কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বলিয়াদী জমিদার বাড়ী

সবাইতো সাজেক যায় আমার মতো যারা গরিব মানুষ তারা সকাল-সন্ধ্যা সময়ে ঘুরে আসতে পারেন 😂

★★সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ-
ইসলাম জগতের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিকী (রাঃ) বংশধর বলিয়াদী নবাব কুতুব উদ্দিন সিদ্দিকীর পুত্র সাদ উদ্দিন সিদ্দিকী বলিয়াদী এস্টেটের প্রথম কর্ণধর ছিলেন। বর্তমান বলিয়াদী এস্টেটের মোতওয়াল্লী চৌধুরী তানভীর আহম্মদ সিদ্দিকী। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬১২ খৃস্টাব্দে বলিয়াদী এস্টেট প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই ঐতিহ্যবাহী কালিয়াকৈর বলিয়াদী এস্টেটের জমিদার চৌধুরী তানভীর আহম্মদ সিদ্দিকী। তিনি খলিফা আবু বকর সিদ্দিকীর ৩৭তম বংশধর। ( তথ্য সুত্র-দৈনিক সংগ্রাম)

★অবস্থান -বলিয়াদী ইউনিয়ন,কালিয়াকৈর উপজেলা, গাজীপুর ।

★ যেভাবে যাবেনঃ-

ঢাকার মহাখালী থেকে টাঙ্গাইলগামী বাসে কালিয়াকৈর বাইপাসে নামবেন ভাড়া ৫০-৭০টাকা,তারপর রিক্সা,CNG বা টেম্পুতে চলে যান বলিয়াদি জমিদার বাড়ি। ভাড়া যথাক্রমে ৫০,১০ টাকা পড়বে।
বাড়িটির সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনাকে অবশ্যই মুগ্ধ করবে।
সকিছু দেখা শেষে চলে আসুন শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি এটিও মুলত মুঘল সম্রাটের বাড়ি। যা বলিয়াদি জমিদার বাড়ি হতে ২কিঃমি দুরে অবস্থিত এবং কালিয়াকৈর বাইপাসের কাছেই ২০টাকা রিক্সা ভাড়া।

★জেনে নেয়া ভালো-

*এই দুইটি জমিদার বাড়ি কোনটিই সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের আওয়তাভুক্ত নয়, এদের বংশধরাই বর্তমান মালিক।
*খাওয়া দাওয়ার জন্য বাইপাসের পাশে ঘরোয়া রেস্তোরা নামক হোটেল আছে যা মানসম্মত।

Post Copied From:Mehedi Hasan Khan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

মহেড়া জমিদার বাড়ী

দেশের অনেক সুন্দর সুন্দর জমিদার বাড়ীগুলো এখন কেবল স্মৃতি, পড়ে আছে শুধু ধ্বংসাবশেষ। কিন্ত মহেড়া জমিদার বাড়ী বাড়ীটা এখনো ভাল অবস্থায় আছে। আমাদের ঐতিহ্যের অনেক কিছুই আমরা ধ্বংস করেছি, সামান্য যে কয়েকটা অবশিষ্ট আছে সেগুলোরও নেই তেমন কোন প্রচার। মহেড়া জমিদার বাড়ীর কথা আমি নিজেই জানতাম না, আমার ধারনা অনেকেই জানেন না। অথচ ঢাকার খুব কাছে সুন্দর একটা স্থাপনা। জায়গাটা বেড়ানোর জন্য বা পিকনিকের জন্য একটা আদর্শ স্থান। সামনেই আসছে পিকনিকের সময়, সম্ভব হলে এবারই পিকনিকের উছিলায় দেশের একটা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা দেখে আসতে পারেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এমনিতেও বেড়াতে যেতে পারেন, ছোট বড় সবারই ভাল লাগবে, আর বেড়াতে গেলে যেকোন সময়েই যেতে পারেন পিকনিক সিজনএর জন্য অপেক্ষা করতে হবেনা। শৌখিন ফটোগ্রাফার যারা পুরানো স্থাপনার ছবি তুলতে ভালবাসেন আর আর্কিটেকচারের ছাত্র/ছাত্রীদের জায়গাটা পছন্দ হবে বলে আশা করি।

যেভাবে যাবেন:
ঢাকার মহাখালী থেকে নিরালা বাস এ করে ১৬০টাকা ভাড়া তে ডুবাইল এর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার। আপনারা চাইলে টাঙ্গাইল গামী অন্য বাস ও যেতে পারবেন।
সেখান থেকে CNG তে করে লোকাল ১৫ টাকা অথবা রিজার্ভ ৭৫ টাকা দিয়ে মহেড়া জমিদার বাড়ি। ভিতরে প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা

খাওয়া দাওয়া: আপনি খুব ভালো মানের খাবার পাবেন না, যা পাবেন তার সাথে ওদের আতিথিয়তা মূগ্ধ করবে।

Post Copied From:Rina Husnayn‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঢাকার বাইরে এক দিনের জন্য বেড়াতে যেতে পারেন টাঙ্গাইল

খরচঃ ৭৫০/- থেকে ৮৫০/-

সকাল বেলা প্রথমে যমুনা রিসোর্টে(বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব)যেতে পারেন। দুপুরে এলাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হয়ে টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড। এরপর শহরের নিরালা মোড়ে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে বেবি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে সিএনজি রিজার্ভ(৩০০-৪০০ টাকা) করে মাওলানা ভাসাণী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে আতিয়া মসজিদ(১৬০৯ সালে নির্মিত এই মসজিদের ছবি পুরাতন ১০টাকার নোটে ছিল)।এরপর শহরের নিরালা মোড় সংলগ্ন পাঁচ আনি বাজার মিষ্টি পট্টি(গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার/জয়কালি) থেকে চমচম খেয়ে,সন্ধ্যায় ডিসি লেকে যেতে পারেন।
.
যেভাবে যাবেনঃ বাসে বা ট্রেনে যেতে পারেন।
.
ট্রেনে গেলে বেশি ভালো হয় কারণ যমুনা রিসোর্ট বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের থেকে জনপ্রতি ৫টাকা অটো ভাড়া।কমলাপুর থেকে ধূমকেতু-ভোর ৬.০০টা, সুন্দরবন-৬.২০ এর ট্রেন আছে। ভাড়া ১১৫টাকা।
.
বাসঃ মহাখালি বাস টার্মিনাল থেকে পাবণা/সিরাজগঞ্জ/নাটোর/বগুড়ার বাসে বঙ্গবন্ধু সেতুর (যমুনা সেতু) পূর্বে নামবেন।
অথবা মহাখালি বাস টার্মিনাল থেকে টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল এরপর যমুনা সেতুর লোকাল বাসে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বে নামবেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে ভালো বাস নিরালা সুপার।
.
টাঙ্গাইলে আরও ঘুরতে যাবার মত আছে- মহেরা জমিদার বাড়ি(মির্জাপুর),করটিয়া জমিদার বাড়ি,মধুপুর শালবন,মধুপুর ন্যাশনাল পার্ক,এলেঙ্গা রিসোর্ট, দোখলা রেস্ট হউস,ইসামতি লেক। পাকুটিয়া জমিদারবাড়ী (দেলদুয়ার),এলেঙ্গা রিসোর্ট, নাগরপুর উপেন্দ্র সরোবর,নাগরপুর জমিদার বাড়ি(চৌধুরী বাড়ি), ধলাপাড়া ইউনিয়নের জমিদার বাড়ী(ঘাটাইল),মোকনা জমিদার বাড়ি (নাগরপুর),মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস,ইত্যাদি।

