ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক

  • 1. Tab Malarone (adult strength = 250 mg atovaquone/100 mg proguanil hydrochloride) &
  • 2. Cap Doxycycline 100mg ২টাই খুব ভালো প্রতিষেধক।

গ্রহনের নিয়ম হচ্ছেঃ
Cap Doxycycline 100mg – ট্যুর শুরু করার ১/২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ২৮দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ২৮ দিন হিসাব করে আরো ২৮টি ঔষধ খাবেন ৭ই অগাস্ট পর্যন্ত……তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ৩৪টি।

সুবিধাঃ 1. খুব-ই সহজলভ্য,যেকোন ফার্মেসীতেই পাওয়া যায়, দামও অনেক কম। ১পাতা = ১০টার দাম ২০-২৫টাকা।

অসুবিধাঃ 1. লম্বা শিডিউলের কারণে অনেকেই Dose মিস করে ফেলেন।

strong>Tab Malarone (adult strength = 250 mg atovaquone/100 mg proguanil hydrochloride) – ট্যুর শুরু করার ১/২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ৭ দিন হিসাব করে আরো ৭টি ঔষধ খাবেন ১৭ই জুলাই পর্যন্ত……তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ১৩ টি।

সুবিধাঃ

1. Latest Generation Drug এবং Worldwide এখন পর্যন্ত কোথাও Resistant হয় নি।

2. শিডিউল ছোট, মিস হবার চান্স কম, মনে রাখতেও সুবিধা।

অসুবিধাঃ

1. দাম অনেক বেশি, ১ পাতা = ১২টার দাম ফার্মেসী ভেদে ১০০০-১৫০০টাকা।

2. সহজে পাওয়া যায় না, ঢাকার কিছু ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। গুলশান ১, ২ গোল চত্ত্বরের কিছু ফার্মেসী (তামান্না ফার্মেসী), পান্থপথের Lazz Pharma’র পাশে “তাজরিন ফার্মেসী” তে পাওয়া যায় প্রায়-ই।

*** অবশ্যই করণীয়ঃ

২টি ঔষধের ক্ষেত্রে অবশ্যই পালনীয় হচ্ছে – ভরা পেটে খেতে হবে এবং একই সময় মেইন্টেইন করতে হবে। সাজেশন হিসেবে আমরা, রাতের বেলা ডিনার এর পরে খেতে বলি কারণ ট্রেকিং এ অনেক ক্ষেত্রেই দুপুর বেলা তেমন ১টা খাওয়া হয় না। রাতে যেহেতু ট্রেকিং করা হয় না এবং কোন না কোন পাড়ায় থাকা-খাওয়া হয় তাই রাতের বেলাই সেবন করা উত্তম।

*** সাথে অবশ্যই Odomos Cream রাখতে হবে মশা দূরে রাখার জন্যে। Lazz Pharma, Mitford Hospital এর ফার্মেসী গুলোতে পাওয়া যায়।

*** বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চল সমূহঃ

– বান্দরবানের রুমা, থানচি এবং রোয়াংছড়ির পরে যেকোন এরিয়া।

– খাগড়াছড়ির দিঘীনালা’র পর থেকে যেকোন এরিয়া।

– রাঙ্গামাটির শহর থেকে ভিতরের দিকে যেকোন এরিয়া যেমন – ছোট হরিনা, বরকল, কাট্টলি বিল।

*** ম্যালেরিয়া রোগ বাহিত মশা সাধারনত রাতের বেলা (অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে) আক্রমন করে বেশি।

লিঙ্কঃ
http://www.cdc.gov/malaria/travelers/country_table/b.html
http://wwwnc.cdc.gov/travel/yellowbook/2016/infectious-diseases-related-to-travel/malaria#4661

রিজার্ভ সাইতা, বান্দরবন

নামকরণঃ রিজার্ভ ফরেস্টে অবস্থিত হওয়ার কারণেই নাকি এই নামকরণ (গাইড জেমসন দা এর ভাষ্যমতে).

