শিতের সকালে বগালেক

যাতায়াত : ( বিস্তারিত http://tob.camp/wiki/বগালেক এ রয়েছে আমি জাস্ট যেই রেট গুলো চেঞ্জ হয়েছে ঐগুলো দিয়ে দিচ্ছি)

বগালেক যেতে অবশ্যই প্রথমে যেতে হবে রুমাবাজার। বান্দরবান শহর থেকে বাসে, নৌকায় কিংবা চান্দের গাড়ীতে করে প্রথমেই যেতে হবে রুমা বাজার। রুমা বাজার থেকে নতুন করে জিপ/চান্দের গাড়ী রিজার্ভ করে যেতে হবে কমলাবাজার পর্যন্ত। তবে বর্ষাকালে প্রায়ই ভূমিধ্বসের কারনে ১১মাইল নামক জায়গা পর্যন্ত আগানো যায় বড়জোর। তবে শুকনো মৌসুমে চান্দের গাড়ী বগালেক অবধি পৌঁছায়। রুমাবাজার থেকে ১১ মাইল কিংবা কমলাবাজার পর্যন্ত রাস্তা আপনাকে নিঃসন্দেহে মুফতে রোলার কোস্টারে চড়ার স্বাদ দিবে নিশ্চিত। কমলাবাজারের পাশ থেকেই খাড়া পাহাড় উঠে গেছে আকাশপানে, এটির চূড়াতেই বগালেক। কমলাবাজার থেকে ২০-৩০ মিনিট পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে গেলেই বগালেক ধরা দিবে আপনার দৃষ্টিসীমায়। আর গাড়ী যদি ১১ মাইল পর্যন্ত যায়, সেখান থেকে হেটে আগে পৌছাতে হবে কমলাবাজার, এক্ষেত্রে ট্রেকিংএ সময় লাগবে দেড়-দু ঘন্টা । তবে বিকেল ৪টার মাঝে যে করেই হোক রুমা বাজার থেকে গাইড সাথে নিয়ে আর্মি ক্যাম্পে নাম লিখিয়ে বেড়িয়ে পড়তে হতে বগালেকের উদ্দেশ্যে, বিকেল ৪টার পর আর্মি ক্যাম্প থেকে কোন ভাবেই অনুমতি মিলবেনা আর রাস্তাও রাতে গাড়ী যাত্রার জন্যে নিরাপদ নয়।

দ্বিতীয় পথটি রোলারকোস্টারসম যাত্রার স্বাদমুক্ত, কিন্তু একটু দীর্ঘ আর কষ্টের কিন্তু পাহাড়ি খাল আর ঝিরির রূপ বলে বোঝানোর মতো নয়। রুমাবাজার হতে একটি ঝিরি পথ ধরে হেটে যেতে বগালেক অবধি। এই পথটি প্রায় ১৮ কিলোমিটার লম্বা। সময় লাগবে প্রায় ৮ ঘন্টা। যারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে শক্ত এবং জীবনে রোমাঞ্চকর যাত্রার অভিজ্ঞতা পেতে চান কেবল তারাই এই পথে যাবার চিন্তা করবেন। এটি রীতিমত চ্যালেঞ্জ। তবে বৃষ্টির মৌসুমে ঝিরি এড়িয়ে চলাই ভালো, ফ্ল্যাশ ফ্লাড কিংবা হড়কা বানের সম্মুখীন হবার ভয় থাকে। এই পথটি যেমন কষ্টকর তেমনই দৃষ্টিনন্দন। এ পথে প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীর কাছে আপনার কষ্টকে তুচ্ছ মনে হবে।

চান্দের গাড়ী
রুমা বাজার থেকে বগালেক (কমলা বাজার) পর্যন্ত চান্দের গাড়ীর রেট ভাড়া ২৭০০/- টাকা। বগালেক পর্যন্ত রাস্তা ভালো থাকলে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিতে হবে।

গাইড
রুমা বাজার থেকে গাইড পাবেন। আর্মি ক্যাম্পে গাইডের নামসহ আপনাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হবে। রেজিস্টার্ড গাইড ছাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি মিলবে না সামনে আগানোর। গাইড-কে প্রতিদিনের জন্য দিতে হবে ৬০০/- টাকা!

