সোনামার্গ, শ্রীনগর, কাশ্মীর

কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, খরচ কেমন বা ওখানকার মানুষগুলো কতটা আন্তরিক? অথবা কলকাতা পুলিশের অহেতুক হয়রানি বা কাস্টমসের ঝামেলাগুলো, বা ভারতের সবচেয়ে বড় পর্যটক দেশ হওয়ার পরেও দিল্লি’র বেশ কিছু হোটেলগুলোয় “বাংলাদেশী নিষিদ্ধ” বলার কারন বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, দিল্লি রেডফোর্ট, আগ্রা ফোর্ট, তাজমহল, পেহেলগামে সিজনের প্রথম তুষারপাত, বা গুলমার্গের অসহ্য ঠান্ডা… এসব কেমন, কেন, এসব নিয়ে অনেকেই আগে অনেকবার বলেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। উনাদের কারণে আমাদের ট্যুরটা হয়তো সহজই হয়েছে তবে যে কথা উনারা কেউই বলেননি, যার জন্য আমার (অন্য দুই বন্ধুর তুলনামূলক কম) বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে আজ তা বলবো।
আমার মত যারা আছেন তাদের জন্য এই পোস্ট।
আমার মত মানে, যাদের আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে নাক দিয়ে পানি পড়ে তারা। আপনারা দয়া করে ভারত ভ্রমনে গেলে, যদি দৌড়ের উপর থাকেন দয়া করে বেশী করে পকেট টিস্যু নিয়ে যাবেন।
জোক করছি না।
আমাদের দেশে পান দোকানীর কাছেও যা পাওয়া যায় তা আপনি ওদের কিছু কিছু সুপার শপেও পাবেন না! ফলাফল, হয়তো আপনাকে প্রতিদিন দামী রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে আমার মত টিস্যু (নাকি টিস্যু সদৃশ কাগজ?!) পকেটে করে (চুরি বলবেন না, আমরা খাবারের দামের সাথে টিপস ও দিতাম!) নিয়ে আসা লাগবে আর নাহয় ছোটবেলার মত নাক পরিষ্কার করে প্যান্টে হাত মোছা লাগবে! আর যদি তাজমহলের মত জায়গায় ঢুকে কোন উপায় না দেখে বারবার নাক টানতে থাকেন… সে কথা আর না ই বলি।
তাই আমার মত যারা আছেন, ভারত যেতে দয়াকরে পাসপোর্টের পরে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তথা পকেট টিস্যু নিতে ভুলবেন না। 🙂

আর ঝামেলাগুলো? এমন হতেই পারে, তারাও প্রায় আমাদেরই মত, অতি সভ্য কোন জাতি না।ধন্যবাদ।

Post Copied From:Tanbir Roman‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

 

 

 

ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর

মন কেড়ে নেয়া পেহেলগাম।
সবুজের স্বর্গে ঘেরা পেহেলগাম নামক ছোট একটি গ্রাম।
চারদিক কত শান্ত।
যেভাবে যাবেন- চট্টগ্রাম থেকে বাসে কলকাতা-কলকাতা থেকে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস(ভাড়া ২৬০০ রুপি ততকাল) করে থার্ড এসি ,সময় ৫২ ঘন্টা চিৎপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে।জম্মু থেকে ৪ সিটার ৪০০০ রুপি দিয়ে পেহেলগাম সময় লাগে ১২ ঘন্টা।

Post Copied From:Mohammad Jobaed Khan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

গুলমার্গ

স্থান, তারিখঃ গুলমার্গ, কাশ্মীর, ২০/১১/২০১৭
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা-কলকাতা–দিল্লী-শ্রীনগর (বাই এয়ার), এরপর গাড়ীতে শ্রীনগর-গুলমার্গ। যাওয়ার আরো অনেক পন্থা আছে, তবে আমার সাথে ছোট বাচ্চা থাকায় বেশী সময় নিয়ে ট্রাভেলের রিস্ক নেয়া সম্ভব ছিল না।

Post Copied From:Taufikur Rahman‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

স্বর্গের খুব কাছাকাছি যাওয়ার অনুভূতি এখানেই

স্থান : আরু ভ্যালি, পেহেলগাম, কাশ্মীর।🗻
যাওয়ার রোড ছিলো: ঢাকা-কলকাতা(বাস)🚌, কলকাতা – শ্রীনগর (এয়ার)🛫, শ্রীনগর- পহেলগাম (ট্যাক্সি)🚕, পহেলগাম – আরু ভ্যালি(ট্যাক্সি

