সুন্দরবন ট্যুর এর ট্রাভেল এজেন্সিগুলো নিয়ে কিছু ধারনা

ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ে আমার কিছু মিশ্র অভিজ্ঞতা হল এই ট্যুর এ।
আমি প্রথমে ঢাকায় একটা ট্রাভেল এজেন্সির সাথে কথা বলি প্রথমে। সেখানে প্যাকেজ এর দাম বলা হয় ৮৫০০ টাকা পার পারসন। আমরা ছিলাম ৩ জন। মা, বাবা আর আমি। আমাদের কে প্রথমে বলা হয় ডিসকোভার লঞ্চে ৪ জন এর রুম দেয়া হবে এটাচড বাথ সহ। এখানেই কথা শেষ, পেমেন্টও ক্লিয়ার করে দেয়া হয়। এখান থেকে আমাদেরকে খুলনার একজনের নাম আর ফোন নাম্বার দেয়া হয়। বলা হয় খুলনায় গেলে উনিই সব ম্যানেজ করে দিবে।

খুলনায় পৌঁছে আমরা ওই লোকের সাথে যোগাযোগ করি। উনি বলেন আমাদেরকে ডিসকোভার লঞ্চে না দিয়ে বনবিলাস লঞ্চে দেয়া হয়েছে ৩ জনের রুমে। কারন হিসেবে বলা হয় ডিসকোভারে ব্যাচেলর বেশি আর বনবিলাসে ফ্যামিলি। আর আমরা যেহেতু ফ্যামিলি, তাই আমাদেরকে বনবিলাসে দেয়া হয়। ভালো, আমরা আর কোন আপত্তি জানাই নি। আমরা তখন রুম সম্পর্কে জানতে চাইলে বলা হয় একটা কাপল বেড, মাঝে স্পেস তারপর একটা সিঙ্গেল বেড। তবে এটাচড বাথ নেই, কমন বাথ ব্যাবহার করতে হবে, এবার আমরা আপত্তি জানাই, তারা বলে যে ডিসকোভার লঞ্চে বেড ট্রেন এর কেবিন এর মত বাথ সিস্টেম এর। কিন্তু বনবিলাসে হোটেল এর মত। ট্রেন এর মত উপর নিচে না। তাই আমাদের একটু কনসিডার করতে হবে। আমরা এটাও কনসিডার করলাম ( আসলে আমার বাবা আর কোন ঝামেলায় যেতে চান নাই, তাই আমিও আর কিছু বলি নাই)।

লঞ্চে উঠার পর আরেক কাহিনী। গিয়ে দেখি ওই লঞ্চে আমাদেরকে যে ধরনের রুমের কথা এতক্ষন বলা হল এমন কোন রুম এর অস্তিত্বই নাই। রুমগুলো সেই ট্রেন এর কেবিন এর মত বাথ সিস্টেম এরই। তার উপর রুমটা প্রচণ্ড ন্যারো। এবার তো মেজাজ আরও খারাপ। এবার লঞ্চ এর ক্যাপ্টেন আর লঞ্চ মালিক এসে আমাদের ভুগিচুগি বুঝ দিতে লাগলেন, আমরা নাকি বুঝতে ভুল করেছি, আমরা যে লোকের সাথে কথা বলেছি তার নাকি শর্ট টাইম মেমরি লস হয়, সে নাকি ভুল বলেছে, এটাচড বাথ সহ রুম এর মূল্য নাকি ১২০০০ টাকা, তাদের অন্য সব রুম নাকি বিক্রি হয়ে গেছে, আমরা অন্য আরেকটা রুম চাইলে বলা হয় ৩ জনের আর কোন রুম নাই, সব ২ জনের, এরপর আমরা ২ জনের একটা রুম চাইলে বলা হয় আমরা নাকি লাখ টাকা দিলেও তারা রুম দিতে পারবে না, তারা নাকি এক কথার মানুষ, যাকে যে রুম এর কথা বলে তাই নাকি দেয়া হয়, তাই অন্য রুম দেয়া যাবে না। এরকম আরও অনেক কিছু। মেজাজ তো এই সময় যে কারোরই খারাপ হবার কথা। এর মধ্যে আবার লঞ্চ মালিক লঞ্চ থেকে চলে যায়, আমরা কিছু বললে লঞ্চের ক্যাপ্টেন বলে লঞ্চ মালিক জানে সব। এবভাবেই আমাদের সব কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়।

এরপর আমাদের লঞ্চের গাইড যিনি উনি আসেন, উনিই একমাত্র ভদ্র অথরিটি ততক্ষন পর্যন্ত। উনি এসে আমাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান। আর আশ্বস্ত করেন যে উনাদের সার্ভিসে আমরা অসন্তুষ্ট হব না। উনার আশ্বাসে ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও আমরা পরে ওই রুমেই উঠি।

এখানে আমার কিছু উপলব্ধি আপনাদের সাথে শেয়ার করি,
লঞ্চ মালিক আর ট্রাভেল এজেন্সি গুলা আসলে ট্যুর পরিচালনা করে না, এরা হল মধ্যস্ততাকারী। এরাই যত রকম ফন্দি ফিকির করা যায়, করে। এদের মুখের কথার কোন দাম নাই, ২ মিনিট এর মধ্যেই এরা বলা কথা ঘুরায় ফেলতে সক্ষম। তাই এদের সাথে আপনারা কথা বললে সব কিছু লিখিত নিয়ে আসবেন। হ্যাঁ, সব ট্রাভেল এজেন্সিই যে এরকম তা হয়তো নয়, তবে আপনার টাকা, আপনার ট্যুর তো, তাই সাবধান হওয়া ভালো, নাহলে পরে একমোডেশন নিয়ে আমাদের মত ঝামেলায় পরতে পারেন। এজন্য আমার মতে, আপনারা এইসব ট্রাভেল এজেন্সিগুলার কাছ থেকে একমোডেশন সংক্রান্ত সব তথ্য লিখিত নিয়ে আসবেন। এটাই সেফ।

এতটুকু পর্যন্তই আসলে ক্ষোভ। এরপরে আসলে ট্যুর গাইড, লঞ্চ এর সার্ভিস বয় দের ব্যাবহার আমাদের হতাশ করে নি। আমাদের গাইড যিনি ছিলেন তার কথাবার্তা অনেক মার্জিত ছিল, উনি অনেক হেল্পফুলও ছিলেন, কারো কোন কোশ্চেনে আমি উনাকে বিরক্ত হতে দেখি নি, বরং উনি খুব ই উৎসাহ নিয়ে আমাদের অনেক হেল্প করেছেন। উনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। বত্ব, উনার নাম ছিল আলম সাহেব। এছাড়া আমাদের গার্ড যিনি ছিলেন উনিও অনেক রসিক মানুষ, আর খুবই মিশুক। আবুল কালাম নাম উনার। উনাকেও ধন্যবাদ। আর লঞ্চের সার্ভিস বয় রাও ভীষণ হেল্পফুল ছিল। তাই, উনাদের এরকম আন্তরিক ব্যাবহারে, পছন্দসই রুম না পাওয়ার পরেও বলতে পারি যে, ওভারঅল ট্যুর টা ভালোই হয়েছে।

