রহস্যময় বগা‌লেক(যে রহস্য বাংলাদেশের বহু মানুষেরই অজানা)

বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কেওকারাডং পর্বতের গা ঘেষে, রুমা উপজেলায় অবস্থিত রহস্যময় বগা লেক।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বগা লেক অনেক ভ্রমনপিপাসু মানুষের প্রিয় জায়গা। কিন্তু ক’জন জানেন যে এই বগা লেকের উৎপত্তি নিয়ে গা-শিউরানো রহস্যের কথা?

বগা লেকটির আশেপাশে ‘বম’ উপজাতির বসবাস। তাদের ভাষায়, এখন যেখানে বগা লেকটি রয়েছে, সেখানে আসলে একটি চোঙাকৃতির বিশাল পাহাড় ছিল। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল। তবে হঠাৎ করে একদিন পাহাড়ের পাসের গ্রামগুলো থেকে গরু, ছাগল থেকে শুরু করে এমনকি ছোট ছোট বাচ্চারাও হারিয়ে যেতে থাকলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানা গেল, বাচ্চাগুলোর ও গরুছাগলের সর্বশেষ পায়ের ছাপ রয়েছে ঐ পাহাড়ে। তখন সবাই ধারণা করতে শুরু করলো, নিশ্চয়ই ভয়ংকর কিছু একটি রয়েছে ঐ পাহাড়ের কোলে, আর সেটারই আক্রমণের শিকার হচ্ছে নিরীহ এই প্রাণী আর বাচ্চারা। একদল সাহসী যুবকদের আসল রহস্য উদঘাটন করতে দায়িত্ব দেয়া হয়। অনেক অনুসন্ধান করতে করতে পাহাড়ের মাথায় উঠে দেখতে পেল সেখানে একটি গুহায় আস্তানা গেড়েছে এক মস্ত বড় ড্রাগন। তাদের আর বুঝতে বাকি থাকলো না যে এতগুলো প্রাণী ও বাচ্চাগুলোর হারিয়ে যাওয়ার পিছনে এই ড্রাগনেরই হাত রয়েছে।

বম ভাষায় ড্রাগনকে ‘বগা’ বলা হয়।

গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিল যে, যে করেই হোক এই ড্রাগনকে মেরে ফেলতে হবে। তারা বেছে বেছে সাহসী তরুণদের নিয়ে একটি দল তৈরি করলো। তীর, ধনুক, বল্লম, লাঠি আর মশাল নিয়ে রাতের অন্ধকারে তারা হানা দিল গুহায়। গুহার মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মানুষের রক্ত আর হাড়গোড় দেখে তারা বুঝে নিল কী ঘটেছে। একসঙ্গে তারা সেই ড্রাগন অর্থাৎ বগার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। তুমুল যুদ্ধ হল দুই পক্ষের মধ্যে। লড়তে লড়তে বগার প্রাণবায়ু যখন প্রায় শেষ, তখন বগা তার মুখ থেকে আগুনের শিখা ছুঁড়ে মারে গ্রামবাসীর দিকে। সেই আগুন পুরো পাহাড়কে গ্রাস করে ফেলে। বিস্ফোরিত হতে শুরু করে চারিদিক। শুরু হয় ভূমিকম্প। ভূমিকম্পে সেই পাহাড়টি ভেঙে তৈরি হয় এক বিশাল গর্তের। সময়ের পরিক্রমায় সেই বিশাল গর্তটিই আজ আমাদের কাছে ‘বগা লেক’ নামে পরিচিত।

তবে এই পৌরাণিক কাহিনী মানতে নারাজ ভূতাত্বিকদের মতে, বগা লেক মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ বা মহাশূন্য থেকে উল্কাপিণ্ডের পতনের কারণে এর সৃষ্টি।

বগা লেক-এর পানি অম্লধর্মী। জলজ প্রাণী গু‌লো‌কে এখা‌নে প্র‌তিকূলতার সা‌থেই বেঁ‌চে থাক‌তে হয় । বাইরের কোনো পানি এখানে ঢুকতেও পারে না, আবার এর আশপাশে নেই পানির কোনো দৃশ্যমান উৎস। তবে এটির ব্যাখাও দিয়েছেন ভূত্বাতিকরা। তারা বলেছেন, লেকটির তলদেশে একটি উষ্ণ ঝর্ণা রয়েছে। ঝর্ণা থেকে যখন পানি বের হয়, তখনই হ্রদের পানির রঙ বদলে যায়।

চান্দের গাড়ী
রুমা বাজার থেকে বগালেক (কমলা বাজার) পর্যন্ত চান্দের গাড়ীর রেট ভাড়া ২৭০০/- টাকা। বগালেক পর্যন্ত রাস্তা ভালো থাকলে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিতে হবে।

গাইড
রুমা বাজার থেকে গাইড পাবেন। আর্মি ক্যাম্পে গাইডের নামসহ আপনাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হবে। রেজিস্টার্ড গাইড ছাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি মিলবে না সামনে আগানোর। গাইড-কে প্রতিদিনের জন্য দিতে হবে ৬০০/- টাকা!

