নিঝুমদ্বীপে ক্যাম্পিং

যাবার উপায়ঃ

০১# বাসে করে নোয়াখালী হয়ে নিঝুমদ্বীপঃ
বাসে করে গেলে নোয়াখালীর সোনাপুর পর্যন্ত যেতে হবে । হিমাচল এক্সপ্রেস, একুশে এক্সপ্রেস, মুনলাইন এন্টারপ্রাইজ এর বাস নোয়াখালীর সোনাপুর পর্যন্ত যায় । প্রতিদিন মোটামুটি সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নোয়াখালী সোনাপুর এর বাস ছেড়ে যায় । আবার ধানমন্ডি জিগাতলা কাউন্টার থেকে ফকিরাপুল হয়ে একুশে পরিবহনের বাস ছাড়ে রাত ১০.২০ মিনিটে । বাস ভাড়াঃ নন এসি ৩৫০টাকা এবং এসি ৪০০টাকা।

নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে সিএনজি করে চেয়ারম্যান ঘাটে আসতে হবে, রিসার্ভ ভাড়া ৪৫০-৫০০ টাকা (৫ জন) । চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পীড বোট ছাড়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে । সি-ট্রাক ভাড়া একজন ৯০টাকা (সময় লাগবে ২ ঘন্টা), ট্রলার ভাড়া একজন ১২০-১৫০টাকা (সময় লাগবে ২ ঘণ্টা) ও স্পীড বোট ভাড়া একজন ৪০০টাকা (সময় লাগবে ২০ মিনিট) । যাত্রীদেরকে নামাবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে, নলচিরা থেকে মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে যেতে হবে মোক্তারিয়া ঘাট (ভাড়া দুইজন ৪০০-৪৫০টাকা)। মোক্তারিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে ১০ মিনিট লাগবে নিঝুমদ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে (ভাড়া একজন ২২টাকা) । এরপর বন্দরটিলা ঘাট থেকে মোটরসাইকেল করে নামার বাজার যেতে হবে, ভাড়া দুইজন ১০০ টাকা।

(নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাটে সি-ট্রাক ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৮টায়, নলচিরা থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট যাওয়ার ফিরতি সী ট্রাক ছাড়ে সকাল ১০টায় । সি ট্রাকের টিকেট ঘাটেই লাইন ধরে কাটতে হয়, টিকেট আগে কেটে আগে উঠতে পারলে ভিতরে বসার জায়গা পাবেন, তবে আগে উঠার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।)

০২# ট্রেনে করে নোয়াখালী হয়ে নিঝুমদ্বীপঃ
ট্রেনে করে গেলে নোয়াখালীর মাইজদি পর্যন্ত যেতে হবে । ঢাকার কমলাপুর থেকে বৃহস্পতিবার বাদে, প্রতিদিন বিকাল ৪.২০ মিনিটে ৭১২নং আন্তঃনগর উপকুল এক্সপ্রেস নোয়াখালী এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, নোয়াখালীর মাইজদি পৌঁছে রাত ১০.২০ মিনিট। ট্রেন ভাড়াঃ স্নিগ্ধা-৫০৩টাকা, প্রথম চেয়ার-৩৫৫টাকা, শোভন চেয়ার-২৭০টাকা, শোভন-২৩০টাকা।

নোয়াখালীর মাইজদি থেকে সিএনজি করে চেয়ারম্যান ঘাটে আসতে হবে, রিসার্ভ ভাড়া ৫০০-৬০০ টাকা (৫ জন), একজন ভাড়া ১২০-১৩০টাকা । চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পীড বোট ছাড়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে । সি-ট্রাক ভাড়া একজন ৯০টাকা (সময় লাগবে ২ ঘন্টা), ট্রলার ভাড়া একজন ১২০-১৫০টাকা (সময় লাগবে ২ ঘণ্টা) ও স্পীড বোট ভাড়া একজন ৪০০টাকা (সময় লাগবে ২০ মিনিট) । যাত্রীদেরকে নামাবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে, নলচিরা থেকে মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে যেতে হবে মোক্তারিয়া ঘাট (ভাড়া দুইজন ৪০০-৪৫০টাকা) । মোক্তারিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে ১০ মিনিট লাগবে নিঝুমদ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে (ভাড়া একজন ২২টাকা) । এরপর বন্দরটিলা ঘাট থেকে মোটরসাইকেল করে নামার বাজার যেতে হবে, ভাড়া দুইজন ১০০ টাকা।

(নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাটে সি-ট্রাক ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৮টায়, নলচিরা থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট যাওয়ার ফিরতি সী ট্রাক ছাড়ে সকাল ১০টায় । সি ট্রাকের টিকেট ঘাটেই লাইন ধরে কাটতে হয়, টিকেট আগে কেটে আগে উঠতে পারলে ভিতরে বসার জায়গা পাবেন, তবে আগে উঠার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।)

০৩# ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে হাতিয়া হয়ে নিঝুমদ্বীপঃ
ঢাকা থেকে হাতিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ১ টা লঞ্চ বরাদ্দ রয়েছে। দুইটা লঞ্চ রোটেশন পদ্ধতিতে ডেইলি ১ টা করে ছেড়ে যায় । একটি “এম.ভি. ফারহান-৩” এবং অন্যটা “এম.ভি. ফারহান-৪” । দুটাই লাক্সারিয়াস লঞ্চ । প্রতিদিন বিকাল ৫.৩০ মিনিটে ছেড়ে যায় । হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৮.০০-৮.৩০টার মধ্যে । আপনাকে নামতে হবে হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে । (তমুরদ্দী ঘাট থেকে ঢাকায় ফেরত যাবার লঞ্চ ছাড়ে দুপুর ১২.৩০টায়)।

লঞ্চ ভাড়াঃ (ঢাকা থেকে হাতিয়ার তমুরদ্দীঘাট)
ডেক-৩৫০টাকা, সিঙ্গেল কেবিন-১২০০টাকা, ডাবল কেবিন-২২০০টাকা

*** কোন কারনে এম.ভি. ফারহান ৩ অথবা এম.ভি. ফারহান ৪ লঞ্চ মিস করলে বিকাল ৬.৩০ মিনিটে এম.ভি. টিপু-৫ অথবা এম.ভি. পানামা লঞ্চে করে তজুমুদ্দিন অথবা মনপুরা ঘাটে নেমে গিয়ে এম.ভি. ফারহান ৩/৪ লঞ্চ ধরতে পারবেন অথবা মনপুরা থেকে ট্রলারে হাতিয়ার তমুরুদ্দি ঘাটে যেতে পারবেন।

*** বিশেষ কারনে যদি এই দুটোও অর্থাৎ এম.ভি. টিপু-৫ এবং এম.ভি. পানামা লঞ্চও মিস করেন তবে বিকাল ৬.৩০ মিনিট (তবে এরা ছাড়তে একটু লেট করে) এম.ভি. ফারহান-৬ অথবা এম.ভি. ফারহান-৭ লঞ্চ এ করে তজুমুদ্দিন ঘাটে গিয়ে এম.ভি. ফারহান-৩/৪ লঞ্চ ধরতে পারবেন অথবা তজুমুদ্দিন ঘাট থেকে ট্রলারে করে হাতিয়ার তমুরুদ্দি ঘাটে যেতে পারবেন।

** এম.ভি. ফারহান-৩ লঞ্চ এবং এম.ভি. ফারহান-৪ লঞ্চ এর রুটঃ
কালিগঞ্জ(মেহেন্দীগঞ্জ)-বিশ্বরোড(ভোলা)-দৌলতখাঁ(ভোলা)-মির্জাকালু-শরাশগঞ্জ-ভোলা তজুমুদ্দিন-মনপুরা(রামনেওয়াজ ঘাট)

** এম.ভি. টিপু-৫ লঞ্চ এবং এম.ভি. পানামা লঞ্চ এর রুটঃ
ঢাকা-চাঁদপুর-কালিগঞ্জ(মেহেন্দীগঞ্জ)-বিশ্বরোড(ভোলা)-দৌলতখাঁ(ভোলা)-মির্জাকালু-শরাশগঞ্জ-ভোলা তজুমুদ্দিন-মনপুরা(রামনেওয়াজ লঞ্চঘাট) ও মনপুরা হাজিরহাট লঞ্চঘাট।

** এম.ভি. ফারহান-৬ লঞ্চ এবং এম.ভি. ফারহান-৭ লঞ্চ এর রুটঃ
ঢাকা-ফতুল্লা-কালিগঞ্জ(মেহেন্দীগঞ্জ)- বিশ্বরোড(ভোলা)-দৌলতখাঁ(ভোলা)-মির্জাকালু-শরাশগঞ্জ-ভোলা তজুমুদ্দিন-শরশী সী-ট্রাক ঘাট-মঙ্গল শিকদার-বেতুয়া(চরফ্যাশন)

