শর্ট ট্যুরে শ্রীমঙ্গল

সারা সপ্তাহ অফিস করে ক্লান্ত ?
সময় নেই দূরে যাওয়ার ?
ভার্সিটি/কলেজের প্যারায় পিষ্ট হচ্ছেন ?
খুব বেশী খরচের আশংকা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সাহস হচ্ছেনা…?

এই সব সমস্যা গুলোকে পাশ কাটিয়ে মাত্র ১ দিনে হাজার টাকার মধ্যেই আপনি ঘুরে আসতে পারবেন,বাংলাদেশের অন্যতম সবুজ অঞ্চলে…যার নাম শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নামকরন সম্বন্ধে বিভিন্ন মত ও জনশ্রুতি বিরাজমান, যেমন বাবু প্রকৃত রঞ্জন দত্ত, এডভোকেট হাইকোর্ট ডিভিশন সিলেট বিরচিত ‘সাতগাঁও এর ইতিহাস’ নিবন্ধনে বিভিন্ন লেখকের বক্তব্য ও সুত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেছেন যে, সাতগাঁও এর পাহাড়ে অধিষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল চন্ডি মন্দিরকে কেন্দ্র করে মঙ্গল চন্ডির হাঁটের প্রতিষ্ঠা এবং কালের ব্যাপ্তিতে সেই মঙ্গল চন্ডির হাঁটই শ্রীমঙ্গল বাজারে রূপান্তরিত ।
এখানে উল্লেখ যোগ্য যে, শ্রীমঙ্গল চন্ডির মন্দিরের বিলুপ্ত প্রায় ধ্বংসাবশেষ বর্তমান শ্রীমঙ্গল পৌরসভা হতে কয়েক ক্রোশ উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত।
দ্বিতীয়ত: জনশ্রুতি শ্রীদাস ও মঙ্গল দাস নামীয় প্রতাবশালী বিত্তবান দুই ভাইয়ের নামানুযায়ী শ্রীমঙ্গল নামকরণ করা হয়েছে।

কোথায় ঘুরবেন, কিভাবে ঘুরবেন ?

ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন ৪ টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে,সকাল ৬.৩৫ মিনিটে কমলাপুর থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর
পারাবত এক্সপ্রেস,শোভন চেয়ার ভারা ২৪০ টাকা,সকাল টায় নেমে শুরু করলেন অভিযান…

সময় বিকাল ৫ টা পর্যন্ত যদি এই ট্রেনেই ফিরতে চান…

প্রথমেই পানসী থেকে পেটপুজো টা করে নিবেন,তারপর যদি ৪/৫জন থাকেন তাহলে ১২০০-১৫০০ টাকা দিয়ে একটা সি এন জি রিজার্ভ নিয়ে নিবেন,আর ১/২ জন হলে লোকাল সি এন জি তেও যেতে পারেন।
প্রথমেই লাউয়্যাছড়া উদ্যান যাওয়ার পথে স্বাগত জানাবে সমতলে গড়া ফিনলের চা বাগান,বিটিআরআই টি রিসোর্ট,চমৎকার সব চা বাগানের বাক আর তার বাকে গ্র‍্যান্ড সুলতান রিসোর্ট (বাইরে থেকে), তারপর শ্রীমঙ্গল এর আকাবাকা পাহাড়ি টিলা আর উঁচুনিচু ঢালু পথে এগিয়ে যাবেন মায়াবী,মোহনীয় শিহরণ জাগানিয়া সবুজ বনভূমি যেখানে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ স্বাগত জানাবে আপনাকে…লাউয়্যাছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করলেন আপনি।

এখানে ঘন্টাখানেক সময় কাটিয়ে উদ্দেশ্য মাধবপুর লেক,লেকে জমে থাকা জলরাশি,নীল আকাশ সাথে সবুজ চা বাগান…কিছু সময় কাটিয়ে চলে যাবেন পাত্রখোলা সীমান্তে যেখানে আছে একজন বীরশ্রেষ্ঠর সমাধিস্থল, যাওয়ার পথে উপভোগ করবেন অনিন্দ্যসুন্দর চা বাগানের সৌন্দর্য। (রিজার্ভ সি এন জি/গাড়ি নিলে ফেরার পথে মাধবপুর লেক থেকে নুরজাহান চা বাগান হয়ে যাওয়া যেতে পারে)

তারপর শ্রীমঙ্গল ফিরে নীলকন্ঠ চা কেবিনে ৭ স্তরের চা পান,পানসী তে ভুরিভোজ,বৌদ্ধভূমি,সময় পেলে খীতেশ বাবুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য দর্শন।

(ট্রেন থেকে শ্রীমঙ্গল এর পরের স্টেশন ভানুগাছ নেমে আগে মাধবপুর লেক/পাত্রখোলা ঘুরে নুরজাহান চা বাগান হয়ে লাউয়্যাছড়া আসা যেতে পারে)

বিঃদ্রঃ ট্রেনের টিকেট অবশ্যই আগে থেকে অনলাইন/অফলাইন থেকে সংগ্রহ করে নিবেন,এছাড়া হানিফ,শ্যামলী,এনা পরিবহনের বাস সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল করে

Post Copied From:JeWel RaNa‎>Travelers of Bangladesh (ToB)