মিশন_চিটাগাং

একদিনে ঘুরে আসুন চিটাগাং এর বিখ্যাত তিনটি জায়গা থেকে, মহামায়া লেক, গুলিয়াখালি সি বীচ, বাশবাড়িয়া সি বীচ।

যে ভাবে যাবেন।
আমাদের ট্যুর প্লানটা তুলে ধরছি।
রাত দশটার গাড়িতে ঢাকা আবদুল্লাহপুরর থেকে উঠি এনা পরিবহন করে ফেনী জেলা শহরে আসি রাত ৪:৩০ মিনিট। এনা পরিবহন বাস কান্টারে সকাল ৬ পযন্তত থাকি। ৬ টার পর কান্টার থেকে বের হয়ে ২ মিনিট হেটে চলে আসি মহিপাল, সেখান থেকে চিটাগাং এর বাসে উঠে পড়ি গন্তব্য মিরসরাই মহামায় লেক। সকাল ৭:১৫ মিনিট পৌঁছে যায় মহামায়া লেক।
প্রস্তুত কায়াকিং করার জন্য, কেননা কায়ারিং বিজনেস ম্যান শামিম ভাই এর সাথে আগেই কথা হয়েছিল আমরা সকাল সকাল কায়ারিং করবো। ৮ টার মধ্যে শুরু হয়ে গেল আমাদের কায়ারিং ১ ঘন্টা কায়ারিং করে সকাল দশটায় চলে এলাম সিতাকুন্ড বাজার সেখান থেকে সিএনজি করে চলে এলাম গুলিয়াখালি সি বীচ, দেখলাম প্রকৃতির খেলা করলাম সাগরে ঝাপাঝাপি বসে থাকলাম অনেক সময় বীচের সবুজ ঘাসে। দুপুরের পর চলে আসলাম সিতাকুন্ড বাজার, সেখান থেকে গাড়ি করে বাশবাড়িয়া বাস স্টান, বাস স্টান থেকে সিএনজি করে বাশবাড়িয়া ঘাট ঘন্টা খানিক সময় কাটিয়ে চলে গেলাম ট্যুর লিষ্টে বাহিরে রাখা কুমিরা ব্রীজ দেখতে, এরপর রাত ৬ টায় উঠে বসলাম ঢাকার গাড়িতে।

খরচ কেমন হলো
ঢাকা টু ফেনী ৩০০ টাকা ফেনী টু মিরসারাই ৫০ টাকা কায়ারিং ২০০ টাকা ১ ঘন্টা স্টুডেন্ট ছিলাম বিধায়, নয়তবা ১ ঘন্টা ৩০০ টাকা। মিরসরাই টু সিতাকুন্ড ৩০ টাকা, সিতাকুন্ড বাজার টু গুলিয়াখালি বীচ রিজাব সিএনজি ১৩০ টাকা, আবার সিতাকুন্ড বাজার ফিরে আসতে ১৩০ টাকা, সিতাকুন্ড বাজার টু বাশবাড়িয়া বাস স্টান ১৫ টাকা এরপর সিএনজি করে বাশবাড়িয়া ঘাট জনপ্রতি ২০ টাকা,আবর বাশবাড়িয়া বাস স্টান ২০ টাকা, বাশবাড়িয়া থেকে শহর ২০ টাকা, এরপর ৬ টার গাড়িতে ঢাকা শ্যামলি পরিবহন ভাড়া ৪৮০ টাকা।

সকাল ও দুপুর ও বিকাল এর খাবার খরচ ২২০ টাকা
সর্বমোট খরচ হয়েছে আসা যাওয়া। ১৬১৫ টাকা।
এই দীর্ঘ ট্যুর প্লান লেখালেখিতে কিছুটা পরিবতন করা হয়ছে বিভিন্ন জায়গা।
এটা ছিল আমার ৪১ তম জেলা সফর।
আমি ঘুরি সারা বাংলাদেশ মিশন ৬৪ জেলা।

Post Copied From:

নাপিত্তাছড়া ট্রেইল ও বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ:

গত ৪ সেপ্টেম্বর তিন বন্ধু মিলে ঘুরে এলাম নাপিত্তাছড়া ট্রেইল ও বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত থেকে।আমরা সরাসরি ঢাকা টু চিটাগাং না গিয়ে প্রথমে কুমিল্লায় এক রাত বন্ধুর বাসায় থেকে পরদিন সকাল ৭ টায় কুমিল্লা থেকে রওনা দেই ফেনীর উদ্দেশ্যে।ফেনী থেকে নয়দুয়ারির মসজিদ তারপর সেখান থেকেই আমাদের নাপিত্তাছড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু।নাপিত্তাছড়ায় আছে চারটি ঝর্ণা।এগুলো যথাক্রমে টিপরাখুম,কুপিকাটাখুম,বান্দরখুম/মিঠাইছড়ি ও বাঘবিয়ানী নামে পরিচিত।প্রায় চার ঘণ্টা ট্রেকিং শেষে সবগুলো ঝর্ণা দেখে , ঝর্ণায় গোসল করে শেষ বিকেলে ঘুরে আসি বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত থেকে।
খরচ:
ঢাকা(সায়েদাবাদ) টু কুমিল্লা (এশিয়া লাইন নন এসি) ,ভাড়া : ২৫০/-
কুমিল্লা(পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড) থেকে ফেনী(মহীপাল) ,ভাড়া:১০০/-
মহীপাল থেকে নয়দুয়ারি মসজিদ: বাস ভাড়া ১০০/-
বাঁশ ১০/-
দুপুরের খাবার (পর্যটক হোটেল):ভাত,মুরগি,ডাল ৯৫/-
নাপিত্তাছড়ায় ট্রেকিং শেষে:
নয়দুয়ারি থেকে বাঁশবাড়িয়া বাজার লোকাল বাস ৩০/-
বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে বাঁশবাড়িয়া বিচ সিএনজি ভাড়া ৪০/-(যাওয়া আসা)
বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে সীতাকুণ্ড(শ্যামলী কাউন্টার) ১৫/- লোকাল বাস
সীতাকুন্ড থেকে ঢাকা: (শ্যামলী নন এসি) ৪০০/-
মোট: ১০৪০/-
বিদ্রঃঈদের কারণে বাসভাড়া একটু বেশি ছিল।

