পঞ্চগড় এর একটা ছোট গ্রামের গল্প

বনে জংগলে ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পৃথিবীর সব চেয়ে ভালো অনুভূতিটা কাজ করে।
যদিওবা আমি কোন ফোটোগ্রাফার নই ।
সেদিন খুব সখ করে দূরপাল্লার ভ্রমণপথ পারি দিছিলাম। গন্তব্য পথেরকাঁটা হয় দাড়ল এই বিল/পুকুরপাড়, থেমে আর অপেক্ষা করতে পারলাম না ফোটোগ্রাফার হতে 😀 যেটুকু ক্যামেরা ফ্যানংসন সমন্ধে যানা আছে এপ্ললাই করতে শুরু করলাম :p
বিলের পাশে ক্লিক করতে করতে মাঝেমধ্যে পা পিচলা খাচ্ছিলাম, শেষবার রক্ষা পেলাম না পরতেই হইল বিলের মাঝে ভাংগিস ক্যামেরাটা মরতে মরতে বেচেছে 🙂
এর মাঝে কিছু ঝিজু পাখনা পাখি এসেপরেছে লক্ষ করতে ক্ষানিকক্ষন দেড়ি হল তবে তাদের এই বন্ধুবৃত্ত আচরন বাদ গেলো না ফ্রেমওয়ার্ক থেকে।
সন্ধা ঢেলে পড়ছিলো গন্তব্যে আর যাওয়া হল না।
বাসা ফেরার পথে মাঝি ভাইকে অসংখ্যায়িত ধন্যবাদান্তে বিদায় নিলাম। আর একটা কথা জানবার ইচ্ছুক ছিলাম
ও মাঝি ভাই কি করবেন এই শাপলা ফুল দিয়া!! ?

: ভাইরে বেটিয়া হামার খুব সখ দরিছে শাপলা ফুলের মালা গলাত দিবে 🙂
একটা ভালোবাসাযুক্ত গল্প

Post COpied From:Mofassherul Al Noman‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়

পঞ্চগড় হলো বাংলাদেশের সর্বউত্তরের জেলা। এটি একটু সুরু জেলাও বটে।
পঞ্চগড় জেলাতে ৫ টি উপজেলা মোটামুটি সব উপজেলাতেই কিছু না কিছু আছে।
১★আটোয়ারি উপজেলা ★ এটা পঞ্চগড় জেলা শহর থেকে ২২ কি.মি দূরে অবস্থিত।
এখানে দেখার মত রয়েছে চাবাগান,মির্জাপুর শাহী মসজিট,বার আউলিয়ার মাজার, সুইস গেট। এছাড়া ডিসেম্বর মাসে ১ মাস ব্যাপী শতবর্ষ পুরাতন একটা মেলা হয়।
২★বোদা ★ পঞ্চগড়ের আর একটি উপজেলা হলো বোদা এখানে কয়েকটা প্রাচীন মন্দির রয়েছে আর তেমন কিছু নেই।
৩★দেবীগন্জ★ এই উপজেলা তে একটা প্রাচীন কালিমন্দির রয়েছে এছাড়া লিচু ও আম বাগান আছে।
৪★পঞ্চগড় সদর উপজেলা ★ এখানে রয়েছে পাথরের জাদুঘর যা রকস মিউজিয়াম নামে পরিচিত এটি মহিলা কলেজের তত্ত্বাবেধনে থাকে এছাড়া কিছু চাবাগান ও একটা প্রাচীন দিঘী ও ভিতরঘর রয়েছে।
৫★তেতুলিয়া উপজেলা পঞ্চগড় ও ঢাকা থেকে সরাসরি আসা যায় এই উপজেলাতে।
যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়, যার তিন দিকেই ভারতের সীমানা-প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। এর উত্তর দিকেই ভারতের দার্জিলিং জেলা উপজেলা সদরে একটি ঐতিহাসিক ডাকবাংলো আছে। এর নির্মাণ কৌশল অনেকটা ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের। জানা যায়, কুচবিহারের রাজা এটি নির্মাণ করেছিলেন। ডাকবাংলোটি জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এর পাশাপাশি তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ একটি পিকনিক স্পট নির্মাণ করেছে। ওই স্থান দুটি পাশাপাশি অবস্থিত হওয়ায় সৌন্দর্যবর্ধনের বেশি ভূমিকা পালন করছে। সৌন্দর্যবর্ধনে এ স্থান দুটির সম্পর্ক যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। মহানন্দা নদীর তীরঘেঁষা ভারতের সীমান্তসংলগ্ন (অর্থাৎ নদী পার হলেই ভারত) সুউচ্চ গড়ের ওপর সাধারণ ভূমি থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিটার উঁচুতে ডাকবাংলো ও পিকনিক স্পট অবস্থিত।

