২০০০ টাকা মাথাপিছু বাজেটে শ্রীমঙ্গল ঘুরার প্ল্যান

রুটঃ
১ম দিন: ঢাকা- শ্রীমঙ্গল- লাউয়াছড়া উদ্যান- ভানুগাছ- মাধবপুর
লেক- শ্রীমঙ্গল ট্রি মিউজিয়াম (শ্রীমঙ্গল।)
২য় দিন: শ্রীমঙ্গল- ঘাটের বাজার- হাইল হাওর- বাইক্কা বিল- মিনি
চিড়িয়াখানা- শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন- কুলাউড়া।
৩য় দিন: কুলাউড়া- কাঁঠালতলি- মাধবকুণ্ড- পরিকুণ্ড- মাধবকুণ্ড-
বড়লেখা- ঢাকা।
আনুমানিক খরচঃ
৪-৫ জনের একটি ট্যুরে খরচ হবে আনুমানিক ১০ থেকে
১২ হাজার টাকা।
★ প্রথম দিনঃ
যেভাবে যাবেন- ( ঢাকা-শ্রীমঙ্গল )
সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে রাত ১২ টার শ্যামলী, সিটিলিংক,
হানিফ পরিবহনের বাসে অথবা রাত ৯ টা পরের ট্রেনে যাত্রা
শুরু করলে ভোরে শ্রীমঙ্গলে পৌছুতে পারবেন। ঢাকা
থেকে শ্রীমঙ্গলের ট্রেন বা বাসের সর্বনিম্ন এবং
সর্বোচ্চ ভাড়া ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল-লাউয়াছড়া উদ্যানের গেট, – ভানুগাছ চৌমুনা-মাধবপুর
লেক-শ্রীমঙ্গল ট্রি মিউজিয়াম গেট(শ্রীমঙ্গল)
শ্রীমঙ্গল স্টেশন বা বাস টার্মিলানের আশেপাশে
সকালের নাস্তা সেরে গল্প করতে করতে পৌছে যান
ভানুগাছ টেম্পু স্টেশনে। কাউকে জিজ্ঞেস করলেই
দেখিয়ে দেবে ভানুগাছ টেম্পো স্টেশন। তারপর,
ভানুগাছের সিএনজিতে করে লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্টের
গেটে গিয়ে নেমে পড়ুন। গেট থেকে টিকেট
নিয়ে ঢুকে পড়ুন ভিতরে। উদ্যানের ভিতর এক, দেড় ও তিন
ঘন্টার মোট তিনটি ট্রেইল আছে, যেখানে পর্যটকরা
প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে পারে। ঘণ্টা
দুয়েক বনের ভেতরে ঘুরে বেড়াবেন।
চোখে পড়বে হরেক রকম প্রজাতির কীটপতঙ্গ,
গাছপালা, পাখি ও অর্কিড। মিলতে পারে হনুমান, বানর এবং
উল্লুকের দেখাও।
পাকা রাস্তা, পথ হারানোর ভয় নেই।
অতঃপর,লাউয়াছড়াকে বিদায় জানিয়ে মূল সড়কে এসে
দাঁড়াবেন। এবং লোকাল সিএনজি বা টেম্পোতে চড়ে
ভানুগাছ চৌমুনাতে পৌছবেন। ওখানে দুপুরের খাবার খেয়ে
সিএনজি করে সোজা চলে যাবেন মাধবপুর লেকে।
চা-বগানের আঁকাবাঁকা পথ, সবুজের সমারোহ, লেকের
ঝলমল পানি, ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ, শাপলা শালুকের আর মৌসুমি
পাখির উপস্থিতি আপনাদের মুগ্ধ করবে। মাধবপুর লেক
থেকে শ্রীমঙ্গল ফেরার পথে শ্রীমঙ্গল ট্রি
রিসোর্ট এণ্ড মিউজিয়ামের গেটে নেমে কিছুক্ষণ
সবুজ আঁকাবাঁকা চা-বাগানের পথে হাটবেন। পাখপাখালি আর মুক্ত
বাতাস সারা দিনের ক্লান্তি কিছুক্ষণের মধ্যে ভেনিস করে