Post Copied From:Md Fahamidul Islam Dipro>Travelers of Bangladesh (ToB)

বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত

অনিন্দ্য সুন্দর বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত; তবে তা জোয়ারের সময়। সকালের দিকে গেলে নিরানন্দ লাগবে, যেতে হবে দুপুরে তখন জোয়ারের টান থাকে। ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন মিহি অনুভূতি দিয়ে পায়ের পাতা ছুঁয়ে যাবে সমুদ্রজল।

সহজপথ- দেশের যেকোনো স্থান থেকে একে খান মোড়। সেখান থেক লোকাল বা দূরপাল্লার বাসে বাঁশবাড়িয়া বাজারে নামতে হবে। দূরপাল্লার- ফেনী, নোয়াখালী এসব বড় বাসে উঠে পড়বেন সময় কম লাগবে। ৩০-৪০ টাকা ভাড়া।

বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে ২০ টাকা ভাড়ার সিএনজিতে সৈকতে চলে যেতে পারবেন

Post Copied From:মাহতাব হোসেন>Travelers of Bangladesh (ToB)

কমলদাহ ট্রেইল+ গুলিয়াখালি ট্যুর

I guess বাংলাদেশের most underrated trail গুলোর মধ্যে একটি। কমলদাহ ট্রেইলে যাওয়ার আগে ফেসবুক, ব্লগ অনেক ঘাটাঘাটি করে হাতে গোনা কিছু ঝর্না-ক্যাসকেড এর নাম ই পেলাম। স্পেশালি রূপসী এবং ছাগলকান্ধা নিয়েই ম্যাক্সিমাম রিভিউ অথচ এই ট্রেইলের প্রতি বাকেবাকে যে এতোএতো রহস্য লুকিয়ে আছে তা কয়জন ই জানে। ☺☺ট্রাস্ট মি, আপনার একটি বিস্ময় কাটতে না কাটতেই নতুন কোন বিস্ময় আপনার সামনে চলে আসবে।এই ট্রেইলে আপনি পাবেন ১৭ টির মতো ঝর্না+ ক্যাসকেড, সো বুঝতেই পারছেন কি আছে এর বাকে বাকে।

