সীতাকুন্ড এবং মীরসরাই মিলিয়া আমার ভ্রমণ করা সবচেয়ে সুন্দর ঝর্ণা এটি।
প্রকৃতি এত সুন্দর করে এই ঝর্ণাটি নিজের বুকে ভাসিয়ে দিয়েছে তা নিজ চোখে না দেখলে বুঝতামই না।
যেভাবে যাবেন – চট্টগ্রাম একে খান মোড় থেকে ঢাকা,কুমিল্লাগামী যেকোন বাসে বড় দারোগারহাট চলে যাবেন।
বাজারে নেমে যে কাওকে জিজ্ঞেস করলে আপনাকে হাতের ডানে একটি রাস্তা দেখিয়ে দেবেন উনারা। ওটা ধরে সোজা পথ ধরে ২০ মিনিট হাটলে আপনি পানির ধারা পেয়ে যাবেন। এই পথে আপনি একটি খাবার হোটেল ও পেয়ে যাবেন। যদি কেও দুপুরের খাবার খেতে চান তাহলে আগে থেকে অর্ডার করে যাবেন। পানির সন্ধান পাওয়ার পর আরো ২০-৩০ মিনিট হাটার পর প্রথম ঝর্ণার খোজ পাবেন(প্রথম দুই ছবিতে দেয়া আছে)। শীত প্রায় চলে আসাতে পানির ধারা একটু কম ছিল। কিন্তু নিচে পানি প্রায় এক গলা জমা ছিল।
এই ঝর্ণার পাশ দিয়ে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে যাবেন। উপরে উঠেই দেখবেন ঝর্ণার আসল রুপ। আবার ট্রেইল শুরু করবেন। ২০-৩০ মিনিট হাটার পর দেখবেন দুটি রাস্তা দুদিকে চলে গিয়েছে। বামের পথ দিয়ে যাওয়া শুরু করবেন। ৩০-৪০ মিনিট হাটার পর পেয়ে যাবেন দ্বিতীয় ঝর্ণা।
এবং এক্ষেত্রেই আমরা সবচেয়ে লাকি ছিলাম 😍
গিয়ে দেখি ঝর্ণার নিচে খুব সুন্দর করে রংধনু উঠে আছে 😍😍 (৩য় এবং চতুর্থ ছবিতে দেয়া আছে)
যিনি গাইড ছিলেন, আমাদের উনি নিজেই বলেছেন আমি অনেককে আজ পর্যন্ত এখানে নিয়ে আসলাম কিন্তু এভাবে ঝর্ণার নিচে রংধনু উঠতে এই প্রথম দেখলাম 😍
যায় হোক, এখানে গোসল দিয়ে নিজের মনের সব সাধ মিটিয়ে নিলাম। 😂
আসার পথে আর ওই ডান দিকের রাস্তা দিয়ে অন্য ঝর্ণাটিতে যাওয়া হলো না। 😞
আপনারা অবশ্যই যাবেন।
-“প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাও। এই হারিয়ে যাওয়ার মধ্যেই হয়ত তুমি নিজেকে খুঁজে পাবে নতুন করে”
হ্যাপি ট্রাভেলিং ✌
Post Copied From:Arafat Abdullah Noor>Travelers of Bangladesh (ToB)