কোথায় থাকবেন
বগা লেকে থাকার জন্যে অনেক কুটির রয়েছে, সিয়াম দিদি,রাবার্ট দা আর লারাম বম এর বোর্ডিং উপায়ে পরিচালিত কটেজ প্রসিদ্ধ। গত ১৬ ডিসেম্বর আনুমানিক ৪০০ মানুষ এসেছিলো বগালেকে ।
রুমে থাকার খরচ জন প্রতি ২০০ টাকা। খাবার ডিম,সবজি, মাংস প্রভৃতি আইটেমের উপর ভিত্তি করে ৮০ থেকে ২০০ পর্যন্ত। কিছু কটেজ একেবারে লেকের উপর মাচা তৈরি করে তার উপর। খাবার পাবেন যেখানে থাকবেন সেখানেই, তবে যা খাবেন রান্না করার সময় দিয়ে আগেই অর্ডার

যেভাবে যাবেন ,
ঢাকা থেকে বান্দরবান , বান্দরবান থেকে রুমা , রুমা থেকে বগালেক

খুম খুম নাফাখুম….নাফাখুম…নাফাখুম

ইউটিউব এ একের পর এক ভিডিও দেখার পরই নাফাখুম এর প্রেমে পড়ে যায়।তখন সেমিস্টার ফাইনাল চলছিল।পড়ার ফাকে ফাকে ইউটিউব এ ঢুঁ মারাটা ই যেন নেশা হয়ে যাচ্ছিল।মনে মনে ভাবছিলাম বাংলাদেশের মানচিত্রে এত ভয়ংকর সুন্দর জায়গাও আছে।আর আমি এমনিতেও ভ্রমণ পিপাসু।যাইহোক অনেক দূরের পথ!একা একা তো আর যাওয়া যাই না তাই মনে মনে সঙ্গী খুঁজতে লাগলাম।আর আল্লাহর রহমতে সঙ্গী হিসেবে পেলাম আমার জীবনের সেরা ৭ জনকে।সব পরিকল্পনা শেষ।এখন শুধু পরীক্ষা শেষ আর ফরমালিটি ভাইভা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা।পরীক্ষা শেষ ১১তারিখ।আর ভাইভার তারিখ জানালো ১৩ই ডিসেম্বর ২০১৭।মনে খুশি আর ধরে না!!ডিসিশন নিয়ে নিলাম ১৩ তারিখ রাতেই রওয়ানা হবো।আমি বেশি excited ছিলাম ত তাই মাঝখানের ২ রাত আর ঘুমই আসে না।আহারে আহারে কবে যাব পাহাড়ে!!!আগের দিন গিয়ে টিকিট কাটি।সিজন হওয়ায় টিকিট পাওয়াটা ঝামেলাই হয়।অনেক কষ্টে হানিফ পরিবহনের ৭ টা টিকিট পাই।ও হ্যা আমাদের মধ্যে ৪জন ছেলে আর ৩ জন মেয়ে ছিল।প্রথমে একটু ভয় কাজ করছিল।কিন্তু কথায় আছে বন্ধুত্ত্বে ভয়কে করো জয়।যাই হোক রাত ১০ টায় আমাদের বাস ছাড়ল সায়েদাবাদ থেকে।সকাল ৬.২০ এ আমরা বান্দরবন পৌছালাম।হোটেল ঠিক করে নাস্তা শেষ করে একটা জিপ রেডি করলাম সারাদিন শহরের আশে পাশে ঘুরার জন্য।১ম দিন:-রামজাদিবৌদ্ধ মন্দির,স্বর্ণমন্দির,মেঘলা,নীলাচল ঘুরা শেষ করে সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে আসলাম।রাতে ডিনার শেষ করে বার্মিজ মার্কেটে একটু ঢুঁ মারলাম।আর সাথে পরদিন নাফাখুম যাওয়ার জন্য থানচির উদ্দেশ্যে চান্দের গাড়ি ঠিক করে নিলাম।কথা হলো আমাদের যাওয়ার পথে শৈলপ্রপাত,চিম্বুকপাহাড়,নীলগিরি দেখিয়ে নিয়ে যাবে।হোটেলে এসে দিলাম ঘুম।
