যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবান, তারপর চান্দের গাড়িতে করে থানচি। এরপর নৌকায় করে রেমাক্রি যাওয়ার পর সময় বুঝে এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পারেন।
Post Copied From:Mirza Tareq Ahmed>Travelers of Bangladesh (ToB)
যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবান, তারপর চান্দের গাড়িতে করে থানচি। এরপর নৌকায় করে রেমাক্রি যাওয়ার পর সময় বুঝে এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পারেন।
Post Copied From:Mirza Tareq Ahmed>Travelers of Bangladesh (ToB)
রেমাক্রি থেকে তিন ঘন্টার হাঁটা পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় আশ্চর্য সুন্দর নাফাখুম জলপ্রপাতে। রেমাক্রি খালের পানি প্রবাহই এই নাফাখুম। নাফাখুমে এসে বাঁক খেয়ে নেমে গেছে প্রায় ২৫-৩০ ফুট, প্রকৃতির খেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে চমৎকার এক জলপ্রপাত! সূর্যের আলোয় যেখানে নিত্য খেলা করে বর্ণিল রংধনু! ভরা বর্ষায় রেমাক্রি খালের জলপ্রবাহ নিতান্ত কম নয়। প্রায় যেন উজানের সাঙ্গু নদীর মতই। পানি প্রবাহের ভলিউমের দিক থেকে নাফাখুম-ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত।
কিভাবে যাওয়া যাবে: ১. বাসে করে ঢাকা টু বান্দরবান যেতে হবে। (রাতে রওনা হলে পরদিন সকালে পৌঁছাবে।) ২. বান্দরবান থেকে থানচি যেতে হবে চাঁদের গাড়িতে। সময় লাগবে ৪ ঘন্টার মত। (দুপুর ১ টার মধ্যে যাওয়া যাবে।) ৩. থানচি থেকে ১টা বোট ঠিক করে নিতে হবে রেমাক্রী যাওয়ার জন্য। থানচি চেক পোস্ট এ নাম-ঠিকানা লিখতে হবে। থানচি থেকে তিন্দু হয়ে রেমাক্রী বাজার পৌছাবে। সব কিছু ঠিক থাকলে সময় লাগবে ৪ ঘন্টা। (ওই দিনই রউনা হলে প্রথম দিনই রেমাক্রী বাজার যাওয়া যাবে, অথবা রাতে থানচি থেকে পরদিন খুব সকালে রওয়ানা করা যাবে। ) ৪. রেমাক্রী বাজার এ ১ টা রেস্ট হাউস আছে। রেস্ট হাউস খালি না পেলেও ২০/২৫ টা বাড়ি আছে যার প্রায় প্রতিটিতেই ভাড়া থাকার মত রুম আছে । তাও খালি না পেলে ১ টা স্কুল আছে, স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করে থাকা যাবে। ৫. রেমাক্রী বাজার থেকে পায়ে হেটে নাফাখুম রওনা হতে হবে। যাওয়া ২ ঘন্টা ও ফিরে আসা ২ ঘন্টা , মোট ৪ ঘন্টা লাগবে। ৬. ফেরার জন্য বোট আগে থেকে টিক করে রাখতে হবে। সকালে উঠে রউনা হলে দুপুরের আগেই থানছি পোছানো যাবে। দুপুরের খাওয়া শেষ করে বান্দরবন এর গাড়িতে উঠতে হবে। প্রতিদিন ১টা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাস চলে। ওই সময়ের মধেই বাস ধরতে হবে। ৭. সন্ধায় বান্দরবান এসে রাতের গাড়িতে ঢাকা রওনা হতে হবে। পরদিন সকালে ঢাকা পৌঁছাবে।