দেখার মত : পেহেলগামে বাইসারান (মিনি সুইজারল্যান্ড), বেতাভ ভ্যালি ও আরু ভ্যালি । এ স্পটগুলোই বিখ্যাত, এ ছাড়া লোকালদের গ্রাম ঘুরতে পারেন, দু তিনটা লেক আছে তুলিয়ান লেক শীশ নাগ লেক, মন্দির আছে কয়েকটা, লিডার নদীর পাশে একটা পার্ক আছে,,, লোকালদের গ্রাম ঘুরতে হলে হোটেল বয় বা ঘোড়া ওয়ালাকে বলুন।
আমি তুষার ঝরে আটকে গেছিলাম, হোটেল বন্ধ ছিলো, এক ঘোড়া ওয়ালা উনার বাসায় নিয়ে লাঞ্চ করিয়েছিলো, রুটি সবজি আর একরকমের ডাল,,
পেহেলগামে একটা বিখ্যাত মিষ্টি আছে কালাকান্দ বা এ জাতিয়, খালি দুধের দলা মনে হয়েছে,যারা দুধ পছন্দ করে তাদের ভালো লাগবে।
হাটতে হাটতে ঘুরবেন এলো মেলো তাহলে অনেক কিছু ঘুরে দেখা যায়।

Post Copied From: She Tu‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সল্প খরচে লাদাখ কাশ্মীর ভ্রমন

খরচ>> ২৩০০০ রুপি কলকাতা টু কলকাতা
সময়> ১৩ দিন
৭ জনের ২টা গ্রুপ।

আমাদের রুট টা ছিল কলকাতা> দিল্লী> মানালি> লেহ> পাঙ্গন লেক> তুরতুক> নুব্রা ভ্যালি> শ্রীনগর> সোন্মারগ> পেহেল্গাম> গুল্মারগ> দুধপাত্রি।

১ম দিন > বিকেল ৫ টায় শিয়ালদাহ থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস ছিল দিল্লী যাওয়ার জন্য এবং ভাড়া ছিল ২২০০ রুপি। এরপর দিন সকাল ১১ টার দিকে দিল্লী পৌছে গিয়েছিলাম।

২য় দিন > দিল্লীর পাহারগঞ্জ এলাকাই হোটেল ছিল সারাদিন রেস্ট নেওয়ার জন্য রেন্ট ৪০০ রুপি নিয়ে ছিল এবং জনপ্রতি পড়েছিল ১০০ রুপি, আর দুপুরে খাওয়া ১৫০ রুপি।
ওইদিন বিকেল ৫টাই বাস ছিল মানালির জন্য এবং ভাড়া ছিল ১৪০০ রুপি। রাতের খাওয়া ১৫০ রুপিতে হয়ে গিয়েছিল ভালমানের একটা হোটেল এ।

৩য় দিন > সকাল ৭টার দিকে মানালি পৌছে গিয়েছিলাম, হোটেল এ পৌছে রেস্ট নিয়ে সকাল ১১ টার দিকে লেহ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ছিলাম। মানালি টু লেহ গাড়ি ভাড়া ছিল ২৫০০০ রুপি ১৪ সিটের গাড়ি, জনপ্রতি ১৮০০ রুপির মত। ওইদিন সন্ধায় জিস্পাতে চলে এলাম, রাতটা ওখানেই কাটিয়েছিলাম তাবুতে। ভাড়া ছিল ১৫০০ রুপি করে রাতের খাবার সহ। এক তাবুতে ৩ জন সহজেই থাকা যাই, জনপ্রতি পরবে ৫০০ রুপি।

৪থ দিন > খুব ভোরে আবার গাড়ি চলা শুরু করল, গন্তব্য লেহ সিটি, অনেক তাড়াতাড়ি বের হতে হয়েছিল কারন ওইদিন অনেকটা পথ যেতে হবে এবং অনেক উচু উচু পাস পার হতে হবে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে লেহ সিটিতে পৌছে গিয়েছিলাম। অনেক ভাল একটা হোম স্টে তে উঠেছিলাম, রুম ভাড়া ছিল ১৭০০ রুপি করে প্রতি রুম, রাতের খাবার এবং সকালের নাস্তা সহ। ৩ জন করে থাকা যাই এক রুম এ, জনপ্রতি ৫৫০+ রুপি।

৫ম দিন > এর আগের দিন টানা জার্নির কারনে কোথাও বের হয় নি, সারাদিন রেস্ট এ ছিলাম বলতে গেলে, দুপুরের আগে লেহ সিটি মার্কেট এরিয়াতে চলে গেলাম পারমিশন এবং গাড়ি ঠিক করতে।পারমিশন জনপ্রতি ৫৫০ রুপি এবং গাড়ি ভাড়া ১৫০০০ রুপি। জনপ্রতি টোটাল লেগেছিল ২৭০০ রুপি।

