ভ্রমন প্রিয় মানুষদের জন্য এক দিনেই ৪ জাইগা ঘুরে আসার দারুন সুযোগ

… যদিও কষ্ট হবে তার পরেও একটু কষ্ট করলেই ১০০০ হাজার টাকার ভিতরে ভালো ভাবেই ৪ জাইগা ভ্রমন করে আসতে পারবেন…

আমাদের গ্রুপ ছিল ৬ জনের,রাতে খেয়ে দেয়ে ১০.৩০ তে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে চট্রগ্রাম মেইল ট্রেনের (৬*১২৫)=৭৫০ টাকা টিকেট কেটে আড্ডা মাস্তি করতে করতে রহনা দিলাম..রাতের স্টেশন বিরতিতে আড্ডা চল্লো চায়ের সাথে…৬.৪৫ এ পৌছলাম সীতাকুণ্ড স্টেশনে কিছু ফটো সেশন করে সেখান থেকে পায়ে হেটে গেলাম সীতাকুণ্ড বাজারে,নাস্তা সেরে নিলাম (২০০) টাকা… পরে বাজার থেকে একটু সামনে এগিয়ে ১বা ২ মিনিট সামনে ৭.৩০ তে সি এন জি ঠিক করে নিলাম ১ টি কুমিরা বাজার পর্যন্ত (১৫০) টাকা যদিও আমাদের এইখানে লাভ হইছে… সেখান থেকে অটো করে একেবারে ব্রিজ কুমিরা ব্রিজ ছবিতে প্রথম টা… (৬*১৫=৯০টাকা)৮ টা বাজে পৌছলাম…ঘুরে ফিরে ৮.৪৫ এ রহনা দিলাম আবার (৬*১৫=৯০)… সেখান থেকে একেবারে সি এন জি চুক্তি করলাম বাশবাড়ী বীচ ঘুরিয়ে বাড়বকুন্ড অগ্নি ঝর্না +অগ্নি মন্দির… (৪০০) টাকা ৯.১০ তে বাশবাড়ীয়া বীচ ২য় ছবি ঘুরে ফিরে ১০ টায় রহনা দিলাম বাড়ব কুন্ড এর উদ্দশ্যে বাজারে এসে চা বিস্কুট খেয়ে , বিস্কুট পানি নিয়ে নিলাম (৩০+৭০=১০০) পানি ৬ লিটার =৯০টাকা এবং ১০০ টাকার বিস্কুট… ব্যাস আবার স্টার্ট হলো যে পর্যন্ত সি এন জি যেতে পারবে,১০.৪০ লাগলো একেবারে পাহাড়ের গায়ে যেতে… নেমে ভাড়া দিয়ে হাটা শুরু প্রায় ক্লান্ত হয়ে ,১১.২০ গেলম পৌছে অগ্নীকুন্ড বসে রেস্ট নিয়ে পানি খেয়ে বিস্কুট খেয়ে ঘুরলাম ৩য় নং ছবি অগ্নিকুন্ড.তারপরে আবার স্টার্ট করলাম ১১.৫০ এ ট্রাকিং এবার পাহাড় ঝর্ণা এর খোজে, ঝর্নার ধারা ধরে হাটা শুরু করলাম… ১২.৪০ এ গিয়ে থেমে গেলাম আর গেলাম না কারন পানি নাই ঝর্না মরে গেছে.৫ মিনিট রেস্ট নিয়ে. ওইখানে বড় একটা কুপে গোসল সারলাম সবাই. ১ টায় আবার চলা শুরু.রোবোটের মত হেটে. ২.২০ এ এসে একেবারে বাড়বকুন্ড বাজারে এসে থামলাম,আসার পথে জংগলের ভীতরে ৫ নং ছবিতে প্রানিটা আমাদের চোখ এড়াতে পারে নাই… হোটেল খুজে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিলাম ৫০০টাকা খাবারের দাম অনেক কম ছিল বাজারের একেবারে মুখেই দোকান টা রান্না অনেক ভালো … ৩.০৫ এ আবার আসলাম সীতাকুণ্ড বাজারে (৬*১০=৬০ টাকা)সেখান থেকে লেগুনা করে চলে আসলাম কায়াকিং করতে ঠাকুর দিঘি..৩.৫০ পৌছলাম… লেগুনা আসবেনা তারপরেও সিস্টেম করে আনলাম অনেক স্প্রিডে চালিয়েছিল… (৫০*৬=৩০০)… নেমে চা নাস্তা করে (১০০ টাকা) আবার সি এন জি নিয়ে মহামায়া লেইক এ… (৬*১৫=৯০ টাকা) গিয়ে সাইদুল ভাই এর সাথে পরিচিত হয়ে পরিচয় দিলাম শামিম ভাই এর, ভাগ্য ভালো ছিল আমারা যাওয়া মাত্রই কায়াকিং করে ২ টা বোর্ড এসেছিল তাই ৪.২০ তে কায়াকিং শুরু করে ছিলাম… ৫.১০ তে শেষ করি।(আমাদের মুল উদ্দেশ্যই ছিল এটা…) (৩*২০০ =৬০০ টাকা) স্টুডেন্ট কার্ড ছিল বলে ২০০ টাকা তাছাড়া ৩০০ টাকা করে প্রতি বোর্ড … ৬.৩০ এ আবার বের হলাম ঠাকুর দিঘি বাজারে আসলাম (৬*১৫=৯০ টাকা) আবার চা বিস্কুট ১০০ টাকা… পরে ওইখান থেকে লেগুনা করে বারোইহাট বাজারে ৭.২০ তে(১৫*৬=৯০) সেখান থেকে বাসে ফেনি (২০*৬ =১২০ টাকা) পরে সেখান থেকে স্টেশনে (১০*৬= ৬০ টাকা) চা নাস্তা খেয়ে ৮.০০ বের হয়ে বাজারে গেলাম খেয়ে দেয়ে (৭০০) টাকা ৮.৪৫ এ আবার স্টেশনে… টিকেট কাটলাম (৬*৯০=৫৪০ টাকা) চ নাস্তা ১২.২০ পর্যন্ত ৩০০ টাকা, পরে রাত ১২.৩২ এ ট্রেন আসলো এই সময়ে স্টেশনেই বসে ছিলাম… সকালে আসলাম নেমে আর হাট্টে পারি না কারন টিকেট কেটেও সিট পাই নাই… এ ঘন্টা পরে একজন করুনা করে সিট দিয়েছিল… টোটাল কষ্ট
( ৭৫০+২০০+১৫০+৯০+৯০+ ৪০০+১০০+৯০+১০০+৫০০+৬০+৩০০+১০০+৯০+৬০০+৯০+১০০+৯০+৬০+৭০০+৩০০+৫৪০= ৫৫০০\৬=৯১৬ টাকা…

