নদীটির নাম জাদুকাটা নদী

ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে উৎপত্তি হওয়া জাদুকাটা নদীটি সুনামগঞ্জের একটি অপরূপ নদী। জাদুকাটা নদীর স্বচ্ছ নীল জল এতটাই স্বচ্ছ যে নদীর তীর থেকেই আপনি নদীর তলদেশ দেখতে পাবেন। নদীতীরে সবখানেই বড় পাথরখণ্ডের সাথে দেখা মিলবে আপনার। জাদুকাটা নদী থেকে বেশকিছু খালের সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো সুরমা নদীতে মিলিত হয়েছে।

নদীটির পাশেই প্রায় ১৫০ ফুট উচ্চতার একটি টিলা রয়েছে। স্থানীয়রা এই টিলাটিকে বারিক টিলা বলে থাকে। এই টিলায় অবস্থিত পিলারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাদুকাটা নদী সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলে অবস্থিত। একসঙ্গে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘোরার প্রস্তুতি নিয়েই আপনাকে জাদুকাটার উদ্দেশে বের হতে হবে। ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। মামুন, হানিফ, শ্যামলী, ইউনিকসহ অনেক বাস এই লাইনে চলে। ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জের ভাড়া ৫৫০ টাকা। সুনামগঞ্জ থাকার ব্যবস্থা মোটামুটি। এখানে ৬ জন + টিম যাওয়াই ভালো। সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর যেতে হবে। দুইভাবে যাওয়া যায়। লেগুনাতে করে, ভাড়া পার পারসন ৮০ টাকা। বাইকে পার পারসন ১০০ টাকা।
তাহিরপুর যেয়ে নৌকা ভাড়া করতে হবে। নৌকার সাইজ অনুযায়ী ভাড়াও বিভিন্ন। নৌকায় রান্না করে খেতে চাইলে তাহিরপুর থেকে বাজার করে নৌকায় উঠতে হবে। সরাসরি জাদুকাটায় যেতে পারেন। আবার টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরেও জাদুকাটায় যাওয়া যায়। আমার পরামর্শ হবে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে টেকেরঘাট রাতযাপন।

টেকেরঘাটে হোটেলে থাকতে পারেন। থাকতে পারেন নৌকাতে। পরদিন লাকমাছড়া, লাইমস্টোন লেক ও টিলা ঘুরে মোটরসাইকেলে চলে যান বারিকটিলা। বারিকটিলা আর জাদুকাটা পাশাপাশি। টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে মনে ভালোলাগা তৈরি হবে। টেকেরঘাট থেকে জাদুকাটা যাওয়ার পথটুকু সে ভালোলাগার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ আর জাদুকাটা আপনাকে ভালো লাগার স্বপ্নময় জগতে পৌঁছে দেবে!

Post Copied From:Ataul Islam Masum>Travelers of Bangladesh (ToB)

যেখানে নৌকা হাওয়ায় ভাসে

Umngot নদী, ডাউকি, মেঘালায়, ভারত

 

প্রথম যখন ছবি দেখি তখন মনে করেছিলাম এডিট করা । পরে ইন্টারনেট ঘেটে এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখে কিছুটা আশস্ত হলাম যে আসলে ই এমন কিছু আছে । এরপর ধারস্ত হলাম মেঘালয় বিশেষজ্ঞ বড় ভাইয়ের কাছে । সময়টা ছিলো মে ২০১৭ । ভাই বললেন স্বচ্ছ পানি আর ভাসমান নৌকার দেখা পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে। কিন্তু জুন/জুলাই মাসে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মেঘালয়কে, যখন এর ঝর্ণাগুলো হয়ে উঠে চির যৌবনা । ঝর্ণার প্রতি ভালোবাসা থেকে জুনেই করে ফেললাম ডাউকি পোর্ট দিয়ে মেঘালয়ের ভিসা । ঘুরে আসলাম অসাধারন এবং অকল্পনিয় কিছু ঝর্ণা ( ঐ দিকে আর যাবো না, অনেক কষ্ট হয়েছিলো 😛 ) । এতো সুন্দর ট্রিপের পরও মনের ভিতর উকি দিচ্ছিলো সেই ভাসমান নৌকার ছবি ।
অবশেষে সময় আসলো, ৩০ নভেম্বের,২০১৭ । আমাদের এবারে প্লান ছিলো ভারতের সবচেয়ে উঁচু ঝর্ণা “নোহকালিকায় ফলস” এর আপস্ট্রিমে যাওয়া, “কংথং” নামে একটি অদ্ভুত গ্রামে যাওয়া যেখানে সব মানুষের নামের পাশা পাশি থাকে একটা “Tune” এবং Umngot নদীর স্বচ্ছ পানিতে বোটিং করা ।
৩০ নভেম্বর,২০১৭ তারিখে সায়দাবাদ থেকে “আহামেদ পরিবহনে” আমাদের যাত্রা শুরু হয় । যাত্রার আগে শুনেছিলাম আহামেদ পরিবহন লোকাল টাইপ বাস । এই বাসে যাওয়ার কারন হলো এটি একমাত্র বাস যা সরাসরি জাফলং যায়, যা আমাদের সকাল ৭ টায় তামাবিল বর্ডারে নামিয়ে দিতে পারবে যেখানে সিলেট এর বাসে গেলে তামাবিল যেতে যেতে ৯/১০ টা বেজে যায় । রাত ১০ টার বাস ঠিক ১০টায় ই ছেড়ে দিলো ( লোকাল বাস যদি এমন ই হয় তাহলে সব বাস লোকাল হয়ে যাওয়া ই ভালো 😛 ) । সকাল ৭টায় তামাবিল পৌছানোর কথা থাকলেও বাস থেকে মালামাল লোড আনলোড করতে সময় নষ্ট হওয়ায় আমরা বর্ডার পৌছাই ৭.৪৫ এর দিকে । এই বর্ডারে সাধারনত ৯টার আগে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু হয় না কিন্তু শুক্রবার শ্যামলি বাসের শিলং প্যাকেজ এর সার্ভিস থাকে বলে আগে ভাগেই কার্যক্রম শুরু হয় । এই সুবাধে তাড়াতাড়ি ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করার সুযোগ হয় । নাস্তা এবং দুই বর্ডারের কাজ শেষ করতে করতে প্রায় ৯.৩০ বেজে যায় (বাংলাদেশি সময়)। এবার মোবাইল রিচার্জ এবং গাড়ি রিজার্ভ করার পালা । কিন্তু আমাদের কংথং যাওয়ার কথা শুনে কোন গাড়ি ই যেতে রাজি হচ্ছিলো না কারন অনেক দূরের পথ এবং রাস্তা ভাঙা । যাই হোক অনেক কষ্টে একটি গাড়ি ম্যানেজ করা হয় এবং শুরু হয় আমাদের এবারের অসাধারন যাত্রা। প্রথমে ই যাই ডাউকির স্বচ্ছ পানিতে বোটিং করতে । ডাউকি বাজার থেকে হেঁটে ই বোটিংর এর জায়গায় যাওয়া যায় । নদীর পানি দেখে সবার চোখ যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসবে এই অবস্থা । পানি এতো ই স্বচ্ছ যে নদীর নিচের পাথর এবং মাছ খুব সহজেই দেখা যাচ্ছিলো আর দেখতে পাই সেই বহুল কাংখিত ভাসমান নৌকা । যেখান থেকে বোটিং শুরু হয় সেই জায়গা থেকে আমাদের জাফলং দেখা যায় । দেখে বার বার আসফোস হচ্ছিলো আমাদের নদীর অংশ কিভাবে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি । নদীতে ২০/৩০ মিনিট বোটিং করে রওনা দেই কংথং গ্রামের পথে । মাঝে দুপুরের খাবারে জন্য বিরতি নেয়া হব । কংথং যেতে যেতে বিকাল ৫টা বেজে যায়। গ্রামে পৌছে ই শুনতে পাচ্ছিলাম এপাশ ওপাশ থেকে পাখির ডাকের কলরব । এটাই “Tune” যা গ্রামের মানুষ একজন আর একজনকে ডাকার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে । আমাদের দেখে গ্রামের মানুষ ভালো ই অবাক হচ্ছিলো এতে বুঝলাম টুরিস্ট এখানে খুব বেশী আসে না । এই গ্রামে রাতে থাকার জন্য কটেজ আছে কিন্তু আমাদের সময় কম বিধায় মাত্র এক ঘন্টা ঐ গ্রামে থেকে চলে আসি চেরাপুঞ্জিতে ।
২ ডিসেম্বর “নোহকালিকায় ফলস” এর টপ এবং ৩ ডিসেম্বর সোনেংপ্যাডং ঘুরে ফিরে আসি বাংলাদেশে ।

