একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি

যারা বিছানাকান্দি যাবেন বা যাওয়ার প্ল্যান করছেন তারা কোনভাবেই সন্ধ্যার পর থাকবেন না, দিনের আলো থাকতে থাকতে শহরে ফিরে আসার চেষ্টা করবেন।

আসল ঘটনা : ২ সপ্তাহ আগে আমরা আমাদের university এর বন্ধুরা মিলে বিছানাকান্দি ভ্রমনে যাই । আমরা ২ জন মেয়ে এবং ১০ জন ছেলে ছিলাম । সেখানে নেমে গোসল করে , কিছুক্ষন অপরুপ প্রকৃতি দেখার পর আবার গোয়াইনঘাট ফেরত আসতে আসতেই প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায় , সেখানে আমাদের রিসার্ভ করা মাইক্রোবাস ছিল , যখন আমরা মাইক্রোবাস এ উঠতে যাব তখন আমাদের ড্রাইভার দেখলাম অন্য আর একজন মাইক্রোবাস ড্রাইভার ভাই এর সাথে কথা বলছেন এবং আমাদের কাছে এসে বললেন একটু অপেক্ষা করুন আমরা ২ গাড়ি একসাথে যাব, এদিকে ডাকাতের ভয় আছে । তখন ও আমরা ব্যাপার টা কেও আমলে নেই নাই, কিন্তু তখন ও আমাদের ধারনা তেও আসে নাই সামনে কি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য । তো আমরা ২ গাড়ি একসাথে বের হলাম শহরের উদ্দেশে। যেতে যেতে সবাই অনেক ক্লান্ত থাকায় বেশিরভাগ মানুষ ই ঘুম এ । আমিও আধো আধো ঘুম ভাব এ বসে আছি গাড়িতে । হটাত গাড়ি ব্রেক করাতে ঘুম ভাব দূর হয়ে দেখি বিপরীত দিক থেকে আসা ১ জন ট্রাক ড্রাইভার ভাই আমাদের মাইক্রোবাস ড্রাইভার ভাই এর সাথে কথা বলছেন । তার কথাটুকু ছিল এরকম : সামনে ডাকোইত আছে , গাড়ি থামাইবা না, ১ টানি চলি যাবা , রাস্তা বন্ধ করি রাখসে , পাশ কাটি চলি যাবা । ব্যাস আমার সহ আর কয়েকজনের ঘুম গায়েব । ২ জন মেয়ে সহ আরও কয়েকজন ছেলে তখন ও ঘুম এ । ড্রাইভার ও বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন । তবুও ঐ ভাঙ্গা রাস্তা তেই উনি সেই রকম জোরে চালাতে লাগ্লেন । সামনে যেতে দেখি আর কয়েকটা গাড়ি দাঁড়ায় আছে একটু দূরে দূরে । তখন সব গাড়ি একসাথে হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হল । আমাদের গাড়ি ছিল সবার সামনে আর আমাদের যে ২ জন মেয়ে ঘুমিয়ে ছিল তারা ছিল জানালার পাশে তাই তাদের ঘুম থেকে তুলে মাঝখানে বসালাম, তারা কারন জিজ্ঞেস করলে কিছু বলি নাই কারন আবার ভয় পেয়ে যায়। তো সামনে যেতে যেতে ১ টা ছোট ব্রিজ পড়ল, ব্রিজ থেকে নামতেই দেখি রাস্তার মাঝখানে ২ টা বড় বড় পাথর , ড্রাইভার ভাই তার বুদ্ধিতে গাড়ি ডান দিক দিয়ে বের করে নিয়ে গেলেন না থেমেই এবং কিছুদুর সামনে যেতেই দেখি আর ১ টা ব্রিজ এবং এই ব্রিজ থেকে নামার পথেও একি অবস্থা । এবার ও উনি গাড়ি না থামিয়েই ডান দিক দিয়ে গাড়ি কেটে নিয়ে বের হয়ে গেলেন এবং পিছনের গাড়ি গুলো ও একি ভাবে বের হয়ে আসলো । সামনে আর কিছুদুর যাওয়ার পর তখন ও যারা ঘুম এ ছিল তাদের আসল ঘটনা বলা হল , তার কিছু দূর পরেই দেখি বাজার । মনে সাহস পেলাম। আমার জীবনে এই অভিজ্ঞতা এর আগে কখনই হয় নাই, আর হোক সেটাও চাই না । আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমরা সেদিন সহিহ সালামত এ বেঁচে ফিরে আসতে পেরেছি । কিন্তু আমরা যখন ফিরে আসছিলাম তখন ও অনেক মানুষ ঘাট এই ছিলেন এবং তারা আমাদের পড়ে শহরের উদ্দেশে রউনা দিয়েছেন, জানিনা তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছিল।

