বগালেক ট্যুরের খরচাপাতি

১২/১৩ জন গেলে ৩০০০ টাকার মধ্যেই বগালেক ঘুরে আসা যাবে, সেই হিসেবটা দিব আজকে!

ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়া আসা ৬২০+৬২০=১২৪০ টাকা

প্রথমদিন সকালের নাস্তা- ৭০ টাকা

বান্দরবন টু রুমা বাস ভাড়া- ১২০ টাকা

রুমাতে দুপুরের খাবার- ১৩০

রুমা টু কমলাবাজার চান্দের গাড়ি- ২০০ টাকা (রিজার্ভ ২৫০০ টাকা নিবে, একটা গাড়িতে ১৩ জন বসা যায়)

বগালেকে রাতে থাকা- ১৫০ টাকা

রাতের খাবার- ১৫০ টাকা

২য় দিন সকালের নাস্তা- ৮০ টাকা

দুপুরের খাবার- ১৫০ টাকা

ফেরার পথে চান্দের গাড়ি ভাড়া- ২০০

গাইডের খরচ- ১৫০ টাকা (২ দিনে গাইডকে ১২০০ টাকা দিতে হয়, উনার থাকা খাওয়ার খরচও আপনাদের বহন করতে হবে, ছোট একটা ফরমও কিনতে হয়, টোটাল ২০০০ এর বেশি না, তাহলে ১৩ জন গেলে জনপ্রতি ১৫০ টাকাই পড়বে)

রুমা টু বান্দরবন – ১২০ টাকা

বান্দরবনে বাসে উঠার আগে রাতের খাবার- ১৪০

তাহলে সর্বমোট খরচ দাঁড়ালো – ১২৪০+৭০+১২০+১৩০+২০০+১৫০+১৫০+৮০+১৫০+২০০+১৫০+১২০+১৪০=২৯০০

আর ১০০ টাকা যেখানে খুশি খরচ করেন!

১৩ জনের জায়গায় ১০/১১ জন গেলে জনপ্রতি খরচ আরো ২০০-২৫০ টাকা বাড়বে, গাইড আর রুমা থেকে কমলাবাজার যাওয়ার চান্দের গাড়িতেই এই এক্সট্রা খরচটা হবে, বাকিসব খরচ যত জনই যান না কেন একই থাকবে!

শীতকালই হচ্ছে বগালেক ঘুরে আসার উপযুক্ত সময়, অনেকেই হয়তো যাওয়ার প্ল্যান করতেছেন, আশা রাখি এই হিসেবটা আপনাদের কম খরচে ট্যুর করার ক্ষেত্রে কাজে দিবে!

যারা কখনো যান নাই তারা অন্তত একবারের জন্য হলেও ঘুরে আসুন!

কঠিন কোন পথ না, যে কেউ সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন, কমলাবাজার থেকে বগালেকে উঠতে ৩০-৩৫ মিনিটের মত ট্রেকিং করা লাগে মাত্র!

বন্ধুদের নিয়ে এখনই প্ল্যান করে ফেলুন, ভাল লাগার মত একটা জায়গা!

নেক্সটে কেক্রাডং ঘুরে আসার ডিটেইলস খরচ নিয়ে পোস্ট দিব, আপাতত বগালেক ঘুরে আসুন!

আর কেউ যদি বগালেক+কেওক্রাডং একসাথে ঘুরতে চান তাহলে ১ দিন এক্সট্রা থাকা লাগবে, আরো ৭০০-৮০০ টাকা মত খরচ হতে পারে!

গত শীতকালে আমি বগালেক পর্যন্ত গিয়েছি, তাই বগালেক পর্যন্ত হিসেব দিলাম! ছবি গুগুল থেকে নিয়েছি, আমার মোবাইলে ভাল ছবি আসেনা 😉

এই শীতে কেওক্রাডং ঘুরে এসে কেওক্রাডং নিয়ে লিখব ইনশাআল্লাহ!

সবার কাছে অনুরোধ থাকবে ঘুরতে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না, পানির বোতিল, চিপসের প্যাকেট- ইত্যাদি নিজের ব্যাগে করে নিয়ে এসে উপযুক্ত জায়গায় ফেলবেন!

যেখানেই ঘুরতে যাই না কেন, সব জায়গায়তেই এসব চোখে পড়ে, খারাপ লাগে খুব!

আসুন, নিজে সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি!