দিন ২:-সকাল ৬ টায় চান্দের গাড়ি আসল আমাদের নিতে।আমরা রওয়ানা হলাম।আমাদের মেইন টার্গেট যেহেতু নাফাখুম তাই মাঝখানের জায়গাগুলোতে বেশি সময় নষ্ট করি নাই।সকাল ১১ টার মধ্যে আমরা থানচি পৌছে যায়।ও হ্যাঁ নীলগিরি পার হবার পর থানচি যাওয়ার রাস্তাটা just ভয়ংকর ভয়ংকর সুন্দর!!আমরা থানচি পৌছে নৌকা রেডি করে ফেলি।যেহেতু আমরা ৭ জন ছিলাম তাই ২ টি নৌকা নেয়া লাগছে কারন এক নৌকায় ৫ জনের বেশি বিজিবি উঠতে দেয় না।শুরু হল আল্লাহর অপরূপ সাজানো বাগান দেখা।নৌকা চলে ২ পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে।কখনোও আবার বড় বড় পাথরের ফাকঁ দিয়ে।নৌকার রাস্তাটুকু এক কথায় অস্থির।২ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা রেমাক্রি বাজার পৌছে যায়।আমাদের নৌকার মাঝিই আমাদের গার্ডের দায়িত্ত্বে ছিল।ও আমাদের জন্য রাতে থাকার এবং খাবার জন্য কটেজ(উপজাতিদের তৈরি কাঠের ২ তালা ঘর) রেডি করে। (জনপ্রতি থাকা ১৫০ আর খাবার একবেলা ১২০ফিক্সড)।ঐ রেমাক্রি বাজার থেকে নতুন গাইড ধরে নাফাখুম এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা শুরু ১ টায় সাথের জিনিস পত্র কটেজে রেখে।যেহেতু আমাদের সাথে মেয়ে ছিল তাই হাটার গতি কিছুটা শিথিল ছিল।শুরু হলো আমাদের ট্রেকিং।পাহাড় পেরিয়ে খালের কিনারা ঘেষে আমরা হাটতে থাকলাম।এখন শীতকাল তাই রাস্তা বেশি ভয়ংকর না কিন্তু পরিবেশটা ভয়ংকর সুন্দর!যাওয়ার পথে ২ বার পানি পাড় হতে হয়।খুব সাবধনে কারণ পাথুরে রাস্তা হওয়ায় খুব পিচ্ছিল।যাই হোক আমরা ৩.৩০ মিনিট এর মধ্যেই পৌছে যায় সেই কল্প-বাস্তবতায় যা কিনা কত রাত আমার চোখের ঘুম কেড়ে নিছিল।কত রাত আমি সপ্নের মধ্যেই চলে যেতাম ঐ জায়গায়।সৌন্দর্য কি বলব!! এক কথায় expectation এর চেয়ে ১০০ গুন উপরে।ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়!দিনের দৈঘ্য ছোট হওয়ায় আমরা মাত্র ১৫ মিনিট সেখানে ছিলাম।গোসল করার সৌভাগ্য হয়নাই।আমরা রওয়ানা দিলাম।৩.৪৫ এ।৬.৩০ এর মধ্যেই আমরা কটেজে পৌছে গেলাম।রাতের কাহিনী পুরুই আমাদের অবাক করে দিয়েছে।আমার মনে হয় না এত দুর্গম জায়গায় এত ভালো থাকা আর খাওয়ার প্রত্যাশা কেউ করতে পারে।রাত কাটিয়ে সকালে ১৬ই ডিসেম্বর।(কিছু কথা শেষে লিখব বিজয় দিবস নিয়ে ওদের উদযাপন)।আমরা ৯.৩০ এ আমাদের নৌকায় চড়ে রওয়ানা দিলাম থানচির উদ্দেশ্য।