আপনারা যারা যাবেন অবশ্যই ১ টা জিনিস মাথায় রাখবেন ড্রাইভার কে অবশ্যই বলবেন গাড়ি যেন ভুলেও না থামায় এবং জানালার গ্লাস যেন বন্ধ করে রাখে । আমার যতদূর মনে হয় ডাকাতরা ব্রিজের ঠিক নিচেই অবস্থান করছিলো কারন আমি লক্ষ্য করছিলাম আশে পাশে , সেখানকার ধান খেত সব ফাকা, মাঠ ও শুকনো এবং সেখানে কেও ছিল না ।

পরিশেষে অনেক অনেক ধন্যবাদ সেই অপরিচিত ড্রাইভার ভাই কে যিনি আমাদের এই তথ্য দিয়ে সাবধান করেছিলেন । ভাই আল্লাহ্‌ আপনার মঙ্গল করুক । আর আপনাদের যাত্রা ও যেন শুভ হয় এই দোয়া রইল 🙂

Post Copied From:

Hasan Rahat>Travelers Of Bangladesh (TOB)

পাংথুমাই ঝর্ণা

যেভাবে যাবেন : ঢাকা/চট্টগ্রাম> সিলেট >বিছানাকান্দি >পাংথুমাই ঝর্ণা.
সিলেট থেকে লেগুনা/cng রিজার্ভ করে হাদারপার বাজার, ওখান থেকে নৌকা ভাড়া করে বিছানাকান্দি যাওয়ার পথেই পড়ে এই ঝর্ণা. নৌকা ভাড়ার করার সময় মাঝিকে বলে রাখতে হবে.
পান্থুমাই ঝর্ণাটি পুরোপুরি ভারতেই অবস্থিত। ভরা বর্ষায় না গেলে এর প্রকৃত রূপ দেখা যায় না।
পান্থুমাই পয়েন্টে গিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু দেখাই(ছবি তোলা) যায়, বিএসএফ নিচে দাঁড়িয়ে থাকে (রাইফেল হাতে)। 
যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা/চট্রগ্রাম থেকে বাস/ট্রেন/প্লেনে সিলেট > সিলেট শহরের আম্বরখানা/শিশুপার্ক পয়েন্ট থেকে সিএনজি/লেগুনা (লোকাল/ রিজার্ভ) করে হাদারপাড় বাজারে নামতে হবে।
* হাদারপাড় থেকে রিজার্ভ নৌকা নিয়ে বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লক্ষণছড়া একসাথে ঘুরে আসতে পারেন। নৌকা ভাড়া নিবে ১৫০০-২০০০ টাকা। এক নৌকায় ১০-১২ জন যাওয়া যাবে।
* হাদারপাড় থেকে শুধু পাংথুমাই ও লক্ষণছড়া যেতে চাইলে নৌকা ভাড়া নিবে ১০০০-১২০০ টাকা।
*হাদারপাড় থেকে শুধু বিছনাকান্দি যেতে চাইলে নৌকা ভাড়া নিবে ৭০০-৮০০ টাকা।
ঈদের সময় বলে আমাদের(৫ জনের) নৌকা ভাড়া নিসে ১৬০০ টাকা> বিছনাকান্দি আর পাংথুমাই(ভাড়া চাইসে ৩৫০০ টাকা>বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লক্ষণছড়া, পরে আমরা বিছনাকান্দি আর পাংথুমাই রাজি হই) ।
বিঃদ্রঃ আমরা চিনিনা বলে আমাদেরকে সিএনজি ড্রাইভার নামার বাজার নামায় দিসে(আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে লোকাল ১৫০টাকা)। ওখানে নৌকা ঘাটের লোকদের(দালাল) সাথে সিএনজি ড্রাইভারদের গোপন লিংক আসে, যেটা আমরা ফেরার পথে বুঝতে পারছি। ফেরার পথে হাদারপাড় থেকে আমরা সিলেট আসছি ৯০টাকা ভাড়া দিয়ে লেগুনা করে।
* আশা করি আপনারা দালালদের এড়িয়ে চলবেন আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবেন।

