মাত্র ১৫ হাজার টাকায় ঘুরে আসুন( কল্কাতা,মানালী,দিল্লী)

১)কলকাতা(হাওরাব্রীজ,ইডেন গার্ডেন,বিদ্যাসাগর ব্রীজ,ভিক্টোরিয়া পার্ক)
২)দিল্লী(আগ্রা তাজমহল,ইন্ডিয়া গেট,লোটাস টেম্পল,আগ্রা ফোর্ট)
৩)মানালী(সোনাংভ্যালী,রোথাংপাস)

আমরা সফরসঙ্গী ছিলাম ২ জন।
১ম দিন: রাতের খাবার খেয়ে বাসে(হানিফ নন এসি 500 টাকা )রওনা দিলাম সকালে বেনাপোল বর্ডারে পৌছাই।নাস্তা করে (40টাকা) ইমিগ্রেসন এ যাই।
খরচ :500+ 40=540 টাকা

২য় দিন ঃ বর্ডার পার হলাম (৫০০ টাকা ) এরপর অটোতে করে বনগাঁ রেলস্টেশনে গেলাম(৩০রুপি)।বনগাঁ থেকে লোকাল ট্রেনে করে শিয়ালদাহ স্টেশনে এসে নামলাম (২০ রুপি)।সকাল ১১ টা বাজে তখন।আমরা দেরি না করে একটা ট্যাক্সি রিসার্ভ করে(১০০/২=৫০ রুপি)মারকস্ট্রীট আসলাম। সুহাগ কাউন্টার এর অপর পাশে একটা ট্যুরিস্ট এজেন্ট থেকে দিল্লীর রাজধানী ট্রেন এর টিকেট কাটলাম(এসি ৩ টায়ার 2300 টাকা)। আমাদের ট্রেন বিকাল ৫ টায় টাই আর আমরা হোটেল না নিয়ে ব্যাগগুলু ট্যুরিস্ট অফিস এ রেখে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম(100রুপি থালি)।খাবার খেয়ে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করলাম ইডেন গার্ডেন আর হাওড়া ব্রিজ যাওয়ার জন্নে(150/2=75 রুপি)।আসার সময় ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আসলাম(80/2=40 rs) এরপর ট্রেন এ উঠার জন্নে শিয়ালদাহ(70/2=35 rs)গেলাম।ট্রেন এ কমপ্লিমেন্টআরি খাবার ছিল।
খরচঃ2650*1.2=3180+500=3680tk

৩য় দিন ঃ সকাল ১০টায়নিউ দিল্লী ষ্টেসনে নামার পর রাস্তা পার হয়ে একটা এজেন্সির অফিসে যাই।এজেন্সি থেকে মানালী যাওয়া আসার টিকেট কেটে নেই(আসা যাওয়া 2200 রুপি)
আমরা 2 ঘনট্ার জন্য একটা হোটেল ভারা করি(300/2=150রুপি)জরুরী কাজ আর দোসল সেরে আমরা একটা অটো ভাড়া করি(250/2=125রুপি)ইন্ডিয়া গেট আর লোটাস টেম্পল নিয়ে যাওয়ার জন্যে।জায়গাগুলো ঘুরার পর মেট্রোরেলে করে দিল্লী(পাহারগন্জ) ফিরে আসি(30রুপি) আসতে আসতে 5 টা বেজে যায়।পাহারগন্জ থেকে মানালীর গাড়ি স্টপেজ জাওয়ার জন্যে অটো রিজার্ভ করলাম(60/2=30রুপি)5.30 এ পৌছাই স্টান্ড এ।দুপুরের খাবার(120রুপি)খেয়ে গাড়িতে উঠি।প্রায় 13 ঘন্টা আকা বাকা পাহার পেরিয়ে মানালী পৌছাই(রাতের ব্রেকে রাতের খাবার খেয়েছিলাম 200রুপি)
খরচ:2805*1.2=3366

৪ দিন:সকালে মানালী পৌছে হোটেল ঠিক করারা জন্য বাস স্টান্ড থেকে শহরে যাই(100/2=50রুপি)
1000রুপির হোটেল পেতে একটু বেগ পেতে হয়েছিল(1000/2=500)
সকালের নাস্তা(50রুপি)করে ট্যাক্সি শেয়ার করে রওনা দেই রুথাংপাস আর সুনাংভ্যালীর উদ্দেশ্যে(3300/3=1100রুপি)।ঘুড়ে আসতে আসতে বিকাল পার হয়ে যায়।খাবার খরচ 100রুপি।রাতে হোটেল থেকে বের হয়ে শহরটা ঘুড়ে দেখলাম পায়ে হেটে।রাতের খাবার 140রুপি
খরচ:1800*1.2=2160

৫ম দিন :ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে(50রুপি) বের হলাম মানালীর আশে পাশে ঘুরার জন্যে।একটা অটো নিয়ে আশেপাশে ঘুরার জন্য বের হলাম(250/2=125রুপি)মানালীতে জুসটা ভালো হয়।সাথে ছিল চেরি ফল এগুলো মিস করলাম না(150রুপি সব মিলে)পাহার থেকে নেমে আসা বরফ গলা পানির কি জেনো একটা নদী নাম মনে নেই।বের হওয়ার আগে চেক আউট করে ব্যাগ হোটেলের নিচে রেখে গিয়েছিলাম তাই কোন চিন্তা না করে দুপুরের খাবার বাহির থেকে খেয়ে(120রুপি)বিকালে হোটেল থেকে ব্যাগ নিয়ে সন্ধায় রওনা দিলাম দিল্লীর উদ্দেশ্যে।টিকেট আগেই কাটা ছিল।রাতের খাবার ব্রেক টাইমে খেয়ে (100রুপি)সকালে দিল্লী পৌছালাম।
মোট খরচ :654টাকা

৬ দিন :দিল্লী এসেই প্লান করলাম আগ্রা যাবো।তাই নাস্তা করে(45রুপি) দিল্লী থেকে আগ্রা জাওয়ার ট্রেন এর টিকিট(50রুপি) এবং আগ্রা থেকে কলকাতা(1400রুপি)যাওয়ার টিকিট কেটে নিলাম।12 টায় আগ্রা পৌছালাম।একটা অটো রিসার্ভ করলাম(300/2=150রিুপি)তাজমহল এবং আগ্রা ফোর্ট ঘুরার জন্যে।তাজমহল এন্ট্রি ফরেইনারদের 500 রুপি থাকলেও কম খরচে ভিতরে ঢোকার দালালের অভাব নেই।দালাল ধরে 150রুপি দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম।আর রেড ফোর্ট এর প্রবেশ 50রুপি।খাবার খেয়ে(120রুপি) বিকাল 5 টায় কলকাতার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠি।ট্রেনেই রাতের খাবার খেয়ে নেই(100রুপি)।
৭ম দিন ঃ সকাল10 টায় এসে পৌছালাম শিয়ালদাহ।ফিরে এলাম আবার মার্কস্ট্রিট(100/2=50রুপি)হোটেল ইরাম এ রুম নিলাম(1000/2=500রুপি এসি)নাস্তা করে(50রুপি) শপিং এ বের হলাম।
দুপুর+রাতের খাবার(200রুপি)

খরচ (৬+৭ম দিন) :2865*1.2=3438টাকা

৮ম দিন :সকালের নাস্তা(50রুপি)করে চলে আসলাম শিয়ালদাহ(80/2=40রুপি)।লোকাল ট্রেনে করে বনগাঁ(20রুপি)।অটোতে করে(30রুপি)বর্ডারে এসে বর্ডার পার হয়ে চলে আসলাম আমার দেশে।।।দপুরের খাবার খেয়ে(100টাকা)
সোহাগ(550টাকা নন এসি)বাসে করে চলে আসলাম ঢাকা।
খরচ:(140*1.20=168+100+550=818টাকা)

মোট খরচ :540+3680+3366+2160+654+3438+818=14656 tk
অলিখিত হিসাব+14656=15000tk

১২,৬৬৭ হাজার রুপি রুট প্লান ( ঢাকা , কলকাতা , আগ্রা ,দিল্লি, মানালী, আম্রিতাসর )