খাওয়া দাওয়া সম্পর্কে একটু বলি,
খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোনোরকম সমস্যাই হয় নাই। সকালে নাস্তা ৯ টা থেকে ৯.৩০ এর মধ্যে, এরপর ১১ টায় হালকা স্নাক্স, ১.৩০ থেকে ২ টা এর মধ্যে লাঞ্চ, এরপর সন্ধ্যায় নাস্তা ৫.৩০ থেকে ৬.০০ এর মধ্যে, এরপর ডিনার ৯.৩০ থেকে ১০.০০ এর মধ্যে। সেলফ সার্ভিস ছিল খাওয়া দাওয়া। বুফে ছিল না, তবে কেউ মেইন কোর্স এক্সট্রা চাইলে সাথে সাথেই দেয়া হয়েছে, তাই খাওয়াটা শেষ পর্যন্ত বুফের মতই হয়েছে।

আপনার সাথে যদি কোন শুকনা খাবার নাও থাকে তাও কোন অসুবিধা হবে না আপনার। তবুও জলপথ তো, আমার মতে নিজের সাথে কিছু খাবার রাখা ভাল।

এবার আসি কিছু সিরিয়াস সচেতনতামূলক কথাবার্তায়।
ভাই, সুন্দরবন টা আমাদেরই, তাই না ??
কেন প্লাস্টিকের বোতল, নুডুলস, চিপসের প্যাকেট, জুতা, ব্যাগ, নেট এর ব্যাগ ফেলে নোংরা করছেন জায়গাটা ??
আমাদের সাথেই ২ জন ফরেনার ছিল, একজন জার্মানির, অন্যজন কোরিয়ার। এরা যখন ফিরে গিয়ে বলবে বাংলাদেশ নোংরা, মানুষজন সুন্দরবন এর মত জায়গাকেও নোংরা বানিয়ে ফেলেছে, তখন সেটা কি আমাদের জন্য খুব গর্বের ব্যাপার হবে ??
যারা যেখানে সেখানে ড্রিংকস এর বোতল, চিপস এর প্যাকেট ফেলেন তারা একটু ভাববেন দয়া করে।

Post Copied From:Soumit Saha‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সুন্দরবন, পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, UNESCO World Heritage Site.

যেভাবে যেতে পারেন…
সুন্দরবনে আপনি মেইনলি ২ ভাবে যেতে পারেন, নিজ উদ্যোগে বা কোন ট্রাভেল এজেন্সির সাথে। আমি একটি ট্রাভেল এজেন্সির সাথে গিয়েছিলাম।

ট্রাভেল এজেন্সিগুলো মেইনলি প্যাকেজ সিস্টেমে ট্যুরিস্টদের সুন্দরবন ঘুরিয়ে থাকে। আমার এই ট্যুরে ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ে বেশ কিছু মিশ্র অভিজ্ঞতা আছে, সেগুলা অন্য একদিন শেয়ার করব।আজকে শুধু ঘোরার অংশটুকুই বলি।

— প্রথমে চিত্রা এক্সপ্রেসে করে ঢাকা থেকে খুলনা। – ভাড়া ১০০০/- (ভ্যাট সহ)। সুন্দরবন যাত্রা শুরুর একদিন আগেই আমি খুলনা পৌঁছেছিলাম খুব টাইট স্কেজিউল এড়ানোর জন্য।

— একদিন বিশ্রাম নিয়ে খুলনা শহর ঘুরে পরদিন সকালে এজেন্সির লঞ্চে উঠি সকাল ৬.৪৫ এ। ছাড়ার কথা ছিল ৭ টায়। কিন্তু লঞ্চ ছাড়ে ১০.৩০ এ। কারন ঢাকা থেকে চিত্রা আসতে অইদিন ৪ ঘণ্টা লেট করে।

— লঞ্চ মংলা পৌঁছানোর পর একজন গার্ড নেয়া হয়। তারপরই মেইনলি শুরু হয়ে যায় সুন্দরবন যাত্রা পশুর নদী ধরে।

— প্রথমদিন বিকালে আমরা পৌঁছাই হারবারিয়া। গাইড এর তথ্যমতে, আমরা যে কয়টা পয়েন্ট ঘুরব(এই পোস্টের পরবর্তী অংশে পয়েন্টগুলো নিয়ে বিস্তারিত বলা আছে) সেগুলার মধ্যে হারবারিয়াতেই বাঘের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও আমাদের শেষ পর্যন্ত বাঘের একটা অস্পষ্ট পায়ের ছাপ দেখেই খুশি থাকতে হয়েছে। হারবারিয়া তে প্রায় ১.৫ কি.মি. দীর্ঘ একটা ওয়াকওয়ে আছে বনের ভেতর দিয়ে।

— হারবারিয়া তেই প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমরা লঞ্চে ফিরে আসি আর এরপর রাতেই কটকা এর উদ্দেশ্যে রওনা হই। কটকা পৌঁছাই রাত ২ টার দিকে।

— পরদিন ভোর ৬ টায় আমরা কটকা বিচের উদ্দেশ্যে রওনা হই। ৩০ মিনিট হাঁটার পর বিচে পৌঁছাই। বিচে সূর্যোদয় দেখে আমরা এরপর যাই শরনখোলা রেঞ্জের বন বিভাগের অফিস এর দিকটায়। ওখানে কিছুক্ষন হাঁটার পর আমরা দেখা পাই এক পাল চিত্রা হরিণ এর। আমাদের লঞ্চের একজন কর্মচারী গিয়ে গাছে উঠে পাতা ছিঁড়ে দিলে হরিণগুলো খেতে আসে, তখন হরিণগুলোকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়।

— এরপর আমরা লঞ্চ এ ফিরে আসি আর হিরনপয়েন্ট এর জন্য রওনা দেই। ওখানে বনের ভিতরে আমরা প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটি। হিরনপয়েন্টে নৌ বাহিনীর রেস্ট হাউস আছে একটা।

— হিরনপয়েন্ট থেকে আমরা যাই দুবলার চরে। ওখানে আমরা সূর্যাস্ত দেখি আর জেলেপাড়া থেকে শুঁটকি কিনে লঞ্চে ফিরে আসি।