Post Copied From:

রঙিন পতঙ্গ‎ >Travelers of Bangladesh (ToB)

জাফলং ভ্রমণ

ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট। এক রাত আবাসিক হোটেলে থাকা যায়। যদিও বাসে সময় সাশ্রয় হবে।
সকাল ৭ টা তে রওনা দিলে জাফলং থেকে ফিরতে বেশি বেলা হয় না, দুপুর ৩টের মধ্যেই ফেরা যায় শহরে। ভেবেছিলাম বিছানাকান্দি যাব, কিন্তু জাফলংয়েরই জয় হলো।
মেঘালয় পাহাড়ের ঝর্ণায় জাফলং অন্যতম।
না বাস, না মাইক্রো, আমার হতচ্ছাড়া vomiting tendency এর কারণে CNG ভাড়া করা হল। অবশ্য তাতে যাত্রাপথ উপভোগ করা গিয়েছে নিজের ইচ্ছে মতো, পথিমধ্যে CNG থামিয়ে প্রকৃতির মধ্যে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ ছিল। শহর থেকে উপশহর যেতে ৩০ মিনিট, তারপর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পাহাড়ের দেখা। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ এখানে আরো প্রশস্ত, আরো বেশি সবুজ যেন! তামাবিল রোডের দুই ধারে বিরাটকায় পুকুর, লেক ও বলা চলে। পুকুরের টলটলে জলে মেঘলা আকাশের mirror image!!
সাদা সাদা মেঘপরীরা ওড়না ছুঁইয়ে ভেসে চলেছে পাহাড়ের চূরা ঘেঁষে। মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের গায়ে দুগ্ধফেননিভ ঝর্ণার জল সমতলে নেমে এসে জলার সৃষ্টি করেছে। তাতে স্নানরতা সামান্যা এক খাসিয়া নারীকে দেখে এই স্বর্গরাজ্যের অপ্সরী মনে হলো!
জাফলং পৌঁছাতে মোট ৩ ঘণ্টা লাগলো, যেহেতু CNG। একদিকের রাস্তায় জাফলং, অন্যদিকে তামাবিল সীমান্ত ঘাঁটি, যেখানে ভারতীয় ট্রাক মালামাল বহন করে শিলং পাহাড়ের রাস্তা ধরেছে।
একটা ৩০ তলা পাহাড় বেয়ে জাফলংয়ের জলধারা, সেটা পেরিয়ে একটা ছোট্ট নদীতে পাথর উত্তোলন দেখলাম। নদী পেরিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার পায়ে হাঁটা বালিয়ারি, সেখানেই প্রথম চোরাবালির খেলা দেখলাম। নদী পার হতে চোখে পড়লো ঝুলন্ত ব্রিজ, মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের সেতুবন্ধন এটা। পাথর ততুলা চলছে অবিরত। ভারতীয় পর্যটকের মাইক্রো চলেছে ব্রিজ দিয়ে শিলং পাহাড়ে, আর পাদদেশে বাংলাদেশী পর্যটকের ভিড়। সবাই সবাইকে দেখছে, ব্যবধান কেবল সীমান্তে, পারস্পারিক আনন্দের লেনদেনে যা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি।
বালিয়ারি পেরিয়ে ‘মায়াবী ঝর্ণা’, মাধবকুণ্ডও ফেল এর কাছে!! ৪ তলার উঁচ্চতা থেকে নেমে এসে আছড়ে পড়ছে পাথরের বুকে। জলরাশি যে প্রচন্ড স্রোতে নেমে এসেছে তাতে দাঁড়িয়ে থাকাই দায়! এছাড়াও চা বাগান, রাজবাড়ি দেখা যাবে পায়ে হেঁটে।
ফেরার পথে আবার পাহাড় ভাঙতে গিয়ে দম বন্ধ হবার জোগাড়, যদিও ৭ বছরের পিচ্চি গাইডটা দিব্যি আছে!! বাবা ছিলেন সাথে, তিনি মাটিতেই বসে পড়লেন অগত্যা।
যদিও CNG তে রাস্তা এবার কমই মনে হলো, এ পথে যেহেতু একবার এসেছি…….. তাছাড়া সাথে নিয়ে যাচ্ছি অনেকটা সৌন্দর্য্যের স্মৃতি।