আমার কাছে এই ২ ট্রেইলের চেয়ে অনেক বেশি রকম ভালো+ এডভেঞ্চারিয়াস লেগেছে কমলদাহ।
যাই হোক ডিরেক্ট ট্যুর রিভিউ তে যাওয়া যাক :
আমি মোটামুটিভাবে সবকিছু in details এ বলার চেষ্টা করবো, তারপরেও কিছু জানার থাকলে feel free to ask.
এয়ারপোর্ট টু ফেনী (মেইল ট্রেন, ৯০ টাকা)>ফেনী স্টেশন টু মহিপাল (১৫)>ব্রেকফাস্ট (৪৫ টাকা)> মহিপাল টু বড়দারোগাহাট (৪০)>কমলদাহ ট্রেইল ( গাইড খরচ ৭০ টাকা)>দুপুরের খাবার (১০০)>বড়দারোগাহাট টু গুলিয়াখালি (৬০)> গুলিয়াখালি টু সীতাকুণ্ড (৩০টাকা)> সীতাকুন্ড টু মহিপাল (৬০ টাকা) > রাতের খাবার(৮০)>মহিপাল টু ঢাকা (৩০০)।
উপরের সবগুলো হিসেব Per person এর জন্য দেয়া, আমাদের খরচ হয়েছে মোট ৮৯০ টাকা প্রতিজন। আমরা সংখ্যায় ৯ জন ছিলাম। চেষ্টা করবেন ১০ জনের টিম যাওয়ার এতে খরচ বাচবে ☺☺আমাদের ১ দিনের শর্ট ট্যুর ছিল।
কমলদাহ ট্রেইল নিয়ে কিছু কথা : যারা এক্সট্রিম ট্যুর পছন্দ করেন তাদের জন্য একদম পারফেক্ট প্লেস এটা। রূপসী+ছাগলকান্ধা+দুধতলী+ সাতমারাধর+আটমারাধর+ বৈদ্য+ পাথরভাঙা এই ৭ টি ঝর্না এই রূটের পপুলার ঝর্না। ছাড়াও এই রূটে আরো ৫ টি ঝর্না আছে যার মধ্যে ৩ টির নাম ই এখনো দেয়া হয়নি ( খুব বেশি রকমের টাফ রূট ২ টিতে যাওয়ার, জাস্ট ২ আঙুলের উপর ভর দিয়ে সারা বডির ওয়েট রাখতে হবে কিছু জাগায়) একদম ডু ওর ডাই সিচুয়েশন যাকে বলে। মোটেও বাড়িয়ে বলছি না, ভিডিও করার ইচ্ছা ছিল বাট কোনভাবেই ক্যামেরা বের করতে পারি নি ওই সিচুয়েশন এ। যাদের ট্রেক করার এক্সপেরিয়েন্স নেই তাদের না যাওয়াই ভালো এরকম প্লেসে, ঝর্নাটি এতোটাই দূর্গম প্লেসে যে স্থানীয় লোকরাও নাকি এখানে আসে না ( আমাদের গাইড বলছিল এটার নাম নেই, আমারা যেনো কোন নাম দিয়ে যাই)।
বেশ লম্বা ট্রেইল, মোটামুটি হাতে ৮ ঘন্টা সময় নিয়ে যাবেন, এর বেশি হলে ভালো। প্রথমবার গেলে গাইড নিবেন নাহলে সবগুলো দেখতে পারবেন না, স্পেশালি ৩ টা ঝর্না বেশ দূর্গম পথে( আমি নিজেও ভুলে গেছি কিভাবে গাইড আমাদের নিয়ে গিয়েছে) 😂😂
কিভাবে যাবেন??
– বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে বড়দারোগারহাট নামবেন। বড়দারোগা থেকে উলটা( ঢাকার দিকে) তাকালেই দেখবেন ইটের ভাটা আছে ওই পথ ধরে আগাতে থাকবেন।
– পথে ২ টা খাবার হোটেল পাবনে, পুকুরের পাশে একটি হোটেল দেখবেন (ওইখানে খাবার অর্ডার দিয়ে যাবেন, আর কিন্তু সামনে হোটেল নেই) ওদের কাছেই ব্যাগ রেখে যাবেন (রান্না বেশ মজা, ট্রেকে গিয়ে এরকম রান্না খুব কম ই পেয়েছি) মালিকের নাম জয়নাল, বেশ ভালো মানুষ। সব ঘুড়ার ইচ্ছা থাকলে এখান থেকেই গাইড নেয়া ভালো, উনার ভাই মফিজ ( অস্থির লোক,গাইড্রা নরমালি একটু ফাকিবাজ হয় বাট উনি উল্টো আমাদের জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল, আমরা তো জানতাম ও না এতোগুলো ঝর্না আছে এখানে।01821573302 ( জয়নাল চাচার নাম্বার, উনাকে বললেই উনি সব এরেঞ্জ করে দিবেন)। গাইড খরচ ৬০০-৭০০ ( যে সার্ভিস দিছে টাকা উশুল হয়ে গেছে)
– সামনে এগুলো একটা ঝিরিপথ পাবেন, রাস্তাটা ২ ভাগে বিভক্ত।একদিকে রুপসী আরেকদিকে ২ টা ঝর্না( নাম বলতে পারে নাই) বামদিকে আগে যাবেন ( ওই ২ টা ঘুড়ার জন্য) তারপর ব্যাক করে আবার ঝিরিপথে এসে ডানদিকে
– ডানদিকে রুপসী ঝর্না পাবেন। একটু হাটলেই।
– কমলদহের উপরে উঠেই ছোট একটি ক্যাসকেড* (আল্লাহর খুম) পার হয়ে ঝিরি পথে গেলে একটু পর ঝিরিপথ দুভাগ পাবেন। হাতের বামে একটি এবং ডানে একটি
