রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট

যেভাবে যাবেন!!

রাতারগুল দেখতে হলে প্রথমে যেতে হবে সিলেট শহর। সড়ক, রেল ও আকাশ পথে ঢাকা থেকে সরাসরি সিলেট যেতে পারেন। চট্টগ্রাম থেকেও সিলেটে যাওয়া যায়।
ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ ও মহাখালী বাস স্টেশন থেকে সিলেটের বাসগুলো ছাড়ে। এ পথে গ্রীন লাইন পরিবহন, সৌদিয়া এস আলম পরিবহন, শ্যামলি পরিবহন ও এনা পরিবহনের এসি বাস চলাচল করে। ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার ১শ’ টাকা। এছাড়া শ্যামলী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ইউনিক সার্ভিস এনা পরিবহনের পরিবহনের নন এসি বাস সিলেটে যায়। ভাড়া ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। এনা পরিবহনের বাসগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে টঙ্গী ঘোড়াশাল হয়ে সিলেট যায়।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস। সপ্তাহের প্রতিদিন দুপুর ২টায় ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস।
শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৪টায় ছাড়ে কালনী এক্সপ্রেস। ভাড়া দেড়শ থেকে ১ হিাজার ১৮ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে যায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং শনিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস। ভাড়া ১৪৫ থেকে ১ হাজার ১শ’ ৯১ টাকা।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় রাতারগুল জলাবনে পর্যটক।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, নভো এয়ার এবং ইউএস বাংলা এয়ারের বিমান প্রতিদিন উড়াল দেয় সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে।
সিলেট শহর থেকে কয়েকটি পথে আসা যায় রাতারগুল। সবচেয়ে সহজ পথটি হল— শহর থেকে মালনিছড়ার পথে ওসমানী বিমান বন্দরের পেছনের সড়ক ধরে সোজা সাহেব বাজার হয়ে রামনগর চৌমুহনী। সেখান থেকে হাতের বাঁয়ে এক কিলোমিটার গেলেই রাতারগুল।
সারাদিন ভ্রমণের জন্য জায়গাটিতে পাওয়া যাবে ছোট ছোট খোলা নৌকা। এক বেলা জঙ্গলে বেড়ানোর জন্য প্রতিটি নৌকার ভাড়া ৩শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।
সিলেটের আম্বরখানা, শাহজালাল মাজার থেকে সাহেব বাজার কিংবা চৌমুহনী লোকাল অটো রিকশা যায়। জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। রিজার্ভ নিয়ে গেলে আড়াইশ থেকে ৩শ’ টাকা।

কোথায় থাকবেন!!

সিলেট শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল আছে। শহরের নাইওরপুল এলাকায় হোটেল ফরচুন গার্ডেন (০৮২১-৭১৫৫৯০), জেল সড়কে হোটেল ডালাস (০৮২১-৭২০৯৪৫), ভিআইপি সড়কে হোটেল হিলটাউন (০৮২১-৭১৮২৬৩), লিঙ্ক রোডে হোটেল গার্ডেন ইন (০৮২১-৮১৪৫০৭), আম্বরখানায় হোটেল পলাশ, (০৮২১-৭১৮৩০৯), দরগা এলাকায় হোটেল দরগাগেইট (০৮২১-৭১৭০৬৬), হোটেল উর্মি (০৮২১-৭১৪৫৬৩), জিন্দাবাজারে হোটেল মুন লাইট (০৮২১-৭১৪৮৫০), তালতলায় গুলশান সেন্টার (০৮২১-৭১০০১৮) ইত্যাদি।
এসব হোটেলে ৫শ’ থেকে ৪ হাজার টাকায় রাত যাপনের ব্যবস্থা আছে।

সাবধানতা!!

পানিতে ডুবে থাকা অবস্থায় রাতারগুল জঙ্গল বেড়ানোর উপযুক্ত সময়। এ বনের চারদিকে পানি পূর্ণ থাকে বলে ভ্রমণের সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এই বনে বেড়ানোর সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বনের গাছে ডালে অনেক সময় সাপ থাকে। এছাড়া কম বেশি জোঁকেরও উপদ্রব আছে। সাঁতার না জানলে সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখা জরুরি।
এছাড়া ছাতা, বর্ষাতি কিংবা পঞ্চ, রোদ টুপিও সঙ্গে নিতে হবে। এখানে বেড়ানোর নৌকাগুলো অনেক ছোট। এক নৌকায় পাঁচজনের বেশি উঠবেন না।

Post Copied From:Shah Tushar‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