এই ৬টি লঞ্চ একি মালিকের । যে কোন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
এম.ভি. ফারহান ৩ – ০১৭৮৫৬৩০৩৬৫, ০১৭৮৫৬৩০৩৬৬, ০১৭৮৫৬৩০৩৬৭
এম.ভি. ফারহান ৪ – ০১৭৮৫৬৩০৩৬৮, ০১৭৮৫৬৩০৩৬৯, ০১৭৮৫৬৩০৩৭০

লঞ্চ থেকে নামবেন হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে । তমুরদ্দী ঘাট মোটরসাইকেল করে মোক্তারিয়া ঘাটে যেতে হবে , ভাড়া দুইজন ৩০০-৩৫০টাকা (সময় লাগবে ১ ঘন্টা) । মোক্তারিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে নিঝুমদ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে ,ভাড়া একজন ২২ টাকা (সময় লাগবে ১০ মিনিট) । এরপর বন্দরটিলা ঘাট থেকে মোটরসাইকেল করে নামার বাজার যেতে হবে, ভাড়া দুইজন ১০০ টাকা (সময় লাগবে ৩০ মিনিট)।

ভাগ্য ভালো থাকলে আপনি ট্রলারে করেও মেঘনা নদীর বুক চিরে সরাসরি নিঝুমদ্বীপ নামার বাজার যেতে পারেন । সেক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগবে । প্রতিদিন সকাল ১০টায় তমুরদ্দী ঘাট থেকে ফিশিং ট্রলার সরাসরি নিঝুমদ্বীপের নামার বাজার যায়, ভাড়া একজন ২০০-৩০০টাকা । এছাড়া আপনি ট্রলার রিজার্ভ করেও যেতে পারেন নিঝুমদ্বীপের নামার বাজার (ভাড়া ট্রলার সাইজ অনুযায়ী ৩৫০০-৫০০০টাকা)।

০৪# চট্রগাম সদরঘাট থেকে লঞ্চে হাতিয়া হয়ে নিঝুমদ্বীপঃ
চট্টগ্রাম সদর ঘাট থেকে হাতিয়াগামী জাহাজে উঠে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে নামতে হবে । বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে সপ্তাহে তিন দিন B.I.W.T.A. এর স্টীমার এম.ভি.বার আউলিয়া এমভি আব্দুল মতিন এবং এম.বি মনিরুল হক হাতিয়া নলচিরা ঘাট পর্যন্ত চলাচল করে । এ সকল স্টীমার চট্টগ্রামের সদর ঘাট থেকে সকাল ৯টা যাত্রা শুরু করে একই দিন বিকাল ১-২ টার মধ্যে নলচিরা ঘাট পোঁছে। এ ভ্রমণে একই সাথে বঙ্গোপসাগর ভ্রমণ এবং সন্দীপ ও হাতিয়া দেখা হয়ে যাবে। আবহাওয়া খারাপ থাকলে কিছুটা রোলিং হয় কিন্তু এ ভ্রমণটা ১০০% নিরাপদ । প্রতিদিন সকাল ৯টায় দুই পাশ থেকেই দুইটা লঞ্চ ছেড়ে যায় (শুক্রবার ও রবিবার বাদে)।

হাতিয়া ভাড়াঃ প্রথম শ্রেনী (২২১৫টাকা) / দ্বিতীয় শ্রেনী (১১১০টাকা) / চেয়ার ক্লাস (৩৫০টাকা)
সন্দীপ ভাড়াঃ প্রথম শ্রেনী (১২০০টাকা) / দ্বিতীয় শ্রেনী (৬২০টাকা) / চেয়ার ক্লাস (২৩০টাকা)

নলচিরা থেকে মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে যেতে হবে মোক্তারিয়া ঘাট (ভাড়া দুইজন ৪০০-৪৫০টাকা) । মোক্তারিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে ১০ মিনিট লাগবে নিঝুমদ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে (ভাড়া একজন ২২টাকা) । এরপর বন্দরটিলা ঘাট থেকে মোটরসাইকেল করে নামার বাজার যেতে হবে, ভাড়া দুইজন ১০০ টাকা।

