দেশের সবথেকে বড় ফুলের বাজার এবং ফুল চাষের এলাকা ঘুরে আসতে পারেন একদিনেই।

রাতে ঢাকা থেকে সরাসরি যশোরের অনেক বাস আছে পছন্দসই বাসে উঠে পড়ুন (হানিফ ভালো এই রোডে আমার মতে )। পৌছে যাবেন ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরে। নাশতা করে নিন যশোরে। তারপরে যশোর বেনাপোল লোকাল বাসে উঠে পড়ুন গদখালী বাজার পর্যন্ত যাওয়ার জন্য (25 টাকা ভাড়া)। 9-10 টা পর্যন্ত বাজার থাকে এরপরে বিক্রি শেষ হয়ে যায়। যারা খুলনা থেকে যেতে চান তাদের ট্রেনে যাওয়াই ভাল। বাসে গেলে সময়ও বেশী লাগবে রাস্তাও অনেক খারাপ। সকাল 7 টায় বেনাপোল কমিউটার ট্রেন যায় সরাসরি ঝিকরগাছা নামতে পারবেন। স্টেশন থেকে ভ্যানে সরাসরি গদখালী বাজার। এছাড়া অন্য ট্রেন গুলোতে যশোর নামতে পারবেন (6.30 এ রাজশাহীর ট্রেন আছে) । সেখান থেকে লোকাল বাসে গদখালী। বাজার ঘোরা শেষ হলে এবার যাত্রা ফুলের মাঠের উদ্দেশ্যে। গদখালী বাজার থেকে ফুলের মোড় বললেই নিয়ে যাবে (10 টাকা ভ্যান ভাড়া)। মোড়ে যাওয়ার আগে থেকেই দুইপাশেই দেখবেন ফুল আর ফুল। নেমে পড়ুন বাগানের ভিতর এবং ঘুরুন। তবে ফুল ছিড়বেন না এবং গাছের কোন ক্ষতি করবেন না।
দেখবেন জারবেরা গাছ গুলো লাগানো আছে অনেকটা গ্রিন হাউস টাইপ ঘরে। মালিকের অনুমতি নিন দেখবেন তারাই ঘরেই তালা খুলে আপনাকে ঘুরাবে। তবে গাছ বা ফুল নষ্ট করবেন না। যদি ফুল কিনতে চান সরাসরি ক্ষেতের চাষীর সাথে কথা বলে কিনুন অনেক কমেই পাবেন। ফুল দেখতে গেলে একটা জিনিস মাথায় রাখা ভাল সামনের দুই তিন দিনের ভিতর কোন অনুষ্ঠান আছে কিনা। থাকলে কিন্তু ফুল অধিকাংশই বিক্রির জন্য কেটে ফেলবে। আমরা 14 ডিসেম্বর গেছিলাম, বিজয় দিবস উপলক্ষে অধিকাংশ ফুলই বিক্রির জন্য কেটে ফেলছিল। ফুল বাগান ঘোরা এবং ফুল কেনা শেষ হলে গদখালী বাজার হয়ে যশোরে চলে আসুন। খাবারের জন্য হাজী বিরিয়ানীতে যেতে পারেন। খাওয়া শেষে যশোর শহর ঘুরে দেখতে পারেন। এবার যশোর থেকে ঢাকাগামী বাসে উঠে পড়ুন।
দিনটা ভালোই কাটবে ফুলের রাজ্যে।
হ্যাপি ট্রাভেলিং।

Post Copied From:Sonnet Das‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ফুলের রাজ্য যশোরের গদখালী থেকে

ঘুরে আসুন ফুলের রাজ্য যশোরের গদখালী থেকে, গ্রামের পর গ্রাম এরকম ফুলের ক্ষেত চোখে পড়বে, সারাদেশের ফুলের চাহিদার অন্তত ৭০ ভাগ ফুল নাকি এই গদখালীতেই উৎপাদন করা হয়।

যেভাবে যাবেন:
বাস: ঢাকা থেকে বাসে যশোর চলে আসুন, নন এসি বাস ভাড়া ৪৮০-৫০০ টাকা আর এসিতে ৭৫০-৮৫০ টাকা। এরপর যশোর শহরের চাঁচড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বেনাপোলের বাসে করে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি বাজারে যাবেন। গদখালি যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশেই। শহর থেকে ১৯ কি.মি. দূরত্বে গদখালি পৌঁছাতে সময় নেবে আধ ঘন্টার মত। অথবা ঢাকা থেকে সরাসরি বেনাপোলের বাসে উঠলেই গদখালি নামিয়ে দেবে। হাতের বামে যে রোডটা গেছে সেটা ধরে কয়েক কিলো গেলেই এরকম ফুলের বাগান দেখতে পাবেন অহরহ! বাজার থেকে একটা ভ্যান নিয়ে নিতে পারেন, ঘুরুন ইচ্ছে মতো!