,

ঘুরে আসুন ঢাকা – কলকাতা – আগ্রা – দিল্লি – মানালী – আম্রিতাসর ( পাঞ্জাব ) – কলকাতা – ঢাকা মাত্র ১৮৬ ডলার বা ১২,৬৬৭ হাজার রুপি ( রুট প্লান )
.
কি অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন গাজা খুড়ি গল্প মারছি না হয় ফাউল একটা টুরের গল্প শুনাচ্ছি। না ! একটা পরিকল্পিত ভালো বা লাক্সরিয়াস টুরের গল্প বলছি। দালাল বা এজেন্সি বাদ দিয়ে নিজে নিজে ট্যুর করতে শিখুন 🙂 । এবার নিচে পড়তে থাকুন। এই টুর দিতে হলে আপনাকে মিনিমাম ৩ জন হতে হবে এবং সময় লাগবে ১৫ দিন।
.
◄◄▌▌ দিন এক : ঢাকা থেকে বেনাপোল শ্যামলী , গ্রীন লাইন, সোহাগ পরিবহন ৫০০ টাকা বা ৪২০ রুপি। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে খরছ ৫০ রুপির মত। এবার সোজা চলে আসবেন বনগাঁ রেলওয়ে স্টেশনে খরছ সি এন জি ৩০ রুপি। এখান থেকে শিয়ালদাহ ট্রেনের ভাড়া ২০ রুপি। আপনি সোজা চলে এলেন শিয়ালদহ। প্রথম দিন কলকাতায় থাকবেন না। শিয়ালদহ থেকে রাতের ট্রেন ধরে চলে যাবেন আগ্রা ফোরট রেলওয়ে স্টেশন। ভাড়া নিবে স্লিপার ক্লাস ৫৬৫ রুপি মাত্র। যারা ভাবেন স্লিপার ক্লাস খারাপ তাদের জন্য এক বালটি সমবেদনা। শিয়ালদাহ রেলস্টেশনে এসে এর পিছনের গেটে চলে যাবেন। ওখানে কম দামে ভালো খাবার পাওয়া যায়। ১০০ রুপি দিয়ে ভাত আর মাছ পাবেন আর ৭ রুপির সোডা খাবেন। সোডাটা মিস করবেন না।। অস্থির জিনিস। আল ইন্ডিয়া এয়ারটেল সিম + ১ জিবি কিনবেন ৩০০ রুপি দিয়ে । ভোডা ফোনের কভারেজ কম । এয়ারটেল বেষ্ট
.
দিন ১ এর মোট খরছ ৪২০+৫০+৩০+২০+৫৬৫+৩০+১০০+৭ +৩০০ = ২০৩৩ রুপি
.
◄◄▌▌দিন দুই : ট্রেনে খাবেন আন্ডা বিরিয়ানি। প্রতি প্যাকেট ১০০ রুপি মাত্র, সাথে থাকবে ২ টা ডিম আর ফ্রাইড রাইস । ২ বেলা আন্ডা বিরিয়ানি আর সকালে নাস্তা মিলে খরছ ২৫০ রুপি। আপনার যদি চা খাবার ইচ্ছে থাকে তবে খেয়ে নিন। ১০ রুপি পার কাপ। স্লিপার ক্লাসে আপার টা নিবেন। রাতে শান্তির ঘুম আর দিনে ট্রেনের জানালা দিয়ে ভারতবর্ষ কে দেখুন। আপনি এসি কামড়ায় গেলে হয়তবা আরাম বেশী পাবেন বাট ভারতবর্ষ তো আর দেখতে পারবেন না ঠিকমত। যারা ট্রেন ভ্রমন করেছেন তারা জানেন ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে বাহিরের জগত দেখার মজাটা কিরকমের।
.
দিন ২ এর মোট খরছ: ২৫০+২০= ২৭০ রুপি
.
◄◄▌▌দিন তিন: সকাল বেলা চলে আসবেন আগ্রা ফোরট স্টাশনে। সকালে ট্রেনেই নাস্তা সেরে নিবেন। খরছ হবে ৫০ রুপি। আমরা ছিলাম স্টেশনের পাশেই অজয় ইন্টান্যাশনালে। ১ রাতের জন্য ভাড়া ৯৫০ রুপি বা পার পারসন হিসেবে ৩১৭ রুপি। এবার হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন। হোটেল থেকে বেড়িয়ে হাতের ডান দিকে একটু হাটুন। ২ মিনিট হাটলেই জামা মসজিদ পাবেন । মসজিদ এর সাথে সব মুসলিম খাবারের হোটেল পাবেন। এক প্লেট কলিজা ৪০ রুপি আর তন্দুররুটি ৫ রুপি। ৩ টে খেলেই পেট ভড়ে যাবে। খাওয়া শেষ করে মোবাইলের জিপিএস অন করুন এবং বিজালি ঘর ক্রসিং ট্রাক করুন । ৫ মিনিটের হাটাপথ বিজালি ঘর ক্রসিং মোড়ে চলে আসুন। এখান থেকে তাজমহল গামী সি এন জি পাবেন, পার পারসন ১০ রুপি। সোজা গিয়ে নামবেন তাজমহল এর Western Gate। এখানে গিয়ে টিকিট কাটুন। টিকিট কাটার সময় অবশ্যই বলবেন SAARC COUNTRY. টিকিটের মুল্য হয়ে যাবে ৫৩০ রুপি মাত্র। আগে তাজমহল দেখবেন। কেন দেখবেন সেটা পরে বলছি 🙂 । তাজমহল দেখার সময় সব সময় ফরেনার জোন ব্যাবহার করবেন। পুলিশ টিকিট দেখতে চাইলে দেখাবেন। ফরেনার টিকিটে অনেক সুবিধা। বাথরুম ফ্রি, সবার আগে যেতে পারবেন ইত্যাদি। ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় নিয়ে তাজমহল দেখুন। এর পর একটা অটো নিয়ে চলে আসুন আগ্রা ইমতি উদ দৌউলা । দাম নিবে ৮০ রুপি, পার পারসন রুপি ২৭ রুপি । আসার পথে মিনা বাজার দেখুন। এর পর সোজা চলে জান ইমতি উদ দৌউলা দেখতে। ইমতি উদ দৌউলা এর আশে পাসেই ২ টি স্থাপনা আছে বাট আমার মতে দেখার দরকার নেই খুব একটা সুন্দর না। বিকেল বেলা বেবি তাজ বা ইমতি উদ দৌউলা থেকে যমুনা নদীর উপর সূর্যাস্ত দেখুন। অনেক সুন্দর। ইমতি উদ দৌউলা প্রবেশ ফি ১৫ রুপি ( অবশ্যই SAARC বলে নিবেন ) । এবার আপনি চাইলে হেটে হেটে আপনার হোটেলে আসতে পারেন আবার অটোতেও আসতে পারেন । আগ্রা ফোরট রেলওয়ে স্টেশনে আসতে জন প্রতি ১৫ রুপি পরবে । আমরা হেটে হেটে এসেছি, আগ্রা শহর ঘুরে ঘুরে দেখছি। হোটেলে ফিরার সময় পেট ভরে খেয়ে নিন। পার পারসন খুব বেশি হলে ১০০ রুপি পরবে।
.
দিন ৩ এর আপনার মোট খরছ: ৫০+৩১৭+৪০+১৫+১০+৫৩০+২৭+১৫+ ১৫+১০০ = ১১১৯ রুপি
.