পাংথুমাই ঝর্ণা

যেভাবে যাবেন : ঢাকা/চট্টগ্রাম> সিলেট >বিছানাকান্দি >পাংথুমাই ঝর্ণা.
সিলেট থেকে লেগুনা/cng রিজার্ভ করে হাদারপার বাজার, ওখান থেকে নৌকা ভাড়া করে বিছানাকান্দি যাওয়ার পথেই পড়ে এই ঝর্ণা. নৌকা ভাড়ার করার সময় মাঝিকে বলে রাখতে হবে.
পান্থুমাই ঝর্ণাটি পুরোপুরি ভারতেই অবস্থিত। ভরা বর্ষায় না গেলে এর প্রকৃত রূপ দেখা যায় না।
পান্থুমাই পয়েন্টে গিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু দেখাই(ছবি তোলা) যায়, বিএসএফ নিচে দাঁড়িয়ে থাকে (রাইফেল হাতে)। 
যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা/চট্রগ্রাম থেকে বাস/ট্রেন/প্লেনে সিলেট > সিলেট শহরের আম্বরখানা/শিশুপার্ক পয়েন্ট থেকে সিএনজি/লেগুনা (লোকাল/ রিজার্ভ) করে হাদারপাড় বাজারে নামতে হবে।
* হাদারপাড় থেকে রিজার্ভ নৌকা নিয়ে বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লক্ষণছড়া একসাথে ঘুরে আসতে পারেন। নৌকা ভাড়া নিবে ১৫০০-২০০০ টাকা। এক নৌকায় ১০-১২ জন যাওয়া যাবে।
* হাদারপাড় থেকে শুধু পাংথুমাই ও লক্ষণছড়া যেতে চাইলে নৌকা ভাড়া নিবে ১০০০-১২০০ টাকা।
*হাদারপাড় থেকে শুধু বিছনাকান্দি যেতে চাইলে নৌকা ভাড়া নিবে ৭০০-৮০০ টাকা।
ঈদের সময় বলে আমাদের(৫ জনের) নৌকা ভাড়া নিসে ১৬০০ টাকা> বিছনাকান্দি আর পাংথুমাই(ভাড়া চাইসে ৩৫০০ টাকা>বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লক্ষণছড়া, পরে আমরা বিছনাকান্দি আর পাংথুমাই রাজি হই) ।
বিঃদ্রঃ আমরা চিনিনা বলে আমাদেরকে সিএনজি ড্রাইভার নামার বাজার নামায় দিসে(আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে লোকাল ১৫০টাকা)। ওখানে নৌকা ঘাটের লোকদের(দালাল) সাথে সিএনজি ড্রাইভারদের গোপন লিংক আসে, যেটা আমরা ফেরার পথে বুঝতে পারছি। ফেরার পথে হাদারপাড় থেকে আমরা সিলেট আসছি ৯০টাকা ভাড়া দিয়ে লেগুনা করে।
* আশা করি আপনারা দালালদের এড়িয়ে চলবেন আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবেন।

Post Copied From:

রঙিন পতঙ্গ‎ >Travelers of Bangladesh (ToB)

নীল জলের লালাখাল ও বোনাস হিসাবে ঘুরে আসুন লালাখাল চা বাগান

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। প্রকৃতিকে একান্তে অনুভব করার জন্য স্থানটি বেশ উপযোগী। পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, নদী, চা-বাগান ও নানা জাতের বৃক্ষের সমাহার লালাখালজুড়ে। যেদিকেই তাকাবেন সেইদিকেই সবুজ আর নীলের সমাহার।
যে ভাবে ঘূড়বেনঃ
লালাখাল ঘুড়ে উপভোগ করতে পারেন নৌকার মাধ্যমে । এখানে ২ ধরনের নৌকা আছে ইঞ্জিন ও ইঞ্জিন ছাড়া। ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া নিবে কমপক্ষে ৮০০-১০০০ টাকা আর নরমাল নৌকা ভাড়া নিবে আনুমানি ১০০-২০০ টাকা । এই নৌকার মাধ্যমে আপনাকে তারা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুড়িয়ে নিয়ে আসবে। ঘুড়তে ঘুড়তে দেখবেন খালের আসল রুপ।
লালাখাল থাকার ব্যাবস্থাঃ