Post Copied From:Asad Islam>Travelers of Bangladesh (ToB)
থানচির নতুন পর্যটন স্পট ‘নীল দিগন্ত’ থেকে দেখা যাচ্ছে মেঘে ঢাকা পড়া সাঙ্গু অববাহিকা। ভর দুপুরে এত উচ্চতা থেকে কিউমোলোনিম্বাস ক্লাউডের এত চমৎকার ফরমেশন দেখতে পাওয়া আসলেই সৌভাগ্যের ব্যাপার।
ঢাকা থেকে বান্দরবান বাসে। বান্দরবান থেকে থানচির বাসে জীবননগর ঢালের আগে আগে নীল দিগন্ত স্পট
Post Copied From:Apu Nazrul>Travelers of Bangladesh (ToB)>
স্থানীয়ভাবে যা শঙ্খ নামে পরিচিত। ইহা বাংলাদেশের অন্যতম নদী যার উৎপত্তি ও সমাপ্তি উভয়ই বাংলাদেশে। বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার দুর্গম মদক এলাকার পাহাড়ে এ নদীর উৎপত্তি।
বান্দরবান জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। উৎসমুখ হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এই নদীর দৈর্ঘ্য ১৭০ কিলোমিটার।
সাঙ্গু নদী বান্দরবান জেলার প্রধানতম নদী। এ জেলার জীবন–জীবিকার সাথে সাঙ্গু নদী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বান্দরবানের পাহাড়ি জনপদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ নদী একটি অন্যতম মাধ্যম।
দু ধারের উঁচু উঁচু পাহাড়ের বেষ্টনী, দৃষ্টির সীমানা জুড়ে থাকা পাহাড়সারি, নয়নাভিরাম উপত্যকা, দানবাকৃতির সব পাথরকে পাশ কেটে চলা – সবমিলিয়ে খরস্রোতা সাঙ্গুর বুক চিরে ছুটে চলতে চলতে স্কুল জীবনে শেখা সেই ‘A Journey by Boat’ রচনাটি আবার নতুন করে লিখতে ইচ্ছা করবে 🙂
যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা>বান্দরবান>থানচি। তারপর নৌকা ভাড়া নিয়ে থানচি>তিন্দু> রেমাক্রি পর্যন্ত গেলে নাফাখুম ঘুরে আসবেন। আর পারলে কোন এক পূর্ণিমার রাতে তিন্দুতে অবস্থান করবেন।
Post Copied From: Tanvir Mahmud Konok > Travelers of Bangladesh (ToB)
গ্রহনের নিয়ম হচ্ছেঃ
Cap Doxycycline 100mg – ট্যুর শুরু করার ১/২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ২৮দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ২৮ দিন হিসাব করে আরো ২৮টি ঔষধ খাবেন ৭ই অগাস্ট পর্যন্ত……তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ৩৪টি।
সুবিধাঃ 1. খুব-ই সহজলভ্য,যেকোন ফার্মেসীতেই পাওয়া যায়, দামও অনেক কম। ১পাতা = ১০টার দাম ২০-২৫টাকা।
অসুবিধাঃ 1. লম্বা শিডিউলের কারণে অনেকেই Dose মিস করে ফেলেন।
