কারো ঢাকার কাছে day tour দেয়ার ইচ্ছা হলে

কারো ঢাকার কাছে day tour দেয়ার ইচ্ছা হলে
ঘুরে আসতে পারেন ঢাকারই খুব কাছের #ময়মনসিংহ জেলায়। খুব সকালে( ৬টা) রওনা দিলে রাত ১০ টার মধ্যেই ঢাকায় পৌছাতে পারবেন👌 ময়মনসিংহে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। আপনার time management ভাল থাকলে ১দিনেই এই জায়গাগুলি ( বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়->ব্রম্মপুত্র নদ
->শশীলজ-> মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি-> জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা- জয়নুল আবেদিন পার্ক) ঘুরে আসতে পারেন👌

যেভাবে যাবেন : মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে এনা, শামিমসহ বেশ কটি বাস ছেড়ে যায় প্রতি ঘণ্টায়। সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা😊ময়মনসিংহ নেমে অটোভাড়া দিয়ে যে কোনো জায়গায় যেতে পারবেন।

খাওয়াদাওয়া :- দুপুরে lunch সারিন্দা রেস্টুরেন্ট এ করেছিলাম👌খাবার বেশ ভালই reasonable price এর মধ্যে👌

তাই আর দেরি না করে যে কোনো এক ছুটির দিনে চলে যান ময়মনসিংহে

Post Copied From:Nifat S. Bristy>Travelers of Bangladesh (ToB)

প্রাণের শহর ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের ইতিহাস পরে জানবো । আগে আপনাদের ঘুরিয়ে নেই আমাদের প্রিয় শহরকে । আমাদের যাত্রা শুরু করবো রাজধানী থেকেই । ইচ্ছে হলে ট্রেনে বা বাসে করে ময়মনসিংহে আসতে পারবেন । সকাল ৭.৩০ মিনিটে তিস্তা এক্সপ্রেসে অথবা মহাখালি বাসস্ট্যান্ড থেকে এনা পরিবহনে আসতে পারবেন । তবে বাসে সকাল ৬ টায় রওনা দিলে ৮.৩০ টা নাগাদ মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড ময়মনসিংহে । ট্রেনে আসলে সকাল ৮:০০ কমলাপুর থেকে ময়মনসিংহ আসতে ১১.৩০ টা বেজে যাবে ।

ভাড়া পরবেঃ
এনা বাসে- জন প্রতি ২২০ টাকা।
আন্তনগর ট্রেনেঃ ১২০ থেকে ২৭০

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

যেখানেই নামুন । প্রথমে নাস্তা খেয়ে নিবেন । এরপর অটোরিক্সায় চলে যাবেন সোজা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়…ভাড়া প্রতিজন ২০-৩০ টাকা। রিক্সায়ও যেতে পারেন,ভাড়া ৫০ টাকার বেশি নয় ।
ইচ্ছে হলে রিক্সা ঘন্টা খানিকের জন্য নিতে পারেন। বলে নিবেন পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনে নামিয়ে দিবে । ভাড়া ১৫০-২০০ নিবে।

সেখানে যা দেখবেন,
মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট ও আবাসিক এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । এছাড়া এখানে আছে দৃষ্টি নন্দন ‘একোয়াপনিক গার্ডেন’ । এরপর চলে যাবেন হর্টিকালচার এরিয়াতে সেখানে কিছুক্ষন থেকে চলে আসবেন বাংলাদেশের একমাত্র কৃষি মিউজিয়ামে । এখানে আসার পথে পাবেন অপরুপ সৌন্দর্যের প্রতীক আমবাগান !!

দেখা শেষ হলে জব্বারের মোড়ে চা খেয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন চলে আসবেন (১৯৬৩ সালে এ বোটানিক্যাল গার্ডেনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মধ্যে ঢুকেই প্রাণ জুড়িয়ে যাবে সারি সারি অচেনা সব গাছ দেখে। সুন্দর বাঁধানো রাস্তা আর তার দুই পাশের সুশোভিত বৃক্ষরাজি ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করবে না। জেনে অবাক হবেন যে এ গার্ডেনে ৫৫৮ প্রজাতি কয়েক হাজার গাছ রয়েছে) ।
পাশেই ব্রহ্মপুত্র নদ, পাল তোলা রঙিন নৌকা বাধা সারি সারি, সময় নিয়ে ঘুরতে পারেন।
তারপর কে আর মার্কেটে মালাই চা, গরুর দুধের চা খেয়ে নিবেন অবশ্যই।

এরপর সোজা চলে যাবেন কেওয়াটখালি সেখানে আছে শতবর্ষী রেলব্রীজ । ঠিক সেখানেই দেখতে পারবেন উপর ও নীচ দিয়ে রেললাইন । এটি বিরল !