◄◄▌▌দিন চার: সকাল সোজা চলে যান আসুন বিজালি ঘর ক্রসিং । এখান থেকে আগ্রা ক্যান্ট রেলওয়ে স্টেশন ভাড়া ১০ রুপি । আগ্রা ক্যান্ট রেলওয়ে ষ্টেশনের সামনে দাঁড়ালে আপনার হাতের ডান পাশে সেকেন্ড ক্লাস টিকিট ও লাগেজ রুম এবং বা পাশে SL , AC এর টিকিট কাউন্টার । বাম পাশে গিয়ে রাত ১ টার দিল্লী গামী ( হযরত নিজাম উদ্দিন রেলওয়ে স্টেশন , দিল্লী ) ট্রেন্রের টিকিট কাটুন, পার পারসন ১৭০ রুপি । এবার লাগেজ রুমে গিয়ে ২০ রুপি পার পারসন আপনাদের লাগেজ রাখুন (নিরাপদ) । এবার জেনারেল ক্লাসের টিকিট ঘরে গিয়ে ফতেহ পুর সিক্রি যাবার ট্রেনের টিকিট করুন , ভাড়া ১০ রুপি । ফতেহপুর সিক্রি ঢুকার এন্ট্রি ফি ৪০ রুপি ( অবশ্যই SAARC বলে নিবেন ) । ১২ টার মধ্যে আগ্রা ক্যান্টে রেলওয়ে স্টেশনে চলে আসুন , ভাড়া ১০ রুপি ট্রেনে । স্টেশনে নেমেই হালকা কিছু খেয়ে নিন , খরছ ৩০ রুপি । এখান থেকে আগ্রা ফোরট পার পারসন সি এন জি তে ১৫ রুপি । আগ্রা ফোরট এ গিয়েই পুলিশকে আপনার আগের দিনের তাজমহলের টিকিট টি দেখিয়ে বলবেন আমি SAARC এর আওতায় টিকিট কাটব । পার পারসন ৩৫ রুপি , না হলে কিন্তু ৫০০ এর মত দিতে হবে 🙂 । এবার আবার আগ্রা ক্যান্ট রেলওয়ে স্টেশনে আপনার পছন্দ মত সময়ে ফিরুন । এখানে ভারী কিছু খেয়ে নিন , খরছ ১০০ রুপি । এখানে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন আগ্রা ক্যান্ট রেলওয়ে স্টেশনে আসার পথের স্টেশনের খুব কাছে রাস্তার দুপাশে হাতের ডান ও বামদিকে অনেক খাবারের দোকান পাবেন । বাম সাইডের গুলো কিন্তু আসলে বার আর ডান সাইডের গুলো ফ্যামেলি নিয়ে বসার জন্য 🙂 । আপনি যখন হযরত নিজাম উদ্দিন রেলওয়ে স্টেশন, দিল্লীতে পৌঁছবেন তখন আনুমানিক রাত ৫ টা বা ৪ টা বেজে যাবে । এবার সোজা এ সি ওয়েটিং রুমে গিয়ে শুয়ে পরুন 🙂
.
দিন 8 এর আপনার মোট খরছঃ১০+১৭০+২০+১০+৪০+১০+৩০+১৫+৩৫+১০০ = ৪৪০ রুপি
.
▌▌◄◄ দিন পাঁচঃ সকাল ৯ টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পরুন । এবার ফ্রেশ হয়ে মোবাইলের জিপিএস অন করে হুমায়ূনের কবর দেখতে বের হউন । যাবার পথে ছোট একটা বাস স্ট্যান্ড পরবে সেখান থেকে হালকা নাস্তা করে নিন, খরছ পার পারসন ৫০ রুপি । এবার সকালের দিল্লির রুপ দেখতে দেখতে হুমায়ূনের কবর দেখে ফেলুন , এন্টি ফি ৩০ রুপি । এবার একটা সি এন জি নিয়ে রেড ফোরট চলে আসুন ভাড়া পার পারসন ৩৫ রুপি । রেড ফোরট প্রবেশ ফি ৩৫ রুপি। রেড ফোরড দেখে ভারী কিছু খেয়ে নিন , ১০০ রুপিতেই হয়ে যাবে । রেড ফোরট দেখেই ের সামনে অনেক টুরিস্ট বাস পাবেন পার পারসন ১৩০ থেকে ১০০ রুপি নেবে পুরো দিল্লীর সব ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলো ঘুরে দেখাবে । বিকেল ৫ টার মধ্যেই কাশ্মীর গেট বাস স্টেশনে চলে আসুন । ষ্টেশনের সাথেই মেট্রো রেল স্টেশন ওখানেই ম্যাক ডোনাল পাবেন । পার পারসন ২৫০ রুপি খরছ করলেই পেট ভরে যাবে । এবার শীতকাল হলে মানলী যাবার জন্য ভলভো এর গরমের দিন হলে সাধারন HRTC গাড়ির টিকিট কাটুন । ভল্ভো ১৪১২ রুপি এর সাধারন ৬৭৫ রুপি । সারাদিনের ক্লান্তিদুর করার জন্য ভল্ভোর টিকিট কাটুন । মানলী যাবার সময় চান্ডিগড় সহ অনেক কিছুই দেখতে থাকুন এর বোনাস হিসেবে রাতের দিল্লী তো থাকছেই । দিল্লী জামা মসজিদের কাছেই মুসলিম কম দামের খাবারের হোটেল আছে ।
.
দিন ৫ এর আপনার মোট খরছঃ ৫০+৩০+৩৫+৩৫ +১০০+১৩০+১৪১২+২৫০ = ২০৪২
.
◄◄▌▌ দিন ছয়ঃ মানলী ঢুকার সাথে সাথেই OYO , MAKE MY TRIPS এর অ্যাপ মোবাইলে নামিয়ে নিন । OYO ভালো , অনেক অফার দেয় । সবাই আপনাকে মল রোডে থাকার পরামর্শ দিবে আমি বলব না । আপনি যদি মানলীর সৌন্দর্য দেখতে চান তবে লজ হাট এরিয়া বা অল্ড মানলী বা সার্কিট হাউজ এরিয়ায় থাকবেন । আমরা লজ হাট এরিয়াজ মানলীর সব থেকে উঁচুতে সুন্দর একটা হোটেলে ছিলাম । OYO অ্যাপ এর মাধ্যেমে ৬৯% ডিস্কাউন্ট পাইছি ( অফ সিজেন ছিল বলে ) । মল রোড বা বাস স্ট্যান্ড থেকে লজ হাট যেতে জেকোন সি এন জি খুব বেশী পার পারসন ২৫ রুপি নেবে । আমাদের হোটেলে ৬৯% ডিস্কাউন্টে মাত্র ২ রাত ৩ দিন + ফ্রি ব্রেকফাস্ট সহ ২৫০০ নিয়ে ছিল । আমাদের ৩০০ রুপি বেশী নিয়েছে কারন আমাদের আর্লি চেক ইন ছিল , সে হিসেবে পার পারসন ৮৩৪ রুপি মাত্র  । ভুলেও মল রোডে খাবেন না । লজ হাট এরিয়ায় কিছু নেপালী থাবা পাবেন ১০০ রুপিতে মুরগীর মাংস সহ ভাত একজন খেয়ে শেষ করতে পারবেন না । লজ হাট এরিয়ার কাছেই হাডিম্বা দেবীর মন্দির । মন্দির দেখে সোজা পাহাড় দেখতে চলে যান । এলাকাটা ধুরে ঘুরে দেখুন । অনেক সুন্দর । সারাদিনের খাবার করছ মাত্র ২০০ রুপি । মল রোডে থাকলে ২০০০ এও কিছু করতে পারবেন কিনা আল্লাহ জানে । পাহড়ি এলাকা খুব তাড়াতাড়ি রাত নামে এর সব কিছু ফাকা হয়ে যায় । রাত ৭টার মধ্যে খেয়ে দেখে হোটেলে ফিরে আসুন ।
.
দিন ৬ এর আপনার মোট খরছঃ ২৫+ ৮৩৪+ ২০০ = ১০৫৯ রুপি
.
◄◄▌▌দিন সাতঃ সি এন জি ভাড়া করে শহরের সব গুলো জায়গা বা আপনার পছন্দের বাকি ভ্রমণ প্লেস গুলো দেখে নিন । সবার শেষে দিন জন্য সোলাং ভ্যালি রাখবেন । সারা দিনের সি এন জি ভাড়া ৮০০ রুপি এর বেশী হবেই না, পার পারসন ২৬৭ । ভুলেও ক্যাব নিবেন না । তা হলে ধরা । সারা দিনের খাওয়া খরছ ২০০ রুপি ।
.
দিন ৭ এর আপনার মোট খরছঃ ২৬৭+ ২০০ = ৪৬৭ রুপি
.
◄◄▌▌দিন আটঃ সকালে হোটেল থেকে চেক আউট করে বেড়িয়ে পড়ুন । মল রোডে গিয়ে সোলাং ভ্যালী যাবার জন্য সি এন জি ঠিক করুন । ভাড়া নিবে ৭০০ এর মত সাথে ৩ থেকে ৪ টা স্থানো দেখবেন । জন প্রতি হিসেবে সি এন জি ভাড়া পরবে ২৩৪ রুপি । ৩ টের মধ্যে মল রোডে চলে আসুন । ভারী কিছু খেয়ে নিন । পার পারসন ১০০ হলেই হবে । এবার আম্রিতাসর , পাঞ্জাব যাবার জন্য HRTC এর সাধারন গাড়ির টিকিট কাটুন, পার পারসন ৫৫০ রুপি । গাড়ি ছাড়বে ৩.৩০ মিনিটে । ভুলেও ৬.৩০ এর ভল্ভো গাড়ির টিকিট কাটবেন না । কেন কাটবেন না ? নিচের কথা গুলো পড়লেই বুঝবেন । গাড়ি ছাড়বে ৩.৩০ মিনিটে । গাড়ি যখন পাহাড়ের গা বেয়ে কুলু বাস স্ট্যান্ডের দিকে আসতে থাকবে আপনি দুরের পাহাড় গুলো দেখে অন্য এক জগতে হাড়িয়ে যাবেন । সন্ধ্যার সময় কুলু বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে যাবেন । চারদিকে পাহাড় ঘেরা অসম্ভব সুন্দর কুলু বাস স্ট্যান্ড । এবার সারা রাত পাহাড়ের গায়ে মিট মিট করে জলতে থাকা ঘর বাড়ি দেখতে দেখতে চলে আসবেন আম্রিতাসর , পাঞ্জাব । পথে পার পারসন ১০০ রুপি দিয়ে কিছু খেয়ে নিন।
