ইন্ডিয়া ট্যুর এর খুঁটিনাটি

জীবনের প্রথম গেলাম ইন্ডিয়া। এটাই আমার প্রথম দেশের বাহিরে যাওয়া তাও আবার একা একা। সর্বমোট ১০ দিন ছিলাম ইন্ডিয়া তার মধ্যে ঘুরেছি হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ,মদ্ধ প্রদেশ,দিল্লী এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল।

@@যাই হোক এখন আসি কখন ,কোথায় এবং কিভাবে ঘুরলাম তা বর্ণনা করা যাক@@

প্ল্যান করেছিলাম এক মাস আগেই। প্ল্যান মতোই ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য এপ্লাই করি এবং কোন ঝামেলা ছাড়া প্রথম বারেই পেয়ে যাই। যেহেতু একা ছিলাম তাই একটু ভয় তো থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিশেষে ভয় কে জয় করেছি।

যাত্রা বর্ণনা ঃ
——————-
ঢাকা টু কোলকাতা ট্রেনে মৈত্রী এক্সপ্রেসে ২৫০০ টাকা। ঢাকা কেন্টনমেন্ট থেকে ওঠতে হয়েছে। ৩০ দিন আগে টিকিট কেটেছিলাম। রিটার্ন টিকিট করা ভালো নইলে আসার সময় টিকিট পাওয়া যায়না।
কোলকাতায় নেমে সেখান থেকে টেক্সি নিয়ে সোজা নিউ মার্কেট এরিয়া ( মারকুইস স্ট্রিট) এ নেমে টাকা /ডলার চেঞ্জ করেছি একটা হোটেল নিয়েছিলাম ১২০০ রুপী দিয়ে(বিমান লজ) সেখানে একদিন থেকে পরের দিন টেক্সি করে সোজা কোলকাতা এয়ারপোর্ট। টেক্সি ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা নিয়েছে। কোলকাতা থেকে প্লেনে করে সোজা দিল্লী। প্লেনের টিকিট করেছিলাম ঢাকা থেকে ৫৫০০ টাকা তে ওয়ানওয়ে টিকিট। দিল্লী নেমে সেখান থেকে উবার করে পাহারগঞ্জ । ভাড়া এসেছিল ৫২৩ রুপী। সেখানে একদিন হোটেল এ থেকে ( রাজ মহল ইন) পরের দিন রুম চেক আউট দিয়ে সোজা চলে যাই উবার করে মজনুকা টিলা ভাড়া আসে ২০০ টাকার মতো।হোটেল ভাড়া ছিল ১০০০ রুপী। অস্থির একটা হোটেল আমার কাছে ভালো লেগেছে। যাই হোক মজনুকা টিলা পৌঁছে সেখান থেকে হেটে গেলাম তানিস্ক হলিডেস ট্রাভেলস । চাইলে অটো করে যাওয়া জায় ভাড়া পার হেড ১০ রুপী।এ ঐখান থেকে মানালির জন্য সন্ধ্যা ৭.৩০ টার
বাসের একটা টিকিট নিলাম। টিকিটের দাম ৯০০-১০০০ রুপী একটু মুলামুলী করলে এর কমেও আসা যায়,কারণ আমি গিয়েছিলাম ৭৫০ রুপী দিয়ে কিন্তু আসার সময় তা পারা একটু কস্টের। দিল্লীতে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে ৭ টার সময় হাজির হলাম বাসের সামনে। লাগেজে ব্যাগ রাখতে ২০ রুপী করে নিবে প্রতিটা ব্যাগের জন্য। বাস ছাড়লো ঠিক একজেক্ট সময়ে। যাত্রা পথে দুইবার বিরতি পরবে প্রথম বার হয়তো হারিয়ানা দ্বিতীয় বার চান্ডীগর আমার একজেন্ট মনে নেই । বাস ছাড়ার ঠিক ১৪ ঘণ্টা পর বাসের সবাইকে মানালি নামিয়ে দেয়। নেমে আমি থান্ডারড হয়ে গেছিলাম। এতো ঠাণ্ডা আগে কখনো পাই নাই। সেখান থেকে একটা টেক্সি নিয়ে চলে গেলাম মাল রোড ভাড়া ৫০ রুপী আবার চাইলে হেটেও যাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে উঠলাম হোটেলে( হোটেল মানালি কমর্ফোট) আগেই বুক করা ছিল। ভাড়া ৬০০ রুপী ডবোল বেড। এক্সটা হিটার নিলে ৩০০ রুপী বেশী পে করতে হবে পার ডে। হোটেল থেকেই জানালা খুল্লেই দেখতে পাবেন বিশাল বরফের পাহার পাশেই একটি বাঙালি খাবারের হোটেল পাবেন ( শ্রী শান্তি নিকেতন)।