তুমি হও যমুনা রাধে আমি ডুইবা মরি

কোথায় পাবো হার কলসি কোথায় পাবো দড়ি? তুমি হও যমুনা রাধে আমি ডুইবা মরি”। আহ, রাধার জন্য কৃষ্ণ যমুনাতে ডুবিয়া মরিতে চায়, আবার এর তীরেই সৌধ হয়ে আছে মমতাজ-শাহজাহানের তাজমহল। মহাকালের আরো কতো যে হৃদয় ঘটিত ঘটনার সাক্ষী এই যমুনা। এজন্য যমুনাকে দেখার লোভ কেইবা সামলাতে পারে। তাই একদিনের ছুটিতে একা, দোকলা অথবা দলবল নিয়ে চলে যেতে পারেন সিরাজগঞ্জের হার্ডপয়েন্ট বাঁধে। এখানে শেষ বিকেলের আলোর সাথে যমুনা নদীর সৌন্দর্য এক কথায় অপার্থিব মনে হবে।

যেভাবে যাবেনঃ মিরপুর ২, গাবতলি, সাভার থেকে এস আই এন্টারপ্রাইজের গাড়ি সরাসরি যায় সিরাজগঞ্জ শহরে। আবার মহাখালি থেকেও একই বাস সরাসরি সিরাজগঞ্জ যায়। গাবতলি থেকে সময় লাগবে প্রায় ৩.৫-৪ ঘণ্টা। শহরে নেমেই রিকশাওয়ালা মামাকে বললেই হার্ডপয়েন্ট বাঁধে নিয়ে যাবে। সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিট। সিরাজগঞ্জ শহরকে বছরের পর বছর টিকিয়ে রেখেছে এই বাঁধ। যাওয়া আসা বাস ভাড়া পার পার্সন ২৫০+২৫০=৫০০ টাকা। আর রিকশা ভাড়া নিবে ৩০+৩০=৬০ টাকা।

Post Copied From:Nazrul Islam Ronok‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঘুরে আসি সিরাজগঞ্জ

তাত শিল্পের জন্য বিখ্যাত সিরাজগঞ্জ রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। যমুনা সেতু হবার পর এই জেলাটি উত্তরবংগের এন্ট্রি পয়েন্ট হিসাবে সুপরিচিত। রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত এই অঞ্চলে এসেছে অনেক পীর আউলিয়া। জনশ্রুতি অনুযায়ী, একদা সিরাজউদ্দিন নামক এক জমিদার তার মহলে একখানা গঞ্জ তৈরি করেন তার নাম অনুসারে এই অঞ্চলের নামকরন হয় সিরাজগঞ্জ।

কোথায় কোথায় ঘুরবেন :

১। রবীন্দ্র কাচারিবাড়ী
২। হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির
৩। শাহজাদপুর মসজিদ
৪। হার্ড পয়েন্ট

কি ভাবে যাবেন :

সিরাজগঞ্জ সাধারনত দুই ভাবে যাওয়া যায়। সড়ক পথে ও রেল পথে। রেল পথে আরামদায়ক ভ্রমণ হলেও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
সড়ক পথে :
ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বাস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল স্টার লিট, অভি এবং এস আই। এদের এসি এবং নন-এসি চেয়ার কোচ সার্ভিস আছে। ৬টা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের গাড়ী পাবেন। টিকেট কাউন্টার রয়েছে মিরপুর-২ স্টেডিয়ামের ২ ও ৪ নং গেট এর অপর পশে এবং মহাখালী বাস স্ট্যান্ডে। এছাড়া গাবতলী বাস স্ট্যান্ড কাউন্টার থেকে টিকেট নেওয়া যাবে।
নন-এসি ভাড়াঃ ২৫০ টাকা। এসি ভাড়াঃ ৩৫০ টাকা। (শুধু মাত্র স্টারলিটে এসি বাস পাওয়া যাবে)
রেল পথে :
কমলাপুর রেল ষ্টেশন থেকে যমুনা এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস এই দুটি ট্রেন সাধারনত এই রুটে চলে। এর মধ্যে যমুনা এক্সপ্রেস বংগবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত এবং সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ঈশ্বরদী পর্যন্ত চলে। যমুনা এক্সপ্রেস কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ৪.৪০ ছেড়ে বংগবন্ধু সেতু গিয়ে পৌছাবে রাত ১২.২০। সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বিকাল ৫.০০টায় ছেড়ে ঈশ্বরদী গিয়ে পৌছাবে রাত ১২টায়।

ভ্রমণ পরিকল্পনা :

সিরাজগঞ্জ একদিনেই ঘুরে আসা সম্ভব। প্রথমে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সিরাজগঞ্জের গাড়ীতে উঠবেন। অভি, স্টার লিট, এস.আই এই বাস গুলা যায়। ভাড়া নিবে ২৫০ টাকা। যমুনা ব্রীজ পার হয়ে কটকা নামবেন সেখান থেকে শাহজাদপুরের গাড়ীতে উঠবেন ভাড়া নিবে ৪০টাকা। শাহজাদপুর নেমে শেয়ার আটো বা রিক্সা নিয়ে আগে রবিন্দ্র কাছারি বাড়ীতে যাবেন। ভাড়া নিবে ১০-২০ টাকা। ওদের কে বললেই হবে। কাছারি বাড়ী ঘুরে ওই খান থেকেই আবার রিক্সা নিবেন শাহজাদপুর মসজিদের(শাহ মখদুম মাজার আর মসজিদ শাহজাদপুর মসজিদ হিসাবে পরিচিত)। ভাড়া নিবে ২০টাকা। শাহ মখদুমের মাজারের কিছুটা দূরে শাহ ইয়ামেনীর মাজার আসে পারলে ওইটা দেখতে পারেন। এই গুলা দেখা হয়ে গেলে ওইখান থেকে আবার বিসিক বাস স্ট্যান্ড এর জন্য রিক্সা নিবেন ভাড়া নিবে ২০ টাকা। ওই খানে নেমে বগুড়ার লোকাল বাসে উঠবেন। উঠে সিরাজগঞ্জ রোডে নামবেন ভাড়া নিবে ২০টাকা। সিরাজগঞ্জ রোডে রাস্তার ওপারে ব্যাটারীচালিত রিক্সা আলাকে বলবেন হাটিকুমরুল মন্দিরে যাবেন। আপ ডাউন ভাড়া ঠিক করে নিবেন। যে আটোতে উঠবেন তাকে বলবেন মন্দির দেখাইয়া আবার সিরাজগঞ্জ রোডে নামাইয়া দিবা। ভাড়া নিবে ৪০-৬০। এরপর আবার বাসে সিরাজগঞ্জ মেইন শহরে ফিরে হার্ড পয়েন্ট।

Post Copied From:Ashik Sarwar>Travelers of Bangladesh (ToB)