সাজেক ভ্যালী, রাঙ্গামাটি

মূলত রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও খাগড়াছড়ি জেলা দিয়ে সাজেকে ভ্রমণ করাটা বেশি ইজি। তাই এদিক্কার কথাই এই পোস্টে তুলে ধরার ট্রাই করবো।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হচ্ছে সাজেক। প্রকৃতিগতভাবে অসম্ভব সুন্দর সাজেকে এই সিজনে যাওয়াটা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করতে পারেন আসলে।

#কিভাবে_যাবেন

খাগড়াছড়িগামী যেকোনো বাসে উঠে পড়ুন। শান্তি, ঈগল, হানিফ, শ্যামলী, এস আলমসহ ভালো ভালো বেশ কিছু কোম্পানির এসি/নন এসি বাস এদিকে চলাচল করে। পান্থপথ, কমলাপুর, ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ কাউন্টার থেকে কিনে নিতে পারেন টিকেট। মূল্য ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে নন এসি।

খাগড়াছড়ি পৌঁছে চাইলে শহর থেকেই চান্দের গাড়ি নিয়ে সাজেক রওনা হতে পারেন আবার চাইলে দীঘিনালা থেকেও সাজেক রওনা হতে পারেন। দুই জায়গায় হাল্কা পার্থক্যে দুই রকমের ভাড়া গুণতে হবে আপনাকে।

তবে, যদি দীঘিনালা থেকে চান্দের গাড়িতে যেতে চান তো খাগড়াছড়ি শহর থেকে অটো নিয়ে প্রথমে যাবেন দীঘিনালার বাস স্ট্যান্ডে। তারপর হয় বাসে নয়ত মাহিন্দ্রাতে করে যেতে পারেন দীঘিনালা। ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে। তারপর দীঘিনালা থেকে আবার চান্দের গাড়িতে করে দুই আড়াই ঘণ্টায় সাজেক ভ্যালী।

মনে রাখবেন, খাগড়াছড়ি কিছুটা ওয়াইল্ড এলাকা। তাই পর্যটকদের জন্য আর্মি এস্করটের ব্যবস্থা আছে যাতে করে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। সকাল ১০টা এবং দুপুর ৩টা, এই দুই সময়ের যেকোনো সময় এই এস্করট নিয়ে আপনাকে যেতে হবে সাজেকে।

#কি_খাবেন

ইজোর, সিস্টেম এবং ব্যাম্বুশুট – এই তিনটি রেস্টুরেন্ট খাগড়াছড়ির সবচেয়ে বিখ্যাত। যেকোনোটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। খাবার খেয়ে হতাশ হবেন না আশা রাখি। এভারেজ প্রাইস। চাইলে মেনু কাস্টম করে নিতে পারেন।

সাজেকে কি খাবেন সেটা আপনার ওপর নির্ভর করে। এভারেজ মানের খাওয়াদাওয়া, সো খুব বেশি আশা করলে হতাশ হবেন আপনি। ট্র্যাডিশনাল খাবার টেস্ট করে দেখতে পারেন। ভালোই লাগবে।

#কোথায়_থাকবেন

অনেক অনেক কটেজ, রিসোর্ট, হোটেল তৈরি হয়ে গেছে সাজেকে। কিন্তু আগে থেকে বুকিং না থাকলে এই সিজনে থাকা নিয়ে বড় ধরণের ঝামেলায় পড়ে যেতে পারেন। তবে ছুটির দিনে মানুষের উপচে পড়া ভিড় হয়ত আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। পার্সোনাল রিকমেন্ডেশন হবে সাজেকের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত রিসোর্ট “রক প্যারাডাইস” এ থাকার জন্য।

টোটাল বাজেট পার হেড ৫ হাজার টাকা হলে ভালো ভাবেই ঘুরে আসতে পারবেন সাজেক।

সো, দেরি না করে ঘুরে আসুন।
হ্যাপি ট্রাভেলিং 🙂

Post Copied From:Rajvi Bd‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সাজেকের পথে পথে

সাজেক ভ্যালি , পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ২০০০ ফুট উঁচু একটি পর্বত চূড়া। সাজেক নামকরণটি করা হয়েছে মূলত রাঙ্গামাটি জেলার বাগাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়নের নামে। তবে খাগড়াছড়ি থেকে এর যাতায়ত ব্যবস্থা সহজ। সাজেকের মূল পাহাড়ের আশেপাশের পাহাড় গুলোর গড় উচ্চতা এটি হতে প্রায় ৫০০ হতে ৭০০ ফুট কম, যেটি সাজেককে দিয়েছে অনন্যতা।

শুক্রবার সকালে যখন চাঁন্দের গাড়িতে( যদি ও আমাদেরটা ইন্ডিয়ান বলেরো ছিল) করে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিই, তখন সাজেকের একটি ছবি মনে মধ্যে এঁকে রেখেছিলাম, যার সাথে অনেকটা মিল পেয়েছি। খাগড়াছড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার যাওয়ার পর বাঘাইহাট নামক জায়গায় সাজেকমুখী সকল গাড়িকে থামতে হয়, যেখান থেকে সেনা বাহিনী সকল গাড়িকে escort দিয়ে নিয়ে যায়। বাঘাইহাট ও সাজেক উভয় দিক থেকে সকাল১০.৩০ টা ও বিকাল ০৩.৩০ টার সময় দুইটি escort ছাড়ে।

বাঘাইহাট থেকে যখন আমাদের গাড়ি সাজেকের দিকে যাচ্ছিল, তখন ছোট বড় অনেক পাহাড় ডিঙিয়ে আঁকা বাঁকা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে ভ্রমণ সত্যি রোমাঞ্চকর ছিল। সাজেকের খুব কাছে- যেখান থেকে সাজেক দেখা যাচ্ছিল, আমাদের গাড়ির এক চাকায় সমস্যা দেখা দেয়, যেটি আমাদের একটি পাহাড়ি পরিবারের সাথে এক ঘন্টা থাকার সুযোগ করে দেয়। পাহাড়ি পরিবারটি ঘর জসিম উদ্দিনের আসমানী বা শরৎচন্দ্রের গফুরের ঘরকে ও হার মানায়। ১০০ স্কয়ার ফুটের একটি ঘরে কমপক্ষে ১২ জনের বসবাস। তার মধ্যে বাচ্চা আছে ৬ জন, যাদের প্রত্যেকের বয়সের ব্যবধান সর্বোচ্চ ১ বছর। বন্ধু আমজাদ কে জিজ্ঞেস করলাম-কাহিনী কি? তার বুদ্ধি দৃপ্ত উত্তর, এন্টারটেইনমেন্টের জায়গা তো ঐ একটায়।