রনিন পাড়া থেকে মাত্র ৩০-৫০ মিনিট ট্রেকিং করলেই এই ঝর্ণার দেখা পাওয়া যায়। তবে যাওয়ার পথে ফরেস্টের অংশটা পাড় হওয়ার সময় কিছু জায়গা একটু খাড়া এবং পিচ্ছিল, গ্রিপ পাওয়া কঠিন। আর পিঁপড়া আছে বেশ জংগলে! জংগল পাড়ি দিয়েই ঝিরিপথ পড়বে। ঝিরিপথ অল্প হলেও বেশ সুন্দর! জেমসন দার ভাষ্যমতে আগে নাকি কোন ট্রাভেলার ঐদিকে যাননি। যদিও আমি মনে করি কেউ না কেউ অবশ্যই গিয়েছেন হয়তোবা গোপন রেখেছেন অথবা প্রকাশ করলেও তা চোখ এড়িয়ে গেছে। যাই হোক, অল্প কষ্টে এতো সুন্দর একটা সাইতারের দেখা পাওয়া আসলেই সৌভাগ্যের!

কিভাবে যাবেন- বান্দরবন-রোয়াংছড়ি-রনিনপাড়া-রিজার্ভ সাইতার।

পাঁচদিনের বান্দরবান ভ্রমণ পরিকল্পনা

পরিকল্পনাঃ

১ম দিনঃ রাতে ১১টায় বান্দরবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা।।

২য় দিনঃ সকাল ৬টায় বান্দারবান এসে পোঁছাবন।। নাস্তা খেয়ে থানচির উদ্দেশ্যে রওনা।। থানচি থেকে গাইড ও নোকা ভাড়া করে পদ্মমুখ আসবেন।। সেখানে থেকে ট্র্যাকিং করে পদ্মঝিরি পাড়ি দিয়ে সন্ধ্যায় থুসাইপাড়া পোঁছাবেন।। রাতে থুসাইপারা থাকবেন।।

৩য় দিনঃ খুব ভোরে রওনা দিয়ে আমিয়াখুম আসবেন।। সেখান থেকে সাতভাইখুম।। সাতভাইখুম থেকে দেবতা পাহাড় পাড়ি দিয়ে আবার সন্ধ্যায় থুসাইপাড়া পোঁছাবেন।।

৪র্থ দিনঃ ভোরে থুসাইপাড়া থেকে জিন্নাহপাড়া পাড়ি দিয়ে নাফাখুম আসবেন।। সেখানে থেকে রেমক্রি।। রেমক্রি থেকে বড়পাথর, তিন্দু ঘুরে থানচি আসবেন বিকালে রাতে থানচিতে থাকবেন।।

৫ম দিনঃ সকালে থানচি থেকে বান্দারবান আসবেন। বান্দারবান স্বর্ণমন্দির আর মেঘালয় পর্যটন কমপ্লেক্স ঘুরবেন।। রাতের বাসে পরদিন সকালে আপনার গন্তব্যস্তান।।

সম্ভব্য খসড়া হিসাবঃ 

বান্দরবন থেকে বাসে পারহেড ২০০ টাকা থানচি থেকে পদ্মঝিরি নৌকা রিজার্ভ ২৫০০টাকা।রাতের থাকা -খাওয়া ১৫০০টাকা।গাইড ৫০০০ টাকা।রেমাক্রি থেকে নৌকা ৩০০০টাকা।থানচি রাতযাপন ১০০০টাকা।অন্যান্ন ১০০০। আপনার গন্তব্য থেকে বান্দারবন। মোটামোটি এই খরচ হবে।

আমিয়াখুম ও সাতভাইখুম ভ্রমণ পরিকল্পনা ও খরচ

আমিয়াখুম ও সাতভাইখুম ( বান্দরবান ) ভ্রমণ পরিকল্পনা ও খরচ

আমীয়াখুম ট্যুর প্লান ।

০। দিন রাতে ঢাকা টু বান্দরবান প্রতি সিট ভাড়া গাড়ির মান অনুযায়ী ৬২০টাকা,থেকে ৯০০টাকা পর্যন্ত ॥