.
দিন ৮ এর আপনার মোট খরছঃ ২৩৪+১০০+৫৫০+১০০ = ৯৮৪ রুপি
.
◄◄▌▌দিন নয়ঃ বাসে ঘুমাতে ঘুমাতে সকালে আম্রিতাসর বাস স্ট্যান্ডে চলে আসবেন । এখান থেকে ১০ রুপি ভাড়া আম্রিতাসর রেলওয়ে স্টেশন । ওখানে গিয়ে এসি বা ফার্স্ট ক্লাস ওয়েটিং রুমে গিয়ে গোসল সেরে নিন । লাগেজ রুমে ২০ রুপির বিনিময়ে আপনার লাগেজ রাখুন । স্টেশনের সামনে ১৫০ রুপি দিয়ে ভরা পেটে মুরগী বিরিয়ানি খেয়ে নিন । এবার জন প্রতি ১৫ রুপি দিয়ে গোল্ডেন টেম্পেল্ট চলে যান । গোল্ডেন টেম্পেল্টর কাছেই জালিওয়ানওলা বাগ । সব কিছু দেখা শেষ হলে গোল্ডেন টেম্পেল্ট সংলগ্ন মার্কেটে শপিং করুন কারন এখানে অনেক কম দাম জিনিস পত্রের । অবশ্যই লাচ্ছি আর আইস্ক্রিম খাবেন , ২৫+৩০ রুপি । অনেক কম দাম । এবার ৬.৩০ এর মধ্যে ১৫ রুপি পার পারসন আম্রিতাসর রেলওয়ে স্টেশন চলে আসুন । ১ দিনের আম্রিতাসর দেখা শেষ, বর্ডারে যাবার দরকার নেই । অহেতুক এক দিন থাকতে হবে তাহলে । রাত ৬.৩০ মিনিটে আম্রিতাসর , পাঞ্জাব থেকে হাওড়া , কলকাতা ট্রেন । আবার মুরগী বিরিয়ানি বা অন্য কিছু খান , ১৫০ রুপিতেই হয়ে যাবে । আম্রিতাসর টু কলকাতা ট্রেন ভাড়া ৭৬৫ রুপি ।
.
দিন ৯ এর আপনার মোট খরছঃ ১৫+১০+২০+১৫০+ ১৫+১৫০+২৫+৩০ +৭৬৫ = ১১৮০রুপি
.
◄◄▌▌দিন দশ + এগারো + বারোঃ লক্ষ্য করুন আপনি যে পথে গেছেন সে পথে কিন্তু ফিরেন নি । ফিরেছেন অন্য পাশ দিয়ে । ফেরার পথে অনেক নতুন নতুন জায়গা পাবেন । তিন দিনে খাওয়া খরছ ৬০০ রুপির বেশী হবেই না । এই তিনদিন আপনি আম্রিতাসর থেকে কলকাতা আসার ট্রেনে থাকবেন । সো অনলি খাওয়া খরছ
.
দিন ১০ + ১১ +১২ মোট খরছঃ ৬০০ রুপি
.
◄◄▌▌দিন তেরঃ সকালে বা ১০ টার দিকেই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে যাবেন । সেখান থেকে সাব ওয়েতে চলে আসুন । ১২৯/C বাসে করে ৬ রুপি ভাড়া দিয়ে পার্ক স্ট্রিট । আসার পথে হাওড়া ব্রিজ দেখুন । পার্ক স্ট্রিট থেকে ১৫ মিনিট হাটলেই মির্জা গালিব স্ট্রিট । ওখানে এসে ২০০০ এর মধ্যে ২ রাতের জন্য হোটেল পেয়ে যাবেন , সে হিসেবে পার পারসন ৬৬৭ রুপি । মির্জা গালীবেই হোটেল খাজা হাবিবের পাশেই ইসলামিক নামের একটা মুসলিম খাবারের হোটেল আছে , নাম মনে আসছে না । ওখানে ৬০ রুপি দিয়ে গরুর মাংশ আর ২ প্লেট ভাত পাবেন । পরিমানে অনেক বেশী দেয় ওরা আবার চাইলে এক্সট্রা ঝোলও দেয় । হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিকেলে জি পি এস ট্রাক করে ইডেন গার্ডেন , মিলেনিয়াম পার্ক , JAMES PRINSER GHAT , দ্বিতীয় হুগলী ব্রিজ দেখুন । সন্ধ্যাটা অবশ্যই JAMES PRINSER GHAT এর সামনের মাঠেও বসে কাটাবেন । রাতে ৬০ রুপি দিয়ে খেয়ে হোটেলে ফিরুন ।
.
দিন ১৩ মোট খরছঃ ৬+৬৬৭+৬০+৬০ = ৭৯৩ রুপি ।
.
◄◄▌▌ দিন চোদ্দঃ মোটা মুটি পার পারসন ৭০০ রুপি খরছ করলেই সায়েস সিটি , গড়ের মাঠ সহ কলকাতার সব কিছুই দেখতে পারবেন । কলকাতা সম্পর্কে বেশী কিছুই লিখছি না । বাংলা ভাষাভাষীদের জায়গা , সো কারো কোন সমস্যা হবে না । সারাদিনে তিন বেলা খেতে ১৮০ রুপি খরছ হবে । বিকেলে নিউমার্কেটে ফিরে কেনা কাটা করুন । রাতে কলকাতা শহর ঘুরে দেখুন ।
দিন ১৪ এর খরছঃ ৭০০+১৮০ = ৮৮০ রুপি
.
◄◄▌▌দিন পনেরোঃ সকালে পার পারসন ৪০রুপি দিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে শিয়ালদাহ রেলওয়ে স্টেশনে চলে আসুন । এবার বনগাঁ যাবার ট্রেনের টিকিট ২০ রুপি দিয়ে কেটে ফেলুন । বনগাঁর মানুষ যশোরের ভাষায় কথা বলে । এবার ৩০ রুপি দিয়ে হরিদাশ পুর বর্ডার বা বেনাপোলে চলে আসুন । ৫০০ টাকা বা ৪২০ রুপি দিয়ে ঢাকা । খাওয়া খরছ সারা দিনে ২৫০ রুপি
.
দিন ১৫ এর খরছঃ ৮০+ ২০ + ৩০ + ৪২০+২৫০ = ৮০০ রুপি
.
১৫ দিনের ট্যুরে মোট খরছঃ ১২,৬৬৭ বা ১৮৬ ডলার ( পার ডলার ৬৮.৩০ রুপি রেট হিসেব)
.
.
◄◄▌▌১৫ দিনে আপনি অতিক্রম করবেন ভারতের ওয়েস্ট বেঙ্গল , উত্তর প্রদেশ ( EAST ) , উত্তর প্রদেশ ( WEST ) , দিল্লী , হিমাচল প্রদেশ আর পাঞ্জাব প্রদেশ ।
.
আর যাত্রা পথে ট্রেন থেকে দিনের আলোতে দেখতে পারবেন ঝারখান্ড , বানারাস , কানপুর ( উত্তর প্রদেশ) , হারিয়ানা , চান্ডিগর , এলাহবাদ , লুডাইয়ানা , কুলু , জালান্দার , দুর্গাপুর , বারাসাত , ২৪ পরগণা , আসানসোল , লাখনো আর অতিক্রম করবেন মোটা মুটি ৫০১০ কিঃমিঃ 😛
.
◄◄▌▌কিছু অভিজ্ঞতাঃ আমার একটা নেশা আছে , সেটা হলো ভ্রমনের নেশা । আমি বদ্ধ এসি কামরায় বা বিমানে উরে গিয়ে কিছু দেখে আসতে ভালো বাসি না । আমার মতে ভ্রমণ হবে নিরাপদে অনেক কিছু জানার । ভারত ভ্রমণ যদি ট্রেনে না করেন তবে ভ্রমনের ৫০% অপূর্ণ থেকে যাবে । ট্রেনের দরজার পাশে দাড়িয়ে দুরের পাহাড় , ভারতবর্ষের গ্রাম দেখা , নতুন নতুন জায়গার উপর দিয়ে যখন ট্রেন যাবে তখন উপভোগ করা এসব কিছুর মাঝেই আছে আনন্দ । আমি আমার ভ্রমনে পুরোটাই মোবাইলের জি পি এস নির্ভর ছিলাম । আমরা হেটে বেড়িয়েছি ভারতের শহরের অলিতে গলিতে ।

