Radiant Fish World

ছবি দেখে নিশ্চয় ভাবছেন এটা দেশের বাইরের কোন জায়গা, ঠিক যেন ডিসকভারি আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফি কিংবা এনিমেল প্ল্যানেটে দেখানো বিরল ও কিম্ভুতকিমাকার সব সামুদ্রিক প্রাণীর সমাবেশ । এ কি করে বাংলাদেশে সম্ভব!!

জ্বি না। ভুল ভাবছেন। এই প্রথম আমাদের দেশে ( আমার জানা মতে) আন্তর্জাতিক মানের একুরিয়াম স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে আর তার ফলাফল চোখের সামনেই।

কক্সবাজার, ঝাউতলা এলাকাতেই গত ৩০ নভেম্বর, ২০১৭ তে উদ্বোধন হয় Radiant Fish World এর।

জনপ্রতি টিকেট মূল্য ৩০০ টাকা। এছাড়া ভিতরে একজন ভদ্রলোক আছেন যিনি ডি এস এল আর ক্যামেরাতে ছবি তুলে দেন ( প্রতি ছবি — ৫০ টাকা) । নিজেরা ক্যামেরা নিলে তো কথাই আলাদা। আর উপরে একটি রেস্টুরেন্ট ও আছে যার পরিবেশও অনেক সুন্দর।
ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য আছে খেলাধুলার সুব্যবস্থা।

কক্সবাজার ভ্রমণে এখন সবাই হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ এর পাশাপাশি এখানেও বেড়াতে আসবে, আসতে বাধ্য।
কারণ নিজের দেশে এত সুন্দর ও প্রশংসাকারী একটি উদ্যোগ ঠিক কতটুকু সফল হয়েছে তা একবার হলেও পরখ করা উচিত।

বিচিত্র ও নতুন সব সামুদ্রিক প্রাণীর এমন সমাবেশে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য।
যাঁরা এখনো এই ব্যাপারে শুনেন নি আর তাই যাওয়া হয়নি, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন Radiant Fish World.

৪ রাত ৩ দিনের ভ্রমন

#(কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন,হিমছড়ি,,মেরিন ড্রাইভ,ইনানী সি বিচ,রামু বৌদ্ধ বিহার,রাবার বাগান)।

গত ১ তারিখ টাংগাইল থেকে রউনা হই স্বপ্নের কক্সবাজার এর উদ্দেশ্য , তার আগে রোহিঙ্গা নিয়ে অনেক কথা শুনেছি,এত গুলো জায়গা ঘুরে এসে একটা কথাই বলব,, কোন গুজবে কান না দিয়ে& নির্দ্বিধায় চলে যান কক্সবাজার,কোন রুপ অসুবিধা হয় নি ঘুরে বেড়াতে।
আমরা ছিলাম হোটেল সি কক্স এ, হোটেল র এর বারান্দা থেকে সি ভিউ পাওয়া যায়,কক্সবাজার এমন জায়গা বার বার গেলেও সাগরের মুগ্ধতা শেষ হবে না,সন্ধ্যায় চলে যাই বার্মিজ মার্কেটে,ভারা মাএ ১০ টাকা,দামাদামি করে নিবেন, যার কাছ থেকে যেমন রাখতে পারে,ওনেক কিছু শপিং করে হোটেল এ ফিরে আসি,পরের দিন ৬ টার সময় সেন্ট মার্টিন এর জন্য হোটেল।এর সামনে থেকে বাস ছেরে যায়,জাহাজ চলছে সাথে পাখি গুলা উড়ছে আর সবাই চিপ্স বা রুটি ছুরে দিচ্ছে, এক পলকেই লুফে নিচ্ছে পাখি গুলো,,সেন্ট মার্টিন না গেলে কক্সবাজার ভ্রমন বৃথা, এ যেন নীলে নীলে মিশে একাকার,আকাশ নীল সাগরের পানী নিল,যে ভিউ টা আপনি কক্সবাজার পাবেন না,সেন্ট মার্টিন গেলে ডাব খেতে ভুলবেন না,,,পরের দিন সকালে চলে গেলাম রামু বুদ্দিডস বিহার আর রাবার বাগান,রাবার প্রসেসিং দেখলাম,,তার দুপুরের পর চলে গেলাম মেরিন ড্রাইভ এ, মনে হচ্ছিল বাহিরের কোন দেশে চলে এসেছি,এক পাশে সাগর এক পাশে পাহাড়,দেখেই চোখ জুরিয়ে যায়,,হিমছরি দেখে সন্ধ্যা টা পার করলাম ইনানি সি বিচ এ,,সূর্য অস্ত যাওয়ার এরকম সুন্দর দৃশ্য আর কোথাও পাওয়া যাবে কিনা জানা নেই,মনে হল কে টেনে সূর্য টা কে পানির নিচে নিয়ে যাচ্ছে,,
অত:পর সুন্দর কিছু স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফেরা,,,,,,<br>
ছবি:সেন্ট মার্টিন,নো এডিট