পার্বত্য এই মানুষ গুলো সত্যি যুগে যুগে বঞ্চিত। আশির দশকের শুরুতে যখন স্বৈরশাসকেরা নদী সিকিস্তি, নদী পয়স্তি মানুষেদের এক প্রকার জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলমেন্ট করেছিল, তখন কি তারা ক্ষীণকায় ভেবেছিল সীদ্ধান্ত কতটা আত্নঘাতী হবে? এখনো পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তের জের টান তে হচ্ছে পাহাড়ি বাঙ্গালী উভয়কে। পাহাড়ে শান্তি আজ সুদূর পরাহত। ৯৭ এর শান্তি চুক্তি তখনকার প্রেক্ষিত সময়ের দাবী মনে হলে, পাহাড়ে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি স্থাপনে এটি যে একমাত্র অনুসঙ্গ নয় তা আজ দিবালোকের মত বাস্তব।

পুরো সাজেক ভ্রমনে সেনাবাহিনীর আচরণ দেখে সত্যি বিস্মিত হয়েছি। এ যেন ক্ষেপা বাঘের দাবড়ানি খাওয়া হরিনের আচরণের মত। হরিণ যেমন বাঘের সাথে না পেরে এমন জায়গায় লুকায় যেখানে তার মাথাটা ডাকা থাকে, বাকি শরির বাহিরে। সে ভাবে সে যেহেতু কাউকে দেখছে না, বাঘ মামা তাকে দেখছে না। যেটি তাকে বাঘের প্রাতরাশ হতে আরো বেশি সুযোগ করে দেয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে পৌর এলাকা, পর্যটন কেন্দ্র ও সেনাদের ক্যাম্প গুলো সুরক্ষিত। বাকি এলাকা ইউপিডিএফ ও জেএসএস যুদ্ধাদের হাতে। গেরিলা নীতিতে যুদ্ধ করা একটি শক্তির সাথে জেতা যে খুবেই কঠিন বা আধো সম্ভব নয়, তা তো ৭১ এ প্রমাণিত।

একটি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে কখনো বন্দুকের কার্তুজে দমন করা যায় না। পাহাড়িদের বঞ্চনা যত দিন শেষ হবে না তত দিন এই যুদ্ধ চলতে থাকবে। যে পাহাড়ি মা টি প্রতিদিন দেখছে সিল্কি চুল উড়িয়ে, বুকে DSLR ক্যামরা ঝুলিয়ে একদল তরুণ তরুণীর সুখে গা ভাসানোর দৃশ্য, সে মায়ের মনে একবার হলো ও প্রশ্ন জাগবে না-আমাদের কি দোষ? আধরা সুখের অন্বেষনে সে যখন লিপ্সু হবে, তখনি তার কাছে বঞ্চনার জায়গাটা স্পষ্ট হবে। যখনি দেখবে এর জন্য এ সমাজ, রাষ্ট্র দায়ী, তখন সে তার সন্তানকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাড় করাতে কুণ্ঠিত হবে না।

সাজেকেই ফিরে আসি। যখন পৌঁছায়, তখন দিনের দুটা। যাওয়ার পর দেখি রুমের বন্দবস্ত হয়েছে ০৬ জনের অথচ আমরা মানুষ ১১ জন। এদিকে হোটেল মালিক বেঁকে বসছে-০৬ জনের রুমে ১১ জন থাকা যাবে না। অনেক কষ্টে তাকে ম্যানেজ করা গেল। ক্ষুদার্ত পেটে দুপুরের খাবারটা ভাল হয়েছিল সে দিন। বিশ্রামের সুযোগ নেই, বের হয়ে পড়লাম সাজেক দেখতে। মূল পাহাড়ের উত্তর প্রান্তে কংলাক পাহাড় নামে আরো একটি পাহাড়, যার উচ্চতা সাজেক থেকে ৩০০ ফুট বেশি। যখন আমরা কংলাকের চূড়ায় তখন মৃদু শ্বাস কষ্ট অনুভব করলাম।

দুই দিনের বন্ধ থাকায় সে দিন প্রচুর পর্যটক ভীড় করেছিল সাজেকে। কিন্তু এক জন ও বিদেশী পর্যটক দেখলাম না। তবে মোট পর্যটকের ৩০% মেয়ে ছিল। এটি প্রমান দেয়- ইন্টানেটের কল্যানে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি বঙ্গদেশীদের আকর্ষণ বাড়লে ও বিদেশীরা একে এখনো নিরাপদ মনে করে না। অনেকে তো মানে করে এখানে সিভিল ওয়ার চলছে।

যখন ফিরছিলাম তখন সাজেকের জন্য সত্যি খারাপ লাগছিল। ফিরার পথে সাজেক মুখী যাদের দেখছিলাম তাদের সাথে আবার চলে যেতে ইচ্ছে করছিল। ফিরতি পথে একটি পাহাড়ি বাচ্চাকে জাতীয় পতাকা উড়াতে দেখলাম যদি ও সেদিন বিজয় দিবস ছিল। হয়ত ছেলেটি অবচেতন মনে এটি করেছে। তবু ও এতটুকু বয়সে সে চিনেছে- এটি আমাদের জাতীয় পতাকা। ব্যাপারটা সত্যি ভাল লেগেছিল।

খাগড়াছড়ি এসে রোচাং ঝর্ণা, আলুটিলা, জেলা পরিষদ ঝুলন্ত ব্রিজ ও লেক দেখার সু্যোগ হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই তিনটি স্পটে সাজেকের সেই পরিচিত মুখ গুলোর সাথে বার বার দেখা হয়েছে। অর্থাৎ খাগড়াছড়ি ট্যুর টা সবাই পুরো প্যাকেজ আকারে নিয়েছে।

পরিশেষে যাদের পরিশ্রমে পুরো ট্যুরের ব্যবস্থাপনা সঠিক ছিল-বিশেষ করে বন্ধু আমজাদ, রানা ভাই, রায়হান প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা। অপেক্ষায় আছি, আবার হারিয়ে যাব, কোন এক লোকালয়ে।

Post Copied From:Mohammed Sohel‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

