রুটঃ
১ম দিন: ঢাকা- শ্রীমঙ্গল- লাউয়াছড়া উদ্যান- ভানুগাছ- মাধবপুর
লেক- শ্রীমঙ্গল ট্রি মিউজিয়াম (শ্রীমঙ্গল।)
২য় দিন: শ্রীমঙ্গল- ঘাটের বাজার- হাইল হাওর- বাইক্কা বিল- মিনি
চিড়িয়াখানা- শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন- কুলাউড়া।
৩য় দিন: কুলাউড়া- কাঁঠালতলি- মাধবকুণ্ড- পরিকুণ্ড- মাধবকুণ্ড-
বড়লেখা- ঢাকা।
আনুমানিক খরচঃ
৪-৫ জনের একটি ট্যুরে খরচ হবে আনুমানিক ১০ থেকে
১২ হাজার টাকা।
★ প্রথম দিনঃ
যেভাবে যাবেন- ( ঢাকা-শ্রীমঙ্গল )
সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে রাত ১২ টার শ্যামলী, সিটিলিংক,
হানিফ পরিবহনের বাসে অথবা রাত ৯ টা পরের ট্রেনে যাত্রা
শুরু করলে ভোরে শ্রীমঙ্গলে পৌছুতে পারবেন। ঢাকা
থেকে শ্রীমঙ্গলের ট্রেন বা বাসের সর্বনিম্ন এবং
সর্বোচ্চ ভাড়া ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল-লাউয়াছড়া উদ্যানের গেট, – ভানুগাছ চৌমুনা-মাধবপুর
লেক-শ্রীমঙ্গল ট্রি মিউজিয়াম গেট(শ্রীমঙ্গল)
শ্রীমঙ্গল স্টেশন বা বাস টার্মিলানের আশেপাশে
সকালের নাস্তা সেরে গল্প করতে করতে পৌছে যান
ভানুগাছ টেম্পু স্টেশনে। কাউকে জিজ্ঞেস করলেই
দেখিয়ে দেবে ভানুগাছ টেম্পো স্টেশন। তারপর,
ভানুগাছের সিএনজিতে করে লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্টের
গেটে গিয়ে নেমে পড়ুন। গেট থেকে টিকেট
নিয়ে ঢুকে পড়ুন ভিতরে। উদ্যানের ভিতর এক, দেড় ও তিন
ঘন্টার মোট তিনটি ট্রেইল আছে, যেখানে পর্যটকরা
প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে পারে। ঘণ্টা
দুয়েক বনের ভেতরে ঘুরে বেড়াবেন।
চোখে পড়বে হরেক রকম প্রজাতির কীটপতঙ্গ,
গাছপালা, পাখি ও অর্কিড। মিলতে পারে হনুমান, বানর এবং
উল্লুকের দেখাও।
পাকা রাস্তা, পথ হারানোর ভয় নেই।
অতঃপর,লাউয়াছড়াকে বিদায় জানিয়ে মূল সড়কে এসে
দাঁড়াবেন। এবং লোকাল সিএনজি বা টেম্পোতে চড়ে
ভানুগাছ চৌমুনাতে পৌছবেন। ওখানে দুপুরের খাবার খেয়ে
সিএনজি করে সোজা চলে যাবেন মাধবপুর লেকে।
চা-বগানের আঁকাবাঁকা পথ, সবুজের সমারোহ, লেকের
ঝলমল পানি, ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ, শাপলা শালুকের আর মৌসুমি
পাখির উপস্থিতি আপনাদের মুগ্ধ করবে। মাধবপুর লেক
থেকে শ্রীমঙ্গল ফেরার পথে শ্রীমঙ্গল ট্রি
রিসোর্ট এণ্ড মিউজিয়ামের গেটে নেমে কিছুক্ষণ
সবুজ আঁকাবাঁকা চা-বাগানের পথে হাটবেন। পাখপাখালি আর মুক্ত
বাতাস সারা দিনের ক্লান্তি কিছুক্ষণের মধ্যে ভেনিস করে
দেবে।
ততক্ষণে সূর্য পশ্চিমে হেলে যাবে। আপনারাও
শ্রীমঙ্গল ট্রি রিসোর্ট বা পছন্দমত কোনো
হোটেলে বুকিং করে ডিনার সেরে বিশ্রাম নেবেন।
**শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কয়েকঘন্টার জন্য একটা
সিএনজি বা মাইক্রোবাস রিজার্ভ করে উল্লিখিত
স্থানগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন। ঢাকা থেকে
শ্রীমঙ্গলের ভাড়া এবং ১ম দিনের ঘুরাঘুরি ও