Post Copied From:Mahady Rakib>Travelers of Bangladesh (ToB)

কক্সবাজার

এমন একটা জায়গা যেখানে প্রতি বছর গেলেও অতৃপ্তি থেকে যায়। তবে এবারে সবচেয়ে বেশী মুগ্ধ হয়েছিলাম সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে। সেই ভোর ৬ টা বলেন কি রাত ১১ টা, বীচের প্রত্যেকটা পয়েন্টেই ট্যুরিস্ট পুলিশ টহলরত অবস্থায় ছিল।

পরিবার নিয়ে দুইরাত ছিলাম লাবণী পয়েন্টে অবস্থিত হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালে। মিডরেঞ্জের হোটেল হিসেবে অসম্ভব ভাল সার্ভিস ছিল। যেসব জায়গায় গিয়েছিলাম::

১) লাবণী বীচঃ তুলনামূলক ভীর কম এবং হোটেল কাছে ছিল বলে এখানেই গোসল করা এবং সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করার কাজটা সেরে ফেলেছিলাম। তাছাড়া হোটেলের অপোজিটেই ছিল “ঝিনুক মার্কেট”। দাম কিছুটা বেশী হলেও ঝিনুক এবং শামুকের তৈরী অনেক জিনিসপত্র আছে কিনার মত বিশেষ করে কাউকে উপহার দেবার জন্য।

২) সুগন্ধা বীচঃ প্রচন্ড ভীড় হলেও উপভোগ করা এবং চাহিদাসম্পন্ন সব জিনিসের সমাহার এখানেই। 9D, ওয়াটার বাইক, কোয়াড বাইক, ঘোড়া এগুলো চড়তে হলে আপনাকে এখানে আসতে হবে। একশ টাকার টিকেট কেটে প্রথমবারের মত 9D দেখে ভালই মজা পেয়েছি 😃
তাছাড়া সুগন্ধা পয়েন্টের মেলা টাইপের মার্কেটে মহিলাদের কেনাকাটার ব্যাপক জিনিসপত্র ছিল। ফিশ মার্কেটে শুটকী কেনার দোকানও ছিল। লাইভ ফিশ রেস্টুরেন্টগুলোতে বিশাল কাকড়া, গলদা চিংড়ি, অক্টোপাস, রূপচাঁদা মাছ, সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে দুইদিন শুধু এগুলোই খেয়ে পেট ভরিয়েছি 😃

৩) বার্মিজ মার্কেটঃ সাথে যেহেতু মহিলা মানুষ গিয়েছিল, এই মার্কেট তো আর উনারা মিস দিবেন না! 😜 শুটকি, বার্মিজ আচার সহ হাবিজাবি কিনার জন্য ওখানে যাওয়া হয়েছিল সন্ধ্যার পর।

৪) ইনানী বিচঃ সাম্পান দেখার জন্য, পানিতে ভেজা পাথরে পা রাখার জন্য, জাহাজ দেখার জন্য এবং অনন্যসুন্দর মেরিন ড্রাইভ রোডে ভ্রমণের জন্য কক্স থেকে ২৫ কি.মি. দূরে ইনানী বীচে আপনাকে যেতেই হবে। কিছুক্ষণ পরপর অনেক নিচ দিয়ে পেট্রোলিং হেলিকপ্টারগুলো দেখাও উপভোগ করেছি এবার যদিও এটা সবসময় থাকে কিনা জানিনা।