যখনি সুযোগ পাই ছুটে চলে যাই

চারিদিকে পানিবেষ্টিত পাহাড়ি উচু নিচু পথে। আর এজন্য প্রতিবছর ৩ থেকে ৪ বার যাওয়া হই আমার, হই কাজে আর না হই নিহাত ঘুরতে। এই ছবির যায়গাটি হল- কাপ্তাই থেকে রাঙ্গামাটি পাহাড়ি পথ। নিজের গাড়ি থাকলে ঘুরতে সুবিধা হবে। রাঙ্গামাটি থেকে আসলে- আসামবস্তি সেতু দিয়ে আসতে হবে, আর কাপ্তাই থেকে গেলে সুইডিশ টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট অ্যান্ড নেভাল এর রাস্তা ধরে যেতে হবে। আর মাঝখানে রাঙ্গামাটি বনভান্তে জন্মভূমি স্থানে একটা মন্দির পাবেন। তার ঠিক পাসে ২ তা দোকান পাবেন, তবে একটু দূরে (পাশে ১ মিনিট হাটা লাগবে মাত্র) খালি একটা দোকান দেখবেন ( রাঙ্গামাটি থেকে আসলে ঐ দোকানটা আগে পরবে) ঐখানে একটা রং চা খেতে ভুলবেন না। দোকানের সামনে রাস্তার অপর পাশে বসার ব্যবস্থা আছে। ঐখানে বসে, সামনে সমুদ্রের ন্যায় পানি দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চা খেতে পারেন সাথে বিকেলবেলা হলে গরম গরম পরতা ও পাবেন। যদি লাঞ্চ এর প্রয়োজন হই ঐখানে ২/৩ টা যাওয়ার পথে রেস্টুরেন্ট পাবেন। আমার বাড়ি কাপ্তাই এলাকার মধ্যে। কিন্তু থাকি চট্টগ্রামে। কারুর হেল্প লাগলে কমেন্ট বক্স ওপেন। আস্ক করতে পারেন। সাধ্য মত চেষ্টা করব উত্তর দিতে। ধন্যবাদ সবাইকে।
(বিঃদ্রঃ সর্বশেষ বর্ষাতে রাস্তা অনেক ভেঙ্গে গেছে। আপনার ড্রাইভার যদি ওখানকার লোক না হন, তাহলে তাদের বলুন সাবধানে চালাতে। আর সন্ধ্যার আগে ঐ স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করুন। চোর ডাকাতের ভয় না, বন্য হাতির ভয়। মাঝে মধ্যে রাস্তায় বের হই ওরা।)

Post Copied From:Marma Shi‎>Travelers of Bangladesh (ToB

ট্যুর ডায়েরী

খাগড়াছড়ি সাজেক, ও রাঙ্গামাটি

মেঘ,পাহাড় আর ঝর্নাপ্রেমীদের জন্য ৫ দিনের বিস্তারিত ট্যুর প্ল্যান। খরচ জনপ্রতি পড়েছিল ৫২০০ টাকা। নিচে সবকিছু যথাসম্ভব বলার চেষ্টা করেছি।
সেমিস্টার ফাইনাল শেষে ৯ থেকে ১৩ নভেম্বর এই ৫ দিনে আমরা এই ট্যুর কমপ্লিট করি। আমরা ছিলাম মোট ১৪ জন।

( এটা আমার ট্রাভেলিং নিয়ে প্রথম পোস্ট। তাই যেকোন ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)

প্রথম দিন: আমরা ৮ তারিখ রাত ৯ টায় ফকিরাপুল থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে এস আলম বাসে
উঠি। ভাড়া ৫২০ টাকা। খাগড়াছড়ি শহরে নামি ভোর ৫ টায়। বাস সার্ভিস মোটামুটি ভালোই ছিলো। চাঁদের গাড়ি আমাদের আগে থেকে ঠিক করা ছিলো। চাঁদের গাড়ীর
ভাড়া নিয়ে কিছু কথা বলি। ওখানে এখন সমিতির সেই দাপট। ৯১০০ টাকা একরেট সাথে ড্রাইভারের খাওয়ার দায়িত্ব ও আপনাকে নিতে হবে। কিন্তু আমরা ৭০০০ টাকায় দুই দিনের জন্য গাড়ি পেয়েছিলাম। সাথে ড্রাইভারের খাওয়াদাওয়াও আমাদের দিতে হয়নি। এই গাড়ি সমিতির বাইরে ছিলো। গাড়ির ড্রাইভার সেলিম ভাই। ওনার নাম্বার লাস্টে দিয়ে দিব। এখন সিজন চলতেছে পুরোদমে।
এই দামে গাড়ী নাও পেতে পারেন। বাট একটু খুঁজে দেখবেন। আমরা সকাল ৭ টায় সাজেক এর
উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পথে দিঘিনালায় নাস্তা সেরে নেই। এরপর হাজাছড়া ঝর্না দেখি। মেইন রোড থেকে
১০ মিনিট হাটার পথ। মোটামুটি সুন্দর ঝর্না। কিছু সময় কাটিয়ে আবার রওনা দেই আর্মির সকালের
স্কোয়াড এর সাথে। আর্মির সকালের স্কোয়াড ১০.৩০ এ রওনা দিয়েছিল। এর আগে চেকপয়েন্ট এ পৌঁছাতে হয়। সাজেকের এই রাস্তা অস্হির রকমের সুন্দর। রোলার কোস্টারের ফিল পাবেন অনেকটা।
১২.৩০ এর দিকে আমরা পৌঁছাই সাজেকে। কটেজ আগে থেকে বুকিং দেয়া ছিল।
এখন সিজন চলে। আগে বুকিং দেয়া বেটার। আমাদের কটেজ ছিলো জুমঘর। সাজেকের নামকরা কটেজগুলোর মধ্যে অন্যতম। বেশ ভালো কটেজ। আমরা তিনটা রুম নিসিলাম। পার রুম ২৫০০ টাকা। একরুমে ৪-৫ জন আরামে থাকা যায়। এটাচ বাথ আছে। দুপুর ১- ২ টা আর সন্ধ্যা ৭- রাত ১০ পর্যন্ত জেনারেটর চলে। ফোন, ক্যামেরা চার্জ দিতে পারবেন।
আর সোলার লাইট আছে। সবসময় জ্বলে।

ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়াদাওয়া করি হোটেল পেদা টিং টিং এ। ভাত, পাহাড়ি মুরগি, সবজি,ভর্তা,ডাল সবমিলিয়ে ২০০ টাকা পার পারসন।
খাবারের টেস্ট অনেক ভালো ছিলো। এখানে খাইতে চাইলে একবেলা আগে অর্ডার দিতে হয়। আমি এখানকার ফোননাম্বার লাস্ট এ দিয়ে দিব।
এরপর রুমে রেস্ট নিয়ে বিকেল ৪ টার দিকে কংলাক পাহাড়ের দিকে যাই। চাঁদের গাড়ি অনেকখানি নিয়ে যায়। এরপর কিছুটা পাহাড় চড়তে হয়।
এর চূড়া থেকে অনেক জোস ভিউ পাওয়া যায়। তারপর এখান থেকে ফিরে এসে হ্যালিপ্যাডে সূর্যাস্ত দেখি।
জ্যোৎস্না রাত ছিল। সাজেকের রাতের আকাশ, ওখানকার রাতের পরিবেশ এগুলো আসলে লেখে বোঝানো যাবে না। ওখানে গেলে ফিল করতে পারবেন।
রাতে বারবিকিউ করি। পেদা টিং টিং ব্যবস্থা করে দেয় আগে বলে রাখলে। ৮ জনের জন্য খরচ ১০০০ টাকা।