হোটেলে থাকা বাবত খরচ হবে প্রায় ৫০০০টাকা
★ ২য় দিনঃ
শ্রীমঙ্গল-ঘাটের বাজার- হাইল হাওর-বাইক্কা বিল- সিতেশ
দেবের চিড়িয়াখানা- শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন- কুলাউড়া
পরেরদিন ভোরে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়তে পড়েন
বাইক্কা বিলের উদ্দেশ্যে। শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার
সড়ক ধরে কালাপুর বাজার থেকে একটু সামনে এগোলেই
বরুনা-হাজীপুর পাকা রাস্তা। শহর থেকে অটোরিকশা চড়ে
বরুণা বাজার যেতে পারবেন। সেখান থেকে লোকাল
সিএনজি বা অটোরিকশা চেপে বসে যেতে পারেন
হাজীপুর বাজারে। বাজারটি ‘ঘাটের বাজার’ নামে বেশ পরিচিত।
সেখান থেকে অটোরিকশা বা পায়ে হেঁটে প্রায় ৩-৪
কিলোমিটার দূরে গেলেই দেখতে পাবেন বাইক্কা বিল।
বাইক্কা বিলের মূল আকর্ষণ পরিযায়ী আর স্থানীয় পাখি। এই
মৌসুমে অর্থাৎ শীতে দুপুর গড়ানোর সাথে সাথে বিলে
উপস্থিত হতে পারলে দেখতে পারবেন দলে দলে
পার্পল সোয়াম্প হেন, ছোট বড় পানকৌড়ি আর
হরেকপ্রজাতির দেশি বিদেশী পাখির বিচরণ।
এছাড়া পদ্মপাতার জল আর পাখির কলরোল আপনাদের মুগ্ধ
করবে খুব গোপনে। বিলের আশেপাশে খাওয়ার ব্যবস্থা
নেই,ক্যাম্প না করলে সাথে হালকা খাবার এবং পানি রাখতে
ভুলবেন না।
বিল দেখে ফেরার পথে ঘুরে আসুন সিতেশ দেবের
মিনি চিড়িয়াখানা। শ্রীমঙ্গল পৌর শহর থেকে মাত্র ১
কিলোমিটার দূরে মিশন রোডের একটি বাড়িতে সিতেশ
বাবুব ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই মিনি
চিড়িয়াখানাটি । চিড়িয়াখানায় প্রবেশমাত্রই চোখে পড়বে
গুঁইসাপ ! মেছো বাঘ । এক সময় প্রচুর পরিমাণে
শ্রীমঙ্গলে দেখা যেতো এই বাঘ । এছাড়াও
চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে জংলী রাজহাঁস, চখা , সরলী , রাজ
সরলী , চা পাখি , ধনেশ , হরিয়াল , সবুজ ঘুঘু , বনমোরগ ,
ডাহুক , জল কবুতর , নীল গলা বসন্ত বৌরি , তিলা ঘুঘু ও তিতির ,
ময়না , টিয়া , তোতা , পাহাড়ি বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ।
সোনালি কচ্ছপ । যারা আগে কখনো সোনালি কচ্ছপ
দেখেননি , নিঃসন্দেহে তাদের কাছে এই কচ্ছপটি
বিস্ময়কর মনে হবে । এই প্রানিটি ফল খায়, গাছে চড়ে ।
ছোট্ট এই চিড়িয়াখানার আরেক আকর্ষণ উড়ান্ত কাঠবিড়ালী,
বিলুপ্তপ্রায় সাদা বাঘ, মায়া হরিণের দল, ভালুক, অজগর, সজারু, সাদা
ডুরাকাঁটা সোনালী বাঘ, পায়রা ও লম্বা লেজওয়ালা হনুমান ।
তবে যাওয়ার সময় যদি হাতে সময় থাকে তাহলে কথা বলে
যেতে পারেন চিড়িয়াখানার পরিচালক সিতেশ বাবুর সাথে।
ভালো লাগবে।
সন্ধ্যার পুর্বে শহরে ফিরতে পারলে দু’টো রিকশা চড়ে
গোধূলির চা নগরী(শ্রীমঙ্গল) দেখতে দেখতে
চলে যেতে পারেন রমেশ বাবুর নীলকণ্ঠ চা
কেবিনে।
শুনেছি সাতরঙা চা এখন অষ্ট রঙে উন্নীত হয়েছে।
অপরূপ এই সাতরঙা চা দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। চা