১ম  দিনঃ ভোরে ঢাকার গাড়ি থেকে বান্দরবান শহরে নেমে নাস্তা করে ।থানছির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ।যাওয়ার পথে ,সৌন্দর্য পূর্ণ যেই দৃশ্যে গুলো দেখতে পাবেন ,শৈলপ্রপাত,চিম্বুক ,নীলগিরি ॥

থানছি যাওয়ার মাধ্যম ॥

চাঁদের গাড়ি অথবা লোকাল বাস॥ বান্দরবন টু থানছি লোকাল বাস ভাড়া প্রতি জনের ২০০টাকা,সময় ৪/৫ঘন্টা । অথবা চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ করতে পারেন ভাড়া ৫০০০/৬০০০টাকা,যাত্রী সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৪ জন । সময় ৩/৩:৩০ঘন্টা ॥ থানছি পৌঁছে গাইড নিতে পারেন ১জন গাইড চার্চ আলোচনা সাপেক্ষ ॥

৩দিনের জন্য শুকানো খাবার ও রান্নার প্রয়োজনিয় খাদ্য দ্রব্য কিনে নিতে পারেন।

বিকাল ৩টার আগেই (থানা+বিজিবির ) অনুমতি নিবেন,অন্যথায় থানছিতে রাত যাপন করতে হবে ।

দুপুরের খাবার খেয়ে প্রথমেই বোট ভাড়া করবেন পদ্ন মূখ যাওয়ার জন্যে । লোকাল বোটে জন প্রতি ৫০টাকা ,অবশ্য লোকাল বোট সবসময় পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে রিজার্ভ ভাড়া করতে হয় ১০০০/১২০০টাকা প্রতি বোট । পদ্ন মুখ থেকে পদ্ন ঝিরি ,রোনাজুন পাড়া,হরিচন্দ্র পাড়া হয়ে ৬/৭ ঘন্টা হেটে থুইষা পাড়ায় পৌছাবেন । থুইষা পাড়ায় রাতের খাবারের জন্য চাউল ,তরকারী কিনবেন আর গাইড রান্না করে খাওয়াবে ।থুইষা পাড়ায় থাকার ঘরভাড়া জন প্রতি ১৫০টাকা ।

২য় দিনঃ ভোরে ঘুম থেকে উঠে মোটামুটি খেয়ে আমিয়া খুমের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন । থুইষা পাড়া থেকে আমিয়া খুম যাওয়া আসা ৬/৭ ঘন্টা সময় লাগবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই শুকানো খাবার ও পানির বোতল নিতে বুলবেন না ।৩/৩:৩০ ঘন্টা হাটার পর দেখতে পাবেন অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য আমীয়া খুম । সাতভাই খুম ওভেলা খুম দুটিই পাশাপাশি দেখার মতো স্পট ,চাইলে ঐ দুটু খুমের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন । সূর্য ডুবার আগেই থুইষা পাড়ায় ফিরে আসবেন।

৩য় দিনঃ ভোরে মোটামুটি খেয়ে হাটা শুরু করবেন নাফাখুম হয়ে রেমাক্রীর উদ্দেশ্যে ।জিন্নাহ পাড়া, উল্হাউ পাড়া উলাচিং পাড়া হয়ে ৩ঘন্টা হাটার পর দেখতে পাবেন প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য নাফাখুম জলপ্রপাত ।নাফাখুমে ১ঘন্টা রেষ্ট নিয়ে হেডম্যান পাড়া ,পিনিডং পাড়া হয়ে ২ঘন্টা হেটে পৌছাবেন রেমাক্রী বাজার ।দুপুরের খাবার খেয়ে বোটে করে তিন্দু হয়ে থানছির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ।রেমাক্রী টু থানছি রিজার্ভ বোট ভাড়া ২০০০/২৫০০টাকা।বোটে করে থানছি আসার পথে দেখতে পাবেন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যে তিন্দু বড় পাথর ।

থানছি পৌছা মাত্র সময় ও চাঁদের গাড়ি যদি ঠিকটাক থাকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ,ভাড়া আসার মতই ।রাতে ঢাকার বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ॥