strong>Tab Malarone (adult strength = 250 mg atovaquone/100 mg proguanil hydrochloride) – ট্যুর শুরু করার ১/২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ৭ দিন হিসাব করে আরো ৭টি ঔষধ খাবেন ১৭ই জুলাই পর্যন্ত……তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ১৩ টি।
সুবিধাঃ
1. Latest Generation Drug এবং Worldwide এখন পর্যন্ত কোথাও Resistant হয় নি।
2. শিডিউল ছোট, মিস হবার চান্স কম, মনে রাখতেও সুবিধা।
অসুবিধাঃ
1. দাম অনেক বেশি, ১ পাতা = ১২টার দাম ফার্মেসী ভেদে ১০০০-১৫০০টাকা।
2. সহজে পাওয়া যায় না, ঢাকার কিছু ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। গুলশান ১, ২ গোল চত্ত্বরের কিছু ফার্মেসী (তামান্না ফার্মেসী), পান্থপথের Lazz Pharma’র পাশে “তাজরিন ফার্মেসী” তে পাওয়া যায় প্রায়-ই।
*** অবশ্যই করণীয়ঃ
২টি ঔষধের ক্ষেত্রে অবশ্যই পালনীয় হচ্ছে – ভরা পেটে খেতে হবে এবং একই সময় মেইন্টেইন করতে হবে। সাজেশন হিসেবে আমরা, রাতের বেলা ডিনার এর পরে খেতে বলি কারণ ট্রেকিং এ অনেক ক্ষেত্রেই দুপুর বেলা তেমন ১টা খাওয়া হয় না। রাতে যেহেতু ট্রেকিং করা হয় না এবং কোন না কোন পাড়ায় থাকা-খাওয়া হয় তাই রাতের বেলাই সেবন করা উত্তম।
*** সাথে অবশ্যই Odomos Cream রাখতে হবে মশা দূরে রাখার জন্যে। Lazz Pharma, Mitford Hospital এর ফার্মেসী গুলোতে পাওয়া যায়।
*** বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চল সমূহঃ
– বান্দরবানের রুমা, থানচি এবং রোয়াংছড়ির পরে যেকোন এরিয়া।
– খাগড়াছড়ির দিঘীনালা’র পর থেকে যেকোন এরিয়া।
– রাঙ্গামাটির শহর থেকে ভিতরের দিকে যেকোন এরিয়া যেমন – ছোট হরিনা, বরকল, কাট্টলি বিল।
*** ম্যালেরিয়া রোগ বাহিত মশা সাধারনত রাতের বেলা (অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে) আক্রমন করে বেশি।
লিঙ্কঃ
http://www.cdc.gov/malaria/travelers/country_table/b.html
http://wwwnc.cdc.gov/travel/yellowbook/2016/infectious-diseases-related-to-travel/malaria#4661
আমীয়াখুম ট্যুর প্লান ।
০। দিন রাতে ঢাকা টু বান্দরবান প্রতি সিট ভাড়া গাড়ির মান অনুযায়ী ৬২০টাকা,থেকে ৯০০টাকা পর্যন্ত ॥
১ম দিনঃ ভোরে ঢাকার গাড়ি থেকে বান্দরবান শহরে নেমে নাস্তা করে ।থানছির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ।যাওয়ার পথে ,সৌন্দর্য পূর্ণ যেই দৃশ্যে গুলো দেখতে পাবেন ,শৈলপ্রপাত,চিম্বুক ,নীলগিরি ॥
থানছি যাওয়ার মাধ্যম ॥
চাঁদের গাড়ি অথবা লোকাল বাস॥ বান্দরবন টু থানছি লোকাল বাস ভাড়া প্রতি জনের ২০০টাকা,সময় ৪/৫ঘন্টা । অথবা চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ করতে পারেন ভাড়া ৫০০০/৬০০০টাকা,যাত্রী সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৪ জন । সময় ৩/৩:৩০ঘন্টা ॥ থানছি পৌঁছে গাইড নিতে পারেন ১জন গাইড চার্চ আলোচনা সাপেক্ষ ॥