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি

সোজা চলে আসবেন টাউন হল । সিএনজিতে ২৫ মিনিটে চলে যাবেন মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িতে । সবকিছু দেখে মুক্তাগাছার বিখ্যাত মন্ডা খেয়ে চলে আবার ফিরে আসবেন শহরে,টিচার্স ট্রেনিং কলেজে…..।

শশী লজ

এখানেই শশী লজ । প্রায় দেড়শ বছর আগে মুক্তাগাছার জমিদার সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী ৯ একর জমির ওপর দোতলা এ নয়নাভিরাম ভবনটি তৈরি করেন। নাম রাখেন তাঁর দত্তক ছেলে শশীকান্তর নামে। এ বাড়িটি ‘ক্রিস্টাল প্যালেস’ বা ‘রংমহল’ নামেও পরিচিত ছিল।

আলেকজান্ডার ক্যাসেল

হেঁটে চলে আসবেন । নোট দেই……..(আলেকজান্ডার ক্যাসেল ময়মনসিংহ শহরের পুরোনো একটি স্থাপনা কাঠামো । মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য ১৮৭৯ সালে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় করে ততকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডারের সম্পত্তি রক্ষার্থে এ প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন । প্রাসাদটিতে লোহার ব্যবহার বেশি করা হয়েছিল বলে এলাকাবাসী এটিকে ‘লোহার কুঠি’ নাম দিয়েছিল । প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভবনটিতে অনেক বরেণ্য ব্যক্তির পদধূলি পড়েছে । ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ময়মনসিংহ সফরের সময়ে আলেকজান্ডার ক্যাসেলে কিছুদিন ছিলেন । এ ছাড়া এখানে আরো এসেছিলেন লর্ড কার্জন, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ, কামাল পাশা প্রমুখ । এটি বর্তমানে শিক্ষক প্রশিক্ণ কেন্দ্রের পাঠাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়)

গৌরীপুর লজ

সোনালী ব্যাংক বললেই রিক্সার চালক নিয়ে যাবে । চমৎকার একটি কাঠের বাড়ি । নিশ্চিত থাকেন বাড়িটিতে একদিন থাকার ইচ্ছে হবে !

জয়নুল পার্ক ও ব্রহ্মপুত্র

হেঁটে ৫ মিনিটে চলে আসুন নদের পাড়ে । উপভোগ করুন নির্মল বাতাস ও সবুজ পাতা দৃশ্য ।
ময়মনসিংহের মানুষের প্রাণের স্পন্দন এখানে, কিছুক্ষন পরেই পেয়ে যাবেন জয়নুল সংগ্রহশালা …!!!

জয়নুল সংগ্রহশালা

এখানে এসে আপনার ভালোলাগা ভিন্ন মাত্রায় পৌছাবে । স্থাপত্য ছবিতে আপনি মগ্ন হয়ে যাবেন । নোট দেই …(১৯৭৫ সালে এ সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয় । এখানে শিল্পাচার্যের ৭০টি চিত্রকর্ম ছিল কিন্তু কিছু ছবি চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন মোট ৬৩টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে । এসব ছবির মধ্যে আছে শম্ভুগঞ্জ ঘাট, শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ, স্কেচ, স্কেচ, স্কেচ, স্কেচ, স্কেচ, স্কেচ (বংশীবাদক), বাস্তুহারা, প্রতিকৃতি এবং অন্যান্য অনেক ছবি । এসব ছবি ছাড়াও রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত জিনিস এবং তাঁর কিছু স্থিরচিত্র । সংগ্রহশালাটি শুক্রবারের দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে । অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে। প্রবেশ ফি ২০ টাকা)