Post Copied From:Azizul Islam‎>Travelers of Bangladesh (ToB

কমলদাহ ট্রেইল+ গুলিয়াখালি ট্যুর

I guess বাংলাদেশের most underrated trail গুলোর মধ্যে একটি। কমলদাহ ট্রেইলে যাওয়ার আগে ফেসবুক, ব্লগ অনেক ঘাটাঘাটি করে হাতে গোনা কিছু ঝর্না-ক্যাসকেড এর নাম ই পেলাম। স্পেশালি রূপসী এবং ছাগলকান্ধা নিয়েই ম্যাক্সিমাম রিভিউ অথচ এই ট্রেইলের প্রতি বাকেবাকে যে এতোএতো রহস্য লুকিয়ে আছে তা কয়জন ই জানে। ☺☺ট্রাস্ট মি, আপনার একটি বিস্ময় কাটতে না কাটতেই নতুন কোন বিস্ময় আপনার সামনে চলে আসবে।এই ট্রেইলে আপনি পাবেন ১৭ টির মতো ঝর্না+ ক্যাসকেড, সো বুঝতেই পারছেন কি আছে এর বাকে বাকে।

আমার কাছে এই ২ ট্রেইলের চেয়ে অনেক বেশি রকম ভালো+ এডভেঞ্চারিয়াস লেগেছে কমলদাহ।
যাই হোক ডিরেক্ট ট্যুর রিভিউ তে যাওয়া যাক :
আমি মোটামুটিভাবে সবকিছু in details এ বলার চেষ্টা করবো, তারপরেও কিছু জানার থাকলে feel free to ask.
এয়ারপোর্ট টু ফেনী (মেইল ট্রেন, ৯০ টাকা)>ফেনী স্টেশন টু মহিপাল (১৫)>ব্রেকফাস্ট (৪৫ টাকা)> মহিপাল টু বড়দারোগাহাট (৪০)>কমলদাহ ট্রেইল ( গাইড খরচ ৭০ টাকা)>দুপুরের খাবার (১০০)>বড়দারোগাহাট টু গুলিয়াখালি (৬০)> গুলিয়াখালি টু সীতাকুণ্ড (৩০টাকা)> সীতাকুন্ড টু মহিপাল (৬০ টাকা) > রাতের খাবার(৮০)>মহিপাল টু ঢাকা (৩০০)।
উপরের সবগুলো হিসেব Per person এর জন্য দেয়া, আমাদের খরচ হয়েছে মোট ৮৯০ টাকা প্রতিজন। আমরা সংখ্যায় ৯ জন ছিলাম। চেষ্টা করবেন ১০ জনের টিম যাওয়ার এতে খরচ বাচবে ☺☺আমাদের ১ দিনের শর্ট ট্যুর ছিল।
কমলদাহ ট্রেইল নিয়ে কিছু কথা : যারা এক্সট্রিম ট্যুর পছন্দ করেন তাদের জন্য একদম পারফেক্ট প্লেস এটা। রূপসী+ছাগলকান্ধা+দুধতলী+ সাতমারাধর+আটমারাধর+ বৈদ্য+ পাথরভাঙা এই ৭ টি ঝর্না এই রূটের পপুলার ঝর্না। ছাড়াও এই রূটে আরো ৫ টি ঝর্না আছে যার মধ্যে ৩ টির নাম ই এখনো দেয়া হয়নি ( খুব বেশি রকমের টাফ রূট ২ টিতে যাওয়ার, জাস্ট ২ আঙুলের উপর ভর দিয়ে সারা বডির ওয়েট রাখতে হবে কিছু জাগায়) একদম ডু ওর ডাই সিচুয়েশন যাকে বলে। মোটেও বাড়িয়ে বলছি না, ভিডিও করার ইচ্ছা ছিল বাট কোনভাবেই ক্যামেরা বের করতে পারি নি ওই সিচুয়েশন এ। যাদের ট্রেক করার এক্সপেরিয়েন্স নেই তাদের না যাওয়াই ভালো এরকম প্লেসে, ঝর্নাটি এতোটাই দূর্গম প্লেসে যে স্থানীয় লোকরাও নাকি এখানে আসে না ( আমাদের গাইড বলছিল এটার নাম নেই, আমারা যেনো কোন নাম দিয়ে যাই)।
বেশ লম্বা ট্রেইল, মোটামুটি হাতে ৮ ঘন্টা সময় নিয়ে যাবেন, এর বেশি হলে ভালো। প্রথমবার গেলে গাইড নিবেন নাহলে সবগুলো দেখতে পারবেন না, স্পেশালি ৩ টা ঝর্না বেশ দূর্গম পথে( আমি নিজেও ভুলে গেছি কিভাবে গাইড আমাদের নিয়ে গিয়েছে) 😂😂
কিভাবে যাবেন??
– বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে বড়দারোগারহাট নামবেন। বড়দারোগা থেকে উলটা( ঢাকার দিকে) তাকালেই দেখবেন ইটের ভাটা আছে ওই পথ ধরে আগাতে থাকবেন।
– পথে ২ টা খাবার হোটেল পাবনে, পুকুরের পাশে একটি হোটেল দেখবেন (ওইখানে খাবার অর্ডার দিয়ে যাবেন, আর কিন্তু সামনে হোটেল নেই) ওদের কাছেই ব্যাগ রেখে যাবেন (রান্না বেশ মজা, ট্রেকে গিয়ে এরকম রান্না খুব কম ই পেয়েছি) মালিকের নাম জয়নাল, বেশ ভালো মানুষ। সব ঘুড়ার ইচ্ছা থাকলে এখান থেকেই গাইড নেয়া ভালো, উনার ভাই মফিজ ( অস্থির লোক,গাইড্রা নরমালি একটু ফাকিবাজ হয় বাট উনি উল্টো আমাদের জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল, আমরা তো জানতাম ও না এতোগুলো ঝর্না আছে এখানে।01821573302 ( জয়নাল চাচার নাম্বার, উনাকে বললেই উনি সব এরেঞ্জ করে দিবেন)। গাইড খরচ ৬০০-৭০০ ( যে সার্ভিস দিছে টাকা উশুল হয়ে গেছে)