খেয়ে সন্ধ্যা ৬ টার পরের জয়ন্তিকা (ট্রেন) চলে যান
কুলাউড়ায়। এবং স্টেশনের পাশের পছন্দমত কোন
হোটেলে রাত্রি যাপন করুন।
** শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কয়েকঘন্টার জন্য একটা
সিএনজি বা মাইক্রোবাস রিজার্ভ করে উল্লিখিত
স্থানগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন। খরচ পড়বে
১২০০ থেকে ১৫০০টাকা। এবং কুলাউড়া ৪ জনের থাকা ১৫০০
টাকা।
★ ৩য় দিন/শেষ দিনঃ
কুলাউড়া-কাঠালতলি- মাধবকুণ্ড-পরীকুণ্ড- বড়লেখা-ঢাকা
কুলাউড়া থেকে বড়লেখার সিএনজি বা বাসে করে জুড়ির চা
বাগান, মৎস কামার আর ছায়াতরুর পথ দেখতে দেখতে ৪০-৪৫
মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন কাঠালতলি বাজারে। সিএনজি বা
বাসের চালক’কে বললে কাঠালতলিতে নামিয়ে দেবে।
বাজারে দুপুরের খাবার খেয়ে ১০০-১৫০ টাকার মধ্যে একটা
সিএনজি ভাড়া করে চলে যাবেন মাধবকুণ্ডে
অতঃপর,সারাদিন মাধকুণ্ডে জলপ্রপাত, জলপ্রপাতের চুড়া, চা
বাগান, কমলা বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি দেখে এবং
নতুন ঝর্ণাধারা পরীকুণ্ড জলপ্রপাতে ইচ্ছে মতো ঘুরে
বিকেলে সিএনজিতে চড়ে চলে যাবেন বড়লেখা উত্তর
বাজার শ্যামলী পরিবহণের কাউন্টারে। অথবা কাঠালতলি
থেকে কুলাউড়া রেল স্টেশনে। এবং বিকেল ৪ টা বা
সন্ধ্যা পরের বাসে/ট্রেনে ব্যাক করতে পারবেন ঢাকায়।
**শেষদিনে ঘুরাঘুরি এবং ঢাকার ভাড়াসহ খরচ পড়বে ২৫০০
টাকা মতো।
পরামর্শঃ
* সাথে শীতের কাপড়, হাটার জন্য স্নিকারস অথবা আরামদায়ক
স্যন্ডেল এবং কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র রাখবেন।
* বনে হাটাহাটি করতে চাইলে অতিরিক্ত বোঝা বহন না করাই
ভাল।
Tag: শ্রীমঙ্গল
মাধবপুরের উদ্দেশ্যে
ট্রেইল শেষ করে রওনা দেই মাধবপুরের উদ্দেশ্যে। সেখানে অল্পকিছুক্ষণ সময় থাকি। মাধবপুর লেকের গেটে চায়ের দোকানটার চা জোস ছিল। চায়ের কাপে চুমুক দিতেই যেন সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেল। এরপর ৫টা বেজে যাওয়াতে আর লাউয়াছড়া বনে যাওয়া হইনি। তাই রাজন দা বললো সুন্দর চা বাগান আছে সেখানে নিয়ে যাবেন। মনে মনে ভাবছিলাম চা বাগান তো কতোই দেখলাম। তো কি এমন সুন্দর হবে! কিন্তু না, ১৫-২০মিনিট না যেতেই আমার এই ভুল ধারনাটা চলে গেল। মনে হচ্ছিলো এতদিন তাহলে যে বাগানগুলো দেখেছি সেগুলো যেন এর কাছে ভোগাস! দু’পাশে টিলার উপর বিছানো চা বাগান, শান্ত-নিঃস্তব্ধতা! বেলা শেষে এমন কিছুর জন্যেই যেন মনটা আকুপাকু করছিল। সন্ধ্যার আগে একজায়গায় নামি। চারদিকে চা বাগান পরিবেষ্টিত। দূরের বাশবাগানে বানরের খেলা। আর আমরা ১০জন মানুষ। দিনের শেষটা অনেকটা যেন স্বাপ্নিকভাবেই শেষ হলো।
ঢাকা-শ্রীমঙ্গল-নূরজাহান টি এস্টেট(সিএনজি/জীপে করে
Post Copied From:Muhammad Shariful Islam>Travelers of Bangladesh (ToB)
চায়ের দেশ অথবা চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল..
