Crystal clear Umngot River(Dawki,Meghalaya,India)

Date:1st December, 2017

যাদের ডাউকি পোর্ট দিয়ে ভারতে ভিসা করা আছে তারা ঘুরে আসতে পারেন অসম্ভব সুন্দর এবং সচ্ছ পানির নদী Umngot. এখানকার পানি এতো ই সচ্ছ যে পানির নিচের পাথর এবং মাছ খুব স্পট ভাবে দেখা যায় ।

যেভাবে যাবেন : ঢাকা>সিলেট>তামাবিল>ডাউকি বাজার> Umngot নদী.

খরচ:

ঢাকা>সিলেট :৪৭০ টাকা ( নন এসি বাস )
সিলেট>তামাবিল:৬০ টাকা (লোকাল বাস)
ইন্ডিয়ার ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে ১০/১৫ মিনিট হাটলে ডাউকি বাজার । কেউ হেঁটে যেতে না চাইলে শেয়ার গাড়িতে ১৫-২০ রুপিতে ডাউকি বাজারে যেতে পারবেন । ডাউকি বাজার থেকে হেটেই বোটিং এর স্থানে যেতে পারবেন। এ বোটে ৫ জন উঠতে পারে, খরচ ৫০০ রুপি , সময় :২০-৩০ মিনিট ।

Post Copied From:

Rakib Apo‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

Top of Nohkalikai Waterfall

যারা ভারতে চেরাপূঞ্জি ঘুরতে যান তাদের কাছে অন্যতম দশর্ণীয় স্থান হচ্ছে “নোহকালিকায় জলপ্রপাত” । এটি ভারতে সর্ব উঁচু জলপ্রপাত যার উচ্চতা ১১১৫ ফিট । সাধারনত অনেক দূরের ভিউ পয়েন্ট থেকে ই এই জলপ্রপাত দেখতে হয় । কিন্তু ইউটিউবে ভিডিও দেখলাম যে এই জলপ্রপাতে “আপ স্ট্রিমে” যাওয়া যায় । খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম নভেম্বের আগে নোহকালিকায় এর টপে যাওয়ার রাস্তা অফ থাকে। আমরা ২রা ডিসেম্বরের ,২০১৭ তারিখে নোহকালিকায় এর টপে যাই ,সাথে বোনাস হিসেবে পেয়ে যাই “তালাই” নামক অসম্ভব সুন্দর একটি জলপ্রপাত। টপে যাওয়ার শুরু দিকে সহজ ট্রেকিং কিন্তু শেষের দিকে গর্তের ভিতর দিয়ে যেতে হয় যেখানে সামান্য রিস্ক রয়েছে। ট্রেকিং করে নোহকালিকায় এর টপে যেতে আমাদের সময় লেগেছিলো প্রায় ১ ঘন্টা ।

যেভাবে যাবেন : ঢাকা>সিলেট>তামাবিল>ডাউকি>চেরাপুঞ্জি>নোহকালিকায় এর টপ

যা যা লাগবে : ডাউকি পোর্ট দিয়ে ভারতে ভিসা

খরচ: ডাউকি থেকে রিজার্ভ সুমো/জীপ ৩০০০-৩৫০০ রুপি তে চেরাপুঞ্জি, চেরাপুঞ্জি থেকে রিজার্ভ সুমো/জীপ ১০০০ রুপি নোহকালিকায় এর কাছাকাছি , টিকেট জনপ্রতি ৫০ রুপি , গাইড ১০০০ ( আমারা অন্য একটা জলপ্রপাতে গিয়েছিলাম তাই গাইড খরচ বেশি হয়েছে )।

Post Copied From:Rakib Apo>Travelers of Bangladesh (ToB)

লালাখালে নৌভ্রমণ

এই সময়টাতে সিলেটে ঘুরতে আসলে অবশ্যই লালাখালে নৌভ্রমণ করা উচিত। শীতকালে লালাখালের নীল আর সবুজ জলারাশী পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কারন। জাফলং, ডিবির শাপলা বিল, কিংবা রাতারগুল একদিনেই ঘুরে দেখা সম্ভব। পাশাপাশি চাইলে কায়াকিং করতে পারবেন লালাখালেই। নাজিমঘড় রিসোর্টে রাত্রিযাপন করলে কায়াকিং এবং MTV বাইকিং এর ব্যবস্থা আছে তাদের।