ডাকবাংলোর বারান্দায় দাঁড়ালে আপনার চোখে পড়বে ভারত-বাংলাদেশের অবারিত সৌন্দর্য। ওই স্থান থেকে হেমন্ত ও শীতকালে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বর্ষাকালে মহানন্দা রূপ অনেক বেড়ে যায় এছাড়া এখানে রয়েছে অনেক চা বাগান ও বাংলা বন্ধা জিরো পয়েন্ট।

কিভাবে যাবেন ★ ঢাকা থেকে সব উপজেলাতেই সরাসরি বাসে যাওয়া যায় এছাড়া মোটামুটি সারাদেশের সাথে বাস যোগাযোগ আছে পঞ্চগড়ের সাথে।জেলা শহর থেকে বাস বা মাহেন্দ্র দিয়ে অন্যসব উপজেলাতে যেতে পারবেন।
কয়েকমাস যাবত ঢাকা টু পঞ্চগড় ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে।
কোথায় থাকবেন ★ মোটামুটি জেলা শহর সহ সব উপজেলা তে থাকার ব্যাবস্থা আছে ২০০- ১০০০ টাকা র মাঝে অনেক ভালো হোটেল পাবেন থাকার জন্য।
খাবার ★ এই জেলা তে খাবারের দাম খুব কম।
ভ্রমণের উপযুক্ত সময় ★সেপ্টেম্বর টু ডিসেম্বর।
তাহলে দেরী না করে একবারের জন্য হলেও ঘুরে আসুন হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে।
ছবি ★ গুগল থেকে নেওয়া
আমার সব ছবি তে মানুষ পাশাপাশি সেলফি তাই রোলস অনুযায়ী দিতে পারলাম।
পরে আমার ট্যুর দেওয়া ঠাকুরগাঁও জেলা নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে।

Post Copied From:Bijoy Babu‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

পঞ্চগড় থেকে সিনিওলচুর দর্শন

পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়াও আশে পাশের আরো কয়েকটি পর্বত দেখা যায় তারমধ্যে অন্যতম সিনিওলচু ।
সিনিওলচু দেখার জন্যই যখন আজ বাংলাবান্ধার কাছাকাছি পৌছালাম তখন ভোর ছয়টা বাজতে ৫ মিনিট বাকি ।এবার উদ্দেশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা নয় । সিক্কিম এ অবস্থিত সিক্কিম এর সর্ব উচ্চ পর্বত গুলোর একটি ‘সিনিওলচু’ । সবচেয়ে সুন্দর বরফ পর্বত গুলোর একটি বিবেচনা করা হয় সিনিওলচুকে । কাঞ্চনজঙ্ঘার চুড়ো থেকে পুর্ব দিকে একাকি দাঁড়িয়ে আছে সিনিওলচু , চুড়োয় সোনালী আভা । নিচে ধানের ক্ষেতেও সোনালী রঙ । ভোরের সোনালী আলোয় তা আরো জ্বলজ্বল করছিল । গত বছর দেখেছিলাম জেনেছিলাম সিনিওলচুর কথা কিন্তু তেমন ছবি তোলা হয়নি । ১৯৩৬ সনে ৬৮৮৮ মিটার উচ্চতার পর্বতটি সর্বপ্রথম জয় করেন জার্মান পর্বতারোহী কার্ল উইয়েন । পরে সিক্কিমিজ পর্বতারোহী সোনাম গ্যাটসো ও সিনিওলচু জয় করেন ।
পঞ্চগড় এর সব যায়গা থেকে সিনিওলচু দেখা যায় না । তেতুলিয়া ডাক বাংলো থেকে অল্প একটু দেখা যায় কিন্তু বোঝা যায়না । কারন সামনে দার্জিলিং এর পাহাড় সারি পড়ে যায় । তেতুলিয়া থেকে যত পুর্বে যাওয়া যায় ততই ভালো দেখা যায় সিনিওলচু । এই ছবি শালবাহান এর পূর্বদিকে এক গ্রাম থেকে তোলা ।
পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন এর পাশাপাশি বোনাস হিসেবে সিনিওলচুর ও স্মৃতিও গেথে নিতে পারেন মনে ।
দেখতে আসা সম্পর্কিত যেকোন তথ্যের জন্য ইনবক্স করতে পারেন ।