ভারতের রেলওয়ে স্টেশন গুলোতে গোসল , বাথ্রুমের ভালো ব্যাবস্থা আছে । শুধুমাত্র নিশ্চিত টিকিটের PNR নাম্বার দিয়ে আপনি এগুলোতে আক্সেস নিতে পারবেন । স্টেশনে আছে গুগলের হাই স্পিড ফ্রি WiFi ( মোবাইল নাম্বার না হলে কাজ করবে না ) । ট্রেনে মোবাইল চার্জ দেওয়ার ব্যাবস্থা আছে । কিছু অ্যাপ এর ঠিকানা দিচ্ছি এগুলো মোবাইলে অবশ্যই রাখবেন । অনেক গুলো বাংলাদেশের আইপি দিয়ে আক্সেস পাবেন না ইন্ডিয়া গিয়েই মোবাইলে ইন্সটল দিয়ে নিবেন । এগুলো দিয়ে হোটেল , ট্রেনের স্থান, কোন স্টেশনে থেকে কোন স্টেশনে ট্রেন যাবে তার তথ্য পাবেন ।

১. OYO (Best)
২. Make My Trips
৩. Goibibo
৪. Ixigo Train
৫. Uber / Ola Cabs
৬. enquiry.indianrail.gov.in এর অ্যাপ
৭. Google Map
.
দালাল এড়িয়ে চলবেন । পাসপোর্ট কাউকে দিবেন না । নিজের পাসপোর্ট + ভিসা + কয়েক কপি ছবি নিজের কাছে বাংলদেশে থেকে নিয়ে যাবেন । ওখানে ফটোকপি বলে না যেরকক্স বলে । ডলার ভাঙাবেন কলকাতায় । বেনাপোলে বা হরিদাশপুরে ৫০০ টাকার মত ভাঙিয়ে নিবেন ।
.
ইন্ডিয়াতে SAARC COUNTRY ( বাংলাদেশ + পাকিস্তান + শ্রীলংকা + নেপাল + ভুটান + আফগানিস্তান + মালদ্বীপ ) এর ফরেনারদের জন্য অন্য ফরেনারদের তুলুনায় কম টিকিটের দাম রাখা হয় । অনেক ক্ষেত্রে ঈন্ডিয়ান্দের টিকিটের মুল্যে SAARC COUNTRY এর লোকেরা টিকিট কাটতে পারে । আপনাকে শুধু মেনশন করতে হবে আপনি SAARC COUNTRYএর লোক ।
.
◄◄▌▌ কিছু চিকন পিনের কথা ( ভালো না লাগলে এড়িয়ে যান )ঃ কলকাতা বাদে যেখানেই যাবেন হোটেল বুকিং বা ভ্রমনের স্থান ছাড়া সকল ক্ষেত্রে বলবেন আপনি কালকাতা থেকে এসেছেন । হিন্দি বলতে পারলে ভালো , অনেক ঝামেলা থেকে বেচে যাবেন । হিন্দি ভালো পারলে কলকাতায় হিন্দিতে কথা বলবেন এতে আপনি সঠিক দামে জিনিস কিনতে পারবেন । বর্ডার পার হবার সময় ডলারের সাথে শুধু মাত্র ২০ টাকার ৮ + ১০ টাকার ৪ টি নোট রাখবেন । কোথাও চাইলে ২০ টাকা দিবেন খুব বেশী হলে ৩০ টাকা দিবেন । অবশ্যই মোবাইলে ইন্টারনেট আর জি পি এস অন রাখবেন । কারন আপনার জি পি এস আপনাকে কখনোই ভুল তথ্য দিবে না 🙂 । আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা ” মানুষ শক্তের ভক্ত নরমের যম ” কথাটা ইন্ডিয়ায় গেলে মাথায় রাখবেন 🙂
.
.
NOTE: আমার এই ভ্রমনে ট্যুর প্লানে শুধুমাত্র ভারত ভ্রমনের কথাই বলা আছে । ভিসা ফি , ট্র্যাভেল ট্যাক্স বা অন্যান্য কিছু নিয়ে লিখি নাই যেটার জন্য আপনাদের খুব বেশী হলে ১২০০ টাকা খরছ হবে । আমি যে রুট প্লান দিয়েছি সেটা ভারতে গিয়ে অনেক ধাক্কা খেয়ে খুঁজে বের করা 🙂 আশা করছি আপনাদের হেল্প হবে । তবে আপনারা অবশ্যই কিছু টাকা এক্সট্রা ব্যাকআপ নিয়ে যাবেন , কারন সবার ভ্রমনের অভিজ্ঞতাটা সবার থেকে আলাদা । অনেক বড় লিখা সময় নিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 🙂

Post Copied From:রেজওয়ানুল কবীর‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

পৃথিবীর ভয়ঙ্করতম রোড

মানালী থেকে লেহ ৪৯০ কিঃ মিঃ। এটাকে পৃথিবীর ভয়ঙ্করতম রোড গুলোর একটি ধরা হয়। পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাস সহ এই রোড টি তৈরি হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিণীর ভারী সরঞ্জাম বহনের জন্য। বছরের মাত্র ৪ মাস এই রোড খোলা থাকে। এই album এ আপ্নারা সাদা ন্যাড়া পাহাড়ের মাঝখানে যেই রোড দেখছেন তার গড় উচ্চতা ৪,০০০ মিটার যা মাঊন্ট এভারেস্ট এর অর্ধেক উচ্চতার কাছা কাছি। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে এই উচ্চতার কোন পাহাড় ই নাই। ইউরোপ এর সর্বোচ্চ রোড এর উচ্চতা ২৩৮০ মিটার যা এই রোড এর অর্ধেক উচ্চতার সমান। এই রোড এর শেষেই Tanglang La Mountain Pass নামে একটা পাস আছে যার উচ্চতা ৫,৩২৮ মিটার। এই উচ্চতায় বাতাস এত টাই থিন যে specially made helicopters ছাড়া সাধারন হেলিকপ্টার উঠতে পারে না। হাই Altitude এর কারনে এই এলাকাই কোন গাছ জন্মাই না। যার কারনে পুরো এলাকা টি আসলে একটা সুন্দর বাতাসহীন ঠান্ডা দোজখ। আর বিস্ব্যাস করুন আমরা এই দোজকেই রাতের বেলা হারিয়ে গিয়েছিলাম।

মানালী থেকে রওনা দিয়ে আমাদের প্ল্যান ছিলো প্রথম দিন সন্ধ্যা এর মধ্যে ‘কেলং’ পৌছানো এবং কেলং এই রাতে থাকা। বাট আমাদের ড্রাইভার আমাদের বলল “ পরের দিন অনেক লম্বা জার্নি। তাই আমি কেলং এ না থেমে আরো সামনে চলে যাব। সেখানে অনেক হোটেল আছে। আপ্নারা সেখানেই থাকতে পারবেন.’ আমরা ভাবলাম ভালোই তো। যাই হোক কেলং আসতে আসতে সন্ধ্যা। ড্রাইভার থামলো না। খেয়াল করলাম কেলং এর পর থেকেই গাড়ি উপরের দিকে ঊঠা শুরু করে দিয়েছে। এর পর প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে অন্ধকারে গাড়ি চলছে। কোন হোটেল তো দূরে থাক একটা বসতিও চোখে পড়লো না। তার উপর বাতাসের স্থর তখন এত টাই পাতলা হয়ে গিয়েছে যে গাড়ির জানলা বন্ধ রাখলে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো। ড্রাইভার এর আচার আচরন দেখে ও মনে হচ্ছিলো সে এই জায়গা ঠিক মত চিনে না। আরো একটা ঘন্টা পার হয়ে গেলো তার পর ও কোন বসতি এর দেখা মিললো না। এর মধ্যে ঠান্ডা এত টাই বেড়ে গিয়েছিলো যে গাড়ীর জানলাও খোলা রাখা যাচ্ছিলো না। আমার শুধু এতো টুকু মনে আছে আমরা এক এক টা সাদা পাহাড়ের উপরে ঊঠছি আর নামছি। ড্রাইভার থেকে আবার জিজ্ঞেস করলাম। হোটেল কোথায়? সে পথের পাশে সাইনবোর্ড দেখে বললো ২২ কিঃ মিঃ দূরে সার্চু (sarchu) তে। কথা টা শোনার সাথে সাথে আমার মাথায় বাজ পরলো। আমার জানা মতে সার্চু তে কিছু বাইকারদের ক্যাম্প ছাড়া আর কিছুই নাই। আমি ড্রাইভার কে এই কথা বললে সে খুব আত্নবিশ্বাস এর সাথে বললো সার্চু একটা শহর। সেখানে সব আছে। টীম এর সবাই তাকে বিশ্বাস করলাম।

সার্চু আসার কিচুক্ষন আগে গাড়ী হঠাত করে একটা waterfall এ আটকা পরলো। ড্রাইভার আমাদের কে গাড়ি ধাক্কা দেয়ার জন্যা বল্লো। গাড়ীর দরজা খুলে বাইরে নামার পর এই আমরা বুঝতে পারল্লাম হিমালয়ের মঝখানে -৫ ডিগ্রী তাপমাত্রা আসলে কেমন হয়। এক বাতাসের ধাক্কাতেই আমরা সবাই এটা বুঝতে পেরেছিলাম যে আজকে রাতে যদি hotel না পাই। তাহলে আমরা কাল সকাল পর্যন্ত নাও বাচতে পারি।
যাই হোক ড্রাইভার সার্চু পউছালো। এবং সার্চু গিয়ে আমরা দেখলাম সেখানে আসলে কিছুই নেই বাইকারদের ক্যাম্প ছাড়া!!!!… মেরুদন্ডের উপরের দিয়ে শীতল একটা স্রোত বয়ে যায়। ড্রাইভার almost কাদো কাদো অবস্থা। তার সাতে কথা বলে জানতে পারি এই রাস্তাই এইটাই তার প্রথম বার।হিমালয় পর্বতের মাঝখানে মরুভুমির মধ্যে একজন আনাড়ী ড্রাইভার নিয়ে মাইনাস ৫ ডিগ্রী তাপমাত্রায় হারিয়ে যাওয়ার অনুভুতি কখনো বলে বুঝানো সম্ভব নয়।

পরবর্তিতে আমরা সামনে একটা আর্মি ক্যাম্প পায়। সেখান থেকে জিজ্ঞেস করলে তারা আমাদের বলে সামনে ট্রাক ড্রাইভার দের থাকার জন্য কিছু বাড়ি আছে। আপ্নারা সেখানে থাকতে পারেন। সেখানে গেলাম। ততক্ষনে আমাদের টীম এর দুই জনের মুখ ফুলে প্রায় 1.5 গুন হয়ে গেছে। একজন মারাত্তক অসুস্ত, আর বাকিরা ঠান্ডাই নড়া চরাও করতে পারছি না। ঠান্ডা এতোটাই তীব্র ছিলো যে আমাদের একজন টয়লেট গিয়ে দেখে পানি বরফ হয়ে গিয়েছে। হিটার চালিয়েও গাড়ি গরম করা যাচ্ছিলো না। যাই হোক সেই রাতে আমরা শান্তি হোটেল নামে এক্টা টিন এর ঘরে থেকেছিলেম মোট ৭ টি কম্বল নিয়ে। হোটেল টির মালিক একজন মহিলা। এই album এর শেষে ঊনার সাথে আমদের ছবি আছে।