ট্রেন: গদখালি যাবার সবচেয়ে আরামদায়ক বাহন হল ট্রেন। ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে যশোর। চিত্রা সন্ধ্যা ৭টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়। যশোর পৌছায় খুব ভোরে। স্টেশন থেকে বেনাপোলের বাস পেলে ভাল, না পেলে অটোতে করে চাঁচড়া বাসস্ট্যান্ড। এখান থেকে বেনাপোলগামী বাসে উঠলেই গদখালি নামিয়ে দেবে।

আশেপাশে ঘুরার মত জায়গায় হিসেবে আছে ঐতিহাসিক দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহাসীন নির্মিত সেই বিখ্যাত ” ইমাম বাড়া”,
চাঁচড়ার রাজবাড়ি “;
এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলারফার্ম ” জগদীশ পুর তুলারফার্ম ” + প্রায় ৬০০ বছরের পুরান তেতুলগাছ!

যশোর শহরের মধ্যেই দেশের প্রথম এবং সর্ববৃহৎ কালেক্টরেট ভবন দেখতে পারেন, দৃষ্টিনন্দন এই ভবন দেখার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাসও জেনে নিতে পারবেন!

ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটা জাদুঘর আছে, সেখানেও যাওয়া যেতে পারে!

চাইলে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত এলাকা সাগরদাঁড়ি গ্রাম ও কপোতাক্ষ নদ ঘুরতে যেতে পারেন, তবে শহর থেকে এটা বেশ দূরে; কেশবপুর উপজেলায়!

সাগরদাঁড়ি গেলে চুকনগরের চুইঝালের মাংস খেয়ে আসতে ভূলবেন না! কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলো দূরে চুকনগর, আব্বাস হোটেল বললে যে কেউ দেখিয়ে দিবে!

কক্সবাজার বান্দরবন সিলেটের বাইরে যারা দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে তাদের কাছে এটা ভাল লাগবেই!

আমার বাড়ি কক্সবাজার, তাও গিয়েছিলাম অতদূরে, এসব দেখার জন্য! ভালই লেগেছে, আমি অবশ্য গিয়েছিলাম গত সেপ্টেম্বরে, চাষীরা জানিয়েছিল এখানে বেড়াতে যেতে চাইলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসই হচ্ছে উপযুক্ত সময়, তখন ফুল ফুটে বেশি!

ভ্রমণপ্রেমীরা ঘুরে আসুন, ভাল লাগবে আশা রাখি!