ট্যুরিস্ট স্পটকে আবর্জনার ভাগাড় না বানাই, সৌন্দর্য রক্ষা করি

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

হাজারিখিল গেম লাইফ সেংচুয়ারি

If travelling was free,you’d never see me again 😊
আমি বলি নাই,আমার এক বড় ভাই Mizan Rana বলছেন। 😜
আসলেই কল্পনা করা যাই না,আল্লাহ যে এতো সুন্দর সুন্দর জায়গা বানাইছেন।
বান্দরবন,সুন্দরবন,সিলেট এর মিশ্রণে এক অদ্ভুত হাজারিখিল 😊
যদি ট্রাভেলিং টা ফ্রি হতো,তাহলে প্রতিদিন এখানে চলে আসতাম।
যাক আসল কথাই আসি।
এলাকার বড়ভাই,বন্ধুবান্ধব মিলে অনেকদিন ধরে প্ল্যান করলাম ১দিন এর ট্যুর দিবো।
প্ল্যান করলাম ঠিক,কিন্তু প্লেস ঠিক করতে পারলাম না।
এমন সময় মামুন ভাই এর পোস্ট পাইলাম।
উনি যে ছবি দিলেন, ছবি দেখার সাথে সাথে সবাই একপায়ে খাড়া, সবাই রাজি।
যে এখানেই যাবো।যেভাবেই হোক,এখানেই যাবো।
তো আমরা সবাই মিলে ঠিক করলাম ১৮ তারিখ যাবো।
প্রথমে আমাদের ট্যুর এর সদস্য সংখ্যা ছিলো প্রাই ২১ জন।
তা কমতে কমতে ১৫জন হলো।
প্রত্যেক ট্যুর এই তা হয়, প্রথমে অনেকজন থাকে।কিন্তু যাওয়ার টাইমে কয়েকজনযেতে পারে না।
আসলে আল্লাহ তাদেরকে এই ট্যুর এর জন্য কবুল করে নাই😂
তো আমরা ১৫জন মিলে সকাল ৭টার দিকে হাজারিখিল এর উদ্দেশ্যে রাওনা দিলাম।
প্রথমে অক্সিজেন গেলাম,ওখান থেকে বাস করে জনপ্রতি ৪০টাকা করে বিবিরহাট, ফটিকছড়ি তে নামলাম।আসলে আমরা ২৫টাকা করে বাসের ছাদে গিয়েছিলাম।ছাঁদে সবাই মিলে গান গাওয়ার মজাই আলাদা।যাক
ওখানে সকালের ব্রেকফাস্ট টা সেরে নিলাম।তারপর জনপ্রতি ৩০টাকা করে লোকাল সিএনজি করে হাজারিখিল ফরেস্ট অফিস পোঁছালাম।
এবার আসল খেলা শুরু।গাইড মান্নান ভাই (01815382431)এর সাথে কথা হলো।ওনার সাথে দরদাম মিললো না।তাই ওনাকে বিদাই করে দিলাম।আপনারা চাইলে নিতে পারেন।
ফরেস্ট অফিস এর শাহাদাত ভাই এর সাথে কথা বললাম।উনি আমাদের রাস্তা দেখাই দিলেন।
প্রথমেই গিরিপথ এর উদ্দেশ্যে রাওনা দিলাম।
বাপরে, বনজঙ্গল যে এতো ভয়ানক হবে কে জানতো?😁এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মাঝে পরে গেলাম।
কয়েকজন তো ব্যাক দিতে চাইছে।😂 হাটতে হাটতে কিছুুদুর যাওয়ার পর গাইড শশী কুমার ভাই কে (01882820226) পাইলাম। তারপর গিড়িপথ,ঝড়না,৯০ডিগ্রি খাড়া পাহাড় সব কিছু দেখে নিলাম।প্রাই ৮ঘন্টা ট্রেকিং করলাম। ঝড়নার দিকে পাতার ভিতরে সাঁপটা দেখার পর সবাই যে চিৎকার দিলো, চিৎকার এর ফিল টাই অন্যরকম ছিলো😜
আার গিড়িপথ এর কথা কি বলবো,এতো সুন্দর গিড়িপথ আমার লাইফে কখনো দেখি নাই।৯০ডিগ্রী খাড়া পাহার এর কথা নাই বল্লাম।চা বাগান টাও দেখার মতো ছিলো।দিনশেষে সবাই মিলে পুকুরে গোসল করার মজাটাও আলাদা 😍
আার যারা যেতে চান, তাদেরকে,বলছি,খালি হাতে ট্রেকিং এ যাবেন না। হালকা পাতলা খাবার নিয়ে যাবেন।যদি দুপুর এর খাবার খেতে চান,যাওয়ার আগে হাজারিখিল বাজারে অর্ডার দিয়ে যাবেন।কারন ওখানে সবসময় খাবার থাকে না।
যেভাবে যাবেন- ঢাকা-ফটিকছড়ি বিবিরহাট-হাজারিখিল ফরেস্ট।।
চট্টগ্রাম থেকে যেভাবে যাবেন- অক্সিজেন -ফটিকছড়ি বিবিরহাট। বাসের সিট এ ৪০,ছাদে ২৫. বিবিরহাট-হাজারিখিল ৩৫ টাকা।
খরচ জনপ্রতি -৩০০টাকা চট্টগ্রাম থেকে।।
আর একটি কথা,গাইড কে বেশি থেকে বেশি ৪০০টাকা দিবেন তার বেশি দেবেন না।দুপুরের খাবার আমাদের সাথে সহ ৩০০টাকা দিয়েছিলাম ।এই প্রথম রিভিউ দিলাম,ভুল হলে ক্ষমা করবেন,না করলে নাই 😂😁
ধন্যবাদ
একসাথে যদি এতগুলো প্লেস দেখতে চান,তাইলে এখনি চলে যান হাজারিখিল। 😃
হ্যাপি ট্রাভেলিং ✌