Post Copied From:দেবারতি অনন্যা‎>Travelers of Bangladesh (ToB

সিলেটের বড় পাহাড়

সিলেটের বড় পাহাড় দেখতে যাওয়া বা মেঘালয়ের পাহাড় মানেই জাফলং,বিছানাকান্দি। কিন্তু আকাশ পরিষ্কার থাকলে শহর থেকেই তা উপভোগ করা যায়।
সিলেটকে বোধহয় এজন্যেই মেঘালয়ের পাদদেশ বলা হয়।
ঢাকা থেকে যারা সড়কপথে যাবেন তারা হুমায়ন রশীদ চত্ত্বরের ব্রিজে নেমে এই মনোরম দৃশ্য অবলোকন করতে পারবেন।
ভোরের আলো যখন ফুটতে শুরু করে তখনই বেস্ট সময়।জাফলং বা বিছানাকান্দি তো যাবেনই কিন্তু সিলেটে প্রবেশের মুখেই যদি এই পাহাড় গুলো আপনাকে আমন্ত্রন জানায় তবে মন্দ কি।
আজকের ছবি।ভোর ৬.৪৫ ২৩/১১/১৭

Post Copied From:Heera Roy‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

দার্জিলিং 

ইন্ডিয়াতে বাংলাদেশের যত মানুষ ঘুরতে যায় তার মধ্য কয়েকটি জায়গা ফিক্সড, তারমধ্য #দার্জিলিং অন্যতম। অথচ এই দার্জিলিং যাবার পথেই একটু ডানে সরে গেলেই বিখ্যাত #ডুয়ার্স। যেখানে পাহাড় নদী অরণ্য সব মিলেমিশে একাকার। পশ্চিম বঙ্গের জাতীয় উদ্যান ও এখানে।
এবারও অন্য সবার মত প্ল্যান করেছিলাম দার্জিলিং যবার, কিন্তু শেষ মুহুর্তে প্ল্যান করে ডুয়ার্স যাওয়াই ফিক্সড করলাম। বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামলী গাড়িতে #বুড়িমারি বর্ডার, যদিও টিকিট ছিল #শিলিগুড়ি পর্যন্ত, বর্ডার পার হয়ে সকাল ১০ টার মধ্যেই সেখান থেকে ১০০০ (চার জন) রুপিতে সোজা জাতীয় উদ্যান #গরুমারা_ন্যাশনাল এর মেইন গেটের ঠিক অপজিটে #টাস্কার্স_ডেনে গিয়ে উঠলাম। আগেই ফোনে বুকিং দেয়া ছিল, ৪ জনের রুম ১৬০০ রুপি, এসি, আশপাশটা দেখে, দুপুরে খেয়ে হোটেলের ঝকঝকে মারুতি তে ১৫০০ রুপিতে চললাম প্রথমে #স্যামসিং চা বাগানের উদ্দেশ্যে, যদিও ডুয়ার্স এর পুরোটাই সেই ভুটান পর্যন্ত চা বাগান। এটি ২৫০০ ফিট উপরে অবস্থিত দুই পাহাড়ের মাঝে উপত্যকায়, এখান থেকে আরো প্রায় ৫০০ ফিট উপরে ৫ কিঃমিঃ দূরে #সান্তালেখোলা, সমগ্র পাহাড় জুড়ে শুধু কমলা লেবুর বাগান। এর পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে পাহাড়ি ঝিরি নদী #মৌচুকি। এর ওপারেই গহীন জংগলের ভেতরর একটি রিসোর্ট, যা অনেক আগে থেকে বুকিং দিতে হয়। এরপর একটু নীচের দিকে নেমে এলে