 

কিভাবে যাবেন: ঢাকা – সিলেট – ইবনেসিনা হাসপাতালের সামন থেকে বাসে সারীঘাট – নৌকা রিজার্ভ ১৫০০ লালাখাল জিরো পয়েন্ট।

অথবা সিলেট থেকে লেগুনা/মাইক্রো রিজার্ভ নিয়ে লালাখাল ঘাট ( নাজিমঘড় রিভারকুইন রেষ্টুরেন্ট) – নৌকা ৭০০-৮০০ টাকা

Post Copied From:Sheikh Rafi‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

তেলিয়াপাড়া চা বাগান

মাধবপুর, হবিগঞ্জ

ঢাকা সিলেট মহাসড়ক বা তেলিয়াপাড়া রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলো অভ্যন্তরে রাস্তার দুই পাশে দেখা মিলে সবুজ চা বাগানের অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য ।চা বাগানের মাঝে পিচঢালা আঁকাবাঁকা রাস্তা। সমতলের চা বাগান ও কিছু টিলাময় চা বাগান আছে হবিগঞ্জেও। এছাড়া ভ্রমন পিপাসুরাও ছুটে আসেন ১৯৭১সালের যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ দেখতে। সময়ের অভাবে যারা সমতলের চা বাগান দেখতে পঞ্চগড় বা পাহাড়ি চা বাগান সিলেট যেতে পাড়ছেন না। তারা ঢাকার খুব কাছেই এই সমতলের চা বাগান দেখে আসতে পারেন। এখানে তেলিয়াপাড়া সুরমা,সায়েদাবাদ চা বা ৮/৯টি ছোট বড় চা বাগান রয়েছে। আর কাছেই আছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান।

কি ভাবে যাবেন : সিলেটগামী যে কোন বাস এনা হানিফ বা দিগন্ত বাসে উঠে হবিগঞ্জের মাধবপুর বা মাধবপুর পার হয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ চত্বর’ নামবেন। ঐখান থেকে ডান দিকে তেলিয়াপাড়া লেগুনা বা সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন তেলিয়াপাড়া চা বাগান।

Post Copied From:

Ismail Hossain‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

জাফলং ভ্রমণ

ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট। এক রাত আবাসিক হোটেলে থাকা যায়। যদিও বাসে সময় সাশ্রয় হবে।
সকাল ৭ টা তে রওনা দিলে জাফলং থেকে ফিরতে বেশি বেলা হয় না, দুপুর ৩টের মধ্যেই ফেরা যায় শহরে। ভেবেছিলাম বিছানাকান্দি যাব, কিন্তু জাফলংয়েরই জয় হলো।
মেঘালয় পাহাড়ের ঝর্ণায় জাফলং অন্যতম।
না বাস, না মাইক্রো, আমার হতচ্ছাড়া vomiting tendency এর কারণে CNG ভাড়া করা হল। অবশ্য তাতে যাত্রাপথ উপভোগ করা গিয়েছে নিজের ইচ্ছে মতো, পথিমধ্যে CNG থামিয়ে প্রকৃতির মধ্যে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ ছিল। শহর থেকে উপশহর যেতে ৩০ মিনিট, তারপর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পাহাড়ের দেখা। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ এখানে আরো প্রশস্ত, আরো বেশি সবুজ যেন! তামাবিল রোডের দুই ধারে বিরাটকায় পুকুর, লেক ও বলা চলে। পুকুরের টলটলে জলে মেঘলা আকাশের mirror image!!
সাদা সাদা মেঘপরীরা ওড়না ছুঁইয়ে ভেসে চলেছে পাহাড়ের চূরা ঘেঁষে। মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের গায়ে দুগ্ধফেননিভ ঝর্ণার জল সমতলে নেমে এসে জলার সৃষ্টি করেছে। তাতে স্নানরতা সামান্যা এক খাসিয়া নারীকে দেখে এই স্বর্গরাজ্যের অপ্সরী মনে হলো!
জাফলং পৌঁছাতে মোট ৩ ঘণ্টা লাগলো, যেহেতু CNG। একদিকের রাস্তায় জাফলং, অন্যদিকে তামাবিল সীমান্ত ঘাঁটি, যেখানে ভারতীয় ট্রাক মালামাল বহন করে শিলং পাহাড়ের রাস্তা ধরেছে।
একটা ৩০ তলা পাহাড় বেয়ে জাফলংয়ের জলধারা, সেটা পেরিয়ে একটা ছোট্ট নদীতে পাথর উত্তোলন দেখলাম। নদী পেরিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার পায়ে হাঁটা বালিয়ারি, সেখানেই প্রথম চোরাবালির খেলা দেখলাম। নদী পার হতে চোখে পড়লো ঝুলন্ত ব্রিজ, মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের সেতুবন্ধন এটা। পাথর ততুলা চলছে অবিরত। ভারতীয় পর্যটকের মাইক্রো চলেছে ব্রিজ দিয়ে শিলং পাহাড়ে, আর পাদদেশে বাংলাদেশী পর্যটকের ভিড়। সবাই সবাইকে দেখছে, ব্যবধান কেবল সীমান্তে, পারস্পারিক আনন্দের লেনদেনে যা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি।
বালিয়ারি পেরিয়ে ‘মায়াবী ঝর্ণা’, মাধবকুণ্ডও ফেল এর কাছে!! ৪ তলার উঁচ্চতা থেকে নেমে এসে আছড়ে পড়ছে পাথরের বুকে। জলরাশি যে প্রচন্ড স্রোতে নেমে এসেছে তাতে দাঁড়িয়ে থাকাই দায়! এছাড়াও চা বাগান, রাজবাড়ি দেখা যাবে পায়ে হেঁটে।
ফেরার পথে আবার পাহাড় ভাঙতে গিয়ে দম বন্ধ হবার জোগাড়, যদিও ৭ বছরের পিচ্চি গাইডটা দিব্যি আছে!! বাবা ছিলেন সাথে, তিনি মাটিতেই বসে পড়লেন অগত্যা।
যদিও CNG তে রাস্তা এবার কমই মনে হলো, এ পথে যেহেতু একবার এসেছি…….. তাছাড়া সাথে নিয়ে যাচ্ছি অনেকটা সৌন্দর্য্যের স্মৃতি।