– সামনে এগুলো একটা ঝিরিপথ পাবেন, রাস্তাটা ২ ভাগে বিভক্ত।একদিকে রুপসী আরেকদিকে ২ টা ঝর্না( নাম বলতে পারে নাই) বামদিকে আগে যাবেন ( ওই ২ টা ঘুড়ার জন্য) তারপর ব্যাক করে আবার ঝিরিপথে এসে ডানদিকে
– ডানদিকে রুপসী ঝর্না পাবেন। একটু হাটলেই।
– কমলদহের উপরে উঠেই ছোট একটি ক্যাসকেড* (আল্লাহর খুম) পার হয়ে ঝিরি পথে গেলে একটু পর ঝিরিপথ দুভাগ পাবেন। হাতের বামে একটি এবং ডানে একটি
-হাতের বামের ঝিরি পথে যাবেন প্রথমে।
-এই ঝিরিপথে গেলে কিছুটা দুর গেলে আবারো দেখবেন হাতের ডানদিকে আরেকটি ঝিরি পথ পাবেন (এইটায় এখোনি যাবেন না)
-সোজা ঝিরিপথে একটু এগুলে ছাগলকান্দা ঝর্ণা পাবেন (এটার উপরে উঠতে চাইলে পাশের পাহাড় দিয়ে উঠতে পারবেন, রাস্তাটা খুঁজে নিয়েন)
-ছাগলকান্দা ঝর্ণা দেখে ফিরার সময় ৪নং পয়েন্টে যে হাতের ডানের ঝিরি কথা বলছিলাম ঐটা দিয়ে যাবেন এখন
-একটু আগালে একটা ক্যাসকেড পাবেন, ঐ ক্যাসকেডের পাশ দিয়ে খুব রিস্কি পথ দিয়ে ক্যাসকেডের উপরে যাবেন।
– তারপর সামনে এগুলো আবারো দুটি ঝিরিপথ পাবেন।
-দু ঝিরিপথের শেষ মাথায় দুটি ঝর্ণার দেখা পাবেন।
স্পেশালি ডানেরটা দিয়ে গেলে বড় ঝর্না পাবেন, এটার উপরে উঠলে আরো ঝিরিপথ আছে, একটু আগিয়ে কিছু ক্যাস্কেড পাবেন, তারপর পাহাড় বেয়ে আবার উপরে উঠলে পাবেন আরো একটি ঝর্না
-ঐখান থেকে ব্যাক করে ৪ নং পয়েন্টে আসবেন, তারপর ২নং পয়েন্টে ফিরে আসবেন।
-এবার ২ নং পয়েন্টের ডানের ঝিরিতে যাবেন, মাঝখানে একটি ঝর্ণা পাবেন। এই ঝর্নার পাশের হাল্কা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে উপরে উঠে পড়ুন,
-এরপর আবারো ঝিরিপথ পাবেন, একটু এগুলো আরেকটি ক্যাসকেড পাবেন। এই ক্যাসকেড ডিঙিয়ে উঠে পড়ুন।
– তারপর ঝিরিপথে একটু এগুলে সব শেষে ছোট একটি ঝর্না পাবেন, তখন মনে হবে আর সামনে যাওয়া যাবে না।
-এখানে থেমে ছোট এই ঝর্ণাটির পাথর বেয়ে উপরে উঠে যাবেন, উঠার পরই নিজেকে অন্ধকার এক সুরঙ্গে আবিষ্কার করবেন। সামনে এগুবেন… ২মিনিট পরই পাথরভাঙ্গা ঝর্ণার দেখা পাবেন ।
– ঝর্না দেখে আবার ব্যাক করবেন একদম যেখান থেকে শুরু করেছেন। একটু আগালেই দেখবে হাতের বামে একটি, ডানে একটি রাস্তা আছে ( ডানের টি দিয়ে গেলে রুপ্সী দিয়ে নামতে পারবেন)। তবে ওইটা দিয়ে যাবেন না, বাম দিয়ে যাবেন (শর্টকাট) একটু আগালেই দেখবেন নিচে নামার পাহাড়ি রাস্তা, নামলেই সমতল ভূমি পেয়ে যাবেন। এরপর হাটতে থাকবেন একসময় দেখবেন ঠিক যেখান থেকে শুরু করেছেন সেখানেই চলে আসবেন।
গুলিয়াখালি বীচ :
ওইটাকে আসলে সীবিচ বলা উচিত না ( আমি এটলিস্ট সীবিচ বলতে যা বুঝি)। যারা নিরিবিলি পছন্দ করেন তাদের জোস লাগবে, খুব সাজানো প্লেস একটা। মনে হচ্ছিল প্রকৃতিক ভাবে না, মানুষ নিজের মতো করে গুছিয়ে বানিয়েছে। তবে সাগরের পানি বেশ নোংরা, পানিতে নেমে ধাপাধাপি করতে চাইলে না যাওয়াই বেটার।
কিভাবে যাবেন?
বড়দারোগাহাট থেকে রিসার্ভ লেগুনায় গুলিয়াখালি বাধ, ওইখান থেকে পায়ে হেটেও যেতে পারেন/ বোটে করেও যেতে পারেন ( বোটে ভাড়া ৫০)। হেটে( খালিপায়ে) যাবেন, ঢাকার পিচ ঢালা রাস্তায় বড় হওয়া মানুষদের এরকম সবুজ ঘাষের উপরে হাটতে ভালো লাগাই উচিত।
কিছু টিপস:
1. মেইল ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ৯:৩০ এর মধ্যে কমলাপুর চলে যাবেন এবং প্লাটফর্ম এর শেষ মাথায় দাড়াবেন, এতে সিট পাওয়ার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে।
2. লোকাল বাসে উঠার আগে দামাদামি করে নিবেন .
ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখবেন, সাথে পানি ক্যারি করবেন, প্লাস্টিক এর জুতা ব্যবহার করবেন।
3. সব ঘুড়তে চাইলে গাইড নিবেন ( অনেক কনফিউজিং রূট), আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তুলে ধরার (কতোটুকু মনে রাখতে পারছি, জানি না)
#Happy_Traveling