পঞ্চগড় এ স্বাগতম 🙂
হ্যাপী ট্রাভেলিং

পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা আপডেট

পঞ্চগড়ে গতকয়েক দিন থেকে ঘন কুয়াশা পরছে। যেই ডাকবাংলো থেকে ভালো ভিউ পাওয়া যায় সেখানেও তীব্র কুয়াশা। ভাগ্য ভালো হলে হয়তো ভিউ পেতে পারেন তবে চান্স ৫/১০ শতাংশ আমার মতে।

কাঞ্চনজঙ্ঘা’র ভিউ দেখার সবচেয়ে ভালো সময় প্রতিবছর অক্টোবর ১৫ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত এই ২০-২৫ দিন। তাই সামনের বছর আবার। এই বছর আর যেয়ে লাভ হবে বলে মনে হয় না। কষ্ট করে এতদূর যেয়ে হতাশ হবেন অনেকেই তাই ভাবলাম একটু আপডেট দেই যেয়ে যাতে হতাশ না হতে হয়।

ডাকবাংলো, তেতুলিয়া, পঞ্চগড়, বাংলাদেশ

১৬-১১-২০১৭
ডাকবাংলো, তেতুলিয়া, পঞ্চগড়, বাংলাদেশ
সময় সকাল ৭:৩০
#সুবহান_আল্লাহ!
হিমালয়ের অন্যতম (সম্ভবত ৩য়) উচ্চতম পর্বতশ্রেনির নাম কাঞ্চনজঙ্ঘা। প্রায় ৫ টি সুউচ্চ পর্বত নিয়ে এর গঠন। ভারত-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত এই ঐশ্বরিক, নান্দনিক ও দানবীয় সুন্দরকে আকাশ পরিষ্কার থাকা স্বাপেক্ষে বছরেত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, নীলফামারি, লালমনিরহাট থেকে দেখা যায়।
সূর্যের অবস্থা ও আলোর প্রতিফলন স্বাপেক্ষে দিনের একেক সময় এটা একেক রূপে প্রস্ফুটিত হয়।
আমি যেভাবে এসেছি:
রাত ৮ টার দ্রুতযান ট্রেনের শোভন চেয়ারে (ভাড়া ৪৬৫/-) দিনাজপুর,
টার্মিনাল থেকে গেটলক (সাদা পতাকা, ভাড়া ১৩০/-) বাসে পঞ্চগড়,
লোকাল বাসে (ভাড়া ৫০/-) তেতুলিয়া।
থাকার জায়গা:
তেতুলিয়া ডাকবাংলো (২টি; ইউএনও স্যারের অনুমতি নিয়ে থাকতে হবে)
[* উপজেলা নির্বাহি অফিসার:
জনাব সানিউল ফেরদৌস (01770-008187)
* পুরাতন ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার:
জামাল ভাই (01755-349131)
* নতুন ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার:
শাহিন ভাই (01751026225)]
সীমান্তের পাড় হোটেল
ম্যানেজার জামিল ভাই (01750-455267)
এখানে চাইলে আলোচনা স্বাপেক্ষে নামমাত্র ভাড়ায় ক্যাম্পিং করতে পারবেন। হোটেলের উঠানে ও সামনে মাঠ আছে। ওয়াশরুমের ব্যবস্থা আছে।
** ব্যক্তিগত ক্যাম্পিং গিয়ার/তাঁবু আনতে হবে
আরো যা দেখবেন:
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, শালবাহান, মিনা বাজার, আনন্দধারা, মহানন্দা নদী, পঞ্চগড় সদরের রক মিউজিয়াম (দেশের একমাত্র) ও ঐতিহাসিক ভিতর গড়, মহারাজার দীঘি।
সাথে অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য!
** বাস-ট্রেনের টিকিট ও হোটেলের রুমে হাহাকার চলছে।
** ভালো ঠান্ডা পড়েছে।
** এলাকার মানুষগুলো খুব ভালো।

Post Copied From:Jubair Abdullah‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