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

মিশন কাশ্মির

কাশ্মির ভ্রমনের ইচ্ছা আর সবার মত আমারো ছিল। অনেক দিন ধরে ইচ্ছাটাপুষিয়ে রেখেছিলাম। সবাই কে দেখতাম বিভিন্ন টুর প্যাকেজ এ করে কাশ্মির ভ্রমনে যায়। কিন্তু তাদের খরচের কথা শুনার পর কখনোই কাশ্মির ভ্রমনের দু:সাহস করি নাই। কিছুদিন আগে জীবনের প্রথম ইন্ডিয়ান ভিসা সিল পাওয়ার পর ভাবলাম যাই ইন্ডিয়ে ঘুরে দেখে আসি। যেহেতু সল্প বেতনের চাকরি করি। খুজতে থাকলাম ১৬-১৭ হাজার এ কোথায় ঘুরে আসা যায় ভারতের। সবাই বল্ল এই বাজেটে দার্জিলিং ছাড়া কোথায় নাকি ঘুরতে পারব না। যাই হোক নিজের দৃড় ইচ্ছা আর TOB help line এর সহায়ায়তায় কাশ্মির এর ব্যাপারে অনেক খুটিনাটি তথ্য নেওয়া শুরু করলাম। অনেক ভেবে দেখলাম কাশ্মির ২০ হাজার টাকাতেই ঘুরে আসা সম্ভব।
আর মিথ্যা বলবনা। সত্যিই আমি ১৮০০০ টাকা নিয়ে কাশ্মির এর উদ্দেশ্যে বেড়িয়েছিলাম আর দেশে ফেরত এসেছি ৪০ রুপি নিয়ে। আজকে আমার এই পোস্টে আমার সেই কম খরচে কাশ্মির টুরের গল্ম শুনাব সবাইকে।
কাশ্মির টুরের প্রস্তুতি শুরু হয় আমার ঢাকা থেকেই, হাওড়া টু কাশ্মির আপ -ডাউন টিকেট কেনার মধ্য দিয়ে। ১ মাস আগে টিকেট করেছিলাম। হিমগিরি এক্সপ্রেসে হাওড়া টু জাম্মু যাওয়া আসা আমার টিকেটে খরছ হয়েছিল ৭৫০+৭৫০=১৪০০ রুপি। বাংলা টাকায় ২২০০ পড়েছিল।
২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রথমে যশোর যাই। ট্রেন ভাড়া ৪৬০ টাকা। যশোর নামিয়ে দেয় ভোর ৪ টায়। ট্রেন থেকে যশো নেমে স্টেশনের বাইরে থেকেই বাস পেয়ে যাই বেনাপোল বর্ডারের। ভাড়া ৫০ টাকা।
২৪ তারিখ ভোর ৬ টার মধ্যে বর্ডার পৌছাই। আর কোন প্রকার দালালের সহায়তা ছাড়াই সাড়ে ৬ টার মধ্যে ভারতিয় সীমানায় প্রবেশ করি। বর্ডার ক্রস করে চা খেয়ে নিলাম। তার পর অটোরিক্সায় ৩০ রুপি ভাড়ায় লোকালে চলে এলাম বনগা স্টেষন। ১০ রুপি দিয়ে বনগা থেকে গেলাম দমদম স্টেশন। আমি চাইলে সরাসরি শিয়ালদহ স্টেশনে আসতে পারতাম। কিন্তু খুব ইচ্ছা ছিল কোল্কাতার মেট্রো রেল ভ্রমনের। যাইহোক দমদম নেমে চলে গেলাম মেট্রোরেল স্টেশনে। ১০ রুপি টিকেট কাটলাম দমদম থেকে এসপ্লেনেট। ১৫ মিনিট এ পোছে গেলাম এসপ্লেনেট। এসপ্লেনেট এ মেট্রোরেল থেকে নেমেই রাস্তা ক্রস করেই কোল্কাতা নিউ মার্কেট।
যেহেতু রাত ১২ টা তে আমার ট্রেন। আর পকেটেও টাকা কম। তার আর হোটেল নিলাম না। ইচ্ছা ছিল সারাদিন কোল্কাতা শহর ঘুরে দেখে একবারে রাতে ট্রেন ধরব সরাসরি। যাইহোক কোলকাতা পৌছে প্রথমত সব টাকা ডলার রুপিতে কনভার্ট করলাম। আর ৩৪০ রুপি দিয়ে একটা এয়ারটেল সিম কিনে নিলাম। সারাদিন কোল্কাতা ঘুরলাম। আমি যেহেতু স্ট্রিট সিংগিং করি। কোলকাতার বেশ কয়েকটি স্থানে আম রাস্তায় গান করেছিলাম। কোলকাতার মানুষ বাংলা গানের অনেক কদর করে। অনেক স্রদ্ধ্যা ভালোবাসা পেয়েছি সেখানে। ইভেন এক ছেলে আমাকে