরে আসার ডিটেইলস খরচ নিয়ে পোস্ট দিব, আপাতত বগালেক ঘুরে আসুন!

আর কেউ যদি বগালেক+কেওক্রাডং একসাথে ঘুরতে চান তাহলে ১ দিন এক্সট্রা থাকা লাগবে, আরো ৭০০-৮০০ টাকা মত খরচ হতে পারে!

গত শীতকালে আমি বগালেক পর্যন্ত গিয়েছি, তাই বগালেক পর্যন্ত হিসেব দিলাম! ছবি গুগুল থেকে নিয়েছি, আমার মোবাইলে ভাল ছবি আসেনা 😉

এই শীতে কেওক্রাডং ঘুরে এসে কেওক্রাডং নিয়ে লিখব ইনশাআল্লাহ!

সবার কাছে অনুরোধ থাকবে ঘুরতে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না, পানির বোতিল, চিপসের প্যাকেট- ইত্যাদি নিজের ব্যাগে করে নিয়ে এসে উপযুক্ত জায়গায় ফেলবেন!

যেখানেই ঘুরতে যাই না কেন, সব জায়গায়তেই এসব চোখে পড়ে, খারাপ লাগে খুব!

আসুন, নিজে সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি!

ট্যুরিস্ট স্পটকে আবর্জনার ভাগাড় না বানাই, সৌন্দর্য রক্ষা করি

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক

  • 1. Tab Malarone (adult strength = 250 mg atovaquone/100 mg proguanil hydrochloride) &
  • 2. Cap Doxycycline 100mg ২টাই খুব ভালো প্রতিষেধক।

গ্রহনের নিয়ম হচ্ছেঃ
Cap Doxycycline 100mg – ট্যুর শুরু করার ১/২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ২৮দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ২৮ দিন হিসাব করে আরো ২৮টি ঔষধ খাবেন ৭ই অগাস্ট পর্যন্ত……তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ৩৪টি।

সুবিধাঃ 1. খুব-ই সহজলভ্য,যেকোন ফার্মেসীতেই পাওয়া যায়, দামও অনেক কম। ১পাতা = ১০টার দাম ২০-২৫টাকা।

অসুবিধাঃ 1. লম্বা শিডিউলের কারণে অনেকেই Dose মিস করে ফেলেন।

strong>Tab Malarone (adult strength = 250 mg atovaquone/100 mg proguanil hydrochloride) – ট্যুর শুরু করার ১/২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ৭ দিন হিসাব করে আরো ৭টি ঔষধ খাবেন ১৭ই জুলাই পর্যন্ত……তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ১৩ টি।

সুবিধাঃ

1. Latest Generation Drug এবং Worldwide এখন পর্যন্ত কোথাও Resistant হয় নি।

2. শিডিউল ছোট, মিস হবার চান্স কম, মনে রাখতেও সুবিধা।

অসুবিধাঃ

1. দাম অনেক বেশি, ১ পাতা = ১২টার দাম ফার্মেসী ভেদে ১০০০-১৫০০টাকা।

2. সহজে পাওয়া যায় না, ঢাকার কিছু ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। গুলশান ১, ২ গোল চত্ত্বরের কিছু ফার্মেসী (তামান্না ফার্মেসী), পান্থপথের Lazz Pharma’র পাশে “তাজরিন ফার্মেসী” তে পাওয়া যায় প্রায়-ই।

*** অবশ্যই করণীয়ঃ

২টি ঔষধের ক্ষেত্রে অবশ্যই পালনীয় হচ্ছে – ভরা পেটে খেতে হবে এবং একই সময় মেইন্টেইন করতে হবে। সাজেশন হিসেবে আমরা, রাতের বেলা ডিনার এর পরে খেতে বলি কারণ ট্রেকিং এ অনেক ক্ষেত্রেই দুপুর বেলা তেমন ১টা খাওয়া হয় না। রাতে যেহেতু ট্রেকিং করা হয় না এবং কোন না কোন পাড়ায় থাকা-খাওয়া হয় তাই রাতের বেলাই সেবন করা উত্তম।

*** সাথে অবশ্যই Odomos Cream রাখতে হবে মশা দূরে রাখার জন্যে। Lazz Pharma, Mitford Hospital এর ফার্মেসী গুলোতে পাওয়া যায়।

*** বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চল সমূহঃ

– বান্দরবানের রুমা, থানচি এবং রোয়াংছড়ির পরে যেকোন এরিয়া।

– খাগড়াছড়ির দিঘীনালা’র পর থেকে যেকোন এরিয়া।

– রাঙ্গামাটির শহর থেকে ভিতরের দিকে যেকোন এরিয়া যেমন – ছোট হরিনা, বরকল, কাট্টলি বিল।

*** ম্যালেরিয়া রোগ বাহিত মশা সাধারনত রাতের বেলা (অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে) আক্রমন করে বেশি।

লিঙ্কঃ
http://www.cdc.gov/malaria/travelers/country_table/b.html
http://wwwnc.cdc.gov/travel/yellowbook/2016/infectious-diseases-related-to-travel/malaria#4661

প্রথম বার বান্দরবন ভ্রমনের সহায়িকা

আমি প্রথম বান্দরবন যাই ২০০৭ এ। তেমন কিছুই জানতাম না। প্রথমবার এসে মেঘলা, নিলাচল/ টাইগার হিল, স্বর্ণ মন্দির, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক দেখে ওয়াওওয়াও করতে থাকি। এগুলো সবই মুলত শহরেরআশেপাশে। সেবার ওইগুলো দেখেই পেটভরা গল্প নিয়ে ঘরেফিরি। ২য় বার এসে কেক্রাডং “জয়” করে বিজয়ী বেশে ঘরে ফিরি ।

এরপর বেশ কয়েকবার বার বান্দরবন গেছি, অনেক কিছুই দেখেছি। তবে আরও অনেককিছু এখনো দেখার বাকি রয়ে গেছে।

শুধু মেঘলা, নিলাচল/ টাইগার হিল ইত্যাদি জায়গা দেখতে চাইলে পরিকল্পনা করবেন এভাবে- ১ম দিন সকালে পৌঁছে ফ্রেশহয়ে নাশ্তা করে মেঘলা, নিলাচল/ টাইগার হিল, স্বর্ণ মন্দির এসব দেখতেপারেন। ২য় দিন একটা জীপ ভাড়া (টাকা ২০০০/৩০০০) করে শৈলপ্রপাত, নীলগিরি ঘুরে আসেন।

তবে বান্দরবন এর আসল ঐশ্বর্য দেখতে হলে আপনাকে আরও একটু ভিতরে ঢুকতেহবে। ২/৩ দিন পাহাড়ে হাঁটাহাঁটিকরতে হবে। আমি এখন সেই পথের কথা বলব।

দিন ১ –বান্দরবনশহরে পৌঁছে নাশ্তা করে একটা জীপ নিতে হবে রুমা বাজার পর্যন্ত। টাকা ২০০০/২৫০০ লাগবে। পৌছতে ঘন্টা দেড় লাগবে। সেখানে পৌঁছে গাইড নিতেহবে। গাইডের কয়েকটি সমিতি আছে। যেকোনো একটা থেকে একজনগাইড নিতে হবে। কেওক্রাডং পর্যন্ত গেলে দৈনিক ৪০০ করে মোট ১২০০টাকা লাগবে। জাদিপাই গেলে প্যাকেজ ২০০০/২৫০০ টাকার মত। তাদের দেয়া ফর্ম পুরনকরে আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে সেখানে নাম এন্ট্রি করতে হবে। তারপর দ্রুত গাইডের সাথেগিয়ে জীপ ভাড়া করতে হবে বগা লেক যাওয়ার জন্য। ভাড়া ২০০০ টাকা। তবে বর্ষাকালে গাড়ি বগা লেকপর্যন্ত যায় না।

বগা লেকে ওঠার শেষ রাস্তাটুকু পার হতে অনেক কষ্ট হবে। খাড়া পাহাড়ে উঠতে হবে। আসলে এই জায়গাটুকু পারহতেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় সবার। কারন, সারারাত জার্নি করে, হইচই করে সবাই খুব ক্লান্ত থাকে। একারনেই কিছু মানুষ বগাউঠেই সিদ্ধান্ত নেয় আর আগাবে না। এটা ভুল সিদ্ধান্ত। আমি অনেক বাঘা বাঘা ট্রেকারদেরজিজ্ঞাসা করে দেখছি। ট্রিপের প্রথম দিন বগায় উঠতে সবারই অনেক কষ্ট হয়। ২য় দিন থেকে আর এত কষ্টহবে না।