সরকারী ছুটির দিনে বান্দরবান টু থানছির চাঁদের গাড়ি ভাড়া ও থানছি টু রেমাক্রীর ট্রলার ভাড়া কম বেশি হতে পারে ॥

  • মোঃ হারুন রশীদ
  • পর্যটক গাইড
  • থানছি ,বান্দরবান
  • ফোন কল ;-01556705010
  • 01849556340

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের কিছু সাধারণ প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ–আপনাদের কোন হেল্পলাইন নাম্বার আছে? উত্তরঃ–জি আছে , কাভার ফটো তে দেওয়া আছে, ০১৭৬৯৬৯০৭৪০
প্রশ্নঃ–এই নাম্বারে না পেলে কি করব? উত্তরঃ–পেজ অ্যালবাম এ সব অফিসার এর নাম্বার দেওয়া আছে। আপনি যে স্পট এ আছেন ওখানের অফিসার কে ফোন দিন। আর Bangladesh police phonebook অ্যাপ টি google play store theke মোবাইলে ডাউনলোড করে রাখুন। আমাদের সবার নাম্বার পাবেন।

প্রশ্নঃ–অ্যাপ টি আইফোন এ আছে কি? উত্তরঃ–না নেই। আপনি আইফোন এ জরুরী নাম্বার গুলোর ছবি তুলে রাখুন

প্রশ্নঃ–আপনারা কোন কোন ট্যুরিস্ট স্পট এ আছেন? উত্তরঃ–নিচের লিঙ্ক এ যান বিস্তারিত দেওয়া আছে https://www.facebook.com/notes/tourist-police-bangladesh/tourist-spot-of-bangladesh-covered-by-tourist-police/1527196867540853

প্রশ্নঃ–এর বাইরে অন্য ট্যুরিস্ট স্পট এ আপনাদের কার্যক্রম শুরু হবে কবে? উত্তরঃ–জনবল পেলেই শুরু হবে। আমাদের পেজ এ আপডেট পাবেন।

প্রশ্নঃ–আপনারা আসলে কি করেন? মানে আপনাদের আসল কাজ কি? উত্তরঃ–ট্যুরিস্ট স্পট ও ট্যুরিস্ট দের নিরাপত্তা দেয়ায় আমাদের মুল উদ্দেস্য। তবে মাঝে মাঝে সামাজিক দায়িত্তবোধের অংশ হিসেবে ট্যুরিস্ট স্পট পরিষ্কার করা , মাদক বিরোধী র‍্যালি করা, সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ এইসব কাজ আমরা করে থাকি। আরও বিস্তারিত নিচের লিঙ্ক এ https://www.facebook.com/notes/tourist-police-bangladesh/tourist-police-bangladesh-achievements2015/1550658538528019

প্রশ্নঃ–আপনাদের সাথে সাধারন পুলিশের পার্থক্য কি? উত্তরঃ–আমরা বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট।আমাদের যাত্রা শুরু ২০১২ সালে। আমাদের সব সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ থেকে আসা। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশে যোগদানের আগে তাদের বিশেষ ট্রেইনিং দেয়া হয়। আর এই ট্রেইনিং টি পর্যটন করপরেসন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও আমাদের অভিজ্ঞ্য অফিসার রা দিয়ে থাকেন।

প্রশ্নঃ–ট্যুরিস্ট পুলিশ এ লোক নিবে কবে? আমি কিভাবে জয়েন করব?
উত্তরঃ–ট্যুরিস্ট পুলিশে সরাসরি লোক নিয়োগ হয়না। আপনি আগে বাংলাদেশ পুলিশ এ জয়েন করে ট্যুরিস্ট পুলিশ এ পোস্টিং নিয়ে আস্তে পারেন। আর বাংলাদেশ পুলিশ এ জয়েন করতে হলে কি কি করতে হবে সেটা বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট এ পাবেন।আর আমাদের পেজ এ লোক নিয়োগের ব্যাপারে কোন রকম পোস্ট দেয়া হয়না।