Post Copied From:Ashik Samad‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

চন্দ্রনাথ পাহাড়

সীতাকুণ্ড বন্দর নগরি চট্টগ্রাম এর অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান। শুধুমাত্র চট্টগ্রামেরই নয় বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের লীলাভুমি সীতাকুণ্ড। আর এই সীতাকুন্ডের বিভিন্ন আকর্ষনের মধ্যে অন্যতম হলো চন্দ্রনাথ পাহাড়। এই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বিখ্যাত চন্দ্রনাথ মন্দির। এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২০০ ফুট। সিড়ির সংখ্যা প্রায় ,২২০০+টি।। রাস্তা এতই চড়াই যে ৫ মিনিট উঠার পর আপনাকে বিশ্রাম করতে হবে ১৫ মিনিট। এই পাহাড়ে উঠার জন্যে বেশ প্রস্তুতি নিয়েই উঠতে হয়। টা না হলে হয়ত আপনার উপরে উঠা আর সম্ভব হয়ে উঠবে না। রোদ যত চড়বে আপনারও তত বেশি কষ্ট হবে। লাঠি,পানি,হালকা খাবার ইত্যাদি নিয়ে উঠাই ভালো। তবে যেহেতু পাহাড়ে উঠতে হবে তাই নিজের সাথে যত কম জিনিসপত্র নেওয়া যায় ততই ভালো। তাছাড়াও পথেই আপনি ছোট ছোট দোকান পাবেন। বিশ্রাম করার জায়গাও পাবেন। একবার ঊঠা শুরু করার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। পাহাড়ের মায়াবি রূপ আপনাকে উপরের দিকে নিয়ে যাবে। তখন আপনার মনে হবে আহা। এখান থেকে এত সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে আরেকটু উপরে গেলে দৃশ্য টা আরো কত সুন্দর হবে? ২০ মিনিট হাটুন আর ১০ মিনিট বিশ্রাম নিন। আর অবশ্যই প্রকৃতির অসম্ভব রূপের শূধা পান করুন। এভাবে আপনি আপনার গন্তব্যে অর্থাৎ পাহাড়ের চূড়ায় পৌছে যাবেন। পাহাড়ের চূড়া থকে যে দৃশ্য দেখা যায় তার রূপ ভাষায় প্রকাশ করতে একটু কষ্ট হওয়ারই কথা। তবে এটুকু বলে দিতে পারি যে এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়া থেকে শহর,শহর পেড়িয়ে সমুদ্র এবং সমুদ্র পেড়িয়ে সন্দ্বীপ পর্যন্ত দেখা যায়। সময় নিয়ে ঘুরে আসুন

post Copied From:Robin Khan>Travelers of Bangladesh (ToB)