শ্রীমঙ্গল নাম শুনলেই যেন মনের মধ্যে চা বাগানের ছবি ফুটে উঠে। আর সেই চা বাগান গুলোতে এখন যেন চলছে পূর্ন যৌবন,বৃষ্টিজল চা গাছের পাতায় পরা মানেই তাদের সবুজ আভার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি…
শ্রীমঙ্গল আসলেই এখন আপনার চোখ জুড়িয়ে মনেও বয়ে চলবে অবারিত প্রশান্তি ধারা,চারিদিকে যেদিকেই চোখ পরবে সবুজ আর সবুজ…যেন বাঁধভাঙ্গা কোনো সবুজের দেশ যেখানে হুটহাট নেমে পরা বৃষ্টি আপনাকে নিয়ে যাবে হারিয়ে যাওয়া কোনো স্মৃতির পৃষ্ঠায়।
তো আর দেরী কেন ?
এই বৃষ্টির দিনগুলোতে প্রিয়জন/প্রিয়জনদের কে নিয়ে বৃষ্টি বিলাস করতে অথবা একদিনের শর্ট ট্যুরে ঘুরে যেতে পারেন চিরসবুজ শ্রীমঙ্গল।
শ্রীমঙ্গল নিজেই একটা সৌন্দর্য, A Complete Package of Beauty… তবুও এখানে এসে আরো যা যা দেখতে পারবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
১.চা বাগান
২.লাউয়্যাছড়া উদ্যান
৩.খীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা(বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রম)
৪.বার্ডপার্ক(কালীঘাট রোড)
৫.বদ্ধভুমি
৬.নীল কন্ঠ চা কেবিন
৭.গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট
৮.মাধবপুর লেক(কমলগঞ্জ)
৯.বীরশ্রেষ্ঠ হামীদুর রহমান এর মাজার(কমলগঞ্জ)
আর যদি কেউ দুই দিনের প্ল্যান অথবা অন্য কিছু বাদ দিয়ে এডভেঞ্চার এর নেশায় যেতে চান তাহলে তার জন্য পাহাড়ি সুন্দরী হামহাম…
শ্রীমঙ্গল এ খাবারের জন্য ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আছে কয়েকটা এর মধ্যে পানসী সবার থেকে এগিয়ে, পাচ ভাই,কুটুমবাড়ি, শশুড়বাড়ি,সুলতান,আগ্রা অন্যতম।
যাতায়াতঃঢাকা থেকে প্রতিদিন আন্তঃনগর ৪টা ট্রেন শ্রীমঙ্গল আসে ভারা ২০০ থেকে শুরু,বাসে সায়েদাবাদ থেকে হানিফ, শ্যামলী, রুপসী বাংলা ৩৮০ টাকা ভারা,এছারা লোকাল রুপসী বাংলা এবং তাজ ভারা ২৫০ টাকা।
মহাখালী থেকে এনা পরিবহন এর এসি/নন এসি বাস পাওয়া যায়।
থাকার জন্য অনেক রিসোর্ট এবং হোটেল পাবেন বাজেট অনুযায়ী।
রিসোর্টঃগ্র্যান্ড সুলতান, বিটিআরআই টি রিসোর্ট, নিসর্গ,হীড বাংলাদেশ,গ্রীন লীফ,লেমন গার্ডেন,নভেম ইকো রিসোর্ট
হোটেলঃ মহসীন প্লাজা,স্কাইপার্ক,টি টাউন অন্যতম
Post Copied From:JeWel RaNa>Travelers of Bangladesh (ToB
শর্ট ট্যুরে শ্রীমঙ্গল
সারা সপ্তাহ অফিস করে ক্লান্ত ?
সময় নেই দূরে যাওয়ার ?
ভার্সিটি/কলেজের প্যারায় পিষ্ট হচ্ছেন ?
খুব বেশী খরচের আশংকা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সাহস হচ্ছেনা…?
এই সব সমস্যা গুলোকে পাশ কাটিয়ে মাত্র ১ দিনে হাজার টাকার মধ্যেই আপনি ঘুরে আসতে পারবেন,বাংলাদেশের অন্যতম সবুজ অঞ্চলে…যার নাম শ্রীমঙ্গল
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নামকরন সম্বন্ধে বিভিন্ন মত ও জনশ্রুতি বিরাজমান, যেমন বাবু প্রকৃত রঞ্জন দত্ত, এডভোকেট হাইকোর্ট ডিভিশন সিলেট বিরচিত ‘সাতগাঁও এর ইতিহাস’ নিবন্ধনে বিভিন্ন লেখকের বক্তব্য ও সুত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেছেন যে, সাতগাঁও এর পাহাড়ে অধিষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল চন্ডি মন্দিরকে কেন্দ্র করে মঙ্গল চন্ডির হাঁটের প্রতিষ্ঠা এবং কালের ব্যাপ্তিতে সেই মঙ্গল চন্ডির হাঁটই শ্রীমঙ্গল বাজারে রূপান্তরিত ।
এখানে উল্লেখ যোগ্য যে, শ্রীমঙ্গল চন্ডির মন্দিরের বিলুপ্ত প্রায় ধ্বংসাবশেষ বর্তমান শ্রীমঙ্গল পৌরসভা হতে কয়েক ক্রোশ উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত।
দ্বিতীয়ত: জনশ্রুতি শ্রীদাস ও মঙ্গল দাস নামীয় প্রতাবশালী বিত্তবান দুই ভাইয়ের নামানুযায়ী শ্রীমঙ্গল নামকরণ করা হয়েছে।
কোথায় ঘুরবেন, কিভাবে ঘুরবেন ?
ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন ৪ টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে,সকাল ৬.৩৫ মিনিটে কমলাপুর থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর
পারাবত এক্সপ্রেস,শোভন চেয়ার ভারা ২৪০ টাকা,সকাল টায় নেমে শুরু করলেন অভিযান…
সময় বিকাল ৫ টা পর্যন্ত যদি এই ট্রেনেই ফিরতে চান…
প্রথমেই পানসী থেকে পেটপুজো টা করে নিবেন,তারপর যদি ৪/৫জন থাকেন তাহলে ১২০০-১৫০০ টাকা দিয়ে একটা সি এন জি রিজার্ভ নিয়ে নিবেন,আর ১/২ জন হলে লোকাল সি এন জি তেও যেতে পারেন।
প্রথমেই লাউয়্যাছড়া উদ্যান যাওয়ার পথে স্বাগত জানাবে সমতলে গড়া ফিনলের চা বাগান,বিটিআরআই টি রিসোর্ট,চমৎকার সব চা বাগানের বাক আর তার বাকে গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট (বাইরে থেকে), তারপর শ্রীমঙ্গল এর আকাবাকা পাহাড়ি টিলা আর উঁচুনিচু ঢালু পথে এগিয়ে যাবেন মায়াবী,মোহনীয় শিহরণ জাগানিয়া সবুজ বনভূমি যেখানে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ স্বাগত জানাবে আপনাকে…লাউয়্যাছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করলেন আপনি।
এখানে ঘন্টাখানেক সময় কাটিয়ে উদ্দেশ্য মাধবপুর লেক,লেকে জমে থাকা জলরাশি,নীল আকাশ সাথে সবুজ চা বাগান…কিছু সময় কাটিয়ে চলে যাবেন পাত্রখোলা সীমান্তে যেখানে আছে একজন বীরশ্রেষ্ঠর সমাধিস্থল, যাওয়ার পথে উপভোগ করবেন অনিন্দ্যসুন্দর চা বাগানের সৌন্দর্য। (রিজার্ভ সি এন জি/গাড়ি নিলে ফেরার পথে মাধবপুর লেক থেকে নুরজাহান চা বাগান হয়ে যাওয়া যেতে পারে)
তারপর শ্রীমঙ্গল ফিরে নীলকন্ঠ চা কেবিনে ৭ স্তরের চা পান,পানসী তে ভুরিভোজ,বৌদ্ধভূমি,সময় পেলে খীতেশ বাবুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য দর্শন।
(ট্রেন থেকে শ্রীমঙ্গল এর পরের স্টেশন ভানুগাছ নেমে আগে মাধবপুর লেক/পাত্রখোলা ঘুরে নুরজাহান চা বাগান হয়ে লাউয়্যাছড়া আসা যেতে পারে)
বিঃদ্রঃ ট্রেনের টিকেট অবশ্যই আগে থেকে অনলাইন/অফলাইন থেকে সংগ্রহ করে নিবেন,এছাড়া হানিফ,শ্যামলী,এনা পরিবহনের বাস সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল করে
Post Copied From:JeWel RaNa>Travelers of Bangladesh (ToB)