রাত ১২ টার দিকেই সেই মেঘের দেখা মেলতে শুরু করে। কটেজ এর বারান্দা থেকে রাতের এই দৃশ্য মন জুড়িয়ে দেবে। এভাবেই প্রথম দিন শেষ হলো।

দ্বিতীয় দিন: ভোর ৫ টায় চলে যাই আবার হ্যালিপ্যাডে। শীতের পোষাক নিয়ে যাবেন। বেশ ঠান্ডা পড়ে। তুষার শুভ্র মেঘের সমুদ্র দেখতে দেখতে সূর্যোদয় দেখা লাইফটাইম এক্সপেরিয়েন্স। ওখানে ৭.৩০ পর্যন্ত ছিলাম।
সকালে আবার পেদা টিং টিং এ খিচুড়ি,ডিম ভুনা দিয়ে নাস্তা সারি। ১০০ টাকা পার পারসন। সাজেকে খাবার দাম একটু বেশিই। পানির দামও বেশি। খরচ কিছুটা বাঁচাতে চাইলে শহর থেকে খাবার পানি কিনে নিয়ে যেতে পারেন।
এরপর জিনিসপত্র গুছিয়ে সকাল ১০ টায় সকালের স্কোয়াডে সাজেকের মায়া ত্যাগ করি।
সাজেক এক কথায় অসাধারন। নিরাপত্তা ভালো। ফ্যামিলি ট্যুর এর জন্য পারফেক্ট।
এরপর আবার খাগড়াছড়ি শহরে চলে আসি। শহরে আসতে আসতে ১.৩০ টা বেজে যায়। এরপর আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্না দেখি। রিসাং ঝর্না অনেক অনেক পিচ্ছিল আর ঢালু।
সাবধানে চলবেন। রিসাং এ সময় বেশি কাটানোয় পার্ক টা দেখার সময় হয়নি।
রাতে শহরের সিস্টেম রেস্টুরেন্ট এ রাতের খাবার খাই। এখানে অনেক ট্রেডিশনাল খাবার পাওয়া যায়। বেশি জন থাকলে আগে থেকেই বলে রাখবেন।
এটা এখানকার বিখ্যাত। অটো করে যেতে পারবেন। আমরা ভাত, ভর্তা, মাশরুম, হাঁস সাথে Bamboo Chicken নিই। Bamboo chicken ১০০০ টাকা।
৮-১০ জন খেতে পারবেন। পার পারসন ২৫০ মত পড়সিল সব মিলে। এরপর বার্মিজ মার্কেট যাই। যদিও মাত্র ২-৩ টা দোকান ছিল। রাতে শহরের
হোটেল Mount Inn এ ছিলাম। একরুমে ৮ জন, আরেকরুমে ৬ জন। এক বেডে ২ জন। টোটাল ২৫০০ টাকা। হোটেল বেশ ভালো। সাজেক+ খাগড়াছড়ি ২ দিনে দেখা সম্ভব। কেউ যদি চান এইটুকু দেখে ঢাকা ব্যাক করবেন তা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা জনপ্রতি ট্যুর কমপ্লিট দিতে পারবেন। সাজেক এখন অনেক পপুলার। এজন্য সময়ভেদে খরচ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। আবার ফ্যামিলি নিয়ে গেলে খরচ বাড়বে স্বাভাবিক।

তৃতীয় দিন: এখন আমাদের টার্গেট হলো বিলাইছড়ি যাওয়া। সেখানে গিয়ে মুপ্পোছড়া, নকাটা, গাছকাটা আর ধূপপানি ঝর্না দেখা। সকালে খাগড়াছড়ি টু রাঙ্গামাটি গেটলক বাস সার্ভিস আছে। একদম ৮.২৫ এ বাস ছাড়ে। ভাড়া ১৪০ টাকা। টিকেট অনেক ভোরে গিয়ে কাটা লাগছিল কারন আমরা অনেক জন ছিলাম। অনেক সময় সিট শেষ হয়ে যায়। নাস্তা সেরে বাসে উঠি। ৩ ঘন্টায় রাঙ্গামাটি চলে যাই। নেমে সোজা ঘাটে চলে যাই। বোট রিজার্ভ করি বিলাইছড়ি যাওয়ার জন্য। বোট ভাড়া ২০০০ টাকা।২.৩০ ঘন্টা লেগেছিল রাঙ্গামাটি থেকে বিলাইছড়ি যেতে। পথে আর্মি ক্যাম্প পড়বে। অবশ্যই সাথে এনআইডি অথবা অন্য কোন আইডি কার্ডের ফটোকপি রাখবেন। এই ২.৩০ ঘন্টার কাপ্তাই লেকের উপর দিয়ে বোট জার্নি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। কাপ্তাই লেক আর সবুজ পাহাড় এর নির্মল সৌন্দর্য মন ছুঁয়ে যাবে। ২ টার দিকে বিলাইছড়ি পৌঁছাই। এখানে ভাতঘর হোটেলে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। থাকা জনপ্রতি ১০০ পার ডে। বিলাইছড়িতে থাকার জায়গা খুব ভালো না। বাট চালানো যাবে। ট্যুর এ সব জায়গা সমান হবে না স্বাভাবিক। এখানে খাওয়া খরচ জনপ্রতি ১১০ টাকা। খাবার ভাত,ডাল,ভর্তা,মুরগী/লেকের মাছ/ছোট মাছ। মাছ না মুরগি খাবেন সেটা বলে দিবেন। সকালে ডিম খিচুরি ৬৫ টাকা জনপ্রতি।
বিলাইছড়ি তে আবার বোট লাগবে। আমরা এমন ভাবে ভাড়া করেছিলাম যে, আমাদের এখানকার সব ঝর্না দেখাবে সাথে লাস্ট দিন আমাদের কাপ্তাই ঘাটে নামিয়ে দিয়ে আসবে টোটাল ৩২০০ টাকা। নৌকা ভাতঘরের মালিক নিজাম ভাই ঠিক করে দিসিলেন। ভাতঘরে উঠতে চাইলে আগে থেকে একটু বলে রাখা ভাল বিশেষ করে মেম্বার বেশি থাকলে।
এখানে রুম এ ব্যাগ এর অতিরিক্ত জিনিসপত্র রেখে আমরা মুপ্পোছড়া,নকাটা দেখার উদ্দেশ্যে বের হই ২.৩০ টার দিকে। এখানে বলে রাখি যেহেতু পাহাড়ে উঠতে হবে সো ব্যাগে জাস্ট ঝর্নায় গোসলের জন্য যে পোশাক নেওয়া দরকার সেটুকু,ক্যামেরা এসব নিবেন। এক্সট্রা কিছু নিয়ে ব্যাগ ভারী করার দরকার নেই। আগে পাহাড়এ ট্র্যাকিং এর অভিজ্ঞতা থাকলে তেমন কঠিন লাগবে না। কিন্তু নতুনদের জন্য শুরুতে কঠিন লাগতে পারে। বাট আসলে এটা কিছুই না। মনোবল রেখে সাবধানে উঠবেন। পাথর অনেক পিচ্ছিল হয়। সো সাবধানে পা ফেলবেন।
৩০ মিনিট নৌকায় করে একটা পাড়ার সামনে পৌঁছাই। এখান থেকে গাইড নিতে হয়। গাইড ৪০০ টাকা, ঘাট ফি ৫০ টাকা। এরপর হাটা শুরু। ১.৩০ ঘন্টা মোটামুটি ট্রেকিং এর পর মুপ্পোছড়া দেখতে পাই। শীতের সময় হওয়ায় পানি কম ছিল বাট তারপরও
যথেষ্ট সুন্দর। অনেক ধাপে ধাপে পানি পড়ে। দিন ছোট হওয়ায় কিছু সময় পড়ে ফিরতে শুরু করি। ফেরার পথে নকাটা ঝর্নাই যাই এখানে বেশ পানি ছিল।এখানে গোসল সেরে নেই।
আসলে যেকোন ঝর্নার পরিপূর্ণ রূপ বর্ষাকালে পাওয়া যায়। কিন্তু তখন রাস্তা ও ততটাই কঠিন ও ঝুকিপূর্ন হয়। তবে যেটুকু পাইসি যথেষ্ট পাইসি। এরপরে বিলাইছড়ি ফিরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
ডে ৩ শেষ। নেক্সট টার্গেট ধূপপানি ঝর্না।