কমলদাহ ট্রেইল এবং গুলিয়াখালি ট্যুর

I guess বাংলাদেশের most underrated trail গুলোর মধ্যে একটি। কমলদাহ ট্রেইলে যাওয়ার আগে ফেসবুক, ব্লগ অনেক ঘাটাঘাটি করে হাতে গোনা কিছু ঝর্না-ক্যাসকেড এর নাম ই পেলাম। স্পেশালি রূপসী এবং ছাগলকান্ধা নিয়েই ম্যাক্সিমাম রিভিউ অথচ এই ট্রেইলের প্রতি বাকেবাকে যে এতোএতো রহস্য লুকিয়ে আছে তা কয়জন ই জানে। ☺☺ট্রাস্ট মি, আপনার একটি বিস্ময় কাটতে না কাটতেই নতুন কোন বিস্ময় আপনার সামনে চলে আসবে।এই ট্রেইলে আপনি পাবেন ১৭ টির মতো ঝর্না+ ক্যাসকেড, সো বুঝতেই পারছেন কি আছে এর বাকে বাকে। আমি কিছুদিন আগেই খৈয়াছড়া+ নাপিত্তাছড়া নিয়ে একটি রিভিউ দিয়েছিলাম গ্রুপে,
আমার কাছে এই ২ ট্রেইলের চেয়ে অনেক বেশি রকম ভালো+ এডভেঞ্চারিয়াস লেগেছে কমলদাহ।
যাই হোক ডিরেক্ট ট্যুর রিভিউ তে যাওয়া যাক :
আমি মোটামুটিভাবে সবকিছু in details এ বলার চেষ্টা করবো, তারপরেও কিছু জানার থাকলে feel free to ask.
এয়ারপোর্ট টু ফেনী (মেইল ট্রেন, ৯০ টাকা)>ফেনী স্টেশন টু মহিপাল (১৫)>ব্রেকফাস্ট (৪৫ টাকা)> মহিপাল টু বড়দারোগাহাট (৪০)>কমলদাহ ট্রেইল ( গাইড খরচ ৭০ টাকা)>দুপুরের খাবার (১০০)>বড়দারোগাহাট টু গুলিয়াখালি (৬০)> গুলিয়াখালি টু সীতাকুণ্ড (৩০টাকা)> সীতাকুন্ড টু মহিপাল (৬০ টাকা) > রাতের খাবার(৮০)>মহিপাল টু ঢাকা (৩০০)।
উপরের সবগুলো হিসেব Per person এর জন্য দেয়া, আমাদের খরচ হয়েছে মোট ৮৯০ টাকা প্রতিজন। আমরা সংখ্যায় ৯ জন ছিলাম। চেষ্টা করবেন ১০ জনের টিম যাওয়ার এতে খরচ বাচবে ☺☺আমাদের ১ দিনের শর্ট ট্যুর ছিল।
কমলদাহ ট্রেইল নিয়ে কিছু কথা : যারা এক্সট্রিম ট্যুর পছন্দ করেন তাদের জন্য একদম পারফেক্ট প্লেস এটা। রূপসী+ছাগলকান্ধা+দুধতলী+ সাতমারাধর+আটমারাধর+ বৈদ্য+ পাথরভাঙা এই ৭ টি ঝর্না এই রূটের পপুলার ঝর্না। ছাড়াও এই রূটে আরো ৫ টি ঝর্না আছে যার মধ্যে ৩ টির নাম ই এখনো দেয়া হয়নি ( খুব বেশি রকমের টাফ রূট ২ টিতে যাওয়ার, জাস্ট ২ আঙুলের উপর ভর দিয়ে সারা বডির ওয়েট রাখতে হবে কিছু জাগায়) একদম ডু ওর ডাই সিচুয়েশন যাকে বলে। মোটেও বাড়িয়ে বলছি না, ভিডিও করার ইচ্ছা ছিল বাট কোনভাবেই ক্যামেরা বের করতে পারি নি ওই সিচুয়েশন এ। যাদের ট্রেক করার এক্সপেরিয়েন্স নেই তাদের না যাওয়াই ভালো এরকম প্লেসে, ঝর্নাটি এতোটাই দূর্গম প্লেসে যে স্থানীয় লোকরাও নাকি এখানে আসে না ( আমাদের গাইড বলছিল এটার নাম নেই, আমারা যেনো কোন নাম দিয়ে যাই)।