— এরপর রাতে জোয়ার আসলে করমজল এর উদ্দেশ্যে রওনা হই। পৌঁছাই রাত ১ টার মধ্যে। ওখানেই সারারাত লঞ্চে ছিলাম। পরদিন সকালে করমজল ঘুরতে যাই, ওখানে কুমির প্রজনন কেন্দ্র আছে, আর হারবারিয়া এর মত একটা ওয়াকওয়ে আছে।

— এরপর খুলনার উদ্দেশ্যে ফিরতি যাত্রা। খুলনা পৌঁছাই বিকাল ৫ টায়। এরপর আবার চিত্রা এক্সপ্রেসে করে ঢাকা।

খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ণ প্যাকেজের ভিতরে ছিল।প্যাকেজে পার পারসন ৮৫০০/- নিয়েছে। আর যাওয়া আসায় ২০০০/- টাকা ট্রেন ভাড়া(স্নিগ্ধা চেয়ার কোচ)। টোটাল ১০৫০০/- খরচ হয়েছে আমাদের পার পারসন।

Post Copied From:Soumit Saha‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

হাজারিখিল গেম লাইফ সেংচুয়ারি

If travelling was free,you’d never see me again 😊
আমি বলি নাই,আমার এক বড় ভাই Mizan Rana বলছেন। 😜
আসলেই কল্পনা করা যাই না,আল্লাহ যে এতো সুন্দর সুন্দর জায়গা বানাইছেন।
বান্দরবন,সুন্দরবন,সিলেট এর মিশ্রণে এক অদ্ভুত হাজারিখিল 😊
যদি ট্রাভেলিং টা ফ্রি হতো,তাহলে প্রতিদিন এখানে চলে আসতাম।
যাক আসল কথাই আসি।
এলাকার বড়ভাই,বন্ধুবান্ধব মিলে অনেকদিন ধরে প্ল্যান করলাম ১দিন এর ট্যুর দিবো।
প্ল্যান করলাম ঠিক,কিন্তু প্লেস ঠিক করতে পারলাম না।
এমন সময় মামুন ভাই এর পোস্ট পাইলাম।
উনি যে ছবি দিলেন, ছবি দেখার সাথে সাথে সবাই একপায়ে খাড়া, সবাই রাজি।
যে এখানেই যাবো।যেভাবেই হোক,এখানেই যাবো।
তো আমরা সবাই মিলে ঠিক করলাম ১৮ তারিখ যাবো।
প্রথমে আমাদের ট্যুর এর সদস্য সংখ্যা ছিলো প্রাই ২১ জন।
তা কমতে কমতে ১৫জন হলো।
প্রত্যেক ট্যুর এই তা হয়, প্রথমে অনেকজন থাকে।কিন্তু যাওয়ার টাইমে কয়েকজনযেতে পারে না।
আসলে আল্লাহ তাদেরকে এই ট্যুর এর জন্য কবুল করে নাই😂
তো আমরা ১৫জন মিলে সকাল ৭টার দিকে হাজারিখিল এর উদ্দেশ্যে রাওনা দিলাম।
প্রথমে অক্সিজেন গেলাম,ওখান থেকে বাস করে জনপ্রতি ৪০টাকা করে বিবিরহাট, ফটিকছড়ি তে নামলাম।আসলে আমরা ২৫টাকা করে বাসের ছাদে গিয়েছিলাম।ছাঁদে সবাই মিলে গান গাওয়ার মজাই আলাদা।যাক
ওখানে সকালের ব্রেকফাস্ট টা সেরে নিলাম।তারপর জনপ্রতি ৩০টাকা করে লোকাল সিএনজি করে হাজারিখিল ফরেস্ট অফিস পোঁছালাম।
এবার আসল খেলা শুরু।গাইড মান্নান ভাই (01815382431)এর সাথে কথা হলো।ওনার সাথে দরদাম মিললো না।তাই ওনাকে বিদাই করে দিলাম।আপনারা চাইলে নিতে পারেন।
ফরেস্ট অফিস এর শাহাদাত ভাই এর সাথে কথা বললাম।উনি আমাদের রাস্তা দেখাই দিলেন।
প্রথমেই গিরিপথ এর উদ্দেশ্যে রাওনা দিলাম।
বাপরে, বনজঙ্গল যে এতো ভয়ানক হবে কে জানতো?😁এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মাঝে পরে গেলাম।
কয়েকজন তো ব্যাক দিতে চাইছে।😂 হাটতে হাটতে কিছুুদুর যাওয়ার পর গাইড শশী কুমার ভাই কে (01882820226) পাইলাম। তারপর গিড়িপথ,ঝড়না,৯০ডিগ্রি খাড়া পাহাড় সব কিছু দেখে নিলাম।প্রাই ৮ঘন্টা ট্রেকিং করলাম। ঝড়নার দিকে পাতার ভিতরে সাঁপটা দেখার পর সবাই যে চিৎকার দিলো, চিৎকার এর ফিল টাই অন্যরকম ছিলো😜
আার গিড়িপথ এর কথা কি বলবো,এতো সুন্দর গিড়িপথ আমার লাইফে কখনো দেখি নাই।৯০ডিগ্রী খাড়া পাহার এর কথা নাই বল্লাম।চা বাগান টাও দেখার মতো ছিলো।দিনশেষে সবাই মিলে পুকুরে গোসল করার মজাটাও আলাদা 😍
আার যারা যেতে চান, তাদেরকে,বলছি,খালি হাতে ট্রেকিং এ যাবেন না। হালকা পাতলা খাবার নিয়ে যাবেন।যদি দুপুর এর খাবার খেতে চান,যাওয়ার আগে হাজারিখিল বাজারে অর্ডার দিয়ে যাবেন।কারন ওখানে সবসময় খাবার থাকে না।
যেভাবে যাবেন- ঢাকা-ফটিকছড়ি বিবিরহাট-হাজারিখিল ফরেস্ট।।
চট্টগ্রাম থেকে যেভাবে যাবেন- অক্সিজেন -ফটিকছড়ি বিবিরহাট। বাসের সিট এ ৪০,ছাদে ২৫. বিবিরহাট-হাজারিখিল ৩৫ টাকা।
খরচ জনপ্রতি -৩০০টাকা চট্টগ্রাম থেকে।।
আর একটি কথা,গাইড কে বেশি থেকে বেশি ৪০০টাকা দিবেন তার বেশি দেবেন না।দুপুরের খাবার আমাদের সাথে সহ ৩০০টাকা দিয়েছিলাম ।এই প্রথম রিভিউ দিলাম,ভুল হলে ক্ষমা করবেন,না করলে নাই 😂😁
ধন্যবাদ
একসাথে যদি এতগুলো প্লেস দেখতে চান,তাইলে এখনি চলে যান হাজারিখিল। 😃
হ্যাপি ট্রাভেলিং ✌