-হাতের বামের ঝিরি পথে যাবেন প্রথমে।
-এই ঝিরিপথে গেলে কিছুটা দুর গেলে আবারো দেখবেন হাতের ডানদিকে আরেকটি ঝিরি পথ পাবেন (এইটায় এখোনি যাবেন না)
-সোজা ঝিরিপথে একটু এগুলে ছাগলকান্দা ঝর্ণা পাবেন (এটার উপরে উঠতে চাইলে পাশের পাহাড় দিয়ে উঠতে পারবেন, রাস্তাটা খুঁজে নিয়েন)
-ছাগলকান্দা ঝর্ণা দেখে ফিরার সময় ৪নং পয়েন্টে যে হাতের ডানের ঝিরি কথা বলছিলাম ঐটা দিয়ে যাবেন এখন
-একটু আগালে একটা ক্যাসকেড পাবেন, ঐ ক্যাসকেডের পাশ দিয়ে খুব রিস্কি পথ দিয়ে ক্যাসকেডের উপরে যাবেন।
– তারপর সামনে এগুলো আবারো দুটি ঝিরিপথ পাবেন।
-দু ঝিরিপথের শেষ মাথায় দুটি ঝর্ণার দেখা পাবেন।
স্পেশালি ডানেরটা দিয়ে গেলে বড় ঝর্না পাবেন, এটার উপরে উঠলে আরো ঝিরিপথ আছে, একটু আগিয়ে কিছু ক্যাস্কেড পাবেন, তারপর পাহাড় বেয়ে আবার উপরে উঠলে পাবেন আরো একটি ঝর্না
-ঐখান থেকে ব্যাক করে ৪ নং পয়েন্টে আসবেন, তারপর ২নং পয়েন্টে ফিরে আসবেন।
-এবার ২ নং পয়েন্টের ডানের ঝিরিতে যাবেন, মাঝখানে একটি ঝর্ণা পাবেন। এই ঝর্নার পাশের হাল্কা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে উপরে উঠে পড়ুন,
-এরপর আবারো ঝিরিপথ পাবেন, একটু এগুলো আরেকটি ক্যাসকেড পাবেন। এই ক্যাসকেড ডিঙিয়ে উঠে পড়ুন।
– তারপর ঝিরিপথে একটু এগুলে সব শেষে ছোট একটি ঝর্না পাবেন, তখন মনে হবে আর সামনে যাওয়া যাবে না।
-এখানে থেমে ছোট এই ঝর্ণাটির পাথর বেয়ে উপরে উঠে যাবেন, উঠার পরই নিজেকে অন্ধকার এক সুরঙ্গে আবিষ্কার করবেন। সামনে এগুবেন… ২মিনিট পরই পাথরভাঙ্গা ঝর্ণার দেখা পাবেন ।
– ঝর্না দেখে আবার ব্যাক করবেন একদম যেখান থেকে শুরু করেছেন। একটু আগালেই দেখবে হাতের বামে একটি, ডানে একটি রাস্তা আছে ( ডানের টি দিয়ে গেলে রুপ্সী দিয়ে নামতে পারবেন)। তবে ওইটা দিয়ে যাবেন না, বাম দিয়ে যাবেন (শর্টকাট) একটু আগালেই দেখবেন নিচে নামার পাহাড়ি রাস্তা, নামলেই সমতল ভূমি পেয়ে যাবেন। এরপর হাটতে থাকবেন একসময় দেখবেন ঠিক যেখান থেকে শুরু করেছেন সেখানেই চলে আসবেন।
গুলিয়াখালি বীচ :
ওইটাকে আসলে সীবিচ বলা উচিত না ( আমি এটলিস্ট সীবিচ বলতে যা বুঝি)। যারা নিরিবিলি পছন্দ করেন তাদের জোস লাগবে, খুব সাজানো প্লেস একটা। মনে হচ্ছিল প্রকৃতিক ভাবে না, মানুষ নিজের মতো করে গুছিয়ে বানিয়েছে। তবে সাগরের পানি বেশ নোংরা, পানিতে নেমে ধাপাধাপি করতে চাইলে না যাওয়াই বেটার।
কিভাবে যাবেন?
বড়দারোগাহাট থেকে রিসার্ভ লেগুনায় গুলিয়াখালি বাধ, ওইখান থেকে পায়ে হেটেও যেতে পারেন/ বোটে করেও যেতে পারেন ( বোটে ভাড়া ৫০)। হেটে( খালিপায়ে) যাবেন, ঢাকার পিচ ঢালা রাস্তায় বড় হওয়া মানুষদের এরকম সবুজ ঘাষের উপরে হাটতে ভালো লাগাই উচিত।
কিছু টিপস:
1. মেইল ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ৯:৩০ এর মধ্যে কমলাপুর চলে যাবেন এবং প্লাটফর্ম এর শেষ মাথায় দাড়াবেন, এতে সিট পাওয়ার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে।
2. লোকাল বাসে উঠার আগে দামাদামি করে নিবেন .
ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখবেন, সাথে পানি ক্যারি করবেন, প্লাস্টিক এর জুতা ব্যবহার করবেন।
3. সব ঘুড়তে চাইলে গাইড নিবেন ( অনেক কনফিউজিং রূট), আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তুলে ধরার (কতোটুকু মনে রাখতে পারছি, জানি না)
#Happy_Traveling