চতুর্থ দিন: ধূপপানি ঝর্নায় যেতে আসতে অনেক সময় লাগে। তাই ৭.০০ টার দিকে বোটে উঠি। এদিনও ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখবেন। সাথে পারসোনাল হাফ লিটার পানি,স্যালাইন, গ্লুকোজ সাথে রাখবেন। কাজে দিবে। সকালের নাস্তা প্যাকেট করে নিসিলাম। পরে বোটে নাস্তা করি। আর যেহেতু দুপুরবেলা খাবার পাবেন না তাই শুকনা খাবার কিছু নিতে পারেন সাথে।
পথে দুইটা আর্মি ক্যাম্প পড়বে।আইডি কার্ড এর ফটোকপি সাথে রাখবেন। ভোরের কুয়াশাচ্ছন্ন কাপ্তাই লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে আবার নতুনভাবে মুগ্ধ করবে। ৯.৩০ এর দিকে একটা ঘাটে পৌঁছাই আমরা। এর পরে আর বড় বোট যায় না। ডিঙ্গি নৌকা নিতে হয়। একটাতে চারজন করে।এর ভাড়া ২০০ টাকা পার নৌকা। গাইড নিতে হয়। ৫০০ টাকা। ডিঙ্গি নৌকা তে ২০-২৫ মিনিট যেতে হয়। এই পার্ট টা অনেক মনোমুগ্ধকর।
নৌকা থেকে নেমে কিছুক্ষন হাটা। তারপর পাহাড়ে ওঠা শুরু। আমরা জানতাম যে ধূপপানির যাওয়ার পথটা অনেক কঠিন এবং রিস্কি এবং এভারেজ ২.৫-৩ ঘন্টা লাগে।
এইটা বৃষ্টি হলে হাড়ে হাড়ে সত্য। বাট অনেকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পথ শুকনা ছিলো। এখন খাড়া পাহাড়ে সিড়ির মতো ধাপ করা আছে। এজন্য ঐ কষ্ট টা পেতে হয় নি। তবে পাহাড় অনেক খাড়া। মাঝপথে
কিছুটা পথ পানি আর পাথর এর উপর দিয়ে যেতে হয়। এখানে সাবধান থাকবেন এগুলো অনেক পিচ্ছিল।
পথের প্রায় শেষের দিকে ধূপপানি পাড়া। এখানে দোকান আছে একটা। হালকা নাস্তা করতে পারেন। এখানে একটা বৌদ্ধমন্দির আছে সেটাও দেখে আসি।
এই দূর্গম জায়গায় কয়েকটি উপজাতি পরিবার এর বসবাস, জীবনযাপন আসলে অবাক করার মতো।
এর পরে বেশ কিছু পথ নামতে হয়। এরপরে সেই সবচাইতে খাড়া অংশ। অনেকটা খাঁড়া মইয়ের মতো। বাট ঘাবড়ানোর দরকার নেই। ছোট ছোট ধাপ কাটা আছে। বাট বৃষ্টি হলে যে অনেক কষ্ট হবে বোঝায় যায়।
এরপর কিছু পাথরখন্ড পেরুলেই সেই কাংখিত ধূপপানি ঝর্না। আমার এখন পর্যন্ত দেখা সেরা ঝর্না এটি। এত কষ্টের পথ চলা সার্থক হলো।
টোটাল ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট লেগেছিল। ঐদিন আর কেউ ছিল না সেইখানে। আমরা নিজেরা ১.৩০ ঘন্টার মতো ইচ্ছামতো উপভোগ করি। পানি শীতকাল হওয়া সত্ত্বেও ভালোই ছিলো।
এরপর ফেরার পালা। ফেরার সময় প্রথমে একটু উঠতে হয় তারপর খালি নামা। আগের মতো কষ্ট হয় না
। এরপর আবার ডিঙ্গি নৌকা তারপর মেইন বোটে করে বিলাইছড়ি ফিরে আসা। ফিরতে ফিরতে ৪.৩০ বেজে যায়। চাইলে ওইদিনই কাপ্তাই ঘাটে যাওয়া যায় বাট ক্লান্ত থাকায় বিলাইছড়িতে থাকি আমরা।