বগায় পৌঁছে সিয়াম দিদি/ লারাম বা অন্য কারও কটেজেউঠতে হবে। কটেজ আগে থেকে ঠিক করে রাখা ভালো। এরপর লেকে গোছল করে বাকি দিনরেস্ট। এখন যেহেতু রুমা যেতে নৌকা লাগে না সেহেতু বেলা ১১/১২ টার মধ্যে বগায়পৌঁছে অনেকেই আরও সামনে এগিয়ে যায়। তবে যারা প্রথমবার যাচ্ছে, তাদের বগায় ১ম রাত থাকাউচিৎ। স্থানটা অনেক সুন্দর। (এখানে সেনেটারি টয়লেটআছে)।

দিন ২ (আয়েশি ভ্রমন) – ভোরে উঠে খিচুরি+ ডিম ভাজি খেয়ে ভোর ৫.৩০ টার মধ্যেই রওনা হতেহবে কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে। পথে চিংড়ি ঝর্না দেখতে হবে। ঝর্নার উপর পর্যন্ত গিয়েনা দেখলে কিন্তু বিরাট মিস। আগে পরে আরও কিছু ঝর্না পড়বে। মোট ৩/৩.৫ ঘণ্টা হাটার পরে পাবেন কেওক্রাডং। বাংলাদেশের “সর্বচ্চ” (সরকারি তথ্য মতে) পাহাড়।

লালার হোটেলে দুপুরেরে খাবার খেয়ে আবার ফিরতি পথে বগা।

অথবা দিন ২ (একটুখানিএডভেঞ্চার ভ্রমন) – ভোরে উঠে খিচুরি+ ডিমভাজি খেয়ে ভোর ৫.৩০ টার মধ্যেই রওনা হতে হবে কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে। পথে চিংড়ি ঝর্না দেখতেহবে। ঝর্নার উপর পর্যন্ত গিয়েনা দেখলে কিন্তু বিরাট মিস। আগে পরে আরও কিছু ঝর্না পড়বে। কোন ঝর্নাতেই ১০/১৫ মিনিটেরবেশি সময় দেয়া যাবে না। মোট ৩/৩.৫ ঘণ্টা পরে পাবে কেওক্রাডং। বাংলাদেশের “সর্বচ্চ” পাহাড়। চুড়ায় ওঠার আগেই লালার হোটেলে দুপুরের খাবারঅর্ডার ও রাতে থাকার বুকিং দিয়ে দিবেন।

তারপরে ১০ টার ভিতরে দুপুরের খাবার খেয়ে পাসিং পাড়া হয়ে জাদিপাইপাড়া হয়ে জাদিপাই ঝর্না। কেওক্রাডং থেকে জাদিপাই যেতে কোন পাহাড়ে ওঠানাই, শুধু নামা আর নামা। ঘণ্টা ২/২.৩০ লাগবে পৌছাতে। শেষ ২০০ ফিট সাবধানে নামতেহবে। ৫০ ফিট পাটের মোটা দড়ি/কাছিসাথে করে নিয়ে গেলে এখানটায় নামতে সুবিধা হবে। লোকে বলে জাদিপাইনাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝর্না। কথাটির সাথে আমিও দ্বিমত নই। দেখলেআপনিও বোধ করি দ্বিমত করবেন না।
এখানে ঘণ্টা খানেক থেকে আবার ফিরতে হবে। আমরা ঐদিনই বগায় ফিরেএসেছিলাম। তবে সেটা বেশি কষ্টকর হতে পারে। আপনারা কেওক্রাডং এসেলালার হোটেলে ঐ রাত থাকবেন। (এখানে সেনেটারি টয়লেট আছে)।

দিন ৩ –অবশ্যইসূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে উঠবেন। কেওক্রাডং এর চুড়া থেকে সূর্যোদয় অনেক বেশি সুন্দর। নাশ্তা করে ফিরবেন বগা। সেখান থেকে জীপ স্ট্যান্ডেগিয়ে আগেই ফোনে ঠিক করে রাখা জীপে করে রুমায় ফিরবেন।
১২ টার মধ্যে রুমায় পৌঁছে দুপুরের খাবার খেয়ে ট্রলার নিবেন রিঝুকফলস পর্যন্ত। ৮০০/১০০০ টাকা নিবে। ৩০/৪০ মিনিট লাগে যেতে। রিঝুক দেখে রুমা ফিরেআবার জীপে করে বান্দরবন। বগাথেকে ঝিরিপথে হেঁটেও রুমা ফেরা যায়। ৬/৭ ঘণ্টা লাগে। পথটা অসাধারন সুন্দর।