বান্দরবন ভ্রমন

ভ্রমনের তারিখ : ১৬/১১/২০১৭-২০/১১/২০১৭

আমরা রাতের বেলা ১০.৩০ বাজে কল্যানপুর থেকে যাত্রা শুরু করি! ভোর ৬.৩০ বান্দরবন সদরে পৌছে যাই। নাস্তা সেরে ৯ টা বাজে চান্দের গাড়িতে যাত্রা শুরু করি। যাওয়ার পথে পাহাড়ি রাস্তাগুলো যেন স্বপ্নেরমত! যখন চিম্বুক পাহাড়ে উঠতে শুরু করি তখন মনে শুধু বিস্ময় 😨 আর কত উপরে উঠবো! 😱
যাওয়ার সময় সাদা মেঘে মুড়ানো পাহাড় গুলো দেখে মন থেকে শুধু একটাই শব্দ আসে আর সেটা হল “আলহামদুলিল্লাহ ” ☺
সারা রাস্তা তাই চান্দের গাড়ির ছাদে বসে এসেছি! 😜
চান্দের গাড়ি থানচি পৌছায় বেলা ১২ টার পর!
আমরা প্রায় ১.৩০ টায় বোটে উঠি! লেটে উঠার কারন আমরা যখন থানচি যাই তখন পথে পথে চেকপোস্টে মিথ্যা বলতে হচ্ছিল কারন থানচি এর আগে যাওয়ার পারমিশন ছিল না! একজন এমপি সেই এলাকা পরিদর্শন করবে তাই! মনে তাই ভয় ছিল যেতে পারব কিনা 😰
তবে অবশেষে সব ম্যানেজ করে বোটে উঠলাম! 😍
স্বচ্ছ সবুজ-নীলাভ পানি দেখে মন মন্ত্রমুগ্ধ হচ্ছিল! সুউচ্চ পাহাড় আর স্বচ্ছ সবুজ-নীলাভ পানি এসব সৌন্দর্য চোখের ক্যামেরায় বন্দী করছিলাম! 💜
যাত্রা পথে আমরা বড় পাথর দেখতে পাই!
বিকাল ৪.৩০ টার দিকে প্রায় আমরা রেমাক্রি পৌছাই। রাতে নাফাখুম পাড়ায় থাকব তাই রেমাক্রিতে বোট নামিয়ে দিলে সবাইকে সেখান থেকে হাটা শুরু করি! ১.৫ ঘন্টা পর পথিমধ্যে অন্ধকার শুরু হয়! প্রায় ২৫ মিনিট ঘুটঘুটে অন্ধকারে উচু-নিচু, বন্ধুর পথ, ঝিরিপথ পার করি টর্চের আলো ছাড়াই কারন সাথে থাকা ফ্রেন্ড টর্চ এর কথা ভুলে গেছিল 😑
যাই হোক অবশেষে যখন ট্রেক শেষে টর্চ এর আলোয় শুভ্র, সাদা মেঘের মত স্বচ্ছ নাফাখুম এর জলরাশি দেখতে পাই সকল কষ্ট ভুলে যাই 😍
সেদিন রাতে নাফাখুমে তাবু খাটাই! রাতের বনমোরগ বারবিকিউ এখনও যেন মুখে লেগে আছে 😋
পরের দিন খুব ভোরে খেয়ে দেয়ে প্রায় ৮ টার দিকে নাফাখুম থেকে আমিয়াখুম এর পথে যাত্রা শুরু করি! প্রায় টানা ২ ঘন্টা ট্রেক করার পর জিনাপাড়া এসে ২০ মিনিট রেস্ট নেই! অতপর থুইসাপাড়া এর দিকে যাই সেখান থেকে প্রায় ১.৩০ ঘন্টা পাহাড়ে উপরে উঠা- নামা করে ক্লান্ত হয়ে যাই! দুপুরের তপ্ত রোদে সবার হাটার গতি শ্লথ! তারপর আমরা দেবতা পাহাড় এর খাড়া ঢাল থেকে নামতে শুরু করি! এই ঢাল দিয়ে নামার পরই আমিয়াখুম! যথেষ্ট রিস্কি নামার পথটা! এটা নামতে ৪৫ মিনিট লাগে! যদিও আমরা দ্রুতই নামছিলাম! তারপর সব বাধা পেরিয়ে পানির শব্দ শুনতে পাই! চোখের সামনেই ছিল চোখ ধাধানোঁ রূপসী আমিয়াখুম! সেখানে স্নান সেরে ১.৫ ঘন্টা সময় কাটিয়ে আবার রওনা দেয়া শুরু করি কারন আলো ফুরানোর আগে নাফাখুম ব্যাক যেতে হবে! ভেলাখুম আর সাতভাইখুম না দেখার কষ্ট মনে নিয়ে আবার ফেরত আসলাম! ফেরার সময় খুব দ্রুত ট্রেক করছিলাম যেন সন্ধ্যার আগে নাফাখুম ফেরত যেতে পারি! আলহামদুলিল্লাহ সন্ধ্যার আগেই পৌছে যাই নাফাখুম! সেইরাত নাফাখুমে থাকি তারপর দিন খুব ভোরে নাফাখুমে গোসল সেরে সেখান থেকে আবার ফেরত যাওয়ার জন্য রেমাক্রির উদ্দেশ্য রওনা হই! পথিমধ্যে মনটা খুব খারাপ হয় কখন যে সময় গুলে কেটে গেল টেরই পেলাম না!! 😞