প্রশ্নঃ–আপনাদের ফেসবুক পেজ টি কারা চালায়? উত্তরঃ–আমরাই মানে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিভিন্ন্য জোনের অফিসাররা। হেড অফিসের অফিসার রা আছেন। সবচেয়ে বড় বেপার আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান ডিআইজি সোহরাব হোসেন স্যার নিজে এই পেজ টি তদারক করেন। এই পেজ এর মুল উদ্যোক্তা তিনি।

প্রশ্নঃ–ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পর যথাসম্ভাব দ্রুত সময়ে পুলিশের সাড়া না পেলে, পুলিশ দ্বায়িত্বে অবহেলা করলে এবং এর জন্য কোন ভ্রমণকারি ক্ষতির সম্মুখীন হলে উক্ত ভ্রমণকারী কি করতে পারে এবং কি প্রতিকার পেতে পারে?
উত্তরঃ–এই পেজ এ প্রমান সহ অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব. এই পেজ এ আমাদের ডি এই জি স্যার নিজে তদারক করেন . সুতরাং বুঝতেই পারছেন কিরকম অ্যাকশন হবে

প্রশ্নঃ–ট্যুরিস্ট স্পট গুলোতে স্পেশালি কুয়াকাটা, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিনে ‘যৌন হয়রানির’ শিকার হয় নারীরা। অনেকেই নরম করে ‘ইভ টিজিং’ বলে থাকেন। এ ব্যাপারে আপনাদের কোন পদক্ষেপ আছে কি? উত্তরঃ–গত এক বছরে ৫০ জন ইভটিযার ধরে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে https://www.facebook.com/TouristPolice.BD/posts/1596546927272513

প্রশ্নঃ–কক্সবাজারে স্থানীয় লোকজন থেকে আরম্ভ করে টুরিস্ট পর্যন্ত সবাই যত্রতত্র ময়লা ফেলে। অথচ যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা একটি ফৌজদারি অপরাধ। শাস্তি হচ্ছে না দেখেই লোকজনেরও অভ্যাস বদলাচ্ছে না। এতে করে বিদেশি পর্যটক যেমন বিরক্ত হয়ে এখানে আসা ছেড়ে দিচ্ছে তেমনি বহির্বিশ্বে নোংরা হিসেবে আমাদের বদনাম হচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনারা কি কোনো নিবৃত্তিমূলক পদক্ষেপ নিবেন? উত্তরঃ–পড়ে দেখুন https://www.facebook.com/TouristPolice.BD/posts/1601844953409377

প্রশ্নঃ–বেশিরভাগ পর্যটন স্পট গুলোতে ট্যুরিস্টদের কাছ থেকে যানবাহন এ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়, পণ্যর গায়ে নির্ধারিত মুল্য দেয়া থাকলেও অতিরিক্ত মুল্য আদায় করে এ ব্যাপারে আপনারা কোন একশন নেন কিনা?
উত্তরঃ–অবশ্যই নেই। আমাদের কল দিবেন

প্রশ্নঃ–কক্সবাজারের হোটেল গুলোতে কোন কাপল উঠার পর যদি হোটেলের লোক দ্বারা হয়রানির স্বীকার হয় তবে কি কোন প্রতিকার পাওয়া যায় আপনাদের মাধ্যমে।
উত্তরঃ–অবশ্যই পাবেন। আমাদের কল দিবেন

প্রশ্নঃ–বাস এ চেকিং এর নামে হয়রানি করা হয়।এই ব্যাপারটা দেখা বেশি জরুরি।টুরিস্টরা এই ধরনের ব্যাপার গুলার সম্মুখীন হতে থাকলে কক্সবাজার বেঢ়াতে যাওয়ার আগ্রহ হারাবে?
উত্তরঃ–চেকিং করে chittagong metropolitan police and highway police.তাদেরকে অভিযোগ করুন। আমাদের কে লিখিত ভাবে অভিযোগ করলে আমরাও ব্যাবস্থা নিব।

প্রশ্নঃ–ট্যুরিস্ট স্পটে গেলে ট্যুরিস্ট ও অপরিচিত মনে হলে রিক্সা থেকে শুরু করে সমস্ত যানবাহন দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়া রাখে। এটা রোধ করার কোন কার্যকরী ভুমিকা ট্যুরিস্ট পুলিশের আছে কিনা?
উত্তরঃ–যদি হয়রানি করে আমাদের জানাবেন . ব্যবস্থা নিব