লালাখালের পাশেই রয়েছে একটি নামিদামী রিসোর্ট । ১ রাতের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ৫০০০-১০০০০ টাকা ।এখানে পরিবার নিয়ে থাকতে পারবেন কোন সমস্যা নাই।আমরা ৩ বন্ধু ছিলাম দাম শুনে তাই আমরাও সেইখানে থাকি নাই। আরো দামী রুম রয়েছে এখানে। খুব বেশি মনে হচ্ছে তাই না। যদি বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আসেন আর একটু কম খচরে থাকতে চান। তাহলে আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে। আরো কমে থাকতে হলে আপনার জন্য রয়েছে একটি আকর্ষণীয় উপহার সেটা হলো থাকতে হলে আপনাকে খালের ওপার পাহাড়ের চূড়ায় থাকতে হবে। আনুমানি ৫-৬ তালা উঁচু পাহাড়। সেখানে রয়েছে গ্রামীন দারুন ব্যাবস্থা। এখনো ওইরকম ভাবে থাকার ব্যাবস্থার কাজ শুরু হয়নি। তারপরও আমরা সেখানে থাকতে পেরেছি।এইগ্রামে একজন মানুষ আছে সে থাকার ব্যাবস্থা ধীরে ধীরে চালু করছে। যার বাসায় আমরা ছিলাম তার নাম হলোঃ “নিবারন”ভাই। তার ঘর সম্পূর্ণ মাটির ঘর এবং নিবারন ভাইয়ের নিজের হাতে বানানো ঘর। দেখলে আপনার মন ভরে যাবে। তিনি খুব ভাল মানুষ। সে এই এলাকার স্থানীয় মানুষ। সো চিন্তার কোন কারন নাই। রাতে থাকতে হলে খাবারের জন্য বাজার করা অবশ্যই দরকার। নিবারন ভাইয়ের নিজের দোকান আছে সেখানেই বাজার করতে পারেন অথবা তাকে টাকা দিলে সে বাজার থেকে সদাই করে নিয়ে আসবে বা আপনারাও আনতে পারেন ।খাবার খরচ আপনাদের উপর ডিপেন্ড করে। আমরা আলাদাভাবে খাবারের জন্য ৩৫০ টাকা খচর করে ছিলাম। যদি মুরগী-গরুর মাংস বা মাছ কিনতে চান। রাতে চাইলে BBQ ও করতে পারেন তার । তার বাসার সামানে অনেক বড় ভাল মানের উঠানের ব্যাবস্থা রয়েছে। সাবধান বেশি চিৎকার করে আনন্দ করতে যাবেন না কারন- গ্রামের মানুষরা খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরে। এ কারনেই বললাম কারন আমরা ৩ বন্ধু তার বাসায় ১ রাতে থেকেছিলাম। ২-৩ জন হলে সে থাকার ব্যাবস্থা করে দিবে।আমরা তার বাসায় ফ্রী থেকেই ছিলাম। অনেক জোরাজুরির পরেও তাকে টাকা দিতে পারি নাই আমরা  । আগামীতে সে আরো রুম বানানোর কাজ শুরু করবেন যা বলেছিল আমাদের। তখন মেবি প্রতিটি বিছানার জন্য ১০০-১৫০ টাকা চার্জ করতে পারে। সকালের লালাখালের রুপ ও চা বাগান উপভোগ করতে চাইলে তাহলে নিবারন ভাইকে গাইড হিসাবে পুরো সকালটা আপনাকে পায়ে হেঁটে পুরো লালাখালের রুপ লালাখালের পাহাড়ি রুপ বেয়ে বর্ডার এলাকা ও চা বাগান ঘুড়িয়ে দেখাবে। তার জন্য আনুমানিক ৫০০ টাকা তার সময়ের খরচ দিলে সে অনেক খুশি হবে। বিষয়টা দারুন না।
এখানে কমে থাকতে হলে আপনাকে খালের ওপার যেতে হবে । খাল পারাপার এর জন্য এক এক জনকে ৫ টাকা করে নিবে । ওপার উঠেই একটি সুন্দর ও ছোট বাজার দেখবেন । বাজারের পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাম তার- “নিশ্চিতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়” । বাজারে কাউকে জিজ্ঞাস করলেই দেখিয়ে দিবে নিবারন ভাইয়ের দোকান কোনটা । তার বাসায় যদি থাকতে চান অবশ্যই তাকে আগে ফোন দিতে হবে। যদি থাকতেই চান তার ওখানে তাহলে ফোন নাম্বারের জন্য আমাকে ইনবক্স করলেই হবে।
লালাখাল যাওয়ার ব্যাবস্থাঃ
সিলেট বাস স্টাড থেকে জাফলং এর লোকাল বাস পাবেন। বাসে উঠে ৩০-৩২ কিঃমি দূরে নেমে যাবেন সারিঘাট। ভাড়া নিবে আনুমানিক ৩০-৩৫ টাকা। সারিঘাট নেমে অটো পাবেন সেখানেই তারা লালাখাল বলেই ডাক দিবে। উঠে পরেন অটোতে ৭ কিঃমি দূরেই নেমে যাবেন লালাখাল। ভাড়া নিবে মাত্র ১৫ টাকা।
সাবাধানঃ এই খালে গোসল করার থেকে না করাই ভাল। গ্রামের লোকরাও এই খালে গোসল করতে নিষেধ করে থাকে। আর যদি আপনি খুব সাঁতারু হয়ে থাকেন তাহলে এটা আপনার উপর ডিপেন্ড করে।
প্রথম লিখলাম তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন 🙂 ।