পরের দিন সকালেই আমরা লেহ এর উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পথেই প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে যাই। প্রায় সবাই বমি করে, মুখ ফুলে যাই, আর নিস্বাস এ সমস্যায় ভুগে। আর শরীর এতই দূর্বল হয়ে যাই যে টাংলাং পাস এ নেমে ছবি তোলার ইচ্ছা কারো থাকে না। কেউ কেউ লাদাখ থেকে by air back করার কথা ভাবতে থাকে।
পথে একটা জায়গাই আমরা ছবি তুলতে নামি। তখন আমাদের ড্রাইভার হঠাত বলে ঊঠে “ মুঝে কাভি পাতা নেহি হেয় ইন্ডিয়া মে ইস্তারা কি এক আচ্ছি জাগা ভি হ্যায়” ।এর পরেই সে বমি দেই। একজন ইন্ডিয়ান Driver এর মুখ থেকে এই কথা বের করতে পারা এই ট্রিপ এর অনেক বড় পাওনা।

Post Copied From:Mizan Rana>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঢাকা-কলকাতা-দিল্লী-মানালী-সিমলা-আগ্রা ট্যুর সমন্ধে আমার অভিজ্ঞতা

আমার মত যারা প্রথম বিদেশ ভ্রমন করার চিন্তা করছেন তারা বিশেষ করে অনেক দুশ্চিন্তায় থাকেন বাজেট কত লাগবে, ট্যুর প্লান কি করব, নিরাপত্তার ইস্যু, কোথায় থেকে কিভাবে কোথায় যাব, সব চিনব তো? আর যদি সাথে ফ্যামিলি নিয়ে যান তাহলে তো কথাই নেই। আমি আমার অয়াইফ নিয়ে উক্ত রুটে ভ্রমন করেছি। এবং আল্লাহর রহমতে বেশ ভালভাবেই সম্পন্ন করে গত ৩১ শে অক্টোবর দেশে ফিরেছি। যাবার আগে কত যে চিন্তা ভাবনা করেছি তার ইয়ত্তা নেই। এজেন্ট এর মাধ্যমে যাব কিনা, একা এত সব কিছু ম্যানেজ করতে পারব কিনা, সাথে মেয়ে মানুষ থাকবে আবার ইন্ডিয়ার এখন যা অবস্থা দিল্লী তো ধর্ষনের মাপকাঠিতে বেশ উপরেই আছে। বলে রাখা ভাল, আমার ফেসবুক একাউন্ট ছিল না, টিওবি সমন্ধে একজনের কাছে শুনার পর একাউন্ট ওপেন করি এবং টিওবিতে যুক্ত হই। তারপর সবই ইতিহাস। এই ছেলে একাই পুরো ট্যুরের প্লান করে বউকে নিয়ে কোনো এজেন্ট ছাড়াই দিব্যি সফল ট্যুরের বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।
আমার পোষ্টটি বিশেষ করে তাদের কাজে আসবে যারা খরচের চিন্তা না করে ফ্যামিলি নিয়ে সুন্দর একটা রিলাক্স ট্যুর দিতে চান।
প্রথমেই আসি রুট প্লান সমন্ধে। দেখুন যে রুটের কথা আমি বলছি সেই রুটে অনেক ভাবে ভ্রমন করা যেতে পারে। সম্ভাব্য প্লান গুলো এই রকম হতে পারে;
 ঢাকা থেকে সরাসরি দিল্লী রিটার্ন এয়ার তারপর দিল্লী থেকে সিমলা-মানালী-দিল্লী করতে পারেন আবার দিল্লী-মানালী-সিমলা-দিল্লী করতে পারেন।সেক্ষেত্রে কোলকাতা বাদ পরবে।
 ঢাকা-কোলকাতা বাসে যেয়ে কোলকাতা-দিল্লী রাজধানী ট্রেন তারপর দিল্লী থেকে সিমলা-মানালী-দিল্লী করতে পারেন আবার দিল্লী-মানালী-সিমলা-দিল্লী করতে পারেন।
 ঢাকা-কোলকাতা মৈত্রী ট্রেনে গিয়ে কোলকাতা থেকে দিল্লী রাজধানী ট্রেন তারপর দিল্লী থেকে সিমলা-মানালী-দিল্লী করতে পারেন আবার দিল্লী-মানালী-সিমলা-দিল্লী করতে পারেন।
 ঢাকা-কোলকাতা মৈত্রী ট্রেনে গিয়ে কোলকাতা থেকে কালকা ট্রেনে যেয়ে, কালকা থেকে টয় ট্রেনে সিমলা যাবেন। এখানে উল্লেখ্য টয় ট্রেন কিন্তু ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের একটি। তারপর সিমলা থেকে মানালী বাসেও যাওয়া যায় ভাড়া ৮০০ রুপি আবার ট্যাক্সি রিজার্ভ নিতে পারেন ভাড়া ২৬০০ থেকে ৫৫০০ রুপি পরবে।
আমার রুট প্লান টা বলে নিই।আমার বউ কখনো ট্রেনে উঠে নাই তাই আমি একটা ট্রেন অপ্সন রাখছি। ঢাকা-কোলকাতা মৈত্রী ট্রেন, কোলকাতা-দিল্লী রিটার্ন বাই এয়ার ইন্ডিগো, দিল্লী-মানালী এসি ভলভো বাস HRTC । মানালী-সিমলা ট্যক্সি রিজার্ভ, সিমলা-দিল্লী এসি ভলভো বাস HRTC। দিল্লী লোকাল সাইট ট্যাক্সি এবং ট্যূরিস্ট বাস, আগ্রা ফোর্ট, তাজমহল ট্যূরিস্ট বাস, কোলকাতা-ঢাকা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স।

টিকেট সংগ্রহঃ পাসপোর্টের অরিজিনাল কপি নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে যেতে হবে অন্য কারো কাছে পাঠিয়ে দিলেও হয় সমস্যা নাই কিন্তু টিকেট কাটতে পাসপোর্টের অরিজিনাল কপি দরকার এটাই হল মুলকথা। তো মৈত্রীর টিকেট কাটলাম কমলাপুর থেকে ১৬৩৩ টাকা পার টিকেট, তারপর ইন্ডিগো এয়ারের টিকেট কাটলাম গুলশান নন্দোস এর উপরে ইন্ডিগোর এজেন্ট এর কাছ থেকে রাউন্ড ট্রিপ কোলকাতা-দিল্লী ১১৯০০ টাকা পার পারসন।

প্রথম দিন
অক্টোবরের ২০ তারিখ সকাল সকাল যাত্রা শুরু করলাম। ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছলাম সকাল ৭ টার দিকে। অনেক লোকের ভীড়, লম্বা লাইন ধরে ভীতরে ঢুকলাম। নির্ধারিত আসনে বসে পড়লাম। আমার ওয়াইফ দেখলাম বেশ অন্য রকম অনুভুতিতে আবিষ্ট। প্রথম দেশের বাইরে যাচ্ছে হোক সেটা ভারত। ট্রেন ছাড়ল সকাল ৮:১০ এ। প্রায় আধা ঘন্টা পর নামল ঝুম বৃষ্টি। চারিদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন আর আমি হেমন্ত দার গান শুনছি;

“এই আছি এই নেই আমি যেন পাখী মেলি পাখনা
সীমানার সীমা ছেড়ে যাই দূর প্রান্তে
নীড় একা পরে থাক থাকনা”