সাতক্ষীরা জেলার পর্যটন অঞ্চলসমূহ

সুন্দরবন
Suandarban

সাতক্ষীরা শহর পেরিয়ে যতই যেতে থাকবেন বঙ্গপোসাগরের কোল ঘেঁষা সুন্দরবনের সীমায়, অজ্ঞাত কবির লেখা এই চরণগুলি আপনাকে ততই দাঁড় করাবে সুন্দর সত্যের মুখোমুখি। মানচিত্রের সবুজ যে দেশের প্রাণ, সে দেশের সবুজ কতো সুন্দর, মহোময়, উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত তা কি একবার ভেবে দেখেছেন? দেখেছেন সবুজ গ্রাম আর বন-বনানীর দিকে একবার তাকিয়ে? উপভোগ করেছেন এর মনোলোভা সৌন্দর্য? হয়তো কবির মতো বলবেন ‘সময় কোথা সময় নষ্ট করবার’।

নাগরিক জীবনের বিষাক্ত বাতাস, ক্লেদাক্ত কর্মময় জীবন থেকে ছুটি নিয়ে দেখে আসুন না গাঢ় সবুজের মেলা। যে মেলায় শুধু সবুজ খেলা করে। আর সবুজের সঙ্গে খেলা করে হরেক জীবজন্তু, পাখপাখালি, কীটপতঙ্গ আর বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসা জলভেজা বাতাস। হ্যাঁ, সুন্দরবনের কথা বলছি। যে বন আমাদের প্রাণে আনন্দের খোরাক যোগায়, শত ব্যস্ততা দূরে সরিয়ে সময়কে উপভোগ করার প্রণোদনা দেয়। সেই সময়কে কি সময় নষ্ট বলা যায়? নিশ্চয় না।

বাংলাদেশের ৬টি জেলা জুড়ে সুন্দরবন বিস্তৃত হলেও একমাত্র সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার মুন্সিগঞ্জ থেকে সরাসরি দেখা যায় সুন্দরবনের সবুজ আবহ। ঢাকা থেকে রওনা হলে সরাসরি মুন্সিগঞ্জ গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যতদূর আপনার চোখ যাবে, শুধু দেখবেন সবুজ সীমানা।

মংলা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট যেদিক দিয়েই সুন্দরবন যান না কেন, বন দেখার জন্য নদীপথে ছুটতে হবে অনেকটা দূর। একমাত্র সাতক্ষীরার কোলঘেঁষা সুন্দরবন ব্যতিক্রম। বন যেন ময়ুরের মতো সুন্দর পেখম মেলে বসে আছে তার অগণিত প্রণয়ীর প্রতীক্ষায়। সাতক্ষীরা শহর পেরুলেই রাস্তার দুপাশের বড় বড় সবুজ বৃক্ষ আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে সুন্দরবনের পথে। আপনার গাড়ি চলতে থাকবে সবুজ টানেলের ভেতর দিয়ে।

সাতক্ষীরা দিয়ে সুন্দরবন দেখার জন্য আপনি ঢাকা থেকে রওনা হতে পারেন রাত ৯টা, ১০টা অথবা ১১টার গাড়িতে। তাহলে হাতে পাবেন একদিন বেশি সময়। গাড়ি আপনাকে সকাল ৭টার মধ্যেই পৌঁছে দেবে শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে মাইক্রো অথবা পাবলিক বাসে ১৫ কিলেমিটার গেলেই দেখতে পাবেন সবুজ বন; শরীরে এসে ছুঁয়ে যাবে শীতল হাওয়া।

পর্যটন খাতে আমাদের আয়ের পর্যাপ্ত সুযোগ থাকলেও অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে এ খাত আজও অনেক পিছিয়ে। সাতক্ষীরা সুন্দরবনও তার ব্যতিক্রম নয়।

নৌকা চলতে শুরু করবে মাঝারি আকৃতির মালঞ্চ নদী দিয়ে। দুপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। তবে হরিণ, বানর, বনমোরগ প্রভৃতি প্রাণী দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। অপনাকে যেতে হবে বেশ কিছুক্ষণ। নৌকা যখন ঢুকবে ছোট শাখা নদী বা খালগুলোতে তখন কিন্তু অপনার গায়ে কাটা দিতে শুরু করবে। এই বুঝি বাঘ এসে পড়ল আপনার গায়ের উপর। আর গাঢ় সবুজ অন্ধকারের মাঝে শীতল হাওয়া ভয়টা একটু বেশিই বাড়িয়ে তুলবে।

বোটম্যানকে বললে নিরাপদ স্থানে আপনাকে নামিয়ে দিবে বনের মধ্যে। কিন্তু, বেশি সাহস দেখিয়ে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না, তাতে বিপদ হতে পারে। কাদায় নামার আগে খেয়াল রাখবেন পায়ের দিকে। কারণ গাছের অদ্ভুত খাড়া খাড়া শ্বাসমূল পায়ে ফুটে যেতে পারে। সুন্দরবনের সুন্দরী, গরান, গেওয়া, কেওড়া, গোলপাতা, খলিসাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চিনতে আপনাকে সহায্য করবে বোটম্যান অথবা গাইড। গাইড নেয়াসহ সব ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করবে সেই টাইগার পয়েন্ট রেস্ট হাউসের কর্মীরা।

নৌকায় চড়ার আগে কিন্তু বেশি করে শুকনা খাবার এবং পানি নিতে ভুলবেন না। কারণ নদীর লোনা হাওয়া আপনার ক্ষুধাকে বাড়িয়ে তুলবে কয়েক গুণ। বুড়িগোয়ালিনী গিয়ে নৌকা থেকে নেমেও খাবার কিনে নিতে পারবেন। সাথে বনবিভাগের পোষা হরিণ, বানর দেখতে পাবেন। বনে ঘোরা যাবে প্রায় ৬-৮ ঘণ্টা। সারাদিন ঘুরে এসে পরদিন আশপাশের গ্রামে বসবাসরত মৌয়াল, বাওয়াল ও মুন্ডা নামক আদিবাসীদের জীবনযাত্রাটা একবার দেখে নিতে পারেন।