তেঁতুলিয়া ও পঞ্চগড় ভ্রমণ

বিগত 9 তারিখে আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে পঞ্চগড় ভ্রমণের জন্য যাত্রা শুরু করি। উদ্দেশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিদর্শন। হোটেল আগে থেকে বুক করা ছিলো। যেহেতু ডাক বাংলো পাইনি তাই তার খুব পাশেই RDRS নামক এনজিওর হোটেলে উঠলাম। বাস ছিলো সন্ধ্যা 7 টায়। সেখানে গিয়ে পৌছলাম সকাল সাড়ে আটটায় । গিয়েই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পেলাম। তারপর নাস্তা করে জিরো পয়েন্ট, কাজী চা বাগান, মীনাবাজার ঘুরে এসে তেতুলিয়াতে জুম্মা পড়লাম। তারপর বাজারের বাংলা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সারলাম। এখানে অবশ্যই ভর্তা টেস্ট করে দেখবেন। ভর্তা খাওয়ার জন্য হলেও আবার আসতে চাইবেন। তারপর হোটেলে ফিরে বিশ্রাম নিয়ে ডাক বাংলোতে নাইট ভিউ উপভোগ করলাম। তারপর রাতে আবার বাজারে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। পরে ফজরের নামাজ পরে সকালের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য বের হলাম। সেখানে একটু অপেক্ষার পরে সেই কাঙ্ক্ষিত দৃশ্য দেখা পেলাম। তারপর মহানন্দা নদীর পাড়ে সময় কাটিয়ে নাস্তা করে সকাল 9 টার দিকে পঞ্চগড়ে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

এবারের টার্গেট ভিতরগড় মহারাজা দিঘী। বাস থেকে বোর্ড বাজারে নামলাম। তারপর অটোতে করে যেতে হবে। ভাড়া জনপ্রতি 15=/. তারপর। আবার অটোতে করে মডেল হাট। ভাড়া 5=/. তারপর পাগলুতে করে পঞ্চগড় শহরে। ভাড়া 20=/. তারপর দেখতে গেলাম রক্সস মিউজিয়াম। সেখান থেকে নিরব হোটেল। দুপুরে র খাওয়ার পরে গেলাম ধাক্কামারা বাস টার্মিনাল । সেখান থেকে আটোয়ারী যাত্রা। অবশ্যই বাসের হেল্পারকে বলবেন মির্জাপুর নামাতে। সেখানে বাজারের কাউকে বললেই শাহী মসজিদ দেখিয়ে দিবে। অতপর সেখান থেকে ভ্যানে করে বার আউলিয়ার মাজার পরিদর্শন। সেখান থেকে আবার পঞ্চগড় ব্যাক। ভ্যান ভাড়া আপ ডাউন 120. /= এভাবেই শেষ হলো একটি ভ্রমন।

কীভাবে যাবেন :
উত্তরা থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত শুধো হানিফ পরিবহণ যায়।
ভাড়া 700=/।
তেতুলিয়াতে ঘুরার ভ্যান।
ভাড়া 400-700=/
তেঁতুলিয়া থেকে পঞ্চগড় বাস
ভাড়া 50=/
পঞ্চগড় শহর থেকে মিউজিয়াম, খাবারের হোটেল, বাস টার্মিনাল এর ভাড়া 15-20=/
তেঁতুলিয়া বাস টার্মিনাল থেকে ডাকবাংলো ভ্যান ভাড়া 20=/
পঞ্চগড় থেকে উত্তরা শ্যামলী পরিবহন 600=/
ধাক্কামারা টার্মিনাল থেকে আটোয়ারী 20=/

Post Copied From: Sakib Sacrosuchus‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ট্যুর

ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ট্যুরে সম্পর্কে কিছু তথ্য দরকার:

প্রশ্নঃ

  • ১) ঢাকা থেকে কি পঞ্চগড় পর্যন্ত কোনো ট্রেন যায়? গেলে কখন যায় এবং টিকিট মূল্য কত?
  • ২) কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত সাধারণত সকালে কোন সময়টাতে দেখা যায়?
  • ৩) তেঁতুলিয়ার আশেপাশে দেখার মত আর কোন কোন জায়গা আছে যা একদিনে ঘুরে দেখা যাবে ?