প্রশ্নঃ–পন্য ক্রয়ে প্যাকেট গায়ের মূল্য থেকে বেশি আদায় করে।আমি মনি করি হকারদের একটা সিন্ডিকেট এখানে কাজ করে।এখানে আপনাদের কি উদ্দেক আছে।
উত্তরঃ–এটা দেখবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আমাদের কে জানালে আমরাও ব্যাবস্থা নিব।

প্রশ্নঃ–হোটেলে উঠার পর পছন্দ না হলে বা অন্য কারনে আমরা হোটেল ছেরে দিতে চাইলে হোটেল ম্যানেজমেন্ট অগ্রিম টাকা ফেরত দিতে চায় না। এই ক্ষেত্রে টুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা কি হবে?
Hotel management হয়রানি করলে আমরা ব্যবস্থা নিব

প্রশ্নঃ–মহেশখালি থেকে কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া যাবার বিস্তারিত প্ল্যান জানাবেন কি?
উত্তরঃ–ভ্রমন বিসয়ক কোন গ্রুপে প্রশ্নটি করুন।

প্রশ্নঃ–ফেসবুক ফ্যান পেজের সাথে সাথে ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে। যেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের সমস্ত তথ্যাদির পাশাপাশি বাংলাদেশের জেলা ভিত্তিক প্রতিটা পর্যটন স্পটের পরিচিতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, যাতায়াত, এবং ছবি থাকবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ এ ধরনের কোন কাজ করতে পারে কিনা?
উত্তরঃ–ধীরে ধীরে হবে

প্রশ্নঃ–নানা কোম্পানি ট্যুর প্লান করে, সেই সব কোম্পানি থেকে মাঝে মাঝে অনেকে প্রতারিত হয়। ট্যুরিষ্ট পুলিশ কেন এমন ট্যুর প্লান করে না তাদের তত্ত্বাবধানে.? বা তাদের এমন কোনো প্লান আছে নাকি.?
উত্তরঃ–প্লান নেই . তবে কোন কোম্পানি প্রতারণা করলে আমাদের জানাবেন

প্রশ্নঃ–কোরাল খুব কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে পর্যটক দের কাছে।ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ হলেও প্রায় সবাই এইটা করছে।এইটা প্রতিরোধে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে/হয়েছে/হবে?
উত্তরঃ–এটা দেখার কাজ পরিবেশ অধিদপ্তরের। তবে আমরাও মাঝে মাঝে ব্যাবস্থা নিয়ে থাকি।

প্রশ্নঃ–আমার মন্তব্য হল আপনারা বিভিন্ন জায়গায় আপনাদের বিভিন্ন help line number দিয়ে থাকেন। এই নাম্বার গুলোকে একটা কন্ট্রোল রুম এর আওতায় আনা জায়া কি যেমন: ৬৬৬, ৯৯৯, ১১১, ১৯৯৯ ইত্যাদি। তাহলে আমাদের তথা জনসাধারনের সুবিধা হত।
উত্তরঃ–আমরা চেষ্টা করছি . হয়ে যাবে

প্রশ্নঃ– আপনারা এতো ভালো কেন? উত্তরঃ–কারণ আপনারা আমাদের সাথে আছেন

ঘুরে আসুন ভোলার মঙ্গলশিকদার (লালমোহন)

কিভাবে আসবেন:

প্রতিদিন ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬ টায় লালমোহন এর লঞ্চ ছাড়ে।আপনি লালমোহন এসে পৌছবেন পরদিন সকাল ৫/৬টায়।
লালমোহন থেকে ছাড়ে বিকাল ৪টায়।
ভাড়াঃ সিঙ্গেল কেবিন-৮০০
ডাবল কেবিন-১৬০০
লালমোহন থেকে মোটরসাইকেল যোগে গেলেই আপনার ভাল হবে।ভাড়া ১জন ৫০ টাকা যাওয়ার ক্ষেত্রে।