Post Copied From:Ashik Samad‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

কমলদাহ ট্রেইল এবং গুলিয়াখালি ট্যুর

I guess বাংলাদেশের most underrated trail গুলোর মধ্যে একটি। কমলদাহ ট্রেইলে যাওয়ার আগে ফেসবুক, ব্লগ অনেক ঘাটাঘাটি করে হাতে গোনা কিছু ঝর্না-ক্যাসকেড এর নাম ই পেলাম। স্পেশালি রূপসী এবং ছাগলকান্ধা নিয়েই ম্যাক্সিমাম রিভিউ অথচ এই ট্রেইলের প্রতি বাকেবাকে যে এতোএতো রহস্য লুকিয়ে আছে তা কয়জন ই জানে। ☺☺ট্রাস্ট মি, আপনার একটি বিস্ময় কাটতে না কাটতেই নতুন কোন বিস্ময় আপনার সামনে চলে আসবে।এই ট্রেইলে আপনি পাবেন ১৭ টির মতো ঝর্না+ ক্যাসকেড, সো বুঝতেই পারছেন কি আছে এর বাকে বাকে। আমি কিছুদিন আগেই খৈয়াছড়া+ নাপিত্তাছড়া নিয়ে একটি রিভিউ দিয়েছিলাম গ্রুপে,
আমার কাছে এই ২ ট্রেইলের চেয়ে অনেক বেশি রকম ভালো+ এডভেঞ্চারিয়াস লেগেছে কমলদাহ।
যাই হোক ডিরেক্ট ট্যুর রিভিউ তে যাওয়া যাক :
আমি মোটামুটিভাবে সবকিছু in details এ বলার চেষ্টা করবো, তারপরেও কিছু জানার থাকলে feel free to ask.
এয়ারপোর্ট টু ফেনী (মেইল ট্রেন, ৯০ টাকা)>ফেনী স্টেশন টু মহিপাল (১৫)>ব্রেকফাস্ট (৪৫ টাকা)> মহিপাল টু বড়দারোগাহাট (৪০)>কমলদাহ ট্রেইল ( গাইড খরচ ৭০ টাকা)>দুপুরের খাবার (১০০)>বড়দারোগাহাট টু গুলিয়াখালি (৬০)> গুলিয়াখালি টু সীতাকুণ্ড (৩০টাকা)> সীতাকুন্ড টু মহিপাল (৬০ টাকা) > রাতের খাবার(৮০)>মহিপাল টু ঢাকা (৩০০)।
উপরের সবগুলো হিসেব Per person এর জন্য দেয়া, আমাদের খরচ হয়েছে মোট ৮৯০ টাকা প্রতিজন। আমরা সংখ্যায় ৯ জন ছিলাম। চেষ্টা করবেন ১০ জনের টিম যাওয়ার এতে খরচ বাচবে ☺☺আমাদের ১ দিনের শর্ট ট্যুর ছিল।
কমলদাহ ট্রেইল নিয়ে কিছু কথা : যারা এক্সট্রিম ট্যুর পছন্দ করেন তাদের জন্য একদম পারফেক্ট প্লেস এটা। রূপসী+ছাগলকান্ধা+দুধতলী+ সাতমারাধর+আটমারাধর+ বৈদ্য+ পাথরভাঙা এই ৭ টি ঝর্না এই রূটের পপুলার ঝর্না। ছাড়াও এই রূটে আরো ৫ টি ঝর্না আছে যার মধ্যে ৩ টির নাম ই এখনো দেয়া হয়নি ( খুব বেশি রকমের টাফ রূট ২ টিতে যাওয়ার, জাস্ট ২ আঙুলের উপর ভর দিয়ে সারা বডির ওয়েট রাখতে হবে কিছু জাগায়) একদম ডু ওর ডাই সিচুয়েশন যাকে বলে। মোটেও বাড়িয়ে বলছি না, ভিডিও করার ইচ্ছা ছিল বাট কোনভাবেই ক্যামেরা বের করতে পারি নি ওই সিচুয়েশন এ। যাদের ট্রেক করার এক্সপেরিয়েন্স নেই তাদের না যাওয়াই ভালো এরকম প্লেসে, ঝর্নাটি এতোটাই দূর্গম প্লেসে যে স্থানীয় লোকরাও নাকি এখানে আসে না ( আমাদের গাইড বলছিল এটার নাম নেই, আমারা যেনো কোন নাম দিয়ে যাই)।
বেশ লম্বা ট্রেইল, মোটামুটি হাতে ৮ ঘন্টা সময় নিয়ে যাবেন, এর বেশি হলে ভালো। প্রথমবার গেলে গাইড নিবেন নাহলে সবগুলো দেখতে পারবেন না, স্পেশালি ৩ টা ঝর্না বেশ দূর্গম পথে( আমি নিজেও ভুলে গেছি কিভাবে গাইড আমাদের নিয়ে গিয়েছে) 😂😂
কিভাবে যাবেন??
– বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে বড়দারোগারহাট নামবেন। বড়দারোগা থেকে উলটা( ঢাকার দিকে) তাকালেই দেখবেন ইটের ভাটা আছে ওই পথ ধরে আগাতে থাকবেন।
– পথে ২ টা খাবার হোটেল পাবনে, পুকুরের পাশে একটি হোটেল দেখবেন (ওইখানে খাবার অর্ডার দিয়ে যাবেন, আর কিন্তু সামনে হোটেল নেই) ওদের কাছেই ব্যাগ রেখে যাবেন (রান্না বেশ মজা, ট্রেকে গিয়ে এরকম রান্না খুব কম ই পেয়েছি) মালিকের নাম জয়নাল, বেশ ভালো মানুষ। সব ঘুড়ার ইচ্ছা থাকলে এখান থেকেই গাইড নেয়া ভালো, উনার ভাই মফিজ ( অস্থির লোক,গাইড্রা নরমালি একটু ফাকিবাজ হয় বাট উনি উল্টো আমাদের জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল, আমরা তো জানতাম ও না এতোগুলো ঝর্না আছে এখানে।01821573302 ( জয়নাল চাচার নাম্বার, উনাকে বললেই উনি সব এরেঞ্জ করে দিবেন)। গাইড খরচ ৬০০-৭০০ ( যে সার্ভিস দিছে টাকা উশুল হয়ে গেছে)