৫) হিমছড়িঃ খাড়া পাহাড়ে সিড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হলেও কষ্ট টা বৃথা যাবার কথা না। বিশাল সমুদ্রকে পাহাড়ের উপর থেকে উপভোগ করার জন্য এটা আদর্শ জায়গা। পাশাপাশি দূরবীনওয়ালাকে পেলে মাত্র ২০ টাকা দিয়ে দেখে নিতে পারবেন অদূর সমুদ্রে জেলেরা কীভাবে মাছ ধরছে, যেটা এবার আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা ছিল। তাছাড়া নামার পথে হিমছড়ি ঝর্ণাও দেখে আসবেন, হাপিয়ে গেলে নিচে এসে সুস্বাদু ডাবের পানি খেতে পারেন।

প্রথমবারের মত কক্স ভ্রমণে গেলে এই জায়গাগুলো একেবারে আদর্শ। আর বড় সময় নিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, রামু, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী এসব জায়গা ঘুরে আসতে পারেন।
ভিডিওটা মোবাইলে শখ করে করা, ভাবলাম আপলোড দিয়ে দিই, হেডফোনে ফুল সাউন্ড দিয়ে সমুদ্রের গর্জন শুনুন, আশা করি ভাল লাগবে ☺
#হ্যাপি_ট্রাভেলিং

Post Copied From:

Motiour Rahman Shawon‎ < Travelers of Bangladesh (ToB)

কক্সবাজার এ শুধু কলাতলী, লাবণী আর সুগন্ধা পয়েন্ট এর সমুদ্র সৈকত দেখে যারা বিরক্ত

কক্সবাজার এ শুধু কলাতলী, লাবণী আর সুগন্ধা পয়েন্ট এর সমুদ্র সৈকত দেখে যারা বিরক্ত হয়ে যান
তাদের জন্য এই স্থান/রোডটি হতে পারে কক্সবাজার ঘুরার অন্যতম একটি জায়গা।

মেরিন ড্রাইভ, এক পাশে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি আর অন্যদিকে বড় বড় পাহাড়ের সারি।
কক্সবাজার থেকে টেকনাফের দুরত্ব ৭৮ কিমি। ইনানি থেকে মূল নতুন মেরিন ড্রাইভ সড়কটি উদ্বোধন হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি।

জীপ/চান্দের গাড়ির খোলা ছাদে বাতাস খেতে খেতে এই রুটে বেড়িয়ে আসতে পারেন। ভাড়া নিবে ৪০০০-৫০০০ টাকা।
আবার টমটম/সিএনজি নিয়েও যেতে পারেন গ্রুপ সদস্য কম হলে। হিমছড়ি-ইনানি-শামলাপুর-টেকনাফ।
কলাতলী মোড় থেকে লোকাল সিএনজি/মাহিন্দ্র ও পাওয়া যায়। ভাড়া ৫০/

সাইকেল চালানোর জন্য আদর্শ রুট।তবে মুখোমুখি বাতাস একটু ঝামেলা করে।

সমুদ্র যদিও ১টাই তবে এক এক স্থানের সৌন্দর্য এক এক রকম। একটু নেমে ঘুরে দেখবেন।

*দরিয়ানগরে আছে প্যারাসেইলিং
*ইনানীতে আছে বিলাসবহুল রয়েল টিউওলিপ
*হিমছড়িতে আছে কৃত্রিম ঝর্না+পার্ক+পাহাড়ের উপর থেকে টপভিউ সমুদ্রের
*রেজুখাল ব্রীজের পর আছে প্যাঁচার দ্বীপ।
* শামলাপুরে আছে স্থানীয় মাছবাজার
*শীলখালির আগে আছে শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ
*টেকনা

 

—প্লাস্টিক/অপচনশীল দ্রব্য সৈকতে ফেলবেন না। পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা ইভেন্টে টিশার্ট পড়ে পরিষ্কার করার চেয়ে নিজেরা চারপাশটা পরিষ্কার রাখি।
সৈকতে বিপদে আপদে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিন, ইভটিজিং এর শিকার হলেও।