কোথায় থাকবেন
বগা লেকে থাকার জন্যে অনেক কুটির রয়েছে, সিয়াম দিদি,রাবার্ট দা আর লারাম বম এর বোর্ডিং উপায়ে পরিচালিত কটেজ প্রসিদ্ধ। গত ১৬ ডিসেম্বর আনুমানিক ৪০০ মানুষ এসেছিলো বগালেকে ।
রুমে থাকার খরচ জন প্রতি ২০০ টাকা। খাবার ডিম,সবজি, মাংস প্রভৃতি আইটেমের উপর ভিত্তি করে ৮০ থেকে ২০০ পর্যন্ত। কিছু কটেজ একেবারে লেকের উপর মাচা তৈরি করে তার উপর। খাবার পাবেন যেখানে থাকবেন সেখানেই, তবে যা খাবেন রান্না করার সময় দিয়ে আগেই অর্ডার

Post Copied From:

বগালেক ট্যুরের খরচাপাতি

১২/১৩ জন গেলে ৩০০০ টাকার মধ্যেই বগালেক ঘুরে আসা যাবে, সেই হিসেবটা দিব আজকে!

ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়া আসা ৬২০+৬২০=১২৪০ টাকা

প্রথমদিন সকালের নাস্তা- ৭০ টাকা

বান্দরবন টু রুমা বাস ভাড়া- ১২০ টাকা

রুমাতে দুপুরের খাবার- ১৩০

রুমা টু কমলাবাজার চান্দের গাড়ি- ২০০ টাকা (রিজার্ভ ২৫০০ টাকা নিবে, একটা গাড়িতে ১৩ জন বসা যায়)

বগালেকে রাতে থাকা- ১৫০ টাকা

রাতের খাবার- ১৫০ টাকা

২য় দিন সকালের নাস্তা- ৮০ টাকা

দুপুরের খাবার- ১৫০ টাকা

ফেরার পথে চান্দের গাড়ি ভাড়া- ২০০

গাইডের খরচ- ১৫০ টাকা (২ দিনে গাইডকে ১২০০ টাকা দিতে হয়, উনার থাকা খাওয়ার খরচও আপনাদের বহন করতে হবে, ছোট একটা ফরমও কিনতে হয়, টোটাল ২০০০ এর বেশি না, তাহলে ১৩ জন গেলে জনপ্রতি ১৫০ টাকাই পড়বে)

রুমা টু বান্দরবন – ১২০ টাকা

বান্দরবনে বাসে উঠার আগে রাতের খাবার- ১৪০

তাহলে সর্বমোট খরচ দাঁড়ালো – ১২৪০+৭০+১২০+১৩০+২০০+১৫০+১৫০+৮০+১৫০+২০০+১৫০+১২০+১৪০=২৯০০

আর ১০০ টাকা যেখানে খুশি খরচ করেন!

১৩ জনের জায়গায় ১০/১১ জন গেলে জনপ্রতি খরচ আরো ২০০-২৫০ টাকা বাড়বে, গাইড আর রুমা থেকে কমলাবাজার যাওয়ার চান্দের গাড়িতেই এই এক্সট্রা খরচটা হবে, বাকিসব খরচ যত জনই যান না কেন একই থাকবে!

শীতকালই হচ্ছে বগালেক ঘুরে আসার উপযুক্ত সময়, অনেকেই হয়তো যাওয়ার প্ল্যান করতেছেন, আশা রাখি এই হিসেবটা আপনাদের কম খরচে ট্যুর করার ক্ষেত্রে কাজে দিবে!

যারা কখনো যান নাই তারা অন্তত একবারের জন্য হলেও ঘুরে আসুন!

কঠিন কোন পথ না, যে কেউ সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন, কমলাবাজার থেকে বগালেকে উঠতে ৩০-৩৫ মিনিটের মত ট্রেকিং করা লাগে মাত্র!