পঞ্চম দিনঃ এদিন সকালে গাছকাটা ঝর্না দেখার কথা ছিলো। তারপর কাপ্তাই ঘাট যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ মুহুর্তে আমরা পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢোকার পারমিশন পাই। যেহেতু আমরা এইকয়দিনে ৫ টা ঝর্না দেখেছি তাই গাছকাটা আর দেখি নাই। আপনারা চাইলে যেতে পারেন। বিলাইছড়ি থেকে নাস্তা করে সকাল ৮ টায় রওনা দিই কাপ্তাই ঘাটের উদ্দেশ্যে। সকাল ১০ টায় পৌঁছাই। সেখানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত। পারমিশন নেয়া ছিল। এখানে সিকিউরিটি অনেক বেশি। এখানে ঘুরা শেষ করে সিএনজি নিয়ে যাই কাপ্তাই কায়াক ক্লাব। এটা হোটেল প্যারাডাইসের নিচে অবস্থিত। সিএনজি কে এই হোটেল এর নাম ববললেই হবে।স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখালে প্রতিজন ১০০ টাকা কায়াকিং। লাইফ জ্যাকেট এর ব্যবস্থা আছে। এক বোটে ২ জন। ঘন্টাখানেক কায়াকিং করি আমরা। এইটা আমাদের ট্যুরের অন্যতম বেস্ট পার্ট। অনেক মজা পাবেন।এরপর সিএনজি নিয়ে চিটাগাং শহর। প্রতিজন ১০০ টাকা লেগেছিল সব মিলায়ে। দুপুরে চিটাগাং মেজবানি খাওয়াদাওয়া সেরে চিটাগাং এর ফ্রেন্ডদের সাথে শহরে ঘুরাঘুরি করি। তারপর রাতের তূর্না ট্রেন এ করে ঢাকা ফিরে আসি।ট্রেন ভাড়া ৩৬৫ টাকা। আল্লাহর অশেষ রহমতে কোনো ঝামেলা ছাড়াই আমাদের ট্যুর শেষ হয়। আলহামদুলিল্লাহ্।

হোটেল পেদা টিং টিং,সাজেক ০১৮৭৪২১০৫১৯

জুমঘর রিসোর্ট: ০১৮৮৪২০৮০৬০

সেলিম ভাই, চাঁদের গাড়ি ড্রাইভার: ০১৮৫৭৪৩৪০৩৮

ভাতঘর,নিজাম ভাই, বিলাইছড়ি: ০১৮৬০০৯৯০২৯

মাঝি, বিলাইছড়ি: ০১৮২৮৮০৪১১৭

** যেকোন ট্যুরে বিশেষ করে ট্রেকিং থাকলে কিছু ফার্স্ট এইড কিটস, কিছু জরুরি ঔষধ সাথে রাখবেন।

** সাজেক, বিলাইছড়ি এসব জায়গায় রবির নেটওয়ার্ক সবচাইতে ভালো। টেলিটক ডিস্টার্ব করে। অন্য অপারেটর এর সিগনাল পাওয়া যায়না বললেই চলে। তাই একটা রবি সিম রাখবেন সাথে।

** খরচের ব্যাপার টা কিছুটা পরিবর্তনশীল। কম বেশি হতেই পারে। সো কোন জায়গায় গেলে একবারে রিসেন্ট আপডেট নেয়ার চেষ্টা করবেন। আমাদের ১৪ জন হওয়ায় গাড়িভাড়া, নৌকাভাড়ায় জনপ্রতি খরচ কম পড়েছে।

Post Copied From:Rakib Hasan Rocky‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক

  • 1. Tab Malarone (adult strength = 250 mg atovaquone/100 mg proguanil hydrochloride) &
  • 2. Cap Doxycycline 100mg ২টাই খুব ভালো প্রতিষেধক।

গ্রহনের নিয়ম হচ্ছেঃ
Cap Doxycycline 100mg – ট্যুর শুরু করার ১/২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ২৮দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ২৮ দিন হিসাব করে আরো ২৮টি ঔষধ খাবেন ৭ই অগাস্ট পর্যন্ত……তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ৩৪টি।

সুবিধাঃ 1. খুব-ই সহজলভ্য,যেকোন ফার্মেসীতেই পাওয়া যায়, দামও অনেক কম। ১পাতা = ১০টার দাম ২০-২৫টাকা।

অসুবিধাঃ 1. লম্বা শিডিউলের কারণে অনেকেই Dose মিস করে ফেলেন।

strong>Tab Malarone (adult strength = 250 mg atovaquone/100 mg proguanil hydrochloride) – ট্যুর শুরু করার ১/২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ৭ দিন হিসাব করে আরো ৭টি ঔষধ খাবেন ১৭ই জুলাই পর্যন্ত……তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ১৩ টি।

সুবিধাঃ

1. Latest Generation Drug এবং Worldwide এখন পর্যন্ত কোথাও Resistant হয় নি।

2. শিডিউল ছোট, মিস হবার চান্স কম, মনে রাখতেও সুবিধা।

অসুবিধাঃ

1. দাম অনেক বেশি, ১ পাতা = ১২টার দাম ফার্মেসী ভেদে ১০০০-১৫০০টাকা।

2. সহজে পাওয়া যায় না, ঢাকার কিছু ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। গুলশান ১, ২ গোল চত্ত্বরের কিছু ফার্মেসী (তামান্না ফার্মেসী), পান্থপথের Lazz Pharma’র পাশে “তাজরিন ফার্মেসী” তে পাওয়া যায় প্রায়-ই।

*** অবশ্যই করণীয়ঃ

২টি ঔষধের ক্ষেত্রে অবশ্যই পালনীয় হচ্ছে – ভরা পেটে খেতে হবে এবং একই সময় মেইন্টেইন করতে হবে। সাজেশন হিসেবে আমরা, রাতের বেলা ডিনার এর পরে খেতে বলি কারণ ট্রেকিং এ অনেক ক্ষেত্রেই দুপুর বেলা তেমন ১টা খাওয়া হয় না। রাতে যেহেতু ট্রেকিং করা হয় না এবং কোন না কোন পাড়ায় থাকা-খাওয়া হয় তাই রাতের বেলাই সেবন করা উত্তম।

*** সাথে অবশ্যই Odomos Cream রাখতে হবে মশা দূরে রাখার জন্যে। Lazz Pharma, Mitford Hospital এর ফার্মেসী গুলোতে পাওয়া যায়।

*** বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চল সমূহঃ

– বান্দরবানের রুমা, থানচি এবং রোয়াংছড়ির পরে যেকোন এরিয়া।

– খাগড়াছড়ির দিঘীনালা’র পর থেকে যেকোন এরিয়া।

– রাঙ্গামাটির শহর থেকে ভিতরের দিকে যেকোন এরিয়া যেমন – ছোট হরিনা, বরকল, কাট্টলি বিল।

*** ম্যালেরিয়া রোগ বাহিত মশা সাধারনত রাতের বেলা (অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে) আক্রমন করে বেশি।

লিঙ্কঃ
http://www.cdc.gov/malaria/travelers/country_table/b.html
http://wwwnc.cdc.gov/travel/yellowbook/2016/infectious-diseases-related-to-travel/malaria#4661

Pablakhali Wildlife Sanctuary(পাবলাখালী অভয়ারণ্য)

ucked into the northeast corner of the Chittagong Hill Tracts,the Pablakhali Wildlife Sanctuary is home to elephants and a wide variety of other animals. The sanctuary is the finest hill forest remaining in Bangladesh  and it aslo an important wetland site.