সেই হোটেল এর অমলেট টা আমার কাছে ভালো লেগেছিল। এর পর থাকার হোটেল এর সাথে ১০০০ রুপী কন্টাক্ট করে টেক্সি করে বেড়িয়ে পরলাম স্নো পয়েন্ট এর উদ্দেশ্য করে তখন রাথাং পাস বন্ধ ছিল। যাবার পথে বরফে থাকার জন্য ড্রেস ভাড়া পাওয়া যায় ২৫০-৩০০ রুপীর ভিতরে। সেগুলে ভাড়ায় পরে চলেগেলাম বরফে অনেক ক্ষণ থাকলাম বরফের মাঝে হাল্কা স্নোফল হচ্ছিল সেখানে । সেখানে থেকে অনেক ক্ষণ সময় দিয়ে পুরোটা ঘুরে চলে গেলাম ওল্ড মানালি যাবার পথে ড্রেস গুলো ব্যাক করলাম। ওল্নাড মানালি গিয়ে টেক্সি ছেড়ে দিলাম। তখন ভাবলাম টেক্সি না নিয়ে হেটে আসলে আমাদের ১০০০ রুপী বেচে যেতো সামান্য এতটুকু রাস্তা তাই নাকি ১০০০ রুপী? অল্ড মানালির ব্রিজের নিচে নেমে ছবি তুলে সিরি বেয়ে চলে গেলাম পাহারের উপর হেটে হেটে চলে গেলাম হাদিম্বা টেম্পল সেখান থেকে আসে পাসের স্পট গুলো দেখলাম। পরের দিন কিছু সপিং করলাম আর আশে পাশে ঘুরা ঘুরি করলাম। সেখানে কাশ্মেরী ভালো শাল পাওয়া যায় যদি একটু সময় দিয়ে কেনা যায় আর রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর শো-পিছ। দু দিন থেকে আবার দিল্লীর উদ্দেশ্য করে রউনা দিলাম টিকিট কাটলাম আগের বাসেই এটার কাউন্টার মানালির একেবারে মেন রাস্তায় মোড়ে গিয়ে ঠিক হাতের ডান পাশেই। ৪.৩০ এর বাস। আসার সময় আর তেমন কমাতে পারিনি ৮৫০ রুপীতে আসতে হয়েছে। বাস ছাড়লো ঠিক ৪.৩০ এ। বাস আমাদের কাশ্মিরী গেট নামিয়ে দিল ভোর ৬ টায়। সেখান থেকে আবার পাহারগঞ্জ। হোটেলে (হারে কৃস্ন) উঠলাম। বাজে একটা হোটেল।ঐখানে যে রুম ছারভেন্ট সে বলে -“হাম হিন্দুস্তানিকো ভাই মান্তেহে ওর বাকি ছাভিকো কাস্টমার মান্তাহে”। হোটেল ভাড়া ৭০০ রুপী কিন্তু আগে জানলে ৩০০ দিয়েও থাকতাম না। অনলাইন এ একরকম আর সামনা সামনি এক রকম। এর পর সেখানে হোটেল থেকে দিল্লী ঘোরার জন্য টেক্সি বুক করলাম ১৪০০ রুপী সন্ধ্যা ৬:৩০ পর্যন্ত। আগে জানলে নিজেরাই টেক্সি করে নিতাম। তাহলে আরো রুপী বাচাতে পারতাম। টেক্সি করে বেড়িয়ে পরলাম প্রথমে দিল্লী গেট আবার অনেকে বলে ইন্ডিয়ান গেট এর পর দিল্লী জামে মসজিদ সেখান থেকে জুম্মার নামাজ পরলাম
এতো মানুষ একসাথে নামাজ মনে হয় প্রথম পরলাম। এর পর চলে গেলাম দিল্লী লাল কেল্লা,এর পর লোটাস টেম্পল এবং সব শেষএ নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাঝার। সেখান থেকে সোজা হোটেল এর পর রাতের খাবার খেয়ে আগ্রার জন্য হোটেলে থেকে বাস বুক করলাম এক একজনের সিট এর দাম পরলো ৭০০ রুপী। আগে জানলে বাসে না গিয়ে শেয়ার করে গারি দিয়ে যেতাম খরচ পরতো ১২০০ রুপী তাই প্রতারিত হতাম না। রাতে ঘুমিয়ে সকাল ৬ টার দিকে একজন হুন্ডা দিয়ে নিয়ে গেলো বাসের সামনে সেখানে বাসে উঠে প্রথমে নিয়ে গেলো আগ্রা লাল কেল্লা যেটা কিনা সম্রাট আকবর বানিয়েছিলেন তার শাসন আমলে । সেখান থেকে চলে গেলাম আগ্রা তাজমহল তাজমহল সেখান থেকে তাজমহল যাবার পথে অনেক দোকানে থামিয়েছিল যাদের সাথে ট্র্যাভেল কোম্পানি গুলোর চুক্তি থাকে কাস্টমার এনে দেবার জন্য। যাই হোক আমাদের শাহজাহান এর তাজমহ্ল ঘোরার সময় খুব কম পেলাম। সব জায়গার টিকিট যেমন আগ্রা আকবরের লাল কেল্লা এবং তাজমহল এর প্রবেশ টিকিট নিজেরাই কাটা ভালো বাস ওয়ালাদের কাছে দিলে তারা রুপী বেশী নেয় আর ভয় দেখায় এই হবে সেই হবে । অনেক চিটারি করে।