৬ষ্ট দিন > ২৭০০ রুপিতে পাঙ্গন লেক, তুরতুক, নুব্রা ভ্যালি ঘুরব কখন ভাবি নি, কিন্তু আসলেই ঘুরেছি, লেহ থেকে তুরতুক, নুব্রা, পাঙ্গন লেক যাওয়ার পারমিশন নিয়েছিলাম ৫৫০ রুপি এবং ৩ দিন এর গাড়ি ভাড়া ছিল জনপ্রতি ২১৫০ রুপি। সকাল ৭ টার দিকে রওনা দিয়েছিলাম পাঙ্গন লেক এর উদ্শ্য, সকাল ৮টার দিকে ড্রাইভার আমাদের নিয়ে গেল 3 Idiots স্কুল এ, আধা ঘণ্টার মতো সে স্কুল এ ছিলাম, ঘুরে দেখলাম। আবার রওনা দিলাম লেকের উদ্দেশ্যে, ১২টার দিকে পৌছালাম #চাংলালা_পাস, হালকা চা নাশতা করে আবার গাড়ি চলা শুরু করল। রাস্তা, প্রকৃতি সব কিছু বলতে গেলে এক কথায় অনেক সুন্দর। দুপুর ২টার কিছু আগে পৌছে গেলাম পাঙ্গন লেক। দুপুরের খাওয়া সেরে ছবি তোলা, ঘুরে দেখলাম সব কিছু।

বিকেলের দিকে পাঙ্গন লেক থেকে কিছু ১০ মিনিট দুরুত্তে কটেজ এ ছিলাম রাতটা, ভাড়া নিয়ে ছিল ১৫০০ রুপি করে, রাতের খাওয়া এবং সকালের নাস্তা। কটেজ লেক থেকে খুব কাছেই ১ মিনিট লাগে।

৭ম দিন>খুব ভোরে বের হয়েছিলাম, গন্তব্য পাকিস্তান সীমান্তঘেঁষা গ্রাম তুরতুক দেখতে। আবার সেই সুন্দর পাহাড়ি রাস্তা, তবে এইদিন অনেকটা পথ লেহ শহরের দিকে আসতে হয়, মাঝখানে পরে #সিয়ক বাইপাস। এই #সিয়ক বাইপাস ধরে আমাদের গাড়ি এগিয়ে চলল তুরতুক এর দিকে। পথের মাঝে অনেক পাহাড়ি ঝর্না, নদী, ছবি তোলার অসংখ্য জায়গা আছে। আশা করি ভালোই লাগবে সবার। দুপুরের দিকে পৌছে গেলাম #নুব্রা ভ্যালীর কিছু আগে, দুপুরের খাবারটা #বুফেদিয়ে সেরে নিয়েছিলাম তারপর খানিকটা রেস্ট, আবার গাড়ি চলতে শুরু করল। কখনো পাহাড়ের ধার ঘেঁষে আবার কখনো নদঈর পাশ দিয়ে, কখনো উঁচু পাহাড় বেঁয়ে বিকেলবেলা তুরতুক পৌছে গেলাম। গাড়ি থেকে নেমেই হোমস্টে তে উঠলাম, সাজানো বাড়ি, জনপ্রতি ৩৫০ রুপি রাতের খাবার এবং সকালের নাস্তা।

৮ম দিনঃ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেই বের হলাম #তুরতুক গ্রাম দেখার জন্য, পাহাড় ঘেঁষা পাথরের বাড়ি, সবজি বাগান, আখরোট এর বাগান,ঝর্না,গ্রাম্য প্রকৃতি সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর। ৯ টার দিকে ঘুরে এসেই সকালের খাবার খেয়ে বের হয়ে আসলাম তুরতুক গ্রাম থেকে। এইবার আমাদের গন্তব্য #নুব্রা ভ্যালীর #মরুভুমি এবং #দুই কুজ বিশিষ্ট উঠ। ২০০ রুপি করে জনপ্রতি উঠের পিঠে করে ঘুড়া যাই। নুব্রা ভ্যালী ঘুড়া শেষে অল্প কিছু দুরের #ডিস্কিট ্মনেস্ট্রি। উঁচু পাহাড়ের উপর বিশাল বৌদ্ধ মন্দির ও মূর্তি। ৩০ রুপি দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে দেখতে পারেন #নুব্রা ভ্যালীর আসল সৌন্দর্য আর বৌদ্ধ মন্দির ও মূর্তি। মন্দির ঘুরা শেষে দুপুরের খাওয়াদাওয়া করলাম। এই দিনের মুল আকর্ষণ ছিল #খারদুংলা_পাস যার উচ্চতা ১৮৩৬০ ফুট। খাওয়া শেষে গাড়ি খারদুংলার উদ্দেশে যাত্রা করল, তখনি কিছুটা অনুভব করছিলাম আমারা উপরের দিকে উঠতেছি, বাতাস কনকনে ঠান্ডা আর আঁকাবাঁকা পাহাড়ি বাঁক বেঁয়ে ২ ঘন্টা পর পৌছে গেলাম খারদুংলা।