যাওয়ার সৌন্দর্য আমাদের বিমোহিত করেছে।যদিও সাংগু নদীর অনূকূলে যাওয়াটা অনেক কষ্টসাধ্য।আমাদের মাঝিগুলা খুব সু্ন্দরভাবে ই নিয়ে গেছেন।হালকা কুয়াশা।পাহাড়ের বুকে মেঘ আটকে থাকা,রাজা পাথর দেখে,বড় পাথর দেখা,পাথরে দাড়িয়ে ছবি তুলা মানে awesome.তবে ভূলেও কেউ রাজাপাথরে উঠে ছবি তুলবেন না।স্থানীয়রা অনেক সমীহ করে চলে। আমরা ১১.৩০ এ থানচি বাজারে পৌছে যাই।সেখান থেকে বান্দরবনের গাড়ি ঠিক করি।চান্দের গাড়ি।মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে পাহাড়ি আনারসের টেষ্ট নেয়া থেকে কেউ বন্ঞ্চিত হবেন না।২.৪৫ এ আমরা বান্দরবন শহরে পৌছে যায়।ঢাকার বাসের জন্য যাই।বাস রাতের ৮ টায়।আমাদের হাতে enough সময় আছে।দুপুরের খাবার খেয়ে ২য় বারের মতো চলে যাই নীলাচলের সূ্র্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করতে।৭ টায় আমরা কাউন্টারে এসে রাতে খাওয়ার জন্য খাবার কিনে বাসে উঠে পড়ি।ভোর ৪ টায় আমরা সায়দাবাদ পৌছে যায়।
.
.
ট্যুর প্লান:
ঢাকা-বান্দরবান(রামজাদি বৌদ্ধমন্দির, স্বর্ণমন্দির,মেঘলা,নীলাচল,মিলনছরি,শৈলপ্রপাত,চিম্বুকপাহাড়,নীলগিরি)-থানচি-রেমাক্রি-নাফাখুম-ঢাকা
.
.
সময় লেগেছে:-
৩দিন ও ২রাত(যাওয়া আসার রাত ছাড়া)
.
.
খরচ পড়েছে:-
মাথাপিছু ৫৫০০
নৌকা+গাইড(তাইজুল:-০১৮২৩৬৭৯২৪০)
.
.
(আমার সম্পূর্ণ নিজের অভিমতে নিচের লেখাটি লিখলাম।দয়া করে কেউ ব্যক্তিস্বার্থে নিবেন না:-
.
.
উপজাতি ও বিজয় দিবস
♠এতো গভীরে মানুষ থাকতে পারে তা যখন চিন্তা করাই কঠিন সেখানে সবাইকে তাক লাগিয়ে ঐ মানুষ গুলোই এতো সুন্দরভাবে বিজয় দিবস উদযাপন করছে।আমি হতবাক।যেখানে তারা বেচেঁ থাকার জন্য রাতদিন সংগ্রাম করে।একটি দেশের নাগরিকের সুবিধা ত দূরে থাক যেখানে কিনা বিদ্যুত,মোবাইল নেটওয়ার্ক ই পৌছায়নি সেই তারাই বাংলাদেশের ৪৬ তম বিজয় দিবসকে চমৎকারভাবে পালন করছে।আর আমাদের মত মানুষ গুলো রাষ্টীয় দিবস গুলো ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি।তাদের দেখে মনে হয় সমস্ত স্বাধীনতা আমাদের দেয়া হয়েছে আর আমরা তা মূল্যই দিচ্ছি না।সেলুট তাদের।তাদের ব্যবহার অতুলনীয়।একবার কাছ থেকে ওদের জীবনটা দেখে আসুন আমাদের জীবন সম্পর্কে ধারনা পাল্টে যাবে।আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শোকরিয়া আমাদের নিজেদের অবস্থান থেকে।উপজাতিরাও মানুষ।