থাকার ব্যবস্থাঃ

১. নিঝুম রিসোর্ট (অবকাশ হোটেল) নামার বাজারঃ
নামার বাজার সী বীচের কাছে অবস্থিত । নিঝুম রিসোর্ট নামে নিঝুমদ্বীপে থাকার জন্য একটি ভালো মানের রিসোর্ট।
২বেড ভিআইপি ২০০০টাকা, ২বেড এক্সক্লুসিভ ১৫০০টাকা, ৩বেড এক্সিকিওটিভ ১৮০০টাকা, ৪বেড এক্সিকিওটিভ ২০০০টাকা, ৫বেড ফ্যামিলি ৩০০০টাকা, ৫বেড ডরমেটরি ১৮০০টাকা, ১২বেড ডরমেটরি ৩০০০টাকা।
সবগুলো রুমে এটাচ বাথরুম আছে। ডরমেটরি রুমে এক্সট্রা প্রতিজন থাকলে ২০০ টাকা করে দিতে হবে। দুপুর ১২টার আগে চেক আউট করতে হবে। অফ সিজনে রুমভাড়ায় ৫০% ডিসকাউন্ট পাওয়া যায় (এপ্রিল ১৫-সেপ্টেম্বর ৩০) । জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ পাবেন সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত। এছাড়া সারারাত লাইট ইউজ করতে পারবেন সোলার প্যানেল থেকে । এছাড়া সারাদিন ১-২ ঘন্টা পরপর ৩০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ পাবেন । ঢাকা অফিসঃ অবকাশ পর্যটন লিমিটেড, আলহাজ সামসুদ্দিন ম্যানসন (নবম তলা), ১৭ নিউ ইস্কাটন রোড । ফোনঃ ৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১, ৯৩৫৯২৩০, ০১৫৫২৩৭২২৬৯
নিঝুমদ্বীপ অফিসঃ সবুজ ভাইঃ ০১৭২৪১৪৫৮৬৪, ০১৮৪৫৫৫৮৮৯৯, ০১৭৩৮২৩০৬৫৫

২. হোটেল শাহিন, নামার বাজারঃ হোটেলটা নতুন । তবে ভাড়া একটু বেশি । ফোন নম্বরঃ ০১৮৬৩১৫০৮৮১

৩. মসজিদ বোর্ডিং, নামার বাজারঃ
এটা সবচেয়ে সস্তায় থাকার ব্যবস্থা । স্থানীয় মসজিদ থেকে এই ব্যবস্থা করেছে, দুটা সিঙ্গেল এবং দুটা ডবল রুম আছে, আর সব ডরমেটরি । ডরমেটরি ভাড়া ২০০-৩০০টাকা এবং দুই বেডের একরুম ভাড়া ৪০০ টাকা । এই বোর্ডিং-এ কোনো এটাচ বাথরুম এবং জেনারটরের ব্যবস্থা নাই । এখানে ২টি কমন বাথরুম এবং একটি টিউবওয়েল আছে। যোগাযোগঃ ০১৮৬৬৩৭৩৯৩৭ এবং মোঃ আব্দুল হামিদ জসিম, কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, নামার বাজার, হাতিয়া, নোয়াখালী । ফোনঃ ০১৭২৭৯৫৮৮৭৯

৪. নিঝুম ড্রিমল্যান্ড রিসোর্ট, বন্দরটিলাঃ ঢাকা বুকিং অফিসঃ ০১৮৪৭১২৩৫৭৩, নিঝুমদ্বীপ বুকিং অফিসঃ ০১৮৪৭১২৩৫৭২

৫. হোটেল দ্বীপসম্পদ, নামার বাজারঃ (সৈয়দ চাচার থাকা ও খাওয়ার হোটেল) মোবাইলঃ ০১৭২০৬০১০২৬, ০১৭৬০০০৮১০৬

৬. হোটেল শেরাটন, বন্দরটিলা বাজার

৭. জেলা প্রশাসন ডাক বাংলো

দর্শনীয় যায়গাঃ

১. কমলার দ্বীপঃ সেখানের কমলার খালে অনেক ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এছাড়াও আশে পাশের দ্বীপগুলো সুন্দর। পুরো দ্বীপটা হেঁটে হেঁটে ঘুরে আশা যায়, মন ভরে যাবে।

২. চৌধুরী খাল ও কবিরার চরঃ যেতে হবে বিকেলে সন্ধ্যার আগে, চৌধুরীর খাল নেমে ঘন্টা খানেক হাঁটলেই বনের মধ্যে হরিণ পালের দেখা পেতে পারেন। একটা ট্রলার রিজার্ভ নিন ১০-১৫ জনের গ্রুপ এর জন্য ১০০০-১৫০০টাকা নিবে । ওরাই হরিন দেখিয়ে আনবে, সন্ধ্যার সময় কবিরার চরে নেমে সূর্যাস্ত ও হাজার হাজার মহিষের পাল দেখতে ভুলবেন না।