Post Copied From:SaiMon HosSain‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

আনটাচড বিউটি

হ্যা, দেখতে তানজানিয়ার মতই লাগে। তবে এখানে হলদে খড়ের আড়ালে সিংহ লুকিয়ে থাকেনা। জেব্রা ও নেই।
মাথায় সাদা মুকুট পরা কিলিমাঞ্জারো ও দেখা যায় না। তবে এখানে হলদে খড়ের শেষে সবুজের রাজত্ব শুরু।

পাহার গুলো সকালে কুয়াশায় মুড়িয়ে থাকে, আবার দিনশেষে নীলচে দানবে রুপ নেয়।

সিলেট সুনামগঞ্জ এর সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোর চাইতে কোন অংশেই কম যায়না।

আমার বিউটিফুল বাংলাদেশ।

স্থান- নির্ঝর ঘাট, কলমাকান্দা, নেত্রকোনা।

ঢাকা থেকে বাসে নেত্রকোনা। তারপর নেত্রকোনা থেকে মোটরসাইকেলে কলমাকান্দা। কলমাকান্দা থেকে অটো তে সোজা নির্ঝর ঘাট।

Post Copied From:Muktar Mithu‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

হাজারিখিল গেম লাইফ সেংচুয়ারি

If travelling was free,you’d never see me again 😊
আমি বলি নাই,আমার এক বড় ভাই Mizan Rana বলছেন। 😜
আসলেই কল্পনা করা যাই না,আল্লাহ যে এতো সুন্দর সুন্দর জায়গা বানাইছেন।
বান্দরবন,সুন্দরবন,সিলেট এর মিশ্রণে এক অদ্ভুত হাজারিখিল 😊
যদি ট্রাভেলিং টা ফ্রি হতো,তাহলে প্রতিদিন এখানে চলে আসতাম।
যাক আসল কথাই আসি।
এলাকার বড়ভাই,বন্ধুবান্ধব মিলে অনেকদিন ধরে প্ল্যান করলাম ১দিন এর ট্যুর দিবো।
প্ল্যান করলাম ঠিক,কিন্তু প্লেস ঠিক করতে পারলাম না।
এমন সময় মামুন ভাই এর পোস্ট পাইলাম।
উনি যে ছবি দিলেন, ছবি দেখার সাথে সাথে সবাই একপায়ে খাড়া, সবাই রাজি।
যে এখানেই যাবো।যেভাবেই হোক,এখানেই যাবো।
তো আমরা সবাই মিলে ঠিক করলাম ১৮ তারিখ যাবো।
প্রথমে আমাদের ট্যুর এর সদস্য সংখ্যা ছিলো প্রাই ২১ জন।
তা কমতে কমতে ১৫জন হলো।
প্রত্যেক ট্যুর এই তা হয়, প্রথমে অনেকজন থাকে।কিন্তু যাওয়ার টাইমে কয়েকজনযেতে পারে না।
আসলে আল্লাহ তাদেরকে এই ট্যুর এর জন্য কবুল করে নাই😂
তো আমরা ১৫জন মিলে সকাল ৭টার দিকে হাজারিখিল এর উদ্দেশ্যে রাওনা দিলাম।
প্রথমে অক্সিজেন গেলাম,ওখান থেকে বাস করে জনপ্রতি ৪০টাকা করে বিবিরহাট, ফটিকছড়ি তে নামলাম।আসলে আমরা ২৫টাকা করে বাসের ছাদে গিয়েছিলাম।ছাঁদে সবাই মিলে গান গাওয়ার মজাই আলাদা।যাক
ওখানে সকালের ব্রেকফাস্ট টা সেরে নিলাম।তারপর জনপ্রতি ৩০টাকা করে লোকাল সিএনজি করে হাজারিখিল ফরেস্ট অফিস পোঁছালাম।
এবার আসল খেলা শুরু।গাইড মান্নান ভাই (01815382431)এর সাথে কথা হলো।ওনার সাথে দরদাম মিললো না।তাই ওনাকে বিদাই করে দিলাম।আপনারা চাইলে নিতে পারেন।
ফরেস্ট অফিস এর শাহাদাত ভাই এর সাথে কথা বললাম।উনি আমাদের রাস্তা দেখাই দিলেন।
প্রথমেই গিরিপথ এর উদ্দেশ্যে রাওনা দিলাম।
বাপরে, বনজঙ্গল যে এতো ভয়ানক হবে কে জানতো?😁এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মাঝে পরে গেলাম।
কয়েকজন তো ব্যাক দিতে চাইছে।😂 হাটতে হাটতে কিছুুদুর যাওয়ার পর গাইড শশী কুমার ভাই কে (01882820226) পাইলাম। তারপর গিড়িপথ,ঝড়না,৯০ডিগ্রি খাড়া পাহাড় সব কিছু দেখে নিলাম।প্রাই ৮ঘন্টা ট্রেকিং করলাম। ঝড়নার দিকে পাতার ভিতরে সাঁপটা দেখার পর সবাই যে চিৎকার দিলো, চিৎকার এর ফিল টাই অন্যরকম ছিলো😜
আার গিড়িপথ এর কথা কি বলবো,এতো সুন্দর গিড়িপথ আমার লাইফে কখনো দেখি নাই।৯০ডিগ্রী খাড়া পাহার এর কথা নাই বল্লাম।চা বাগান টাও দেখার মতো ছিলো।দিনশেষে সবাই মিলে পুকুরে গোসল করার মজাটাও আলাদা 😍
আার যারা যেতে চান, তাদেরকে,বলছি,খালি হাতে ট্রেকিং এ যাবেন না। হালকা পাতলা খাবার নিয়ে যাবেন।যদি দুপুর এর খাবার খেতে চান,যাওয়ার আগে হাজারিখিল বাজারে অর্ডার দিয়ে যাবেন।কারন ওখানে সবসময় খাবার থাকে না।
যেভাবে যাবেন- ঢাকা-ফটিকছড়ি বিবিরহাট-হাজারিখিল ফরেস্ট।।
চট্টগ্রাম থেকে যেভাবে যাবেন- অক্সিজেন -ফটিকছড়ি বিবিরহাট। বাসের সিট এ ৪০,ছাদে ২৫. বিবিরহাট-হাজারিখিল ৩৫ টাকা।
খরচ জনপ্রতি -৩০০টাকা চট্টগ্রাম থেকে।।
আর একটি কথা,গাইড কে বেশি থেকে বেশি ৪০০টাকা দিবেন তার বেশি দেবেন না।দুপুরের খাবার আমাদের সাথে সহ ৩০০টাকা দিয়েছিলাম ।এই প্রথম রিভিউ দিলাম,ভুল হলে ক্ষমা করবেন,না করলে নাই 😂😁
ধন্যবাদ
একসাথে যদি এতগুলো প্লেস দেখতে চান,তাইলে এখনি চলে যান হাজারিখিল। 😃
হ্যাপি ট্রাভেলিং ✌