৩দিনের জন্য শুকানো খাবার ও রান্নার প্রয়োজনিয় খাদ্য দ্রব্য কিনে নিতে পারেন।
বিকাল ৩টার আগেই (থানা+বিজিবির ) অনুমতি নিবেন,অন্যথায় থানছিতে রাত যাপন করতে হবে ।
দুপুরের খাবার খেয়ে প্রথমেই বোট ভাড়া করবেন পদ্ন মূখ যাওয়ার জন্যে । লোকাল বোটে জন প্রতি ৫০টাকা ,অবশ্য লোকাল বোট সবসময় পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে রিজার্ভ ভাড়া করতে হয় ১০০০/১২০০টাকা প্রতি বোট । পদ্ন মুখ থেকে পদ্ন ঝিরি ,রোনাজুন পাড়া,হরিচন্দ্র পাড়া হয়ে ৬/৭ ঘন্টা হেটে থুইষা পাড়ায় পৌছাবেন । থুইষা পাড়ায় রাতের খাবারের জন্য চাউল ,তরকারী কিনবেন আর গাইড রান্না করে খাওয়াবে ।থুইষা পাড়ায় থাকার ঘরভাড়া জন প্রতি ১৫০টাকা ।
২য় দিনঃ ভোরে ঘুম থেকে উঠে মোটামুটি খেয়ে আমিয়া খুমের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন । থুইষা পাড়া থেকে আমিয়া খুম যাওয়া আসা ৬/৭ ঘন্টা সময় লাগবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই শুকানো খাবার ও পানির বোতল নিতে বুলবেন না ।৩/৩:৩০ ঘন্টা হাটার পর দেখতে পাবেন অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য আমীয়া খুম । সাতভাই খুম ওভেলা খুম দুটিই পাশাপাশি দেখার মতো স্পট ,চাইলে ঐ দুটু খুমের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন । সূর্য ডুবার আগেই থুইষা পাড়ায় ফিরে আসবেন।
৩য় দিনঃ ভোরে মোটামুটি খেয়ে হাটা শুরু করবেন নাফাখুম হয়ে রেমাক্রীর উদ্দেশ্যে ।জিন্নাহ পাড়া, উল্হাউ পাড়া উলাচিং পাড়া হয়ে ৩ঘন্টা হাটার পর দেখতে পাবেন প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য নাফাখুম জলপ্রপাত ।নাফাখুমে ১ঘন্টা রেষ্ট নিয়ে হেডম্যান পাড়া ,পিনিডং পাড়া হয়ে ২ঘন্টা হেটে পৌছাবেন রেমাক্রী বাজার ।দুপুরের খাবার খেয়ে বোটে করে তিন্দু হয়ে থানছির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ।রেমাক্রী টু থানছি রিজার্ভ বোট ভাড়া ২০০০/২৫০০টাকা।বোটে করে থানছি আসার পথে দেখতে পাবেন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যে তিন্দু বড় পাথর ।
থানছি পৌছা মাত্র সময় ও চাঁদের গাড়ি যদি ঠিকটাক থাকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ,ভাড়া আসার মতই ।রাতে ঢাকার বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ॥
সরকারী ছুটির দিনে বান্দরবান টু থানছির চাঁদের গাড়ি ভাড়া ও থানছি টু রেমাক্রীর ট্রলার ভাড়া কম বেশি হতে পারে ॥