৩. চোয়াখালি ফরেস্ট ও চোয়াখালি সী-বিচঃ চোয়াখালিতে গেলে খুব সকালে হরিণ দেখা যাবে । মোটরসাইকেলকে আগের রাতেই বলে রাখুন, খুব সকালে আপনাকে যাবে চোয়াখালি ফরেস্টে । ভাড়া নিবে দুইজন ১০০-১২০ টাকা । সেখানে ঐ এলাকার ছোট ছেলেরা আপনাকে বনের ভিতরে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে, তারাই হরিণ দেখিয়ে আনবে । দেখা শেষে খুশি হয়ে তাদের কিছু টাকা দিলেই তারা খুশি।

৪. ম্যানগ্রোভ বনঃ নিঝুমদ্বীপ বনায়ন প্রকল্প । নিঝুম দিপে ছোট ছোট ছেলেরা গাইডের কাজ করে, এদের সাথে নিয়ে সকাল বেলায় বনের ভেতর ঢুকে পড়ুন । হরিন দেখতে পারবেন।

৫. নামার বাজার ও নামার বাজার সী-বিচঃ নামার বাজার ফরেস্ট অফিসের সামনে ৪/৫ পিস পালা হরিণ দেখতে পারবেন । বাজার থেকে পায়ে হেঁটে বিচে যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট । এখান থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন, এখানে বারবিকিউ করে মজা পাবেন । ফরেস্ট অফিসের পাশে একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে, সেখান থেকে পুরা এলাকা দেখতে পারবেন।

৬. দমার চরঃ এই চরের দক্ষিন দিকে নতুন একটা সী বিচ আছে যাকে বলে “ভার্জিন আইসল্যান্ড” । এখানে অনেক নাম নাজানা পাখির দেখা পাবেন যদি খুব সকালে যান। অনেক টুরিস্টদের কাছে এখনও অজানা এই জায়গাটা । ট্রলার ভাড়া ৩০০০-৩৫০০ টাকা। ট্রলার এর মাঝির নম্বরঃ জাকির (০১৭৮৭৬০৫৪৪৪) (ভালো মানুষ তবে ভাড়া একটু বেশি চায়)।

** আপনি যদি হাতে সময় নিয়ে যান তবে ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে ভোলার ঢালচর, চর কুকরি-মুকরি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন।

কিছু টিপসঃ

 ভ্রমণের উপযুক্ত অবহাওয়াঃ
এখনকার আবহাওয়া অনুযায়ী অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাঝামাঝি নিঝুমদ্বীপ ভ্রমনের জন্য বেস্ট । অন্য সময় বর্ষা থাকে ও ঝড়ের কারনে মেঘনা নদী ও সাগর উত্তাল থাকে । বর্ষাকালে গেলে পুরা হাটু সমান কাদা পাবেন এবং পুরা দ্বীপের এমাথা ও মাথা আপনাকে হেঁটে পার হতে হবে, রাস্তায় কিছু চলতে পারবেনা, কাদাতে দেবে যাবে । তবে বর্ষায় মাছ খেতে পারবেন প্রচুর, ইলিশতো হাতের এপিঠ ওপিঠ । শীত কালে গেলে রাস্তাঘাট সব ভালো পাবেন, খালের মধ্যে পানি কম পাবেন, ফলে বনের মধ্যে যেকোনো জায়গায় যেতে পারবেন, বিকেলে হরিণের পাল দেখতে পারবেন, সি-বিচটা অনেক শুকনো পাবেন, সাগর বলতে মেঘনা নদী নীল পাবেন । সমস্যা একটাই তখন খাবারের দাম অনেক বেড়ে যাবে । শরতকাল আর বসন্তকাল বেস্ট। ২-৩ দিন ট্যুরের জন্য একটি আদর্শ টুরিস্ট স্পট। ক্যাম্পিং এর পরিবেশের জন্য নিঝুমদ্বীপ অতুলনীয়।