মেঘের দেশ সাজেক

অনেকবার ডেইট চেঞ্জ করতে করতে কিভাবে যেন হুট করেই রওনা দেওয়া। ঢাকা থেকে আমি যাচ্ছি, বাকিরা সিলেট থেকে। চট্টগ্রামে গিয়ে একসাথে রওনা দিব মেঘের দেশে। কপালের লিখা কে খন্ডাবে!! ৩ ঘন্টা দেরী করে যখন চট্টগ্রামে পৌছালাম ততক্ষ্ণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। বহুকষ্টে খাগড়াছড়ির বাসের ইঞ্জিনের উপর ঠাই হল আমাদের। সকালের এস্কোর্ট তো মিস হলই বিকালেরটাও ধরতে পারব কিনা তার নিশ্চয়তা কে দেবে তারওপর যদি বাস আবার নস্ট হয়!! কপালে যেদিন দুঃখ আসে, সেদিন সব দিক দিয়েই আসে।
আমরা যখন দিঘীনালায় পৌছালাম ততক্ষ্ণে সূর্যমামার ঘুমাবার সময় হয়ে এসেছে। এস্কোর্ট তো মিস হলই, তাইলে এখন উপায়!! এক সিএনজি ড্রাইভার বলল সে নাকি নিয়ে যেতে পারবে। তো উঠে পড়লাম আমরা। যা আছে কপালে। শেষবিকালে আমরা পাহাড়ি ওই স্বর্গের রাস্তাটা ধরে যেন স্বর্গেই যাচ্ছি। চলে আসলাম বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যের ষোলকলা পূর্ণ হল। আমাদের এই রাতের বেলা কোনভাবেই যেতে দিবে না। আর মাত্র ৩৭ কিমি পর আমাদের গন্তব্য। ২৪ ঘণ্টার কষ্ট বৃথা!! তো কি আর করা । দিঘীনালায় ফিরে আসা। আর পরদিন সকালের জন্য অপেক্ষা।
সকাল হল। আমাদের যাত্রা আবার শুরু হল। রাতের ঘুমে শরীর এখন চাঙা। গতকালের লাস্টের আমরা আজ সবার আগে বাঘাইহাট। পথে হাজাছড়া দেখে এসেছি। বলা যায় পানিশূন্য হাজাছড়া। সাড়ে দশটায় এস্কোর্ট ছাড়ার কথা এগারোটা বেজে গেল তাও ছাড়ছে না! আমাদের যেন চিন্তা নাই, হাতে চায়ের কাপ নিয়ে জমিয়ে ক্যারাম খেলছি বাঘাইহাট বাজারে। 
এবার আর কোন বাধা নাই বলা যায়। স্বর্গের দ্বার আজ আমাদের জন্য উন্মুক্ত। আদিবাসী বাচ্চারা হাত নেড়ে স্বাগতম জানাচ্ছে আমাদের। এবার বুঝি দেখা মিলবে সাজেকের। কিন্তু……
সাজেকে যাওয়ার সর্বশেষ পাহাড়টার খাড়া অংশটুকু পার করতে আমাদের সি এন জি এর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। নেমে কিছুটা পথ তাই হাটতে হল অভিকর্ষের বিপক্ষে।
অবশেষে পৌছালাম। ঠিক করেছিলাম কোন কটেজে উঠব না। একেবারে আদিবাসীদের সাথে উনাদের বাড়িতেই থাকব, উনাদের খাবার খাব। খুব কাছ থেকে দেখব তাদের জীবনযুদ্ধ। দিদিকে কল দিলাম। উনি এসে স্বাগত জানিয়ে নিয়ে গেল ,যেন বাড়িতে মেহমান এসেছে। তারপর নিয়ে গেল মাচাং এ যেখানে আমাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মাচাং এর বারান্দায় গিয়ে সামনে যা দেখলাম তার কাছে আমাদের দুদিনের সব পরিশ্রম একেবারে নাই হয়ে গেল। এ আমার বাংলাদেশ। <3
রেস্ট নিয়ে বিকালে বের হলাম। হ্যালিপ্যাডে সূর্যাস্ত দেখলাম। আর একটু পর আকাশ জুড়ে কোটি তারার মেলা। পুরোটা আকাশ গঙ্গা। কতক্ষ্ণ আকাশভরা তারার নিচে শুয়ে ছিলাম জানি না। পেটের রাক্ষসটা জানান দিল তার অস্তিত্ব। ফিরে আসলাম মাচাং এ। আজ রাতের মেনু ব্যম্বু চিকেন, বাঁশের মধ্যে রান্না করা পাহাড়ী চালের ভাত, আলুভর্তা,ডাল। যেন অমৃত। খেয়েদেয়ে বারান্দায় বসে মেঘের সমুদ্র দেখা। যেন স্বপ্নের মধ্যেই বেঁচে থাকা।
রাত পোহালো। ভোর হলো। আমাদের সামনেই মেঘের সমুদ্র থেকে যেন সূর্যটা উকি দিল। খেয়েদেয়ে যাত্রা করলাম কংলাক এর দিকে। সূর্যের তেজ তখন পুরোপুরি। একঘন্টা পর পৌছালাম কংলাকে। আমরা তখন সবার চেয়ে উপরে। আদিবাসী মেয়েরা বসে কাপড় বুনছে। আর পিচ্চিগুলা বেশি জোস। আমাদেরকে ওদের ভাষা শিখাচ্ছে। শুনলাম এক ঝর্ণার কথা। দেড় দুঘন্টার পথ ওখান থেকে। কয়েকজন মানা করল যেতে। কিন্তু যেতে তো হবেই। এক পিচ্চিকে (ওর নাম মওনা) গাইড বানিয়ে রওনা দিলাম। মওনার সাথে ওর দু একজন বন্ধুও গেল আমাদের সাথে। জঙ্গলের মধ্যে পথ বানিয়ে আমরা যাচ্ছি তো যাচ্ছি। পথের শেষ বলে যেন কিছুই নেই। একটুপর ঝর্ণার শব্দ শুনতে পেলাম। নভেম্বরেই এত পানি!! বর্ষায় না যেন কেমন হয়! আমরা ছাড়া আর কেউ নাই এখানে। সূর্যের আলো বহুকষ্টে আসে যেন। শুরু হল আমাদের ঝাপাঝাপি। ফিরে এলাম কংলাকে। এখান থেকে সাজেকে যাওয়ার এনার্জি নাই কারো। একটা গ্রুপ তাদের গাড়ি নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গেই তাদের গাড়িতে করে সাজেকে চলে আসলাম। ধন্যবাদ তাদের।