ট্রেনের মাঝে কিছু নাস্তা খেলাম, চিকেনের কোনো আইটেম হবে চিমসায়ে কাঠ হয়ে গেছে। একজন এসে ইমিগ্রেশনের জন্য আরোহন কার্ড দিয়ে গেল, ওটা পুরন করে ফেললাম।ট্রেনের খাবার সরবরাহকারি এসে দুপুরের খাবারে অর্ডার নিয়ে গেল ১৫০ টাকা এক মিল। আমরা দুজনে একটার জন্য বললাম। দুপুর ২:৩০ টায় পৌঁছলাম দর্শনা স্টেশনে, তাড়াহুড়ো করে নেমে পড়লাম। বউকে নিয়ে যেতে যেতে তবুও লাইনের মাঝখানে। একজন মহিলা পুলিশ এসে বললেন আমি একাই দুইজনের টা করতে পারব। ইমিগ্রেশনের ফর্মালিটিজ শেষ করে সিটে ফিরে দেখি দুপুরের খাবার দিয়ে গেছে। খাবারের মান বেশ ভাল। দুজনে খেয়ে নিলাম। সবার ইমিগ্রেশন শেষ করে ট্রেন ছাড়ল বিকাল ৪:০০ টায়। ১০ মিনিট পর গেদে পৌঁছলাম। লাগেজ সব নিয়ে দুজন নেমে পড়লাম। আবার লম্বা লাইন। এখানে একটা ফরম পুরন করতে হয়, ডলার টাকা এবং রুপি কোনটা কি পরিমান আছে তার হিসেব দিয়ে। কাস্টমস অফিসারের সহাস্য প্রশ্ন
– কি করেন?
– আমি, প্রাইভেট জব করি।
– আপনাদের দেশের বেশীর ভাগই কি প্রাইভেট জব করে নাকি? যারা যায় তারাই প্রায় এই কথা বলে। পাসপোর্ট এ সিল মেরে বলছে, আমাদের খুশি করবেন না?
– আমি বললাম কিভাবে খুশি করব?
– কিছু দিয়ে যান।
– আমি বললাম রুপি তো করা হয় নাই আমার।
– তিনি বললেন আমরা সব নেই। দিন ১০০ টাকা দিন।
– ১০০ টাকা দিয়ে বের হয়ে গেলাম। এরা অনেক পাওয়ারফুল কিন্তু ছেছড়া!
ট্রেনে গিয়ে বসে পড়লাম। দেখি তখনো অর্ধেকের বেশী মানুষের ইমিগ্রেশন বাকি। কি আর করা নেমে এসে চা খেলাম ১৫ রুপি কাপ আর কিছু টাকা রুপি করে নিলাম। বর্ডার থেকে না ভাংগানোই ভাল। এখানে রেট কম পাওয়া যায়। সবার ইমিগ্রেশন শেষ করে ট্রেন ছাড়তে প্রায় ৬:৩০ বেজে গেল। অবশেষে চিতপুর স্টেশনে আমরা নামলাম রাত সাড়ে আটটায়। স্টেশন থেকে ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেলাম মারকুইস স্ট্রিট। হোটেল আফসায় আগে থেকে ফোন করে রেখেছিলাম বাংলাদেশ থেকে কিন্তু গিয়ে দেখি কোনো রুম খালি নেই। অবশেষে হোটেল ভি আই পি কন্টিনেন্টাল এ উঠে পড়লাম ২৫০০ টাকা এক রাতের জন্য। কোলকাতা হোটেল ভাড়া একটু বেশী আর আমি একটু সুচিবাই টাইপের, অপরিচ্ছন্ন হোটেলে থাকতে পারিনা। ফ্রেশ হয়ে কস্তুরি (মারকুইস স্টিটের নামকরা হোটেল) থেকে খেয়ে নিলাম আর নিউ গংগা থেকে ডলার ভাংগিয়ে রুপি করে নিলাম। হোটেল রুমে গিয়ে ঘুম।

দ্বিতীয় দিন ২১ শে অক্টোবর
সকালে উঠে গোসল দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। আগের রাতে হোটেল ম্যানেজারকে বলে রেখেছিলাম ট্যাক্সি যোগার করে রাখতে, সেই মোতাবেক ট্যাক্সি হাজির। ৮:৫০ এ আমাদের ফ্লাইট দিল্লীর উদ্দেশ্যে। হোটেল থেকে রওনা হলাম ৬:৩০ এ। আধা ঘন্টার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছে গেলাম। কোলকাতার রাস্তায় জ্যাম নেই বললেই চলে। ডিজিটাল সিগনাল সিস্টেম ১০ সেকেন্ড করে সিগনাল। চেক ইন করে বোর্ডিং পাস নিয়ে প্লেনে গিয়ে উঠে বসলাম। যথাসময়ে প্লেন ছাড়ল। সকাল এগারোটায় দিল্লী বিমানবন্দর থেকে বের হলাম। ট্যাক্সি নিলাম আইএসবিটি পর্যন্ত। যেতে যেতে ট্যাক্সিওয়ালার সাথে কথা হচ্ছিল কোথায় যাব কি সমাচার। ফাজিল আমাদের নিয়ে গেল এক এজেন্টের কাছে যারা নাকি ভলভো বাস পরিচালনা করে দিল্লী থেকে মানালী পর্যন্ত। আমি আগে থেকেই খোজ খবর নিয়ে গেছি এইচ আর টি সি ভলভো বাসে যাব। তাই ড্রাইভারকে ঝারি দিলাম হালকা, আমাদের সোজা আই এস বিটি নিয়ে চলেন। বাসস্টপেজ এ নামলাম ১২ টার আগেই। ট্যাক্সি ভাড়া ৪০০। খুজে বের করলাম ২৯ নাম্বার কাউন্টার থেকে মানালির টিকেট পাওয়া যাবে। বিশ্রামাগারে বসে একটু বিশ্রাম নিলাম। টিকেট কাটলাম ২ জন মানালীর জন্য ৩০০০ রুপি। বাস বিকাল ৬:৩০ টায়। হালকা একটু নাস্তা সেরে বেরিয়ে পড়লাম। হাতে কিছুটা সময় আছে ইন্ডিয়া গেট আর রেড ফোর্ট টা দেখব বলে ট্যাক্সি ঠিক করলাম ৩৫০ রুপি দিয়ে। ঘুরে এসে যথাসময়ে বাসে উঠে বসলাম। মজার বিষয় হল বাস ছাড়ল ঠিক সময়ে এক মিনিট আগেও না পরেও না। দিল্লী থেকে যতই উত্তরে যাচ্ছি ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ছে। রাতে বাস কোনো এক হরিয়ানার ধাবায় দাড়াল কিছু না বুঝে দাম না শুনে অর্ডার দিয়ে ৪৫০ রুপি গেল জলে খাওয়া কিছুই হল না সব ঝাঝালো আইটেম। বাসে উঠে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে দেখি পাহারের আঁকাবাঁকা পথে বেয়ে বাস ছুটে চলেছে। দুই পাশে আপেলের বাগান দু চারটে আপেল আছে গাছে। আপেলের সিজন শেষের দিকে তাই গাছ অনেকটাই ফাকা।

তৃতীয় দিন ২২ শে অক্টোবর
মানালী মল রোডে পৌঁছলাম সকাল আটটার দিকে। এক নজর চারিদিকে তাকিয়ে দেখে নিলাম প্রকৃতি অপরুপ সৌন্দর্যে সেজেছে এখানে। মলে নেমেই দেখেশুনে হোটেল নিয়ে নিলাম। হোটেল হোয়াইট তারা ভাড়া ১০০০ রুপি প্রতি রাত। এখানে ৪০০ রুপি থেকে হোটেল পাওয়া যায়। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা অর্ডার করলাম হোটেলে, ৫ মিনিটের মধ্যে নাস্তা হাজির। আজ বিকেলে আনুমানিক ১ টার দিকে লোকাল সব সাইট ঘুরে দেখব আর পরদিন রোথাং যাব বলে ট্যাক্সি ঠিক করলাম লোকাল সাইটের জন্য ৮০০ আর রোথাং এর জন্য ২৫০০। খেয়ে দিলাম এক ঘুম। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিচে নামলাম। ট্যাক্সি হোটেলের নিচেই দাঁড়িয়ে ছিল। বেরিয়ে পড়লাম। হাদিম্বা মন্দির,তারপর পাশেই আরও একটা মন্দির, ক্লাব হাউজ, হিম ভ্যালি, বিয়াস নদি দেখে দিন পার করে দিলাম।

চতুর্থ দিন ২৩ শে অক্টোবর
ট্যাক্সি হোটেলের নিচে দাঁড়িয়ে। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিচে নামলাম। রওনা হলাম রোথাং এর উদ্দেশ্যে। পাশের পাহারের উপড় মেঘ আছড়ে পড়ছে, একটার উপড় আরেকটা লুটোপুটি খাচ্ছে। আর আমাদের ট্যাক্সি পাহারের ঢালু রাস্তা বেয়ে ধীরেধীরে ঊঠছে চুড়ার দিকে। পথ থেকে বরফে যাওয়ার পোশাক ভাড়া নিলাম ৩০০ রুপি, মোটা মোজা ১০০ টাকা ১ জোড়া। প্রকৃতি এত সুন্দর হতে পারে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। অবশেষে আমরা প্রায় ২ ঘন্টা পর পৌঁছলাম রোথাং এ। বরফ দেখে কি অবস্থা হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। আমি পিচ্চিদের মত ছুটাছুটি শুরু করে দিলাম। বরফ হাতে নিয়ে টিকতে না পেরে এক জোড়া হ্যান্ড গ্লোভস নিলাম ১০০ রুপিতে। বরফ ছোড়াছুঁড়ি পর্ব শেষ করে হোটেলে ফিরে এলাম। বিকেলটা মলে ঘুরে কেনাকাটা করে কাটিয়ে দিলাম। মানালীর ড্রাইভারের মাধ্যমে সিমলা যাওয়ার একটা ট্যাক্সি ঠিক করলাম ২৭০০ রুপিতে। এখান থেকে এইচ আর টি সি এর ডিলাক্স বাস যায় সিমলা পর্যন্ত ভাড়া ৮০০ রুপি করে। আমি ট্যাক্সি বেছে নিলাম নিজের মত করে যাব বলে।