এই এলাকার খাওয়া-দাওয়াটা কিন্তু সেরে নিতে পারেন স্পেশালভাবে। বিশেষ করে এখানে এমন কিছু মাছ পাওয়া যায় যা দেশের অন্য কোথাও দেখা পাওয়া যায়না বললেই চলে। মাছগুলোও কিন্তু অনেক সুস্বাদু। তবে পছন্দের খাবারের জন্য একমাত্র ভরসা টাইগার পয়েন্টের ক্যান্টিন। এই ক্যান্টিনে দুপুর এবং রাতের খাবার পাবেন ১০০-১২০টাকায়। এর সাথে কিছু অতিরিক্ত টাকা যোগ করে চিংড়ি, ভেটকি, ভাঙান, পাসসে, কাইন, বাঁশপাতা, খয়রা, তপস্বে, দাঁতনেসহ বিভিন্ন প্রজাতির নদীর মাছ খাওয়ার সুযোগ তো থাকছেই। তবে ভুল করে হরিণের মাংস খাওয়ার কথা না বলাই ভালো। কারণ এটা একবারেই নিষিদ্ধ।

থাকা-খাওয়া

থাকার জন্য সুশীলনের টাইগার পয়েন্ট এবং বর্ষার রেস্ট হাউসই ভরসা। টাইগার পয়েন্টে রুমপ্রতি ভাড়া ৫০০-১৭০০ টাকা। তবে ডরমেটরি টাইপের কিছু রুমে প্রতি বেডের ভাড়া পড়বে ২০০টাকা। এখানে ৩টি আধুনিক সুবিধাসহ কনফারেন্স রুমও আছে। এছাড়া, একসঙ্গে ১০০ জন মানুষ এখানে থাকতে ও খেতে পারবে। এখানে আরও একটি স্পেশাল সুযোগ পাবেন। সেটা হলো, ছাদে বসে বাডর্স আই ভিউ থেকে সুন্দরবন দেখা। আর চাঁদনি রাত যদি পেয়ে যান, তাহলে তো কথাই নেই।

সাতক্ষীরার মালঞ্চ, কালিন্দী, রায়মঙ্গল, খোলপেটুয়া, বুড়িগোয়ালিনী নদীর তীর ছুঁয়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনে ঘোরার জন্য পর্যাপ্ত বোট থাকলেও বন দেখে এসে থাকা খাওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এখানে ছিলোনা কখনোই। সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো পর্যায় থেকেই শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে স্থাপন করা হয়নি ভালো মানের কোনো হোটেল বা রেস্ট হাউস। তবে, সম্প্রতি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সুশীলন’ মালঞ্চ নদীর তীর ঘেঁষে নির্মাণ করেছে ‘টাইগার পয়েন্ট’ নামে একটি যথেষ্ট মানসম্পন্ন রেস্ট হাউস। এছাড়া আরও একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘বর্ষা’ও নির্মাণ করেছে একটি বিনোদন কেন্দ্র। সুতরাং, থাকা কিংবা গাড়ি থেকে নেমে একটু ফ্রেশ হয়ে বন দেখতে বেরিয়ে পরার কোনো সমস্যা এখন আর নেই। মুন্সিগঞ্জ বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চলে যেতে হবে ইঞ্জিনচালিত নৌকার ঘাটে। প্রতি ঘণ্টায় এই নৌকায় ভাড়া গুনতে হবে ৩০০-৪০০ টাকা। বড় নৌকার ভাড়া একটু বেশি।

যাতায়াত

ঢাকার কল্যাণপুর, মালিবাগ ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে সোহাগ, সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস, কে লাইন, একে ট্রাভেলস, এম আর, ঈগল, এসপি গোল্ডেন লাইনপরিবহনসহ প্রায় ১২টি পরিবহনে সাতক্ষীরা যাওয়া যায়। একে ট্রাভেলস এবং এম আর পরিবহনে সরাসরি যাওয়া যায় সাতক্ষীরা শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে। ভাড়া ৫০০ টাকা। তবে এসি পরিবহনে যেতে পারবেন সাতক্ষীরা সদর পর্যন্ত। ভাড়া ৭০০-১০০০ টাকা। সকাল, দুপুর ও রাতের তিনটি নির্দিষ্ট সময়ে গাড়িগুলো ঢাকা ছেড়ে যায়।

সাতক্ষীরার দর্শনীয় নলতা শরীফ

বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম। যুগে যুগে এদেশে জন্ম লাভ করেছে অনেক পীর, মাশায়েখ ও বুজুর্গ ব্যক্তি। ইসলাম প্রচার ও ধর্মের টানে এদেশে আগমন করেছে অনেক ধর্মীয় পুরুষ। যাদের পরিশ্রমে ইসলামের পতাকা উড্ডীন হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে সমাজ সংস্কার ও ইসলাম প্রচারের জন্য যে সকল ব্যক্তি তাদের প্রচেষ্টা ব্যয় করেছেন তার মধ্যে খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ অন্যতম। তিনি সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ব্যক্তি।

তার ওফাতের পর তার নাম অনুসারে সাতক্ষীরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে নানানপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তার স্মৃতি ধন্য সাতক্ষীরার নলতা শরীফ বর্তমানে একটি দর্শনীয় স্থান।

সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম একটি উপজেলা কালীগঞ্জ। এ উপজেলারই একটি গ্রাম নলতা। শান্ত, শ্যামল ও সৌম্য এ গ্রামটি আজ দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিত। এ গ্রামেই জন্মেছিলেন খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ। বাংলাদেশের অবহেলিত-অশিক্ষিত বাঙালি মুসলমান যুবকদের মধ্যে তিনি শিক্ষা বিস্তারে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি তার সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণে। বাংলাদেশের বিখ্যাত আহছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা এই খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ। খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ ১৮৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুন্সী মোহাম্মদ মুফিজ উদ্দিন এবং মায়ের নাম মোছা: আমিনা বেগম। স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া শেষে আহসান উল্লাহ উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা যান এবং ১৮৯৫ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছিলেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম মুসলিম প্রধান শিক্ষক। তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগে একজন মুসলমান হিসেবে যোগ দেন এবং সহকারী ডিরেক্টর পদ পর্যন্ত অলঙ্কৃত করেন। এছাড়াও তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেটর ছিলেন।