(পাঁচ জনের একটা গ্রুপের জন্য সারাদিনের খরচ,
যাবার বাস ভাড়া জনপ্রতি-১৫০/- , খাওয়াদাওয়া- সারাদিন-৩৫০/-, অন্যান্য- ১৫০/- আসার বাস ভাড়া-১৫০/- )

মহেড়া জমিদার বাড়ি

ঢাকার আশেপাশে একদিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে ঘুরে আসতে পারেন টাঙ্গাইলের মহেড়া জমিদার বাড়ি থেকে। জমিদার বাড়ির অপূর্ব কারুকাজ ও নির্মাণশৈলী আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত।বিশাল এলাকা জুড়ে মহেড়া জমিদার বাড়ি অবস্থিত। হঠাৎ দেখলে মনে হবে সবুজ ঘাসের চাদরে যেন ফুটে আছে বিশাল শ্বেতপদ্ম! একটি নয়, পাশাপাশি কয়েকটি ভবন দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। আভিজাত্যের ছোঁয়া রয়েছে প্রতিটি প্রাসাদজুড়েই। জমিদার বাড়ির সামনে রয়েছে পুকুর। চাইলে পুকুরে ঘুরতে পারবেন নৌকায়। রয়েছে বিশাল বাগান। বাগানে আনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিতির পাখি ,টার্কি আর উট পাখি ।১৮৯০ সালে তৎকালীন জমিদারগণ চার ভাই মিলে জমিদারি পত্তন করেন। তাদের নাম বুদাই সাহা, বুদ্ধু সাহা, হরেন্দ্র সাহা এবং কালীচরণ সাহা। তারা সাহা পদবী ধারণ করেই শুরু করেন জমিদারি। তবে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম সবাই রায় চৌধুরী পদবী গ্রহণ করেন। জমিদার বাড়ি নির্মাণ হয় চার অংশে।মহেড়া জমিদার বাড়িটি মূলত চারটি ভবনে বেষ্টিত। মহারাজ লজ, আনন্দ লজ, চৌধুরী লজ এবং কালীচরণ লজ। বাড়িটির মোট ৮ একর জমির উপর অবস্থিত। এখানে বাসভবন, কাছারি ভবন, পুকুর এবং মাঠ রয়েছে।১৯৭২ সালে মহেড়া জমিদার বাড়িটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জোনাল পুলিশ তট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৯০ সালে এটিকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয়। যেভাবে যাবেন

ঢাকার মহাখালী থেকে সরাসরি টাঙ্গাইলের বাস রয়েছে। মহেড়া জমিদার বাড়ি যাবেন বললেই নামিয়ে দেবে। ডুবাইল বাস স্ট্যান্ডে নেমে সিএনজিতে যেতে পারবেন মহেড়া জমিদার বাড়ি। ঢুকতে হলে টিকেট করতে হবে জনপ্রতি ৫০ টাকা। রাতের জমিদার বাড়িও অদ্ভুত সুন্দর ।রুম ভাড়া নিয়ে মুল জমিদার বাড়িতেই থাকতে পারবেন জমিদারি স্টাইলে ।

Post Copied From:Rina Husnayn>Travelers of Bangladesh (ToB)

পীরগাছা রাবার বাগান

পীরগাছা,টাঙ্গাইল

বিশাল আয়তনের মধ্যে অসংখ্য সাড়িতে দাঁড়ানো অগণিত রাবার গাছ আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে নি:সন্দেহে!

সাড়ি সাড়ি রাবার গাছ দেখে আপনার মনে হবে একদল বৃক্ষসৈন্য দাঁড়িয়ে আছে আপন মহিমায়। নিজ স্থান রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত।

হাতে ক্যামেরা থাকলে (নয়তো আপনার মোবাইলেই!) তুলে ফেলতে ইচ্ছে করবে অনেকগুলো ছবি। ছবির মতই সুন্দর এই রাবার বাগান। অসম্ভব নীরব পরিবেশ আর অসংখ্য গাছের মধ্যে আপনি হারিয়ে যেতে চাইবেন বারবার।

দিনে গিয়ে দিনে আসার মত জায়গা
ঢাকা থেকে অনেক বাস যায় টাঙ্গাইল। ভাড়া ১৫০ থেকে শুরু।
টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০/৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাসে যাবেন মধুপুর। সেখান থেকে অটোতে করে যাবেন পীরগাছা রাবার বাগান।

(আমরা এভাবেই গিয়েছি। অন্যভাবেও যাওয়া যেতে পারে।আমরা টাঙ্গাইল ট্যুরের অংশ হিসেবে এই জায়গায় যাই। বেশিক্ষণ থাকিনি আমরা। দূর থেকে টাঙ্গাইল গেলে টাঙ্গাইলের অন্য জায়গাগুলোও দেখে আসবেন)

সতর্কতা: জায়গাটা খুবই নীরব এবং এই এরিয়াতে মানুষ খুব কম। বনের ভেতর দিয়ে মানুষ অনেক কম আসা যাওয়া করে। সন্ধ্যা হবার বেশ খানিকটা আগেই চলে আসার চেষ্টা করবেন।

গ্রুপে এটাই প্রথম পোস্ট
প্রতি পোস্টে একটার বেশি ছবি দেয়া যায় না বলে এই পোস্টে শুধু রাবার বাগান নিয়েই বললাম

ধন্যবাদ!