আনন্দ মোহন কলেজ

কাছেই বিখ্যাত এই কলেজটি । স্থাপত্যশৈলী আপনার মন কাড়বে । লাল বিল্ডিংটি খুবই সুন্দর । এই কলেজের শিক্ষক ছিলেন জাতীয় নেতা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সহ অনেক নামী ও গুণি ব্যাক্তিরা।
সামনে ফুচকা খেতে ভুলবেন না।

সারাদিন ঘুরার পর ঘড়ির কাটায় বিকাল ৫টা বেঁজে যাবে । ইচ্ছে হলে সন্ধ্যার নদের আলো উপভোগ করতে পারেন । যদি ট্রেনে ঢাকা ব্যাক করতে চান তাহলে ৫.২৩ ও ৭.১৫ মিনিটে ট্রেন আছে । বাস রাত ৮ টা পর্যন্ত মাসকান্দা থেকে ছেড়ে যায় তবে ব্রিজ মোড়ে রাত ৯ টা পর্যন্ত বাস পাবেন ।

ময়মনসিংহের নামকরনঃ
এবার আসুন সংক্ষেপে জেনে নেই ইতিহাস।

বাংলাদেশের প্রাচীন জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম ময়মমনসিংহ । ১৭৮৭ সালের ১ মে এই জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে প্রশাসনিক সুবিধা এবং বিদ্রোহ দমনে ব্রিটিশরা এ জেলা গঠন করেছিল । ময়মনসিংহের পুরোনো নাম মোমেনশাহী । মধ্যযুগে মোমেন শাহ নামে এক সাধক ছিলেন, তাঁর নামেই এটি মোমেনশাহী নামে পরিচিতি পায় । পরবর্তীকালে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর ছেলে সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ । কিন্তু এ নামে রাজপুতনায় আরেকটি জায়গা থাকায় নাম পরিবর্তন করে ময়মনসিংহ রাখা হয়।

থাকা ও খাওয়াঃ

রাতে থাকতে চাইলে
→ হোটেল আমির ইন্টারন্যাশনাল
→ হোটেল মুস্তাফিজ
→ সিলভার ক্যাসেল

এছাড়া সাধারণ হোটেলের মধ্যে, নিরালা হোটেল
হোটেল মমতাজ সহ আরো অনেক পাবেন।

আমির এবং মুস্তাফিজে ভাড়া পরবে প্রতিরাত,
সিঙ্গেল/ ডাবল বেড, এসি,/ নন এসি- ১০০০/১৫০০/২০০০ এরকম।
সিলভার কেসেলে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০০০/২৫০০ থেকে শুরু।

খাবারঃ
যে খাবারগুলো বিখ্যাতঃ
→ খন্দকারের ভূনা খিচুড়ি
→ সারিন্দা,ধানসিড়ির,প্রেস ক্লাবের বিরিয়ানি,
→ মুক্তাগাছার মন্ডা
→ নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি( নেত্রকোনা যেতে হবে)
→ জব্বারের মোড়ের মিলন মামার দোকানের দই চিড়া
→ চাচার হোটেলের বাংলা খাবার (স্বল্প দাম)
→ বিপিন পার্কের বুলেট চা
→ চড়পাড়া ল্যাবএইডে পাশে, কালজিরার চা, তেতুল চা
→ কৃষ্ণা কেবিনের মিষ্টি

ভালো খাবারের হোটেল পাবেন সিকে ঘোষ রোডে
→ সারিন্দা,ধারসিড়ি, অবন্তি, রি ইট, বেস্ট বাইট, সিএফসি,আরএফসি, কিচেন ৩৬৫, বিগ বার্গার,ফৃড কিং,মিনিয়নস, ইট মি,সরগরম, খন্দকার, রান্নাঘর, মোঘল দরবারসহ অনেক ভাল হোটেল এবং ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট পাবেন। এছাড়া দুর্গা বাড়ি রোডেও কিছু হোটেল আছে।

১০০- ২০০ টাকায় ভাল প্যাকেজে খেয়ে নিতে পারবেন মজাদার সব খাবার 🙂

অল্পদামে বাংলা ভাল খাবার খেতে চাইলে, আবার যেতে হবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জব্বারের মোড়ে।