সরকারি কাজে নিযুক্ত থাকার সময় তিনি বিভিন্ন জেলা ও বিভাগে কাজ করেন। এসব স্থানে চাকরি করার সময় তার বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়। তিনি লক্ষ্য করেন, অবিভক্ত বাংলার শিক্ষকগণ অধিকাংশ হিন্দু হওয়ায় তারা মুসলমান ছাত্রদের পরীক্ষায় নম্বর কম দিত। ফলে মেধাবী মুসলমান ছাত্ররা প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফল করতে না পেরে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি অনুসন্ধান করে দেখেন পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম থাকার কারণেই এ সমস্যা হচ্ছে। তাই তিনিই সর্বপ্রথম পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার রীতি বিলোপ করে শুধু রোল নম্বর লেখার রীতি প্রচলন করেন। এ রীতি প্রচলিত হলে পরীক্ষকদের পক্ষপাতিত্বের সুযোগ থাকে না। তিনি মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিও যুগোপযোগী করেন এবং মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের উচ্চ শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করেন। খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ স্বীয় চেষ্টায় উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং বাঙালি মুসলমান যুবকদের জন্য উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত করে যান। তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। শিক্ষা বিস্তারে তার অসাধারণ ভূমিকার জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯২৯ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে তিনি এক বিরাট কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি ১৯৩৫ সালে সাতক্ষীরার নলতায় ‘স্রষ্টার ইবাদত ও সৃষ্টির সেবা এই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আহছানিয়া মিশন। ১৯৬৪ সালে এর শাখা প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকায়। প্রতিষ্ঠানটি আজ নিজ গুণে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এখন আরও বহু সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে। দিন দিন এর প্রসার ঘটছে। এদেশের আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে নীরবে অবদান রেখে চলেছে আহছানিয়া মিশন। খান বাহাদুর আহসান উল্লাহর চরিত্রে বহুগুণের সমন্বয় ঘটেছিল। তিনি একাধারে ছিলেন শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সু-সাহিত্যিক, বাংলা ভাষার গভীর অনুরাগী, মানব সেবক ও ইসলামী চিন্তাবিদ। নারী জাতি ও অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি তার ছিল গভীর শ্রদ্ধাবোধ। তিনি জাগতিক কাজের পাশাপাশি ইহলৌকিক কাজেও জীবনের বহু সময় ব্যয় করেছেন। জীবনের শেষ দিকে তিনি কামেল পীর হিসেবে পরিচিত হন, তার সিদ্ধ জীবনের পরিচয় পেয়ে বহু মানুষ তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তার বহু হিন্দু ভক্তও দেখা যায়।

১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এইকর্মবীর সাধক ইহজগৎ ত্যাগ করেন। তাকেতারজন্মস্থাননলতায় সমাহিত করা হয়। পরে তার সমাধিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে আজকেরখান বাহাদুর আহসান উল্লাহ সমাধি কমপ্লেক্স বা নলতা শরীফ। প্রায় ৪০ বিঘাজমির ওপর গড়ে ওঠা এই কমপ্লেক্সের মধ্যে আছে মাজার, মসজিদ, অফিস, লাইব্রেরি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অতিথিশালা, পুকুর ও বেশকিছু উন্মুক্ত জায়গা। একটি উঁচুমাটির ঢিবির মতো দেখতে, যার চারদিকের ঢালে রয়েছে নজর কাড়া ফুলের বাগান। এবাগানের শীর্ষে রয়েছে একটিদৃষ্টিনন্দন সমাধিসৌধ। এরনির্মাণশৈলী ওনির্মাণ উপকরণ অত্যন্তআকর্ষণীয় ও মূল্যবান। সমাধিসৌধেওঠার জন্য তিন দিকে৩টি সিঁড়ি রয়েছে। তবে দক্ষিণের সিঁড়িটি বেশ প্রশস্তএবং আকর্ষণীয়। মোট ৯টিগম্বুজ দ্বারা সৌধটি সুশোভিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গম্বুজটি বেশ বড় এবং দর্শনীয়। খানবাহাদুর আহসান উল্লাহ মৃত্যুবার্ষিকীউপলক্ষে এই সমাধিকে কেন্দ্র করেপ্রতিবছর ৮, ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি এখানে বার্ষিক ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তখনধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশেরবিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগীরা ছুটে আসে নলতা শরীফে। ওরজের তৃতীয় দিন শেষে ওরজে আগতদের খাবার দেওয়ার মাধ্যমে ওরজ সমাপ্ত করা হয়। এই ওরজ উপলক্ষে নলতায় মেলাও বসে। যেখানে দেশ-বিদেশের হরেক রকম জিনিস বিক্রয় করা হয়। বর্তমানে নলতা শরীফ সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান।

ঐতিহাসিক গির্জা

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে বাংলাদেশের প্রথম খ্রিস্টান গির্জা অবস্থিত ছিল।১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামক একজন স্পেনিস ব্যক্তির নেতৃত্বে জেসুইট বা যিশু সম্প্রদায় গঠিত হওয়ার পর খ্রিস্টধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য খ্রিস্টানগণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন।সে আমলে এ মহাদেশে খ্রিস্টধর্ম প্রচার সম্পর্কিত তথ্যাদি পাওয়া যায় পিয়ারে ডু জারিক নামক একজন ফ্রান্সবাসী ঐতিহাসিকের ইতিহাস থেকে ডু জারিকের

তথ্যানুযায়ী সে সময়ে বাকলা, শ্রীপুর ও যশোহর নামে তিনটি হিন্দু রাজ্য ছিল ।তঁfর দেওয়া তথ্যাদি থেকে আরো জানা যায় , ফনসেকা নামক একজন খ্রিস্টান পাদ্রী নদীপথে ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ নভেম্বর প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ঈশ্বরীপুরে পৌছান । সেখানে তিনি অন্য একজন খ্রিস্টান পাদ্রী ফাদার সোসার সাক্ষাৎ পান । অত:পর ফাদার সোসও ফনসেকা ২১ নভেম্বর প্রতাপাদিত্যের দরবার কক্ষ বারদুয়ারীতে উপস্থিত হয়ে রাজাকে বেরিঙ্গান নামের এক প্রকার সুস্বাদু কমলালেবু উপহার দেন এবং বারদুয়ারী ভবনের উত্তর-পূর্ব কোণে যেখানে খ্রিস্টান পল্লী অবস্থিত সেখানে একটি গির্জা নির্মাণের প্রস্তাব করেন । প্রতাপাদিত্য আনন্দের সঙ্গে এ প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করেন।

প্রতাপাদিত্যের ফরমান পাওয়ার পরই গির্জা নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যায় । ঐ সময়ে প্রতাপাদিত্যের সৈন্য বাহিনীতে বহু পর্তুগীজ সৈন্য কর্মরত ছিলেন । গির্জা নির্মাণের জন্য তারা সাধ্যমত অর্থ সাহায্য করেন । এছাড়া প্রতাপাদিত্য নিজের রাজধানীতে খ্রিস্টানদের উপাসনালয় নির্মাণের জন্য প্রভূত সাহায্য সহযোগিতা করেন ।১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গির্জার নির্মাণ কাজ শেষ হয় । নির্মাণ সময় বিচারে যশোরের ঈশ্বরীপুর গ্রামের গির্জা বাংলাদেশের নির্মিত প্রথম খ্রিস্টান গির্জা ।