যেভাবে যাবেন : ঢাকা>সিলেট>তামাবিল>ডাউকি

যা থাকা লাগবে : পাসপোর্ট , ডাউকি পোর্ট দিয়ে ভারতের ভিসা

খরচ : ভিসা ফি:৬০০ টাকা, ট্রাভেল ট্যাক্স:৫০০ টাকা
আমারা মোট ৯ জন ছিলাম, ভিসা ফি এবং ট্রাভেল ট্যাক্স বাদে ২ রাত ৩ দিনে আমাদের খরচ হয়েছিলো জনপ্রতি ৭৮০০ টাকা ।

Post Copied From:Rakib Apo‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সবুজের টানে আসাম

ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকা এবং কাছাড় নিয়ে অসমে অসমীয়া বাঙালি বোড়োসহ নানা উপজাতির বাস। পাহাড়, নদী, অরণ্য, চা বাগান এখানের অন্যতম আকর্ষণ। নয়নলোভা নৈসর্গিক সৌন্দর্যের টানে এই কিছুদিন আগেও আবার ভ্রমণে গেলাম আসামে। ভারতের এই রাজ্যে আছে দারুণ বৈচিত্র্য। এ জন্যই অসমে বারবার যাওয়া। অসমকে বাংলাদেশীরা বলে ‘আসাম’। ওখানকার লোকজন বলে অসম। এবারের ভ্রমণটা অন্য পথ দিয়ে। আখাউড়া হয়ে এলাম আগরতলা। রাত কাটানোর পরদিনই অসম রাজ্যে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। সন্ধ্যার বাসে উঠে পরদিন সকালে গিয়ে পৌঁছলাম অসমের শিলচর শহরে। আগরতলা থেকে শিলচরের দূরত্ব ৩১৭ কিলোমিটার। এখানের স্টিমার ঘাটের হোটেল মনোরঞ্জনে উঠলাম। খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল এই হোটেলে। বরাক নদীর ধারে শিলচর বেশ সাজানো-গোছানো শহর। বাঙালিদের বসবাস এখানে বেশি। বলা যায় বাঙালিপ্রধান শহর। অসমের কাছাড় জেলার সদর দফতর বসেছে এই শিলচরে। বিকালে গেলাম গান্ধীবাগে। এখানে গিয়ে দেখলাম শহীদ স্তম্ভ আর মেডিকেল কলেজ। সেদিন ছিল রোববার। অটোচালক বলল, উধারবন্দে শ্রী শ্রী কাঁচা কান্তি দেবী মন্দিরÑ ওখানে গেলে আজ পূজা দেখতে পাবেন। এ কথা শুনে অটোতে উঠে চললাম মন্দিরের দিকে। গিয়ে দেখি লোকে লোকারণ্য। কত লোক মন্দিরে ঢুকছে। আমিও ঢুকলাম। কী অপূর্ব এই মন্দিরের গঠনশৈলী। এদিকে কীর্তন গান হচ্ছে। তখন আরও বেশি উৎফুল্ল হলাম। কাছেপিঠেই ব্রজমোহন গোস্বামীর আশ্রম। এর সামনে দাঁড়াতেই একজন বললেন, ওই বৃক্ষতলে যান, কোন মনস্কামনা জানানÑ দেখবেন তা পূর্ণ হবেই।
আশ্রম ছাড়িয়ে ৩ কিমি দূরে খাসপুরে এলাম। ১৭ শতকের কাচারি রাজাদের বিধ্বস্ত রাজধানী ছিল এই খাসপুরে। এদিকে সন্ধ্যা নেমে এসেছে দেখে এবার ফিরলাম শিলচরের দিকে। পরের দিন শ্রী কৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত মনিহরণ সুরঙ্গ দেখতে গেলাম। এটি ত্রিবেণী নদীর পাশেই। শিবরাত্রি, দোলযাত্রা ও বারুণীর সময়ে এখানে মেলা ও উৎসব হয়। শিলচর থেকে ১১২ কিমি দূরে হাফলঙ ৬৮০ মিটার উচ্চতায় অসমের অন্যতম হিল রিসর্ট। সড়কপথে বাসে হাফলঙে পৌঁছতে ৫ ঘণ্টা লেগে গেল। উঠলাম ট্যুরিস্ট লজে। নর্থ কাছার হিল ডিস্ট্রিক্টের সদর দফতর বসেছে এই হাফলঙে। এখানের প্রাকৃতিক পরিবেশ অসাধারণ। হাফলঙ লেক ঘিরে শহর। এখানে থেকে নৌকায় বেড়ালাম। পাহাড়ি প্রান্তরে দেখলাম নানা প্রজাতির অর্কিডের ছড়াছড়ি। ৯ কিমি দূরের জাটিঙ্গা রেল স্টেশনে গিয়ে শুনলাম, আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে রঙ-বেরঙের পরিযায়ী পাখিরা আসে দলে দলে। তখন ওখানে যারা আসেন তারা হƒদয়বিদারক দৃশ্য দেখতে পান। মৃত্যুফাঁদ পাতে উপজাতীয়রা। এরা বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারে পাখি। আর এসব পাখির মাংস খায় উপজাতিরা। হাফলঙ থেকে সন্ধ্যায় বাসে উঠলাম। এবার যাত্রা নওগাঁ। এই শহর থেকে ১৪ কিমি দূরে বর্দ্ধয়া বৈষ্ণব সংস্কারক শ্রী শংকর দেবের জš§স্থান। সেই টানেই ওখানে যাওয়া। বর্দ্ধয়ায় মন্দিরও দেখলাম। নওগাঁ থেকে ৭৫ কিমি দূরে তেজপুর। আগেই জানতাম, ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পাড়ে শোনিতপুর জেলার সদর তেজপুরে অসমের সবচেয়ে সুন্দর শহর। এখানে এসে উঠলাম অসম পর্যটনের ট্যুরিস্ট লজে। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ ছবির মতোন সাজানো শহর তেজপুরকে দেখে অভিভূত হলাম। অতীতের শোনিতপুরই বর্তমানের তেজপুর। পৌরাণিক কাহিনীর বানাসুরে রাজধানী ছিল এই তেজপুর। এখানে গিয়ে দেখলাম, বামুনী পাহাড়ে পাথরের বেশকিছু স্মৃতিচিহ্ন দাপরবতিয়ার গেট, ৫ শতকের গুপ্ত যুগের তোরণের ধ্বংসাবশেষ মহাভৈরবী মন্দির, কোলে পার্ক অগ্নিগড় পাহাড়। তেজপুরে ২ দিন কাটানোর পরে চললাম ডিব্র“গড়ের দিকে। ডিব্র“গড় অসমের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর। এখানে এসে মন ভরে দেখলাম চায়ের বাগান। ডিব্র“গড়ও বাঙালি অধ্যুষিত শহর। এই শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র নদ। এখানে থেকেছিলাম নটরাজ হোটেলে। ডিব্র“গড় থেকে ফেরিতে ব্রহ্মপুত্র পেরিয়ে সোনারিঘাট পৌঁছে অরুণাচলের পাশিঘাট ও আলংয়ে বাসে যাওয়া যায়Ñ কিন্তু ইচ্ছে করেই ওদিকে না গিয়ে এলাম তিন সুখিয়ায়। ডিব্র“গড় থেকে তিন সুকিয়ার দূরত্ব মাত্র ৪৭ কিমি। খুবই ছোট শহর। এখানে একরাত কাটালাম প্যালেস হোটেলে। এখানের দুলিয়াখানে গিয়ে তেলের খনি দেখলাম। এছাড়া নাহারকাটিয়াতেও রয়েছে তেলের খনি।
তিন সুকিয়া থেকে ১২৪ কিমি দূরে শিবসাগর। এটি জেলা শহর। এখানে এসে উঠলাম অসম পর্যটনের ট্যুরিস্ট লজে। অতীতে অহম রাজাদের প্রথম রাজধানী ছিল শিবসাগর থেকে ২৮ কিমি দূরে চরাইকেওতে। ১২৫৩ সালে অহম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা সুকাফা নির্মিত এই রাজধানীতে এখনও রয়েছে স্মৃতিচিহ্ন, তা দেখার জন্য ওখানে গিয়েছিলাম। শিবসাগরে আরও দেখলাম ২০০ বছরের পুরনো প্রাচীন বিশাল জলাশয় অর্থাৎ শিবসাগর। এর পাশেই শিবডোল মন্দির। ১৭৩৪ সালে অহরাজ শিব সিংহ নির্মিত এই শিব মন্দির ভারতের সর্বোচ্চ মন্দির। শিবরাত্রিতে এখানে উৎসব হয়। এখানে গিয়ে এর দু’পাশে দেখলাম বিষ্ণুডোল ও দেবীডোল মন্দির। আরও রয়েছে, অহমরাজ প্রমত্ত সিংহ কর্তৃক নির্মিত দুতলা রয়েল প্যাভিলিয়ন অর্থাৎ রঙঘর। এক সময়ে এর উপরে বসে অহম রাজরা হাতির লড়াই দেখতেন। এক বিকালে শিবসাগরের নিকটবর্তী কায়রঙ্গ ঘর, জয় সাগর জলাশয়, মন্দির, গৌরি সাগর জলাশয়, নামদাঙ পাথরের ব্রিজ ঘুরে দেখলাম।
শিবসাগর দেখা শেষ করে ৫৬ কিমি. দূরের জোড়হাটে এলাম। এখানে উঠলাম ইস্টার্ন হোটেলে। চারদিকে চা বাগান, এর মধ্যে জোড়হাট শহরে বেড়াতে এসে দারুণ বৈচিত্র্য খুঁজে পেলাম। বিকালে এলাম চা গাছের গবেষণা কেন্দ্র আর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে। এখানের মাজুলী দ্বীপে গিয়ে একজন বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা হল। কথায় কথায় দুজনের সম্পর্কটা আরও নিবিড় হল। সে আমাকে কীর্তন গানও শুনিয়েছিল। মাজুলি থেকে পথ গেছে উত্তর লখিমপুরে। দূরত্ব ৪০ কিমি। উত্তর লখিমপুরে গিয়ে জানলাম, এখান থেকে অরুণাচলের রাজধানী ইটানগরের দূরত্ব মাত্র ৫৬ কিমি। উত্তর লখিমপুরে এক রাত কাটালাম পরে জোড়হাট হয়ে গোলঘাটে এলাম। ওখান থেকে শিলচর হয়ে সীমান্তের করিমগঞ্জে এসেছিলাম। এর ওপারেই বাংলাদেশের জকিগঞ্জ। ওই পথ ধরে দেশে ফিরতে চাইলে কী আর হয়। যে পথ দিয়ে এসেছি সেই পথ দিয়েই অর্থাৎ আগরতলায় আবার ফিরে আসা। অতঃপর আখাউড়া হয়ে ঢাকায় ফিরলাম।

Post Copied From:Md Faruque Hossain‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঘুরে দেখুন অভিবক্ত বাংলার রাজধানী এ সিটি অফ হিস্টরি মুর্শিদাবাদ