মিষ্টির জন্যে পাবেন কৃষ্ণা কেবিন/দয়াময় মিষ্টান্ন বা মিষ্টি কানন । দোকানগুলি আশেপাশেই ।
আজ এ পর্যন্তই।

যদি হাতে একদিন সময় নিয়ে আসতে চান তবে,
পরদিন সকালে ঘুরে আসতে পারেন চিনামাটির পাহাড় দুর্গাপুরে।
ট্রেনে গেলে ৫০০ টাকার মধ্যে সব ঘুরে আসতে পারবেন দুর্গাপুর থেকে।

[[ একা বা গ্রুপ করে আসতে চাইলে ইনবক্সে জানাতে পারেন, ফ্রি থাকলে সময় দিবো 🙂
😉 ফ্রি গাইড হিসেবে আমিতো আছিই 😉
আমাদের ময়মনসিংহের মানুষ খুবি অতিথি পরায়ন 🙂 ]]

আমাদের প্রাণের শহর ময়মনসিংহে সু স্বাগতম।
ভালো থাকুন । আপনার ট্রাভেলিং আনন্দদায়ক হোক

Post Copied From:Aríf Ahméd Ríád‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

চিনামাটির পাহাড় আর সোমেশ্বরী নদীর সাথে একদিন

এক বন্ধুকে চিনামাটির পাহাড় আর সোমেশ্বরী নদী ঘুড়াব এই বলে ময়মনসিংহ নিয়ে আসি। এর আগেও আরো একবার সে হতাশ হয়ে ঘুরে যায় কারন প্রচুর বৃষ্টি থাকার কারনে আর যাওয়া হয় নাই, তাই সবার জন্য এই উপদেশ রইল যে চিনামাটির পাহাড় আর সোমেশ্বরী নদীরর প্রকৃত সৌন্দর্য দেখতে হলে শীতকালে আসবেন।

প্রথমেই বলা ভাল যে বিরিশিরি যাবার রাস্তা খুব ই খারাপ,তাই ট্রেনেই যাওয়া ভালো হবে। সকাল ৫:৩০ টায় ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরে বাসা থেকে বের হয়ে পরলাম ৬:৩০টার জারিয়ার লোকাল ট্রেন ধরার জন্য ভাড়া ২০টাকা। ট্রেন ৩০ মিনিট দেরি করে ছাড়ল। ৯ টায় জারিয়া পৌছায় স্টেশনের সামনের হোটেল থেকে ২৫ টাকায় ডাল পরোটা দিয়ে নাস্তা করে স্টেশনের সামনে থেকেই বিরিশিরি পর্যন্ত সি.এন.জি ঠিক করলাম প্রতিজন ভাড়া ৫০/-, মোটরসাইকেলে গেলে প্রতিজন ভাড়া লাগবে ৭৫/- আর মাহিন্দ্রতে ভাড়া প্রতিজন ৪০ টাকা। সি.এন.জি আপনাকে সোমেশ্বরী ব্রীজ এর মাথায় নামায় দিবে সি.এন.জির ড্রাইভার আপনাকে বলে দিবে যে ঘাট টা কোন দিকে। ঘাট থেকে ৫ টাকা দিয়ে সোমেশ্বরী নদী পার হলেই দেখতে পারবেন যে মোটরসাইকেল, টমটম দাঁড়ায় আসে। আপনারা চাইলে সারাদিন এর জন্য রিজার্ভ করতে পারেন বা ভেংগে ভেংগে ও ঘুরতে পারেন। তবে আমার মতে ভেংগে ভেংগে ঘুরাই ভালো হবে কারন রিজার্ভ নিলে ড্রাইভাররা খুব তাড়াহুড়া করে। সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে সাদামাটি পর্যন্ত প্রতিজন ৩০ টাকা করে মোটরসাইকেল ঠিক করলাম। সাদা মাটিতেই চিনা মাটির পাহাড় আর নীল পানির লেক। সাদা মাটি নামতেই একটা বাচ্চা আমাদের সাথে হাটা শুরু করলো। নাম- রহমান, ক্লাস টু তে পরে। কিছু দূর যাবার পরে বুজতে পারলাম যে কিছু না বলেই সে আমাদের গাইড হয়ে গেছে। প্রথমে একটু বিরক্ত হলাম কিন্তু পরে ভালোই লাগলো ছেলেটাকে। রহমান এর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে সে স্কুল এর পাশাপাশি মানুষ কে পাহার ঘুরায় দেখায়। রহমান খুব দক্ষতার সাথে আমাদের সবকয়টি লেক ও পাহাড় ঘুড়ায় দেখাল। পরে আসার সময় তাকে ৩০ টাকা দিলাম। তাতেই সে মহা খুশি। সাদা মাটি থেকে টমটম নিলাম বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত প্রতিজন ভাড়া ২৫ টাকা।বিজিবি ক্যাম্প যাবার সময় চার্চ ঘুরে যাবেন। বিজিবি ক্যাম্পএ সোমেশ্বরী নদীতে নামার জন্য ঘাট করা আসে। সোমেশ্বরী নদীর স্বচ্ছ পানি ঝাপাঝাপি করে সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। ফিরার সময় বিজিবি ক্যাম্প এর সামনে থেকে টমটম নিয়ে (ভাড়া প্রতিজন ৩০/-) সোজা চলে যাবেন শিবগঞ্জ বাজার। বাজার থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে দূর্গাপুর থেকে জারিয়া স্টেশন পর্যন্ত মাহিন্দ্রতে উঠলাম ৪০ টাকা প্রতিজন। জারিয়া থেকে ময়মনসিংহ এর ট্রেন ৬:১০ টায়।
ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন:
ঢাকা – ময়মনসিংহ ২২০/- (এনা)
ময়মনসিংহ – জারিয়া ২০/- (ময়মনসিংহ হতে জারিয়া পর্যন্ত দিনে ৪ বার লোকাল ট্রেন চলাচল করে।সকাল ৬:৩০ টায় , সকাল ১১ টায়, বিকাল ৪ টায় , রাত ৮:৩০ টায়।)
জারিয়া-বিরিশিরি সি.এন.জি ৫০/-(প্রতিজন)