শ্রীমঙ্গল
১৫ জনের ১দিনের ট্যুর প্ল্যান।
১. বাস ভাড়া ১৫ জন = ৫৭০০ টাকা
২. রাতের চা = ১৩০ টাকা
৩. জিপ ভাড়া = ২৬০০+১০০ টাকা
৩. সকালের নাস্তা পানশি রেস্টুরেন্ট খিচুরি+চা ১৬ জন = ৯০২ টাকা
৪. মাধবপুর চা বাগান গাড়ি পার্কিং + টিকেট = ১২০টাকা
৫. চা বাগান গার্ড = ১০০ টাকা
৬. চা+নাস্তা = ১১০ টাকা
৭. লাউয়াছরা জাতিয় উদ্দান টিকেট ১৫ জন = ৩০০ টাকা
৮. গার্ড ১ঘণ্টা(আপনারা চাইলে না ও নিতে পারেন) = ৩০০ টাকা
৯. পার্কিং = ৩০ টাকা
১০. ড্রিংকস ১৫ জন = ১৪০ টাকা
১১. দুপরের খাবার পাচ ভাই রেস্টুরেন্ট ১৫ জন = ২১৭০ টাকা
১২. হোটেল ভাড়া(আপনারা চাইলে না ও নিতে পারেন) = ১৫০০ টাকা
১৩. রাতের খাবার পানশি রেস্টুরেন্ট ১৫ জন =১৭৮০ টাকা
১৪. বাস ভাড়া ১৫ জন = ৫৭০০ টাকা
জন প্রতি খরচ হয়েছে ১৪৪০ টাকা।
১দিনের কমান্ডো ট্যুর
ঢাকা-শ্রীমঙ্গল
★★যা যা দেখবেন:-
মাধবপুর লেক
লাউয়াছড়া রেইন ফরেষ্ট,
ফিনলে চা বাগান
চা গবেষনা কেন্দ্র
হোটেল গ্রান্ড সুলতান
★★যাতায়াত মাধ্যমঃ-
ঢাকা থেকে রাত ১০:২০ মিনিটে উপবন এক্সপ্রেস
অথবা হানিফ,শ্যমলী,এনা বাস।
ভ্রমণ পরিকল্পনাঃ-
উপবনে উঠলে আপনাকে ভোর ৪টায় শ্রীমঙ্গলে নামিয়ে দিবে। আপনি নেমে স্টেশনের বিশ্রামাগারে সকালের আলো ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, পাশেই মসজিদ আছে সেখানের বারান্দাও থাকতে পারেন।
আর বাসে গেলে ১১:৩০ বা ১২ টায় যেতে পারেন।
সকালে চলে আসুন সেষ্টনের কাছেই পানসি হোটেলে এখানেই ফ্রেস হবার ব্যবস্থা আছে। পানসি হোটেল সকাল ৬টায় খোলে।
হোটেলের সামনেই CNG, private car,Micro stand।
একটি CNG সারাদিনের জন্য ভাড়া করতে পারবেন ৭০০-৯০০ টাকার মধ্যে,৫জন বসা যাবে।
তারপর চলে আসুন মাধবপুর লেকে সকালটাই মিষ্টি হয়ে যাবে । চাইলে চা কিনতে পারবেন। তারপর লাউয়াছড়ায় গিয়ে ঘুরবেন সেখানে আছে খাসিয়া পল্লী কোন গাইডের দরকার হবেনা। প্রবেশ মুল্য ৫০ টাকা তবে ছাত্রদের জন্য ২০টাকা।
তারপর পানসিতে এসে হরেক রকমের বাহারি ভর্তা দিয়ে দুপুরে ভাত খেতে পারেন দাম কম।
খাওয়া শেষে গ্রান্ড সুলতান,ফিনলে চা বাগান,নীল কন্ঠের ৭ লেয়ারের চা খেয়ে ঢাকায় ফিরতে পারেন ঢাকার বাস ৩০মিনিট পরপর ছাড়ে।
সর্বমোট খরচ পড়বে ১১০০+- যদি কিপটামি করেন আর কি….