– সামনে এগুলো একটা ঝিরিপথ পাবেন, রাস্তাটা ২ ভাগে বিভক্ত।একদিকে রুপসী আরেকদিকে ২ টা ঝর্না( নাম বলতে পারে নাই) বামদিকে আগে যাবেন ( ওই ২ টা ঘুড়ার জন্য) তারপর ব্যাক করে আবার ঝিরিপথে এসে ডানদিকে
– ডানদিকে রুপসী ঝর্না পাবেন। একটু হাটলেই।
– কমলদহের উপরে উঠেই ছোট একটি ক্যাসকেড* (আল্লাহর খুম) পার হয়ে ঝিরি পথে গেলে একটু পর ঝিরিপথ দুভাগ পাবেন। হাতের বামে একটি এবং ডানে একটি
-হাতের বামের ঝিরি পথে যাবেন প্রথমে।
-এই ঝিরিপথে গেলে কিছুটা দুর গেলে আবারো দেখবেন হাতের ডানদিকে আরেকটি ঝিরি পথ পাবেন (এইটায় এখোনি যাবেন না)
-সোজা ঝিরিপথে একটু এগুলে ছাগলকান্দা ঝর্ণা পাবেন (এটার উপরে উঠতে চাইলে পাশের পাহাড় দিয়ে উঠতে পারবেন, রাস্তাটা খুঁজে নিয়েন)
-ছাগলকান্দা ঝর্ণা দেখে ফিরার সময় ৪নং পয়েন্টে যে হাতের ডানের ঝিরি কথা বলছিলাম ঐটা দিয়ে যাবেন এখন
-একটু আগালে একটা ক্যাসকেড পাবেন, ঐ ক্যাসকেডের পাশ দিয়ে খুব রিস্কি পথ দিয়ে ক্যাসকেডের উপরে যাবেন।
– তারপর সামনে এগুলো আবারো দুটি ঝিরিপথ পাবেন।
-দু ঝিরিপথের শেষ মাথায় দুটি ঝর্ণার দেখা পাবেন।
স্পেশালি ডানেরটা দিয়ে গেলে বড় ঝর্না পাবেন, এটার উপরে উঠলে আরো ঝিরিপথ আছে, একটু আগিয়ে কিছু ক্যাস্কেড পাবেন, তারপর পাহাড় বেয়ে আবার উপরে উঠলে পাবেন আরো একটি ঝর্না
-ঐখান থেকে ব্যাক করে ৪ নং পয়েন্টে আসবেন, তারপর ২নং পয়েন্টে ফিরে আসবেন।
-এবার ২ নং পয়েন্টের ডানের ঝিরিতে যাবেন, মাঝখানে একটি ঝর্ণা পাবেন। এই ঝর্নার পাশের হাল্কা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে উপরে উঠে পড়ুন,
-এরপর আবারো ঝিরিপথ পাবেন, একটু এগুলো আরেকটি ক্যাসকেড পাবেন। এই ক্যাসকেড ডিঙিয়ে উঠে পড়ুন।
– তারপর ঝিরিপথে একটু এগুলে সব শেষে ছোট একটি ঝর্না পাবেন, তখন মনে হবে আর সামনে যাওয়া যাবে না।
-এখানে থেমে ছোট এই ঝর্ণাটির পাথর বেয়ে উপরে উঠে যাবেন, উঠার পরই নিজেকে অন্ধকার এক সুরঙ্গে আবিষ্কার করবেন। সামনে এগুবেন… ২মিনিট পরই পাথরভাঙ্গা ঝর্ণার দেখা পাবেন ।
– ঝর্না দেখে আবার ব্যাক করবেন একদম যেখান থেকে শুরু করেছেন। একটু আগালেই দেখবে হাতের বামে একটি, ডানে একটি রাস্তা আছে ( ডানের টি দিয়ে গেলে রুপ্সী দিয়ে নামতে পারবেন)। তবে ওইটা দিয়ে যাবেন না, বাম দিয়ে যাবেন (শর্টকাট) একটু আগালেই দেখবেন নিচে নামার পাহাড়ি রাস্তা, নামলেই সমতল ভূমি পেয়ে যাবেন। এরপর হাটতে থাকবেন একসময় দেখবেন ঠিক যেখান থেকে শুরু করেছেন সেখানেই চলে আসবেন।
গুলিয়াখালি বীচ :
ওইটাকে আসলে সীবিচ বলা উচিত না ( আমি এটলিস্ট সীবিচ বলতে যা বুঝি)। যারা নিরিবিলি পছন্দ করেন তাদের জোস লাগবে, খুব সাজানো প্লেস একটা। মনে হচ্ছিল প্রকৃতিক ভাবে না, মানুষ নিজের মতো করে গুছিয়ে বানিয়েছে। তবে সাগরের পানি বেশ নোংরা, পানিতে নেমে ধাপাধাপি করতে চাইলে না যাওয়াই বেটার।
কিভাবে যাবেন?
বড়দারোগাহাট থেকে রিসার্ভ লেগুনায় গুলিয়াখালি বাধ, ওইখান থেকে পায়ে হেটেও যেতে পারেন/ বোটে করেও যেতে পারেন ( বোটে ভাড়া ৫০)। হেটে( খালিপায়ে) যাবেন, ঢাকার পিচ ঢালা রাস্তায় বড় হওয়া মানুষদের এরকম সবুজ ঘাষের উপরে হাটতে ভালো লাগাই উচিত।
কিছু টিপস:
1. মেইল ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ৯:৩০ এর মধ্যে কমলাপুর চলে যাবেন এবং প্লাটফর্ম এর শেষ মাথায় দাড়াবেন, এতে সিট পাওয়ার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে।
2. লোকাল বাসে উঠার আগে দামাদামি করে নিবেন .
ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখবেন, সাথে পানি ক্যারি করবেন, প্লাস্টিক এর জুতা ব্যবহার করবেন।
3. সব ঘুড়তে চাইলে গাইড নিবেন ( অনেক কনফিউজিং রূট), আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তুলে ধরার (কতোটুকু মনে রাখতে পারছি, জানি না)
#Happy_Traveling