দেবে।
ততক্ষণে সূর্য পশ্চিমে হেলে যাবে। আপনারাও
শ্রীমঙ্গল ট্রি রিসোর্ট বা পছন্দমত কোনো
হোটেলে বুকিং করে ডিনার সেরে বিশ্রাম নেবেন।
**শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কয়েকঘন্টার জন্য একটা
সিএনজি বা মাইক্রোবাস রিজার্ভ করে উল্লিখিত
স্থানগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন। ঢাকা থেকে
শ্রীমঙ্গলের ভাড়া এবং ১ম দিনের ঘুরাঘুরি ও
হোটেলে থাকা বাবত খরচ হবে প্রায় ৫০০০টাকা
★ ২য় দিনঃ
শ্রীমঙ্গল-ঘাটের বাজার- হাইল হাওর-বাইক্কা বিল- সিতেশ
দেবের চিড়িয়াখানা- শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন- কুলাউড়া
পরেরদিন ভোরে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়তে পড়েন
বাইক্কা বিলের উদ্দেশ্যে। শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার
সড়ক ধরে কালাপুর বাজার থেকে একটু সামনে এগোলেই
বরুনা-হাজীপুর পাকা রাস্তা। শহর থেকে অটোরিকশা চড়ে
বরুণা বাজার যেতে পারবেন। সেখান থেকে লোকাল
সিএনজি বা অটোরিকশা চেপে বসে যেতে পারেন
হাজীপুর বাজারে। বাজারটি ‘ঘাটের বাজার’ নামে বেশ পরিচিত।
সেখান থেকে অটোরিকশা বা পায়ে হেঁটে প্রায় ৩-৪
কিলোমিটার দূরে গেলেই দেখতে পাবেন বাইক্কা বিল।
বাইক্কা বিলের মূল আকর্ষণ পরিযায়ী আর স্থানীয় পাখি। এই
মৌসুমে অর্থাৎ শীতে দুপুর গড়ানোর সাথে সাথে বিলে
উপস্থিত হতে পারলে দেখতে পারবেন দলে দলে
পার্পল সোয়াম্প হেন, ছোট বড় পানকৌড়ি আর
হরেকপ্রজাতির দেশি বিদেশী পাখির বিচরণ।
এছাড়া পদ্মপাতার জল আর পাখির কলরোল আপনাদের মুগ্ধ
করবে খুব গোপনে। বিলের আশেপাশে খাওয়ার ব্যবস্থা
নেই,ক্যাম্প না করলে সাথে হালকা খাবার এবং পানি রাখতে
ভুলবেন না।
বিল দেখে ফেরার পথে ঘুরে আসুন সিতেশ দেবের
মিনি চিড়িয়াখানা। শ্রীমঙ্গল পৌর শহর থেকে মাত্র ১
কিলোমিটার দূরে মিশন রোডের একটি বাড়িতে সিতেশ
বাবুব ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই মিনি
চিড়িয়াখানাটি । চিড়িয়াখানায় প্রবেশমাত্রই চোখে পড়বে
গুঁইসাপ ! মেছো বাঘ । এক সময় প্রচুর পরিমাণে
শ্রীমঙ্গলে দেখা যেতো এই বাঘ । এছাড়াও
চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে জংলী রাজহাঁস, চখা , সরলী , রাজ
সরলী , চা পাখি , ধনেশ , হরিয়াল , সবুজ ঘুঘু , বনমোরগ ,
ডাহুক , জল কবুতর , নীল গলা বসন্ত বৌরি , তিলা ঘুঘু ও তিতির ,
ময়না , টিয়া , তোতা , পাহাড়ি বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ।