Location: At the northern end of kaptai Lake in the south-eastern part of Kassalong Reserve Forest in the Chittagong Hill Tracts,some 112 km from Rangamati Town.The western boundary is formed by the Kassalong River.

Area:42,087 hectares

Outstanding Features:
* Wide variety of mammals,including elephants
*A  refuge For birds
*Beautiful hilly terrain ranging From 100-300 m

Brife History: It was established  as a game sanctuary in june 1962,later declared as Wildlife Sanctuary in 1983.

Habita,Flora & Fauna: Three forest types can be distinguished in the sanctuary :tropical wet evergreen forest;tropical Semi-evergreen ;and tropical moist deciduous forest.Among larger mammals,the most important is the population of Asian Elephant. Other mammals are Rhesus Macaque ,Capped langur,hoolock Gibbon,Dhole,small cats,otters,wild Boar,and Sambar. There are aslo numerous bird  species in the Sanctuary.

Getting there from Dhaka: Differnt bus services from Dhaka go directly to Rangamati.These buses stop at Rangamati Launch Ghat . From there board on lanunches that go directly to Pablakhali ( 5 hr). you can aslo use engine boat,but it may pricey ( tk 600-700).you can also use Khagrachari road  to reache sanctuary. That route- Dhaka-khagrachari-Marissa-pablakhali ( by boat ).

places to stay and Eat: There is a beatiful rest house at Pablakhali Wildlife Sanctuary,byt prior  permission is required from Divisional Forest Officer,Chittagong Hill tract ( North). courtsey-Nishorgo .

সীতাকুন্ড এবং মীরসরাই রেন্জ

চট্রগ্রাম পাহাড় ঘেরা একটি শহর। ট্রেকিং বা আউটডোর স্পোর্টের জন্য পারফেক্ট একটা শহর। পাহাড়ে যেতে চান ? শহরের ভেতরের ছোট ছোট পাহাড়/টিলা অথবা ছোট্ট একটা বাস যাত্রায় সীতাকুন্ডই যথেষ্ট তেমনি সমুদ্র সৈকত , চা বাগান , নদী সবই যেন হাতের মুঠোই। না এ শহরের ছেলে বলে বলছিনা। আসলেই সত্য …

পাহাড়ে ট্রেকিং অথবা ক্যাম্পিং এর জন্য চট্রগ্রাম থেকে কাছের মাত্র ২৮ কি:মি দুরের সীতাকুন্ডের শিতল পুর থেকে ৬৫-৭০ কি:মি দুরের বারইয়ার হাট পর্যন্ত প্রচুর পাহাড় আছে , আছে প্রচুর ছোট বড় ঝর্ণা আর ট্রেইল। আর শহরের যে কোন প্রান্ত থেকে একদিনে ফটিকছড়ির চা বাগান সমুহ , রাঙ্গুনিয়ার চা বাগান আর ছোট ছোট পাহাড়ের ট্রেইল , রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে একদিনে ঘুরে আসা যায় সহজেই। নিচে
বিস্তারিত লিখা হলো।

[১] সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় :- চট্রগ্রামে ট্রেকিং বা পাহাড় বাওয়ার কথা আসলেই আমি ১০০% সিওর মানুষের মুখে আপনি প্রথম সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথের কথা শুনবেন। মূল শহর থেকে মাত্র ৩৫ কি:মি দুরে সীতাকুন্ড মূল বাজার। একটু পুর্বে তাকালেই দেখবেন উকি দিচ্ছে বিশাল কি যেন একটা। সবার উপরে মাথা উচু করে। হা ওটাই চন্দ্রনাথ পাহাড়। ওটাই আমাদের খুব প্রিয় ছোট ট্রেকিং ডেস্টিনেশন। উঠতে নামতে বেশি হলে লাগবে ২ ঘন্টা আর পথে পথে পাবেন প্রচুর মন্দির , গীতা ভবন , ছোট ছোট ঝর্ণা , পাহাড়ের রুপ , পাহাড়ি ট্রেইল আরো কত কি !

কিভাবে যাবেন :-  চট্রগ্রাম থেকে প্রতি ২-৩ মিনিট পরপরই প্রচুর বাস যাই উত্তর দিকে (ঢাকা-চট্রগ্রাম হাইওয়ে)। যেকোন একটায় উঠে যাবেন। ৩০-৪৫ মিনিট পরেই সীতাকুন্ড নেমে যাবেন , কলেজ রোডের মোড থেকে পুর্ব দিকে তাকালেই শহুরে দালান,মার্কেটের চিপা চাপা দিয়ে দেখবেন চন্দ্রনাথ পাহাড়। ওটাকে টার্গেট করে হাটতে থাকুন চলে যাবেন। পথে গীতা ভবন , কালী মন্দরি , রথ যাত্রার গাড়ী বহর এসব দেখতে ভুলবেননা। আর হা উঠার সময় আমি বলবো “বীরুপক্ম” হয়ে চন্দ্রনাথ যেতে সিডির রাস্তা দিয়ে নয়। বাম পাশের পাহাড়ী আর এক-আধটু সিডির রাস্তা দিয়ে বীরুপক্ষ দিয়ে উঠে চন্দ্রনাথ যেতে পারেন। দুরে সমুদ্র আর কাছে পাহাড় , পুরোনো মন্দির। নামার সময় সিড়ি দিয়ে নামুন আর অনুমতি পেলে চন্দ্রনাথ থেকে ৫-৬ কি: মি: দুরের ইকো পার্কে চলে যেতে পারেন।

টিপস :- নিজের খাবার নিজে বহন করুন। বাজার থেকেই শুকনো খাবার আর প্রচুর , প্রচুর পরিমাণে পানি নিয়ে যান।