Post Copied From:Samiul Pranto‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

মহেড়া জমিদার বাড়ি

ঢাকার অদূরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মহেড়া ইউনিয়নিয়নের মহেড়া গ্রামে অবস্থিত মহেড়া জমিদার বাড়ি , যেখানে নীলাকাশ, ছোট করে ছেটে রাখা সবুজ ঘাসের কার্পেট, শতাধিক বর্ষের সহস্রাধিক স্মৃতি বিজড়িত সুরম্য ভবনসমূহ সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে দর্শনার্থীর অপেক্ষায় থাকে , যা আমাদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে দেয় । টাংগাইলে অনেকগুলো জমিদার বাড়ি আছে , মহেড়া জমিদার বাড়ি তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ।জমিদার বাড়ির অপূর্ব কারুকাজ ও নির্মাণশৈলী আপনাকে মুগ্ধ করবে ।বিশাল এলাকা জুড়ে মহেড়া জমিদার বাড়ি অবস্থিত। হঠাৎ দেখলে মনে হবে কালের সাক্ষী হয়ে সবুজ ঘাসের চাদরে যেন ফুটে আছে বিশাল বিশাল শ্বেতপদ্ম! স্পেনের করডোভা নগরীর আদলে নির্মিত ভবনগুলোর নির্মাণ শৈলি রোমান, মোঘল, সিন্দু খেকুদের সাথে মিল রয়েছে।

মহেড়ার জমিদাররা ছিল শাহা বংশের। বংশীয় ভাবে বনেদী ব্যবসায়ী। সুদূর কলকাতা থেকে মহেড়া এসেছিল ব্যবসার জন্য। ১৮৯০ সালে তৎকালীন জমিদারগণ চার ভাই মিলে জমিদারি পত্তন করেন। তাদের নাম বুদাই সাহা, বুদ্ধু সাহা, হরেন্দ্র সাহা এবং কালীচরণ সাহা। তবে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম সবাই রায় চৌধুরী পদবী গ্রহণ করেন। জমিদার বাড়ি নির্মাণ হয় চার অংশে।মহেড়া জমিদার বাড়িটি মূলত চারটি ভবনে বেষ্টিত। মহারাজ লজ, আনন্দ লজ, চৌধুরী লজ এবং কালীচরণ লজ। বাড়িটির মোট ৮ একর জমির উপর অবস্থিত। জমিদার বাড়ির সামনেই রয়েছে ‘বিশাখা সাগর’ নামে বিশাল এক দীঘি। বাড়িতে প্রবেশের জন্য রয়েছে ২টি সুরম্য গেট। ভবনের পিছনে রয়েছে পাসরা পুকুর এবং রানী পুকুর।

বৃটিশ সরকার জমিদার প্রথা চালু করলে কালীচরণ সাহা ও আনন্দ সাহার পুত্ররা করটিয়ার ২৪ পরগনার জমিদারদের নিকট থেকে একটি অংশ বিপুল অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করে নেন। শুরু হয় জমিদারী শাসন ও শোষন। কালীচরণ সাহা ও আনন্দমোহন সাহার উত্তরাধিকারী রাজেন্দ্র রায় চৌধুরী পর্যায় ক্রমে জমিদারী পরিচালনা করেন। এসব শাসকগণ এলাকায় বিদ্যালয়, রাস্তা ঘাট, পানির ব্যবস্থা সহ অনেক জনকল্যানমূলক কাজ করেন।বৃটিশ শাসনের শেষের দিকে জমিদার শাসন বাতিল হয় এবং পরবর্তিতে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভগের পর জমিদারদের অধিকাংশই ভারতে চলে যান।

প্রাসাদ কমপ্লেক্সে প্রবেশ করার জন্য কালিচরন লজ আর চৌধুরী লজের সামনে রয়েছে দুটি সিংহ দরজা। এর মধ্যে চৌধুরী লজের সিংহ দরজার সমানে বিশাখা সাগরের পারে উঁচু ছয়টি স্বতন্ত্র কোরান্থিয়ান ধাঁচের স্তম্ভ সারি থাকায় ধারনা করা যায় এটাই জমিদার বাড়ির মূল প্রবেশ পথ ছিলো।

এক নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করলে প্রথমে চোখে পড়বে কালিচরন লজের সামনের চোখ ধাধানো নকশার এক তলা ভবন, যা বর্তমানে মিউজিয়াম হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।এই ভবনের সাথে কালিচরন লজ এমন জ্যামিতিক বিন্যাসে তৈরি করা হয়েছে , দূর থেকে দেখলে একে কালিচরন লজের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে হয় ।ভবনের সামনের দিকের উন্মুক্ত কক্ষে দুই সারি অনুচ্চ স্তম্ভের উপরে নির্মিত ত্রিফয়েল আর্চের সারি এবং দেয়ালে তিনটি বড় কুলঙ্গি। ভবনের চূড়ায় ত্রিকোণাকার পেডিমেন্টে পদ্ম, শঙ্খ, গদা, চক্র ও ‘ওম’ চিহ্ন দেখে ধারনা করা যায় , এটা সম্ভবত মন্দির ছিলো । এই ভবনের সামনে বড় একটা ঘাসে ছাওয়া লন আর একপাশে গোমস্তা ভবন’ নামের এক তলা স্থাপনা।

কালিচরন লজের পশ্চিম পাশের দ্বিতল ভবনের নাম চৌধুরী লজ ।চুন সুরকি আর ইটের সমন্বয়ে তৈরি ভবনটির কার্নিশ, প্যানেলের কারুকাজ চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। এর দোতলায় উঠার সিঁড়ির রেলিং আর বারান্দায় আছে কাস্ট আয়রনের কারুকাজ করা রেলিং।এর সামনের বাগানে বাঘ, হরিণ আর বিভিন্ন পশু-পাখির মূর্তি রয়েছে। সেই আমলে জমিদাররা পশু-পাখি পুষতেন। সেই স্মৃতিতেই বুঝি মূর্তিগুলো বানানো।

চৌধুরি লজের পেছনে বেশ খানিকটা ফাঁকা জায়গার পরে একতলা আরেকটি ভবন, যা বর্তমানে অথিতি ভবন নামে পরিচিত । ভবনটির সামনের দিকে অনুচ্চ স্তম্ভের উপরে নির্মিত ত্রিফয়েল আর্চ যুক্ত প্রবেশদ্বার আছে।
অলংকরণের দিক থেকে আনন্দ লজটিকে সবচেয়ে সুন্দর মনে হয়। প্রাসাদের সম্মুখভাগে দোতলা পর্যন্ত লম্বা ছয়টি কোরান্থিয় স্তম্ভ , সামনের দিকে দুপাশে কারুকাজ করা দুটি ভ্যানিসিয় ঝুল বারান্দা , ছাদের রেলিং এবং কার্নিশে ফুলের মালা আর জ্যামিতিক অলংকরণ প্রাসাদটিতে আলাদা সৌন্দর্য্য যোগ করেছে।দু’পাশের বারান্দার উপরে প্যাঁচানো ধাঁচের লেগো দেখে মনে হয় এটি মহেড়া জমিদারির সিল!