২ ঘন্টা ট্রেকিং এর পর রেমাক্রি ফলসে অনেকক্ষণ হৈ-হুল্লোড় করে বোটে উঠে পড়লাম! থানচি নেমে সেখান থেকে চান্দের গাড়ি দিয়ে বান্দরবন সদর ফেরার পথে নীলগিরি তে নামলাম! নীলগিরি তে কিছু সময় কাটানোর পর বান্দরবন সদরে ব্যাক করলাম! 💔💔

রাত ৯ টার বাস ছিল ভোর ৬ টায় ঢাকা পৌছে যাই!!
আমরা ৯ জন এর টিম ছিলাম, জনপ্রতি ৬২০০ খরচ হয়েছে। আপনাদের কম-বেশি হতে পারে!

সবশেষে এতটুকই বলব যখনই সময় পাই চোখ বন্ধ করে সময় গুলো আবার অনুভব করি! 💜💜💜

 

Post Copied From:

Samia Ahmed‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

বছরের শেষসময়ে ঘুরে আসুন বাংলার সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত নাফাখু

সৌন্দয্যের দেবী তার সব রূপ ঢেলে দিয়েছেন এই জলপ্রপাতে। বান্দরবন জেলার থানচিতে অবস্থিত এই জলপ্রপাত।
কিভাবে যাবেন আর খরচ কেমন হবে।
১★ ঢাকা থেকে বান্দরবন বাসে ( ৬২০ টাকা ভাড়া)
২★ বান্দরবন থেকে আপনি থানচিতে বাস বা চান্দের গাড়ীতে যেতে পারবেন। বাস ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা আর চান্দের গাড়ী রির্জাব ৮০০০-৯০০০ টাকা।
৩★ থানচি নেমে গাইড ঠিক করে অনুমতি নিয়ে নৌকা ঠিক করে সাঙ্গু নদী দিয়ে চলে যাবেন রোমাক্রি।
নৌকা ভাড়া ৪০০০ টাকা রিজার্ভ।
গাইড ভাড়া ১৫০০+ স্থানীয় গাইড সাথে নিতে হবে ৫০০ টাকা।
রোমাক্রি তে রাত্রি যাপন করতে হবে।
লোকপ্রতি রাতে থাকার খরচ হবে ১৫০ টাকা।
খাবার প্রতিবেলা ১০০-১৫০ টাকা।
এবার হিসাব করে বেরিয়ে পরুন নাফাখুমে উদ্দেশ্যে।
বি.দ্রি ★ এই ট্রিপে ৪-৫ ঘন্টা হাঁঠতে হবে,, উপজাতি পাড়ায় থাকতে হবে সেই মন মানসিকতা নিয়ে বেরিয়ে পরুন

Post Copied From:Bijoy Babu‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

শোন_নাফাখুমের_গল্প

বান্দরবনের গহীনে যে একবার যাবে, সেই এর সৌন্দর্য্যের ভালোবাসায় পড়বেই পড়বে।
নাফাখুম আমার এক ধরনের ড্রীম ট্যুরই ছিলো বলা চলে। ঘুরঞ্চি পাগল আমি বান্দরবনের গহীনে একটাও ট্যুর দিতে পারলাম না এইটাই ছিলো আপ্সুস।
অবশেষে প্লান করে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম।
আমরা ৮ জন আমার রেগুলার ট্যুর পার্টনার নাবিল,তাউসিফ, অপু ভাই কে সাথে নিয়ে।আরো সাথে ছিলো আমার বেস্ট এভবেঞ্চার ট্যুর পার্টনার তুষ্টি,যে মেয়েটার ভয় ডর একদমই কম।আরো ছিলো ইভা আপু,সীমা আপু,শাওকাত ভাই।

যাওয়ার জন্যে বাস টিকেট রেডি হঠাত শুনি ১৭ নভেম্বর প্রতি মন্ত্রী থানছি আর রেমাক্রিতে অবস্থান করার কারনে সকল টুরিস্টদের থানছির পরে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া নিষেধ, কিন্তু পাগল মন কোন বাধাই মানে না, তাই যাওয়ার জন্যে খোঁজখবর নিয়ে বিকল্প পথ বের করে ফেলি।