পঞ্চম দিন ২৪শে অক্টোবর
মানালী থেকে রওনা হলাম সকাল সাড়ে সাতটার দিকে। আধা ঘন্টার মধ্যে কুল্লু পৌঁছলাম। কুল্লু কিন্তু শালের জন্য বিখ্যাত। এখানকার শাল অনেক ভাল। আমার অফিসের বস ইন্ডিয়ান উনার কাছে থেকে শোনা। শাল ফ্যাক্টরি থেকে কয়েকটা শাল কিনলাম বেশ সাশ্রয়ী দামে। একটু যেয়ে পাঞ্জাবী এক ধাবায় নাস্তার জন্য দাড়ালাম। এদের সব খাবারে এক ধরনের মসলা ব্যবহার করে, আমার এত বিশ্রী লাগে! মুখেই তুলতে পারিনা। কোনোমতে দু লোকমা খেয়ে আবার রওনা হলাম। এই মানালী থেকে সিমলা আসার রাস্তাটা অনেক সুন্দর তাই দিনে ভ্রমন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আসার পথে প্যন্দহ ড্যাম পরবে এক কথায় অসাধারন। সবুজ পাহারে ঘেরা নীল পানির আধার চোখ ধাঁধানো জিনিস। পাহাড়, সবুজ আর পাইন গাছের বন পেরিয়ে ৯ ঘন্টা পর আমরা পৌঁছলাম শিমলাতে। ড্রাইভারের এক পরিচিতের মাধ্যমে হোটেল ঠিক করলাম ১৫০০ প্রতি রাত হিসেবে কিন্তু কথা ছিল হোটেল পছন্দ না হলে নিব না। মল এর পাশেই হোটেলের অবস্থান। পজিশন আর হোটেলের পরিচ্ছন্নতা দেখে পছন্দ হয়ে গেল। উঠে পড়লাম। শিমলা হিমাচলের রাজধানী তাই এখানে খরচ একটু বেশী। ১০০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যেই হোটেল নিতে হবে। ফ্রেশ হয়ে মলে বেরিয়ে পরলাম। যেহেতু সারাদিন জার্নি করে ক্লান্ত তাই বেশী সময় ঘোরাঘুরি না করে হোটেলে এসে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। রাতের খাবার ২০০ টাকায় দুইজন।

ষষ্ঠ দিন ২৫ শে অক্টোবর
ট্যাক্সি রিজার্ভ সারাদিন ঘোরাঘুরি ১০০০ রুপি। সকাল ১০ টায় বের হলাম। প্রথমে হিপ হিপ হুররে। এটা পাহাড়ের গা ঘেষে গড়ে তোলা এমিউজমেন্ট পার্ক। এন্ট্রি ফি ২০০ টাকা প্রতিজন। তারপর কুফরি। এখানে ঘোরায় চড়ে পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে হয় ২৮০০ মিটার উপড়ে। ঘোড়া উঠা চার্জ ৫২০ জনপ্রতি। বিকেলে শিমলা মলে চলে এলাম। এখানে রিটজ, মল রোড, স্ক্যন্ডাল পয়েন্ট, জাকু টেম্পল দেখলাম। পুরো বিকেলটা কাটিয়ে দিলাম মল রোডে। শিমলা সত্যিই একটা দেখার মত যায়গা। পাহারে গা বেয়ে বেয়ে সুনিপুনভাবে গড়ে তোলা শহর, ছিমছাম রাস্তা দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। বিকেলে স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট থেকে দিল্লীর টিকেট কাটলাম HRTC AC VOLVO BUS এ ৯০২ রুপি জনপ্রতি। রাতে হোটেল যেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। শিমলায় কোনো কেনকাটা নয় কারন এখানে নিজস্ব কোনো ইন্ডাস্ট্রি নেই তাই জিনিসপত্রের দাম বেশি। একটা জিনিস খুব চলে এখানে সেটা হল বিভিন্ন ধরনের মদ।

সপ্তম দিন ২৬ শে অক্টোবর
সকালে উঠে হোটেল চেক আউট করে বেরিয়ে পরলাম ট্যাক্সি নিয়ে ISBT এর উদ্দেশ্যে। এটা মল রোড থেকে ৭ কিলো দূরে। ট্যাক্সি ভাড়া ৩০০ রুপি। বাসে উঠে বাংলাদেশী এক কাপল পেলাম। আলাপ করে খুব ভাল লাগল। এক সাথে দিল্লী আসলাম। পৌঁছলাম বিকেল ৫:০ টায়। ৩৫০ টাকায় ট্যাক্সি নিয়ে পাহারগঞ্জ চলে গেলাম। হোটেল ঠিক করলাম ৭০০ রুপি প্রতি রাত। হিসেব করে চলা শুরু করেছি কারন টাকা ফুরিয়ে আসার পথে। সন্ধায় বের হয়ে ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথ থেকে ডলার ভাংগালাম ৬৪ রুপি করে। পরের দিন শুক্রবার। আমাদের প্লান ছিল আগ্রা যাব পরের দিন কিন্তু সেটা হলনা। প্লান করলাম শুক্রবার দিল্লীর লোকাল সাইট দেখব আর শনিবার আগ্রা। সে অনুযায়ী ট্যুরিস্ট বাসের জন্য বুকিং দিয়ে দিলাম। খুজে কলকাতার মালিকের এক হোটেল খুজে বের করে ১৫০ টাকা থালি হিসেবে খেয়ে হোটেলে এসে ঘুমিয়ে পরলাম। পাহারগঞ্জে নন এসি হোটেল ৬০০-১০০০ টাকায় আর ১০০০-২০০০ টাকায় এসি হোটেল পাওয়া যায়।

অষ্টম দিন ২৭ শে অক্টোবর
ট্যুরিস্ট বাসে করে বিরলা মন্দির, প্রেসিডেন্ট হাউজ, ইন্ডিয়া গেট, কুতুব মিনার, লটাস টেম্পল, রাজঘাট (গান্ধীজীর সমাধী), রেড ফোর্ট দর্শন। রাতে চাদনি চকে কেনাকাটা আর জামা মসজিদের পাশে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়া দাওয়া শেষে হোটেলে ফিরে এলাম। ভাল কথা চাদনি চকের হলদিরাম বেকারি থেকে দিল্লীর প্রায় ১০-১২ রকমের লাড্ডু সব গুলা একটা করে খেয়ে এসেছি এক কথায় অসাধারন।

নবম দিন ২৮ শে অক্টোবর
ট্যুরিস্ট বাসে করে আগ্রা যাত্রা। ট্যাক্সি রিজার্ভ ভাড়া ৪০০০ এর কাছাকাছি। আমার টাকা প্রায় শেষ পর্যায়ে তাই ট্যুরিস্ট বাসেই গেলাম। ট্যুরিস্ট বাসের একটা পেইন হলো এরা বেজায়গায় দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করে যেখানে আপনার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রথমে আগ্রা ফোর্ট টিকেট ৮০ রুপি করে তারপর লাঞ্চ বিরতি। ২:০ টার দিকে তাজমহল ঢুকলাম টিকেট ৫৩০ রুপি করে। এখানে পাস্পোর্ট এবং ভারতীয়দের আধার কার্ড চেক করে। সো সাবধান। রাতে হোটেলে ফিরলাম ১২ টার দিকে। মথুরা এবং বৃন্দাবন ও দেখাইছে কিন্তু আমরা নামি নাই বাস থেকে।

দশম দিন ২৯ শে অক্টোবর
সকালে হোটেকে চেক আঊট করে অটো নিয়ে বের হয়ে পড়লাম দিল্লী বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। ৯:৫০ এর ফ্লাইটে ইন্ডিগো এয়ারে কোলকাতা নামলাম ১২ টার দিকে। হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল এ চলে গেলাম। এন্ট্রি ফি বাগান+মিউজিয়াম ২০ রুপি। হোটেল নিয়েছিলাম মারকুইস স্ট্রিটে আর এটা ওর কাছাকাছি। ভিক্টোরিয়া ঘুরে রাতে ফিরে মারকুইস স্ট্রিটের খালিক হোটেলে খেয়ে রাতে শুয়ে পরলাম।

একাদশ দিন ৩০ শে অক্টোবর
গরিয়া হাট শাড়ি কিনতে গেলাম আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয় থেকে শাড়ি কিনলাম। এখানে শাড়ির প্রচুর কালেকশন। বিকেলে চলে গেলাম কোলকাতা নিউ মার্কেট। কেনাকাটা শেষে রাতে খাবার খেয়ে হোটেল ঘুম।

দ্বাদশ দিন ৩১ শে অক্টোবর
ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সে টিকেট কাটা ৩:৪০ এ ফ্লাইট। চকলেট আর সাবান কিনা বাকি ছিল। সকালে নাস্তা করে নিউ মার্কেট গেলাম আবার। শ্রী লেদার থেকে ইচ্ছেমত জুতা স্যান্ডেল কিনে ব্যাগ ভরে ফেললাম, চক্লেট কিনলাম। ব্যাগপত্র গুছিয়ে হোটেল চেক আউট করলাম ১২ টার আগেই। ট্যাক্সি নিয়ে বিমানবন্দর রওনা হলাম। ট্যাক্সি ভাড়া ৩০০ । ইমিগ্রেশন পার হয়ে বোর্ডিং পাস নিয়ে যথাসময়ে বিমানে উঠে বসলাম। ইউএস বাংলার সার্ভিস আমার ধারনাই পালটে দিল। এত সুন্দর পরিসমাপ্তির জন্য ইউএস বাংলাকেও ধন্যবাদ। পরিশেষে শুধু এই টুকুই বলতে চাই টিওবি না হলে আমার পক্ষে একা এই ট্যুর করা সম্ভব হত না। আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা টিওবির প্রতি।

মোট খরচঃ ৮৬০০০ দুইজন (আমি আর আমার ওয়াইফ) ট্রান্সফার+হোটেল+খাওয়া

Post Copied from:Anwar Hossain>Travelers of Bangladesh (ToB)