তার বাইকে করে কোলকাতা শহর ঘুরে বেরানোর প্রস্তাব দেয়। এত সুন্দর অফার সাথে সাথেই লুফে নিলাম। ছেলেটা নিজের খরচে আমাকে ইডেন গার্ডেন, ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল, হাওড়া ব্রিজ সহ অনেক প্লেসে ঘুরিয়ে নিয়ে আসে। কাশ্মির টুরের জন্যে প্রয়জনিয় জিনিস পত্র সব ঢাকা থেকেই কিনে নিয়ে গেছিলাম। তাই শপিং এ সময় না দিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে স্ট্রিট সিংগিং করে আর রাস্তার পাশের খাবার খেয়েই সময় পার হয়ে গেছিল। রাত ১১ টার মধ্যে হাওড়া স্টেশনে পৌছলাম। রাত ১২ টায় যথা সময়ে ট্রেন ছেড়ে যায়।
২৫ তারিখ ঘুম ভাংগে ট্রেনের মধ্যে। নন এসি স্লিপার এর বাংকার খারাপ না। এটলিস্ট আমার মত যারা কষ্ট করে ভ্রমন করতে পারেব তাদের খারাপ লাগবেনা। ট্রেনে খাওয়া দাওয়া সস্তা আছে। কিন্তু খাবার বেশি মজার নয়। ডিনার /লাঞ্চ এ আমার ৬০ রুপি আর নাস্তায় আমার ৩০ রুপি করে খরচ হয়েছিল।
দীর্ঘ ৪৬ ঘন্টা জার্নির পর ২৬ তারিখ রাত ১০ টায় জাম্মু তাওয়াই স্টেশনে নামি। স্টেশনে নেমে হালকা খেয়ে আবার বাস নিয়ে রোউনা দেই শ্রীনগরের উদ্দেশে। রাত ১২ টায় বাসে উঠি আর শ্রীনগরে পৌছাই সকাল ৮ টায়। পুরো রাস্তা অনেক সুন্দর ছিল কিন্তু অনেক রাত হওয়াতে তেমন কিছু দেখতে পারি নাই। পথে অনেক গুলো ট্যানেল পড়েছিল। কয়েকটা ছিল ৬-৭ কিমি লম্বা।
২৭ তারিখ শ্রীনগরের আসে পাশে ঘুরে দেখি। ডাল লেক এ শিকারা রাইড করি। শিকারা বোটের খরচ ৩০০-৪০০ রুপি ৪ জন উঠা যায়।
ঠান্ডায় শ্রীনগরর আসলে দেখার মত তেমন কিছু নাই। তবে কয়েকটা পার্ক এ গিয়েছিলাম। পার্ক গুলা মেপল লিফ এ ভরা ছিল। পার্কের বেশ কিছু ছবিও দিয়েছি। শ্রিনগরে খাবার এর মান অনেক ভালো। এখানে আসলে অবশ্যই আপনি এখানকার কাবার আইটেল গুলা ট্রাই করে দেখবেন। ১৫০ রুপি এর মধ্যে ভরপুর লাঞ্চ বা ডিনার করতে পারবেন। কেনাকাটা যা করার শ্রিনগর থেকেই সেরে নিন কারন অন্য প্লেসে এত দোকান পাবেন না।
২৮ তারিখ গেছিলাম গুল্মার্গ। গুল্মার্গ এ গেলে অনেকেই আপনাকে বলবে ঘোড়া নেওয়ার জন্যে খরচ ও কম চায়না। একেকজন একেদাম বলে কনফিউসড করবে। তার পরেও কম পক্ষে ঘোড়ায় ৫-৬শ রুপি খরচ হবে। তবে আমি মনে করি যদি আপনার ভালো জুতা আর শারিরিক শক্তি থাকে আপনি সহজেই হেটে গুল্মার্গ এর সব গুলা টুরিস্ট প্লেস গুলা ঘুরে দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সকাল সকাল আপনাকে গুল্মার্গ এ পৌছাতে হবে। গুলমার্গ এ গেলে অবশ্যই কেবল কারে চড়বেন। কেবল কারে করে ৮০০০ ফিট উঠ তে খরচ হবে ৭০০ রুপি ১৪০০০ ফিট উপরে উপরর গেলে ১৬০০ রুপি। উপরে উঠে ধুমপান/ মধ্যপান / দৌড়া দৌড়ি না করাই ভালো। এতে আপনার অসুস্থ হওয়ার অনেক সম্ভবনা থাকবে।
গুলমার্গ এ রাতে থাকতে চাইলে আপনার রুপ প্রতি ১২০০ রুপি থেকে ৫০০০ রুপি খরচ হবে। খাওয়া দাওয়া ১৫০ রুপিতে লাঞ্চ/ ডিনার। ১০০ রুপিতে ব্রেকফাস্ট।