সমগ্র ভারত বর্ষের ইতিহাস পরিবর্তনের জন্য কালের সাক্ষী হয়ে যে স্থানটি সু অথবা কু পরিচিত তার নাম মুর্শিদাবাদ । বিশ্বাসঘাতকতা আর রক্তাক্ত অতীতের এক নগরী এই মুর্শিদাবাদ । এক বিশাল উপমাহাদেশ খন্ড বিখন্ড হবার শুরুটা হয়েছিল এখান থেকে । তাই বোধয় মুসলিম প্রধান এই অঞ্চলটিকে সবাই এড়িয়ে চলতে চায় । এড়িয়ে চলতে চায় নিষ্ঠুর ইতিহাসকে । চলুন আজ জেনে নেই কম খরচে মুর্শিদাবাদ ভ্রমন সম্পর্কে ।

কলকাতার শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে মাত্র ২৪০ কি; মিঃ দূরে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ । ঘন্টা চারেক ট্রেন জার্নির জন্য রাত ১১.২০ এর লাল গোলা এক্সপ্রেসের ১০০ রুপির স্লিপার ক্লাসের টিকিট কেটে ফেলুন । ট্রেনে একটা জম্পেশ ঘুম দিয়ে রাত ৪.২০ বা ৫ টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন মুর্শিদাবাদ জংশনে । মোবাইলে এলাম দিয়ে রাখবেন না হয় ভুলে অন্য স্টেশনে চলে যেতে পারেন । স্টেশন থেকে বেড়িয়ে সামনের বাম দিকে হোটেল পাবেন । ২০০ রুপিতেই ডাবল বেডের রুম অথবা ৪ বা ৫ জন্য হলে হোটেলে কথা বলে সারাদিনের জন্য হোটেল বুক করুন । আপনি সারাদিন ঘুরে আবার রাত ১০.২০ শের লাল গোলা এক্সপ্রেসে কলকাতা ফিরে আসতে পারবেন ।

🕍 হাজার দুয়ারীঃ আমাদের দেশের অটো আর মুর্শিদাবাদে টো টো বলে । কারো কথা না শুনে হোটেল থেকে বেড়িয়ে ১০ রুপির টো টো তে করে হাজার দুয়ারী চলে আসুন । ২০ রুপির এন্ট্রি ফি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করুন । এখানে বলে রাখা ভালো যে ক্যামেরা , মোবাইল জমা দিয়ে ভিতরে যেতে হয় । ঘুরা ঘুরি শেষ হলে সেগুলো ফেরত নিয়ে হাজার দুরারির প্রাঙ্গনে আপনি ছবি তুলতে পারবেন । ইতিহাসের অনেক ঘটনার নিদর্শন রয়েছে এই হাজার দুয়ারিতে । ভিতরে গিয়ে সব জায়গায় নবাব সিরাজ কে খুজতে যাবেন না । কারন পুরো মুর্শিদাবাদ ঘুরে আমার যেটা মনে হয়েছে এখানে নবাব সিরাজ কে সেভাবে মুল্যায়ন করা হয় নি । বরং মীর জাফরের বিশ্বাস ঘাতকতাকে বেশি করে হাইলাইটস করা হয়েছে । হাজার দুরারী ঘুরা শেষ হলে সেখান থেকে বেড়িয়ে আবার টো টো তে করে চলে আসুন নবাব সুজা উদ্দিনের কবরে ।

🕍 নবাব সুজা উদ্দিনের কবরঃ ১০ থেকে ১৫ রুপি ভাড়ায় হাজার দুয়ারির পাশ দিয়ে বয়ে চলা ভাগীরথী নদীর অপাশে নবাব সুজা উদ্দিনের কবরে কাছে চলে আসুন । শান্ত নিরব কবর খানা আপনাকে ইতিহাসের অনেক গল্প মনে করিয়ে দিবে । এবার আবার টো টো তে করে চলে আসুন আজিমুন্নেসার কবর দেখতে ।

🕍 আজিমুন্নেসার কবরঃ নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁর কন্যা ছিলেন আজিমুন্নেসা । তাকে নিয়ে অনেক প্রবাদ প্রচলিত আছে যে গুলোর সত্যতা পাওয়া যায় না ।

🕍 মীর জাফরের কবরঃ আজিমুন্নেসার কবর থেকে বেড়িয়ে ১০ রুপি ভাড়া দিয়ে আবার টো টো তে করে চলে আসুন ভিলেন অফ দ্যা হিস্টোরি মীর জাফরের কবরে । অনেক টা অবহেলিত অবস্থায় থাকা এই কবরের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের ঘৃণা বা যা প্রকাশ করার ইচ্ছে সেটা প্রকাশ করে চলে আসুন কাঠ গোলা বাগান বাড়ি ।

🕍 কাঠ গোলা বাগান বাড়িঃ হাজার দুয়ারির পর আর একটা সুন্দর জায়গা এই কাঠ গোলা বাগান বাড়ি । এটা প্রাইভেট প্রোপার্টি এবং অনেক কিছু দেখার আছে । এখানকার শাসকেরা সুদুর পাঞ্জাব থেকে এখানে এসেছিলেন ।

🕍 ফুতী মসজিদঃ ইতিহাসের আর এক বিরল সাক্ষী এই ফুতী মসজিদ । প্রবাদে আছে এক রাতেই বানানো হয়েছিল এই মসজিদ । মসজিদের উপরের অনেক গুলো দেয়াল খসে পরে গেছে তার পরেও দেখার মত একটা জিনিস এই ফুতী মসজিদ । উপরে যাবার দুর্গম সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে পুরো মুরশিদাবাদ দেখার মজাই আলাদা আর সেই সাথে অনুভব করবেন সেই আমলের মুসলিম শাসকদের এসব মসজিদ প্রীতির উজ্জ্বল ভালবাসাকে ।

🕍 কাটরা মসজিদঃ মুর্শিদাবাদের সব থেকে বড় ঐতিহাসিক মসজিদ এই কাটরা মসজিদ । এর সিড়ির নিচেই সমাহিত রয়েছেন নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ । ইতিহাসে আছে তার ঘনিষ্ঠ একজনকে মৃত্যু দন্ড দেবার কারনে তিনি চেয়েছিলেন তার কবর যেন মসজিদের সিঁড়ির নিচে দেওয়া হয় । যাতে মুসল্লিদের পায়ের ধুলো তার কবরের উপর পরে তার পাপের প্রাশ্চিত্ত হয় ।

🕍 মতিঝিল পার্কঃ এটা ঢাকার মতিঝিল নয় বরং মুর্শিদাবাদের মতিঝিল পার্ক । সাজানো গুছানো সুন্দর একটা পার্ক যেখানে নবাব সিরাজ এর অনেক সৃতি রয়েছে । আগেই বলেছি পুরো মুর্শিদাবাদে নবাব সিরাজ কে নিয়ে বেশী এক্সপেকটেশন রাখবেন না । বরং এই পার্কার বিভিন্ন জায়গায় মীর জাফরকে হাইলাইটস করে তার কুকর্মকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