উত্তরঃ

  • ১। পঞ্চগড় পর্যন্ত ট্রেন যায় না। বাস যায় তেতুলিয়া পর্যন্ত। হানিফ বাস তেতুলিয়া পর্যন্ত যায় ভাড়া ৬০০ টাকা। অন্যান্য বাসে শ্যামলী নাবিলে পঞ্চগড় গিয়ে সেখান থেকে লোকাল বাসে তেতুলিয়া যেতে পারেন। ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত দ্রুতযান ট্রেন যায়। আর দিনাজপুর থেকে কমিউটার ট্রেন পঞ্চগড় যায়। তবে, বাসের জার্নি সবচেয়ে ভালো।কারণ বাস আপনাকে তেতুলিয়া পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
  • ২। ভোড়ে সূর্যদয় থেকে আমি দুপুর পর্যন্ত ছিলাম পুরোটা সময়ই দেখেছি। মোদ্দা কথা হচ্ছে পঞ্চগড় বা তেতুলিয়া থেকে উত্তরের দিগন্ত রেখা বরাবর সব সময়ই হিমালয়ান রেঞ্জের পাহাড় গুলোকে চীনের গ্রেট ওয়ালের মতো দেখতে পাবেন। তবে, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে শরৎকালে আকাশ পরিষ্কার থাকা শর্তে কাঞ্চনজংগা সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়।
  • ৩। আর তেতুলিয়ার আশাপাশে বর্ডার দেখতে পাবেন সাথে পাবেন ইন্ডিয়ার চা বাগান। আর তেতুলিয়ার ভিতরে পাবেন রৌশনপুর চা বাগান, তেতুলিয়া ডাকবাংলো, মহানন্দা নদী, গবরা নদী, বেরং নদী। আর তেতুলিয়া গিয়ে ওখানকার মানুষজনকে নিয়ে বেশী উৎসাহ দেখাবেন না। যাবেন ঘুরবেন চলে আসবেন, কেউ কিছু বলবে না। আর এলাকা নোংরা করে আসবেন না।

বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট- তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়.

#আমার_অদেখা_বাংলাদেশ_০পয়েন্ট_বাংলাবান্দা_তেতুলিয়া_পঞ্চগড়

আপনার কি মনে শান্তি নেই? অফিসে বস দাব্রানি দেয়, বাসায় গেলে বউ ঘেন ঘেন করে? একদিকে সিজিপিএ ক্রমাগত নিম্নমুখি, অন্যদিকে ফুডব্যাংকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেস্টুরেন্টের পোস্টে গফের টেগানি খেতে খেতে মানিব্যাগ আর মন দুটোই ঝাঁঝরা? তাহলে এই পোস্ট আপনারই জন্য!! এখনি ব্যাগ গুছিয়ে নিন আর চলে যান কল্লানপুর বাস স্ট্যান্ডে। পঞ্চগড়গামি হানিফ, নাবিল বা অন্য যেকোনো বাসে উঠে পরুন। সকালে নেমে যান পঞ্চগড় শহরে। তারপর লোকাল বাস বা সিএনজি নিয়ে তেতুলিয়ার পথে। শহর থেকে রওনা দেয়ার ১০ মিনিটের মাথায় হাতের বাম দিকে আপনি যেই দৃশ্য দেখবেন আশা করি ঢাকা শহরে ফেলে আসা গেঞ্জাম অর্ধেক ভুলে যাবেন তখনি। এর পর চলে যান তেতুলিয়া ডাকবাংলোর পাশে। সামনে নিল রঙের মহানন্দা নদী, ওইপারে ইন্ডিয়ার চা বাগান, চা বাগানের ভিতর দিয়ে ট্রেন যাবার শব্দ, এবং তার পরে ……

জি, তেতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার কথাই বলছিলাম এতক্ষন। সিজন শুরু হয়ে গেছে, মধ্য অক্টোবর থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত সবচে ভাল দেখা যায় এই দৃশ্য। সূর্যের আনুভূমিক অবস্থানের কারনে এই সময়ে সকালবেলায় সূর্যের আলো কাঞ্চনজঙ্ঘায় প্রতিফলিত হয়ে আমাদের এইদিকে ফিরে আসে, তাই বছরের অন্য সময়ে এটা দেখা যায়না। তারপরও কপাল খারাপ হলে দার্জিলিং সাইডে মেঘের কারনে দেখা নাও যেতে পারে, তবে মন খারাপ করার কিছু নেই। ডাকবাংলোর সান্মের বাগানে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা আপনার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে, কথা দিতে পারি। বস, বউ বা গফের যাবতীয় প্যারা এক নিমিষেই ভুলে যাবেন 😉 তাছাড়া আছে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, দেশের একমাত্র সমতল ভুমির চা বাগান কাজি অ্যান্ড কাজি টি এস্টেট।

সারাদিন ঘুরে রাতের গাড়িতে চাইলে আবার ঢাকা ফিরে আসতে পারেন। তেতুলিয়ায় থাকার জায়গা কম। ডাকবাংলো একটা অপশন, আরেকটা কি জানি আছে নাম ভুলে গেছি। আর যদি রাতে থাকেন তবে অবশ্যই সূর্য উঠার আগেই ঘুম থেকে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘা বরাবর তাকায়ে থাকবেন। প্রথম সূর্যের আলো কাঞ্চনজঙ্ঘার গায়ে পড়ার দৃশ্য, সিম্পলি অপার্থিব !!!!

কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে বাসে পঞ্চগড়, তারপর বাস বা সিএনজি তে করে তেতুলিয়া। দেরি না করে রওনা দিয়ে দিন। এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য। 😉

৫০ ডলারে দার্জিলিং (রিশপ-লাভা) ভ্রমণ

৫০ ডলারে দার্জিলিং (রিশপ-লাভা) ভ্রমণ

কিভাবে সেটা?

চলেন দেখে বা ঘুরে আসি মাত্র ৫০ ডলারে দার্জিলিং আসলে (রিশপ-লাভা) যা আমার চোখে দার্জিলিং এর চেয়েও শতগুণে সুন্দর, আকর্ষণীয় আর অভিজাত! তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে বেড়িয়ে আসি, কি বলেন?

যাত্রা শুরু ঢাকা থেকে……

৬৫০ টাকায় নাবিল পরিবহনের ধূমপান যুক্ত ও প্রায় লোকাল গাড়িতে! করে সকাল ৭:৩০ এ পঞ্চগড়। প্রথমবার এই গাড়ি যথেষ্ট ভালো সার্ভিস দেয়াতে, দ্বিতীয় কোন চিন্তা না করে নাবিলের টিকেট কেটেছিলাম। যার পরিণাম এইবার পেয়েছি হাতে-হাতে।

পঞ্চগড় থেকে দেড় ঘণ্টার সুপার লোকালে ৭০ টাকার বিনিময়ে বাংলাবান্ধা, মাঝে তেতুলিয়াতে ১০ টাকার লুচি আর চা, ব্যাস হয়ে গেল সকালের নাস্তা।

ফুলবাড়ি গিয়ে মাত্র ৫/৭ মিনিটে সব ফর্মালিটি শেষ করে, ১০ মিনিট হেটে মূল শহরের রাস্তায় গিয়ে, ২২ টাকা দিয়ে শিলিগুড়ি গেলাম পানির ট্যাংকি জীপ স্ট্যান্ডে। যেখান থেকে সরাসরি কালিম্পং ও লাভার শেয়ার জীপ পাওয়া যায়। পৌঁছে গেলাম ১৫/২০ মিনিটে সেই গন্ত্যব্যে। তখন বেলা ১১ টা।

গিয়ে জানলাম কালিম্পং এর জীপ এখনি যাচ্ছে, লাভার জীপ আছে তবে সেটা দুপুর ২ টার পরে। লাভা যেতে সময় লাগবে প্রায় ৩:৩০ ঘণ্টা! আর সেই জীপও কালিম্পং হয়েই যাবে। তাই আর দেরী না করে কালিম্পং যাবার জীপের টিকেট কাটলাম, সাথে কিনে নিলাম পথে খাবার জন্য প্রায় ২০০ টাকার শুকনো খাবার। পথে যদি ভালো যায়গা না পাই তবে যেন লাঞ্চটাও সেরে ফেলা যায়, এমন কিছু খাবার সহ।

ঠিক ঠিক ২:৩০ ঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম কালিম্পং। মাঝের যে অপার্থিব প্রকৃতির সৌন্দর্য পেয়েছি সেজন্য আলাদা গল্প লেখা আছে “৩০ সেকেন্ড আর ৫০ টাকার” গল্পে, চাইলে পড়ে দেখবেন। এখানে শুধুই টাকার হিসেবের খতিয়ান, কারণ সবাই এটাই পড়তে চান! বাকি গল্পগুলো আমার নিজের টাইম লাইনের জন্য! আগ্রহ থাকলে ওখানে গিয়ে পড়ে নিয়েন!