বন্ধুদের নিয়ে এখনই প্ল্যান করে ফেলুন, ভাল লাগার মত একটা জায়গা!

নেক্সটে কেক্রাডং ঘুরে আসার ডিটেইলস খরচ নিয়ে পোস্ট দিব, আপাতত বগালেক ঘুরে আসুন!

আর কেউ যদি বগালেক+কেওক্রাডং একসাথে ঘুরতে চান তাহলে ১ দিন এক্সট্রা থাকা লাগবে, আরো ৭০০-৮০০ টাকা মত খরচ হতে পারে!

গত শীতকালে আমি বগালেক পর্যন্ত গিয়েছি, তাই বগালেক পর্যন্ত হিসেব দিলাম! ছবি গুগুল থেকে নিয়েছি, আমার মোবাইলে ভাল ছবি আসেনা 😉

এই শীতে কেওক্রাডং ঘুরে এসে কেওক্রাডং নিয়ে লিখব ইনশাআল্লাহ!

সবার কাছে অনুরোধ থাকবে ঘুরতে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না, পানির বোতিল, চিপসের প্যাকেট- ইত্যাদি নিজের ব্যাগে করে নিয়ে এসে উপযুক্ত জায়গায় ফেলবেন!

যেখানেই ঘুরতে যাই না কেন, সব জায়গায়তেই এসব চোখে পড়ে, খারাপ লাগে খুব!

আসুন, নিজে সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি!

ট্যুরিস্ট স্পটকে আবর্জনার ভাগাড় না বানাই, সৌন্দর্য রক্ষা করি

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

রহস্যময় বগা‌লেক(যে রহস্য বাংলাদেশের বহু মানুষেরই অজানা)

বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কেওকারাডং পর্বতের গা ঘেষে, রুমা উপজেলায় অবস্থিত রহস্যময় বগা লেক।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বগা লেক অনেক ভ্রমনপিপাসু মানুষের প্রিয় জায়গা। কিন্তু ক’জন জানেন যে এই বগা লেকের উৎপত্তি নিয়ে গা-শিউরানো রহস্যের কথা?

বগা লেকটির আশেপাশে ‘বম’ উপজাতির বসবাস। তাদের ভাষায়, এখন যেখানে বগা লেকটি রয়েছে, সেখানে আসলে একটি চোঙাকৃতির বিশাল পাহাড় ছিল। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল। তবে হঠাৎ করে একদিন পাহাড়ের পাসের গ্রামগুলো থেকে গরু, ছাগল থেকে শুরু করে এমনকি ছোট ছোট বাচ্চারাও হারিয়ে যেতে থাকলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানা গেল, বাচ্চাগুলোর ও গরুছাগলের সর্বশেষ পায়ের ছাপ রয়েছে ঐ পাহাড়ে। তখন সবাই ধারণা করতে শুরু করলো, নিশ্চয়ই ভয়ংকর কিছু একটি রয়েছে ঐ পাহাড়ের কোলে, আর সেটারই আক্রমণের শিকার হচ্ছে নিরীহ এই প্রাণী আর বাচ্চারা। একদল সাহসী যুবকদের আসল রহস্য উদঘাটন করতে দায়িত্ব দেয়া হয়। অনেক অনুসন্ধান করতে করতে পাহাড়ের মাথায় উঠে দেখতে পেল সেখানে একটি গুহায় আস্তানা গেড়েছে এক মস্ত বড় ড্রাগন। তাদের আর বুঝতে বাকি থাকলো না যে এতগুলো প্রাণী ও বাচ্চাগুলোর হারিয়ে যাওয়ার পিছনে এই ড্রাগনেরই হাত রয়েছে।