পুরো দিন ঘুরে দেখার পর পার্ক থেকে বেড়িয়ে ১০ রুপির টো টো তে করে মুর্শিদাবাদ স্টেশনে চলে আসুন । এর পর সারা রাত ট্রেনে সুন্দর একটা ঘুম দিয়ে সকালে কলকাতা।

খরছঃ কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ গিয়ে ঘুরে আবার কলকাতা ফিরে আসতে সব মিলিয়ে জন প্রতি ৯০০ রুপি মাত্র খরচ হবে ।

Post COpied From:রেজওয়ানুল কবীর‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

মেঘের দেশে ২ দিন

আমরা ২৪ জন,গন্তব্য সাজেক।
এই শুক্রবার রাত ১১ টার গাড়িতে রওনা হলাম,পৌছালাম সকাল ৭ টায়।মালিক সমিতি থেকে গাড়ি নিলাম,শুধু সাজেক যাওয়া আসা করলে আর সাজেকে ১ দিন থাকলে ভাড়া ৭১০০ আর সাথে থাকা খাওয়ার জন্যে হাজার খানেক টাকা গুনতে হয়।সাজেকের যাওয়ার রাস্তার বর্ণনা দেওয়ার ভাষা খুজে পাওয়া দুষ্কর, এক কথায় বলতে গেলে ভয়ংকর সুন্দর।আমাদের কটেজ ঠিক করা ছিল,মেঘ মাচাং।সকালের মেঘ কিং বা সবুজ পাহাড় সাথে রাতের তারা দেখার আর্দশ স্থান মেঘ মাচাং এর বারান্দা।দুপুরে আর্মিংদের রেস্টুরেন্ট এ খাবার পর রুইলুই পাড়া ঘুড়লাম।বিকেলে সুর্যাস্ত দেখতে গেলাম কংলাক পাড়া।
সাজেকের শেষ প্রান্তে কংলাক পাহাড়। এর চূড়াতেই কংলাক
পাড়ার অবস্থান। সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প থেকে এক কিলোমিটার দূরে এ গ্রামের অবস্থান।
এ গ্রামেও
লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস। কংলাক পাড়া থেকে
ভারতের লুসাই পাহাড় খালি চোখে দেখা যায়।
এ গ্রামের নিচে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আরও
কয়েকটি গ্রাম আছে। তবে এ গ্রামগুলো খুবই দুর্গম।
সন্ধ্যায় আমরা সবাই এক সাথে বসলাম হ্যালি প্যাডের পাশের পাহাড়ে।আকাশে চাঁদ না থাকলেও তারাদের মেলা বসেছিল এই দিন।রাতে আর্মিদের রেস্টুরেন্টে বার বি কিউ করলাম,২৫০ টাকা মাথাপিছু।
পরের দিন ভোর ৫ টা,সাজেকের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য যেন আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছিল।পূর্ব কোণে হাল্কা লাল আর চারিদিকে মেঘের মেলা।ভারতের মিজোরাম আর আমাদের পাহাড়ের মধ্যে যেন মেঘের সমুদ্র।এই সৌন্দর্য় হজম করতে না করতেই পাহাড়ের এক কোণায় সূর্য মামার আগমন। সূর্যের আলো পেয়ে আমাদের চারিদিক যেন শুভ্রতায় ভরে গেল।
সকালে নাস্তা করলাম চিম্বাল রেস্টুরেন্টে, তাদের খিচুড়ি ছিল অসাধারণ,ডিম দিয়ে খিচুরি ১০০ টাকা।
এরপর গন্তব্য খাগড়াছড়ি। যাবার পথে গাড়ি খারাপ হওয়ায় দুপুরে ব্যাম্বো সুট আর রাতে সিস্টেম রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কথা থাকলেও শুধু
ব্যাম্বো সুটে রাতে খেলাম।আর দুপুরবেলা গেলাম আলুটিলা,রিসাং ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রিজ।আলুটিলার অন্ধকার আর রিসাং এর উচু থেকে ড্রাইভিং এর আসল মজা না নিলে খাগড়াছড়ি ভ্রমণ অসম্পূর্ণই থেকে যায়……….

Post Copied From:

Nasrullah Kanon‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

কেরালা ট্যুর

কয়েকজন ভাইয়া আর আপুর অনুরধে আমার কেরালা ট্যুর এর কিছু ছবি শেয়ার করলাম।
১। আমাদের ট্যুর এর সকম ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন কলকাতা এর নবকুমার দাদা। উনি আমার সকল ট্যুর অপারেট করে থাকেন। আমরা কলকাতা থেকে চেন্নাই এক্সপ্রেসে করে চেন্নাই যাই আর এটা প্রায় ২৮ ঘণ্টার রেল ভ্রমন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী জয়ললীতা হাসপাতালে ছিলেন আর তাই সেখানকার অবস্থা নিয়ে চিত্নায় ছিলাম। আমরা চেন্নাই এর মাউন্ট রোডের একটা ৩* এ ছিলাম। এই রোডের খুব কাছেই বিখ্যাত মেরিনা বিচ। অনেক সুন্দর একটা বীচ। চেন্নাই শহরটা অনেক সুন্দর, গোছানো আর পরিপাটি। সেখান থেকে আমরা এক্সপ্রেস অয়ে হয়ে পন্ডিচেরিতে চলে গিয়েছিলাম আর সেখানে ঢোকার পথে এন্ট্রি করতে হয়। আমাদের ড্রাইভার নিজেই সব করেছিলেন। এতো সুন্দর, সোজা রাস্তা খুব কমই দেখেছি। পন্ডিচেরীতে আমরা ওরো বিচ, অরবিন্দ আশ্রম, রক বিচ, মহাত্মা রোডের মেইন চার্চ ইত্যাদি দেখেছিলাম। পুরা শহরেই অনেক ফরাসি নাগরিক দেখতে পাবেন আর শহরটা এতো সুন্দর যে দেখে মনে হবে আপনি ফ্রান্স এ চলে এসেছেন।

২। পন্ডিচেরী থেকে আমরা ট্রেনে করে কেরালা এর রাজধানী ত্রিভান্দামে গিয়েছি। পথে অসাধারন ভিউ আপনি দেখতে পাবেন। যা দেখছিলাম তাই যেন ভাল লাগছিলো। ত্রিভান্দাম স্টেশনে আমাদের জন্য গাড়ি রেডি করাই ছিল। সমস্যা হচ্ছে এখানকার কেউ হিন্দি বা ইংরেজী ব্যবহার করে না, তামিল আর মালায়লাম ভাষায় কথা বলেন। তাই তাদের সাথে কমিউনিকেট করা একটু জটিল। ড্রাইভার আমদের সোজা কোভালাম বিচ এরিয়া তে নিয়ে যায় যেটা নিয়ে আমি আরেকটি জায়গায় লিখেছি। এখানে যতো সময় কাটানো যায় ততই ভাল লাগে। সেখান থেকে আমরা গাড়িতে করেই কন্যাকুমারীতে যাই। মাঝে দেখে নেই শতাব্দী পুরাতন সুচিন্দ্রাম মন্দির। বিশাল এই মন্দিরে সময় নিয়ে ঘুরে দেখতে হয় আর প্রবেশের সময় ছেলেদের খালি গায় আর জুতা খুলে প্রবেশ করতে হয়। ছবি তুলতে পারমিশন নিতে হয়।