যাই হোক তাদের নির্দিষ্ট সময়ে বাস ছেড়ে দেয় দিল্লী উদ্দেশ্য করে। বাস আমাদের আবার সেখান থেকে দিল্লী নামিয়ে দিয়ে যায়। পরের দিন ফ্লাইট কোলকাতার। দিল্লী থেকে টিকিট কেটেছিলাম। দিল্লী টু কোলকাতা প্রাইজ পরেছিল ৭৮০০ রুপী। সকালে অটো নিয়ে চলে গেলাম দিল্লী এয়ারপোর্ট। ভাড়া এসেছিল ৪০০ রুপী। কোলকাতায় পৌছে সেখান থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে ভাড়া করলাম মারকুইস্ট স্ট্রিট । সেখানে অনেক খোজা খোজি করার পর একটা হোটেল( রাজ গেস্ট হাউজ) পেলাম .। হোটেল টা আসলেই অনেক সুন্দর কিন্তু বাহির থেকে তা মনে হয় না। সুন্দর ৩ তলা থেকে। রুম ভাড়া ১৪০০ রুপী। কোলকাতার হোটেল ভাড়া অনেক বেশী এবং খাওয়া দাওয়ার খরচো। পরের দিন সেখান থেকে চলে গেলাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল । টেক্সি ভাড়া ১০০ রুপী। গিয়ে টিকিট কাউন্টারে শুধু বলেছি দাদা দুটো টিকিট দিন সে আমার কাছ থেকে ২০ রুপী রেখে বাকী ৮০ রুপী ফেরত দিল ।টিকিট নিয়ে পাশের তাকিয়ে দেখলাম ২০ রুপী শুধু ইন্ডীয়ান দের জন্য আর নন ইন্ডীয়ান ২০০ রুপী। যাই হোক টিকিট নিয়ে সুন্দর মতো ঢুকে যাই ভিতরে । কিছুক্ষণ ঘুরা ঘুরি করে ছবি চুলে বিপরীত গেট দিয়ে বেড়িয়ে যাই। বেচে গেলো ১৮০ রুপী হা হা হা। আবার ১০০ রুপী দিয়ে চলে আসলাম নিউ মার্কেট সাখান থেকে কিছু কেনা কাটা করলাম এর পর বাসার জন্য কিছু কেনার জন্য একটা টেক্সি নিয়ে চলে গেলাম কলেজ স্ট্রীট সেখান সব বড় বড় কাপড়ের শো-রুম। সব ফিক্সড দোকান । কেও আপনাকে ঠকাতে পারবে না । মোহীনি মোহন, আদী ঢাকেশ্বরী আরোও অনেক । সেখান থেকে কেনা কাটা করে আবার চলে আসি হোটেল এ । দু দিন কোলকাতা থেকে পরের দিন শ্যামলী ডাইরেক্ট বাসে ঢাকার রউনা দিলাম ভাড়া পরেছিল ১৪০০ রুপী। আসার সময় ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশী কাস্টমস কে কিছু দিতে হয়েছিল। এটাকে আমি চাঁদাবাজি ছাড়া অন্য কিছু বলবো না । ইউনিফরম পরে কিভাবে টাকার জন্য হাত পাতছে ইন্ডীয়া আর বাংলাদেশের পুলিশ ।টাকা না দিলে হয়রানী করছে।যাই হোক সব ঝামেলা শেষে এই পারে আবার ঠিক সেই বাসেই উঠে বসলাম। ফেরী পেতে আমাদের তেমন কোন সমস্যা হয় নাই। কিন্তু ফেরী পার হয়ে ড্রাইভার চোখে আর কিছু দেখে নি । চারিদিক কুয়াশায় ঢেকে গেছে হেড লাইট দিয়েও তেমন কোন কাজ করছে না । আল্লাহ আল্লাহ করে হর্ন বাজাতে বাজাতে বাজাতে এগুতে থাকে আর এই ফাকে আমিও কখন ঘুমিয়ে যাই বুঝতে পারি নি । চোখ খুলে দেখি অনেকেই নামছে আর বাস থামিয়ে রেখেছে আমি মনে করলাম হয়তো এসে পরেছে পরে জানতে পারি এটি কল্যাণপুর । সেখান থেকে বেশী সময় লাগে নি কমলাপুর আসতে। ঠিক রাত ৩ টার দিকে বাস আমাকে কোমলাপুর নামালো। সেখান থেকে আল্লাহর অশেষ রহমতে একটি রিকশা পেয়ে গেলাম । রিকশা ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে চলে আসলাম বাসার সামনে। বাসায় উঠতে উঠতে ৪ টার কাছা কাছি।

