সুনামগঞ্জ

একবার ভাবুন তো, জ্যোৎস্নার আলোয় আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে সাথে নিয়ে থাকছেন বিশাল হাওড়ের উপর ভাসমান নৌকায়! কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা রাতে সেই দোদুল্যমান নৌকায়! বেশ রোমাঞ্চকর / রোমান্টিক অনুভূতি…
বলছিলাম সুনামগঞ্জ এর বিখ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওড় এর কথা। এই বিষয়ে অনেক পোস্ট থাকলেও আমি জানাবো আমাদের ট্যুরের বিস্তারিত। শুধু টাঙ্গুয়ার হাওড় না, সাথে থাকবে লাকমাছড়া, নীলাদ্রি, বারিকের টিলা, যাদুকাটা নদী, তার সাথে SUST ভ্রমণের বর্ণনা।

এককথায়ঃ
বাজেট – ২৫০০/, ছিলাম ৫ জন, ২ দিন ১ রাত,
২৫/১০/১৭ (রাত) – ২৭/১০/১৭ (রাত)

বর্ণনাঃ
১ম দিনঃ
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ এর বাসের টিকেট ৫৫০/- করে। আমরা বুধবার রাত ১১ টার বাসে রওনা দেই। সুনামগঞ্জ পৌঁছাই প্রায় ৭ টার দিকে। সেখানে ফ্রেশ হয়ে আমরা CNG নেই তাহিরপুরের উদ্দেশ্যে। বাস থেকে নামলে আশেপাশেই CNG পাওয়া যাবে, লোকাল ভাড়া ১০০/- করে।
CNG করে তাহিরপুর পৌঁছুতে ১ ঘন্টার মত লাগে। সেখানে আমরা নাস্তা করি ও নৌকা বাছাই করি। এখানে কথা আছে, নৌকা ভাড়া ভালোভাবে দামাদামি করে নিতে হবে এবং টাঙ্গুয়ার হাওড়, ওয়াচ টাওয়ার ঘুরে টেকের ঘাট এ রাতে থাকবেন এইটা ভালো ভাবে বলে দিতে হবে। যাই হোক আমরা ২৬০০/- দিয়ে ঠিক করেছিলাম আমাদের নৌকা, নৌকা কেমন ছিলো তা ভিডিও তে দেখতে পাবেন। নৌকায় বাথরুম আছে কিনা দেখে নিবেন নিজ সুবিধার্থে।
নৌকায় রাতে থাকার জন্য নিরাপত্তা হিসেবে ওইখানের থানায় একটি স্বাক্ষর করে আসতে হয়, একজন গেলেই হবে, মাঝি মামারা নিয়ে যাবে।
নৌকায় ওঠার আগে টুকটাক শুকনো খাবার নিয়ে যেতে পারেন। নৌকায় যদি খেতে চান। আর আমরা রান্নার ঝামেলায় যাই নি, টেকের ঘাটেই হোটেল আছে। এর পর আমাদের নৌকা যখন হাওড়ে বের হলো আমরা যেন হাওড়ের বিশালতায় গা ভাসিয়ে দিলাম। ৯:৪৫ এ আমাদের নৌকা ছাড়া হয় এবং তার কিছুক্ষণ পর আমরা হিজল বনের কাছাকাছি চলে যাই আধা ঘন্টার মাঝেই। হিজল বনটা সিলেট এর রাতারগুলের Swamp Forest এর মতই অনেকটা। এখানে বেশ কিছুক্ষণ আপনি হেঁটে বেড়াবেন, এর পর নৌকায় ফিরে আবার যাত্রা। আমরা আধা ঘন্টার মত ছিলাম। নৌকায় ওঠার পর কিছুক্ষণের মাঝেই পৌঁছে গেলাম ওয়াচ টাওয়ার এ। এখানে আপনারা কিছু ছোট ছোট ছেলেমেয়ের দল পাবেন, তারা তাদের ছোট ছোট নৌকায় করে পুরো হিজল করচ বনটি ঘুরিয়ে দেখাবে আপনি যতক্ষণ চাইবেন। বিনিময়ে তাদের