এই ধরনের স্পটে ট্যুর কস্ট কমানোর জন্যে মিনিমাম ১৫ জন লোক নিয়ে গেলে ভালো,কিন্তু আমাদের টীমে আমরা ৮ জন তাই চিন্তা করি চাদের গাড়ী শেয়ারের জন্যে আরো কাউকে নেওয়া যায় কিনা,পেয়েও গেলাম ৯ জনের একটা টীম।
আল্লাহ্‌ নাম নিয়ে রওনা দেই।বাসের মধ্যে গানে গানে রাত পার করে দেই।সকালে নাস্তা সেরেই চাদের গাড়ীতে উঠে পড়ি। কেউ নিচে বসে থাকতে চায় না,সবাই ছাদের উপরে হেলে দুলে যেতে চায়। যাওয়ার পথে আমাদের বারে বারে মেঘের সাথে আলিংগন মন টাকে ভরিয়ে তোলে।
চারদিকে মেঘ আর মেঘ,কোন কোন সময় আমদের ঢেকে ফেলে,মেঘের সাথে খেলতে খেলতে আর রোলার কোস্টারের মজা নিতে নিতে আমরা পৌছিয়ে যাই থানছি, সেইখান থেকে নৌকা নিয়ে শুরু হয় আরেক ধরনের এডভেঞ্চার, দুপুরের খাবার আমরা নৌকায় সেরে ফেলি,তিন্দু নদীতে নৌকোর স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে যাওয়া,আর রেমাক্রির বড় পাথরের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এক সময় পৌছে যাই রেমাক্রি বাজার,সেইখান থেকে নাফাখুম যেতে নাকি লাগে ৩ ঘন্টা, তখন বাজে ৪ টা,স্বীর্ধান্ত নিয়ে ফেলি আমরা ট্রেকিং করে নাফাকুম যাবো এইখানেই রাতে থাকবো,যেতে পথে সন্ধ্যা হলেও যাবো,এইটাই আমাদের এডভেঞ্চার কে দ্বিগুন বাড়িয়ে দেয়। যাত্রা পথে সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এগুতে থাকি,তারপর সূ্র্য ঢুবার সাথেই সাথে পুরো রাস্তাই আধার কালোতে ঢেকে যায়,শুরু হয় নতুন এডবেঞ্জারের পথ চলা,বহুত প্যারা নিয়ে এগুতে হয়,এর মধ্যে বেশী প্যারা টা নেয় তুষ্টি, চলতি পথে ওর ডিজিটাল মিউজিক আঊ আঊ চিতকার পুরো রাস্তা কম্পিত হতে থাকে, কখনো জোক তার হাতে বসে কামড়িয়ে জোকস করে থাকে, কখনো সে অন্ধকারে পা পিছলিয়ে পড়ে যায়,কখনো টর্চ এর আলো পায়ের সামনে ধরল্র দেখা যায় নিরবে কোন একটা সাপ হেটে চলে যায়,ইহা দেখার পর কি হয়েছিলো তা নাই বললাম,অনেক রকম দৃশ্য চোখে ধরা পরে,আবার অন্ধকারে গাইড আগে চলে যাওয়ায় আমরা রাস্তাও ভুল করে ফেলি।
এতকিছুর পরও ছিলো সবার মধ্যে আনন্দ, এই গুলোকেই তাদের কাছে মনেই হলো না কোন প্যারা। ৩ ঘন্টা ট্রেকিং এর পর পৌছাই কাংক্ষিত জায়গায় নাফাকুম ঝর্নায়। ঝর্নার শব্দ শুনতে পেরে সকল ক্লান্তি কে তুচ্ছ মনে হয়।কিন্তু অই মূহুর্তে আমাদের ফ্রেশ হওয়া দরকার এই জায়গায় ওয়াশ রুম কই পবো,তাই গাইড আমাদের নিয়ে যায় নাফাখুমের আপস্ট্রিমের লেকে,রাতের আধারে ঝুপঝাপ গোসল সেরে ফেলি।তারাতাড়ি খেয়ে দেয়ে ঘুমাই নাফাখুমের ওপরের এক পাড়ায়। এইদিকে আরেকটা ঘটনা ঘটে তুষ্টির পেটে কামড়ে থাকা জোকটি রক্ত খেয়ে টুইটুম্বর হয়ে যায়,অইটা দেখে তুষ্টি যে চিতকার দেয়,জোক ভয়ে পড়ে যায়।
কিন্তু ব্লিডিং আর থামে না,সবাই মোটামোটি আতংকিত হয়ে পড়ি, ব্লিডিং কেমনে থামাবো,অনেক কষ্টে ওড়না দিয়ে বেধে রক্ত পড়া বন্ধ করি।
রাতে ডিনার শেষে বারবিকিউ করে খেয়ে দেয়ে ঘুম,শান্তির পরশ নিয়ে ঘুম দিয়ে খুব সকালেই উঠি,দেখি পাহাড়ের মনোরম সেই ভোর,অনেক তৃপ্তিময়।
তারপর নাস্তা করে ঝর্নার আশপাশে ফোটসেশন করে বাড়ী ফেরার উদ্দেশ্য রওনা দেই,দিনের আলোতে ট্রেকিং এর রুট পরখ করতে করতে এগুতে থাকি,যাত্রা পথে আবার সেই প্যারা নিয়ে তুষ্টি এগুতে থাকে, আছাড় খাওয়া তার নিত্যে সংগী হয়ে গেছে,আর সে সেইটা হাসি মুখে বরন করে নিচ্ছে।ফাইনালি আমরা পৌছাই রেমাক্রি ফলসে,অসাধারণ ফলস,দাপাদাপি করে বেরিয়ে পরি থানছি, থনছিতে লাঞ্চ করেই রওনা দেই নিলগিরির দিকে।শেষ মূহুর্তে সূ্র্য ডুবার ভিউটা দেখতে পাই নিলগিরি পাহাড়ে আহারে আহারে।
তারপর আমরা নাফাখুমের মিশন কমপ্লিট করে বের হয়ে পড়ি ঢাকার উদ্দেশ্য।
আলহামদুলিল্লাহ সব কিছুই ভালো ভাবে শেষ হয়।