কোথায় থাকবেন:

আপনি ঢাকা থেকে লালমোহন এ আসবেন। থাকবেন লালমোহন সদর এ বিভিন্ন হোটেল আছে এবং ডাকবাংলো ও আছে।

জায়গাটার নাম মঙ্গলশিকদার। এটি লালমোহন (ভোলা) থেকে ৪/৫কিঃ মিঃ দূর।লালমোহন দক্ষিন ভোলার একটি সবুজ প্রাকৃতিক জনপদ যার পূর্বে বিশাল মেঘনা ও পশ্চিমে তেতুলিয়া নদী। এই দুই নদী পারের নৈসর্গিক ও ভয়ংকর সুন্দর জায়গাগুলোই এই এলাকার মূল আকর্ষন তাছাড়া মেঘনার মাঝখানে গড়ে ওঠা দ্বীপ ( চর ) গুলো আপনাকে সুন্দরবনের মত একটি ফিল দিতেই পারে।
এছাড়া চিরাচরিত বাংলার ঐতিহ্যগুলো অনেক আগে থেকেই লালন করে আসছে এই এলাকার মানুষজন। মাছে ভাতে বাঙালী যার অনেকটা যথার্থতা এইখানে পাবেন। আর আধুনিক নাগরিক সব সুযোগ সুবিধা তোহ থাকছেই। সরকারের দৃষ্টি পড়লে বাংলাদেশের অনেক পর্যটন এড়িয়ার চেয়ে এই এলাকাকে আরো সুন্দর করে বাস্তবায়ন সম্ভব।

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্পলাইন নাম্বার

Helpline Number
Control Room-Tourist Police Headquarters (House 32, Road 1, Block A), Banasree, Rampura, Dhaka,Mobile No.01769-690740

Chittagong Zone Office-House 131/1, Road 1, South Khulshi, Chittagong,Mobile No.01769-690729

Patenga Sub-Zone Office-South Patenga, Chittagong, Mobile No.01769-690729

Cox`s Bazar Zone Office-Laboni point, Cox’sbazar,Mobile No.01769-690732,01769-690734

Bandarban Sub-Zone Office-Meghla, Bandorban,Mobile No.01712-827490

Inani Sub-Zone Office-Inani, Cox’s bazar.Mobile No.01769-690739

Teknaf Sub-Zone Office-Teknaf, Cox’s bazar.Mobile No.01769-690742

Dhaka Zone Office -House 9, Road 5, Block-J,Banasree,Rampura,Dhaka,Mobile No.01769-690715

Kuakata Zone Office-Kuakata, Patuakhali,Mobile No.01769-690719

Sylhet Zone Office-368 Shekghat, Kotowali, Sylhet,Mobile No.01769-690718

Moulvibazar Sub-Zone Office-Kalighat Road, Shrimongol, Moulavibazar,Mobile No.01769-690721

Madhobkunda Sub-Zone Office-Kathaltoli, Borolekha, Moulavibazar,Mobile No.01769-690728

website: http://tourist.police.gov.bd

টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের নতুন প্রদক্ষেপ

প্রথমেই একটা সুসংবাদ – প্রাপ্ত লাইক আর পোস্ট রিচ এর ভিত্তিতে বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এর ফেসবুক পেজ মধ্যে টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ প্রথম আর সরকারি সেবাদানকারী পেজ গুলোর মধ্যে দ্বিতীয়।

বাংলাদেশে যত বিদেশি ট্যুরিস্ট বেড়াতে আসেন তাদের বেশির ভাগ নিজ এম্বাসি অথবা ত্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের কার্যক্রম সম্পর্কে জানেন এবং টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের উপর তাদের আস্থা আছে বিধায় যে কোন প্রয়োজনে তারা টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের সহযোগিতা নেন।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশি ট্যুরিস্ট দের নিয়ে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ট্যুরিস্ট এটাই জানেন না যে তাদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ নামে একটি বিশেষ বাহিনী আছে। আর যারাও বা জানেন , টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের সম্পর্কে তাদের ধারনা ঐ সাধারন পুলিশের মত। সাহায্য চাইতে গেলে হয়ত উল্টো হয়রানী হতে হবে বেশি। তাই অনেকেই ট্যুরিস্ট স্পট এ হয়রানীর শিকার হলেও তা টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের না জানিয়ে চুপচাপ মেনে নেন।