এর সাথেই শেষ হলো আমার ইন্ডিয়া মিশন তাও আবার একা বুকে অনেক সাহস নিয়ে।

Post Copied From:ftakhairul Alam Tomal‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

কিছু সতর্কতা

1.যারা ইন্ডিয়ার ট্রানজিট ভিসা করে ভূটান অথবা নেপাল যেতে চান তারা অবশ্যই পিতা মাতার “previous nationality” ঘরটা পূরণ করবেন। যদিও এটা “mandatory option” না কিন্তু এটা অবশ্যই পূরণ করতে হবে নাহলে অকারনে ঝামেলা পোহাতে হবে।

2. ট্রানজিট ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই একদিন পূর্বে অনলাইন ফরম (http://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/) পূরণ করবেন। সকালে পূরণ করে নিয়া গেলে সার্ভারে ঝামেলা করে, ডাটা আপডেট থাকে না। আপনাকে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখবে। **এই অনলাইন ফর্মের সময়কাল পূরণের দিন থেকে ৫ দিন।**

3. যাদের একাধিক পাসপোর্ট তারা অবশ্যই দুটো পাসপোর্টের সকল তথ্য চেক করে নিবেন যেমন; বাবার নামের বানান, মায়ের নামের বানান, নিজের জন্ম তারিখ এবং স্থান। ভুল থাকলে আগে পাসপোর্ট অফিস থেকে সংশোধন করিয়ে পরে ভিসার জন্য জমা দিবেন। ভুল থাকলে কোন অবস্থাতেই পাসপোর্ট জমা নেয় না।

4. “Expected date of arrival” হবে বাংলাদেশ থেকে যাত্রার তারিখের পরের দিন। মানে যেইদিন আপনি ইন্ডিয়া পৌঁছাবেন। For Example; আপনি বাসের টিকিট কেটেছেন ১৫ তারিখ রাতে, তাহলে আপনার “Expected date of arrival” হবে ১৬ তারিখ।

5.যদি তারা আপনাকে ফিরিয়ে দেয় এবং পরের দিন আসতে হয় তাহলে আবার নতুন করে ৬০০/- টাকা ভিসা প্রসেস্যিং ফি দেয়া লাগবে।

6. ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দিবে না সুতরাং ব্যাগ নিবেন না। ফাইলে করে নিয়া যান দরকারি জিনিস পত্র।

7. Port of Entry & Exit দুটোই হবে Chengrabanda/Jaygaon ভুটানের জন্য আর নেপালের জন্য Chengrabanda/Ranigonj ।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে যা যা প্রয়োজনীয় কাগজ লাগে ট্রানজিট ভিসা করাতে;

১. MRP পাসপোর্ট।

২. পুরাতন থাকলে অবশ্যই সংযোজন করে নিয়ে জাবেন অন্যথায় জমাই নিবে না।

৩. ২ কপি “2by2” ছবি।

৪. অনলাইনে পূরণ করা ফরমের প্রিন্ট করা কপি।

৫. পাসপোর্টের ৩ কপি ফটোকপি (শুধু MRP)।

৬. জন্ম সনদ অথবা ন্যশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি। (Both if possible) অথবা যেটা দিয়ে পাসপোর্ট করা হয়েছে।

৭. ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা এন্ডোরসমেন্টের অরিজিনাল কপি এবং ফটোকপি।

৮. টিকিটের অরিজিনাল কপি এবং ফটোকপি। (রিটার্ন সহ অবশ্যই)।

৯.Note স্টুডেন্ট হলে আইডি কার্ডের ফটোকপি। চাকুরীজীবী হলে NOC (No Objection Certificate) এবং ভিসিটিং কার্ডের মূলকপি । ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি ও মূলকপি এবং ভিসিটিং কার্ডের মূলকপি ।

১০. স্টুডেন্ট হলে বাবার ভিসিটিং কার্ডের কপি। (if possible)

১১. ইউটিলিটি বিলের মূলকপি বং ফটোকপি। (অবশ্যই ৩ মাসের পুরাতন নয়)।

১২. CTG থেকে আবেদন করলে হোটেল বুকিং এর কনফার্মেশন। (DHK তে এটা লাগে না) ।

যদি কারো কাজে আসে তাহলে খুশি হবো, সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকেই অনেক সমস্যায় পরেন। তাই হালকা একটু সতর্ক হলে এই ধরনের সমস্যা খুব সহজেই এড়ানো সম্ভব। ধন্যবাদ।