কিভাবে যাবেন-
ঢাকা টু বান্দরবন, জনপ্রতি আপ ডাউন- ১২৪০ টাকা
বান্দরবন টু থানছি, চাদের গাড়ি ৮ জন শেয়ারিং ১২৫০ টাকা।
থানছি টু রেমাক্রি, বোটে করে ৮ জন শেয়ারিং ১২৫০ টাকা
রেমাক্রি টু নাফাকুম, ৩ ঘন্টা পায়ে হেটে,
খাওয়া দাওয়া, থাকা ও অন্যান্য খরচ সহ আরো যুক্ত হবে।

আমাদের ৮ জনের জন প্রতি খরচ হয়েছিলো ৪৫০০ টাকা

১৫ জনের টীম হলে খরচ আরো কমতে পারতো।

Post Copied From:Farhad Dewan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

কম খরচে নাফাকুম ঘুরে আসার উপায়

হিসেব করে দেখলাম, ৩৪৫০ টাকায় নাফাকুম-রেমাক্রি-তিন্দুর সৌন্দর্য ভালভাবেই উপভোগ করে আসা সম্ভব!

এই মাসের শুরুতে প্রথমবারের মত নাফাকুম জলপ্রপাত দেখে আসলাম, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আজকের লেখা!

১৫ জনের গ্রুপের খরচের হিসেবটা দিলাম!

ঢাকা টু বান্দরবন ৬২০+৬২০= ১২৪০ (যাওয়া আসা)
বান্দরবন টু থানচি ২০০+২০০= ৪০০
থানচি টু রেমাক্রি নৌকা ভাড়া: ৮০০ (যাওয়া আসা প্রতি নৌকা ৪০০০ টাকা নেয়, এক নৌকায় ৫ জন বসা যায়, সে হিসেবে জনপ্রতি ৮০০ টাকা লাগবে, ১৬ ডিসেম্বর, ২১শে ফেব্রুয়ারি বা এই টাপের বন্ধের দিন গেলে নৌকা ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা বাড়তে পারে)

গাইড: জনপ্রতি ১৩৫ টাকা! থানচি থেকে যে গাইড নিবেন তাকে ১৫০০ টাকা আর রেমাক্রি থেকে একজন নিতে হয়, তাকে দিতে হয় ৫০০ টাকা, টোটাল ২০০০ টাকা! একজন গাইড সর্বোচ্চ ১৫ জন ট্যুরিস্ট নিয়ে যেতে পারে, আপনারা ১৫ জন গেলে জনপ্রতি গাইড চার্জ আসে ১৩৩ টাকা!

রেমাক্রিতে ১ রাত কটেজে থাকা: ১৫০/- টাকা

খাবারের খরচ: ৬০০

বান্দরবনে ১ম দিন সকালের নাস্তা+ ২য় দিন রাতের খাবার: ২০০
থানচিতে ২ বেলা দুপুরের খাবার: ২০০
রেমাক্রিতে ১ম দিন রাতের খাবার ও ২য় দিন সকালের নাস্তা: ২০০

গাইড; নৌকার মাঝি ও হেল্পারের ২ বেলা খাবারের খরচ আপনাদেরকেই বহন করতে হবে! সেক্ষেত্রে জনপ্রতি ৮০-১০০ টাকা লাগবে!

তাহলে সর্বমোট খরচ দাঁড়ালো : ১২৪০+৪০০+৮০০+১৩৫+১৫০+৬০০+১০০= ৩৪২৫ টাকা!

এর বাইরে আর কোন খরচ নেই!

এখন যদি আপনি একটু রিলাক্সে ট্যুর দিতে চান, পাহাড়ি আঁকাবাঁকা-উঁচুনিচু রাস্তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাহলে খরচ বাড়বে! এই যেমন বাসে করে না গিয়ে বান্দরবন থেকে থানচি রিজার্ভ চান্দের গাড়িতে করে গেলে ভাড়া বেশি পড়বে! যাওয়া আসা একটা চান্দের গাড়ি ৯০০০-৯৫০০ নিতে পারে! এক গাড়িতে ১৩/১৪ জন বসা যায়!