সোনালি কচ্ছপ । যারা আগে কখনো সোনালি কচ্ছপ
দেখেননি , নিঃসন্দেহে তাদের কাছে এই কচ্ছপটি
বিস্ময়কর মনে হবে । এই প্রানিটি ফল খায়, গাছে চড়ে ।
ছোট্ট এই চিড়িয়াখানার আরেক আকর্ষণ উড়ান্ত কাঠবিড়ালী,
বিলুপ্তপ্রায় সাদা বাঘ, মায়া হরিণের দল, ভালুক, অজগর, সজারু, সাদা
ডুরাকাঁটা সোনালী বাঘ, পায়রা ও লম্বা লেজওয়ালা হনুমান ।
তবে যাওয়ার সময় যদি হাতে সময় থাকে তাহলে কথা বলে
যেতে পারেন চিড়িয়াখানার পরিচালক সিতেশ বাবুর সাথে।
ভালো লাগবে।
সন্ধ্যার পুর্বে শহরে ফিরতে পারলে দু’টো রিকশা চড়ে
গোধূলির চা নগরী(শ্রীমঙ্গল) দেখতে দেখতে
চলে যেতে পারেন রমেশ বাবুর নীলকণ্ঠ চা
কেবিনে।
শুনেছি সাতরঙা চা এখন অষ্ট রঙে উন্নীত হয়েছে।
অপরূপ এই সাতরঙা চা দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। চা
খেয়ে সন্ধ্যা ৬ টার পরের জয়ন্তিকা (ট্রেন) চলে যান
কুলাউড়ায়। এবং স্টেশনের পাশের পছন্দমত কোন
হোটেলে রাত্রি যাপন করুন।
** শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কয়েকঘন্টার জন্য একটা
সিএনজি বা মাইক্রোবাস রিজার্ভ করে উল্লিখিত
স্থানগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন। খরচ পড়বে
১২০০ থেকে ১৫০০টাকা। এবং কুলাউড়া ৪ জনের থাকা ১৫০০
টাকা।
★ ৩য় দিন/শেষ দিনঃ
কুলাউড়া-কাঠালতলি- মাধবকুণ্ড-পরীকুণ্ড- বড়লেখা-ঢাকা
কুলাউড়া থেকে বড়লেখার সিএনজি বা বাসে করে জুড়ির চা
বাগান, মৎস কামার আর ছায়াতরুর পথ দেখতে দেখতে ৪০-৪৫
মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন কাঠালতলি বাজারে। সিএনজি বা
বাসের চালক’কে বললে কাঠালতলিতে নামিয়ে দেবে।
বাজারে দুপুরের খাবার খেয়ে ১০০-১৫০ টাকার মধ্যে একটা
সিএনজি ভাড়া করে চলে যাবেন মাধবকুণ্ডে
অতঃপর,সারাদিন মাধকুণ্ডে জলপ্রপাত, জলপ্রপাতের চুড়া, চা
বাগান, কমলা বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি দেখে এবং
নতুন ঝর্ণাধারা পরীকুণ্ড জলপ্রপাতে ইচ্ছে মতো ঘুরে
বিকেলে সিএনজিতে চড়ে চলে যাবেন বড়লেখা উত্তর
বাজার শ্যামলী পরিবহণের কাউন্টারে। অথবা কাঠালতলি
থেকে কুলাউড়া রেল স্টেশনে। এবং বিকেল ৪ টা বা
সন্ধ্যা পরের বাসে/ট্রেনে ব্যাক করতে পারবেন ঢাকায়।
**শেষদিনে ঘুরাঘুরি এবং ঢাকার ভাড়াসহ খরচ পড়বে ২৫০০
টাকা মতো।
পরামর্শঃ
* সাথে শীতের কাপড়, হাটার জন্য স্নিকারস অথবা আরামদায়ক
স্যন্ডেল এবং কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র রাখবেন।
* বনে হাটাহাটি করতে চাইলে অতিরিক্ত বোঝা বহন না করাই
ভাল।