Post Copied From:দেবারতি অনন্যা‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

জায়গাটার নাম ডিবির হাওর

ঘুরে আসুন সিলেটের সবচেয়ে সুন্দর শাপলার বিল ডিবির হাওর থেকে! জায়গাটার নাম ডিবির হাওর :-*

যেভাবে যাবেন:- দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে প্রথমে সিলেটে আসতে হবে! সিলেটের বন্দর শিশু পার্ক থেকে জাফলং গামী লেগুনা যায়! সেখানে জৈন্তাপুর বাজারে নামবেন বলে উঠতে পারবেন! ভাড়া নিবে ৩৫টাকা! জৈন্তাপুর বাজারে নেমে টমটম করে ডিবির হাওর যেতে পারবেন। পার পারসন ৫ টাকা ভাড়া নিবে! হাওরে ছোট ছোট নৌকা পাবেন। নৌকার ছোট ছেলেকে ১০০ টাকা দিলেই ঘন্টাখানিক পুরো হাওরের শাপলার বিল ঘুরিয়ে দোখাবে 🙂

বি দ্র:- যত সকালে যাবেন তত সতেজ শাপলা দেখতে পাবেন! ১২টার পর শাপলাগুলো রোদের কারণে মজে যায়। হ্যাপি ট্রাভেলিং

Post Copied From:Kowsar Ahmed Kaif‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