গ্রুপ যদি ছোট হয় তবে জনপ্রতি খরচ ১৫০-২০০ টাকা বাড়বে!
আর আপনারা গেলে ৫/১০/১৫ জন যাবেন, ৭-৮ জন বা ১২-১৩ জন গেলে নৌকার খরচ বাড়বে! এক নৌকায় ওরা ৫ জনের বেশি নিতে চায়না, ২ জন অতিরিক্ত গেলে আরেকটা নৌকা নিতে হবে, ভাড়া কম নিবেনা, অতিরিক্ত ২ জনের জন্য সবার মাথাপিছু নৌকা ভাড়া বেড়ে যাবে! তাই গ্রুপের মেম্বার সংখ্যা নৌকা হিসেব করেই নির্ধারণ করবেন!

নাফাকুমের উদ্দেশ্যে রেমাক্রি থেকে খুব ভোরে বের হবেন, যত তাড়াতাড়ি ফিরে আসা যায়! হাটার সময় খুব খেয়াল করে হাটবেন, অন্যমনস্ক হয়ে বা অন্য দিকে তাকিয়ে হাটবেন কখনোই; পা পিছলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি! আমার গ্রুপের অনেকেই একাধিকবার আছাড় খেয়েছে, আমি নিজেও একবার পড়ে গেছি!

ট্রেকিং এর পথটা অতটা কঠিন মনে হয়নি, যে কেউ যেতে পারবেন, সেদিন বেশ কয়েকটা মেয়েও চোখে পড়লো যারা নাফাকুমে ঘুরতে গেছে! সুতরাং ছেলে হয়ে নাফাকুম যেতে ভয় পাওয়া মানে লজ্জার বিষয়!

নিরাপত্তা নিয়ে কোন সংশয় নেই, নিশ্চিন্তে যেতে পারেন!

খেয়াল রাখবেন আপনার এবং আপনার সাথে থাকা ভ্রমণসঙ্গীদের দ্বারা যেন পরিবেশের কোন ক্ষতি না হয়! খালি বোতল/প্যাকেট, সিগারেটের ফিল্টার ফেলে আসবেন না, সাথে করে নিয়ে এসে উপযুক্ত জায়গায় ফেলবেন!

স্থানীয় আদিবাসীদের সাথে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করুন, সম্ভব হলে ওদের সাথে ৫-১০ মিনিট আড্ডা দিন!

আমার মনে হয় কি, প্রত্যেকের অন্তত একবারের জন্য হলেও নাফাকুম যাওয়া দরকার! বান্দরবনের আনাচেকানাচে যে কি পরিমাণ সৌন্দর্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তা গহীনে না গেলে বুঝে আসবেনা! আমিয়াকুম-সাতভাইকুম যাওয়া কিছুটা কঠিন, সেখানে না গেলেও অন্তত একটাবার নাফাকুম থেকে ঘুরে আসুন!

আপনার ঘুরবাজ বন্ধুটাকে আজকেই নক করুন, প্ল্যান করে ফেলুন নাফাকুম ঘুরে আসার!

প্রথমবারের মত নাফাকুম দেখে আসলাম, নেক্সট টার্গেট আমিয়াকুম-সাতভাইকুম

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঘুরে এলাম বান্দরবন

মেঘলা Gold Tample নীলগিরি
চিম্বুক পাহাড় নীলাচল

দুই বন্ধু হটাত বেরিয়ে পরলাম।
তিন দিন আগে কুমিল্লা শহর থেকে পাদুয়ার বাজার। রাত ২ টার বাসে রওনা করলাম। রাত ৪ টায় চট্রগ্রাম। সেখান থেকে হোটেল মিডওয়ে সকালের নাস্তা করে এফবিতে পরিচয় সাহজাহান ভাই এর এগ্রো প্রজেক্ট দেখতে মটর সাইকেলে করে রওয়ানা হলাম। ভাই এর কলা লেবু আম কাঠাল বাগান গরু ছাগল মাছের প্রজেক্ট দেখলাম। বেশ গুছানো। বাগানের কারবাইড মুক্ত কলা খেলাম।

সেখান থেকে বান্দরবন সদর এর বাসে চেপে বসলাম দুই বন্ধু। মেঘলা তে গেলাম এন্ট্রি ৪০ টাকা + কেবল কার ৫০ টাকা।বেশ কিছু সিড়ি ভেঙে নিচে নামতে হয়।ঝুলন্ত ব্রিজ আছে দেখার মত। কেবল কারে চেপে বস্লাম দুই বন্ধু। তেমন ভাল লাগে নাই।সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে দম ফুরিয়ে আসছিল। আর ঘামে গেঞ্জি চুপচুপে।সেখান থেকে লোকাল বাসে চেপে বান্দরবন সদর আসি।