ইয়েস পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু রাস্তা, গাড়ি থেকে নামতে টের পেলাম কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস আর ধবধবে সাদা বরফ, ছবি তুললাম, আর্মি ক্যাম্পে চা খেলাম আর কনকনে ঠাণ্ডা অনুভব করলাম মন ভরে। বলা হয়েছিল খারদুংলা থেকে যত তাড়াতাড়ি পারা যাই নিচের দিকে নেমে যেতে, আশলেই ঠাণ্ডা আর অক্সিজেন সল্পতা। আর মাত্র ৩০ কি মিঃ দূরে লেহ সিটি। ১০ মিনিটের মত ছিলাম খারদুংলাতে, তারপর ১ ঘন্টা পর লেহ শহরে চলে আসলাম।

#লাদাখ গুরবেন এইভাবে>>
১ম দিন পাঙ্গন লেক
২য় দিন নুব্রা ভ্যালি ক্যামেল রাইডিং করে তুরতুক
৩য় দিন তুরতুক ঘুরে খারদুংলা ঘুরে লেহ সিটি

৯ম দিনঃ আমাদের আজকের টার্গেট ছিল লেহ থেকে কাশ্মীর চলে যাব।তাই আগের দিন রাতে গাড়ি ঠিক করে রেখেছিলাম, সকাল ৬টাই গাড়ি এসে হাজির। ঝটপট উঠে পরলাম কারন আজকে আমাদের ১২ ঘন্টা জার্নি করতে হবে। সকালের লেহ সিটি ছেড়ে লেহ কাশ্মীর হাইওয়েতে চলে আসলাম। ৯টার দিকে সকালের নাস্তা করলাম হাইওয়ের পাশেই দোকানে, নামটা মনে নেই। দুরন্ত গতিতে গাড়ি ছুটে চলছে কাশ্মীর এর দিকে, ১টার দিকে আমারা কার্গিল পৌছে গেলাম, গাড়ি থেকে কার্গিল শহরটা দেখে নিলাম। তার কিছু পর ড্রাইভার গাড়ি থামাল #কারগিল_ওয়ার_মেমোরিয়াল এর সামনে। পাসপোর্ট দেখিয়ে এন্ট্রি করে ঘুরে দেখলাম পুরোটা, আবার গাড়ি ছুটে চলল কাশ্মীর এর দিকে, ঘন্টাখানেক চলার পর ইন্ডিয়ান আর্মির চেকপোস্ট পড়বে, সেখানে আপনাকে পাসপোর্ট এন্ট্রি করে নিতে হবে, এইটাকে বলা হয় কাশ্মীর ঢুকার মুখ। আশে পাশে দেখবেন ভেড়ার পাল, রাতের বেলা নাকি এইসব জাইগায় অনেক বন্য প্রাণী দেখা যাই।
জোজিলা পাস অল্প কিছু দুরে দেখতে পারবেন এই রাস্তাই, অনেক ভয়াবহ একটা রাস্তা, খুব সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়, পাথুরে আঁকাবাঁকা রাস্তা, ধিরে ধিরে আপনি ১০০০০+ ফুট থেকে নিচে নেমে যাবেন। যাওয়ার পথেই বিখ্যাত #সোন্মারগ পড়বে। বরফে ঢাকা পাহাড়, ঘন পাইন বন আশা করি ভালো লাগবে সবার।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌছে গেলাম কাশ্মীর শহরে, ডাল লেক পাশ ধরে এগিয়ে চলল গাড়ি, #খায়াম_চক এরিয়াতে ছিলাম আমরা।

জনপ্রতি ১৯৭০ রুপি তে কাশ্মীর ভ্রমনঃঃ (লেহ টু কাশ্মীর ৮০০০ রুপি, সিটি ট্যুর ১২০০ রুপি, পেহেল্গাও, দুধপাত্রি, গুল্মারগ গাড়ি ভাড়া ৪৬০০ রুপি)।
হোটেল ভারা ছিল ৮০০ রুপি করে #গিজার#wifi সহ।

১০ম দিনঃঃ আজকে আমাদের প্লান কাশ্মীর সিটি ট্যুর, ১১টার দিকে গাড়ি ছাড়ল। প্রথমে গেলাম ডাল লেকের পাশের শিব মন্দিরে, তারপর কাশ্মীর বোটানিক্যাল গার্ডেন, মুঘল গার্ডেন, দরগাহ, কাশ্মীর ইউনিভার্সিটি এই সব দেখে বিকে ৪টার দিকে হোটেল এ ফিরে এসেছিলাম। বিকেল্টা রেস্ত নিয়ে সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিলাম #লাল চক এ, যেখানে শাল, ড্রাই ফ্রট সব কিছু পাইকারি দামে মিলবে।