তেলিয়াপাড়া চা বাগান

মাধবপুর, হবিগঞ্জ

ঢাকা সিলেট মহাসড়ক বা তেলিয়াপাড়া রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলো অভ্যন্তরে রাস্তার দুই পাশে দেখা মিলে সবুজ চা বাগানের অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য ।চা বাগানের মাঝে পিচঢালা আঁকাবাঁকা রাস্তা। সমতলের চা বাগান ও কিছু টিলাময় চা বাগান আছে হবিগঞ্জেও। এছাড়া ভ্রমন পিপাসুরাও ছুটে আসেন ১৯৭১সালের যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ দেখতে। সময়ের অভাবে যারা সমতলের চা বাগান দেখতে পঞ্চগড় বা পাহাড়ি চা বাগান সিলেট যেতে পাড়ছেন না। তারা ঢাকার খুব কাছেই এই সমতলের চা বাগান দেখে আসতে পারেন। এখানে তেলিয়াপাড়া সুরমা,সায়েদাবাদ চা বা ৮/৯টি ছোট বড় চা বাগান রয়েছে। আর কাছেই আছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান।

কি ভাবে যাবেন : সিলেটগামী যে কোন বাস এনা হানিফ বা দিগন্ত বাসে উঠে হবিগঞ্জের মাধবপুর বা মাধবপুর পার হয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ চত্বর’ নামবেন। ঐখান থেকে ডান দিকে তেলিয়াপাড়া লেগুনা বা সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন তেলিয়াপাড়া চা বাগান।

Post Copied From:

Ismail Hossain‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

কথায় আছে প্রচারে প্রসার

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান”

কথায় আছে প্রচারে প্রসার। ঢাকার এত কাছে হয়েও এত প্রচারের আলোয় আসে নেই সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট। ওয়াইল্ড লাইফ কে খুব কাছে থেকে দেখতে হলে আসতে হবে সাতছড়ি। কি নেই এখানে চা বাগান থেকে শুরু করে বিচিত্র সব বন্য প্রাণী, পাখি গাছগাছালী। একটি ডে ট্যুরের সব ইলেমেন্ট আছে এখানে। ঢাকা থেকে দিনে এসে রাতের ভিতর ফিরত যেতে পারবেন। পর্যটকদের জন্য এখানে আছে তিনটা হাটার ট্রেইল(৩০ মি, ১ ঘন্টা, ৩ ঘন্টা), ওয়াচ টাওয়ার, বাটারফ্লাই গার্ডেন। যে কোন রিজার্ভ ফরেস্টের মূল আর্কষন এর ওয়াচ টাওয়ার। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে পুরো বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারবেন।

তবে রিজার্ভ ফরেস্টে ঘুরার আগে কিছু ব্যাপার মাথায় রাখবেন এইটা আপনার শহর বা বাসার বেডরুম না। প্রকৃতিকে প্রকৃতির মত উপভোগ করুন নিরবে। আপনাদের অতিরিক্ত চিল্লাচিল্লির কারনে বনের পশুপাখিরা বিরক্ত হয়। মনে রাখবেন এইটা পশুপাখীদের ঘর বাড়ী, আর আপনি তাদের মেহমান। তাই বনে নিরবতা বজায় রাখুন। বন্য প্রাণীর ক্ষতি হতে পারে এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন। সর্বপরি শহর থেকে নেওয়া ময়লা শহরে গিয়ে ফেলুন। বন পরিষ্কার রাখুন।

কি ভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সিলেটগামী যে কোন বাসে মাধবপুর। মাধবপুর থেকে লেগুনা বা রিজার্ভ অটো করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান।

Post Copied From:Ashik Sarwar‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঘুরে আসুন→সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক উদ্যান। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ/সংশোধন আইনের বলে ২৪৩ হেক্টর[১] এলাকা নিয়ে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে “সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান” প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই উদ্যানে সাতটি পাহাড়ি ছড়া আছে, সেই থেকে এর নামকরণ সাতছড়ি (অর্থ: সাতটি ছড়াবিশিষ্ট)।[সাতছড়ির আগের নাম ছিলো “রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্ট”।]

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এর দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। উদ্যানের কাছাকাছি ৯টি চা বাগান আছে। উদ্যানের পশ্চিম দিকে সাতছড়ি চা বাগান এবং পূর্ব দিকে চাকলাপুঞ্জি চা বাগান অবস্থিত।

“নিসর্গ” নামের একটি এনজিও, বন বিভাগের পাশাপাশি, তাদের ‘নিসর্গ সহায়তা প্রকল্প’-এর অধীনে এই জাতীয় উদ্যানের দায়িত্ব পালন করে। নিসর্গের তত্ত্বাবধানে বন সংরক্ষণ ছাড়াও, বনে ইকো-ট্যুর পরিচালিত হয়।

পর্যটকদের জন্য নিসর্গ কর্মসূচীর আওতায় ৩টি ট্রেইল তৈরি করে দেয়া হয়েছে।

আধা ঘন্টার ট্রেইল: ১ কি.মি দৈর্ঘ্যের এই ট্রেইল ধরে বনের মধ্যে অবস্হিত একমাত্র গ্রাম টিপরা পাড়াতে যাওয়া যায়।