চাওয়া ২০/- করে একেকজন মানুষ। আপনারা আমাদের মত একেকজন একেক নৌকা নিতে পারেন অথবা এক নৌকায় ২ জন উঠতে পারেন, খরচ একই পড়বে। ওরা ৫০/- করে চাইবে, আমরা ১০/- তেও রাজী করিয়েছিলাম তবে যে পরিমাণে ঘুরেছি, ১০/- নিছক ই তুচ্ছ মনে হলো তাই ২০/- করেই দিয়েছিলাম। আমরা ওয়াচ টাওয়ার এর আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে ১ ঘন্টার মাঝেই আমাদের নৌকার কাছে ফিরে এলাম এবং ছোটদের টাকা বুঝিয়ে দিয়ে গোসল এ নেমে পড়লাম। ও বলতে ভুলে গেছি, পানি যদিও গভীর ছিলো না, তবুও সাবধানতার জন্য তাহিরপুর থেকে লাইফ জ্যাকেট নিয়েছিলাম ২ টা। একেকটা লাইফ জ্যাকেট ১০০/- করে ভাড়া। বেশ কিছুক্ষণ হাওড়ের পানিতে গোসল করে রওনা দিলাম টেকের ঘাটে। টেকের ঘাটে পৌঁছতে পৌঁছতে বিকাল ৩:৩০ বাজে, এর মধ্যে আপনারা একটু রেস্ট নিতে পারেন। আপনাদের হাতে যদি সময় কম থাকে তাহলে আরো আগেই টেকেরঘাট পৌঁছে বিকালে নীলাদ্রি, লাকমাছড়া একসাথে ঘুরতে পারেন, পথ বেশি না, হেঁটে ঘুরতে সর্বোচ্চ ২-৩ ঘন্টাই যথেষ্ট। তবে আমরা টেকের ঘাট গিয়ে নীলাদ্রি দিয়েই ঘুরেছি, লাকমাছড়া রেখেছিলাম পরের দিনের জন্য। আপনারা যদি দুপুরে খেতে চান তাহলে হোটেলে গিয়ে অর্ডার দিয়ে আসতে হবে, মামারা এই ক্ষেত্রে সাহায্য করবে তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি বলবো আশেপাশে আরো হোটেল আছে, সব জায়গায় দামের বেশ কমবেশি আছে, একটু চেক করে নিবেন। আর একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন যে মামাদের ও আপনাদের ই খাওয়াতে হবে। আমরা দুপুরে ভাত না খেয়ে খরচ বাচাই, শুকনো খাবার তো ছিলোই। অর্ডার দিয়ে আসি রাতের খাবারের জন্য। অর্ডারের পর ঘুরে দেখি অন্য হোটেল এ আরো কম দামে পছন্দের খাবার পাচ্ছি। আমরা রাতের জন্য অর্ডার করেছিলাম ১৫০/- এর প্যাকেজ (ভাত + মুরগি + ডাল), যেখানে ভাত আর ডাল ইচ্ছামত। আর বোনাস হিসেবে আমাদের ভাগ্যে জুটেছিলো লালশাক। যদিও এইটা প্যাকেজের অন্তর্গত না। আর আশেপাশে ১২০/- তেও প্যাকেজ পাওয়া যায়। একটু বাজার ঘুরলেই বুঝবেন।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ নীলাদ্রি তে সময় কাটিয়ে আমরা এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে হোটেল এ আড্ডা দিলাম এবং রাতের খাবার শেষ করে নৌকায় ফিরলাম। আর নৌকায় কাটানো রাত ট্যুর টার আনন্দ কয়েকশ গুন বাড়িয়ে দিয়েছিলো। রাতের অন্ধকারে দেখবেন কিছুটা দূরে ভারতের বর্ডারে একটু পর পর হলুদ লাইটের লাইন। দোদুল্যমান মান অবস্থায় নৌকায় রাত্রিযাপন।