১১তম দিনঃঃ সকাল ৭টার পর বের হয়েছি #পেহেল্গাম যাওয়ার জন্য, প্রায় ১০০ কি মিঃ দুরে শ্রী নগর থেকে। ৯টার দিকে কোন এক আপেল বাগানের পাশের ঢাবায় আমাদের নাস্তার বিরতি ছিল। নাস্তা করে ঘুরে দেখলাম আপেলের বাগান, চাইলে আপনি আপেল কিনতে পারবেন ২০-৩০ রুপি দিয়ে আবার ২০ রুপি করে আপনার সামনে বানানো আপেলের জুস খেতেও পারবেন।
আর যাওয়ার পথে অসংখ্য আপেল বাগান তো আছেই। ১০টার দিকে পৌছে গেল্লাম #পেহেল্গাম। গাড়ি থেকে নেমে হালকা চা খেয়ে ঘোড়া ঠিক করতে গেলাম, ১০০০ রুপি করে চাই জনপ্রতি, অনেক দরদাম করে ৫০০ রুপি দিয়ে ঠিক হল আর জ্যাকেটের জন্যা আলাদা ৫০ রুপি। ঘটাখানেক ঘন পাইন বনের ভিতর দিয়ে ঘোড়া করে চড়ার পর #বাইসারন চলে এলাম জাকে #মিনি_সুইজারল্যান্ড বলে। গভীর পাহাড়ের মধ্যে বিশাল সমতল জাইগা, ভালো লাগবে সবার #ঘোড়ায় চড়া, পাইনের জঙ্গল সবকিছু।
দুপুরের খাবার খেয়েই আবার গাড়ি ঠিক করতে হল #অরু_ভ্যালি এবং #বেতাব_ভ্যালি যাওয়ার জন্য কারন কাশ্মীর এর কোন গাড়ি এইখানে চলতে দেওয়া হয় না, লোকাল গাড়ি নিতে হবে ৮ সিটের। ট্যাক্সি ইউনিয়ন আছে সেখান থেকে ভারা করতে হয়। ভারা নিয়েছিল ১৩০০ রুপি। আরেক সুন্দর রাস্তা হল এই দুই ভ্যালি যেতে। ঘুরে দেখতে পারেন বিভিন্ন হিন্দি ছবির অনেক শুটিং এইসব ভ্যালিতে হয়েছিল। যারা পেহেলগাঁও থাকতে চান তারা #সরগ_প্যালেস এ থাকতে পারেন ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ রুপি।
গুল্মারগঃঃ গুল্মারগ এ ডে_ট্রিপ নিতে পারেন, সকালে বের হলে ঘন্টা দুয়েক এর মধ্যে পৌছানো যাই, সেখান থেকে হেঁটে বা ঘোড়াই ছড়ে গন্ডোলা রাইড এ। যেখানে ১ম ফেইজ এ নিবে ৭০০ রুপি যেখানে আপনি গুল্মারগ থেকে কুংডর নামক জাইগায় পৈছাবেন, আবার ২য় ফেইজে নিবে ৯০০ রুপি যেখানে আপনি কুংডর থেকে আওরপথ যাবেন। ২ম ফেইজে গেলেই আপনি ভালোই বরফ পাবেন, আশে পাশে অনেক ঘুরার জাইগা রয়েছে। আর সব টিকেটে আপনি যেতে ও আস্তে পারবেন।
লেহ থেকে আসার পথে সোন্মারগ দেখেছিলাম বলে আমরা আর যাইনি, শিকারা রাইড করেছিলাম ৩০০ রুপি দিয়ে ২ ঘনটার জন্য বিখ্যাত ডাল লেকে।
সবচেয়ে মজার জার্নি হল ১০০ রুপি দিয়ে সিটি ভ্রমন টুরিস্ট বাসে করে।

কাশ্মীর থেকে যদিও আমি এয়ারে চলে এসেছি, এয়ার ছাড়া আসার উপায় হল প্রাইভেট গাড়ি, বাস, শেয়ার জিপ।

শ্রী নগর এর যেকোন যাইগা হতে জেতে হবে TRTC বাস কাউন্টার ভারা ৪০/১০০ রুপি নিবে অটো। TRTC থেকে বাস ছাড়ে সকাল ৭ টার দিকে জম্মুর জন্য ভাড়া ৫৬০ রুপি। আবার শেয়ার জিপ এ করেও আসা যাই ৯০০ থেকে ১২০০ রুপি নিবে। জম্মু থেকে আপনি সোজা হিমগিরি এক্সপ্রেস করে কলকাতা আস্তে পারবেন সময় লাগবে ৩৬+ঘণ্টা। ভাড়া নিবে ১৯৮০ রুপি।
অথবা জম্মু থেকে দিল্লী, দিল্লী থেকে কলকাতা।