জমিদার বাড়ির সর্ব পশ্চিমের ভবনের নাম মহারাজ লজ । এই লজ হচ্ছে সর্ববৃহৎ স্থাপনা, যা জমিদার গজেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর। ১২টি কক্ষ নিয়ে ভবনটি স্থাপিত।এসব স্থাপনা ছাড়াও এই জমিদারি কমপ্লেক্সের পেছনের দিকে রানী মহল, কর্মচারীদের থাকার জন্য নায়েব ভবন ও কাচারি ভবন নামে দুটি একতলা ভবন আছে । জমিদার বাড়ির সমস্ত এলাকা সুউচ্চ প্রাচির দ্বারা সুরক্ষিত।

১৯৭১ সালের ১৪ ই মে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে পাকবাহিনী মহেড়া জমিদার বাড়ীতে হামলা করে ।জমিদার কূলবধু যোগমায়া রায় চৌধুরীসহ পাঁচজন গ্রামবাসীকে চৌধুরী লজের মন্দিরের পেছনে একত্রে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে তারা। তাদের মধ্যে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক পন্ডিত বিমল কুমার সরকার, মনিন্দ্র কুমার চক্রবর্তী, অতুল চন্দ্র সাহা এবং নোয়াই বণিক ছিলেন। এরপরই জমিদার পরিবার দেশত্যাগ করেন।

মহেড়া জমিদারবাড়ি সভ্যতা আর ঐতিহ্যের এক অমূল্য নিদর্শন।অনিন্দ্যসুন্দর কারুকার্য আর বিশাল মহলগুলো আজো দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে ।পুরোনো হাজারো স্মৃতি, সুখ-দুঃখের কীর্তি লেপে আছে এই বাড়ির প্রতিটি পরতে।এই জমিদাররা অন্যান্য জমিদারদের মত অত্যাচারী ছিল না। করেছিল এলাকায় উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ। তবু মেনে নিতে হয় তাদের করুন পরিনতি। এর প্রতিটি ইট , প্রতিটি দেয়ালে লেখা আছে বেদনা বিধুর ইতিহাস। মহেড়া এখন পিকনিক স্পট, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার। তবে ইতিহাস খোজা মানুষের কাছে মহেড়া এক হাসি কান্না আর আর্তনাদের ইতিহাস।

ঢাকার মহাখালি থেকে নিরালা বাসে অথবা কল্যানপুরের খালেক পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে সোনিয়া / সকাল সন্ধ্যা বাসে উঠে পাকুল্লার পর পুলিশ রোড / ডুবাইল বাস স্ট্যান্ড নেমে সি এন জি নিয়ে জমিদার বাড়ি যেতে পারেন।

Post Copied From:Rassel Hossain‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

মহেরা জমিদার বাড়ী, টাঙ্গাইল

নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জমিদার বাড়ী! এরচেয়ে আরো অনেক বড় বড় আছে কিন্তু এত সুন্দর আর কোনটা দেখি নি। এখানে আমার দ্বিতীয়বার যাওয়া। এই জায়গার বিষয়ে নতুন একটা আপডেট দিতে চাচ্ছি। আজকে গিয়ে দেখলাম জমিদার বাড়ির পিছনে যে পুকুর ছিল তারও পিছনে খুব সুন্দর একটা পার্কের মত বানানোর কাজ চলছে এবং আজকেই বা গত ২-১ দিনের মধ্যেই সম্ভবত কাজ শেষ হয়েছে। বর্ণিল ফুলের বাগান, দেখার মত নানা ধরণের বেশ কিছু চেয়ার টেবিল আর চিলেকোঠার মত ছাউনি ইত্যাদি দিয়ে পুরো শুটিং স্পট বানিয়ে ফেলেছে। এখানে যেহেতু একটার বেশী ছবি দেয়া যায় না আর জমিদার বাড়ীটাই আসল আকর্ষণ তাই জমিদার বাড়ীর তোলা ছবিটাই দিলাম। তবে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে বাড়ির পিছনের নতুন পার্কটায় ঘুরে আসতে ভুলবেন না কেউ।

কিভাবে যাবেনঃ ঢাকার গাবতলি, মহাখালি, আব্দুল্লাহপুর থেকে টাঙ্গাইলের বাসে উঠলেই হবে। মির্জাপুর পার হওয়ার ১০ মিনিট পরে নাটিয়াপাড়া বাস স্ট্যান্ডের একটু আগে নামতে হবে। তারপর অটো অথবা রিক্সা।

কম খরচে ঢাকার আশেপাশেই ঘুরা যায় এমন অনেক সুন্দর জায়গা

কম খরচে ঢাকার আশেপাশেই ঘুরা যায় এমন অনেক সুন্দর জায়গায় আছে। যেখানে আপনি একদিনেই সহজে ঘুরে আসতে পারবেন।
চলুন জেনে নেই জায়গাগুলো সম্পর্কে – মোট ১৩ টি জায়গার বর্ণনা দেয়া আছে এখানে

১/ গোলাপ গ্রাম
নদী পথ পার হয়ে ছোট্ট একটি গ্রাম। তবে গ্রাম হলেও পুরোটাই গোলাপের বাগান দিয়ে পরিপূর্ণ। এখানে গেলে আপনার মনে হবে যেন বিশাল একটি গোলাপের বাগানে ভেতর আপনি ঘুরছেন। সরু পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখবেন রাস্তার দুপাশ গোলাপের বাগান দিয়ে ঘেরা।
যাতায়াত ব্যবস্থা
মিরপুর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ৩০ মিনিট পরপর ইঞ্জিনচালিত বোট ছাড়ে। সাহদুল্লাহপুর যেতে যেতে ৪৫ মিনিট- ১ ঘণ্টা লাগবে। সেখানে একেক জনের জন্য ২০-৩০ টাকা করে নিবে। অথবা নিজেরা হাতে চালানো বোট নিতে পারেন, যেতে দেড় ঘন্টার মতো লাগবে।