Post Copied From:RI Rahad‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা

অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারেন ছোটখাটো রকমের এই ভূস্বর্গে।
চকরিয়া – লামা আলীকদম রোডের মিরিঞ্জা নামের এই স্থানে সকাল সাড়ে আটটার দিকে যখন গিয়ে পৌঁছাই,তখন কড়া রোদ আমাদের গায়ে এসে লাগে কিন্তু তখনো কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকা লামায় রোদের বিন্দুমাত্র আঁচ ও এসে লাগে নি।
শীতের সকালের প্রত্যেকটা দিন ই এখানে এভাবে শুরু হতে দেখে এ অঞ্চলের প্রত্যেকটা মানুষ।
কুয়াশার এই অসীম সৌন্দর্য ছাড়াও আছে আরো বেশ কিছু জায়গা যেগুলো ঘুরে আসা যায় সাবলীল ভাবেই।

রোড – ঢাকা – কক্সবাজার রোডের চকরিয়া টার্মিনাল নেমে বাস বা জীপে করে আসা যায় লামা।
সব মিলিয়ে হাজার তিনেকের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন সবটুকু।
আসার পথের সৌন্দর্যরূপ দেখেই মুগ্ধতায় ডুবে থাকা টা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
থাকা ও খাওয়ার জন্য লামা বাজারেই আছে বেশ ভালো মানের কিছু হোটেল।
আমরা স্বভাবতভাবেই নতুন কোন স্থানে গেলে সেটাকে খুব সুন্দর ভাবে নষ্ট করে আসার অসীম ক্ষমতা নিয়ে আসি।
আশা রাখি আমরা আর এখন সেই ক্ষমতা প্রদর্শন না করানোর চেষ্টা করবো।
হ্যাপি ট্রাভেলিং।

Post Copied From:Avishek Sharma Pranto>Travelers of Bangladesh (ToB)

রহস্যময় আলীর সুড়ঙ্গ

আলীর সুড়ংগ নিয়ে অনেক মিথ কল্পকথা শুনে এখানে যাবার জন্য একটা ফ্যাসিনেসন তৈরি হয় আমাদের মধ্যে। তবে কেমন যাত্রাপথ হতে পারে সেইটা নিয়ে ছিল অপর্যাপ্ত ধারনা। তুক অ ঝর্নায় যাবার ফলে আগের দিন বেশ ধকল গিয়েছিল দেহে তবে এখানেও যে এতটা ভয় জাগানো ট্রেকিং করতে হবে তা ছিল ধারনার বাহিরে। গিরিখাদ পেড়িয়ে যখন এক চিলতে সরু পথ দেখতে পেলাম তখনই মনটা বেশ বিচলিত হয়ে উঠলো। সে পথ দিয়ে একটু এগুতেই বায়ে দেখতে পেলাম ঝিরির মুখ। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা আকৃতির পাথর আর পচা গাছের গুড়ি। এই রহস্যময় পথ ধরে আমাদের পথ চলা। অবাক ব্যাপার বাহিরে দড়দড়িয়ে ঘামালেও সুড়ঙ্গে যাবার পথটা ছিল বেশ ঠান্ডা। ঝিরির সামনের দিকের পথ বেশ চওড়া হলে আস্তে আস্তে কমতে থাকে এর প্রশস্ততা। ঝিরির পানি মাড়িয়ে যেতে বেশ ভাল লাগছিল। এক সময় পথটি দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেল। বামের পথে গেলে পাওয়া যাবে একটা সরু খাদ তাহা পাশ কাটিয়ে পাথরের চাংগর আর গাছের গুড়ির উপর ভর দিয়ে উপরে উঠলেই দেখা যাবে একটা লোহাড় সিড়ি। এই সিড়ি বেয়ে উপরে উঠাটা বেশ বিপদজনক। কারন এর বাম পাশে কিছুটা ভাংগা। কে বা কারা এই সিড়িটা বানিয়ে