৩। কন্যাকুমারী… তামিলনাডু রাজ্যের অন্তর্গত ভারতের একেবারে শেষ সীমানা। ভোর বেলা সূর্জ উঠা দেখার জন্য রুম থেকে বের হয়েই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমার তিন দিকে বিশাল সাগর আর নতুন দিনের আলো দেখা যাচ্ছে। কি যে একটা অনুভুতি ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। পরে আমরা কন্যাকুমারী এর বিবেকানন্দ রক দেখতে যাই। একটা ফেরি টাইপ জাহাজে করে যেতে হয় সমুদ্র দিয়ে, পানি অনেক উত্তাল। ভয় পাবার কিছু নেই। বিবেকানন্দ রকে গেলে আপনার মনে হবে যে কই এলাম। সেই সুন্দর অনভুতির কথা লিখে বুঝাতে পারবো না। সেখান থেকে আমরা গেলাম ত্রিবেনি তে যেখানে তিন সাগরের পানি এক হয়- আরব সাগর, ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর পরস্পর মিলিত হয়েছে, সেখানেই দেবী কুমারীর মন্দির অবস্থিত আর আপনি ভারতের শেষ সীমানার রকের উপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারবেন। এখান সাগরে খুব একটা নামতে দেয়ে না পুলিশ কারন অনেক উত্তাল থাকে পানি। এই শহরের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলি হল দেবী কুমারীর মন্দির, বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল, প্রাচীন তামিল কবি তিরুবল্লুবরের ১৩৩ ফিট উঁচু মূর্তি এবং গান্ধীমণ্ডপম্‌ (ভারত মহাসাগরের জলে মহাত্মা গান্ধীর চিতাভষ্ম বিসর্জনের আগে এখানে তা রাখা হয়েছিল)।

৪। পরের গন্তব্য ছিল মাদুরাই। এটা মন্দিরের শহর। অনেক পুরাতন আর বড় বড় মন্দির আছে এখানে। মীনাক্ষি মন্দির এখানকার প্রধান দেখার জায়গা। অনেক সিকিউরিটি থাকে এই মন্দিরে, প্রবেশের পড়ে ছবি তুলতে ৫০ রুপি টিকেট কাটতে হবে। আর্কিটেকচারাল বিউটি অনেক সুন্দর। ৩-৪ ঘণ্টা লাগবে পুরা মন্দিরটি ভাল্ভাবে ঘুরে দেখার জন্য। এছাড়াও আছে কোদাল আজগার মন্দির, থিরুমালাইনায়াক্কার মন্দির, গান্ধী মেমরিয়াল ইত্যাদি। চিকিতসার জন্য এখানকার এপোলো হাস্পাতাল বিখ্যাত।

৫। পুনরায় আমরা কেরালা রাজ্যে প্রবেশ করি মুন্নার দিয়ে। এতদিন অনেক গরমের মাঝে ছিলাম কিন্তু মুন্নার এ যাওয়ার সাথেই বেশ শীত। জ্যাকেট গায়ে থাকা। মুন্নার যাবার পথটা অনেক এক্সাইটিং। পথে পথে দাঁড়াবেন আর ছবি তুলবেন। পুরাটাই পাহাড়ি পথ। এই এলাকায় খ্রিস্টান সম্প্রদায় এর মানুষ বেশী, গরুর মাংস অনেক ভাল রান্না করে। অনেক গুলো চার্চ ভিজিট করেছি। ইরাভিকুলম জাতীয় উদ্যানমুন্নার ও তার আশেপাশে অবস্থিত আকর্ষণীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইরাভিকুলম জাতীয় উদ্যান। মুন্নার থেকে আনুমানিক 15 কিমি দূরত্বে অবস্থিত এই উদ্যানটি মূলত অবলুপ্তপ্রায় পাণীদের জন্য বিখ্যাত, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নীলগিরির বুনো ছাগ। আনুমানিক 97 বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত এই উদ্যান নানান ধরনের দুর্লভ প্রজাপতি, জীবজন্তু ও পাখিদের বসবাসস্থল। মুন্নার শহর থেকে 13 কিলোমিটার দূরত্বে স্থিত আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল মাত্তুপেত্তি। সমুদ্র সমতল থেকে আনুমানিক 1700 মিটার উচ্চতায় স্থিত মাত্তুপেত্তি শহরটি সংরক্ষণ স্থাপত্যমূলক জলাধার ও সুন্দর ঝিলের জন্য বিখ্যাত, যেখানে আপনি নৌবিহার করতে পারেন এবং এখানকার পারিপার্শ্বিক অঞ্চল ও ভূদৃশ্যের ভরপুর আনন্দ নিতে পারেন। আর চা বাগান। পথের পাশে সারি সারি চা বাগান। টাটা টি এস্টেট মাইলের পরে মাইল। পথে দাড়িয়ে ২ রুপি দিয়ে খাটি চা খেয়ে দেখতে পারেন। এখানে পাওয়া যায় ঘরের বানানো চকলেট। কেজি হিসেবে কিনতে পারবেন সেই চকলেট, দাম ০৩০০-৫০০ রুপি/ কেজি…

চলবে- আলেপ্পি, কোচি, মহাবালিপুরাম …

Context copied from:Rashed Rahman

ইন্ডিয়া ট্রিপ- দিল্লি, আজেমর, জয়পুর, আগ্রা এবং কলকাতা

প্রথমেই দুঃখিত যে খরচের বিস্তারিত হিসাব দিতে পারছি না বলে। ফ্যামিলি মেম্বারসরা গিয়েছি বলে ওভাবে হিসাব রাখা সম্ভব হয় নাই। আমরা ঢাকা থেকে দিল্লি এবং কলকাতা থেকে ঢাকার প্লেনে আসা যাওয়া করেছি। বুকিং ডট কম থেকে সব হোটেল বুক করেছি এবং পরে স্নংশ্লিষ্ট হোটেল এর সাথে মেইল করে রি-কনফার্ম করে নিয়েছি। প্লেন এবং ট্রেনের টিকেট ঢাকা থেকেই করে নিয়ে গিয়েছি।