২/ পানাম ও মেঘনার পাড়
পানাম সিটি ঢাকা শহর থেকে একদমই আলাদা এবং অন্য রকম। পুরনো বাড়িগুলো দেখে দেখেই দিন পার হয়ে যাবে। পৃথিবীর ১০০ টি ধ্বংস প্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি পানামনগর। World Monument Fund ২০০৬ সালে পানামনগরকে বিশ্বের ধ্বংস প্রায় ১০০টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় প্রকাশ করে। ঈসাখাঁ-র আমলের বাংলার রাজধানী পানামনগর। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরনো অনেক ভবন রয়েছে, যা বাংলার বার ভূইয়াঁদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত।
ওখান থেকে কাছেই মেঘনা নদী। নদীর ওপারে গেলেই দেখবেন কাশফুলে ঘেরা বিস্তৃত মাঠ! চাইলে পানাম ঘুরা শেষে সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন।
যাতায়ত ব্যবস্থা
ঢাকার অদূরে ২৭কি.মি দক্ষিণ-পূর্বে নারায়নগঞ্জ এর খুব কাছে সোনারগাঁতে অবস্থিত এই নগর।ঢাকা থেকে যাতায়াত ব্যবস্থাও সহজ।গুলিস্থান থেকে ‘মোগরাপারা ‘ এর যেকোনো বাসে (সোনারগাঁপরিবহন) করে চলে আসা যায় ‘মোগরাপারা’, সেখান থেকে অটোরিকশাযোগে দশ-পনের মিনিটে চলে আসা যায় পানামনগরীতে।

৩/ বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জমিদারবাড়িগুলোর একটি। ঢাকা জেলা সদর থেকে পয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত।মোট সাতটি স্থাপনা নিয়ে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। জমিদার বাড়ির পুরটাই মনোরম পরিবেশে ঘেরা!
যাতায়ত ব্যবস্থা
ঢাকার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জ বা সরাসরি সাটুরিয়া যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে। জন প্রতি ভাড়া পড়বে ৬০-৭০ টাকা। সাটুরিয়া পৌঁছে সেখান থেকে রিকশা বা লোকাল সিএনজিতে করে জমিদার বাড়ি যাওয়া যাবে। জন প্রতি ভাড়া ১০ টাকা। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি রোববার পূর্ণদিবস আর সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ থাকে। অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও বন্ধ থাকে।
জমিদার বাড়িতে প্রবেশের জন্য টিকেটের মূল্য জন প্রতি ১০টাকা।

৪/ মহেরা জমিদার বাড়ি, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে ঘোরার মতন অনেক জায়গা আছে যা আপনি এক দিনে ঘুরে শেষ করতে পারবেন না। তবে তার মধ্যে মহেরা জমিদার বাড়ি সবচেয়ে সুন্দর। এটি তিনটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি। বাড়ির ভেতরের দিকে বিশাল খাঁচায় বিভিন্ন রকম পাখি পালা হয়।
তিনটি স্থাপনার প্রতিটাতে অসাধারণ কারুকার্য করা। এসব কারুকার্য দেখলেই মন ভরে যাবে।
যাতায়ত ব্যবস্থা
টাঙ্গাইলের জমিদার বাড়ি দেখতে হলে খুব সকালে বাসা থেকে বের হতে হবে। কারণ যেতে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা লাগবে। মহাখালি থেকে “ঝটিকা সার্ভিস” নামে বাস ছাড়ে। এছাড়া টাঙ্গাইল জাওয়ার আরো বেশ কিছু ভাল বাস আছে। মহেরা জমিদার বাড়ির বর্তমান নাম মহেরা পুলিশ ট্রেইনিং সেন্টার। ওখানে যেতে হলে নামতে হবে”নাটিয়া পাড়া” বাস স্ট্যান্ড এ। সময় লাগবে ২-২.৩০ ঘন্টার মত। নেমে একটা অটো রিকশা নিয়ে যেতে হবে। রিক্সায় করে সরাসরি মহেরা জমিদার বাড়িতে যাওয়া যাবে। ভাড়া ২০-৩০ টাকা। জমিদার বাড়ি ঢুকতে টিকেট কিনতে হবে, জন প্রতি ২০টাকা।

৫/ পদ্মা রিসোর্ট
ঢাকা থেকে ৪০ কি.মি. দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং নামক স্থানে পদ্মা নদীতে চড়ের উপর এই রিসোর্টটি অবস্থিত। পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত বলেও জায়গাটি অতি মনোরম আর সুন্দর। বর্ষা ঋতুর সময় গেলে আপনার বেশি ভালো লাগবে।
যাতায়াত ব্যবস্থা
ঢাকার গুলিস্তান, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী থেকে এই রুটে বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস প্রতি ১০/১৫ মিনিট পর পর চলাচল করে। গুলিস্তান সুন্দরবন স্কোয়ার মার্কেটের পূর্ব পাশ এবং যাত্রাবাড়ী গোলচত্বরের পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-লোহজং এর বাস ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে সড়কপথে এই জেলার ভাড়া ৬০ টাকা। মাওয়া ফেরিঘাট থেকে রিসোর্টে যাওয়ার জন্য রিসোর্টের নিজস্ব স্পীডবোট রয়েছে।
পদ্মা নদীর টাটকা ইলিশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে চাইলে যেতে পারেন পদ্মা রিসোর্টে। এছাড়া আরও রয়েছে টাটকা শাকসবজি, গরু, মুরগি ও হাসের মাংস। এছাড়া মৌসুমি ফলমূল তো রয়েছেই। সকালের নাস্তার জন্য জনপ্রতি খরচ পড়ে ১০০ টাকা এবং দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য জনপ্রতি খরচ পড়ে ৩০০ টাকার মতো।
পর্যটকগণ ইচ্ছা করলে অর্ধেক বেলা অথবা পুরো ২৪ ঘন্টার জন্য কটেজ ভাড়া নিতে পারেন। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ভাড়া ২,০০০ টাকা। সকাল ১০ টা থেকে পরের দিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত ভাড়া ৩,০০০ টাকা।

