আমার মতো ভ্রমনপ্রিয় কেরানিদের জন্য, যারা কিনা শুক্রবার-শনিবার ছাড়া সময় বের করতে পারেন না, তাদের জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন হতে পারে কাপ্তাই-রাংগামাটি। আমরা এমনই ৬ জন কেরানি বৃহস্পতিবার রাতের শেষ বাসে (শ্যামলী পরিবহন- রাত ১১.৩০) উঠে রওনা হয়েছিলাম কাপ্তাই-এর উদ্দেশ্যে। শুক্রবার সকাল ৮ টা নাগাদ বড়ইছড়ি বাজারে নেমে সকালের নাস্তা সেরে ১০ মিনিট হেটে পৌছে গেলাম কাপ্তাই কায়াক ক্লাবে। এখানকার ভিউ দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। এরপর ফর্মালিটিজ সেরে লাইফ জ্যাকেট পরে নেমে পরলাম কায়াকিং-এ। প্রতি ঘন্টা ২৫০-৩০০ টাকা, প্রতি কায়াকে ২ জন চড়া যায়। প্রথম ১০ মিনিট এলোমেলো চালালেও, অচিরেই দক্ষ রাইডার হয়ে গেলাম একেকজন। কায়াকিং করতে করতে আমরা চলে গেলাম অনেক অনেক দূর। প্রায় ২ ঘন্টা কায়াকিং করে কায়াক ক্লাবের সামনে থেকেই অটো নিয়ে চলে গিয়েছিলাম Berannaye Lake Shore Cafe তে। দুপুরের খাবার ওখানেই খেলাম। ছোট ছোট মাচাং এর মতো করে বানানো ঘরে বসে পাহাড়ি মজাদার সব খাবার খেতে খেতে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ-সবই চললো একসাথে। কখন যে বিকাল হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। এবারের গন্তব্য রাংগামাটি। ক্যাফের সামনেই আসাম বস্তির ব্রিজ। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে অটোতে রওনা হলাম রাংগামাটির উদ্দেশ্যে। রাংগামাটিতে রাত কাটিয়ে পরদিন সারাদিন ইঞ্জিন বোটে করে টইটই করে ঘুরে বেড়ালাম কাপ্তাই হ্রদের চারপাশ। ইঞ্জিন বোট যখন আমাদের রাংগামাটি ঘাটে নামিয়ে দিলো তখন ততক্ষনে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। রাতের খাবার শেষে সুবোধ কেরানির মতো বাসে চড়ে বসলাম, পরদিন অফিস ধরতে হবে না???
Post copied From:Shoaib Mahmood>Travelers of Bangladesh (ToB)