কালিম্পং গিয়ে জীপ থেকে নাম্বার আগেই দেখি লাভার দিকে ছেড়ে যাচ্ছে আর একটি জীপ। ড্রাইভারকে জানাতেই তিনি লাভার জীপকে দার করালেন। এক জীপ থেকে নেমেই আর এক জীপে উঠে পড়তে গিয়েই দেখি, আরে এ যে অরণ্য আর মাধবী! “নো ম্যান্স ল্যান্ড!” ধারাবাহিকের আহা! মাধবীদের সাথে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি আর ঢেউ খেলানো পথে দুলতে-দুলতে, বৃষ্টিতে ভিজতে-ভিজতে আর শিহরিত হতে-হতে লাভায় পৌঁছে গেলাম ১:৩০ মিনিটে (এই ভীষণ রোম্যান্টিক গল্পটা “নো ম্যান্স ল্যান্ড” উপন্যাসের জন্য আমার টাইম লাইনে!) ভাড়া ছিল টাকায় ৭৮ টাকা মাত্র!

লাভায় গিয়ে দেখি সব বন্ধ, কিছুই খোলা নেই! না কোন হোটেল না কোন লজ, না কোন খাবার জায়গা! কারণ এখন পুরোপুরি অফ সিজন। তাই সবাই যে যার মত আছে, নিজেদের নিয়ে। পাহাড়েরও যেন কোনই কাজ নেই, নেই কোন পর্যটক, তাই সব পাহাড়েরা মিলে গল্প করছে খুব-খুব মন খারাপ নিয়ে, কারো মুখে হাসি নেই যেন, গাড় কালো মেঘে ঢেকে রেখেছে নিজেদেরকে কষ্টের আঁচল দিয়ে! কোন-কোন পাহাড় আবার করুন কণ্ঠে সূর তুলেছে ঝরিয়ে বৃষ্টির তান!

তবুও খুঁজে-খুঁজে একটি লজে থাকার ব্যাবস্থা করে ফেললাম, ভাড়া অফ সিজন বলে মাত্র ৩৬০ টাকা রুম প্রতি! যদিও ৪০০ টাকা চেয়েছিল, কিন্তু দরদাম করে এটাতেই রফা করেছিলাম। হিম শীতল পানিতে একটু ফ্রেস হয়ে গরম কাপড় পড়ে বাইরে বের হলাম, বৃষ্টি আর পাহাড় দেখতে একা-একা, ঘুরে-ঘুরে।

কোন খাবারের (লাঞ্চ এর জন্য) দোকান খোলা না পেয়ে শেষে নিজের কাছে রক্ষিত কেক-কোক আর চকলেট দিয়েই লাঞ্চ সারতে হয়েছিল। হাটতে হাটতে চলে গেলাম লাভার ভীষণ সুন্দর, ছিমছাম আর পরিচ্ছন্ন এক মনেসট্রিতে। সেখানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র পেয়ে গেলাম, যে ভ্যাকেশনে বাড়িতে এসেছে সময় কাটাতে। তার সাথে বৃষ্টির মাঝেই ঘুরে দেখলাম সেই জায়গাটার খুঁটিনাটি।

ভিউ পয়েন্ট, রাচেলা পিক, কাঞ্চন পিক, এমন আরও অনেক অনেক মজার তথ্যে আমাকে অভিভূত করে রেখেছিল সন্ধা নাম্বার পূর্ব পর্যন্ত। এরপর বৃষ্টির ছাট আর প্রায় সন্ধার আঁধারে দুজনে মিলে লাভার পিকে বসে উপভোগ করলাম গরম কফি! আহ সে এক অপার্থিব পাওয়া। (ভিন্ন গল্পে থাকবে সেই মজার সৃতি!)

সন্ধা নামতেই সব সুনসান। এমনিতেই মানুষ নাই, তখন তো আরও নাই। তাই রুমে ঢুঁকে দুই কম্বলের নিচে ঢুঁকে পড়লাম! হ্যাঁ এমনই ঠাণ্ডা যে মোটা মোটা দুই কম্বলেই সস্থি খুঁজে নিতে হয়েছে! তন্দ্রা লেগেছিল বেশ, সারাদিনের পাহাড়ি ঝাঁকুনিতে, ঝিমিয়ে পড়েছিলাম কানে হেডফোন লাগিয়ে। চমকে গেলাম, লজের কেয়ারটেকারের ডাকে। তিনি গরম গরম খাবার রেডি করে ডাকতে এসেছেন। ৯০ টাকায় ডিনারের প্যাকেজ! খেয়ে দেয়ে ঘুম।

সকাল ৫:১৫ তে ঘুম থেকে উঠে রিশপের পথে পায়ে হাটা শুরু, নেওরাভ্যালী ন্যাশনাল ফরেস্ট এর ভিতর দিয়ে, যে গল্পটা ইতিমধ্যেই পোস্ট করা হয়েছে (যাহ কুত্তা, কাম বয়েস!” নামে!) রিশপ পৌঁছে মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা! বুঝতে পারছিলাম না কোন দিকে তাকাবো, পূর্বে না পশ্চিমে, উত্তরে না দক্ষিণে? চারদিকে এতটাই মুগ্ধতা আর আকর্ষণের ছড়াছড়ি!

