শাপলাপুর

আমরা ১৮ জন গত ১৭-১১-১৭ নভেম্বর ঘুরে আসলাম কক্সবাজার এর শাপলাপুর থেকে
শাপলাপুর নামটা নিয়ে একটু কনফিউশনে আছি Google বলে শামলাপুর আর লোকাল ড্রাইভার ও রোডের কি.মি. নির্দেশিকা পিলার বলে শাপলাপুর নাম তার যাই হোক আমরা ঘুরে আনন্দ পেয়েছি খুব।গিয়েছি মুলত কাম্পিং করবো বলে, তাবুতে রাএি যাপন করবো, বার বি কিউ করবো, নাচা-গানা করবো, বসে বসে অন্ধকারে তারা দেখবো, সমুদ্রের গর্জন শুনবো, বিচে ফুটবল খেলবো যা যা ইচ্ছা নিয়ে গিয়েছিলাম এর কোনটার কমতি হয়নি সেখানে। আমি এর আগে ৩-৪ টা কাম্পিং করসি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এটা আমার করা সেরা কাম্প ছিল, শাপলাপুরে আমরা যে জায়গাতে কাম্পিং করেছি ওইটা একটা নৌকা ঘাট যেখানে মাঝিরা তাদের নৌকা গুলো মাছ ধরা শেষে উজানে তুলে রাখে। রাতে আমরা মাঝিদের সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছি, তাদের অবস্থা, আয়-ব্যয় ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি,রোহিংগা শরনার্থি আসার ফলে তারা পরেছে বিপাকে, তারা তাদের সাভাবিক কার্য সম্পাদনে কিছুটা সমস্যায়য় পরছেন
তাদের সাথে কথা বলতে বলতে রাতটা শেষ করি,ওই খানে আমাদের সব কিছু ব্যবস্তা করে দিয়েছেন খোরসেদ ভাই আর আজগর নামের একজন ছিল সে আমাদের রাতে পাহাড়া দিয়েছিল তার সাথে আরও ২ জন ছিল পাহাড়ায় সে কারনে আমরা ১০০% সেবেই ছিলাম।খোরসেদ ভাই এর কথা না বললেই নয় তিনি আমাদের সাথে থেকে ঠোল বাজিয়েছেন কি গান গেয়েছেন, তার মাছ ধরার পাগলামি দেখে টো থ হয়ে গেসিলা রাত ২.৩০ এ আমরা ৬-৭ জন জেগে ছিলাম ওই টাইমে তার পেরা উঠে মাছ ধরবে, ভাটার জমে থাকা পানিতে থেকে আমরা প্রায় ১ ঘন্টা চিংড়ি মাছ ছরি ২৫-৩০ টা সেগুলো আবার পুড়িয়ে শেষ রাতের ভোজন কম্পলিট করি এক ২ দিনের টুরের কথা এখন মনে হচ্ছে লিখতে গেলে হাত ব্যাথা হয়ে যাবে

আপ্নারা যদি যেতে চান তাহলে কক্সবাজার থেকে
সি এন জি বা চান্দের গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন ৪০-৫০ মিনিট লাগবে হিমছড়ি, ইনানি পার হয়ে আরও পরে শাপলাপুর
১- সিকিউরিটি ১০০% পাবেন সেখানে
২-মিঠা পানিতে গোসল করতে পারবেন
৩- টয়লেট সুবিধা পাবেন
৪- খাবার খাওয়ার হোটেল আছে
৫- তাবু না থাকলে আমারা ভাড়া নিয়ে ছিলাম
৬-মেয়েরা ও যেতে পারবে আমাদের সাথে ৩ জন মেয়ে ছিল
বানান গত ভুল এরিয়ে যান, কিছু জানার থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন ইনবক্সে
পরিবেশ এর জেন কোন ক্ষতি না হয় সে খেয়াল রাখবেন
ভ্রমনেই সুখ, ভ্রমনেই আনন্দ