ফুলের রাজধানী যশোর

নানা রঙের বাহারী ফুলের চাষ হয়ে থাকে যশোরে। ভোর থেকে সে ফুল নিয়ে জড়ো হতে থাকে ফুল ব্যবসায়ীরা। সকাল ৮টা নাগাদ জমে উঠে “গদখালী ফুলের বাজার।” বলা হয়ে থাকে দেশের ৭০% ফুলের জোগান যশোর থেকে হয়।

গোলাপ, গ্লাডিওলাস, গাদা, রঙ বেরঙের জারবেরা কি নেই এই গদখালী বাজারে। এ যেন ফুলের স্বর্গ, শুধু আনন্দটুকু খুঁজে নিতে হবে। সাইকেল, ভ্যানে করে চাষীরা তাদের ফুল নিয়ে বাজারে জমায়েত হয়। ১০-১১টার মধ্যেই বেচাকিনি শেষে বাজার নিরব হয়ে পরে। তাই বাজার দেখতে হলে যেতে হবে সকাল সকাল।

বাজার দেখা শেষে ঘুরে আসতে পারেন পানিসারায় ফুলের বাগানে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে ফুল চাষ হচ্ছে। এ যেন ফুলের স্বর্গ। তবে এ স্বর্গ দেখতে হলে আপনাকে যেত হবে জানুয়ারীর মাঝামাঝিতে ফুল তখনই সবচেয়ে বেশি থাকে।

যাওয়ার উপায়ঃ

ঢাকা/অন্য জেলা থেকে বাস/ট্রেনে যশোর। যশোর থেকে বেনাপোলগামী বাসে করে গদখালী মোড়। রাস্তার পাশেই ফুলের বাজার। বাজার ঘুরা শেষে ১০টাকা ভ্যান ভাড়ায় পানিসারা ফুলের বাগান। যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দিবে পথ।

*ফুলের বাজার দেখতে হলে অবশ্যই ভোরে যশোর থাকতে হবে সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে গেলে ট্রেন জার্নিটাই আরামদায়ক হবে।

Post Copied From:Himel Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

গাদা ফুলের বাগান

গাদা ফুলের বাগান। পিছনে যে বিশাল মাঠ দেখা যাচ্ছে জানুয়ারীর মাঝামাঝিতে সেখানটা জুড়ে থাকে নানা ফুলের সমাহার। গ্লাডিওলাস, জারবেরা, গোলাপ, গাদাসহ আরো কত ফুল।

আমি গিয়েছিলাম ২৫ নভেম্বর তখন সব মাঠেই ফুলের গাছ লাগানো হচ্ছে। স্থানীয় চাষী বললো, “আসবেন জানুয়ারীতে তখন দেখবেন শুধু ফুল আর ফুল। টিভিতে যে ফুলের ছবি দেখেন সব এই খানের। শয়ে শয়ে মানুষ আসে এই ফুল দেখতে।”

এক ভ্যান চালক জানালো, “২৪ তারিখ মানে আমি যাওয়ার আগের দিন শুক্রবারেও নাকি ৫০০ মানুষ আসছে ফুল দেখতে।”

এখন গেলে কিছু জারবেরা বাগান আর গ্লাডিওলাস পাবেন। গোলাপ তেমন দেখা যাবে না কারন খুব ভোরেই সব গোলাপ কেটে নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির উদ্দ্যশ্যে।

যাওয়ার উপায়ঃ

ঢাকা/যেকোন জেলা থেকে বাস/ট্রেনে যশোর। যশোর থেকে গদখালি মোড়। গদখালি মোড় থেকে ভ্যানে ১০টাকা ভাড়ায় পানিসারা ফুলের বাগান।

Post Copied From:Himel Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)