জাফলং ভ্রমণ

ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট। এক রাত আবাসিক হোটেলে থাকা যায়। যদিও বাসে সময় সাশ্রয় হবে।
সকাল ৭ টা তে রওনা দিলে জাফলং থেকে ফিরতে বেশি বেলা হয় না, দুপুর ৩টের মধ্যেই ফেরা যায় শহরে। ভেবেছিলাম বিছানাকান্দি যাব, কিন্তু জাফলংয়েরই জয় হলো।
মেঘালয় পাহাড়ের ঝর্ণায় জাফলং অন্যতম।
না বাস, না মাইক্রো, আমার হতচ্ছাড়া vomiting tendency এর কারণে CNG ভাড়া করা হল। অবশ্য তাতে যাত্রাপথ উপভোগ করা গিয়েছে নিজের ইচ্ছে মতো, পথিমধ্যে CNG থামিয়ে প্রকৃতির মধ্যে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ ছিল। শহর থেকে উপশহর যেতে ৩০ মিনিট, তারপর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পাহাড়ের দেখা। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ এখানে আরো প্রশস্ত, আরো বেশি সবুজ যেন! তামাবিল রোডের দুই ধারে বিরাটকায় পুকুর, লেক ও বলা চলে। পুকুরের টলটলে জলে মেঘলা আকাশের mirror image!!
সাদা সাদা মেঘপরীরা ওড়না ছুঁইয়ে ভেসে চলেছে পাহাড়ের চূরা ঘেঁষে। মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের গায়ে দুগ্ধফেননিভ ঝর্ণার জল সমতলে নেমে এসে জলার সৃষ্টি করেছে। তাতে স্নানরতা সামান্যা এক খাসিয়া নারীকে দেখে এই স্বর্গরাজ্যের অপ্সরী মনে হলো!
জাফলং পৌঁছাতে মোট ৩ ঘণ্টা লাগলো, যেহেতু CNG। একদিকের রাস্তায় জাফলং, অন্যদিকে তামাবিল সীমান্ত ঘাঁটি, যেখানে ভারতীয় ট্রাক মালামাল বহন করে শিলং পাহাড়ের রাস্তা ধরেছে।
একটা ৩০ তলা পাহাড় বেয়ে জাফলংয়ের জলধারা, সেটা পেরিয়ে একটা ছোট্ট নদীতে পাথর উত্তোলন দেখলাম। নদী পেরিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার পায়ে হাঁটা বালিয়ারি, সেখানেই প্রথম চোরাবালির খেলা দেখলাম। নদী পার হতে চোখে পড়লো ঝুলন্ত ব্রিজ, মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের সেতুবন্ধন এটা। পাথর ততুলা চলছে অবিরত। ভারতীয় পর্যটকের মাইক্রো চলেছে ব্রিজ দিয়ে শিলং পাহাড়ে, আর পাদদেশে বাংলাদেশী পর্যটকের ভিড়। সবাই সবাইকে দেখছে, ব্যবধান কেবল সীমান্তে, পারস্পারিক আনন্দের লেনদেনে যা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি।
বালিয়ারি পেরিয়ে ‘মায়াবী ঝর্ণা’, মাধবকুণ্ডও ফেল এর কাছে!! ৪ তলার উঁচ্চতা থেকে নেমে এসে আছড়ে পড়ছে পাথরের বুকে। জলরাশি যে প্রচন্ড স্রোতে নেমে এসেছে তাতে দাঁড়িয়ে থাকাই দায়! এছাড়াও চা বাগান, রাজবাড়ি দেখা যাবে পায়ে হেঁটে।
ফেরার পথে আবার পাহাড় ভাঙতে গিয়ে দম বন্ধ হবার জোগাড়, যদিও ৭ বছরের পিচ্চি গাইডটা দিব্যি আছে!! বাবা ছিলেন সাথে, তিনি মাটিতেই বসে পড়লেন অগত্যা।
যদিও CNG তে রাস্তা এবার কমই মনে হলো, এ পথে যেহেতু একবার এসেছি…….. তাছাড়া সাথে নিয়ে যাচ্ছি অনেকটা সৌন্দর্য্যের স্মৃতি।

Post Copied From:দেবারতি অনন্যা‎>Travelers of Bangladesh (ToB

প্রকৃতি কন্যা

প্রকৃতি কন্যা নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। মূল শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে যার অবস্থান।

পিয়াইন নদীর সচ্ছ পানি, সীমান্ত ঘেঁষে আকাশের দিকে হেলে পরা ডাইকি পাহাড়, নানা রঙের নুড়ি পাথর, ডাউকি ব্রিজ, অপরুপ মেঘরাশি সব মিলে এক অন্যরকম ভাললাগা। শীত অথবা বর্ষা সব সময় ঘুরার জন্য জাফলং উপযুক্ত সময় হতে পারে, বর্ষায় দূর হতে ঝর্নাধারা বেশ উপভোগ্য আবার শীতের স্নিগ্ধতা এনে দেয় শান্ত সবুজ সমারোহ।

Post Copied From:M.i. Shatil‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