৬/ মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাটঃ
ঢাকা থেকে মৈনট ঘাটে আসার সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায়টি হচ্ছে গুলিস্তানের গোলাপ শাহর মাজারের সামনে থেকে সরাসরি মৈনট ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা যমুনা পরিবহনে চেপে বসা। ৯০ টাকা ভাড়া আর দেড় থেকে আড়াই ঘণ্টার বিনিময়ে আপনি পৌঁছে যাবেন মৈনট ঘাট। ফেরার সময় একই বাসে আবার ঢাকা চলে আসবেন। মৈনট থেকে ঢাকার উদ্দেশে শেষ বাসটি ছেড়ে যায় সন্ধ্যা ৬টায়।
গুলিস্তানের একই স্থান থেকে এন মল্লিক পরিবহনেও আসতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নামতে হবে নবাবগঞ্জের মাঝিরকান্দা নামক স্থানে। ভাড়া ৭০ টাকা। মাঝিরকান্দা থেকে লোকাল অটোতে দোহারের বাঁশতলা। ভাড়া ১৫ টাকা। চাইলে লক্ষ্মীপ্রসাদ নামক স্থানে নেমে পোদ্দারবাড়ি নামক পুরোনো বাড়িটিও দেখে নিতে পারেন। আর জজবাড়ি, উকিলবাড়ি, কোকিলপ্যারি দালান, খেলারাম দাতার বাড়ি যাকে স্থানীয়ভাবে আন্ধার কোঠা বলা হয়, এসব দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে চাইলে মাঝিরকান্দার আগে কলাকোপা নামক স্থানেই নামতে হবে।
যাইহোক, মাঝিরকান্দা থেকে বাঁশতলা আসার পর কার্তিকপুরগামী আরেক লোকাল অটোতে উঠতে হবে। ভাড়া ১৫ টাকা। কার্তিকপুর বাজার থেকে আরেক অটোতে মৈনট ঘাট। ভাড়া ১০ টাকা। রিকশায় গেলে ২০ টাকা। গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া থেকে নগর পরিবহনেও আসতে পারবেন। ভাড়া ৯০ টাকা। নগর পরিবহন নবাবগঞ্জের রুট ব্যবহার করে না। এই বাসটি আসে মুন্সীগঞ্জ হয়ে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কার্তিকপুর বাজারে নামতে হবে। ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়ে কদমতলী থেকে সিএনজিতেও আসতে পারবেন। লোকাল সিএনজি কদমতলী থেকে জনপ্রতি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা ভাড়া নিয়ে কার্তিকপুর বাজার পর্যন্ত আসে। এ ছাড়া যমুনা পরিবহন অথবা এন মল্লিক পরিবহন গুলিস্তানের যে স্থান থেকে ছাড়ে, একই স্থান থেকে জয়পাড়া পরিবহন নামক মিনিবাসটিও ছেড়ে আসে দোহারের জয়পাড়ার উদ্দেশে।

৭/ বেলাই বিল
গাজিপুরের বেলাইবিল মনোরম একটি জায়গা। চেলাই নদীর সাথেই বেলাই বিল।এখানে ইঞ্জিনচালিত আর ডিঙ্গি নৌকা দুটোই পাওয়া যায়।যেটাতে ভালো লাগে উঠে পড়ুন। সারাদিনের জন্য ভাড়া করে নিতে পারেন এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিলে নিজেরাই চালিয়ে ঘুরতে পারেন।
বিকেলে এই বিলের চারপাশে অপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়, সাথেশাপলার ছড়াছড়ি। শুধু চারিদিক তাকিয়ে থাকবেন। আবার কিছুক্ষণ পরপরই বাতাসের ঝাপটা লাগবে গায়ে। বেশি সময় নিয়ে গেলে অবশ্যই খাবার নিয়ে যাবেন। যাওয়ার সময়নদীরপাড় দিয়ে হাঁটতে থাকি,রওনাদেই আমাদের গন্তব্যে।
যেভাবে যাবেন
গাজিপুর সদর পর্যন্ত যাওয়ার পর, সেখান নেমে টেম্পুতে কানাইয়া বাজার যাবেন। ভাড়া নিবে ১০ টাকা করে। রিকশাতেও যেতে পারেন।কানাইয়া বাজারে নেমেই সামনে ব্রিজ আছে,ব্রিজ পার হয়েই নদীতে বাধা নৌকা ঠিক করে উঠে পড়ুন।
এছাড়াও নদীর পাশে‘ভাওয়ালপরগণা’ (শ্মশান ঘাটবা শ্মশান বাড়ি) আছে। চাইলে নদীর পাশেই এই শ্মশান বাড়িটি দেখে আসতে পারেন।

৮/ নুহাশপল্লী
হুমায়ূন আহমেদ-কে সবাই চেনেন, তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪০ বিঘা জায়গা নিয়ে তৈরি করেছেন ‘নুহাশ পল্লী’।নুহাশপল্লী গাজীপুরে অবস্থিত একটি বাগানবাড়ী, নুহাশ চলচিত্রের শুটিংস্পট ও পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র।নুহাশপল্লীতে ঢুকে মাঠ দিয়ে একটু সামনে এগিয়ে গেলে হাতের বামপাশে শেফালি গাছের ছায়ায় নামাজের ঘর।এরপাশেই পুরনো লিচু বাগানের উত্তর পাশে জাম বাগান আর দক্ষিণে আম বাগান। ওই লিচু বাগানের ছায়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।
নুহাশ পল্লীর পুরো জায়গাটি সবুজ গাছপালা দিয়ে আবৃত। দেখলেই মন জুরিয়ে যাবে। এখানে অনেক প্রজাতির এবং অনেক রকমের গাছ রয়েছে।গাছের গায়ে সেটে দেয়া পরিচিতিফলক রয়েছে। আরও রয়েছে সুইমিংপুল আর ছোট্ট পুকুর। মাঠের মাঝখানে একটি গাছের উপর ঘর তৈরি করা আছে, যা আবাক করবে আপনাকে!হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় অনেক নাটক সিনেমার অন্যতম শুটিংস্পট এটি।
তাই যারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ভক্ত আছেন তারা অবশ্যই এই জায়গায় ঘুরে আসুন।
যেভাবে যাবেন
প্রথমে গুলিস্তান থেকে প্রভাতী-বনশ্রী বাসে হোতা পাড়াবাজারে নেমে সেখান থেকে ছোট টেম্পুতে করে পৌঁছে যাবেন নুহাশ পল্লী। এছাড়া নিজস্ব গাড়ি বা মাইক্রো ভাড়া করে যেতে পারেন। এপ্রিল থেকে নভেম্বর নুহাশপল্লী দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
১২ বছরের উপরে জন প্রতি টিকেট লাগবে ২০০ টাকা।