রুমা থেকে বান্দরবন ট্রলারে করেও ফেরা যায়। ৩/৪ ঘণ্টা লাগবে। ৪০০০/৪৫০০ টাকা লাগতেপারে। ফিরতি পথে ৪০/৫০ কিমিসাঙ্গু দেখতে অনেক ভালো লাগবে।
এই পরিকল্পনায় ৩ দিন ঘুরে আসলে আর শৈলপ্রপাত, নীলগিরি, চিম্বুক, মেঘলা ইত্যাদি জায়গায়যাওয়া অর্থহীন। কেওক্রাডং, জাদিপাইর কাছে এগুলোকেশিশুপারক মনে হবে।

এই ৩ দিনের টুরে আরও কিছু মশলা দেয়া যায়, তবে প্রথমবার হিসেবে সেটাবাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।

অবশ্য পালনীয় কর্তব্য –== = = = = = = =

১) ভালো, মজবুত ব্যকপ্যাক নিবেন। হাতব্যাগ/ লাগেজ এসব চলবেনা, চলবে না¸ চলবে না।

২) পুরো টুরে নিজের ব্যাগ নিজের কাধে রাখতে হবে। পাহাড়ে ওঠার সময় মেকাপবক্স/ পারফিউম ইত্যাদি ফেলে দিতে হবে ওজন কমাতে। অতএব, কাপড় মাত্র ২ সেট নিবেন। অন্যান্য জিনিস যাই নিবেনভেবে নিবেন। অযথা ব্যাগ ভারী করলে পরে কাঁদতে হবে।

৩) ভালো, মজবুত স্যান্ডেল নিবেন। মাটিতে ভালো গ্রীপ করে, পিছলে যায় না এমন স্যান্ডেলনিবেন।

৪) সঙ্গে সবসময় আধা/এক লিটার পানি, সামান্য কিছু হাল্কা খাবাররাখবেন।

৫) কলার পটাশিয়াম পেশির জন্য উপকারী। পাহাড়ে উঠলে পেশির উপরঅনেক চাপ পরে। অতএব, বান্দরবন গেলে বান্দরের মত কলা খাবেন।

৬) বেশি স্যালাইন খেলে রক্তচাপ বাড়ে, ঘাম বাড়ে ফলে আরও বেশিপানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়। অতএব, সারাদিন চলার পথে বেশি স্যালাইন খাবেন না। পানি খাবেন। অনেক তৃষ্ণা পেলেও একবারেবেশি পানি খাবেন না। হটাত পেট ভারী হয়ে গেলে হাঁটতে পারবেন না।

৭) মশা প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই Ododmos লোশন নিবেন।

৮) হাটার সময় ফুটবলারদের মত আংলেট, নী-ক্যাপ পড়বেন।

৯) টর্চ নিবেন। কম কম জ্বালাবেন। চার্জ শেষ হলে চার্জ দেয়াঝামেলা।

১০) প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন। অবশ্যই, অবশ্যই। যত দেরিতে রওনা হবেন, রোদে তত বেশি কষ্ট হবে। অলস কেউ থাকলে তাঁকে কক্সবাজারপাঠিয়ে দিন। বান্দরবন তার জন্য না।

১১) জোঁকের জন্য সবার সঙ্গে সামান্য লবন রাখবেন। জোঁক লাগলেই অযথা চেঁচামেচিনা করে আপনার পাশে জনকে লবন দিতে বলুন। জোঁক মরে যাবে।

১২) দল ১০ জনের হলে ৫ জনের ২ টা দলে হাঁটবেন। কেও যেন দলছাড়া না হয়েযায়।

১৩) ক্যাপ পড়বেন সবাই।

১৪) ছাতা/ রেইনকোট নিবেন।

১৫) ব্যাকপ্যাক কাভার নিবেন সবাই। বা সকল জিনিস বড় পলিথিনেভরে তারপর ব্যাকপ্যাকে ভরবেন।

১৬) সবাই ১টা করে পিঠে ঝুলানর মত দড়ি দেয়া কাপড়েরএক্সট্রা  ব্যাগ নিবেন ।

১৭) জ্বর, পেই কিলার,আমাশা, গ্যাস্ট্রিক, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেটইত্যাদি নিবেন।

এবং দয়া করে

১৮) বিস্কুট/ চিপস/ চানাচুর ইত্যাদির প্যাকেট বা প্লাস্টিকের বোতল, অপচনশিল বস্তু ফেলবেন না যেখানে সেখানে। যেসব পাড়ায়ডাস্টবিন আছে সেখানে ফেলুন। না পারলেপুড়িয়ে ফেলুন।