Post Copied From:Md Asif Imtiaz>Travelers of Bangladesh (ToB)

ময়মনসিংহ

কমলাপুর স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার কয়টা ট্রেন আছে কোন কোন সময় যায়,,,,??

উত্তরঃ ভোর ৫ টার দিকে কমিউটার
৭:১৫ টায় তিস্তা এক্সপ্রেস

দুপুর ৩ টার দিকে আবার কমিউটার আছে
বিকাল ৫ টার দিকে বহ্মপুত্র এক্সপ্রেস

ময়মনসিংহ (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে নেত্রকণা যেতে চাছেন?
বিশেষ করে দূর্গাপুর,হালুয়াঘাট।একটা ট্যুর প্ল্যান দরকার???।নেত্রকণায় আর কি কি একদিনে কাভার করা সম্ভব???

দুর্গাপূর আর হালুয়াঘাট দুইটা দুই দিকে…..
ময়মনসিংহ থেকে হালুয়াঘাট যেতে আপনার ১:৩০-২:০০ ঘন্টা সময় লাগবে…. বাসস্টপ এ নেমে অটো নিয়ে চলে যান গোবরাকুরা এবং করইতলি…. তবে পানিহাতা যেতে চাইলে আপনার মোটরবাইক নিয়ে যাওয়াই ভাল… সে ক্ষেত্রে আপনি উত্তর বাজার থেকে ভাড়া করে নিয়ে যেতে পারেন…
আর দুর্গাপূর যেতে হালুয়াঘাট থেকে বর্ডার রাস্তা দিয়ে ধোবাউরা হয়ে দুর্গাপূর যেতে পারেন…. তবে এই রোডে বাস নেই বললেই চলে। সিএনজি অথবা মোটরবাইক ভাড়া করে নেওয়াই উত্তম।

ব্রহ্মপুত্র নদ

স্থান: উদীচি চত্বর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

যেভাবে যাবেন:
১. ঢাকা থেকে বাসে মাসকান্দা, তারপর অটোতে/রিক্সায় বাকৃবি।
২. ঢাকা থেকে ট্রেনে ময়মনসিংহ, তারপর অটোতে/ রিক্সায় ব্রীজ এর মোড় দিয়ে বাকৃবি।
বাকৃবিতে ঘোরার মতো আরও অনেক জায়গা আছে, তন্মধ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেন, আমবাগান, কৃষি মিউজিয়াম ঘুরতে পারেন।