৯/ শালবন বৌদ্ধ বিহার, কুমিল্লা
শালবন বৌদ্ধবিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতির অসংখ্য এবং চমৎকার সব প্রাচীনস্থাপনাগুলোর একটি।
দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেন।
যেভাবে যাবেন
প্রথমে কুমিল্লা শহরে যাবেন। কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কি. মি. দূরে কোট বাড়িতে শালবন বিহার অবস্থিত ।
ঢাকা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত বাসে যেতে ২-৩ ঘণ্টা লাগবে।কুমিল্লা এসে চলে যান টমটম ব্রীজ সিএনজি স্ট্যান্ডে। সেখানে সিএনজি করে কোটবাড়িতে এবং সেখান থেকে অটোরিকশা বা রিকশায় করে যেতে হবে শালবন বিহার।

১০/ আড়াইহাজার মেঘনার চর:
ঢাকার কাছে আড়াইহাজার চর এলাকা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খুব অল্প সময়ে।বিস্তীর্ণ এলাকায় এরকম মনোরম পরিবেশ আর কোথাও নেই শহরের আশেপাশে!
সারাদিনের জন্য ঘুরতে আসতে পারেন এখানে।নদীর তীরে ট্রলারে সন্ধ্যার সময়টা কাটাতে পারেন।ঢাকার কাছে মেঘনা নদীর মাঝখানে এই বিশাল বালির চর। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশিই কাশবন। এখানেবালি অনেক শক্ত তাই কোন চোরাবালির ভয় নেই। ভাটার সময় এখানে ঘুরতে যাওয়া বেশি সুবিধার। এ সময় ১০-১৫ ফিট বালির চরথাকে। দেখতে পারবেন কাশবন, খোলা আকাশে পাখির মেলা আর মাঝে মাঝে ট্রলার আর জাহাযের শব্দ।
যেভাবে যাবেন-
প্রথমে গুলিস্তান থেকে দোয়েল বা সদেশ পরিবহন এ মদনপুর যাবেন। ভাড়া নিবে ৪৫ টাকা। সেখানে নেমে আড়াইহাজার এর জন্য সিএনজি নেবেন। ভাড়া নিবে ৫০ টাকা।
মদনপুর নামার পর আশেপাশে অনেক দোকানপাট বা হোটেলে খেয়ে নিতে পারেন।
যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া এবং ট্রলারের খরচ মিলিয়ে মোটামোটি ৩/৪ জনের জন্য ৭০০-১০০০ টাকা খরচ হতে পারে।

১১/ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক:
বিস্তৃত শালবনের ভেতর প্রাচীর দিয়ে তৈরি এই পার্ক। ভেতরআছে সরু পিচঢালা সড়ক। দু’দিকে নানা প্রজাতির গাছ দিয়ে বিস্তৃত।থাইল্যান্ডের সাফারি ওয়ার্ল্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখেএশিয়ার সর্ববৃহত্তম বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বাংলাদেশের গাজীপুরে নির্মিত হয়েছে । ২ ইঞ্চি কাচের দেয়াল দিয়ে ঘেরা আছে হিংস্র বন্য পশুদের জায়গা। তাই আপনি তাদের কাছ থেকে দেখতে পারলেও ভয়ের কোন কারণ নেই। তাছাড়া খুব সুন্দর ব্যবস্থায় তৈরি করা হয়েছে এটি।
যা যা আছে-
পার্ক সমন্ধে যেকোনো তথ্য জানার জন্য এখানে প্রথমেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্র।কোর সাফারি পার্কে বন্য প্রাণীরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করে।পার্কের গাড়িতে চড়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পারেন বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, আফ্রিকান চিতা, চিত্রা হরিণ,জলহস্থি, নীল গাই, এবং আরও অনেক বিদেশী বন্য পশুও। তবে এখানে ঢুকতে ২০০ টাকা দিয়ে জন প্রতি টিকিট কাটতে হয়। সাফারি কিংডমে রয়েছে প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র, জিরাফ ফিডিং স্পট ও পেলিকেন আইল্যান্ড।মজার বিষয় হলো এখানে বিশাল জায়গা নিয়ে পাখিদের রাখা হয়েছে। পাখির খাঁচার কাছে যেতেই আপনার মন আনন্দে ভরে উঠবে। নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি এখানে আছে।
খাওয়া-দাওয়ার জন্য আছে টাইগার ও লায়ন রেস্টুরেন্ট।ওয়াচ টাওয়ার থেকে আপনি দেখতে পাবেন সমগ্র সাফারি পার্কের মনোরম দৃশ্য। দেখতে পাবেন পার্কের ভিতর বিচরণরত বন্যপ্রাণী।
এশীয় তৃণভোজী এবং ছোট মাংসাশী প্রাণী, পাখি সরিসৃপ ও উভয়চর প্রাণী নিয়ে এক্সটেনসিভ এশিয়া সাফারি প্রতিষ্ঠিত।এ ছাড়া তৈরি করা হয়েছে হাতির আশ্রম।বন্য পশুপাখির জলের চাহিদা পূরণ করার জন্য আছে আটটি জলধারা ও দুটি কৃত্রিম হ্রদ। এ ছাড়াও সাফারি পার্কে আছে বাটারফ্লাই পার্ক,বায়ো-ডাইভারসিটি পার্ক,স্নেক পার্কে ক্রোকোডাইল ও লিজার্ড পার্ক।সাফারি পার্কে হাতির পীঠে উঠার ব্যবস্থাও আছে।
যেভাবে যাবেন-
গাজীপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত বাঘের বাজার। সেখান থেকে আরও সামনে কিছু দূর থেকে দেখা যাবেবঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের গেইট।সেটি পার করে দেখতে পারবেন বাঘ, সিংহ, বাজ পাখি বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ভাস্কর্য।