বম ভাষায় ড্রাগনকে ‘বগা’ বলা হয়।

গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিল যে, যে করেই হোক এই ড্রাগনকে মেরে ফেলতে হবে। তারা বেছে বেছে সাহসী তরুণদের নিয়ে একটি দল তৈরি করলো। তীর, ধনুক, বল্লম, লাঠি আর মশাল নিয়ে রাতের অন্ধকারে তারা হানা দিল গুহায়। গুহার মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মানুষের রক্ত আর হাড়গোড় দেখে তারা বুঝে নিল কী ঘটেছে। একসঙ্গে তারা সেই ড্রাগন অর্থাৎ বগার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। তুমুল যুদ্ধ হল দুই পক্ষের মধ্যে। লড়তে লড়তে বগার প্রাণবায়ু যখন প্রায় শেষ, তখন বগা তার মুখ থেকে আগুনের শিখা ছুঁড়ে মারে গ্রামবাসীর দিকে। সেই আগুন পুরো পাহাড়কে গ্রাস করে ফেলে। বিস্ফোরিত হতে শুরু করে চারিদিক। শুরু হয় ভূমিকম্প। ভূমিকম্পে সেই পাহাড়টি ভেঙে তৈরি হয় এক বিশাল গর্তের। সময়ের পরিক্রমায় সেই বিশাল গর্তটিই আজ আমাদের কাছে ‘বগা লেক’ নামে পরিচিত।

তবে এই পৌরাণিক কাহিনী মানতে নারাজ ভূতাত্বিকদের মতে, বগা লেক মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ বা মহাশূন্য থেকে উল্কাপিণ্ডের পতনের কারণে এর সৃষ্টি।

বগা লেক-এর পানি অম্লধর্মী। জলজ প্রাণী গু‌লো‌কে এখা‌নে প্র‌তিকূলতার সা‌থেই বেঁ‌চে থাক‌তে হয় । বাইরের কোনো পানি এখানে ঢুকতেও পারে না, আবার এর আশপাশে নেই পানির কোনো দৃশ্যমান উৎস। তবে এটির ব্যাখাও দিয়েছেন ভূত্বাতিকরা। তারা বলেছেন, লেকটির তলদেশে একটি উষ্ণ ঝর্ণা রয়েছে। ঝর্ণা থেকে যখন পানি বের হয়, তখনই হ্রদের পানির রঙ বদলে যায়।

চান্দের গাড়ী
রুমা বাজার থেকে বগালেক (কমলা বাজার) পর্যন্ত চান্দের গাড়ীর রেট ভাড়া ২৭০০/- টাকা। বগালেক পর্যন্ত রাস্তা ভালো থাকলে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিতে হবে।

গাইড
রুমা বাজার থেকে গাইড পাবেন। আর্মি ক্যাম্পে গাইডের নামসহ আপনাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হবে। রেজিস্টার্ড গাইড ছাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি মিলবে না সামনে আগানোর। গাইড-কে প্রতিদিনের জন্য দিতে হবে ৬০০/- টাকা!

কোথায় থাকবেন
বগা লেকে থাকার জন্যে অনেক কুটির রয়েছে, সিয়াম দিদি,রাবার্ট দা আর লারাম বম এর বোর্ডিং উপায়ে পরিচালিত কটেজ প্রসিদ্ধ। গত ১৬ ডিসেম্বর আনুমানিক ৪০০ মানুষ এসেছিলো বগালেকে ।
রুমে থাকার খরচ জন প্রতি ২০০ টাকা। খাবার ডিম,সবজি, মাংস প্রভৃতি আইটেমের উপর ভিত্তি করে ৮০ থেকে ২০০ পর্যন্ত। কিছু কটেজ একেবারে লেকের উপর মাচা তৈরি করে তার উপর। খাবার পাবেন যেখানে থাকবেন সেখানেই, তবে যা খাবেন রান্না করার সময় দিয়ে আগেই অর্ডার