আমি প্রথম বান্দরবন যাই ২০০৭ এ। তেমন কিছুই জানতাম না। প্রথমবার এসে মেঘলা, নিলাচল/ টাইগার হিল, স্বর্ণ মন্দির, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক দেখে ওয়াওওয়াও করতে থাকি। এগুলো সবই মুলত শহরেরআশেপাশে। সেবার ওইগুলো দেখেই পেটভরা গল্প নিয়ে ঘরেফিরি। ২য় বার এসে কেক্রাডং “জয়” করে বিজয়ী বেশে ঘরে ফিরি ।
এরপর বেশ কয়েকবার বার বান্দরবন গেছি, অনেক কিছুই দেখেছি। তবে আরও অনেককিছু এখনো দেখার বাকি রয়ে গেছে।
শুধু মেঘলা, নিলাচল/ টাইগার হিল ইত্যাদি জায়গা দেখতে চাইলে পরিকল্পনা করবেন এভাবে- ১ম দিন সকালে পৌঁছে ফ্রেশহয়ে নাশ্তা করে মেঘলা, নিলাচল/ টাইগার হিল, স্বর্ণ মন্দির এসব দেখতেপারেন। ২য় দিন একটা জীপ ভাড়া (টাকা ২০০০/৩০০০) করে শৈলপ্রপাত, নীলগিরি ঘুরে আসেন।
তবে বান্দরবন এর আসল ঐশ্বর্য দেখতে হলে আপনাকে আরও একটু ভিতরে ঢুকতেহবে। ২/৩ দিন পাহাড়ে হাঁটাহাঁটিকরতে হবে। আমি এখন সেই পথের কথা বলব।
দিন ১ –বান্দরবনশহরে পৌঁছে নাশ্তা করে একটা জীপ নিতে হবে রুমা বাজার পর্যন্ত। টাকা ২০০০/২৫০০ লাগবে। পৌছতে ঘন্টা দেড় লাগবে। সেখানে পৌঁছে গাইড নিতেহবে। গাইডের কয়েকটি সমিতি আছে। যেকোনো একটা থেকে একজনগাইড নিতে হবে। কেওক্রাডং পর্যন্ত গেলে দৈনিক ৪০০ করে মোট ১২০০টাকা লাগবে। জাদিপাই গেলে প্যাকেজ ২০০০/২৫০০ টাকার মত। তাদের দেয়া ফর্ম পুরনকরে আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে সেখানে নাম এন্ট্রি করতে হবে। তারপর দ্রুত গাইডের সাথেগিয়ে জীপ ভাড়া করতে হবে বগা লেক যাওয়ার জন্য। ভাড়া ২০০০ টাকা। তবে বর্ষাকালে গাড়ি বগা লেকপর্যন্ত যায় না।
বগা লেকে ওঠার শেষ রাস্তাটুকু পার হতে অনেক কষ্ট হবে। খাড়া পাহাড়ে উঠতে হবে। আসলে এই জায়গাটুকু পারহতেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় সবার। কারন, সারারাত জার্নি করে, হইচই করে সবাই খুব ক্লান্ত থাকে। একারনেই কিছু মানুষ বগাউঠেই সিদ্ধান্ত নেয় আর আগাবে না। এটা ভুল সিদ্ধান্ত। আমি অনেক বাঘা বাঘা ট্রেকারদেরজিজ্ঞাসা করে দেখছি। ট্রিপের প্রথম দিন বগায় উঠতে সবারই অনেক কষ্ট হয়। ২য় দিন থেকে আর এত কষ্টহবে না।
বগায় পৌঁছে সিয়াম দিদি/ লারাম বা অন্য কারও কটেজেউঠতে হবে। কটেজ আগে থেকে ঠিক করে রাখা ভালো। এরপর লেকে গোছল করে বাকি দিনরেস্ট। এখন যেহেতু রুমা যেতে নৌকা লাগে না সেহেতু বেলা ১১/১২ টার মধ্যে বগায়পৌঁছে অনেকেই আরও সামনে এগিয়ে যায়। তবে যারা প্রথমবার যাচ্ছে, তাদের বগায় ১ম রাত থাকাউচিৎ। স্থানটা অনেক সুন্দর। (এখানে সেনেটারি টয়লেটআছে)।