১২/ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর কিংবা ঝিটকা:
ঢাকার কাছে সরিষা ফুলের রাজ্য মানিকনগর। কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি ভাড়া করে নিন।তাহলে ইচ্ছেমতো ভালো লাগা যেকোনো জায়গাতেই থেমে যেতে পারবেন।
যেভাবে যাবেন-
ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে সিঙ্গাইরের রাস্তা ধরে কিছুদূরসামনে গেলে ধলেশ্বরী ব্রিজপেরিয়ে বিন্নাডিঙ্গি বাজার থেকে বাঁয়ের সড়কে আরও সামনে মানিকনগর। সেখানে সড়কের দুইপাশে সরিষা ক্ষেত। সেখান থেকে আরেকটু দূরে গেলে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর কিংবা ঝিটকা এলাকায় আছে বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেত। এখানে বিকাল কিংবা সকালে গেলে আপনার মন ভরে যাবে।

১৩/ জল জঙ্গলের কাব্য, পুবাইল:
অসাধারন সুন্দর জায়গা,জল জঙ্গলের কাব্য একটি প্রাকৃতিক রিসোর্ট এর নাম। রিসোর্টটি পূবাইলে এক সাবেক পাইলট তৈরি করেছেন। তবে রিসোর্টে আধুনিক কিছু নাই বললেই চলে। পাইলট ভদ্রলোক খুব বেশি পরিবর্তন করতে চায়নি গ্রামটিকে।প্রকৃতিকে খুব বেশি পরিবর্তন না করে বিশাল এক জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে রিসোর্ট।
বিশাল একটি বিল, পুকুর আর বন-জঙ্গল আছে এখানে। যে কেউ চাইলে একটা দিন এখানে কাটিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। খুবই অন্যরকম পরিবেশ নিয়ে তৈরি এই রিসোর্ট।
যাতায়াত
নরসিংদী, ভৈরব বা কালিগঞ্জ এর বাসে পুবাইল কলেজ গেট নেমে পড়ুন।বামে রাস্তায় ব্যাটরী চালিত রিক্সায় করে প্রায় তিন মাইল গেলেই পাইলট বাড়ি বা জল জঙ্গলের কাব্য।
খরচটা একটু বেশী। তবে খাবার সেই খরচের ভেতরেই থাকবে। সারাদিনের জন্য জনপ্রতি ১৫০০ টাকা (সকালের সাস্তা, দুপুরের খাবার আর বিকেলে স্ন্যাক্স)।এক দিন এবং একরাতের জন্য ৩০০০ টাকা জন প্রতি। শিশু, কাজের লোক ও ড্রাইভারদের জন্য ৬০০ টাকা জন প্রতি।
নাস্তায় চিতই পিঠা, গুড়, লুচি, মাংশ, ভাজি, মুড়ি এবং চা। দুপুরের খাবার হিসেবে ১০/১২ রকম দেশী আইটেম। মোটা চালের ভাত, পোলাও, মুরগির ঝোল, ছোট মাছ আর টক দিয়ে কচুমুখির ঝোল, দেশী রুই মাছ, ডাল, সবজি এবং কয়েক রকমের সুস্বাদু ভর্তা।
খাবারের আয়োজনের ত্রুটি রাখেননি এখানকার কর্তৃপক্ষ।

Post Copied From:

AJ Aronno>Travelers of Bangladesh (ToB)

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে অবস্থিত প্রাচীন জমিদারবাড়ি মহেড়া।

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে অবস্থিত প্রাচীন জমিদারবাড়ি মহেড়া। এতো সুন্দর ও সযত্নে সংরক্ষিত মিদারবাড়ি এদেশে দ্বিতীয়টি নেই । মির্জাপুরে ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এ
মহেড়া জমিদারবাড়ি। ১৯৭২ সাল থেকে এ সুরম্য এ বাড়িতে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থাকায় পুরো জমিদারবাড়ি খুবই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত আছে। ঢাকা থেকে দিনে দিনেই ঘুরে আসা যায় এ জমিদারবাড়ি থেকে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ছেড়ে সর্পিল আঁকাবাঁকা পথ পেড়িয়ে চোখ আটকে যাবে বেশ কিছু ঝকঝকে প্রাচীন স্থাপনা থেকে। আট একরজুড়ে বিস্তৃত এই জমিদারবাড়ি। প্রধান ফটক দুটি। এ ছাড়া এই জমিদারবাড়িতে রয়েছে বিশাল তিনটি প্রধান ভবন। সঙ্গে রয়েছে কাছারিঘর, নায়েব সাহেবের ঘর, গোমস্তাদের ঘর, দীঘি আর তিনটি লজ। শুরুতেই বিশাল একটি দিঘি। নাম তার বিশাখা সাগর। এর ভেতরে পাশাপাশি তিনটি সুরম্য প্রাসাদ। ভেতরে আছে আরও কয়েকটি ভবন, মন্দির ইত্যাদি। সবুজ আঙিনার সামনে সমান সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি প্রাসাদই মহেড়া জমিদারবাড়ির প্রধান আকর্ষণ। সর্ব ডানের প্রাসাদটির নাম চৌধুরী লজ, মাঝেরটি আনন্দ লজ এবং সর্ব বাঁয়ে মহারাজা লজ। প্রতিটি প্রাসাদের প্রবেশপথে আছে সিংহ দরজা। ভবনগুলোর পেছনে রানীপুকুর ও পাসরাপুকুর নামে দুটি পুকুর আছে। ধারনা করা হয় বাড়ির নারী সদস্যরা এই পুকুরগুলো ব্যবহার করতেন। একটু পেছনের দিকে কালীচরণ লজ নামে আরও একটি সুরম্য প্রাসাদ আছে মহেড়া জমিদারবাড়িতে। তবে এটি সামনের তিনটি প্রাসাদ অপেক্ষা ছোট। কালীচরণ লজের পাশেই আছে নিপুণ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত মহেড়া জমিদারবাড়ির মন্দির।
ঢাকার মহাখালী বাস স্টেশন থেকে নিরালা, ধলেশ্বরী, ঝটিকা ইত্যাদি বাস যায় টাঙ্গাইল। ভাড়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। এসব বাসে চড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামুর্কি বাস স্টেশনের কিছুটা সামনে নামতে হবে। মহাসড়কের পাশেই মহেড়া জমিদারবাড়ির সাইনবোর্ড আছে। সড়কের শুরুতেই মহেড়া যাওয়ার দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। প্রয়োজনীয় তথ্য এ জমিদারবাড়িতে প্রবেশ মূল্য 50 টাকা। এখানকার দায়িত্বে নিয়োজিত লোকজন পর্যটকদের জন্য বেশ সাহায্য পরায়ণ।

Post Copied From:Rassel Hossain>Travelers of Bangladesh (ToB)