#অনেকে লেহ বা কাশ্মীর একা বা দুইজন বা তিন জন মিলে ঘুরতে জেতে চান, তাদের জন্য কিছু তথ্য>

আপনি বা আপ্নারা যদি বাজেট ট্রাভেলার হন কলকাতা থেকে দিল্লী স্লিপার এ করে আসুন ভাড়া ৬০০ থেকে ১২০০ রুপি পরবে, দিল্লী থেকে মানালি অনেক বাস ছেড়ে যাই ভাড়া ৫৭০ রুপি থেকে ১৪০০ রুপি পড়বে, মানালি থেকে লেহ এর জন্য বাস ছাড়ে ভাড়া ৫০০++ মনে নেই আসল টা কত। মাঝে একটা রাত কেলং স্টে করবে সেতার খরচ আপনার। আপনি দ্বিতীয় দিন রাতে লেহ তে পৌছে যাবেন। আপনি বা আপ্নারা যেহেতু দুইজন বা তিন জন তাই আপ্নারা কখনো পুর একটা গাড়ি ভাড়া নিবেন না, সেক্ষেত্রে লেহ মল রোড এ অনেক ট্রাভেল এজেন্সি আছে যারা লোক খুজে অনেকটা এই ভাবে> 2 person looking for pangon lake /tsomoriri /date / time …. আপ্নারা অদের সাথে কথা বলে সিডিউল মিলিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
আর বাই রোড এ লেহ আসতে না চাইলে এয়ারে আসতে পারেন, ভাড়া ৩০০০++ রুপি যদি মাস খানেক আগে টিকেট কাটেন।

#কাশ্মীর

কাশ্মীর এর শ্রীনগর হল মেইন পয়েন্ট, এই খান থেকে আপনি পেহেলগাও, গুল্মারগ, সোন্মারগ জেতে পারেন, যদি আপনি একা বা দুইজন বা তিন জন হন তাহলে আপনি বা আপনারা #অটো নিয়ে সিটি ট্যুর দিতে পারেন দরদাম করতে পারলে ৪০০ থেকে ৫০০ রুপিতে হয়ে যাবে। আর পেহেল্গাও যেতে হলে আপনার TRTC বাস কাউন্টার এ এসে আপনি শেয়ার ট্যাক্সি পাওয়া যাই, তবে ২ ভাগ করে যেতে হয় ভাড়া ২০০ রুপি পড়বে।

আর সেটা যদি করতে না চান তাহলে আপনি সোন্মারগ , পেহেল্গাও এর জন্য অটো ভাড়া নিতে পারেন, আমাকে #সিটি ট্যুর আর #সোন্মারগ আর পেহেল্গাও এর ৩ দিনের জন্য ৩০০০ রুপি চেয়েছিল, আশা করি দরদাম করলে আর কমানো যাবে। গুল্মারগ কি কারনে যেন যাবে না বলেছিল।

নোটঃঃ

১। গ্রুপে যাবেন সবাই, তাই সবাই নিজেদের এবং সবার দিকে লক্ষ্য রাখবেন, কারন রাস্তা অনেক দুর্গম, আপনি সুস্থ আছেন বলে আরেকজন অসুস্থ হতে পারেনা এমনটা ভাব্বেন না, হয়ত দেখবেন আপনি অসুস্থ হয়ে পরলেন তখন আপনার গ্রুপের লোকেরাই আপনার দেখভাল করবে পরিবারের মত।

২। ঠাণ্ডা অনেক বেশী তাই একটা ভারি শীতের কাপড়, একটা হালকা এবং হাত মোজা, টুপি, পায়ের মোজা নিবেন অবশ্যই একটা মাস্ক।

৩। চেষ্টা করবেন বাইরের পানি না খেতে।

৪। বেশী করে লিপ জেল, ঠাণ্ডার ওষুধ, বমির জন্য #ডায়ামক্স অর #এসিমক্স খাবেন। কর্পূর নিবেন অক্সিজেন সল্পতাই কাজে লাগবে।

৫। লাদাখে পৌছে একটা দিন রেস্ট নিবেন, কারন আগামি তিন দিন আপনার অনেক জার্নি করতে হবে।

৬। লেহ তে পৌছে ডে ট্রিপ না নিয়ে হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখতে পারেন অনেক অনেক বেশী ভালো লাগবে, আবার বাইক ভাড়া নিয়েও ঘুরতে পারেন, হাফ ডের জন্য ৫০০ রুপি নিবে।

৭। পুরো জার্নিতে খাওয়ার খুব কস্ট হবে, চেস্টা করবেন শুখনো খাবার রাখতে।তাতে আপনার টাকা বাচবে এবং শরীর।