 সি ট্রাক বিষয়কঃ
চেয়ারম্যান ঘাট/নলচিরা থেকে সি-ট্রাক জোয়ার ভাটার উপরে নির্ভর করে ছাড়ে । সি-ট্রাক চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সকাল ৮টায় এবং নলচিরা ঘাট থেকে সকাল ১০টায় ছাড়ে । তাছাড়া সবসময় ট্রলার ও স্পীডবোট থাকেই । ট্রলার প্রতি ২ ঘন্টা পরপর ছাড়ে, বিকাল ৫টার পর আর কোনো ট্রলার যায় না । নোয়াখালী থেকে বাসে/ট্রেনে আসলে সি-ট্রাক এবং ট্রলারে করে যাবার জন্য যেতে হবে হাতিয়ার একেবারে উত্তর মাথায় – নলচিরা ঘাটে।

 খাবার দাবারঃ
খাবার দাবার বেশি একটা ভালো পাবেন না, সামুদ্রিক মাছ, মাংস, মোটা চালের ভাত, রুটি সব ই পাবেন, তবে প্রি-অর্ডার করে রাখা ভালো । সবগুলোর মধ্যে মোটামোটি মানসম্মত ভালো খাবার হোটেল হল আলতাফ চাচার হোটেল (হোটেল আসিফ)। এছাড়াও নামার বাজারে অনেক হোটেল আছে । সামুদ্রিক মাছ এবং চিংড়ী ভাজা খাবেন ভালো লাগবে । বার বি কিউ এর ব্যাবস্থার জন্য নিঝুম রিসোর্ট এর ম্যানেজার সবুজ ভাইকে বললে সব ব্যবস্থা করে দিবে । মুরগী/কোরাল/ইলিশ কিনে দিন আর মশলা, লাকড়ি এর জন্য কিছু টাকা খরচ দিয়ে দিন, উনি বার বি কিউ এর ব্যাবস্থা করবে, সব ইন্সট্রুমেন্ট নিঝুমদ্বীপে একমাত্র উনার কাছেই আছে, উনি এক্সপারটও বটে । ডাব পাওয়া যায়, দাম ২০-২৫ টাকা।

 মোবাইল চার্জঃ
বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা না থাকার কারণে এলাকার অধিকাংশই সোলার এবং জেনারেটর এর উপর নির্ভরশীল । মোবাইল/পাওয়ার ব্যাংক/টর্চ/ ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জের জন্য দুটা দোকান পাবেন । দিনের বেলা মোবাইল ফুল চার্জ দিতে হলে ৫ টাকা এবং রাতে ৫ টাকা নিবে।

 ক্যাম্পিংঃ
ক্যাম্পিং এর সুবিধা ভরপুর। পুরা দ্বীপে যেখানে মন চায় সেখানেই তাবু টাঙ্গানো যাবে, জন্তু জানোয়ারের কোনো ভয় নাই, শুধু বুনো মহিষ থেকে সাবধান । সবচাইতে ভালো যায়গা হলো নামার বাজারে নিঝুম রিসোর্টের পাশের খাল পার হয়ে সাগর পাড়ের বিশাল (৫/৬ মাইল) খোলা মাঠটা। অথবা বাজার থেকে সোজা বিচের রোড ধরে সামনে এগিয়ে গেলে অনেক খোলা জায়গা পাবেন, সেখানেও তাবু পিচ করতে পারেন । তেমন কিছুই নেয়া লাগবে না, সবই পাওয়া যাবে নামার বাজারে, এরপরও যদি কিছু লাগে তাহলে জাহাজমারা বাজারে পাওয়া যাবে। নিঝুমদ্বীপে সবই পাওয়া যায় । বৃষ্টির দিনে ওয়াটারপ্রুফ তাবু নিয়ে যাবেন। তাবু কিনতে যেতে পারেন আজিজ সুপার মার্কেটের পিক ৬৯, বসুন্ধরার মোস্তফা মাট, পান্থপথের এডভেনচার সপ, ধানমন্ডির হ্যাপি আরকেডের সাংরিয়াতে। আবার আপনি এতো টাকা দিয়ে তাবু না কিনতে চাইলে তাবু ভাড়াও নিতে পারেন। ফুল ওয়াটারপ্রুফ তাবু ভাড়া প্রতিদিন ৩৫০ টাকা (চারজন থাকা যায়), দিন হিসেবেও তাদের প্যাকেজ সিস্টেম আছে। যোগাযোগঃ ০১৮৮৩৯০৭৪৭৮ (Rent-A-Tent)।
ক্যাম্পিং করতে যারা যাবেন, বাথরুম এর জন্য অন্যান্য জায়গার মত এখানে তেমন একটা কষ্ট করতে হবে নাহ, নামার বাজার মসজিদের পাশেই পাবলিক টয়লেট আছে, এবং পানির ব্যবস্থার জন্য আছে পুকুর।

