গুরুজনরা বলেন, মানুষ চেনা যায় তিন উপায়ে। এক. দীর্ঘ ভ্রমণে। দুই. একসাথে খাওয়াদাওয়া করলে। তিন. রাত্রিযাপন করলে।
এই তিনটিই হয়ে যায় যখন কারো সাথে ট্যুরে যাওয়া যায়।
আমরা আটজন বন্ধু মিলে ঘুরে এলাম খৈয়াছড়া আর মহামায়া লেক।
মূলত একদিনেই এই জায়গাগুলো ঘুরে আসা সম্ভব। রাতে রওনা দিয়ে সারাদিন ঘুরে আবার রাতেই ব্যাক।
শীতকালে ঝর্ণায় অল্প পানি থাকে এবং বৃষ্টি কম হয় বিধায় পাহাড়ে চড়া সহজ হয়।
যখন পাহাড়ের একদম উঁচুতে উঠে বিস্তীর্ণ বনভূমি আর ক্ষুদ্র জনপদ দেখবেন;
চোখ, প্রাণ,শরীর সমস্তকিছু জুড়িয়ে যায়।
পাহাড়ে এতো কষ্ট করে ওঠে আপনি যখন চারপাশ দেখবেন, আপনার সমস্ত কষ্ট, ক্লান্ত মিলিয়ে যাবে। এতো ভালো লাগা কাজ করে, আহা!
আর ওখানকার খাবার তো জোশ। খাবার মাটির চুলায় রান্না করা বিধায় ফ্লেবারই অন্যরকম। পাহাড় চড়ার আগে খেয়ে নেয়াই ভাল।
খৈয়াছড়া থেকে দশটাকা দূরত্বে নাপিত্তাছড়া। ওখানে যাওয়া হয়নি। সামনে কোনো একদিন যাব ইনশাল্লাহ।
আমরা খৈয়াছড়া থেকে মহামায়া ইকোপার্ক গেলাম।।
মহামায়া মূলত পাহাড় আর নদীর সংমিশ্রণ। দশটাকা টিকেট কেটে ঢুকতে হয়।
পাহাড়ের মধ্যদিয়ে ইটপাথর আর সিমেন্টের ঢালাই করা রাস্তা। মনে হয় গাড়ি নিয়ে পাহাড়ে ওঠা যাবে। এখানেও বেশ সুন্দর পরিবেশ।
দিঘির লেকে ঘুরার জন্য ইঞ্চিন নৌকা আছে। যা দিয়ে একটু দূরের একটা ঝর্না ঘুরে আসা যাবে।
আমরা এক ধরনের নৌকায় ওঠেছি। কী যেন নাম ভুলে গেছি।মাত্র দুজন বসা যায়। লাইফ জ্যাকেট আর বইঠা দিয়ে দেয়।
মাঝখানে যেয়ে মাথার একটু উপর দিয়ে প্রায় এক-দেড়শো পানকৌড়ি ওড়ে গেলো।
তাকিয়ে থেকে থেকে অদ্ভুত অনুভব হলো। এতো অসাধারণ! মনে হলো বুকের ভেতর থেকে আরেকজন ‘আমি’ বের হয়ে তাদের সাথে উড়ে গেলাম।
যাতায়াত :
বাস- ঢাকা – মহিপাল। (২৭০৳)
মহিপাল থেকে খৈয়াছড়া (৪০৳)
পুনশ্চ : ছবিটা মহিপাল থেকে খৈয়াছড়া নেমে তুলেছি। এখান থেকে সিএনজি করে ঝর্ণার কাছে যেতে হয়।
Post Copied From:Shahal Hussain>Travelers of Bangladesh (ToB)