ভ্রমণ হোক নিরাপদ

Post Copied From:Sakib Mahmud>Travelers of Bangladesh (ToB)

শাপলাপুর

আমরা ১৮ জন গত ১৭-১১-১৭ নভেম্বর ঘুরে আসলাম কক্সবাজার এর শাপলাপুর থেকে
শাপলাপুর নামটা নিয়ে একটু কনফিউশনে আছি Google বলে শামলাপুর আর লোকাল ড্রাইভার ও রোডের কি.মি. নির্দেশিকা পিলার বলে শাপলাপুর নাম তার যাই হোক আমরা ঘুরে আনন্দ পেয়েছি খুব।গিয়েছি মুলত কাম্পিং করবো বলে, তাবুতে রাএি যাপন করবো, বার বি কিউ করবো, নাচা-গানা করবো, বসে বসে অন্ধকারে তারা দেখবো, সমুদ্রের গর্জন শুনবো, বিচে ফুটবল খেলবো যা যা ইচ্ছা নিয়ে গিয়েছিলাম এর কোনটার কমতি হয়নি সেখানে। আমি এর আগে ৩-৪ টা কাম্পিং করসি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এটা আমার করা সেরা কাম্প ছিল, শাপলাপুরে আমরা যে জায়গাতে কাম্পিং করেছি ওইটা একটা নৌকা ঘাট যেখানে মাঝিরা তাদের নৌকা গুলো মাছ ধরা শেষে উজানে তুলে রাখে। রাতে আমরা মাঝিদের সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছি, তাদের অবস্থা, আয়-ব্যয় ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি,রোহিংগা শরনার্থি আসার ফলে তারা পরেছে বিপাকে, তারা তাদের সাভাবিক কার্য সম্পাদনে কিছুটা সমস্যায়য় পরছেন
তাদের সাথে কথা বলতে বলতে রাতটা শেষ করি,ওই খানে আমাদের সব কিছু ব্যবস্তা করে দিয়েছেন খোরসেদ ভাই আর আজগর নামের একজন ছিল সে আমাদের রাতে পাহাড়া দিয়েছিল তার সাথে আরও ২ জন ছিল পাহাড়ায় সে কারনে আমরা ১০০% সেবেই ছিলাম।খোরসেদ ভাই এর কথা না বললেই নয় তিনি আমাদের সাথে থেকে ঠোল বাজিয়েছেন কি গান গেয়েছেন, তার মাছ ধরার পাগলামি দেখে টো থ হয়ে গেসিলা রাত ২.৩০ এ আমরা ৬-৭ জন জেগে ছিলাম ওই টাইমে তার পেরা উঠে মাছ ধরবে, ভাটার জমে থাকা পানিতে থেকে আমরা প্রায় ১ ঘন্টা চিংড়ি মাছ ছরি ২৫-৩০ টা সেগুলো আবার পুড়িয়ে শেষ রাতের ভোজন কম্পলিট করি এক ২ দিনের টুরের কথা এখন মনে হচ্ছে লিখতে গেলে হাত ব্যাথা হয়ে যাবে

আপ্নারা যদি যেতে চান তাহলে কক্সবাজার থেকে
সি এন জি বা চান্দের গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন ৪০-৫০ মিনিট লাগবে হিমছড়ি, ইনানি পার হয়ে আরও পরে শাপলাপুর
১- সিকিউরিটি ১০০% পাবেন সেখানে
২-মিঠা পানিতে গোসল করতে পারবেন
৩- টয়লেট সুবিধা পাবেন
৪- খাবার খাওয়ার হোটেল আছে
৫- তাবু না থাকলে আমারা ভাড়া নিয়ে ছিলাম
৬-মেয়েরা ও যেতে পারবে আমাদের সাথে ৩ জন মেয়ে ছিল
বানান গত ভুল এরিয়ে যান, কিছু জানার থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন ইনবক্সে
পরিবেশ এর জেন কোন ক্ষতি না হয় সে খেয়াল রাখবেন
ভ্রমনেই সুখ, ভ্রমনেই আনন্দ