মাচাং এ আসলাম শেষ বিকালে। গোসল সেরে খেয়েদেয়ে এক ঘুম। যা পরিশ্রম গেল ! রাতে বের হয়ে হাটাহাটি করে আসলাম। এবার ফেরার পালা। এই স্বর্গ ছেড়ে চলে যেতে হবে! রাতের খাবার খেয়ে দিদির সাথে গল্প করতে বসে গেলাম। দিদি আরেকটা দিন থাকতে বলল। দুইদিনে আমাদের যেন আপন করে নিয়েছে। সম্পর্ক্টা আপনি থেকে তুই,তুমিতে চলে এসেছে। বায়না করলাম আমাদের জুম চাষের জমিতে নিয়ে যেতে হবে, সাথে আরেকটা ঝর্ণায় যেখানে মাছ ধরা যাবে। দিদি রাজি হল আর আমরা আমাদের ড্রাইভারকে কল দিয়ে আরেকটা দিন পরে আসতে বলি। শুয়ে শুয়ে আবারো ভোরের অপেক্ষা করতে থাকি।
পরদিন দিদি সময় দিল ৯ টায়। তার আগে বের হলাম আমরা। নাস্তা করে হাঁটাহাঁটি। বিচ্ছুরানী ও তার দলবলের সাথে দেখা। খেলছে তারা বালু, পাতা, ইট দিয়ে রান্না রান্না। একটা পাতায় আমাকে খেতে দিল। কিচ্ছুক্ষ্ণ পর দেখি হাতে বইখাতা নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে সবাই। স্কুল শুরু হয়নি এখনো। এত সুন্দর একটা পরিবেশে স্কুল! খেলার ছলে ওদেরকে দিয়েই ওদের স্কুল মাঠে পড়ে থাকা কাগজ, প্লাস্টিক পরিষ্কার করালাম। যে বেশি কাগজ পরিষ্কার করতে পারবে সে তত বেশি চকলেট পাবে। খুব আগ্রহ নিয়ে সবাই নেমে গেল মাঠ পরিষ্কার করতে। (যদিও ময়লাগুলার বেশিরভাগই আমার আপনার ফেলা )
নয়টা বাজল। দিদির সাথে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। পৌছে গেলাম জুম চাষের জায়গায়। পাহাড়ী সবজি ,শাক তোলা হল ঝুড়ি ভরে। ঝিরিপথে হাটতে হাটতে , পিছলে পড়তে পড়তে এক ঝর্ণার কাছে পৌছালাম। সামনে যাওয়ার আর রাস্তা নাই। এখানেই শুরু হলো আমাদের চিংড়ী শিকার। একবোতল চিংড়ি আর চার পাঁচটা কাকড়া ধরে ফেরার পথ ধরলাম। কিন্তু বিধিবাম।
এবার দিদিও রাস্তা ভুলে গেলেন! এপথ ওপথ করতে করতে নতুন রাস্তাও বানিয়ে ফেলল। সামনে একটা জুমঘর। ওখানে বসে চিংড়িগুলো ভাজা হল। সে কি স্বাদ!! চারপাশে পাহাড়, সবুজ আর নিরবতা!! বারবিকিউ শেষ হল। আমাদের রেস্টও হল। মাচাং এর দিকে রওনা দিলাম। পথে একটা কূপ। এখান থেকে খাবার পানি নিয়ে যান দিদিরা। এখানেই গোসল করে নিলাম। মাচাং এ এসেই সব চিৎপটাং । আর দিদি আর মাসীমা রান্না শুরু করল। একটু পর সামনে হাজির হল নিজেদের তুলে আনা শাক সবজি। তেল ছাড়া রান্না। পাতিলের বদলে বাশে রান্না হয়। তার কি স্বাদ। খেতে খেতে প্যান্টের বেল্ট ঢিলা করা লাগে, তারপর হেলান দেওয়া লাগে, তাও খাওয়া শেষ হয় না।
সকালে গাড়ী আসবে। চলে যেতে হবে। দিদি মাসী আবার অগ্রীম নেমন্ত্রণ দিয়ে রাখলেন। পরেরবার আসলে নাকি সাজেক নদী দেখাতে নিয়ে যাবেন !!!!
সহজ সরল প্যাচহীন মানুষগুলো ৩ দিনেই একটা বন্ধনে আটকে দিয়েছেন যেন।
আমাদের সাজেক পর্ব শেষ হল। কিন্তু ট্যুরের এখনো বাকি আছে। এবার যাত্রা খাগড়াছড়ি। রাতের বাসের টিকিট করে সিস্টেম রেস্টুরেন্টে খেয়ে রওনা দিলাম রিছাং ঝর্ণার উদ্দেশ্যে। স্লাইড দিতে গিয়ে একবার পিছলিয়ে পড়েও গেলাম। বড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও কনুই হাটুতে ব্যথা পেলাম। আর প্যান্ট এর ১২টা বাজায় দিলাম!!! (ভাগ্যিস এক্সট্রা ছিল 😛 )
রিছাং এর পর আলুটিলা। সন্ধ্যা হয়ে এল। আমরা মশাল হাতে গুহায় প্রবেশ করলাম। যেন অন্য কোন জগতে চলে এসেছি। ২০ মিনিট পর ফিরে এলাম চেনা জগতে।
রাতে খাগড়াছড়ি শহরে ঘুরাঘুরি করে ৯ টায় বাসে উঠলাম। বাস ছাড়ল। পেছনে রেখে এলাম জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ৪টা দিন। আর সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি সারাজীবন মনে রাখার মত হাজারো স্মৃতি।