২য় দিনঃ
ভোরের আলো টা যখন দেখেছি নৌকা থেকে, সেই দৃশ্য লক্ষ টাকা দিয়েও কেনা যায় না। যাই হোক এই সকাল টাই হলো নৌকা কে বিদায় জানানোর সময়। মামার সাথে সব হিসাব ক্লিয়ার করে আমরা সকালের নাস্তা করে রওনা দেই লাকমাছড়ার উদ্দেশ্যে। এখানে বাইক নিয়ে কিছু সিন্ডিকেট আছে, সিন্ডিকেট ওভারকাম করতে হলে আপনাকে আপনার দামে অটুট থেকে হাঁটা ধরতে হবে, যদি বাইকাররা না ডাকে তাহলে হেঁটে লাকমাছড়া থেকে ঘুরে এসে পরে বাইক নিতে পারেন। বাইকের কাজ লাকমাছড়া হয়ে নীলাদ্রি দিয়ে বারেক টিলায় নিয়ে যাবে। আমরা ৫ জন ছিলাম, ৩ টা বাইক লাগতো, তারা একেক বাইকে ৩৫০/- করে চাইছে, পরে ২৫০/- তে রাজী হইছে তবে আমরা ১৫০/- এর বেশি দেবো না বলে গোঁ ধরে ছিলাম, পরে হাঁটা দেই। আর পরে কিছুদূর আগানোর পর তারা ৩ বাইক এসে আমাদের নিয়ে নেয়, ১৫০/- করে।
লাকমাছড়া যেতে বেশিক্ষণ লাগে না, ওইখানে আমরা কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আবার রওনা দেই বারেক টিলার উদ্দেশ্যে। আধা ঘন্টার মত লাগে বাইকে করে লাকমাছড়া থেকে বারেক টিলা। এর পর বারেকটিলায় পোঁছিয়ে বাইক ছেড়ে দিতে হয়। আর বারেক টিলা থেকে নীচের যাদুকাটা নদী আপনাকে যাদুর মত সম্মোহন করবে! পাহাড় থেকে নদীর ভিউ, তার উপর অপরূপ যাদুকাটা নদীর ভিউ, তা আসলে না দেখলে বোঝা যাবে না। বেশ কিছুক্ষণ বারেক টিলায় সময় কাটিয়ে আমরা নেমে আসি যাদুকাটা নদী তীরে। তীরে একটা হোটেল আছে, এখান থেকে আপনি একটু নাস্তা করতে পারেন গরম গরম সিঙ্গারা দিয়ে। খাওয়া টা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো হোটেল টির অবস্থান। এত সুন্দর একটি নদীর পাড়ে একটু উচুতে হোটেল টির অবস্থান। ঢাকায় যেসব “লেকভিউ” নামক রেস্টুরেন্ট থাকে, তাও এর কাছে কিছু না। এটাও ভিডিও তে দেখতে পাবেন। আর নদীর উপর জন্য যে খাবারের দাম বেশি তা কিন্তু না, ৫/- করেই ছিলো সিঙ্গারা। এর পর খেয়াপার হতে হয়, জনপ্রতি ৫/- করে। অপর পাড় এ যাওয়ার পর আপনি দেখবেন বিশাল চড়, এই চড় পেড়িয়ে আশে পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন, চাইলে এই অপরূপ নদীর ঠাণ্ডা পানিতে গোসল টাও সেরে নিতে পারেন। এরপর পাশেই লাউরের গড় বাজার আছে, খাওয়া দাওয়া করতে পারেন, সেখান থেকেই আমরা সুনামগঞ্জ এর CNG ঠিক করেছি, যার লোকাল ভাড়া ১০০/- করে। আমরা রিজার্ভ করেছিলাম ৪৭০/- টাকায়। সুনামগঞ্জ পৌঁছতে সময় লাগে ১ ঘন্টার মত, আমাদের ঘড়িতে তখন ২:১৫ বাজে। এরপর আপনারা সুনামগঞ্জ শহরে ঘোরাঘুরি করতে পারেন, দেখতে পারেন হাসন রাজার জাদুঘর, তবে আমরা ভুলে গিয়েছিলাম।
আমরা চেয়েছিলাম সিলেট হয়ে ট্রেনে ফিরবো, যদিও পরে ট্রেন পাই নি। যাই হোক সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের লোকাল বাসে উঠি, ভাড়া ১০০/- করে ৫০০/- হলেও রেখেছিলো ৪৬০/-
সিলেট নেমে আমরা SUST এর ক্যাম্পাস ঘোরার জন্য CNG নেই, ভাড়া হয় ৩০/-। SUST এর বিশাল ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করে ফিরতি পথে আমরা মেইন গেটে অটোতে করে আসি, জনপ্রতি ৫/- করে ২৫/-।
এরপর SUST থেকে সিলেটের বিখ্যাত আর আমাদের ভালোবাসা “পানসী” তে যাই, SUST থেকে পানসী CNG ভাড়া নিয়েছে ৯০/-। সেখান থেকে এক দল যায় বাসের টিকেট কাটতে (ট্রেনের টিকেট না পেয়ে), রাত ১১ টায় টিকেট কাটার ফলে অনেকটা সময় আমাদের হাতে থাকে, ফলে এর ফাঁকে আমরা সুরমা নদীর পাড় থেকেও ঘুরে আসি।