পিংকসিটি জয়পুর

ইন্ডিয়ার রাজস্থান প্রদেশের রাজধানী এবং সুসজ্জিত রঙ্গিন এই শহর স্থাপিত হয় ১৭৭২ সালে মহারাজা জয়সিং-2 এর সময়। ১৮৭৬ সালে Prince of Wales(Edward VII) কে স্বাগত জানানোর জন্য তৎকালিন রাজা Sawai Ram Singh পুরো শহরকে গোলাপি রঙ্গে রাঙ্গিয়ে তোলে। তাই একে পিংকসিটিও বলে।

সুন্দর এই শহর দেখার লোভ সামলাতে না পেরে তাই এই গরমের মধ্যেই বেরিয়ে পরেছিলাম। চার জনের আমাদের এই যাত্রা শুরু করি ঢাকা থেকে। প্রথমে ঢাকা থেকে বাসে কলকাতা, কলকাতা থেকে দূরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে নয়াদিল্লী এবং নয়াদিল্লীতে ট্রাভেল এজেন্সী থেকে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা জয়পুর। উত্তপ্ত শুষ্ক গরম হওয়া আর রোদে পুড়ে যাওয়া গাছ আমাদের স্বাগত জানায়।

জয়পুরে দেখার মত অনেক জায়গা আছে যেমন Amer Fort/Amber Fort, Jaigarh Fort, Nahargarh Fort, Jal Mahal, Hawa Mahal, City Palace, Albert Hall Museum, Raj Mandir Cinema Hall, Jantar-mantar ও বেশ কিছু পাথর খোদাই করা মন্দির। এখানকার Fort গুলো এতো সুন্দর যে প্রতিটির উপরই অনেক কিছু বলা যায়। তবে Amer Fort/Amber Fort এর মধ্যে অন্যতম। এখানে এসে রাজাদের মত হাতির পিঠে করে Fortএ ঘুরে বেড়ানো এবং উটের পিঠে চড়ার সাধটাও পুরন হয়ে গেছে।

পরিবহনঃ দর্শনীয় স্থানগুলো একটু দূরে দূরে হওয়ার জন্য গাড়ী রিজার্ভ করে নিয়েছিলাম। এতে সময় এবং খরচ দুটিই বাঁচে এবং নিরাপত্তাও ছিল বিশেষ করে পাহাড়ের উপর Fort এ যাওয়ার সময়। স্থানীয় অটোতে করেও যাওয়া যাবে।

খরচঃ দুই দিনের ট্রিপে রাতে হোটেলে থেকে খাবার সহ আমাদের চার জনের জনপ্রতি খরচ 3200 রুপি (দিল্লী–জয়পুর-দিল্লী)। প্রতিটি স্থানে আলাদা টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। ফরেইনার হিসেবে আমাদের টিকিট মুল্য বেশী গুনতে হয়েছে।

পরিশেষে স্থানীয় বাজার থেকে কেনাকাটা সেরে ফেরার পথে LASSIWALA® এর লস্যির স্বাদ এখনো জিভে লেগে আছে।

Post Copied From:Peejush Kar‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

বাংলাদেশী কোম্পানিকে অযথা বেশী পয়সা না দিয়ে থাইল্যান্ড ভ্রমণ

বাংলাদেশের বেশীরভাগ ট্যুরিষ্ট যারা নিজের দেশ দেখার পর ইন্ডিয়া দিয়ে তাদের বিদেশ ভ্রমণ শুরু করেন এবং দ্বিতীয় ধাপেই থাকে থাইল্যান্ড। খরচ, যাতায়াত ও ভিসা পাওয়া কিছুটা সহজলভ্য হওয়ার কারনে এ দুটি দেশ একজন দেশীয় ট্যুরিষ্টের জন্য খুবই প্রিয়।

আমি যদিও সবসময় নিজের প্ল্যানের মাধ্যমে ট্যুর দিয়ে থাকি তবে এই দেশটিতে কোন এক ঈদের ছুটিতে হঠাৎ ডিসিশন নেওয়ার কারনে একটি স্বনামধন্য প্যাকেজ কোম্পানির মাধ্যমে ভিসা ছাড়া ৩৮০০০/- প্যাকেজে গিয়েছিলাম। আসলে প্যাকেজ কোম্পানির মাধ্যমে গেলে অনেকটা টাইট শিডিউলের মধ্যে চলতে হয় যা আমার কাছে পরাধীনতা লাগে।