৮। গাড়ি ঠিক করতে কখনো হোটেল মালিকের উপর নিরভর করবেন নাহ, কারন সে একটা কমিশন পাবে কি দরকার সেটা দেওয়ার। লেহ মল রোড এ অনেক গাড়ি আছে, দরদাম করে ঠিক করবেন।
আমাদের লেহ টু পাঙ্গন লেক, নুভ্রা ভ্যালি, তুরতুক মানে দুই রাত তিন দিন এর জন্য ১৫০০০ রুপি নিয়েছে, #জাইলো ৭ সীটের। যেখানে হোটেল মালিক ১৬৫০০ চেয়েছে। কিন্তু ইউনিয়ন প্রাইস ছিল ১৯২০০ রুপি কিন্তু তাতে ১৫% ছার দে সবাই।

৯। লেহ থেকে শ্রী নগর আপনি বাস এ করে আস্তে পারবেন আবার শেয়ার ট্যাক্সি করে আবার গাড়ি ভাড়া করে। আমরা এসেছিলাম ৮সিটের গাড়ি ভাড়া করে, আর ভাড়া নিয়েছিল ৮০০০ রুপি, যেখানে হোটেল মালিখ এবং ইউনিয়ন কে ১১০০০ রুপি বলে ফেলেছিলাম।

JK01, JK02, JK07 এই নাম্বার এর গাড়ি গুলোর খোঁজ করবেন, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড এ বা পেট্রোল পাম্প এ গেলে পাবেন। এই গুলো শ্রী নগর এর গাড়ি, জারা ৭০০০ রুপি পেলেও আপনাকে নিয়ে যাবে।

১০। আগে থেকে ট্রেন টিকেট বা বিমান টিকেট কেটে ফেলবেন তাতে দাম অনেক কমে পাবেন।

১১। খাবার খরচ জনপ্রতি ৩০০ রুপি করে রাখবেন প্রতিদিনের জন্য।

Post Copied Post:Suvra Dhar>Travelers of Bangladesh (ToB)

কাশ্মীর

ওয়াটার স্কি নিতান্তই একটি বিপদজনক কাজ। আর এই কাজটি বেশ আনন্দের সাথেই সম্পন্ন করেছিলাম কাশ্মীরের ডাল লেকে .অফ সিজন বলে খরচ কম পড়েছিল ,মাত্র ৩০০ রুপি .
ছবির কোনো সফট কপি আপনাকে দেয়া হবে নাহ, তাদের কাছ থেকেই প্রিন্ট করে নিতে হবে . 6R দুটো ছবি প্রিন্ট করতে ৩০০ রুপি লেগেছে .

কাশ্মীরে গেলে অবশ্যই ওয়াটার স্কি করবেন মাস্ট , অসাধারণ এক্সপেরিয়েন্স হবে .

যেভাবে সহজেই যাবেন কাশ্মীর –

ঢাকা টু কলকাতা বই রোড/এয়ার /ট্রেন .
কলকাতা থেকে ট্রেনে জম্মু ,জম্মু থেকে শেয়ার টেক্সী করে শ্রীনগর . অথবা কলকাতা থেকে ফ্লাইটে সরাসরি শ্রীনগর .

Post Copied From:

Rezwan Karim‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

পেহেলগাম, কাশ্মীর

স্বর্গীয় স্বর্গ প্যালেস…!! (পেহেলগাম, কাশ্মীর)

আচ্ছা এই পৃথিবীতে যদি কখনো স্বর্গ পেতে চান, তবে কি কি চাইবেন আপনি? আমার যেটা মনে হয় পৃথিবীতে স্বর্গের মত কিছু চাওয়া মানে এক-এক জনের কাছে চাওয়াটা এক-এক ধরনের হবে। কারন প্রতিটি মানুষের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকে। তবে এই স্বর্গ বা স্বর্গের মত কিছুর মধ্যে কি কি থাকতে পারে?

আমার তো মনে কোন এক পাহাড়ের দেয়ালে ঝুলে থাকা এমন একটা ঘর যেখানে বসে, শুয়ে বা আঙিনায় দাড়িয়ে আপনি একই সাথে পাবেন আপনার ভালোলাগার সব, সব, সবকিছু একই সাথে! ঠিক এমনই স্বর্গীয় একটি কটেজ পেয়েছিলাম কাশ্মীরের পেহেলগামে। যেখানে অপার্থিব অনেক কিছুই একই সাথে ধরা দিয়েছিল আমাদের হাতে! সবরকমের পাহাড়, ঝর্ণা, অরণ্য, বয়ে চলা নদী, মেঘ-কুয়াসা, রঙ-বেরঙের ফুল, সবুজ গালিচা, অরণ্যে-অরণ্যে ঘোড়ার পাল, নানা রকম ফল!