যেভাবে যাবেন ,
ঢাকা থেকে বান্দরবান , বান্দরবান থেকে রুমা , রুমা থেকে বগালেক

বগালেক কেউক্রাডং ট্যুর

বাংলাদেশের কিছু সর্বোচ্চ উঁচু পাথরের পাহাড়ের মধ্যে কেওক্রাডং বর্তমানে ৪ নম্বর
ছোট করে আমি আমার ভ্রমন কাহিনি লিখছি!
সকাল ৮ টায় খাওয়া দাওয়া সেরে সকাল ৮:৩০ এ স্থানীয় বাস এ করে রুমা বাজার এর উদ্দেশে রওয়ানা হই।। ১২ টার মধ্যে রুমা বাজার পৌঁছালাম । । গাইড ঠিক করে আগে আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে দুপুর ১২ টার দিকে রওয়ানা হলাম বগালেক এর উদ্দেশে । । ১৩ জনের গুুপ নিয়ে জিপ করে বগােলেকের উদ্দেশ্যে যাএা। পাহাড়ি উচু নিচু রাস্তা,চারপাশের প্রকৃতি মনোমুগ্ধকর। অবশেষে গাড়ির পথ শেষ বিকেল ৩ টায় এরপর হাটা শুরু ৩০ মিনিট পাহাড়ি পথ বেয়ে পৌছালাম বগালেক। বগালেক এর সৌন্দর্য দেখে সব কষ্ট কোথায় চলে গেল বুঝলাম ই না । আবার আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে লেক এ মগ কেটে গোসল টা সবাই ভাল ই উপভোগ করেছিলাম। ( লেকে কিছু accident
হওার কারনে লেকের ঘাঁট থেকে নিচে নামা নিষেধ, সো হাঁটু পানি তে ডুব দাও নয়তো মগ দিয়ে গোসল করো ) কটেজ আগে থেকে বুক করা ছিল । জন প্রতি ভাড়া ১৫০ । অতঃপর খাওয়া দাওয়া সেরে হালকা বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যার গাইডকে নিয়ে কেওক্রাডং এর প্লান বানালাম সবাই । আড্ডা তহ আছে ই । খাবার এ সবজি
তে জন প্রতি ১০০-১২০ এবং বন মুরগি তে ১৫০
ডে ২; সকাল সকাল হালকা নাস্তা করে আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে রওয়ানা হলাম স্বপ্নের কেওক্রাডং এর উদ্ধেশ্যে । রাস্তায় পরবে বেশ কিছু ছোট বড় ঝর্না । লতা ঝর্না, চিংড়ি ঝর্না আর ও আছে নাম না জানা ছোট কিছু ঝর্না । । আনুমানিক ২:৩০ ঘণ্টা হাঁটার পর পৌঁছালাম সেই স্বপ্নের কেওক্রাডং এ । যেহেতু আজই আমাদের রুমা ফেরার প্লেন তাই ৩০ মিনিটে কিছু গ্রুপ ফটো আর বিস্রাম নিয়ে রওয়ানা বগালেক এর দিকে । এবার কষ্ট কিছুটা কম , কারন এখন আপনাকে আপনার নিজের পায়ে ব্রেক লাগাতে হবে শুধু 😀 মানে হল, এখন শুধু পাহাড় থেকে নামার পালা। ২ ঘণ্টায় বগালেক এসে পড়ি । হালকা বিস্রাম নিয়ে গোসল সেরে রওয়ানা হই জিপ এ করে যাত্রা শুরু করি রুমা পর্যন্ত । আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে খাওয়া শেষ করে বান্দরবন এর উদ্দেশে রওয়ানা হলাম ৪টায়। ৭টায় পৌঁছেগেলাম বান্দরবন । আহ শান্তি 😀
লক্ষণীয় বিশয়ঃ খুব বেশি জামাকাপড় নেবেন না। পাওয়ার ব্যাংক, ক্যাপ , মুজা , পানির বোতল , দরকারি মেডিসিন , তুলা সাথে রাখবেন। ট্র্যাকিংয়ের সময় কলা খাবেন অনেক , কলা আপনার পেশিকে কর্মক্ষম রাখবে । জোঁক এর জন্য লবন নিবেন সাথে । কোথাও কোন কিছু লিখে জায়গা
নষ্ট করবেননা। পাহাড়ি রা এগুলো পছন্দ করেনা । 

Post Copied from:Hashem Sarwar>Travelers of Bangladesh (ToB)