উপজাতি দের গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রায় ২ কিঃমিঃ এগুলে সেই #রকি_আইল্যান্ড, যা অনেকটা আমাদের দেশের #বিছানাকান্দির মত। এর রুপের ছটা এখনো চোখে লেগে আছে। এখান থেকে নেমে কিছুদুর এগুলেই #মূর্তি নদী। আহ, এর দুপাশ জুড়ে শুধু বন্য সৌন্দর্য। পরদিন এখান থেকেই খুব ভোরে গাড়ি নিয়ে রওয়ানা দিয়ে #কালিম্পং, ফিরতে সেই সন্ধ্যা। পরদিন খুব ভোরে আগে থেকে বুকিং দেয়া হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গল সাফারি। সাফারি করার সময় মনে হবে হাত বাড়ালেই বুঝি ছোয়া যাবে #কাঞ্চনজঙ্ঘা। দেখা মিলবে উপমহাদেশের বিখ্যাত এক শিঙা গন্ডার, আছে হরিন, বাইসন। কথা দিচ্ছি এই সাফারি আপনার সারা জীবন মনে থাকবে। সাফারি শেষ হয় ৮.৩০ থেকে ৯.০০ টার মধ্যেই। এরপর ব্যাগ গুছিয়ে দুপুরেই লাটাগুরি থেকে ময়নাগুড়ি হয়ে চ্যাংড়াবান্ধা। মাত্র আড়াই দিনেই এই আসাধারণ একটি ভ্রমণ সম্ভব। আপনি চাইলে খরচ কমাতে পারেন বাসে লাটাগুড়ি গেলে, আবার নন এসি রুমে প্রায় অর্ধেক ভাড়া, হাতির পিঠে জঙ্গল সাফারি না করে জীপ সাফারি করতে পারেন জনপ্রতি ১২০ রুপি।

Post Copied From:Abu Ahmed Shorif Manik>Travelers of Bangladesh (ToB)

ভোলাগঞ্জ গিয়েছেন কি?

অনেক তো সিলেট ঘুরলেন। ভোলাগঞ্জ গিয়েছেন কি? ভোলাগঞ্জ না গেলে সিলেটের আর গেলেন কই!

বিছানাকান্দি বলেন, লোভাছড়াই বলেন সব কিছুই তার নিজের মত সুন্দর। কিন্তু আমার চোখে সিলেটের সবচে সুন্দর জায়গা ভোলাগঞ্জই। বিছানাকান্দির মত ছোট পাহাড় না, ভোলাগঞ্জ বর্ডারে যে পাহাড়টা দাঁড়িয়ে তার উচ্চতা ছয় হাজার ফুট ছুঁয়েছে। যার চূড়ায় মেঘালয়ের সোহরা শহর।

তবে সমস্যা হচ্ছে এই স্বর্গে যেতে হয় নরকের রাস্তা মাড়িয়ে। সিলেট – কোম্পানীগঞ্জ সড়ক বাংলাদেশের সবচে বাজে সড়ক সন্দেহ নেই। বর্ষায় নৌকা দিয়ে যাওয়া যায় অনেকটায়। এখন সিলেট শহর থেকে যেতে হবে সিএনজিতে। তিন বছর আগে সাড়ে সাতশো থেকে হাজার টাকা নিতো এক পথ রিজার্ভ। এখন আরো বেশি নিবে হয়তো। তাই সবচে ভালো হয় কোন ট্রাক ড্রাইভারকে পটিয়ে তাতে চড়ে বসতে চাইলে। অবশ্য নামার সময় হাড্ডি-গোশত জায়গানত থাকবে কিনা গ্যারান্টি নাই!

post copied from:pu Nazrul‎>Travelers of Bangladesh (ToB)