বেশ লম্বা ট্রেইল, মোটামুটি হাতে ৮ ঘন্টা সময় নিয়ে যাবেন, এর বেশি হলে ভালো। প্রথমবার গেলে গাইড নিবেন নাহলে সবগুলো দেখতে পারবেন না, স্পেশালি ৩ টা ঝর্না বেশ দূর্গম পথে( আমি নিজেও ভুলে গেছি কিভাবে গাইড আমাদের নিয়ে গিয়েছে) 😂😂
কিভাবে যাবেন??
– বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে বড়দারোগারহাট নামবেন। বড়দারোগা থেকে উলটা( ঢাকার দিকে) তাকালেই দেখবেন ইটের ভাটা আছে ওই পথ ধরে আগাতে থাকবেন।
– পথে ২ টা খাবার হোটেল পাবনে, পুকুরের পাশে একটি হোটেল দেখবেন (ওইখানে খাবার অর্ডার দিয়ে যাবেন, আর কিন্তু সামনে হোটেল নেই) ওদের কাছেই ব্যাগ রেখে যাবেন (রান্না বেশ মজা, ট্রেকে গিয়ে এরকম রান্না খুব কম ই পেয়েছি) মালিকের নাম জয়নাল, বেশ ভালো মানুষ। সব ঘুড়ার ইচ্ছা থাকলে এখান থেকেই গাইড নেয়া ভালো, উনার ভাই মফিজ ( অস্থির লোক,গাইড্রা নরমালি একটু ফাকিবাজ হয় বাট উনি উল্টো আমাদের জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল, আমরা তো জানতাম ও না এতোগুলো ঝর্না আছে এখানে।01821573302 ( জয়নাল চাচার নাম্বার, উনাকে বললেই উনি সব এরেঞ্জ করে দিবেন)। গাইড খরচ ৬০০-৭০০ ( যে সার্ভিস দিছে টাকা উশুল হয়ে গেছে)
– সামনে এগুলো একটা ঝিরিপথ পাবেন, রাস্তাটা ২ ভাগে বিভক্ত।একদিকে রুপসী আরেকদিকে ২ টা ঝর্না( নাম বলতে পারে নাই) বামদিকে আগে যাবেন ( ওই ২ টা ঘুড়ার জন্য) তারপর ব্যাক করে আবার ঝিরিপথে এসে ডানদিকে
– ডানদিকে রুপসী ঝর্না পাবেন। একটু হাটলেই।
– কমলদহের উপরে উঠেই ছোট একটি ক্যাসকেড* (আল্লাহর খুম) পার হয়ে ঝিরি পথে গেলে একটু পর ঝিরিপথ দুভাগ পাবেন। হাতের বামে একটি এবং ডানে একটি
-হাতের বামের ঝিরি পথে যাবেন প্রথমে।
-এই ঝিরিপথে গেলে কিছুটা দুর গেলে আবারো দেখবেন হাতের ডানদিকে আরেকটি ঝিরি পথ পাবেন (এইটায় এখোনি যাবেন না)
-সোজা ঝিরিপথে একটু এগুলে ছাগলকান্দা ঝর্ণা পাবেন (এটার উপরে উঠতে চাইলে পাশের পাহাড় দিয়ে উঠতে পারবেন, রাস্তাটা খুঁজে নিয়েন)
-ছাগলকান্দা ঝর্ণা দেখে ফিরার সময় ৪নং পয়েন্টে যে হাতের ডানের ঝিরি কথা বলছিলাম ঐটা দিয়ে যাবেন এখন
-একটু আগালে একটা ক্যাসকেড পাবেন, ঐ ক্যাসকেডের পাশ দিয়ে খুব রিস্কি পথ দিয়ে ক্যাসকেডের উপরে যাবেন।
– তারপর সামনে এগুলো আবারো দুটি ঝিরিপথ পাবেন।
-দু ঝিরিপথের শেষ মাথায় দুটি ঝর্ণার দেখা পাবেন।
স্পেশালি ডানেরটা দিয়ে গেলে বড় ঝর্না পাবেন, এটার উপরে উঠলে আরো ঝিরিপথ আছে, একটু আগিয়ে কিছু ক্যাস্কেড পাবেন, তারপর পাহাড় বেয়ে আবার উপরে উঠলে পাবেন আরো একটি ঝর্না