সোনাবাড়িয়া মঠ মন্দির

কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি জনপদ সোনাবাড়িয়া। ২শ’ বছর আগের গোটা সোনাবাড়িয়াজুড়ে জমিদার শাসনের নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। এমনই এক প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক সোনাবাড়িয়া মঠ মন্দির। প্রায় ৬০ ফুট উঁচু টেরাকোটা ফলক খচিত শ্যামসুন্দর মন্দিরটি আজও দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন স্থাপত্যের অনুরূপ নিদর্শন হয়ে। এই ঐতিহাসিক মঠ মন্দিরটি এখনই সংস্কার করা না হলে এর জরাজীর্ণ অবশিষ্ট অংশটুকুও বিলীন হয়ে যাবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলা ১২০৮ সালে রানী রাশমনি এই মঠ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া মঠ মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে অনেক জনশ্রুতি আছে। সোনাবাড়িয়ার এক বেলগাছ তলায় রাতের আঁধারে মাঠি ফুঁড়ে বের হয় একাধিক শিব মূর্তি। রানী রাশমনি স্বপ্নে আদিষ্ঠ হয়ে স্নানের সময় ভাসমান পাথরের শিবমূর্তি উদ্ধার করে এ মঠ মন্দির নির্মাণ করেন। বিশালাকৃতির এই মঠ মন্দিরটি ছোট ছোট পাতলা ইট ও টেরাকোটা ফলক দিয়ে তৈরি করা হয়। এর সবখানেই শোভা পাচ্ছে নজরকাড়া কারুকাজ। আম, কাঠাল, নারিকেল, মেহগনি, সেগুন ও দেবদারু গাছের বাগান দিয়ে ঘেরা ১৫ একর জমির ওপর অবস্থিত মন্দিরটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট চওড়া। মন্দিরের সামনে একটি বড় পুকুর। মন্দিরের পূর্ব পাশ দিয়ে উত্তর- দক্ষিণে লম্বা ১২টি ঘরে ছিল ১২টি শিবলিঙ্গ। এছাড়াও মূল মঠ মন্দিরের দোতলায় ঝুলন্ত দোলনায় থাকত সোনার রাধাকৃষ্ণ মূর্তি।

মন্দিরের পুকুরের পাশ দিয়ে ঢুকতেই ছিল বড় তোরণ। তার ওপর ছিল নহবতখানা। প্রবীণদের কাছ থেকে এ মঠ মন্দির সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে বৌদ্ধধর্ম প্রচারকালে গৌতম বুদ্ধের অনুসারীরা এখানে মঠ মন্দির তৈরি করে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারে সুবিধা করতে না পেরে বুদ্ধের অনুসারীরা সোনাবাড়িয়া ত্যাগ করে। এরপর মঠ মন্দিরটি কিছুকাল পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। পরে মঠ মন্দিরটি পুনরায় নির্মাণ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এটিকে মন্দিরে রূপান্তরিত করে।

তথ্যসূত্র : জেলা তথ্যবাতায়ন

Post Copied From:
Monjurul H Akash>Travelers of Bangladesh (ToB)

 

 

ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন

ঘুরে আসলাম দেশের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। আমাকে যদি কেউ বলে ” তোমার লাইফের বেস্ট ট্যুর কোনটা?” আমার উত্তর নিঃসন্দেহে সুন্দরবন ট্যুর।

২৬ নভেম্বর রাত ১১টায় আমাদের যাত্রা শুরু হয় জাবি ক্যাম্পাস থেকে। ডিপারটমেন্ট এর ট্যুর ছিল এবং আমরা মোটমাট ১১২ জন যাই। ২৭ নভেম্বর ভোর ৫টায় আমরা খুলনা পৌছে যাই এবং ৬টার দিকে আমাদের বহনকারী লঞ্চ সুন্দরবন এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। মংলা থেকে ৩ জন ফরেস্ট গারড নিয়ে আমাদের মেইন যাত্রা শুরু হল।
প্রথমে আমরা পৌছালাম হাড়বাড়িয়া ফরেস্ট রেঞ্জে। এখানেই ROAR মুভিটির শুটিং হয়েছিল। জায়গাটা খুব সুন্দর। লাইক আশেপাশে বাঘ ছিল এইরকম একটা ফিল 😀 । এরপর সেখান থেকে আমাদের লঞ্চ ছেড়ে যায় কটকার উদ্দেশ্যে দুপুর ২টায়। রাত ১০টার দিকে আমরা কটকায় পৌছে এবং সেখানে নোঙ্গর করে।

২৮ নভেম্বর সকাল এ ঘুম থেকে উঠে যে দৃশ্য দেখলাম তা বলে বোঝান যাবে না। পাড়ে অনেক চিত্রা হরিণ ঘোরাঘুরি করছে। ৬ঃ৩০ এ আমরা ট্রলারযোগে চলে গেলাম কটকা ফরেস্ট রেঞ্জে। ছবিতে যে দুটি হরিণের ছবি দেয়া তা এখানেই তোলা। আর কটকা ফরেস্ট রেঞ্জ পুরোটাই সীবিচ এর পাশ বরাবর। হরিণ দূর থেকেই দেখা লাগবে, কাছে গেলে দূরে চলে যাবে। এরপর সকালে নাস্তা করে চলে গেলাম কটকা জামতৈল সীবিচ।এখানে সীবিচ পর্যন্ত যেতে হলে বিশাল এক মাঠ পেরিয়ে চলে যেতে হবে। মাঠের মধ্য দিয়ে হাটার সময়ও মনে হচ্ছিল এইত আশেপাশে বাঘ আছে কিনা। :p মাঠ পেরিয়ে গেলেই ওয়াচটাওয়ার আছে, সবাই অবশ্যই উঠবেন। আলাদা একোতা ফিল পাবেন। এরপর এসে গেলাম বীচে। জামতৈল সীবিচ সুন্দর অনেক, কিন্তু অনেক চোরাবালি। কেউ গেলে গোসল করতে না নামাটাই উচিত। এরপর লঞ্চে ব্যাক করেই বঙ্গোপসাগর এর ভেতর দিয়ে আমরা চলে যাই দুবলার চরে। চরের কিছু আগে লঞ্চ নোঙ্গর করে। ট্রলারযোগে দুবলার চরে পৌছাই। বিশেষত দুবলার চর এ রাসমেলার জন্য বিখ্যাত এবং এটা বাংলাদেশের বড় শুটকীপল্লির মধ্যে একটি। কেউ গেলে অবশ্যই শুটকি কিনে নিয়ে আসবেন । এরপর লঞ্চে ব্যাক করতেই লঞ্চ ছেড়ে যায় হীরনপয়েন্ট এর উদ্দেশ্যে। রাত ৯ঃ৩০ এ পৌছে যাই আমরা, সেখানেই লঞ্চ নোঙ্গর করে।
২৯ নভেম্বর সকালে আমরা হীরনপয়েন্ট এ চলে যাই । এখানের সাইডে অনেকদূর পর্যন্ত কাঠের ওয়াকওয়েতে ঘুরতে পারবেন। ঘোরাঘুরি করে করমজলের উদ্দেশ্যে চলে যাই। করমজলে রয়েছে কৃত্তিম কুমির এবং হরিণ প্রজনন কেন্দ্র। মজার ব্যাপার হল এখানে রোমিও- জুলিয়েট কুমির দম্পতি রয়েছে। এদের নাম ধরে ডাকলেই এরা চলে আসে। 😀 এরপর আমরা খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। আমরা রাত ১১টায় নেমে বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি ।

