টাঙ্গুয়ার হাওড়

:: কি করে যাবেন টাঙ্গুয়ার হাওড় :: টাঙ্গুয়া যেতে হলে সবার আগে যেতে হবে সুনামগঞ্জ। সবচে ভালো হয় শ্যামলী পরিবহেনর বাসে গেলে। এদের নন এসি বাসগুলোর সীট খুব সুন্দর আর আরামদায়ক। অনেকটা ভলবো বাসের সীটের মতো।ফকিরাপুল মোড়ের কাউন্টার থেকে অগ্রীম টিকেট কেটে রাতের বাসে উঠে যান। ভাড়া ৫০০ টাকা।ঢাকা-সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর-টাঙ্গুয়ার হাওড়।

কেন যাবেনঃ শীতকালে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার সিজন হলেও, বর্ষাকালের সৌন্দর্য অন্যরকম। একদিকে পাহাড়ের সারি অন্যদিকে দ্বীপের মত জেগে ওঠা গ্রাম। আদিগন্ত বিস্তৃত পানির মধ্যে আধ-ডোবা গাছগুলোতে রাতারগুলের একটা ফ্লেবার পাবেন। পানি একদম পরিষ্কার। ৫/৬ ফিট পর্যন্ত শ্যালো পানিতে তলদেশ ঝকঝকা দেখা যায়। যেখানে ইচ্ছা হবে ঝাপ দিয়ে নেমে যাবেন গোসল করতে।

হাওড় থেকে সদ্য তোলা ফ্রেশ মাছ নৌকায় রান্না করে, গরম গরম ধোয়া ওঠা ভাতের সাথে খাবেন। বড় বড় রাজহাস পাওয়া যায়। খিচুড়ি দিয়ে ভূনা রাজহাস অসাধারন লাগবে। সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর নানা রঙের মেঘের নকশা। আর রাতের বেলায় নৌকার গলুইয়ের উপর চিত হয়ে শুয়ে দেখতে পারবেন, ঝকঝকা তারাভরা আকাশ।

খুব সকালে সুনামগগঞ্জ নেমে বৈঠাখালি ঘাট যেতে হবে।বৈঠাখালি যাবার জন্য টেম্পু বা ব্যটারী চালিত অটো পাবেন। গ্রুপ বড় দেখলে সামান্য ১ মাইল রাস্তা ৩০০ টাকা চাইবে। এর চে অটোতে উঠে যান ৫ জন করে। জনপ্রতি নেবে ১০ টাকা করে। বৈঠাখালি ঘাটে নেমে ৩ টাকা দিয়ে নদীর ওপার যাবেন।ওপার গেলে অনেক মোটরসাইকেল পাবেন।জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে তাহিরপুর চলে যান। একটা কথা গ্রুপ বড় হলে আগে থেকে কাউকে ফোন করে লেগুনা নিয়ে আসতে বলুন। ১২ জন বসতে পারবেন।ভাড়া নেবে ১২০০ টাকা। রাস্তা খুব ভালো।৩৫ কি:মি: দুরের তাহিরপুর যেতে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘন্টা।

তাহিরপুর নেমে নাস্তা করে নিন এবং খাবার মতো শুকনো খাবার ও পানি নিয়ে নিন।এরপর একটা নৌকা ভাড়া নিন সারাদিনের জন্য। ভাড়া পরবে ৩-৬ হাজার টাকা (সাইজ অনুযায়ী); এরপর সারাদিন হাওড়ে ঘুরুন,গোছল করুন, বাগনি বর্ডার এবং বারিক্কা টিলা যান এবং ফিরে আসুন।এছাড়া যেতে পারেন টেকেরঘাট পরিত্যাক্ত চুনাপাথর প্রকল্পে।সবচে ভালো হয় হাওড়ে কোথাও রাত কাটান।

আমি একজনের মোবাইল নম্বর দিলাম।বেলাল নামের ছেলেটি খুব ভালো।ওকে আগে বলে রাখলে ও টাকা পাঠালে ও :

– বৈঠাখালি ঘাটে লেগুনা নিয়ে এসে আপনাদের নিয়ে যাবে।

– একটা নৌকা ঠিক করে রাথবে এবং সারাদিন আপনাদের সাথে থাকবে

– হাওড়ের মাঝে ওর বাড়িতে দুপুর/রাতের রান্নার ব্যবস্থা করবে

– রাতে ওর বাড়ির পাশে হাওড়ে নৌকায় ঘুমাবার ব্যবস্থা করবে।

সব খরচ দেবার পর ওকে কিছু টাকা বকশিশ দিলেই ও খুশী থাকবে। বেলালের ফোন নম্বর হলো: ০১৭২৩০৯১৩৫২।

*** অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে নিবেন, নো কম্প্রমাইচ ফর লাইফ জ্যাকেট। ***

Leave a Reply

Your email address will not be published.