Post Copied From:Ashik Samad‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঝর্ণা  প্রেম

ঝর্ণা  প্রেম বড়ই অদ্ভুত, একবার পেয়ে বসলে আর ছাড়ার নাম নেই। কিছুদিন আগে তিন পাগল রওনা দিয়েছিলাম বড়কমলদহ ছোটকমলদহ, ছাগলকান্দা ও নাম না জানা কিছু ঝর্ণার উদ্দেশ্যে।
.
বড়দারোগার হাটের পাশের কাচা রাস্তা দিয়ে হাটলেই ট্রেইল।ট্রেইলে কিছুক্ষণ হাঁটলেই প্রথম একটা ঝর্ণা পরবে। পাশে পাহার বেয়ে উপরে চলে যাবেন (তেমন কোন রিস্কি নেই) এরপর মিনিট বিশেক হাটলে দেখবেন ডান-বাম দু’টো রাস্তা। ডানের টায় চলে যাবেন। ঐখানে একটা ঝড়না আছে তা দেখে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসুন।
এরপর বামের রাস্তা দিয়ে হাটুন। আর বিশ্বাস করুন এখন পর্যন্ত আমার দেখা সেরা ঝিড়িপথ এটাই। (এর আগে হামহাম আর খৈয়াছড়া যাওয়া হয়েছে)। এত্ত প্রশস্ত আর সচ্ছ ঝিড়িপথে ঝড়না নানা থাকলেও শুধু ঝিড়িপথ দেখতে হলেও যাওয়া উচিৎ। আপনি অন্যরকম এক এডভেঞ্চারের অনুভব পাবেন। আধাঘণ্টা /চল্লিশ মিনিট হাটার পর পেয়ে যাবেন আসল মজা অর্থাৎ ছাগনকান্দা ঝর্ণা।
.
ছাগলকান্দার ঝর্ণার পাশের পাহাড় দিয়ে উপরে যান। তেমন কোন রিস্ক নেই। কিন্তু উঠে আপনি যা পাবেন, সিরিয়াস, আপনার কল্পনা শক্তিকেও হার মানাবে। শুধু এত্তটুকু বলবো। আপনি ছোটকরে হলেও নাফাখুমের একটা স্বাধ পেয়ে যাবেন। পরপর তিনটা ঝর্ণার মত খুম। আহা আহা। আহা।
.
যাতায়াত:
বাসে : ঢাকা থেকে ফেনী। ফেনী থেকে বরদারোগার হাট অথবা ডাইরেক্ট বাসে বড়দারোগারর হাট। নামার পর হাতের বাম দিকে একটি “ইটখোলা” আছে। “ইটখোলা” র পাশ দিয়ে কাঁচা রাস্তা ধরে ১০মিনিট হাঁটলে রেললাইন। রেললাইন পার হয়ে কিছুক্ষণ হাঁটলেই ট্রেইলের মুখ।

ট্রেনে : সিতাকুণ্ডু স্টেশনে নেমে মেইন রোডে চলে আসবেন। রাস্তার বিপরীত দিকে চলে এসে,ঐখান থেকে অটো বা মিনি বাসে বড়দারোগারর হাট।
.
বি.দ্র. ১: ট্রেইলে ঢুকার আগে গ্রামে একটা খাবার দোকান আছে। ঐখানে দুপুরের খাবারের অর্ডার আর ব্যাগ রেখে যেতে পারবেন। খানা নাকি খুবই ভালো (আমরা খাইনি, জানতাম না কিন্তু খেয়েছে এমন কিছু ভাইয়ের মুখে শুনেছি)।

২. লোক বা বাজেট বেশি হলে এবং রিস্ক নেয়ার সাহস থাকলে গাইড নিয়ে নিবেন। আর বলবেন, ঐখানে মোট যতগুলো ঝর্ণা আছে সবগুলোতেই নিয়ে যেতে। কারন ঐখানে ঝরনা আর খুম প্রায় ১৭টার কাছাকাছি। রাস্তা না চিনা আর গাইড না থাকার কারনে আমরা যেতে পারিনি। আর এই বিষয়টা পরে জেনেছি। আল্লাহ চাহেতো আগামী বছরে আরেক অভিযান হবে।

Post Copied From:Md Affan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

চন্দ্রনাথ পাহাড়!!