খরচঃ তিনরাত সাজেকে ছিলাম। কটেজে না থাকা আর বাইরে হোটেলে না খাওয়ার জন্য খুবই অল্পতে ট্যুর শেষ করা সম্ভব হয়েছে।
তিন দিনের জন্য মাচাং এ ৩৫০০ লাগছে। ( যদিও দিদি ৩০০০ চেয়েছিল)
খাওয়া দাওয়া + যাতায়াত+ অন্যান্য সব মিলিয়ে পার পারসন ৫৩০০+ খরচ ।

**ছবির এই ঝর্ণাটারই দেখা পেয়েছিলাম কংলাক থেকে যাত্রা করে।
হ্যাপি ট্রাভেলিং 🙂

Post Copied From:Hasib Mehedi Porosh‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

মাধবকুন্ড ঝর্ণা

মাধবকুন্ড ঝর্ণা যা বাংলাদেশের সুউচ্চ জলপ্রপাত হিসেবে পরিচিত। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা নামক উপজেলায় এই সুন্দর নয়নাভিরাম জলপ্রপাতটির অবস্থান। একসময় পর্যটকদের কাছে প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মানেই ছিলো মাধবকুন্ড। এখন দেশের ভেতরে আরো অনেক ঝর্ণার সন্ধান মিলেছে। তবে এখনো জলপ্রপাত অনুরাগী পর্যটকদের প্রধান আকর্ষন মাধবকুন্ড ঝর্ণা।

যে পাহাড়টির গা বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে এ পাহাড়টি সম্পূর্ণ পাথরের যা পাথারিয়া পাহাড় (পূর্বনাম: আদম আইল পাহাড়) নামে পরিচিত। এর বৃহৎ অংশজুড়ে রয়েছে ছড়া। এই পাহাড়ের উপর দিয়ে গঙ্গামারা ছড়া বহমান। এই ছড়া মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত হয়ে নিচে পড়ে হয়েছে মাধবছড়া। অর্থাৎ গঙ্গামারা ছড়া হয়ে বয়ে আসা জলধারা [১২ অক্টোবর ১৯৯৯-এর হিসাবমতে] প্রায় ১৬২ ফুট উঁচু থেকে নিচে পড়ে মাধবছড়া হয়ে প্রবহমান। সাধারণত একটি মূল ধারায় পানি সব সময়ই পড়তে থাকে, বর্ষাকাল এলে মূল ধারার পাশেই আরেকটা ছোট ধারা তৈরি হয় এবং ভরা বর্ষায় দুটো ধারাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় পানির তীব্র তোড়ে। জলের এই বিপুল ধারা পড়তে পড়তে নিচে সৃষ্টি হয়েছে বিরাট কুণ্ডের। এই মাধবছড়ার পানি পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হতে হতে গিয়ে মিশেছে হাকালুকি হাওরে

Post Copied From:Mominul Haque Sojol>Travelers of Bangladesh (ToB)

মন ভোলানো ভোলাগঞ্জ

রাস্তা এত খারাপ। এর খারাপ যে কিডনি-লিভার নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম হবে। তা সত্বেও এই গ্যারান্টি দেয়া যাবে যে আপনার কষ্ট বিফলে যাবে না, এতোই সুন্দর ভোলাগঞ্জ।

তাই আমি বলি ভোলাগঞ্জ: যে স্বর্গে যেতে হয় নরকের রাস্তা দিয়ে!

ঢাকা থেকে সিলেট বাসে। বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজিতে সালুটিকর। তারপর পাথরের ট্রাক থামিয়ে ট্রাকে করে ভোলাগঞ্জ।

সিএনজিও যায় সিলেট শহর থেকে। সাতশো থেকে হাজার টাকা নিবে শুধু যাওয়া।

কমেন্টে দেয়া ভিডিও দেখুন। জায়গাটা সম্পর্কে ভালো একটাটা আইডিয়া পাবেন।

লক্ষ্য করুন: রাস্তা খারাপ বলেই হয়তো জায়গাটা এখনো জনশূণ্য আছে, দূষিত হয়নি। আপনারা যারা যাবেন তাদের প্রতি অনুরোধ ভুলেও প্লাস্টিক, পলিথিন বা পরিবেশ দূষণ করে এমন কোন কিছু ফেলে আসবেন না। আমাদের পূর্ব পুরুষরা যুদ্ধ করেছেন-রক্ত দিয়েছেন, আর আমরা নিজের দেশের জন্য এইটুকু কাজ কি আমরা করতে পারবোনা?

Post Copied from:Apu Nazrul‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

প্রাকৃতিক নৈসর্গের অপরূপ সৌন্দর্য কানাইঘাটের লোভাছড়া

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় সীমান্তের বড় বড় পাহাড় ছুঁয়ে নেমেছে ঝর্ণা। চারদিকে সবুজ বেষ্টিত চা বাগান, সারি সারি গাছ, পাহাড় আর বালু সমৃদ্ধ স্বচ্ছ পানির বহমান নদী। অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে প্রাকৃতিক নৈসর্গের আরেক রূপ। নাম ‘লোভাছড়া’।
লোভাছড়া থেকে ভারতের পাহাড়ি রাজ্য মেঘালয় খুব বেশী দূরে নয়। এখানকার যে কোন উঁচু পাহাড়ে উঠলে মেঘালয়ের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় খুব কাছে থেকে দেখা যায়। লোভাছড়ায় আছে একটি চা বাগান, নাম লোভাছড়া টি এষ্টেট।
লোভাছড়া চা-বাগানের মালিক জেমস লিও ফারগুসন। মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের ৫ নম্বর সাবসেক্টরের অধীন স্কটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি যোদ্ধা তিনি।সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাটের লোভাছড়া চা-বাগানে বসবাস হলেও জেমস লিও ফরগুসনের পৈতৃক নিবাস স্কটল্যান্ডে। নানকা তাঁর ডাকনাম। লোভাছড়া চা-বাগানসহ আশপাশের এলাকার মানুষজন তাঁকে ডাকনামেই বেশি চেনেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে জনপ্রতিনিধিও নির্বাচিত হয়েছিলেন নানকা। কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৭ বছর। এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় ‘নৌকা প্রতীকের টানে’ প্রায় দুই দশক বিরতি দিয়ে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবারও ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন।

সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত লোভাছড়া নদীর পাশেই ব্রিটিশ আমলে প্রায় ১৮৩৯ একর জমির উপর গড়ে ওঠে লোভাছড়া চা-বাগান। বাগানের উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য এবং পশ্চিমে বাংলাদেশের একটি পিকনিক স্পট ও লালাখাল চা-বাগান অবস্থিত।
বাড়তি আকর্ষণ ‘খাসিয়া পুঞ্জি’। এখানকার খাসিয়াদেরও আদি নিবাস ছিল খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়। বহু বছর পুর্ব থেকে এদের লোভাছড়ায় বসবাস। লোভাছড়া থেকে ৫ কি. মি উত্তরে গভীর জঙ্গলের ভিতরে কয়েকটি বিশাল আকৃতি পাথর রয়েছে। এক একটি পাথরের উচ্চতা হবে প্রায় ৩০ ফুট। প্রতিটি পাথর গোলাকার। চওড়া হবে প্রায় ৫০ ফুট। এই পাথরগুলোর অবস্থান পাহাড়ের নিচে।
পাহাড়ের কোল জুড়ে গাছপালার সবুজ বর্ণিল রংয়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে লোভাছড়া চা-বাগান। মাটির রাস্তা ধরে যতদূর এগুনো যায় চোখে পড়ে ছোট-বড় নানা ধরনের গাছপালা। চা-বাগানের মাঝে গাছগুলো সারি-সারিভাবে সাজানো। এর সৌন্দর্য্য যে কাউকে মুগ্ধ করে।
লোভাছড়ার পাশ দিয়ে ভারত সীমান্তে হারিয়ে গেছে ‘নুনগাঙ’। ‘নুনগাঙ’ প্রায় নদীর মত হলেও এটি আসলে ঘোলা পানির একটি খাল যা লোভাছড়া নদী থেকে উৎপন্ন হয়েছে। খালের উপর বেশ পুরনো তবে এখনো মজবুত স্টীলের তৈরী একটি ঝুলন্ত ব্রীজ রয়েছে, যার উপরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ-ভারত উভয় সীমান্তের পাহাড়ঘেরা আবছা ছবি চমৎকারভাবে ভেসে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোর সকালে লোভাছড়া বাগানে হরিণ, খরগোশ, আর বন মোরগ চোখে পড়ে। একথায় লোভাছড়া চা-বাগান বন্যপ্রাণীরও অভয়াশ্রম।
লোভাছড়ায় পর্যটকের জন্য থাকার কোন সু-ব্যবস্থা না থাকলেও বাগান মালিক কর্তৃপক্ষের জন্য রয়েছে ৪টি বাংলো। বাংলোগুলোর বাহ্যিক দৃশ্যগুলোও বেশ নান্দনিক। বাংলোর কাছাকাছি জায়গায় রয়েছে কয়েকটি কফি গাছ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব এই রূপ ‘লোভাছড়া’ কেবল পর্যটক আকর্ষণ নয়, দেশের অর্থনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। লোভাছড়া বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে চলা লোভা নদী থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক পাথর উত্তোলন করেন। এই নদীর পাথর ও বালু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যায়।
লোভাছড়া এলাকার জনসাধারণ চাষাবাদ এবং পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এলাকার মানুষগুলো খুবই সহজ সরল। লোভাছড়ায় টিলার উপর একটি প্রাচীন জমিদার বাড়ী রয়েছে। ১৯০৯ সালে একজন সমাজ সেবক ইংরেজ মেজর লোভা ছড়ায় এসে জমিদারীর গোড়া পত্তন করেন।

যেভাবে যাওয়া যাবে লোভাছড়ায়: সিলেট শহর থেকে তিনটি সড়কে কানাইঘাট সদরে পৌঁছার সুযোগ আছে। বাস অথবা সিএনজি-অটোরিক্সাযোগে সরাসরি দরবস্ত-চতুল হয়ে কানাইঘাট সদরে যাওয়া যায়।
অন্যদিকে, গোলাপগঞ্জ-চারখাই-শাহবাগ হয়ে জকিগঞ্জ সড়ক দিয়ে কানাইঘাট পৌঁছা যাবে। এছাড়া গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক দিয়ে সিলেট-গাছবাড়ী সড়ক দিয়ে কানাইঘাট সদরে পৌছার সুযোগ রয়েছে।
সিলেট শহর থেকে কানাইঘাট সদরে বাসভাড়া সর্বোচ্চ ৬০টাকা এবং সিএনজি-অটোরিকশা ভাড়া সর্বোচ্চ ১শ’ টাকা। রিজার্ভ সিএনজি ৫শ’ ৭শ’ টাকা হবে। তিন পথেই সিএনজিযোগে যাওয়া যাবে কানাইঘাটে।
লোকাল সিএনজিযোগে যেতে চাইলে বন্দর শিশুপার্কের অইখানে কানাইঘাট যাওয়ার লোকাল /রিজার্ভ সিএনজি পাবেন। কানাইঘাট সুরমা নদীর উপর ব্রীজ চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হয়েছে।

কানাইঘাটে পৌঁছার পর বাজার হতে নৌকাযোগে যেতে হবে লোভাছড়ায়। জনপ্রতি ৪০ থেকে ৫০টাকা নৌকা ভাড়া লাগবে। এছাড়া রিজার্ভ নৌকা নিলে ৫শ’ টাকার বেশি হবে না। আর লোভাছড়া ঘুরতে সময় লাগবে প্রায় ৩ থেকে ৪ঘন্টা। সবুজে আচ্ছাদিত, অপরূপ বন, স্বচ্ছ পানির ঝর্ণা আর নদী, পাথর সমৃদ্ধ লোভাছড়া; যা আপনাকে বিমোহিত করবে!
আবার মোটরসাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি যোগেও স্হানীয় সুরইঘাট বাজার হয়ে লোভাছড়া বাগানে যাওয়া যাবে।

Post Copied From:JeWel RaNa‎>Travelers of Bangladesh (ToB)