 মোবাইল নেটওয়ার্কঃ
বর্তমানে প্রায় সকল অপেরেটরেরই নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় । রবি-এয়ারটেলের ৩জি সার্ভিস পাওয়া যায়।

 বোটঃ
নিঝুমদ্বীপ জাতীয় উদ্যান এলাকায় ভ্রমণ করার জন্য ৪০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ফাইবার বোট ভাড়া দেওয়া হয়। যোগাযোগঃ আলতাব হোসেন (মাঝি) যোগাযোগঃ ০১৭৭৭১১৫৪৬৩ এবং ০১৭৫৮৮৯৩১৫।

 হরিণঃ
নিঝুমদ্বীপে এখন আগের মত হরিণ দেখা যায় না । হরিণ দেখতে হলে চোয়াখালি ফরেস্ট বা চৌধুরী খাল যেতে হবে । হরিণ দেখার জন্য আপনাকে নিঃশব্দে হাঁটতে হবে, হৈচৈ করা যাবে নাহ । হরিণের মাংস খাওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ, ধরা পরলে আর্থিক জরিমানাসহ যাবতজীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

 ব্যবহারঃ
নিঝুমদ্বীপের প্রত্যেকটা মানুষের ব্যবহার অমায়িক। মানুষ গুলা খুব সহজ সরল। তুলনামুলক কম টুরিস্ট যাওয়ার কারণে তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা এখনও গড়ে ওঠেনি। তারা তাদের সাধ্যমত আপনাকে যতটুক পারা যাবে সাহায্য করবে। বাংলাদেশের এই অঞ্চলের মানুষের মনে লোভ খুব কম। তারা আপনাকে কখনও ঠকাতে চাইবে নাহ। তবুও এই ভালো মানুষের ভিড়ে কিছু খারাপ-অসৎলোক থাকতেই পারে। আপনার ব্যবহারে সেইসব ভালো মানুষ যেন মনে কষ্ট না পায়, সেদিক বিবেচনা করে চলবেন। আর যাই করেন, নিঝুমদ্বীপের বিচ নোংরা করবেন নাহ। নিঝুমদ্বীপ বাংলাদেশের এক অপার সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ।

Post Copied From:Nahean Chowdhury>Travelers of Bangladesh (ToB)

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমির আরেক নাম নিঝুম দ্বীপ

নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় অবস্থিত এই “নিঝুম দ্বীপ” । উত্তরে হাতিয়া, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর,পশ্চিমে মনপুরা অবস্থিত। “নিঝুম দ্বীপ” কে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রানী বলা হয়। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে আঁচড়ে পড়া অগণিত ঢেউ,অবারিত সবুজ গাছ-গাছালি আর সহস্র হরিণ “নিঝুম দ্বীপ” কে সৌন্দর্যের রানী হতে সহযোগিতা করেছে। প্রকৃতি তার অকৃপণ হাতে সকল সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে বঙ্গোপসাগরের বুকে গড়ে সৃষ্ট “নিঝুম দ্বীপ” এলাকায়। “নিঝুম দ্বীপের” সৌন্দর্য দেখে মনে হয় ‘পানি ও কুয়াশার মাঝে শিল্পের নিপুন হাতে তুলির আছড়ে সৃষ্ট ঘুমন্ত এক পোট্রেট’।

দর্শনার্থীদের জন্য অন্যতম প্রধান আকর্ষণ রয়েছে উপকূলীয় বনবিভাগের সাজানো কৃত্রিম সুন্দরবন। এখানে বনের ফাঁকে ফাঁকে আঁকা বাঁকা বয়ে গেছে ছোট ছোট নদী-নালা,বনে রয়েছে অজস্র হরিণ,মহিষ,ভেড়ার পাল, বানরসহ অনেক বন্য পশু-পাখি।অজস্র হরিণ এবং দ্বীপের পারিপার্শ্বিক প্রাকৃতিক-অনাবিল-নৈসর্গিক শোভা যেকোন পর্যটককেই আকর্ষণ করে। প্রাকৃতির নৈসর্গিক শোভামন্ডিত পরিবেশ, ঝাউবন, কাশফুল, সবুজ ঘাসের মিশেলে প্রকৃতির নৈসর্গিক শোভামন্ডিত পরিবেশ যেকোন পর্যটককেই মুগ্ধ করবে।