রেখেছে তা জানি না। তবে চিন্তায় পড়ে গেলাম এই সিড়ি না হবার আগে মানুষজন কি ভাবে উপরে উঠাতো। সিড়ির মাথায় উঠার পর কয়েক ফুট উচু এক পিছুল চড়াই। কোন মতে এই পিছুল পথ পেড়িয়ে সামনে যাওয়া মাত্রই গ্রাস করলো নিকষ কালো অন্ধকার। টর্চ লাইটের আলো ফেলা মাত্রই বাদুড়ের ঝাপটাঝাপটির শব্দ শুনলাম। আলোর প্রতিফলনে সুড়ঙ্গের দেয়ালে এক অদ্ভূত সোনালী রূপ দেখতে পেলাম। সুড়ঙ্গের রাস্তা মসৃন নয়, কিছুটা এবড়ো খেবড়ো। তাই আলো ফেলে চলতেও বেশ সমস্যা হচ্ছিল। এক সময় এই পথের শেষ হয়, সুড়ংগের ছাদটা যেন নেমে এল আরও নিচের দিকে। হামাগুড়ি দিয়ে হয়তো আর একটু এগানো যেত কিন্তু সুড়ংগের পথটি দুভাগ হয়ে গেছে। কোনটা দিয়ে মানুষ ঢোকার পথ নেই। তো এখানে বসেই কিছু ছবি তুলে নিলাম। এরপর যে পথে এসেছি সে পথে ফিরে গেলাম। যাত্রা এবার শুরু হল দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের উদ্দ্যেশে। দ্বিতীয় সুড়ংগ থেকে তৃতীয় সুড়ংগ বেড়ানোর পথ আছে আমাদের পিচ্চি গাইড বললো। সুড়ঙ্গে উঠার মুখেই দেখতে পেলাম একটা মাদার ট্রি এর পাশ দিয়ে যাবার সরু রাস্তা। সেখানে সুন্দর করে গাছের গুড়ি আর দড়ি দেওয়া আছে উপরে উঠার জন্য। গাছের গুড়ির উপর ভর দিয়ে পাথরের খাজে পা রেখে দড়ি ধরে পরের পাথরের খাজে পা রাখতে বেশ বেগ পেতে হল। আমাদের টীম মেম্বারদের অনেকের কালা ঘাম ছুটে গেলে এই ধাপটি পাড় করতে। উপরে উঠার পর আবার সরু রাস্তা। খানিকটা দূর এগানোর পর দেখতে পেলাম সুড়ঙ্গে ঢোকার রাস্তা যেইটা দিয়ে কোন রকম একটা মানুষের ঢোকা সম্ভব। কোন রকম উপরে উঠার পর টর্চ মেরে দেখলাম সামনে যাবার জন্য হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হবে। মুখটা এত নিচু দাঁড়িয়ে চলা সম্ভব না। কিছুটা পথ হামাগুড়ি দিয়ে পাড় হবার পর সুড়ংগের মুখটা বড় হল। উঠে পড়লাম। আবার সেই এবড়ো খেবড়ো পথ পাড়ি দিয়ে এসে পড়লাম সুড়ংগের মাথায়। এখানে এসে থেমে গেল আমাদের যাত্রাপথ। কারন এর পরের স্টেপ পাড় করতে এক্সটীর্ম লেভেলের তেল খরচ করতে হবে। এই সুড়ংগের মাথা থেকে দেখা যাচ্ছে তৃতীয় সুড়ংগের মুখ। কিন্তু আমাদের পিছুল গিরিখাদ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে ওপার। আমাদের কাছে দড়ি থাকলে হয়তো পার হবার চেস্টা করতাম। পথ পারি দিতে হলে জানের উপর দিয়ে যাবে। এর মধ্যে একটা পাথরের উপর দেখতে পেলাম ময়লা কুরআন শরীফ, মোমবাতি। কিছুটা অবাক কারন কুরআন শরীফের এই রকম অবমাননা কোন মুসলিমের পক্ষে করা সম্ভব না। বাপ দাদাদের মুখে শুনতাম পাহাড়ের গভীরে নাকি জাদু টোনা কুফরী কালাম করা হয়। কতটুকু সত্য মিথ্যা তা জানি না। তবে মাথায় এক রহস্যের ঘোর নিয়ে বের হলাম আলীর সুড়ংগ থেকে।