ধরুন, কেউ পাহাড় ভালোবাসেন, তিনি পাহাড় চাইবেন হয়তো। কিন্তু কেমন পাহাড় চান আপনি? সবুজ? রুক্ষ, অরণ্যে ঘেরা? মেঘে ঢাকা? কুয়াসা মাখা? নাকি বরফে জড়ানো? কোন রকমের পাহাড় পেতে চান আপনি? সব রকমের পাহাড় পাবেন আপনি একে-একে সুখের স্বর্গীয় স্বর্গ প্যলেসে বসে বা শুয়ে থেকেই!

কেউ হয়তো পাহাড় ভালোবাসেনা তেমন একটা, নদী ভালোবাসেন। পাবেন উত্তাল, খরস্রোতা, পাথরে-পানিতে মাতলামি করা লিডার নদী। যেখানে চুপচাপ বসে থাকতে পারেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোন রকম ব্যাস্ততা ছাড়া। চাইলে বসতে পারেন নদীর একদম মাঝখানে কোন পাথরের উপরে! তখন লাগবে বলুন? নদীর মাঝখানে বসে আছেন আপনি, চারদিকে নানা রকম পাহাড়ের দেয়াল, আশেপাশে ঝর্ণা ধারা আর পাহাড়ে, পাহাড়ে পাইনের অরণ্য!

আচ্ছা নদী বা পাহাড় ভালো লাগেনা? ঝর্ণা ভালোলাগে, বা পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধারা যা নদীতে পতিত হয়? তবে সেটাও পাবেন একটু সামনে ডানে বা বামে গেলেই। হয়তো ঘাড়টা একটু উচু করতে হবে বা এদিক সেদিক ঘোরাতে হবে, এই যা!

কারো হয়তো পাহাড়, নদী, ঝর্ণা এসবের চেয়ে বেশী পছন্দ ঘন সবুজ বনানী, তবে তো কথাই নেই। আপনার সামনে-পিছনে, ডানে-বায়ে যেদিকে তাকাবেন আর যাবেন শুধু বন আর বনানী। যেখানে হেটে-হেটে গভীরে যেতে পারেন নিজের ইচ্ছামত, তবে অবশ্যই দল বেঁধে অরণ্যের ভিতরে যেতে হবে। কোন বন্য পশুর আক্রমণ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে।

হেটে, বসে বা ঝর্ণায় ঘুরে ক্লান্ত হয়ে গেছেন? বা এতো ঘোরাঘুরি, হাঁটাহাঁটি করতে মন চাইছেনা? তবে ফিরে আসুন স্বর্গ প্যালেসের সবুজ গালিচায়, ওখানে বসেই কাটিয়ে দেয়া যায় কয়েকটি দিন অনায়াসেই। এক মগ গরম কফি হাতে নিয়ে বসতে পারেন স্বর্গ প্যালেসের খোলা বেলকোনিতে, বারান্দায়, ডাইনিংএ, সবুজ গালিচায় বা সেটাও যদি ইচ্ছা না হয় তবে নিজের রুমে বসেই আপনি উপভোগ করতে পারেন উপরের সকল প্রকৃতি একই সাথে।

কখনো হয়তো মেঘ থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি নামবে, স্বর্গ প্যালেসের রুমেড় জানালায় গড়িয়ে পরবে বৃষ্টির ফোঁটা, দূরের পাহাড়ে ভেসে বেড়াবে মেঘ, অন্য কোন পাহাড়ে হয়তো হাসবে সূর্য! কখনো বৃষ্টি থেমে গিয়ে খোলা কাঁচের জানালা দিয়ে ঢুকে পরবে মেঘ-কুয়াসা আপনাকে আলিঙ্গনে বাঁধতে! আর যখন আকাশ থাকবে ঝকঝকে নীল, দূরের পাহাড়ে ভেসে বেড়াবে সাদা মেঘের ভেলা, জানালার পাশে ফুটে আছে টকটকে লাল গোলাপ, সামনে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজের মুগ্ধতা, তখন কাঠের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে, রুমের বাইরে এসে বসতে পারেন সবুজ আঙিনায়।

একই সাথে এই পাহাড়-অরণ্য-নদী-ঝর্ণা-মেঘ-কুয়াসার এমন অনন্য স্বর্গ সুখের অনুভূতি একই যায়গা বসে পেতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে পেহেলগামের স্বর্গ প্যালেস গেস্ট হাউজে। বেশ কয়েকভাবে এখানে যেতে পারেন। বেশ আরামে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে কলকাতা, দিল্লী হয়ে শ্রীনগর পেলেন। শ্রীনগর থেকে পেহেলগাম গাড়িতে।

অথবা ঢাকা থেকে কলকাতা বাস/ট্রেন। কলকাতা থেকে দিল্লী/জম্মু ট্রেন তারপর নিজেদের ইচ্ছা মত গাড়ি ভাড়া করে সোজা পেহেলগামের স্বর্গ প্যালেস।