ডে-১- দিল্লিতে পোছাই দুপুরের দিকে। আমাদের জন্য আগে থেকেই এয়ারপোর্ট’এ ট্যাক্সি ছিল। হোটেল পর্যন্ত পার ট্যাক্সি(০৪ জন এর) ৭৫০ রুপি সাথে ওদের পার্কিং চার্জ দিতে হয়েছিল। ট্যাক্সি বলার সময় ল্যান্ডিং এর সময় মাথায় রেখে দেড় ঘন্টা পরের টাইম দেয়া ভাল। দিল্লিতে স্টেশানের কাছে অনেক বাজেট হোটেল আছে। আমরা হোটেল এলেগেন্টস’এ ছিলাম। ম্যানাজার খুবই হেল্পফুল। অনেক মেইল চালাচালি করে এয়ারপোর্ট পিক আপ এর জন্য গাড়ির কথা বলে নিয়েছিলাম। হোটেলের অবস্থা টাকার তুলনায় বেশ ভাল। নিচে কাউণ্টারে রুপি ভাঙ্গানো যায়। এবং সেটার রেট এয়ারপোর্ট থেকে অনেক ভাল। হোটেল থেকেই সেদিন ৮ ঘণ্টা ৮০ কিঃমিঃ এর জন্য ট্যাক্সি করে দিয়েছিল। ভাড়া ২০০০ রুপি। ঘুরে আসলাম হুমায়ুন টম্ব। চমৎকার লেগেছিল। ওখান থেকে কাছেই নিজাম উদ্দিনের মাজার’এ গিয়েছিলাম। পরে রাতে শপিং এরিয়াতে ঘুরাঘুরি করে খাওয়া শেষে গিয়েছিলাম ইন্ডিয়া গেট। দেখে মনে হলো রাতে এসেই ভাল করেছি। দিনে হয়ত এতো সুন্দর লাগতো না। হোটেলে ফিরে সেদিনের মতো রেস্ট। হোটেল ডেস্ক থেকে পরের দিনের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা আগেই করে রেখেছি। ১০ জনের ক্যাপাসিটির গাড়ি ৮ ঘন্টা ৮০ কিঃমিঃ এর জন্য ৪৫০০ রুপি।

ডে-২- কোথায় ঘুরতে হবে সেটা আগেই নেটের সাইটগুলি থেকে বেছে নিয়েছিলাম। যেহেতু গাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে সময় এবং দুরত্ত দুটাই ইমপর্টেন্ট তাই নিজে থেকে ছক বানিয়ে নেয়া বেটার। তা নাহলে ড্রাইভার উলটাপালটা চালিয়ে বেশি সময় নিয়ে অতিরিক্ত চার্জ করবে। আমরা শুরু করেছি কুতুব মিনার থেকে। এরপর লোটাস টেম্পল, জামে মসজিদ এবং শেষে রেড ফোর্ট অথবা লাল কেল্লা। লাল কেল্লায় বিকালে প্ল্যান করলে ভাল। বিশেষ করে যারা রাতে ওখানে লাইট এবং লেজার শো দেখতে চান তাদের জন্য। সব শেষ করে খেতে চলে

গিয়েছিলাম ম্যাকডোনাল্ডস’এ। একদিনে এর থেকে বেশি দেখা সম্ভব হলো না। কিন্তু দেখার আরো অনেক কিছু আছে দিল্লিতে। অন্তত ৩ দিন থাকলে ভাল করে দেখা যাবে মনে হল।

ডে-৩- সকালে ভোরে আজমিরের ট্রেন ধরার জন্য হোটেল থেকে আগে ঠিক করে রাখা ট্যাক্সি চড়ে স্টেশান চলে গেলাম। কুলির অনেক উৎপাত । পরোয়া না করে নিজে লোকজন কে জিজ্ঞেস করে নির্দিষ্ট প্ল্যাতফর্মে চলে গেলাম। ট্রেন একদম লেট করেনি। দুপুরের মধ্যে আজমের চলে গেলাম। ওখানে আগে থেকে যোগাযোগ করা খাদেম ছিল। তার বাসায় গিয়ে ঊঠলাম। চমৎকার খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল। পরে গেলাম হযরত খাজা মাইন ঊদ্দিন চিশিতির মাজারে। জিয়ারতের ইচ্ছা থাকলে সরল মনে সেটা করে আসাই ভাল। ওখানে গেলে অনেক কিছুই ভাল লাগবে না। অনেক বিধর্মিয়রাও যায় সেটা যার যার ব্যাপার। কিন্তু কোন কিছু নিয়ে তর্ক না করাই ভাল। বিকালে রেস্ট করে গেলাম আনা সাগর। ওখানে গিয়ে মন জুড়িয়ে গিয়েছিল। ওখানেও সম্রাট শাহাজানের কিছু কাজ চোখে পড়বে। দরগা থেকে যেতে ২০ মিনিটের মত লাগে।

ডে-৪- সকালে আরেকবার মাজার জিয়ারত করে পরদিন খাদেমের ঠিক করে দেয়া গাড়িয়ে জয়পুরের উর্দ্যেশে যাত্রা করলাম। খাদেম এর ব্যবস্থাপনায় থাকা খাওয়ার চমৎকার ব্যবাস্থা থাকে। এর জন্য কোন নির্দিষ্ট চার্জ নাই। যার যা খুশি দিয়ে আসে। কিছু না দিলেও কিছু বলবেন না। চমৎকার এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে ৩ ঘন্টা তেই পৌছে গেলাম জয়পুর। প্রাইভেট গাড়ি ছাড়াও বাস অথবা ট্রেনে সহজেই ওখান থেকে জয়পুর যাওয়া যায়। হোটেল নিয়েছিলাম জল মহলের কাছেই। ছাদে থেকেই জল মহল দেখা যায় । বিকালে শপিং এবং শহর দেখার জন্য বের হয়েছিলাম। ওখানে মনে হয় প্রত্যেক লোকই ফ্রড। ড্রাইভার নিয়ে যাবে তার পছন্দের যায়গায়। দাম চাইবে ইচ্ছা মত। প্রচুর বার্গেন করতে হবে শপিং এর জন্য। ১/৪ দাম দিয়ে শুরু করা বেটার। রাতে আবার ম্যাকডোনাল্ডস।

ডে-৫- সকালে ভোরে আগে থেকে হোটেলের ঠিক করে রাখা ট্যাক্সি তে আগ্রার উর্দ্দেশ্যে ট্রেনে চেপে বসলাম। আগ্রাতে গাইড সহ গাড়ি ঠিক করা ছিল। সারাদিনের জন্য গাইড সহ ১০ জনের এসি গাড়ি ৭০০০ রুপি ছিল। আগ্রা এবং জয়পুরে বেশি গরম। এসি গাড়ি না হলে একটু