দিন ২ (আয়েশি ভ্রমন) – ভোরে উঠে খিচুরি+ ডিম ভাজি খেয়ে ভোর ৫.৩০ টার মধ্যেই রওনা হতেহবে কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে। পথে চিংড়ি ঝর্না দেখতে হবে। ঝর্নার উপর পর্যন্ত গিয়েনা দেখলে কিন্তু বিরাট মিস। আগে পরে আরও কিছু ঝর্না পড়বে। মোট ৩/৩.৫ ঘণ্টা হাটার পরে পাবেন কেওক্রাডং। বাংলাদেশের “সর্বচ্চ” (সরকারি তথ্য মতে) পাহাড়।
লালার হোটেলে দুপুরেরে খাবার খেয়ে আবার ফিরতি পথে বগা।
অথবা দিন ২ (একটুখানিএডভেঞ্চার ভ্রমন) – ভোরে উঠে খিচুরি+ ডিমভাজি খেয়ে ভোর ৫.৩০ টার মধ্যেই রওনা হতে হবে কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে। পথে চিংড়ি ঝর্না দেখতেহবে। ঝর্নার উপর পর্যন্ত গিয়েনা দেখলে কিন্তু বিরাট মিস। আগে পরে আরও কিছু ঝর্না পড়বে। কোন ঝর্নাতেই ১০/১৫ মিনিটেরবেশি সময় দেয়া যাবে না। মোট ৩/৩.৫ ঘণ্টা পরে পাবে কেওক্রাডং। বাংলাদেশের “সর্বচ্চ” পাহাড়। চুড়ায় ওঠার আগেই লালার হোটেলে দুপুরের খাবারঅর্ডার ও রাতে থাকার বুকিং দিয়ে দিবেন।
তারপরে ১০ টার ভিতরে দুপুরের খাবার খেয়ে পাসিং পাড়া হয়ে জাদিপাইপাড়া হয়ে জাদিপাই ঝর্না। কেওক্রাডং থেকে জাদিপাই যেতে কোন পাহাড়ে ওঠানাই, শুধু নামা আর নামা। ঘণ্টা ২/২.৩০ লাগবে পৌছাতে। শেষ ২০০ ফিট সাবধানে নামতেহবে। ৫০ ফিট পাটের মোটা দড়ি/কাছিসাথে করে নিয়ে গেলে এখানটায় নামতে সুবিধা হবে। লোকে বলে জাদিপাইনাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝর্না। কথাটির সাথে আমিও দ্বিমত নই। দেখলেআপনিও বোধ করি দ্বিমত করবেন না।
এখানে ঘণ্টা খানেক থেকে আবার ফিরতে হবে। আমরা ঐদিনই বগায় ফিরেএসেছিলাম। তবে সেটা বেশি কষ্টকর হতে পারে। আপনারা কেওক্রাডং এসেলালার হোটেলে ঐ রাত থাকবেন। (এখানে সেনেটারি টয়লেট আছে)।
দিন ৩ –অবশ্যইসূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে উঠবেন। কেওক্রাডং এর চুড়া থেকে সূর্যোদয় অনেক বেশি সুন্দর। নাশ্তা করে ফিরবেন বগা। সেখান থেকে জীপ স্ট্যান্ডেগিয়ে আগেই ফোনে ঠিক করে রাখা জীপে করে রুমায় ফিরবেন।
১২ টার মধ্যে রুমায় পৌঁছে দুপুরের খাবার খেয়ে ট্রলার নিবেন রিঝুকফলস পর্যন্ত। ৮০০/১০০০ টাকা নিবে। ৩০/৪০ মিনিট লাগে যেতে। রিঝুক দেখে রুমা ফিরেআবার জীপে করে বান্দরবন। বগাথেকে ঝিরিপথে হেঁটেও রুমা ফেরা যায়। ৬/৭ ঘণ্টা লাগে। পথটা অসাধারন সুন্দর।
রুমা থেকে বান্দরবন ট্রলারে করেও ফেরা যায়। ৩/৪ ঘণ্টা লাগবে। ৪০০০/৪৫০০ টাকা লাগতেপারে। ফিরতি পথে ৪০/৫০ কিমিসাঙ্গু দেখতে অনেক ভালো লাগবে।
এই পরিকল্পনায় ৩ দিন ঘুরে আসলে আর শৈলপ্রপাত, নীলগিরি, চিম্বুক, মেঘলা ইত্যাদি জায়গায়যাওয়া অর্থহীন। কেওক্রাডং, জাদিপাইর কাছে এগুলোকেশিশুপারক মনে হবে।