-ঐখান থেকে ব্যাক করে ৪ নং পয়েন্টে আসবেন, তারপর ২নং পয়েন্টে ফিরে আসবেন।
-এবার ২ নং পয়েন্টের ডানের ঝিরিতে যাবেন, মাঝখানে একটি ঝর্ণা পাবেন। এই ঝর্নার পাশের হাল্কা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে উপরে উঠে পড়ুন,
-এরপর আবারো ঝিরিপথ পাবেন, একটু এগুলো আরেকটি ক্যাসকেড পাবেন। এই ক্যাসকেড ডিঙিয়ে উঠে পড়ুন।
– তারপর ঝিরিপথে একটু এগুলে সব শেষে ছোট একটি ঝর্না পাবেন, তখন মনে হবে আর সামনে যাওয়া যাবে না।
-এখানে থেমে ছোট এই ঝর্ণাটির পাথর বেয়ে উপরে উঠে যাবেন, উঠার পরই নিজেকে অন্ধকার এক সুরঙ্গে আবিষ্কার করবেন। সামনে এগুবেন… ২মিনিট পরই পাথরভাঙ্গা ঝর্ণার দেখা পাবেন ।
– ঝর্না দেখে আবার ব্যাক করবেন একদম যেখান থেকে শুরু করেছেন। একটু আগালেই দেখবে হাতের বামে একটি, ডানে একটি রাস্তা আছে ( ডানের টি দিয়ে গেলে রুপ্সী দিয়ে নামতে পারবেন)। তবে ওইটা দিয়ে যাবেন না, বাম দিয়ে যাবেন (শর্টকাট) একটু আগালেই দেখবেন নিচে নামার পাহাড়ি রাস্তা, নামলেই সমতল ভূমি পেয়ে যাবেন। এরপর হাটতে থাকবেন একসময় দেখবেন ঠিক যেখান থেকে শুরু করেছেন সেখানেই চলে আসবেন।
গুলিয়াখালি বীচ :
ওইটাকে আসলে সীবিচ বলা উচিত না ( আমি এটলিস্ট সীবিচ বলতে যা বুঝি)। যারা নিরিবিলি পছন্দ করেন তাদের জোস লাগবে, খুব সাজানো প্লেস একটা। মনে হচ্ছিল প্রকৃতিক ভাবে না, মানুষ নিজের মতো করে গুছিয়ে বানিয়েছে। তবে সাগরের পানি বেশ নোংরা, পানিতে নেমে ধাপাধাপি করতে চাইলে না যাওয়াই বেটার।
কিভাবে যাবেন?
বড়দারোগাহাট থেকে রিসার্ভ লেগুনায় গুলিয়াখালি বাধ, ওইখান থেকে পায়ে হেটেও যেতে পারেন/ বোটে করেও যেতে পারেন ( বোটে ভাড়া ৫০)। হেটে( খালিপায়ে) যাবেন, ঢাকার পিচ ঢালা রাস্তায় বড় হওয়া মানুষদের এরকম সবুজ ঘাষের উপরে হাটতে ভালো লাগাই উচিত।
কিছু টিপস:
1. মেইল ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ৯:৩০ এর মধ্যে কমলাপুর চলে যাবেন এবং প্লাটফর্ম এর শেষ মাথায় দাড়াবেন, এতে সিট পাওয়ার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে।
2. লোকাল বাসে উঠার আগে দামাদামি করে নিবেন .
ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখবেন, সাথে পানি ক্যারি করবেন, প্লাস্টিক এর জুতা ব্যবহার করবেন।
3. সব ঘুড়তে চাইলে গাইড নিবেন ( অনেক কনফিউজিং রূট), আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তুলে ধরার (কতোটুকু মনে রাখতে পারছি, জানি না)
#Happy_Traveling