যাইহোক ব্যাংকক এয়ারপোর্টে পা রেখেই বুঝতে পেরেছিলাম আসলে বাংলাদেশী প্যাকেজ কোম্পানিকে অযথা বেশী পয়সা দিয়েছি। তাদের কাজ শুধু এয়ার টিকিট আর হোটেল বুকিং করে দেওয়া। বাকী সব তারা থাইল্যান্ডের অন্য ট্রাভেল কোম্পানির মাধ্যমে সম্পন্ন করে তবে বড় গ্রুপ হলে হয়ত নিজেদের ট্যুর গাইড সাথে যায়। থাইল্যান্ড যেহেতু একটি ট্যুরিষ্ট দেশ তাই সেখানে একাধিক বড় বড় ট্রাভেল কোম্পানি আছে যাদের সকল কার্যক্রম সিস্টেম্যাটিক। তারা দলে দলে এয়ারপোর্ট থেকে ট্যুরিষ্ট রিসিভ করে এবং একজন ট্যুরিষ্টের হোটেল পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে প্রতিদিনের সাইডসিং শেষ করে আবার শেষের দিন এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে যায়। এ বিষয়ে আপনাকে কোন চিন্তাই করতে হবেনা। প্রতিদিন শিডিউল অনুযায়ী তারা আপনাকে হোটেল থেকে নিয়ে সব ঘুরেঘুরে দেখাবে।

ঠিক এরকম এক ট্রাভেল কোম্পানি /যারা আমার নাম লিখে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে আছেন। দলে দলে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ট্যুরিষ্টদের তারা রিসিভ করতেছেন এবং শিডিউল অনুযায়ী শিফট করছেন। আমার ট্যুর প্ল্যান ছিল এয়ারপোর্ট থেকে প্রথমে সরাসরি পাতায়া। সেখানে দুইরাত থাকার পর ব্যাংকক তিনরাত। প্ল্যান অনুযায়ী এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছি পাতায়া যাওয়ার অথচ তারা বিকেল ঘনিয়ে দিল যাত্রা শুরু করতে যা খুবই বিরক্তিকর ছিল। এয়ারপোর্ট থেকে পাতায়া আসতে আমাদের রাত হয়ে গেল তারমানে আমি কোনকিছু না দেখেই একরাত শেষ করে ফেললাম। সারাদিন জার্নিতে ক্লান্ত থাকার কারনে রাতে আর তেমন পাতায়াতে ঘুরা হলো না। এখানে অনভিজ্ঞদের জানিয়ে রাখি যে পাতায়া হচ্ছে একটি সামদ্রিক আইল্যান্ড এখানে অনেক বিনোদনের স্থান আছে তবে নারীদের প্রাধন্য বা আনাগোনা অনেক বেশী এবং তাদের আয়ের অনেকটা অংশ এই নারী দ্বারাই যদিও পুরো থাইল্যান্ডেই তা বিরাজকৃত তাই অন্তত ফ্যামিলির বাবা-মা অথবা কোন শ্রদ্ধেয়জনদের সাথে সেখানে না যাওয়াই ভাল।

রাত পাড় হতেই সকালে শিডিউল ছিল কোরাল আইল্যান্ড ট্যুর। এই আইল্যান্ডে ট্যুর দিতে অবশ্যই শর্ট প্যান্ট এবং টি-শার্ট পড়ে যাবেন এবং সাথে প্ল্যাস্টিকের স্যান্ডেল। অনেকেই শার্ট প্যান্ট সু পরিধান করে যেয়ে বোকা সাজেন। আর যদি পারেন পিঠের একটা ব্যাগে এক সেট এক্সট্রা কাপড় ও কেডস নিতে। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের মত এখানে সমুদ্রের পাড়ে রাস্তা এবং সেখান থেকে স্পীডবোটে আপনাকে নিয়ে যাবে সমুদ্রের মাঝে অবস্থিত একটি ভাসমান জেটিতে। এই জেটিতে আপনি ৫০০ বাথের বিনিময়ে প্যারাসাইলিং করতে পারবেন যেটি খুবই মজার ছিল। তাছাড়া পর্যাক্রমে সেখান থেকে আরো কিছু আকর্ষনীয় স্থান দেখিয়ে একটি বীচে নিবে। স্বচ্ছ পানির সেই বীচে খুবই আনন্দ পাবেন। ওয়াটার বাইক সহ বিভিন্ন রাইড সেখানে চলতে পারবেন তবে বাথের বিনিময়ে। দুপুর হতেই সেখান থেকে আবার সেই মেরিন ড্রাইভ নিয়ে এসে এক ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে খেতে দিল। ভিজা শরীর হোটেলে বাথরুমে ঢুকে কাপড় চেঞ্জ করে নিলাম তারপর খাওয়া শেষে গন্তব্য Jems Gallery, Nongnooch Tropical Garden with Elephant show এবং সবার শেষে সন্ধ্যায় Alcazar Show. এই Alcazar Show খুবই মজার একটি ষ্টেজ প্রোগ্রাম যা কোনমতে না দেখতে ভুল করবেন না। সারাদিন এত ঘুরাঘুরির পরে হোটেলের কাছেই একটা ম্যাসাজ পার্লার পেলাম মাত্র ২০০ বাথে একটি ছেলে একঘন্টা খুবই উপকারী ফুল থাই ম্যাসাজ করে দিল ( বিপরীত লিঙ্গ দ্বারা ম্যাসাজ না করাই মঙ্গল ) । এভাবেই রাত পাড় হতেই পাতায়া ভ্রমণ শেষ হলো এবং সকালে যাত্রা শুরু করলাম ব্যাংককের উদ্দেশ্যে।