Post Copied From:MD Mehedi Hasan Khan>Travelers of Bangladesh (ToB)
শ্রীমঙ্গল ও সিলেট ভ্রমন
গত 3রা নভেম্বর আমি ও আমার husband শ্রীমঙ্গল ও সিলেট ঘুরতে যাই।সিলেট ভ্রমন অতটা সুখকর না হওয়ায় ওইদিকে না যেয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমন নিয়ে লিখব।অনেকদিন থেকেই চায়ের দেশে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সময়,সুযোগের অভাবে যাওয়া হচ্ছিল না।এইবার সবকিছু মিলে যাওয়ায় চলে যাই চায়ের দেশে।শ্রীমঙ্গল যাওয়ার পর থেকে শুধু মুগ্ধ হইছি আল্লাহ্ র অপরূপ সৃষ্টি দেখে।শ্রীমঙ্গল ছাড়ার আগ পর্যন্ত দুই চোখ ভরে শুধু শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য দেখছি।আর এই শ্রীমঙ্গল ঘুরতে আমাদের সাহায্য করছে মাসুদ ভাই।ওনার cng তে আমরা ঘুরি 8-9টা স্পট।সারাদিনের জন্য ভাড়া করছিলাম 800 টাকায়।উনি খুবই ভালো মানুষ।আমাদের প্রতিটা স্পট খুবই আন্তরিকতার সাথে ঘোরায়ে দেখাইছে।আর শ্রীমঙ্গল ও সিলেট দুই জায়গাতেই যেটা ভালো লাগছে সেইটা হলো পানসি হোটেলের খাবার।আর A টু Z শ্রীমঙ্গল ঘোরা। হ্যাপি ট্রাভেলিং♡♡♡
Post Copied From:লীলাবতী মায়া>Travelers of Bangladesh (ToB)
হাম হাম ঝর্না
গত ২৫ আক্টোবর সিদ্ধান্ত হল শ্রীমঙ্গল যাব হাম হাম ঝর্না দেখতে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্ল্যান হল নভেম্বরের ২ তারিখ বৃহস্পতিবার রাতে রওনা দেব আমি আর সাইদ সহ মোট ৭ জনের টিম। ২ তারিখ সকালে ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার রাত ১১:৩০ মিনিটের শ্যামলী বাসের টিকেট কাটা হল।
২ তারিখ রাতে টিমের সবাইকে নিয়ে রওনা হলাম, বাস ভোর ৫ টায় আমাদের শ্রীমঙ্গল নামিয়ে দিল। বাস স্ট্যান্ডে নাস্তা করে ২ টা সিএনজি ভাড়া করা হল সারা দিনের জন্য। এক সপ্তাহ আগে শেষ বৃষ্টি হয়েছে তাই হাম হাম ঝর্নায় মোটামুটি পানি থাকবে আর জোঁকও কম থাকবে। সিএনজি নিয়ে সকাল ৮টায় আমরা পৌছে গেলাম কলাবন পাড়ায় এখানে একটা দোকানে দুপুরের খাবারের অর্ডার দিয়ে দিলাম। একজন গাইড কে নেয়া হল আমাদের সাথে আর বাচ্চাদের কাছ থেকে লাঠিনিয়ে আমরা হাটা শুরু করলাম হাম হাম ঝর্নার উদ্দেশ্যে। প্রায় ৩০ মিনিট গ্রামের চা বাগানের রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে চলে আসলাম নাম এন্ট্রির স্থানে এখানে গ্রুপের নাম আর গাইড এন্ট্রি করে পাহাড়ি রাস্তায় হাটা ধরলাম। হাম হাম যাবার পথে মোট ৭ টি সাকো পার হতে হয় ট্রেইল মোটামুটি নির্দিষ্ট তবে জোঁকের আক্রমণ ছিল সারা রাস্তাতেই, শুকনাতেই এই অবস্থা বৃষ্টি হলে কি হত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হাম হাম ঝর্নার যাওয়ার জন্য কয়েকটি পাহাড় পারি দিতে হয় যা ট্রেকিং এ অনভিজ্ঞ হলে কিছুটা ভোগাবে তবে আহামরি কঠিন কিছু নয়। শেষ পাহাড় থেকে নামার রাস্তাটা খুবই খাড়া আর পিচ্ছিল যদিও পা ফেলার জন্য স্টেপ করা ছিল আমাদের কয়েক জন পরতে পরতে বেচে যায়। এর পর শুরু হয় ঝিরি পথ এর সৌন্দর্য অবর্ননিয়, তাই আমি সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দি করতে গিয়েছিলাম ফলাফল আছাড় খাওয়া। ঝিরি পথের রাস্তা পাহাড়ের মতই কিছুটা কঠিন। সকাল ১০:৩০ নাগাদ আমরা পৌছে গেলাম ঝর্নায় সে এক অপরূপ ঝর্না, আমাদের একদল চলে গেল ঝর্নার উপরে আর আমি থেকে গেলাম নিচে ঝর্নার সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দি করতে। আগের সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ার কারনে ঝর্নাতে পানি ভাল ছিল। আমাদের