কষ্ট হয়ে যাবে। গাইড নিয়ে গেল তাজমহল। টুরিস্ট রেটেই টিকেট করেছি। অনেকে কলকাতার বলে লোকার টিকিট করতে চায়। বাট সেটা রিস্কি। অনেক সময় ধরা পড়ে যাবার পসিবিলিটি থাকে। তাজমহল দেখে আগের সব দেখা ম্লান হয়ে গেছে। কি যে সুন্দর সেটা শুধু দেখেই অনুভব করা যাবে, বর্ণনা করা যাবে না। তাজমহল থেকে বের হয়ে গেলামা আগ্রা ফোর্ট। যেখানে শাহাজান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বন্দি ছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে লানচ শেষে গেলাম আকবর’স টম্ব’এ। সময়ের অভাবে এর থেকে বেশি দেখা সম্ভব হয় নি। বিকালের ট্রেনে আবার জয়পুর ফিরে এলাম।

ডে-৬- সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট শেষে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। প্রথমেই আম্বরস প্যালাস। শহর থেকে ৩০ মিনিটের মত টাইম লাগে। উপরে ঊঠার জন্য হাতি এবং গাড়ি আছে।। বাজেট অনুযায়ি চুজ করে নেয়া ভাল। ভিতরে গেলে শিস মহল ছাড়াও দেখার জন্য অনেক কিছু আছে। উপর থেকে চারপাশের দৃশ্যগুলাও বেশ সুন্দর। ওখানে বেড়াতে ২/৩ ঘন্টা লেগে যাবে। ওখান থেকে ফেরার পথে জল মহলের থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ফটো তুলে আসা যায়। অনেক বছর ধরেই ওখানে আর যাওয়া যায় না। এরপর গেলাম জন্তর মন্তর। এবং সিটি প্যালেস। কাছেই হাওয়া মহল আছে। বাইরে থেকে ফটো তুলে নিয়েছি। ভিতরে আর যাওয়া হয় নি। সিটি প্যালেস টা দেখার মত। শেষে পিঙ্ক সিটিতে লাঞ্চ করে এয়ারপোর্ট চলে গেলাম। সন্ধ্যার ফ্লাইটে চলে গেলাম কলকাতা। চেক ইন করলাম নিউমার্কেটের কাছে হোটেল ডি কে ইন্টারন্যাশানাল’এ।

ডে-৭- সারাদিন শপিং। সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম কলেজ স্ট্রিটে কলকাতার নিলখেতে। চারদিকে বই আর বই। ওখান থকে গেলাম সাঊথ সিটি মল। বেশ দূরে ব্রান্ড শপের মার্কেট। ওখানকার থিয়েটারে মুভি দেখে বাইরে ডিনার করে আবার হোটেল। পর দিন শান্তিনিকেতন যাবার জন্য গাড়ি করে আসলাম।

ডে-৮- প্রায় ৪ ঘন্টা ট্রাভেল করে শান্তিনগর পৌছালাম। দেখার কিছুই নাই। গাইড আছে প্রচুর । তারা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরিয়ে দেখায়। তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে……এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছটা এখনো আছে।(যদি ওদের কথা সত্যি হয়) ওটার নিচে এবং আশেপাশে গাছের নিচে অনেকের পড়ালেখা চলছে। একটা মিউজিয়াম আছে। সময়ের জন্য যাওয়া হয় নাই। অল্প কিছুক্ষন থেকেই চলে এলাম। অনেকের ভাল না লাগলেও আমার ভাল লেগেছে। ফিরে

বিকালে আবার শপিং। রাতে আশেপাশে একটু হাটাহাটি করলাম। পার্ক স্ট্রিটে বেশ কিছু ভাল খাবার দোকান এবং বার আছে। সাথে আছে শাড়ির কিছু ব্রান্ড শপ।

ডে-৯। আর করার কিছু নাই। বিকালে ফ্লাইট। তার আগে ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল আর রেড কোর্সে যাবার জন্য বের হলাম। রেড কোর্সে গিয়ে দেখলাম বন্ধ। পরে আর মেমোরিয়ালও না যেয়ে ফেরত আসলাম। ফেরার জন্য তৈরি হলাম। ৩০০ রুপিতে ট্যাক্সি করে এয়ারপোর্ট ফিরলাম। সন্ধ্যার ফ্লাইটে ফিরে এলাম ঢাকা।

নোটসঃ

১। আগে থেকে ওয়েদার এর খবর নিয়ে যায়া ভাল।

২। দিল্লি মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। অবশ্যই একা ট্রাভেল করা যাবে না। রাতে বের না হওয়া ভাল। যেখানেই যাবেন গ্রুপে যাবার চেষ্টা করুন

৩। সব যায়গাতেই ধাপ্পাবাজ রা আছে। নিজের বুদ্ধিতে ওদের এড়িয়ে চলতে হবে।

৪। কলকাতা ছাড়া অন্য যায়গায় সিম কার্ড নেয়া বেশ যামেলা। পাসপোর্টের ফটোকপি, নিজের ছবি এবং সাইন লাগে। এক্টিভেট হতে ২-৫ দিন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

৫। সব যায়গাতেই গাড়ি ভাড়া মোটামুটি ঠিক করা রেট আছে। সেটা জেনে নিন।

৬। কোথায় যাবেন তার প্রায়োরিটি ঠিক করে নিন (ইন্টারনেট থেকে)

Dhaka – Kolkata – Simla – Manali – Dhaka

Duration: 11 Night 10 Days
 Places: Dhaka – Kolkata – Simla – Manali – Dhaka

* Day 01:

08:30 am -
Will Leave Dhaka for Kolkata by Train
Over Night Stay @ Hotel in Kolkata

* Day 02:
 

12:00 pm – Will leave Kolkata for Delhi By Ndls Duronto Express Train.

* Day 03:

Whole Day train journey & Reach Delhi @ 6.00 am.
Will stay & sight seeing @ Delhi whole day
Will Leave Delhi @ 11.00pm for Shimla by BUS.

* Day 04:

09:00 am Reach Shimla After breakfast take hotel
12.00 Shimla local sight seeing, shopping
Night Stay @ Hotel in Shimla

* Day 05:

07:00 am After breakfast proceed to Manali, arrival Manali
4.00 pm Hotel stay @ Manali
5.00 pm Local Sight Seeing @ Manali

* Day 06:

07:00 am After breakfast full day sight seeing at Manali with Rotang Pass & Solang Vally
Hotel Stay @ Manali

* Day 07: 

Local Sight Seeing @ Manali
Night Hotel Stay @ Manali

* Day 08: 

After breakfast Local Sight Seeing
At 03.00 pm start for Chandrigor rail station & reach @ 10 pm

* Day 9:

At 01.10 am start for Hawrah by Kalka Mail Express (Train), over night train journey.

* Day 10:

Reach @ Kolkata hotel stay
Shopping
Start for Dhaka