পাতায়া থেকে ব্যাংককের দীর্ঘ পথ জুড়ে ফ্লাইওভার যা আমি এখন পর্যন্ত কোন দেশে দেখি নাই। যানজট ছাড়া খুবই সুন্দরভাবে ব্যাংকক এসে পৌঁছাইলাম। হোটেলে পৌঁছিয়ে লাঞ্চের পরে নিয়ে গেল সিটি ট্যুরে। বিকাল পর্যন্ত সিটি ট্যুর শেষে বউয়ের টার্গেট কখন মার্কেটে যাবে :Pড্রাইভারকে বলাতে তিনি মার্কেটে নামিয়ে দিল। প্রতিদিন এভাবে Indra Market, MBK Market, Pratunam Market, Bobae Market, Siam Centre, Paragon ইত্যাদিতে গেলাম। তার মধ্যে Indra Market ও তার আশেপাশের স্ট্রীটমার্কেট গুলো ভাল লেগেছে।

পরেরদিন আমাদের ট্যুর ছিল সাফারী অয়ার্ল্ড ও সাফারী পার্ক দেখা সারাদিন। সাফারী ওয়ার্ল্ড এটি শিশুদের জন্য খুবই আনন্দদায়ক একটি বিনোদনের স্থান। দুপুর পর্যন্ত এই ওয়ার্ল্ডে একটার পর একটা ইভেন্ট দেখতে দেখতে আপনার সময় চলে যাবে। তার মধ্যে ডলফিন সো সহ অনেক সো আছে যা আপনাকে খুবই আনন্দ দিবে। এছাড়া বিনোদন শেষে পাশেই অবস্থিত গাড়িতে করে আপনাকে ওপেন জু সাফারী পার্কে ঢুকাবে। যেখানে আপনি গাড়ির ভিতর বসে ঘুরেঘুরে জীবজন্তু দেখতে পাবেন। ট্যুর শেষে আবার সেই টার্গেট শপিং। রাত ভরে শপিং করে ক্লান্ত শরীরে হোটেলে আবার পরেরদিন রেখেছি শুধু শপিং। ব্যাংককে আর কোন ট্যুর না দিয়ে আরও একরাত থেকে ঢাকায় চলে আসি। তবে ব্যাংককে আরও দুই একটা ভাল ট্যুর স্পট ছিল যা প্যাকেজে যাওয়ার কারনে আমাদের যাওয়া হয়নি। আমার এই গাইড নিয়ে আপনিও খুব সহজে পাতায়া ও ব্যাংকক ঘুরে আসতে পারবেন। শুধু যাওয়ার আগে একটি প্ল্যান করুন এবং সেই অনুযায়ী এয়ার টিকিট, দুই স্থানের হোটেল বুকিং ও নিজে না বুঝলে সেখানকার ট্রাভেল কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন যেটির উপরে লিংক দিয়েছি। আর যদি আপনি বিদেশের ব্যাপারে একটু এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে এয়ারপোর্ট থেকে বাসে পাতায়া এবং সেখানে যেয়ে বিভিন্ন ট্যুরের প্যাকেজ নিতে পারেন এবং পুনরায় বাসে ব্যাংকক এসে ট্যুর প্যাকেজ। এই সমস্ত সকল প্যাকেজ আপনি হোটেলের লবিতেই পাবেন অতএব নো চিন্তা ডু ফুর্তি 🙂

Post Copied from:Miah Mizanur Rahman Kazol‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

উমেংগট নদী- মেঘালয়ের অদেখা জান্নাত!

যেখানে আকাশ ধুয়ে সাজিয়েছে নিজের যতো রঙ, যেখানে প্রকৃতি মিশেছে হয়ে সবুজ তরঙ্গ…

সিলেট শহর থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টার পথ, সেখানে তামাবিল বর্ডার পার হয়ে জাষ্ট ১৫ মিনিটের দূরত্বেই বাস করছে এই সৌন্দর্যের খনি।

ডাউকি, মেঘালয়ের রাজ্যের খাসিয়াদের ছোট এক রাজত্ব ,যেখানে খুব বেশী মানুষের আনাগোনা নেই। নেই ব্যস্ত নাগরিক জীবনের পদচারণ।