Post Copied From:Ashik Samad‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

এক ঢিলে তিন পাখি!

হ্যা মাত্র একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন খৈয়াছড়া ঝর্ণা, চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে।
যাবার উপায়- রাত ১০:৩০ কিংবা ১১:৩০ এর চট্টগ্রামগামী ট্রেনে উঠে চলে যান ফেনী জাংশন(শোভন চেয়ার -২৪৫), সেখানে থেকে ট্রেনে (২০ টাকা)চলে যান বার তাকিয়া কিছুক্ষন হাটলেই খৈয়াছড়া যাবার পথ পেয়ে যাবেন, সেখান থেকে সিএনজি(২০ টাকা) র মাধ্যমে মেই রোডে আসুন, বাস কিংবা লেগুনায়(৩০) সীতাকুণ্ড বাজার, ওখান থেকে সিএনজি(২০) তে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে পৌছে যান। ওটা দেখা শেষ হলে আবার সিএনজিতে(২০) বাজারে ফিরে আসুন, ওখান থেকে লেগুনায়(২০) বাশবাড়িয়া বাজার আর সেখান থেকে সিএনজি(২০) তে সমুদ্র সৈকতে চলে যান,আবার বাজারে ফিরে আসুন সিএনজিতে(২০), বাসে চট্টগ্রাম(৩০) পৌছে ওখান থেকে ঢাকার ট্রেনে(২৫০) উঠুন।

খাবারের খরচ আপনাদের উপর নির্ভর করে। তবে ১২০০ টাকা এনাফ সব সহ।
Post Copied From:Gowrab Das Dip‎>Travelers of Bangladesh (ToB)