[২] ইকো পার্ক :- চট্রগ্রামের মূল শহর থেকে ৩৩ কি: মি দুরে ইকোপার্ক। প্রচুর গাছপালা আর বণ্য প্রাণীতে ভরপুর। সাথে পিকনিক পার্টি আর মানুষজন ফ্রি। তবে একটু হাটাহাটি করলেই আপনি কোলাহলের বাহিরে চলে আসবেন। তখন শুধু গাছ পালা আর পাখির ডাক। ইকোপার্ক থেকে হেটে হেটে চন্দ্রনাথও যাওয়া যায়। ইকো পার্কের মূল ফটকের একটু পরেই বিস্তারিত ভূ-ম্যাপ পেয়ে যাবেন কোথায় কি? কি?।ইকো পার্কের ভেতর দিয়ে ৩-৪টা ঝর্ণায় যাওয়া যায়। নিচে সুপ্তধারা ও সহস্রধারায় ইকো পার্কের ভেতর দিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দেওয়া হলো:-

(ক) সুপ্তধারা ঝর্ণা :- ইকো পার্কের রাস্তা দিয়ে হাটলেই আপনি রাস্তার পাশে সুপ্তধারার সাইনবোর্ড দেখতে পাবেন নিচে নামলেই ঝিরি। আপ স্ট্রিম বা পানির প্রবাহের উল্টোদিকে হাটলেই ঝর্ণা পেয়ে যাবেন। ঝর্ণার উপরে আরো অনেক ঝর্ণা বা কেসকেড পাবেন। রাস্তা নিয়ে কোন সন্দেহ লাগলে অপেক্ষা করুণ কেউ না কেউ আসবেই প্রচুর স্থানিয় লোকজন কাঠ সংগ্রহ আর ক্ষেতের কাজে হাটে এখানে।

(খ) সহস্রধারা ঝর্ণা :- পথ বলতে গেলে একই। সেই ইকোপার্কের ভেতরের রাস্তা। আর লোকজনকে প্রশ্ন করতে পারেন। সহজ হাইকিং। আর সুপ্তধারার আপ স্ট্রিম দিয়ে ট্রেকিং করে সহস্রধারায় যাওয়া যায়।

টিপস :- ইকো পার্কে যাওয়ার আগে বেশি করে পানি আর শুকনো খাবার নিয়ে নিন। টিকিট কাউন্টার থেকে মাত্র ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে।

[৩] সহস্রধারা ঝর্ণা (ছোট দারগোহাট) :- এ ঝর্ণাটার নামও সহস্রধারা তাই আমি কোথাও এর নাম বললে বা লিখলে একটা ২ লাগিয়ে দেই। সহস্রধারা ২ বলি। ঝর্ণাটা যেমন বিশাল তেমনি অপরুপ। পানি অনেক উপর থেকে পরে তাই প্রেশারও বেশি আর ব্যাথা পাওয়া যায়। পাথুরে পাহাড় ঘেরা একটা ঝর্ণা। খুবই সুন্দর আর আমার প্রিয় একটা ঝর্ণা। আর ঝর্ণা ছাড়াও এ ট্রেইলে ঝর্ণার উপরে আরো অনেক ঝর্ণা পাবেন,উপরের ঝিরিটাও অসাধারণ। ঝর্ণার পাশের পাহাড়টা টপকালেই আবার ঝিরি। আর এ ঝর্ণার আরেকটা আকর্ষণ হলো  লেক। সরকারি ভাবে ড্যাম বানিয়ে খরার সময়ের জন্য পানি ধরে রাখা হয় যার ফলে পানি জমে লেকের সৃষ্টি হয়। লেক ছাড়াও আছে পুরানো মন্দির , বুদবুদ কুন্ড আর গ্যাস বের হয়ে আগুন ধরার দৃশ্য।

Coordinate:  22°40’25.53″N  91°39’27.15″E

যেভাবে যাবেন :- সীতাকুন্ড মূল বাজার থেকে মাত্র ১০ টাকা লোকাল সিএজি ভাড়া ছোট দারোগা হাট বাজার পর্যন্ত। এছাড়া চট্রগ্রামের একে খান বা অলংকার থেকে ছোট দারোগা হাট বাজার পর্যন্ত বাস ভাড়া ৩০ টাকা। এর পর শুধু পুর্ব দিকে  হাটলেই হবে। যে কোন কেউকে প্রশ্ন করলেই দেখিয়ে দেবে ঝর্ণায় যাওয়ার পথ।

[৪] বড় দারোগা হাট ঝর্ণা :- এ ঝর্ণাটা বিশেষ কিছুনা। ঝর্ণা না বলে কেসকেডই বলা চলে। তবে খুব সুন্দর। ছোট দারোগা হাটের একটু পরের বাজারই বড় দারোগা হাট।বাজার থেকে মুল রাস্তায় পুর্ব দিকে হাটুন আর এর রেলরাইনের পরে ডানে হেটে কিছুদুর যাওয়ার পর পুর্ব দিকের গ্রাম্য রাস্তায় হাটলেই পেয়ে যাবেন ঝিরি। স্থানীয়দের সাহায্য নিন। ছড়ার কথা বললেই পথ বাতলে দেবে।

[৫]  খৈইয়া ছড়া ঝর্ণা :- এটা “আমার মতে”  সীতাকুন্ড – মীরসরাই রেন্জের সবচেয়ে বড় ঝর্ণা। একটু কঠিনও পথ অন্যগুলোর
তুলনায়। এক ট্রেইলে অনেক ঝর্ণা ।

Coordinate: 22°46’12.51″N  91°36’45.20″E

যেভাবে যাবেন :- বড় তাকিয়া বাজার থেকে মুলত হাটা শুরু । বড় তাকিয়া বাজার ঢাকা-চট্রগ্রাম হাইওয়ের পাশে ছোট একটা বাজার। চট্রগ্রাম থেকে বড় তাকিয়া বাজার বাস ভাড়া ৫০ টাকা। বড় তাকিয়া থেকে রাস্তা পার হয়ে বাই পাসের শেষ দিকে (ঢাকার দিকে) যে রাস্তাটা পুর্বদিকে চলে গেছে সেটা ধরে পুর্ব দিকে হাটতে থাকলেই চলে যাবেন ঝিরিতে। এরপর ঝিরি ধরে হাটলেই ঝর্ণা। মূল বড় তাকিয়া থেকে হেটে যেতে সময় লাগবে কমপক্ষে ১.৫ ঘন্টা। আর বাজার থেকে সিএজি নিয়ে রেললাইন পর্যন্ত গিয়ে এরপর হেটে ১ ঘন্টারও কম লাগবে। সিএনজি নেবে ৫০-৬০ টাকা।