জুমার নামাজ পড়ে নীলগিরি যাওয়ার বাহন খুজতেসি। সিএঞ্জি ভাড়া চাইলো ৪০০ বাইক ২০০০/ বাসে যাব ঠিক করলাম। কাউন্টারে এসে দেখি টিকেট নেই।ফিরে এসে হোটেল নিলাম। বিকেলে ফ্রেস হয়ে কাছেই gold tample দেখতে গেলাম অটো রিক্সা তে করে। মন্দির অনেক উচুতে প্রায় ৬০-৮০ টা সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়।
যাবার পথে চাকমা মারমা সুন্দ্রি ললনা দের দেখছিলাম 🙂

ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে ঘুম।
সকাল ৪ টায় ঘুম ভেঙে যায়।নামাজ পড়ে রেডি হয়ে পাসের হোটেলে নাস্তা করে সাথে আরো ৮ জনের দল নিয়ে আমরা নীলগিরির পথে রওয়ানা দেই।মাঝে সেনাবাহিনী নাম ঠিকানা ফোন নাম্বার এন্ট্রি করে। খুব ভোরে রওয়ানা হয়ে বাম ডান যেদিকে তাকাই মুঘধতা যেন কমছিল না। মনে হচ্ছিল যেন মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছি।
১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে নীলগিরি পউছে যাই। চা পান করে ৫০ টাকা টিকেট কেটে নীলগিরি তে প্রবেশ করি।
খুব সাজানো গোছানো পরিপাটি।
সেনাবাহিনী এর জন্য স্পেশাল থেনক্স পেতেই পারে। প্রচুর ছবি তুলেছি। মেঘ ছিল আমাদের বেশ নিচে কারন আমরা ছিলাম ৩৫০০ ফুট উচুতে।
১ ঘণ্টা ঘুরাঘুরি করে আমরা রওয়ানা হই চিম্বুক পাহাড় এর উদ্দেশ্যে। চিম্বুক এর টিকেট ২০ টাকা। আমরা ছিলাম ২০ মিনিট।পাসে দোকান থেকে সবাই পাকা পেপে খরিদ করলো প্রতি কেজি ৪০ টাকা।

আমরা ১১ টার কিছু পর পথে একটা ঝরনার দেখা পাই।কেডস গেঞ্জি খুলে নেমে যাই। বেশ পিচ্ছিল পাথর। ৩ চারটা গোল বাথ ট্যাব এর মত। বহু দূর হতে পানি পড়ছে অবিরত। ২৫ মিনিট পর ফ্রেস হয়ে স্থানীয় পাহাড়ি দের হাতে বোনা মাফ্লার কিনলাম আম্মার জন্য।কলা খেলাম ৪ টা ১২ টাকা।
সদরে এসে হোটেল থেকে বেগেজ নিয়ে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাচল দেখার জন্য রওয়ানা করলাম। সিএনজি ভাড়া করে ৩০-৩৫ মিনিটে নিলাচল পউছে গেলাম। ৫০ টাকা এন্ট্রি টিকেট করে ভিতরে প্রবেশ করলাম। আমাদের সাথে কিছু স্কুল এর ছেলে মেয়ে প্রবেশ করে। বেশ সুন্দর ছিমছাম সাজানো। ছবি তুলতে তুলতে আমার মোবাইল এর চারজ শেষ এর দিকে। ৪০ মিনিট পর চট্রগ্রাম এর বাসের টিকেট করে সন্ধ্যা ৭ টায় চট্রগ্রাম পউছি। সেখান থেকে কুমিল্লা রাত ১১:৩০।

নেক্সট কেওকারাডং বগালেক ক্রেমারি নাফাখুম

Post Copied From:Syful Tonmoy Choudhury‎>Travelers of Bangladesh (ToB

রিজার্ভ সাইতা, বান্দরবন

নামকরণঃ রিজার্ভ ফরেস্টে অবস্থিত হওয়ার কারণেই নাকি এই নামকরণ (গাইড জেমসন দা এর ভাষ্যমতে).

রনিন পাড়া থেকে মাত্র ৩০-৫০ মিনিট ট্রেকিং করলেই এই ঝর্ণার দেখা পাওয়া যায়। তবে যাওয়ার পথে ফরেস্টের অংশটা পাড় হওয়ার সময় কিছু জায়গা একটু খাড়া এবং পিচ্ছিল, গ্রিপ পাওয়া কঠিন। আর পিঁপড়া আছে বেশ জংগলে! জংগল পাড়ি দিয়েই ঝিরিপথ পড়বে। ঝিরিপথ অল্প হলেও বেশ সুন্দর! জেমসন দার ভাষ্যমতে আগে নাকি কোন ট্রাভেলার ঐদিকে যাননি। যদিও আমি মনে করি কেউ না কেউ অবশ্যই গিয়েছেন হয়তোবা গোপন রেখেছেন অথবা প্রকাশ করলেও তা চোখ এড়িয়ে গেছে। যাই হোক, অল্প কষ্টে এতো সুন্দর একটা সাইতারের দেখা পাওয়া আসলেই সৌভাগ্যের!

কিভাবে যাবেন- বান্দরবন-রোয়াংছড়ি-রনিনপাড়া-রিজার্ভ সাইতার।