এখন পর্যন্ত যারা এখানে যান নি , আপনার জীবনের সমস্ত এ্যাডভেঞ্চার এর সাথে যুক্ত করতে পারেন নতুন একটি নাম – চন্দ্রনাথ পাহাড় ৷
মূলত এটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত ৷ তাই আপনি যখন এই পাহাড়ে যাবেন , তখন ছোট-বড় শখানেক বা তার কিছু কম সংখ্যক মন্দির দেখতে পাবেন । হাজার বছড়ের ঐতিহ্যবাহী শ্রী চন্দ্রনাথ মন্দির এর উপর এই পাহাড়ের নামকরণ করা হয়-চন্দ্রনাথ পাহাড় । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০৫০-১১০০ ফিট উচ্চতায় এই মন্দির এর অবস্থান ৷ তবে ভয়ের তেমন একটা কারন নেই , কেননা এই পাহাড়ের চূড়ায় যাওয়ার জন্য একদম পাদদেশ থেকে চূড়া পর্যন্ত কনক্রিট এর সিড়ি করে দেয়া আছে ৷ তবে সিঁড়ি গুলো অত্যন্ত খাড়া ৷ হাঁটুর জোড় না থাকলে বিশ্রাম নিয়ে যাওয়াই শ্রেয় ৷ আর উপরে উঠতে উঠতে পাহাড় আর প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করুন I কুয়াশা/মেঘে ভড়া আকাশ , সবুজের সমারহ , ছোট ছোট অনেক বাচ্চা পাহাড় সত্যি আসাধারন ৷ আর একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে , পাহাড় গুলো পাথুরে আর ঝড়ঝড়ে রুক্ষ । এমন খাড়া পাথুরে প্রায় ১৭৫/১৮০ ডিগ্রী পাহাড় আমাদের দেশে দেখা যায় না ৷
যাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই তারা খুবই অল্প সময়ে ঘুড়ে আসতে পারেন ৷ সাথে কাছাকাছি গুলিয়াখালি , বাশবাড়িয়া এবং কুমিড়াঘাট সী-বিচ গুলো ঘুড়ে আসতে পারেন একই দিনে ৷
যেভাবে যাবেন :
ঢাকা থেকে রাত ১১ টায় কমলাপুর ষ্টেশন এ ঢাকা মেইল এ ১২০ টাকা টিকেট কেটে উঠে পড়ুন সীতাকুণ্ড এর উদ্যেশ্য ৷ সকাল ৭:৩০ এ আপনি পৌঁছে যাবেন সীতাকুণ্ড স্টেশন এ । সীতাকুন্ড নেমে নাস্তা সেড়ে ফেলুন । ষ্টেশন থেকে একটু সামনে চলে যান রেললাইন ধরে ৷ অটো বা সি এন জি তে চলে যান চন্দ্রনাথ , ভাড়া ১৫-২০ টাকা ৷ তারপর দুপুরের মধ্যে ঘুড়া শেষ করে সীতাকুন্ড ফিড়ে ভোজ সেড়ে ফেলুন ৷ একটু হেঁটে মেইন রোড চলে যান ৷ গুলিয়াখালি যেতে চাইলে রোড এ উঠতে হবে না ৷ ব্রীজ এর নিচে সি এন জি আছে ৷ জনপ্রতি ২০-৩০ টাকা ৷ অনেক সুন্দর যায়গা ৷ আর বাশবাড়িয়া বা কুমিড়া যেতে হলে বাস এ উঠে পড়ুন ৷ ভাড়া ১৫-২৫ ৷ কুমিড়া ২৫ টাকা , নামবেন বড় কুমিড়া ৷সেখান থেকে অটো বা সি এন জি ১০ টাকা ৷
আর বাশবাড়িয়া বাস এ ১৫ টাকা , ওইখান থেকে বীচ ২০ টাকা ৷

ফেরার পালা । সীতাকুন্ড চলে আসুন , রাত ৮ টার মধ্যে । ৮.৩০ এ জালালাবাদ মেইল এ ফেনী চলে আসুন ৷ টিকেট ২০-২৫ টাকা ৷ টিকেট না কাটলেও সমস্যা নেই ৷ রাত ১২ টায় ঢাকা মেইল এ ঢাকা ফেরত চলে আসুন ৷
উল্লেখ্য : ঢাকা মেইল যাওয়ার সময় সীতাকুন্ড থামে , আসার সময় না ৷ আন্তঃ নগর পরিহার করা অধিক সুবিধাজনক । কেননা , যাওয়ার সময় আপনার হয় নামতে হবে ফেনী না হয় চট্টগ্রাম ৷ ফেনী নামাবে রাত ১:৩০ এ ৷ আর সকাল ৭টার আগে সীতাকুন্ড এর ডেমু ট্রেইন ছাড়া আর নাই ৷ সারারাত ফ্রি ওয়াইফাই চালানো ছাড়া ঘুমাতেও পাড়বেন না ৷ একই অবস্থা ঢাকা ফেরার ক্ষেত্রেও ৷ সিদ্ধান্ত আপনার ৷

এই শিডিওল যাদের জন্য : বৃহস্পতিবার রাত রওনা দিবেন , শুক্রবার সারাদিন ঘুড়বেন , রাত এ রওনা দিয়ে সকালে অফিস/ক্লাস করবেন ৷ যাদের হাতে এর থেকে বেশি সময় নেই তাদের জন্য শিডিওল ৷

খরচ : মেইল ট্রেইন এ আসা যাওয়া , অটো ভাড়া , খাওয়া সব কিছু মিলিয়ে ৭০০-৮০০ টাকা ৷
আর বাস বা ডিরেক্ট ট্রেন এর জন্য ১১oo – ১৪০০ টাকা এর মধ্যে ।

আর কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট এ জানান , আমি অধম ভ্রমণ বিষয়ে তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব ( যত টুকু জানি )

Post Copied From:Tanvir Ahmed‎>Travelers of Bangladesh (ToB)