২৯ আর ৩০ দুই দিন থেকেছিলাম প্যাহেল্গাম এ। পেহেল্গাম এডভেঞ্চার প্রিয় আর ট্রেকারদের জন্যে স্বর্গস্থান। এখানে আপনি ট্রেক করার জন্যে টুলিয়ান লেক, তারসার-মারসার, শিষনাগ সহ আরো অনেক প্লেস পাবেন। তবে রিলাক্সলি ঘুরে দেখতে চাইলে আরু ভেলি, বেতাব ভেলি, বাইসারান ইত্যাদি প্লেস গুলা ঘুরে দেখতে পারেন। আরু ভ্যালি এর পার্ট টায় যেতে গাড়ি লাগবে। বাইসারান এর দিকে গেলে ঘোড়া বা হেটেও যেতে পারবেন। পেহেল্গামে শপিং করার তেমন দোকান পেলাম না। তবে স্ট্রিট ফুড পাবেন অনেক। পেহেলগামে থাকতে খরচ হবে ৬০০- ৫০০০ রুপির মত।
ফিরে আসার দিন আমি সরাসরি পেহেলগাম থেকে জাম্মু চলে আসি। কিন্তু আসার দিন আমার পুর্ব নির্ধারিত ট্রেন কেন্সেল হয়ে যাওয়ায় আমার দুর্বিষহ যাতনায় পড়তে হয়েছিল। পকেটেকে টাকাও প্রায় ফুরিয়ে এসেছিল।আমার মনে পড়ে আমি যখন ফেরার টাইমে উত্তর প্রদেশে ছিলাম আমার শেষ সম্বল ছিল মাত্র ১৩০ রুপি। যাই হোক সৃষ্টি কর্তার অসিম কৃপায় আর ট্রেনে সহযাত্রিদের সহায়তায় আমি নিরাপদে বেনাপোল বর্ডার ক্রস করি। অইখানে এসে মাকে বলি বিকাশ করতে। ওই বিকাশের টাকা দিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরে আসি।
কিছু বিষয় আপনাদের বলে রাখি।
১. কাশ্মিরে একমাত্র কেবল কার ছাড়া কোন প্রাইস ই সরকার নির্ধারিত নয়। সো একদম গুলিস্তান স্টাইলে দরদার করবেন।
২. সবপ্লেসেই যাওয়ার জন্যে শেয়ার বাস গাড়ি পাবেন। তাই যারা একা টুর দিতে চাচ্ছেন নির্ভয়ে চলে যান। রিজার্ভ গাড়ি ভাড়া দিন প্রতি ২০০০-৩৫০০ পর্যন্ত আছে।
৩. স্থানিয় ব্যাবসায়ি, দোকানদার, এদের সাথে অবশ্যই হিন্দি আর উর্দু তে কথা বলবেন।
আর বি এস এফ পুলিশ ধরলে ধুমায়ে ইংলিশ বলবেন 😉 খিক খিক খিক
৪. ডাল লেকে শপিং না করে শ্রিনগরে কেনাকাটা করবেন।
৫. কোন প্লেস এ ছবি তোলার আগে বা ওপেনলি স্মোক করার আগে জেনে নিবেন
আমি যখন কাশ্মির গিয়েছিলাম প্রায় প্রতিদিন এ মাইনাস ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। কখনো কখনো মাইনাস ৬-৭ ও পেয়েছি। এই শীত থেকে বাচতে আমি যা যা পড়েছিলাম
১. এক্সট্রা ইনার সহ স্নো বুট।
২. সিন্থেটিক ইনার
৩. লাক্স বডি ওয়ার্মার ( থার্মাল)
৪.উলের ফুলহাতা টিশার্ট
৫. মোটা উলের সোয়েটার
৬. রেইন কোট
নিচে
৭. সিন্থেটিক ইনার প্যান্ট
৮. ফ্লিস এর পায়জামা
৯. গ্যাবার্ডিং প্যান্ট
আমার এই টুরে গিয়ে আমার ভারতীয় দের ব্যাপারে ধারনা একদম পালটে গেছে। 🙂
ভারতীয় লোকজন অনেক ভালো। অনেক হেল্পফুল আর মিশুক। আমি আমার পুরা জার্নিতে এত এত বন্ধু আর এত ভালোবাসা পেয়েছি। আমার সারাজীবন মনে থাকবে। স্পেশালি ওদের বি এস এফ সদস্যরা অনেক আন্তরিক। ওদের ভয় পাবেন না।
অনেক সংক্ষেপে পুরা টুরের হিসাব নিকাশ দেওয়া টা কঠিন ছিল। তার পরেও কারো বিস্তারিত যেকোন তথ্যের জন্যে আমাকে নক করতে পারেন। আমার সাধ্য মত হেল্প করব 🙂