দুপুর পর্যন্ত রিশপে কাটিয়ে আবার ফেরার পথ ধরলাম। লাভায় ফিরে এসে, লাঞ্চ সেই ১০০ টাকার প্যাকেজ! সারাদিন এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে কাটিয়ে, এটা সেটা খেয়ে আরও ২৫ টাকা খরচ করে ফেললাম! ওহ সাথে কফির জন্যও ২০ টাকা! পরের দিন আবার ফেরার পালা। সেই একই ভাবে তবে এবার কেন যেন ৮৫ টাকা লাগলো, লাভা থেকে কালিম্পং যেতে! তবে কালিম্পং এসে লাভা থেকে ফেরার সেই অতিরিক্ত জীপ ভাড়ার টাকা পুষিয়ে নিয়েছিলাম, কালিম্পং থেকে ১৪৫ টাকার জীপে না ফিরে, পাবলিক বাসে ১২০ টাকা ভাড়া দিয়ে!

শিলিগুড়ি ফিরে ৫০ টাকার চাওমিন, ২৫ টাকার রসগোল্লা, ১৫ টাকার লিমকা খেয়ে আর ২০ টাকার আইসক্রিম নিয়ে উঠে পড়লাম ফুলবাড়ির অটোতে ভাড়া ১৮ টাকা। তারপর ফুলবাড়ি সীমান্তে অভাবনীয় আতিথিয়তা! (সে অন্য গল্পে)। এরপর আর কি? ৭০ টাকায় পঞ্চগড় আর ৬০০ টাকায় ধূমপানযুক্ত নাবিল পরিবহণে ঢাকা!

এই হল আমার দার্জিলিং জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় দুই যায়গা রিশপ-লাভা ভ্রমণের খরচের খতিয়ান। তো দেখে নেয়া যাক, সাকুল্যে কত খরচ হল?

  • ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা ৬৫০+৭০= ৭২০/- টাকা
  • ট্র্যাভেল ট্যাক্স-৫০০/- টাকাফুলবাড়ি থেকে শিলিগুড়ি ২০/- টাকা
  • দুই দিনের জন্য স্ন্যাক্স ১৭৫/- টাকা
  • (২০০ টাকার স্ন্যাক্স এর কিছু বেঁচে গিয়েছিল যা পরে ফেরত নিয়ে এসেছি!)
  • কোক ৫০/- টাকা
  • শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ১৫০/- টাকা
  • কালিম্পং থেকে লাভা ৮৫/- টাকা
  • সেদিন দুপুরে লাঞ্চ পাওয়া যায়নি লাভাতে! কাছে থাকা কেক আর কোক দিয়ে লাঞ্চ!
  • প্রথম রাতের ডিনার ১১৫/- টাকা
  • সকালে স্ন্যাক্স সাথে ছিল, কফি ১৫/- টাকা
  • দুপুর আর রাতের লাঞ্চ-ডিনার ২৩০/- টাকা
  • দুই রাতের লজ ভাড়া ৭২০/- টাকা
  • সকালের নাস্তা কেনা ছিল, কফি ২০/ টাকা
  • লাভা থেকে কালিম্পং ৯০/- টাকা
  • কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি ১২০/- টাকা বাস ভাড়া।
  • আরও ৫০ টাকা নিজের তিস্তায় নেমে গোসল করার জন্য অতিরিক্ত বাস ভাড়া।
  • দুপুরের পরে শিলিগুড়ি ফিরে লাঞ্চ স্বরূপ ১৩৫/- টাকা (চাওমিন-মিষ্টি-লিমকা-আইসক্রিম)
  • বাংলাবান্ধায় খাবার ৭০/- টাকা
  • বাংলাবান্ধা থেকে পঞ্চগড় ৭০/- টাকা
  • পঞ্চগড় থেকে ঢাকা ৬০০/- টাকা বাস ভাড়া
  • মোট খরচ= ৩৯৩৫/- টাকা! (৪৯.১৮ ডলার!

 

সবাইকে ধন্যবাদ।

সবার ভ্রমণ সুন্দর আর আনন্দঘন হোক।

সেই প্রত্যাশায়………
কৃতজ্ঞতায়ঃ Sajol Zahid