আছে শুধু প্রকৃতির ঢেলে দেয়া সৌন্দর্যের এক ফালি সবুজ প্রতিকৃতি যেখানে নিজেকে হারায়ে যেন নিজেকেই পাওয়া যায় নতুন রুপে…।

সারাদিনের জন্য চলে যেতে পারেন ছোট এক জীপ ভাড়া নিয়ে কিংবা নিজের প্রাইভেট কার থাকলে কিংবা সিলেট থেকে তামাবিল পর্যন্ত যাওয়া যে কোন পরিবহনে চড়ে, ফ্যামিলি কিংবা বন্ধুদের সাথে। এর জন্যে থাকতে হবে পাসপোর্ট, ট্রাভেল ট্যাক্স আর ডাউকির করা ভিসা।

তামাবিল পাড় হয়ে ওপারেই পেয়ে যাবেন অনেক ট্যাক্সি যাদেরকে বললে আপনাকে নিয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত সেই স্বচ্ছ নদীর পারে।

এটা মূলত বাংলাদেশ আর ইন্ডিয়ার মধ্যকার মাল আনা নেয়ার যে ব্রীজ রয়েছে তা পার হয়ে যেতে হয়। সেখানে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় নৌকা যারা আপনাকে ৫০০ রুপীর বিনিময়ে ঘুরে দেখাবে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত।

এখানে একটা ছোট ইনফরমেশন দিয়ে রাখা ভালো, চেষ্টা করবেন ব্রীজ পার হয়ে ওই পাড়ে যেয়ে নৌকায় উঠতে তাহলে বেশীক্ষন সময় পাবেন ঘুরে দেখার নদীটা ,আর আসল সৌন্দর্য ও মুলত ওই পাড়েই। ব্রীজের এপাড় থেকে ডাউকি ভিলেজ শুরু হলেও, বাংলাদেশের একটা সীমান্ত (জাফলং) পড়ে গেছে ওই নদীটার একটা অংশে তাই ইচ্ছা থাকলেও বেশী দূর যেতে পারবেন না নৌকা নিয়ে।

এই অংশ টাতে পাবেন প্রচুর বাংলাদেশী লোক যারা অনেকেই বৈধ কিংবা অবৈধ উপায়ে রয়ে গেছে এখানে তাই চাইলে বাংলাদেশি টাকাও নিতে পারেন সাথে, এখানে বাংলা টাকাও প্রচুর চলে। প্রতিটি নৌকায় প্রায় ৪ থেকে ৫ জন করে চড়তে পারবেন, সামনেই রয়েছে মূল ঝরনার উৎসস্থল।

নদীর পাড় ঘেষেই রয়েছে ছোট বড় অনেক পাথর, চাইলেই নেমে হেটে যেতে পারেন সামনে , করতে পারেন ছোট খাটো বনভোজন কিংবা রাত্রিকালে ফায়ার ক্যাম্প।

এখানকার বেশীরভাগ মানুষের পেশা মাছ ধরা, ইভেন বাংলাদেশীরাও মাছ ধরতে এখানেই আসে, যদিও এখন আর তেমন পারমিশন পাওয়া যায়না।

অদ্ভূত লাগে দেখতে পুরা নদীটা, যেখানে নিচে পরে থাকা অসংখ্য নূড়ি পাথর আর ছোট বড় নাম না জানা মাছ। ইচ্ছা করলেই, পা ভিজিয়ে নিতে পারেন, পারেন তৃপ্তি ভরে মুখে জলচ্ছটা দিতে। দিনের বেলাতেই এর সৌন্দর্যে জ্ঞান হারাতে হয় , পুর্নিমার রাতে না জানি কেমন লাগে একে দেখতে, ভাবতেও হারিয়ে যাচ্ছি ভাবনার অতল গহবরে।

এখানে একতা অদ্ভূত ব্যাপার রয়েছে, সবাই যদিও বলে পানি দেখতে নীল, আমরা পেয়েছি পুরাই সবুজ আবার বর্ষা ঋতুতে নাকি এটা লাল বর্ণ ধারন করে।

এখানে একটা কথা বলে নেয়া ভালো, শীতকাল বা নভেম্ভর থেকে ডিসেম্বর ই কিন্তু উপযুক্ত সময় এই নদী দেখতে যাবার কারন অন্য সময় এই নদীতে পানি এতো বেশী থাকে যে নিচের স্বচ্ছ রুপ টা দেখতে পাওয়া তখন ভাগ্যের ব্যাপার।

আলহামদুলিল্লাহ, চোখের রিযিক হয়ে গেছে এই শান্ত স্নিগ্ধ অদ্ভুত সুন্দর নদী দেখে। ছবিতে বন্দি করা যদিও সম্ভব না এই নদীর প্রকৃত রুপ তারপরেও ক্ষুদ্র চেষ্টা!

Post Copied From:Farhana Asha‎>Travelers of Bangladesh (ToB