Post Copied From:Pearl Matthew>Travelers of Bangladesh (ToB)

ফুলের রাজধানী যশোর

নানা রঙের বাহারী ফুলের চাষ হয়ে থাকে যশোরে। ভোর থেকে সে ফুল নিয়ে জড়ো হতে থাকে ফুল ব্যবসায়ীরা। সকাল ৮টা নাগাদ জমে উঠে “গদখালী ফুলের বাজার।” বলা হয়ে থাকে দেশের ৭০% ফুলের জোগান যশোর থেকে হয়।

গোলাপ, গ্লাডিওলাস, গাদা, রঙ বেরঙের জারবেরা কি নেই এই গদখালী বাজারে। এ যেন ফুলের স্বর্গ, শুধু আনন্দটুকু খুঁজে নিতে হবে। সাইকেল, ভ্যানে করে চাষীরা তাদের ফুল নিয়ে বাজারে জমায়েত হয়। ১০-১১টার মধ্যেই বেচাকিনি শেষে বাজার নিরব হয়ে পরে। তাই বাজার দেখতে হলে যেতে হবে সকাল সকাল।

বাজার দেখা শেষে ঘুরে আসতে পারেন পানিসারায় ফুলের বাগানে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে ফুল চাষ হচ্ছে। এ যেন ফুলের স্বর্গ। তবে এ স্বর্গ দেখতে হলে আপনাকে যেত হবে জানুয়ারীর মাঝামাঝিতে ফুল তখনই সবচেয়ে বেশি থাকে।

যাওয়ার উপায়ঃ

ঢাকা/অন্য জেলা থেকে বাস/ট্রেনে যশোর। যশোর থেকে বেনাপোলগামী বাসে করে গদখালী মোড়। রাস্তার পাশেই ফুলের বাজার। বাজার ঘুরা শেষে ১০টাকা ভ্যান ভাড়ায় পানিসারা ফুলের বাগান। যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দিবে পথ।

*ফুলের বাজার দেখতে হলে অবশ্যই ভোরে যশোর থাকতে হবে সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে গেলে ট্রেন জার্নিটাই আরামদায়ক হবে।

Post Copied From:Himel Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

গাদা ফুলের বাগান

গাদা ফুলের বাগান। পিছনে যে বিশাল মাঠ দেখা যাচ্ছে জানুয়ারীর মাঝামাঝিতে সেখানটা জুড়ে থাকে নানা ফুলের সমাহার। গ্লাডিওলাস, জারবেরা, গোলাপ, গাদাসহ আরো কত ফুল।

আমি গিয়েছিলাম ২৫ নভেম্বর তখন সব মাঠেই ফুলের গাছ লাগানো হচ্ছে। স্থানীয় চাষী বললো, “আসবেন জানুয়ারীতে তখন দেখবেন শুধু ফুল আর ফুল। টিভিতে যে ফুলের ছবি দেখেন সব এই খানের। শয়ে শয়ে মানুষ আসে এই ফুল দেখতে।”

এক ভ্যান চালক জানালো, “২৪ তারিখ মানে আমি যাওয়ার আগের দিন শুক্রবারেও নাকি ৫০০ মানুষ আসছে ফুল দেখতে।”

এখন গেলে কিছু জারবেরা বাগান আর গ্লাডিওলাস পাবেন। গোলাপ তেমন দেখা যাবে না কারন খুব ভোরেই সব গোলাপ কেটে নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির উদ্দ্যশ্যে।

যাওয়ার উপায়ঃ

ঢাকা/যেকোন জেলা থেকে বাস/ট্রেনে যশোর। যশোর থেকে গদখালি মোড়। গদখালি মোড় থেকে ভ্যানে ১০টাকা ভাড়ায় পানিসারা ফুলের বাগান।

Post Copied From:Himel Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)