আমাদের ট্যুর এর ব্যবস্থা করেছিল Ever Youth Tourism.
সৌরভ ভাই,শামীম ভাই,রাজীব ভাই উনারা আমাদের গাইড ছিলেন।পুরো সুন্দরবন ঘুরাতে উনারাই পুরো ডিরেকশান দিয়েছেন। খুব ভালো মানুষ এবং ফ্রেন্ডলি উনারা। স্টুডেন্ট প্যাকেজে গিয়েছিলাম আমরা। আমাদের পড়েছিল ৬৫০০টাকা। বাসে যাওয়া আসা, লঞ্চে থাকা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুই এর মধ্যে ইনক্লুডেড ছিল।

শেষে বলব ” লাইফে অন্তত একবার হলেও সুন্দরবন যাওয়া উচিত। দেশের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট এটি। প্রাকৃতিক সুন্দর ভিউ দেখতে পারবেন অনেক। আর হা বাঘ মামার দেখা যদি পেয়ে যান তাহলে আপনার কপাল ১০০/১০০ বলতে হবেই। আমরা যদিও বাঘের পায়ের ছাপ ছাড়া কিছু পাইনি। ”

Post Copied From:Gazi Ishmam Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

কাট্টলি সমুদ্রসৈকত

দক্ষিন কাট্টলি, চট্টগ্রাম।

সুন্দরবনের শ্বাসমূলের সৌন্দর্য কিছুটা হলেও উপভোগ করতে চলে অাসুন কাট্টলি সমুদ্রসৈকত /জেলেপাড়া বিচ।
কাদামাটি, লোনা জল অার সবুজ ঘাস।
চট্টগ্রাম শহরের কাছেই মনোরম একটি দর্শনীয় স্থান।

এই সমুদ্রসৈকতে অল্প কিছুদিন অাগে “হালদা” ছবির শুটিং শেষ হল।তাই যারা যারা হালদা ছবিটি দেখেছেন তারা ছবির সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন।

যেভাবে যাবেন: চট্টগ্রামের যেকোন যায়গা থেকে অলংকার/ একে খান/ হালিশহর ফইল্লাতলি বাজার চলে যান। এরপর রিক্সাওয়ালাকে জাইল্লা পাড়া /সাগরপাড় বললেই হবে।রিক্সাভাড়া সব দিক থেকেই ৪০/৫০ টাকা।

Post Copied From:Dipta Dhar‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

কলাগাছি সুন্দরবন

অপরূপ সন্দরযের লিলা ভুমির নাম কলাগাছি। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেজ্ঞের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশ্নের অধিনে এই ইকোটুরিজম কেন্দ্রটি অবস্থিত। সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় দুই ধারের সারি সারি বন আপনাকে করবে মুগ্ধ। কলাগাছিয়া ইকোটুরিজম কেন্দ্রের ঘাটে ট্রলার ভিরতেই এখানে পযাটকদের অভ্যাথনা জানায় দুষ্টু বানরের দল। ভিতরে ঢুকলেই খাওয়ার জন্য আপনার পাশে ভিরবে বানর এবং হরিণ এর দল। এরা আপনার হাত থেকে খাওয়ার খাবে নির্ভয়ে। এই জন্য সাথে বাদাম এবং মুড়ি নিয়ে নিতে পারেন। খাওয়ানোর সময় সাথে অবস্যয় লাঠি রাখবেন না হলে বানরা আক্রন করতে পারে । বন ঘুরে দেখের জন্য ইকোটুরিজমের ভিতরে কাঠ দিয়ে ব্রিজ তৈরি করা আছে। বনের মধ্যে ওয়াকওয়ে দিয়ে হেটে গেলে দেখতে পাবেন চার তলা সমান উচু পযবেক্ষেন টাওয়ার। টাওয়ারের চূঁড়া থেকে পুরো সুন্দরবনের অনেকটা অংশ দেখার আনন্দ আপনাকে মুগ্ধ করবে।
কিভাবে যাবেন
সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম (পর্যটন) কেন্দ্রে যেতে হলে প্রথমেই আসতে হবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর। ঢাকার কল্যাণপুর এবং গাবতলি থেকে সরাসরি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের চেয়ার কোচ ভাড়া ৫৫০ টাকা আর AC তে ১২০০/১৪০০ এক জন। ভালো হয় ভোরে বাসে উঠা, রাতে শ্যামনগর এর কোন এক হোটেলে রাত থেকে পরের দিন সকালে লোকাল বাসে উঠে মুন্সীগঞ্জ বাজারে যাওয়া ভাড়া ১৫/২০ টাকা। এছাড়া বর্ষা ট্যুরিজম এবং আকাশলীনা রিসট এ থাকেতে পারবেন এটি মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশেয় অবস্থিত। এপর ট্রলার ঠিক করতে হবে ভাড়া ২৮০০/৩০০০ টাকা সাথে বনে যাওয়ার পাস ৫০ টাকা। আলি হোসেন মাঝি ০১৯২৩-৩৮০১৫২ ইনার ট্রলারে আমরা গিয়েছিলাম। এছারা শ্যামনগর উপজেলার সদর থেকে সড়ক পথে বুড়িগোয়ালীনির নীলডুমুর খেয়া ঘাটে আসতে পারেন, নীলডুমুর খেয়া ঘাট থেকে ট্রলারে সময় লাগে মাত্র আধ ঘণ্টা ভাড়া ৮০০/১৫০০।

Post Copied From: Salahauddin Ahmed > ‎Travelers of Bangladesh (ToB)