মূলত রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও খাগড়াছড়ি জেলা দিয়ে সাজেকে ভ্রমণ করাটা বেশি ইজি। তাই এদিক্কার কথাই এই পোস্টে তুলে ধরার ট্রাই করবো।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হচ্ছে সাজেক। প্রকৃতিগতভাবে অসম্ভব সুন্দর সাজেকে এই সিজনে যাওয়াটা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করতে পারেন আসলে।
খাগড়াছড়িগামী যেকোনো বাসে উঠে পড়ুন। শান্তি, ঈগল, হানিফ, শ্যামলী, এস আলমসহ ভালো ভালো বেশ কিছু কোম্পানির এসি/নন এসি বাস এদিকে চলাচল করে। পান্থপথ, কমলাপুর, ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ কাউন্টার থেকে কিনে নিতে পারেন টিকেট। মূল্য ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে নন এসি।
খাগড়াছড়ি পৌঁছে চাইলে শহর থেকেই চান্দের গাড়ি নিয়ে সাজেক রওনা হতে পারেন আবার চাইলে দীঘিনালা থেকেও সাজেক রওনা হতে পারেন। দুই জায়গায় হাল্কা পার্থক্যে দুই রকমের ভাড়া গুণতে হবে আপনাকে।
তবে, যদি দীঘিনালা থেকে চান্দের গাড়িতে যেতে চান তো খাগড়াছড়ি শহর থেকে অটো নিয়ে প্রথমে যাবেন দীঘিনালার বাস স্ট্যান্ডে। তারপর হয় বাসে নয়ত মাহিন্দ্রাতে করে যেতে পারেন দীঘিনালা। ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে। তারপর দীঘিনালা থেকে আবার চান্দের গাড়িতে করে দুই আড়াই ঘণ্টায় সাজেক ভ্যালী।
মনে রাখবেন, খাগড়াছড়ি কিছুটা ওয়াইল্ড এলাকা। তাই পর্যটকদের জন্য আর্মি এস্করটের ব্যবস্থা আছে যাতে করে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। সকাল ১০টা এবং দুপুর ৩টা, এই দুই সময়ের যেকোনো সময় এই এস্করট নিয়ে আপনাকে যেতে হবে সাজেকে।
ইজোর, সিস্টেম এবং ব্যাম্বুশুট – এই তিনটি রেস্টুরেন্ট খাগড়াছড়ির সবচেয়ে বিখ্যাত। যেকোনোটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। খাবার খেয়ে হতাশ হবেন না আশা রাখি। এভারেজ প্রাইস। চাইলে মেনু কাস্টম করে নিতে পারেন।
সাজেকে কি খাবেন সেটা আপনার ওপর নির্ভর করে। এভারেজ মানের খাওয়াদাওয়া, সো খুব বেশি আশা করলে হতাশ হবেন আপনি। ট্র্যাডিশনাল খাবার টেস্ট করে দেখতে পারেন। ভালোই লাগবে।
অনেক অনেক কটেজ, রিসোর্ট, হোটেল তৈরি হয়ে গেছে সাজেকে। কিন্তু আগে থেকে বুকিং না থাকলে এই সিজনে থাকা নিয়ে বড় ধরণের ঝামেলায় পড়ে যেতে পারেন। তবে ছুটির দিনে মানুষের উপচে পড়া ভিড় হয়ত আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। পার্সোনাল রিকমেন্ডেশন হবে সাজেকের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত রিসোর্ট “রক প্যারাডাইস” এ থাকার জন্য।
টোটাল বাজেট পার হেড ৫ হাজার টাকা হলে ভালো ভাবেই ঘুরে আসতে পারবেন সাজেক।
সো, দেরি না করে ঘুরে আসুন।
হ্যাপি ট্রাভেলিং 🙂
Post Copied From:Rajvi Bd>Travelers of Bangladesh (ToB)