এই ৩ দিনের টুরে আরও কিছু মশলা দেয়া যায়, তবে প্রথমবার হিসেবে সেটাবাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
অবশ্য পালনীয় কর্তব্য –== = = = = = = =
১) ভালো, মজবুত ব্যকপ্যাক নিবেন। হাতব্যাগ/ লাগেজ এসব চলবেনা, চলবে না¸ চলবে না।
২) পুরো টুরে নিজের ব্যাগ নিজের কাধে রাখতে হবে। পাহাড়ে ওঠার সময় মেকাপবক্স/ পারফিউম ইত্যাদি ফেলে দিতে হবে ওজন কমাতে। অতএব, কাপড় মাত্র ২ সেট নিবেন। অন্যান্য জিনিস যাই নিবেনভেবে নিবেন। অযথা ব্যাগ ভারী করলে পরে কাঁদতে হবে।
৩) ভালো, মজবুত স্যান্ডেল নিবেন। মাটিতে ভালো গ্রীপ করে, পিছলে যায় না এমন স্যান্ডেলনিবেন।
৪) সঙ্গে সবসময় আধা/এক লিটার পানি, সামান্য কিছু হাল্কা খাবাররাখবেন।
৫) কলার পটাশিয়াম পেশির জন্য উপকারী। পাহাড়ে উঠলে পেশির উপরঅনেক চাপ পরে। অতএব, বান্দরবন গেলে বান্দরের মত কলা খাবেন।
৬) বেশি স্যালাইন খেলে রক্তচাপ বাড়ে, ঘাম বাড়ে ফলে আরও বেশিপানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়। অতএব, সারাদিন চলার পথে বেশি স্যালাইন খাবেন না। পানি খাবেন। অনেক তৃষ্ণা পেলেও একবারেবেশি পানি খাবেন না। হটাত পেট ভারী হয়ে গেলে হাঁটতে পারবেন না।
৭) মশা প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই Ododmos লোশন নিবেন।
৮) হাটার সময় ফুটবলারদের মত আংলেট, নী-ক্যাপ পড়বেন।
৯) টর্চ নিবেন। কম কম জ্বালাবেন। চার্জ শেষ হলে চার্জ দেয়াঝামেলা।
১০) প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন। অবশ্যই, অবশ্যই। যত দেরিতে রওনা হবেন, রোদে তত বেশি কষ্ট হবে। অলস কেউ থাকলে তাঁকে কক্সবাজারপাঠিয়ে দিন। বান্দরবন তার জন্য না।
১১) জোঁকের জন্য সবার সঙ্গে সামান্য লবন রাখবেন। জোঁক লাগলেই অযথা চেঁচামেচিনা করে আপনার পাশে জনকে লবন দিতে বলুন। জোঁক মরে যাবে।
১২) দল ১০ জনের হলে ৫ জনের ২ টা দলে হাঁটবেন। কেও যেন দলছাড়া না হয়েযায়।
১৩) ক্যাপ পড়বেন সবাই।
১৪) ছাতা/ রেইনকোট নিবেন।
১৫) ব্যাকপ্যাক কাভার নিবেন সবাই। বা সকল জিনিস বড় পলিথিনেভরে তারপর ব্যাকপ্যাকে ভরবেন।
১৬) সবাই ১টা করে পিঠে ঝুলানর মত দড়ি দেয়া কাপড়েরএক্সট্রা ব্যাগ নিবেন ।
১৭) জ্বর, পেই কিলার,আমাশা, গ্যাস্ট্রিক, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেটইত্যাদি নিবেন।
এবং দয়া করে
১৮) বিস্কুট/ চিপস/ চানাচুর ইত্যাদির প্যাকেট বা প্লাস্টিকের বোতল, অপচনশিল বস্তু ফেলবেন না যেখানে সেখানে। যেসব পাড়ায়ডাস্টবিন আছে সেখানে ফেলুন। না পারলেপুড়িয়ে ফেলুন।