এখন যাবতীয় হিসাবঃ(৫ জনের)
ঢাকা-সুনামগঞ্জ (বাস) – ৩০০০/-
সুনামগঞ্জ – তাহিরপুর (CNG) – ৫০০/-
লাইফ জ্যাকেট ২ টা – ২০০/-
নৌকা (মামার খাওয়া সহ) – ৩০০০/-
ছোট নৌকা (হিজল-করচ) – ১০০/-
পরদিন=
টেকের ঘাট – বারেকটিলা (বাইক) – ৪৫০/-
যাদুকাটা নদী (খেয়াপার) – ২৫/-
লাউরের গর – সুনামগঞ্জ (CNG) – ৪৭০/-
সুনামগঞ্জ – সিলেট (BUS) – ৪৬০/-
সিলেট – SUST (CNG) -৩০/-
SUST (auto) – ২৫/-
SUST – পানসী (CNG) – ৯০/-
পানসী থেকে বাসকাউন্টার যাওয়া আসা(Rickshaw) – ৩০/-
পানসী থেকে সুরমা নদী (CNG) – ৭০/-
সুরমা থেকে পানসী ফেরত (CNG) – ৮০/-
পানসী থেকে বাসস্ট্যান্ড (CNG) – ১০০/-
সিলেট – ঢাকা (BUS) – ২৩৫০/-
—————————————————————-
মোট – ১০৯৮০/- / ৫ = ২১৯৬/-
বা ২২০০/- জনপ্রতি
খাওয়া দাওয়া ধরি নি, খাওয়া দাওয়া আপনাদের ব্যাপার। কোথায় কত কেমন খাবেন 😃 তবে ৩০০/৪০০ এর মধ্যে খাওয়া হয়ে যাওয়ার কথা।

আমাদের মাঝি মামাঃ
মহিবুর মাঝি – ০১৭৪২৪৯৫৯৮৯

শেষ কথাঃ
১। খাওয়ার ব্যাপার মামা দের সহ হিসাব করবেন।
২। শুক্রবার এ অনেক মানুষ হয় ফলে নৌকার দাম কমানো কঠিন হয়ে যায়। আমরা বৃহঃ রাত ছিলাম তাই কমাতে পেরেছি।
৩। ছোট, বড়, মাঝারি সব ধরনের নৌকা আছে, আপনারা মানুষ বুঝে বাছাই করবেন।
৪। লাইফ জ্যাকেট অবশ্যই নিবেন।

আপনারা চাইলে ধারণা নিতে আমাদের ভিডিও দেখতে পারে

Post Copied From:Zayed Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

টাঙ্গুয়ার হাওড়

:: কি করে যাবেন টাঙ্গুয়ার হাওড় :: টাঙ্গুয়া যেতে হলে সবার আগে যেতে হবে সুনামগঞ্জ। সবচে ভালো হয় শ্যামলী পরিবহেনর বাসে গেলে। এদের নন এসি বাসগুলোর সীট খুব সুন্দর আর আরামদায়ক। অনেকটা ভলবো বাসের সীটের মতো।ফকিরাপুল মোড়ের কাউন্টার থেকে অগ্রীম টিকেট কেটে রাতের বাসে উঠে যান। ভাড়া ৫০০ টাকা।ঢাকা-সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর-টাঙ্গুয়ার হাওড়।