দেশি ট্যুরিস্টদের টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে ও আমাদের সাহায্য নিতে উৎসাহী করার জন্য দেশের সবচেয়ে বড় ট্যুরিস্ট স্পট কক্সবাজার কে ঘিরে আমরা নিম্ন লিখিত উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি।

নতুন প্রদক্ষেপঃ

# ঢাকা ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের কার্যক্রম ও নাম্বার সম্বলিত ব্যানার থাকবে

# কক্সবাজারগামী সকল বিমান ও বাসের সিটে এবং বাস স্টপেজে টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের কার্যক্রম ও নাম্বার সম্বলিত লিফলেট ও ব্যানার থাকবে

# কক্সবাজার এর সকল হোটেলের রুম এ ও ফ্রন্ট ডেস্ক এ টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের কার্যক্রম ও নাম্বার সম্বলিত লিফলেট ও ব্যানার থাকবে এবং কোন ট্যুরিস্ট ঐ হোটেলে চেক ইন করা মাত্রই তাকে টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের লিফলেট দেয়া হবে।

এর বাইরেও কিভাবে আরও বেশি ট্যুরিস্ট কে টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের সম্পর্কে জানানো যায় সে ব্যাপারে আপনার মূল্যবান আইডিয়া কমেন্ট আকারে জানাতে পারেন ফেইসবুক পেইজে। সবচেয়ে ইউনিক আইডিয়া দাতা পাবেন টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের মাননীয় ডি আই জি জনাব সোহরাব হোসেন এর কাছ থেকে ছোট একটি পুরস্কার।

ঘুরে আসুন আফ্রিকার রত্ন, উগান্ডা

উইনস্টন চার্চিল ‘ উগান্ডার ‘ মনোহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গহীন বন, বন্যপ্রাণীর সংগ্রহ আর মানুষের আতিথেয়তা-তে মুগ্ধ হয়ে এর নাম দিয়েছিলেন ‘আফ্রিকার মুক্তা’। যথার্থ নামকরন এতে কোন সন্দেহ নেই।

যেভাবে যাবেন

ভিসা – উগান্ডার কোন দূতাবাস বাংলাদশে না থাকায় ভিসা নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। আপনাকে যেতে হবে “ভিসা অন আরাইভাল” নিয়ে। তার মানে উগান্ডার বিমানবন্দরে পৌঁছে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে, আর ভিসা ফি মাত্র পঞ্চাশ মার্কিন মুদ্রা।
আসলে উগান্ডা যেতে কোন ঝামেলা হয় না । তবে রুটটা বেশ বড় হবে
ঢাকা – দুবাই – আদ্দিস আবাবা – এন্তেব্বে – বিমানে ।
কাম্পালা হল উগান্ডার রাজধানী। এন্তেব্বে থেকে প্রায় দুই ঘন্টার ড্রাইভ।

থাকা — খাওয়া

খুব কম খরছে হাতের নাগালের মধ্যেই সব পাবেন । হালাল খাবারের মধ্যে খেতে পারেন ব্রেড , ফিশ ফ্রাই এবং ভেজিটাবল ।

কি কি দেখবেন

অনেক কিছু দেখার আছে । বিভিন্ন সাফারি ট্যুর পাবেন ।
১- Bwindi Impenetrable National Park
২- Owen Falls
3- Bujagali Falls
4- Lake Mutanda
5-Ssese Islands

আপনি উগান্ডা দেখে যত টা না মুগ্ধ হবেন , ঠিক তার থেকে অনেক বেশি মুগ্ধ হবেন মানুষের ব্যবহারে । সদা হাস্যময় মুখ আর পরোপকারী মনোভাব আসলেই প্রশংসনীয়।