এক ঘন্টার ট্রেইল: বৈচিত্রময় বনের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী/উদ্ভিদ দেখতে চাইলে এই ট্রেইল ধরে এগিয়ে যাওয়া উচিত। আমার এই ট্রেইলে সাতছড়ি দেখা হয়েছে।

তিন ঘন্টার ট্রেইল: ৬ কি.মি দৈর্ঘ্যের এই ট্রেইল ধরে এগুলে পেয়ে যাবেন আগরের বন। পাখি প্রেমীদের জন্য এই ট্রেইল আদর্শ।

উদ্ভিদের মধ্যে গর্জন, কড়ই, চাঁপালিশ, শিমুল, বনবড়ই, হাড়গোজা, বহেড়া, হরিতকী, শেওড়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। প্রাণীদের মধ্যে গন্ধগোকুল, উল্লুক, উল্টালেজী বানর, লজ্জাবতী বানর, মায়া হরিণ, মেছোবিড়াল, গুই সাপ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের মাধবপুর থানার সায়হাম চত্বরে এসে হাতের ডান দিকে মোড় নিয়ে আসতে হবে। সড়কপথে ঢাকা থেকে ২.৫-৩ ঘন্টা লাগবে। তথ্য কেন্দ্র থেকে গাইড পাবেন।

যেভাবে যেতে হবেঢাকার সায়েদাবাদ হতে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কয়েকটি বাস হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে সড়কপথে হবিগঞ্জের দূরত ১৭৯ কি মি। । সময় লাগে সাড়ে তিন ঘন্টা। হবিগঞ্জ থেকে জেতে হবে ছুনারুঘাট

রেলপথে দূরত্ব ২৪২ কি মি। রেলপথে ট্রেনে শায়েস্তাগঞ্জ নেমে এরপর বাস ধরে হবিগঞ্জ বা মাধবপুর বা চুনারুঘাট যেতে পারেন।অথবা ঢাকা থেকে এসে মাধবপুর নেমে বাসে তেলিয়াপাড়া জগদীশপুর মুক্তিযোদ্বা হয়ে পূর্ব-দক্ষিণে চা বাগানের মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা পথ ধরে ছয় কিলোমিটার অগ্রসর হলেই দেখা মিলবে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের।

★★একটা কথা আপনারা কেউ কোথায় বেরাতে গেলে দয়া করে পরিবেশ নস্ট করবেন না।বিরানীর প্যাকেট,পানির বোতল,চিপস,চুইংগাম খেয়ে নির্দিষ্ট যায়গায় রাখুন।আর বন্য প্রানীর মত চিল্লা চিল্লি করবেন না,না হলে বন্য প্রানীরা আপনাদের চিল্লা চিল্লি শুনে নীরব হয়ে যায়,ভাবে আমাদের চেয়েও বন্য আছে। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত করবে না।সচেতন হন এটা যে আমাদের ধন্যে ধন্যা ভরা আমার সোনার বাংলাদেশ।

Post Copied From:Nisen Hossian‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঘুরে আসুন মৌলভিবাজারের মাধবপুর লেকে!

ঘুরে আসুন মৌলভিবাজারের মাধবপুর লেকে।এখানে প্রকৃতির কাছে আপনার চাওয়া পাওয়ার সব খুজে পাবেন।ছোট ছোট চা বাগানের পাহাড়ের সারির মাঝে জলাশয় তথা লেকের টলটলানি পানির দৃশ্য আপনার মনকে কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রায় প্রতিটি জলাশয়ের পাশের পাহাড়ের কিছু অংশ পায়ে হাটার জন্য মাটি সমান করে দেওয়া হয়েছে।সেখানের উচু পাহাড় থেকে পাশের কতকগুলো পাহাড়ের মধ্যবর্তী লেকের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করতে পারবেন।
এখানে ভ্রমণ করলে শ্রীমঙ্গলের চা বাগান সহ আশেপাশের দর্শনীয় জায়গায় একইসাথে দেখার সুযোগ পাবেন।

Post Copied From:Mahmudul Hasan Mamun>Travelers of Bangladesh (ToB)