আমার সিলেট ট্যুর

সিলেটে অনেকেই গেছেন, অনেক প্ল্যান অনেক পোস্ট আছে,আমি জাস্ট আমার এক্সপিরিয়েন্স এর কিছু অংশ শেয়ার করছি।
বর্ষাকালে গিয়েছিলাম , আমি বলব এটা একই সাথে সৌভাগ্য আর দুঃভাগ্য ছিলো আমাদের… যাই হোক সিলেটের আসল রুপ দেখতে হলে বর্ষাকাল ই বেস্ট
আমরা ৬ জন ছিলাম, আর আমাদের ট্যুর স্পট ছিল
হাম হাম ঝর্ণা , লাউয়াছড়া উদ্যান, রাতারগুল,বিছন কান্দি, আর জাফলং
মোট ৩ দিন ছিলাম , আমাদের থাকার কোন খরচ লাগে নাই, সব ই সিলেট এম,সি কলেজের কিছু বন্ধুর ভালোবাসা
তা ছাড়া যাতায়াত খাবার আর ঘুরাঘুরির পর বাসা থেকে বের হওয়া আর বাসায় ফেরা পর্যন্ত জনপ্রতি খরচ পড়েছে ২০০০ টাকা ,
প্রথম দিন হাম হাম ঝর্ণা , শ্রীমঙ্গল থেকে জীপ ভাড়া করলাম ১৫০০ টাকায়
প্রথমে লাউয়াছড়া উদ্যান , চা বাগানের পাশে দিয়ে প্রথম ওইখানে গেলাম, ভালোই ছিল জায়গা টা ,একটা বানর তার বাচ্চা নিয়ে বসে ছিল গেইটের সামনে,ওদের রুটি খাওাইলাম ,কিছুক্ষন উদ্যানে ঘুরে রওনা দিলাম হাম হাম এ
,প্রায় ৪ ঘন্টার মত ট্রেক করতে হয়েছিল, তখন খুব কষ্ট হয়েছিলো,কিন্তু এখন এটাই সিলেটের বেস্ট এক্সপিরিয়েন্স ,ভাল হয় একটা গাইড নিয়ে গেলে,আমাদের কাছে ২৫০ তে রাজি হয়েছিল পরে আমরা ওনার কষ্টের কথা ভেবে ৩০০ দিয়ে দিসি ।
বৃষ্টির দিন বলে এত টাইম লাগে,যদিও এই দিনে না গেলে ঝর্ণার পানি না ও দেখতে পারেন, ওইদিন রাতে ট্রেনে সিলেট রওনা দেই, পরের দিন রাতারগুল আর বিছন কান্দি।
রাতারগুলের ঘাট ২ টা ,একটায় ভাড়া ১৫০০ আরেকটায় ৬০০ টাকার মত
বিছকান্দি তে আমরা নৌকা পেয়েছিলাম ১০০০ টাকায়
ওই জায়গায় ওইদিন ভারত বাংলাদেশের বাজার বসেছিল
সপ্তাহে ২ ১ দিন বসে মনে হয় ওই বাজার টা,ওনেক চকলেট পাবের ওখানে ^_^
এই ২ জায়গায় যাওয়ার জন্য সি এন জি ভাড়া ছিল ১৫০০ র মত(৫ জন বসা যায়)
পরের দিন জাফলং
জাফলং এ বাস এ গিয়েছিলাম সিলেট শহর থেকে ভাড়া ৪০ করে দিয়েছিলাম
জাফলং এর নৌকার ভাড়া টা ঠিক মনে নাই, ৫০০ টাকা নিয়েছিল মনে হয়
সাথে খাসিয়া পল্লী ও ঘুরে আসতে পারেন, বৃষ্টির মধ্যে খাসিয়ে দের পান বাগানে ঘুরার মজাই আলাদা,আর তার পর যদি হয় ওদের বানানো সিঙ্গারা <3
আর নিজের জিনিস নিজের কাছে রাখবেন যতটা সম্ভব,আমাদের কিছু খারাপ সৃতি থেকে বলছি, তা ছাড়া আমার লাইফের সবচেয়ে ভাল ট্যুরের মধ্যে একটি ছিল সিলেট ট্যুর,
ভুল কিছু লিখে থাকলে দুঃখিত , আর আমার মত ট্যুর লাভার দের জন্য অনেক শুভকামনা , সবাই ভাল থাকবেন ^_^

Post Copied From:Nihal Asif Khan‎>Travelers of Bangladesh (ToB