বি.দ্র: বাকৃবি কিংবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বললে রিক্সা/অটো নাও চিনতে পারে, তাই “ভার্সিটি” শব্দটির ব্যবহার করুন।

Post Copied From:Masud Rana‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

অল্প সময়ে সল্প খরচে ঘুরে আসুন বাংলার প্রত্নতাত্ত্বিক শহর ময়মনসিংহ জেলায়…

★ যা যা দেখবেন:-
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি
শশী লজ
আলেকজান্ডার ক্যাসেল
শিল্পচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা
ব্রক্ষপুত্র নদ
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়- আমি সময় পাইনি তাই যেতে পারিনি
Mymansing girls cadet college- না, এদিকে একদম নয়..😂

★★যেভাবে যাবেন-
ট্রেন- তিস্তা এক্সপ্রেস
সকাল ৭:৩০, ভাড়া ১৪০ টাকা শো:চেয়ার আর ২৭১ টাকা ১ম শ্রেনী তপানুকুল
অথবা মহাখালী হতে এনা পরিবহণ ভাড়া ২২০টাকা
সময় লাগবে২:৩০-৩ ঘন্টা।

★★ভ্রমন পরিকল্পনা-
মুক্তাগাছা যেতে শহরের টাউন হল মোড়ে আসুন সেখান থেকে ৩০টাকা ভাড়ায় CNG দিয়ে মুক্তাগাছা বাজার যাবেন পরে রিক্সায় জমিদার বাড়ি, ভাড়া ১৫ টাকা।
সময় ৩০ মিনিট
জমিদার বাড়ি ৯-৫টা পর্যন্ত খোলা এবং ১-২ ঘটিকা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। সাথে ৩০০ বছরের পুরনো মুক্তাগাছার মন্ডা খেতে ভুলবেন না। প্রতি পিছ ২২ টাকা

তারপর চলে আসুন শহরের টাউন হল মোড়ের কাছেই শশী লজ,ক্যাসেল,জয়নুল আবেদীন পার্ক,নদীর পাড়ে।

ফেরার জন্য তিস্তা ট্রেন পাবেন বিকেল ৫:২০ ঘটিকায়।
সহযাত্রী নারী হলে বাসে আসুন কারন ট্রেনে ভীড় বেশি।এনা বাসের জন্য চলে আসুন মাসকান্দা বাস স্টপে

★★DSLR not allow

পরিশেষে শুভ হোক বাংলার প্রত্নতাত্ত্বিক প্রেমীদের যাত্রা……☺

Post Copied From:MD Mehedi Hasan Khan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ট্যুরের আদর্শজায়গা)

দক্ষিন এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ১২৫৬ একরের ভিতর আপনি যে মায়াটা পাবেন এটা আর কোথাও খুজে পাবেন না সিওর আমি…
সবুজের সমারোহ,বাতাসের সতেজ ঘ্রান,বিশাল আম বাগান, লিচু বাগান, হর্টিকালচার ফিল্ড, সবুজ আর সবুজ মাঠ, এইগুলোই কি যথেষ্ট না মন ভরানোর জন্য…
বিনা,বিএফআরআই,কৃষি মিউজিয়াম,ফিস মিউজিয়াম,লেক, ভার্সিটির ভিতর দিয়ে রেল গাড়ির যাওয়ার রোমাঞ্চ,সেন্ট্রাল মসজিদের বৃহত্তম গম্বুজ,বোটানিক্যাল গার্ডেন, নদ ইত্যাদি ইত্যাদি…
আর এই শীতের ভিতর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অন্য ভাবে সাজে, শুধু ফুল ফুল আর ফুল..
ভাই আপনার বেড়ানোর জন্য পার্ফেক্ট একা ট্যুর হবো ইনশাআল্লাহ…..
ময়মনসিংহ শহরের ব্রীজ মোড় থেকে ১০৳ মাত্র,ভার্সিটি ভার্সিটি বলে অটোওয়ালা গুলো ডাকতে থাকবে

Post Copied From:Mohammad Sabbir Hossain‎>Travelers of Bangladesh (ToB)