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা-চকরিয়া (৭৫০ টাকা বাসভাড়া)
চকরিয়া-আলিকদম(বান্দরবান) (লোকাল বাস বা লোকাল চাঁদের গাড়ি ৬০টাকা করে একজন)
আলিকদম নেমে গুহার কথা বললে যেকোনো অটোওয়ালা এক এক জন ১৫-২০টাকা রেটে খালের এপারে নামিয়ে দিবে। নৌকা দিয়ে খালপাড় হলেই ট্রেইল শুরু।

Post Copied From:Ashik Sarwa>rTravelers of Bangladesh (ToB)

বগালেক পাড়া,বান্দরবান

ফটোতে যদিও লেকটা আনতে পারিনি কিন্তু নিস্তব্ধ রাতে জানালার পাশে বসে এরকম তারা দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে পরবেন খেয়াল থাকবেনা,আকাশ থেকে প্রায় প্রায় তারা(উল্কা পিন্ড) খসে পড়া দেখে অবাক হবেন
কিন্তু বেশী দিন আর নাই যখন বগালেকে লাইট পলুশনের কারণে এরকম তারাভরা আকাশ দেখতে পারবেন না, বগালেক পর্যন্ত রাস্তার পিচ ঢালাই ইতি মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।১৫০ টাকায় আদিবাসীদের কটেজে থেকে তাদের সাথে মিশে যাবার সুযোগটা আর আসবেনা , সাজেকের মত কটেজে কটেজ বসবে কয়দিন পর।😞😞
কিভাবে যাবেন সেটা নিয়ে কথা বলি একটু। দুই উপায়ে জাওয়া যায়
১। ঢাকা থেকে বান্দরবান নন এসি বাস ৬৫০ টাকা,এসি ৯০০ টাকা,হুন্দাই ১৩০০-১৪০০ টাকা। এরপর নাস্তা সেরে সোজা চলে যাবেন রুমা বাজার যাওয়ার বাস স্টেশনে সেখানা সকাল ৮.৩০ থেকে শুরু করে এক ঘন্টা পর পর বাস ভাড়া ১২০ টাকা।রুমা বাজার যেতে সময় লাগবে আড়াই ঘন্টা বাসে রুমা বাজার গিয়ে গাইড ঠিক করতে হবে, এবং আর্মিদের কাছে নিজেদের সব ইনফরমেশন দিয়ে চাদের গাড়ি বা ল্যান্ড ক্রূজার ঠিক করতে হবে ,চাদের গাড়ি ২৫০০ টাকা,ল্যান্ড ক্রূজার ২০০০ টাকা। যারা ৬-৮ জন যাবেন তাদের জন্য ক্রূজার বেস্ট ঝাকিও কম এবং ধুলাবালি লাগবেনা,ছাউনিও আছে। চাদের গাড়ি গিয়ে কমলাপাড়ায় নামিয়ে দিবে। ওখান থেকে ২০ মিনিটের মত হেটে একটি খাড়া পাহাড় পাড় হতে হবে, এরপরেই বগালেক
২। বান্দরবান থেকে রুমা বাজার ট্রলারে যেতে পারেন, পাহাড়ের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া আকাবাকা সাঙ্গু নদী অনেক ভালোই লাগবে। ভাড়া ৩৫০০ টাকা ,বোটে ১০-১২ জন যেতে পারবেন। ্সময় লাগবে ৩ ঘন্টা
আমি বগালেক যাবার সময় বাসে আসবার সময় ট্রলারে এসেছিলাম, তাই প্লান নিজেদের মত করেই করতে পারেন

Post Copied From:Badhan Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

রেমাক্রি খাল ( থানচি, বান্দরবান)

সর্ব-জনের মন রাঙিয়ে ছোট্ট খালের চলা,
সর্ব-সতত বসে সেথায় হাজার রঙের মেলা

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বাসে বান্দরবান। ভাড়া ৬২০ টাকা। বান্দরবান থেকে বাসে বা জিপে থানচি। বাস ভাড়া ২০০ টাকা। জিপ ১৩ জনের জন্য ৬০০০ টাকা। থানচি থেকে গাইড নিয়ে ট্রলারে রেমাক্রি। গাইড প্রথমদিনের জন্য ৬০০। পরের দিন থেকে ৫০০। ট্রলার আপডাউন ৪০০০+/-। রেমাক্রি থেকে ঘন্টা দুয়েকের হাঁটাপথে নাফাখুম ও এর আপস্ট্রিমে যেতে যেতে রেমাক্রি খালের সৌন্দর্যের দেখা মিলবে।

Post Copied From:Tanvir Mahmud Konok‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

অমিয়াখুম

অমিয়াখুম বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর একটি জায়গা। এর সৌন্দর্য আপনার মন কেড়ে নিবে নিমিষেই। যেমন সুন্দর জায়গা তেমন কষ্টকর এখানে যাওয়ার ট্রেইলটা। পদ্দমঝিড়ি থেকে প্রায় ৬-৭ ঘন্টা হেটে আগে আপনাকে থুইসাপাড়া আসতে হবে। থুইসাপাড়াতে পাহাড়ীদের বাড়িতে থাকবেন এবং খাবেন। তারপরের দিন অমিয়াখুমে আসতে হলে দেবতা পাহাড় নামক একটি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে হয়। যেকোন এডভেঞ্চারপ্রিয় ট্রাভেলারের জন্যে এই পথে নামাটা একটা থ্রিলিং ব্যাপার। তবে এই কষ্টগুলো নিমিষেই ধুয়েমুছে যাবে অমিয়াখুমের রূপ দেখার পরে। দেবতা পাহাড় থেকে নামার পর হাতের ডানের গেলে নাইক্ষ্যংমুখ পড়বে আর বামের দিকে গেলে অমিয়াখুম। নাইক্ষ্যংমুখে যেতে হলে বাঁশের তৈরি ভেলায় করে যেতে হয় সেটাও একটা দারুণ ব্যাপার।

যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবান, ভাড়া ৬২০ টাকা। বান্দরবান থেকে থানচি রিজার্ভ জীপে (জীপে গেলে খরচ পড়বে ৫২০০ টাকা, ১২ জন যাওয়া যায়।) অথবা লোকাল বাসে (ভাড়া ২০০ টাকা প্রতিজন) করে থানচি। তবে রিজার্ভ জীপেই যাবার জন্যে সাজেস্ট করব আমি। কারণ থানচিতে যত তাড়াতাড়ি পৌছাতে পারবেন তত ভালো। থানচি থেকে গাইড নিতে হবে। সেখান থেকে রিজার্ভ বোটে করে পদ্মমুখ ঝিড়ি। ভাড়া ১২০০-১৫০০ টাকা, এক বোটে ৫-৬ জন যাওয়া যায়। সেখান থেকে আল্লাহর নাম নিয়ে ট্র্যাকিং শুরু করে দিতে হবে। প্রায় ৫-৬ ঘন্টা হাটার পর এসে পৌছাবেন থুইসাপাড়া। সেখান রাতে স্টে করবেন। থাকা জনপ্রতি ১৫০। খাবার ১২০ টাকা। পরদিন সকালে উঠে গাইড নিয়ে চলে যাবেন অমিয়াখুম। যত সকালে যেতে পারবেন তত ভালো, দেবতা পাহাড়ের আগে ছোটখাট দুইটা পাহাড় উঠতে হবে কারণ রোদ উঠে গেলে ট্রেকিং করতে একটু কষ্ট হবে। থুইসাপাড়া থেকে অমিয়াখুম যেতে সময় লাগবে প্রায় ২.৫-৩ ঘন্টা। এরপর আপনার সময় থাকলে নাফাখুম হয়ে রেমাক্রি দিয়ে থানচি ফিরতে পারবেন।

*** অমিয়াখুমে যাবার অফিসিয়ালি কোন অনুমতি নাই।
*** একটা কথা মনে রাখবেন যেখানেই যান কেন ঐ জায়গাটা যেন আপনার দ্বারা নোংরা না হয়। কোন অপচনশিল দ্রব্য যেমন প্লাস্টিক ফেলে আসবেন না। এইসব জায়গাগুলো আমাদের, তাই এর রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের।

#হ্যাপি_ট্রাভেলিং

Post Copied From;Ataul Islam Masum‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সাঙ্গু নদী

সাঙ্গু নদী বান্দরবন জেলার প্রধানতম নদী। স্থানীয়ভাবে শঙ্খ নদী, পাহাড়ি নদী। কর্নফুলীর পর এটি চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী।বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে কয়টি নদীর উৎপত্তি তার মধ্যে সাঙ্গু নদী অন্যতম।মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের থানচি উপজেলার মদক এলাকার পাহাড়ে এ নদীর জন্ম। বান্দরবান জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বঙ্গোপসাগরে গিযে মিশেছে। উৎসমুখ হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এই নদীর দৈর্ঘ্য ১৭০ কিলোমিটার।এ জেলার জীবন–জীবিকার সাথে সাঙ্গু নদী ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। বান্দরবানের পাহাড়ি জনপদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ নদী একটি অন্যতম মাধ্যম।বান্দরবান জেলা এবং চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চল এ নদীবিধৌত। বাংলাদেশের বেশির ভাগ নদী উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। কিন্তু সাঙ্গু নদী বান্দরবানের দক্ষিণাঞ্চলে সৃষ্টি হয়ে উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে শেষ হয়েছে।

Post Copied From:Mominul Haque Sojol‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

খুদে ট্রাভেলার

মাত্র ৪ বছর দশ মাসের রিয়াদ জয় করে ফেলেছে বাংলাদেশের এক সময়ের সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ২ তারিখে সে এই কৃতিত্ব অর্জন করে।
কেওক্রাডং গ্রুপ ট্যুরের এই মিশনে রিয়াদের সঙ্গে ছিল তার আট বছরের বোন রিয়া এবং বাবা-মা।

বিস্ময় শিশু রিয়াদকে আমরা অভিনন্দন জানাতে ভুলব না। বগালেক থেকে কেওক্রাডং আসা যাওয়া আট ঘণ্টার মতো হাঁটার পথ তার জন্য কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
অভিনন্দন রিয়াদকে!

যেভাবে যেতে হয়ঃ
ঢাকা থেকে বান্দরবান বাসে। তারপর জিপে রুমা ও বগালেক কমলা বাগান। সেখান থেকে পুরাই ট্রেকিং করে কেওক্রাডং আসা যাওয়া।

Post Copied From:SaKib Voyager‎>Travelers of Bangladesh (ToB)