কেন যাবেনঃ শীতকালে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার সিজন হলেও, বর্ষাকালের সৌন্দর্য অন্যরকম। একদিকে পাহাড়ের সারি অন্যদিকে দ্বীপের মত জেগে ওঠা গ্রাম। আদিগন্ত বিস্তৃত পানির মধ্যে আধ-ডোবা গাছগুলোতে রাতারগুলের একটা ফ্লেবার পাবেন। পানি একদম পরিষ্কার। ৫/৬ ফিট পর্যন্ত শ্যালো পানিতে তলদেশ ঝকঝকা দেখা যায়। যেখানে ইচ্ছা হবে ঝাপ দিয়ে নেমে যাবেন গোসল করতে।

হাওড় থেকে সদ্য তোলা ফ্রেশ মাছ নৌকায় রান্না করে, গরম গরম ধোয়া ওঠা ভাতের সাথে খাবেন। বড় বড় রাজহাস পাওয়া যায়। খিচুড়ি দিয়ে ভূনা রাজহাস অসাধারন লাগবে। সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর নানা রঙের মেঘের নকশা। আর রাতের বেলায় নৌকার গলুইয়ের উপর চিত হয়ে শুয়ে দেখতে পারবেন, ঝকঝকা তারাভরা আকাশ।

খুব সকালে সুনামগগঞ্জ নেমে বৈঠাখালি ঘাট যেতে হবে।বৈঠাখালি যাবার জন্য টেম্পু বা ব্যটারী চালিত অটো পাবেন। গ্রুপ বড় দেখলে সামান্য ১ মাইল রাস্তা ৩০০ টাকা চাইবে। এর চে অটোতে উঠে যান ৫ জন করে। জনপ্রতি নেবে ১০ টাকা করে। বৈঠাখালি ঘাটে নেমে ৩ টাকা দিয়ে নদীর ওপার যাবেন।ওপার গেলে অনেক মোটরসাইকেল পাবেন।জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে তাহিরপুর চলে যান। একটা কথা গ্রুপ বড় হলে আগে থেকে কাউকে ফোন করে লেগুনা নিয়ে আসতে বলুন। ১২ জন বসতে পারবেন।ভাড়া নেবে ১২০০ টাকা। রাস্তা খুব ভালো।৩৫ কি:মি: দুরের তাহিরপুর যেতে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘন্টা।

তাহিরপুর নেমে নাস্তা করে নিন এবং খাবার মতো শুকনো খাবার ও পানি নিয়ে নিন।এরপর একটা নৌকা ভাড়া নিন সারাদিনের জন্য। ভাড়া পরবে ৩-৬ হাজার টাকা (সাইজ অনুযায়ী); এরপর সারাদিন হাওড়ে ঘুরুন,গোছল করুন, বাগনি বর্ডার এবং বারিক্কা টিলা যান এবং ফিরে আসুন।এছাড়া যেতে পারেন টেকেরঘাট পরিত্যাক্ত চুনাপাথর প্রকল্পে।সবচে ভালো হয় হাওড়ে কোথাও রাত কাটান।

আমি একজনের মোবাইল নম্বর দিলাম।বেলাল নামের ছেলেটি খুব ভালো।ওকে আগে বলে রাখলে ও টাকা পাঠালে ও :

– বৈঠাখালি ঘাটে লেগুনা নিয়ে এসে আপনাদের নিয়ে যাবে।

– একটা নৌকা ঠিক করে রাথবে এবং সারাদিন আপনাদের সাথে থাকবে

– হাওড়ের মাঝে ওর বাড়িতে দুপুর/রাতের রান্নার ব্যবস্থা করবে

– রাতে ওর বাড়ির পাশে হাওড়ে নৌকায় ঘুমাবার ব্যবস্থা করবে।

সব খরচ দেবার পর ওকে কিছু টাকা বকশিশ দিলেই ও খুশী থাকবে। বেলালের ফোন নম্বর হলো: ০১৭২৩০৯১৩৫২।

*** অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে নিবেন, নো কম্প্রমাইচ ফর লাইফ জ্যাকেট। ***