টিম ঝর্নার উপর থেকে ফেরত আসলে দেখা গেল সবাইকেই কোন না কোন ভাবে জোঁকে কামড়েছে। ঝর্নার পানিতে ইচ্ছে মত দাপিয়ে আমরা দুপর ১১:৩০ নাগাদ ফিরতি পথে হাটা ধরলাম। ঝিরি পথটা ভাল ভাবে আসতে পারলেও পাহাড় বাইতে সবারই কষ্ট হচ্ছিল এতে আমাদের কিছুক্ষন পর পর থেমে বিশ্রাম নিতে হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত ১:৩০ নাগাদ আমরা সমতলে চলে আসলাম। চা বাগানের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম চা পাতা সংগ্রহের দৃশ্য যা উপরি পাওনা। দপুর ২ টা নাগাদ আমারা যে দোকানে খাবারের অর্ডার করেছিলাম সেখানে পৌছে গেলাম, আমাদের সঙ্গে ৩ জন আপু ছিল তাই সেখানেই একটা বাসাতে ফ্রেশ হওয়ার ব্যবস্থা করা হল। এর পর দুপুরে খওয়ার পালা ম্যানু ছিল ভাত, আলু ভর্তা, মুরগী, ডাল। প্রচন্ড ক্ষুধায় খাবার গুলোকে অমৃত মনে হচ্ছিল। খাবার শেষ করে সিএনজি করে রওনা হলাম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের উদ্দেশ্যে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সামনে যখন নামলাম তখন ৪:৩০ বাজে বেশিক্ষন সময় পাওয়া যাবে না তাই টিকিট কেটে ঢুকে পরলাম জাতীয় উদ্যানের ভিতরে। বিকেল হয়ে যাওয়ায় কিছু বানর আর হনুমানের দেখা পেলাম। তার পর হেটে চলে গেলাম রেল লাইনের কাছে শুনতে পেলাম দূর থেকে ট্রেন আসছে, বনের ভিতর দিয়ে ট্রেন যাওয়া দেখতে ভালই লাগল। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমরা উদ্যানের ভিতর থেকে বের হয়ে আসলাম, বনের ভিতর হাটার জন্য আর একটু সময় পেলে ভাল হত। এবার ফিরতি পথে সিএনজি তে করে চলে আসলাম শ্রীমঙ্গল শহরে। এখানে ঢাকায় ফেরার বাসের টিকেট করলাম, টিকেট ছিল রাত ১২:৩০ মিনিটের হাতে প্রায় ৫ ঘন্টা সময়।
সময়কে কাজে লাগানোর জন্য চলে গেলাম বধ্যভূমি রেস্টুরেন্টে, সবাই মিলে আড্ডা আর চা খাওয়া হল। ৯:৩০ নাগাদ বের হয়ে চলে আসলাম পানসী রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে ভাত ভর্তা অর্ডার করলাম, খাবার খুবই মজা আর ঝাল ছিল তাই সবাই ঝাল কাটাতে দই খেলাম।
এর পর ফেরার পালা, কাউন্টারে বাস আসতে লেট করল কিছুখন তবুও রাত ১ টায় বাস ছাড়ে আসে ভোর ৪:৩০ টা নাগাদ ঢাকা চলে আসি।
হামহাম ঝর্না এবং লাউয়াছড়া ঝর্না একসাথে দেখতে হলে কিছুটা সকাল সকাল শুরু করতে হবে, আর সকালে লাউয়াছরা জাতীয় উদ্যান দেখে তার পর হাম হাম ঝর্না দেখতে গেলে সব থেকে ভাল হয়।
ঢাকা থেকে স্নেকস জাতীয় যে খাবার আমরা নিয়েছিলাম তার প্যাকেট আমরা ঢাকা ফেরত নিয়ে এসেছি।
বিঃ দ্রঃ ঝর্নায় ঘুরতে গিয়ে কোন ময়লা, কাপড় বা প্লাস্টিক ফেলে ঝর্না এবং ঝিরির পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
Post Copied From:Sifat Ahmed>Travelers of Bangladesh (ToB)
একদিনের শ্রীমঙ্গল ট্যুর!!
চা এর রাজধানী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল খুব সহজেই কম খরচে একদিনের ট্যুর দেওয়া যাবে মোটামুটি ১০০০ টাকার মধ্যে সম্ভব।
বাসে সায়দাবাদ থেকে সরাসরি শ্রীমঙ্গল এর বাস রুপসী বাংলা বা হানিফে করে রাত ১১-১১.৩০ এ যাত্রা শুরু করলে শ্রীমঙ্গল ভোর ৪-৫ টার মধ্যে পৌঁছাতে পারবেন। চাইলে রাতের সিলেটগামী উপবন ট্রেনে যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে ভোরে নামবেন শ্রীমঙ্গল ।
সকাল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে পানসী হোটেলে সকালের নাস্তা করে সি.এন.জি রিজার্ভ করে শুরু করেতে পারেন ভ্রমণ খুব সকাল সকাল যাবেন লাউয়াছরা জাতীয় উদ্যান
যেখানে দেখা পেতে পারেন