যোগাযোগ এবং ভ্রমণ-
দেশের যেকোন স্থান থেকে “নিঝুম দ্বীপে” যোগাযোগ তথা যাতায়াত ব্যবস্থা যথেষ্ঠ সুবিধাজনক। ঢাকা থেকে সদরঘাট হয়ে লঞ্চ যোগে আসা যায়,সড়ক পথেও নোয়াখালী হয়ে আসা যায় খুব সহজে। চট্রগ্রাম থেকে আসতে পারেন প্রতিদিন আসা শিপে করে। “নিঝুম দ্বীপে” ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে রিক্সা কিংবা ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ব্যবস্থা। এখানে পর্যটকদের জন্যে রয়েছে উন্নতমানের আবাসসিক হোটেল ব্যবস্থা,আছে সরকারী ডাক বাংলা যাহা সম্পূর্ণ নিরাপদে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে গাইড ব্যবস্থা। খাওয়ার জন্য রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে ভালো মানের রেস্টুরেন্ট। আপনি চাইলে দ্বীপের মানুষের সাহায্যে নিজ দায়িত্বেই বনে রান্নাবান্না ও ভোজের আয়োজন করতে পারেন।
প্রতিদিন শত শত মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসেন এবং আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে রোমাঞ্চিত হন। আপনিও এসে উপভোগ করতে পারেন “নিঝুম দ্বীপের” নৈসর্গিক সৌন্দর্য। সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে ইনশাল্লাহ।

Post Copied From:Mahmudul Hassan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত

অনিন্দ্য সুন্দর বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত; তবে তা জোয়ারের সময়। সকালের দিকে গেলে নিরানন্দ লাগবে, যেতে হবে দুপুরে তখন জোয়ারের টান থাকে। ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন মিহি অনুভূতি দিয়ে পায়ের পাতা ছুঁয়ে যাবে সমুদ্রজল।

সহজপথ- দেশের যেকোনো স্থান থেকে একে খান মোড়। সেখান থেক লোকাল বা দূরপাল্লার বাসে বাঁশবাড়িয়া বাজারে নামতে হবে। দূরপাল্লার- ফেনী, নোয়াখালী এসব বড় বাসে উঠে পড়বেন সময় কম লাগবে। ৩০-৪০ টাকা ভাড়া।

বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে ২০ টাকা ভাড়ার সিএনজিতে সৈকতে চলে যেতে পারবেন

Post Copied From:মাহতাব হোসেন>Travelers of Bangladesh (ToB)

চর আলেকজেন্ডার, লক্ষিপুর

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে লক্ষিপুর বাসে, বাস থেকে নেমে সিএজি বা অটো অথবা ( আমি যেভাবে গিয়েছিলাম)
ঢাকা থেকে নোয়াখালী ( সোনাপুর) বাস, বাস থেকে সিএনজি বা অটো

বিকাল সময় টা ভাল লাগবে, সুর্যাস্ত দেখবেন আর ওখানে মহিষের দুধের দই পাওয়া যায়, ভোজন রশিকেরা চেখে দেখতে পারেন

Post Copied From:Omar Faruq Khan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী একদিনে ঘুড়ে দেখে আসার মতো জায়গা

স্থানঃ নিজুম দ্বীপ, বজরা শাহী মসজিদ , আমিশাপাড়া কালি মন্দির , পালপাড়া আন্দার মানিক( গোপন কুঠুরী), গান্ধী আশ্রম, বিখ্যাত আমিশা পাড়া বাজার।

একদিনে ঘুরতে হলে বজরা শাহী মসজীদ দেখে তারপরে সোনাপুরের পরে আলেক্সান্ডার নদীর পাড়ে যাবেন…. তারপরে সময় হলে মুসাপুর…
আর নোয়াখালী তে চিটাগাং থেকে ট্রেন এ আসতে হলে ফেণী এসে তারপরে বাস… আর নাহয় বড়পোল অথবা এ কে খান মোড় থেকে শাহী/জোনাকি বাস এ করে আসবেন…. চৌরাস্তা নেমে সিএনজি তে ২০ টাকা নিবে বজরা শাহী মসজীদ… এরপরে সেখান থেকে বাস এ করে সোনাপুর (৩০টাকা) এরপরে সোনাপুর থেকে সিএনজি করে আলেক্সান্ডার (৬০টাকা)