বিলাইছড়ি

“বিলাইছড়ি”
—–কাপ্তাই, রাঙামাটি

(যারা ট্রেক করতে পারেন/ভালবাসেন, এমন ঝর্ণা-প্রেমীদের জন্য ২দিনের বেস্ট ট্যুর প্লান।।)

স্পট সমূহ :
১) ন’কাটা ঝর্ণা
২) মুপ্পোছড়া ঝর্ণা
৩) গাছকাটা ঝর্ণা
৪) ধূপপানি ঝর্না
.
.
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ঢাকা থেকে কাপ্তাই এর সরাসরি বাসে উঠতে হবে (ভাড়া ৫৫০ টাকা) যাতে শুক্রবার সকাল ৮.৩০ টায় কাপ্তাই হতে বিলাইছড়ির লোকাল বোট ধরতে পারেন। কারন এর পরের লোকাল বোট ১০:৩০ টায়। আপনি চাইলে রিজার্ভ বোটও নিতে পারেন (ভাড়া ১০০০-১৫০০টাকা)।।

ভোরে কাপ্তাই পৌছে সকালের নাস্তা করে শনিবার রাত ৮:৩০ টার ফিরতি টিকেট করে নিবেন। কারন কাপ্তাই থেকে এটাই ঢাকার শেষ বাস। বাস স্ট্যান্ড থেকে সোজা হাটলেই কাপ্তাই ঘাট। ঠিক ৮:৩০ টায় (২মিনিট আগেও না পরেও না) বোট ছাড়ে। ভাড়া ৫৫ টাকা।।

প্রায় ২ঘন্টার এই বোট জার্নিতে, কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য আপনার রাতের বাস-জার্নিকে অনেকটাই ভুলিয়ে দিবে। পথে আর্মির প্রথম চেকপোস্ট পড়বে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। আমরা সকাল ১০:৩০ টায় বিলাইছড়ি পৌছে সোজা হাসপাতাল ঘাটের দিকে যাই। সেখানে ‘নিরিবিলি বোর্ডিং’ এ ২ রুম ঠিক করি। (৪ জনের ডাবল বেডের রুম ৫০০ টাকা, ২ জনের সিঙ্গেল বেডের রুম ৩০০ টাকা- Fixed)।।

এরপরে দুইদিনের জন্য বোট ঠিক করে নিবেন। ২দিনের ৪টা ঝর্নার জন্য বোট ভাড়া ২৮০০-৩৫০০ টাকা। হোটেলে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে বোটে উঠে পরেন। রওনা হবার আগে ‘ভাতঘর’ নামের হোটেল থেকে দুপুরের খাবার প্যাকেট করে নিয়ে নিবেন (ডিম ভাজি+আলু ভর্তা+ডাল+ভাত= ৬৫ টাকা)।।

৩০ মিনিট পর ১১:৩০ টার দিকে মুপ্পোছড়া ট্রেইলের মাথায় (বাঙ্গালকাটা) পৌছে যাবেন। মাঝিকে বলে রাখলে মাঝিই গাইড ঠিক করে রাখবে (৫০০ টাকা-Fixed)। প্রায় ১:৩০ ঘণ্টা ট্রেকিং-এর পর মুপ্পোছড়া পৌছাবেন। পথে ৫/৬ টা ছোট ছোট ঝর্ণা দেখতে পাবেন। ন’কাটা ঝর্ণার মুখ পাহাড় ধসের কারনে ভেঙ্গে গেছে, তাই আমাদের মত মুখ দেখতে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। প্রায় ১ ঘণ্টা ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখে (পড়ুন পানিতে দাপাদাপি করে) নৌকায় চলে আসবেন। নৌকা থেকে নেমে আরও প্রায় ১:৩০ ঘণ্টার মত হাটলে আপনি গাছকাটা ঝর্ণা দেখতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোন গাইড লাগবে না কারন মাঝিই নিয়ে যাবে, ঐভাবেই কথা বলে নিবেন। এভাবেই প্রথম দিনের যাত্রা শেষ করে হোটেল এ ফিরবেন। গোছল করে রাতের খাবার (পাহাড়ি মুরগি+আলু ভর্তা+ডাল+ভাত= ১১০ টাকা) খেয়ে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরবেন কারন পরের দিন ভোর ৫ টায় উঠতে হবে।।

এখানে বলে রাখি আপনি যদি সময়ের সদ্ব্যবহার না করেন তাহলে গাছকাটা ঝর্ণা দেখার সময় পাবেন না। এক্ষেত্রে বিকালে নৌকায় কাপ্তাই লেক ঘুরে সময় কাটাতে পারেন।।

শনিবার ভোর ৫টায় উঠে রেডি হয়ে ৫:৩০টার মধ্যে নৌকায় চলে যাবেন। রাতে ডিনার করার সময় সকালের নাস্তার (ভুনাখিচুড়ি+ডিমভাজির= ৬০ টাকা) অর্ডার দিয়ে রাখবেন। তারা ভোরে প্যাকেট করে রেখে দিবে। সাথে এক কলসি পানি নিয়ে নিবেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর উলুছড়ি পৌছে যাবেন। পথে আরও ২টা আর্মি চেকপোস্ট পড়বে।।

উলুছড়ি থেকে ছোট ডিঙি নৌকা নিতে হবে। প্রতি নৌকায় (৩০০টাকা) ৪/৫ জন বসতে পারে। সাথে গ্রুপ হিসেবে (সংস্কার চাঁদা ২০০ টাকা+ গাইড ৫০০ টাকা=) ৭০০ টাকা- Fixed দিতে হবে। ২০ মিনিটের মত নৌকা জার্নি করে হাটা শুরু করতে হবে। পথে ২ টা পাহাড় পার করতে হবে। প্রায় ১.৪৫ ঘন্টার মতো অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে ধুপপানি পাড়ায় পৌঁছাবেন। এখানে একটা দোকান আছে সেখানে চাইলে হালকা কিছু খেয়ে নিবেন। এর পর সবচেয়ে রিস্কি একটা ঢাল পার করতে হবে। ২৫-৩০ মিনিট পর পৌছে যাবেন কাক্ষিত লক্ষ্য- ধূপপানি ঝর্ণায়। এর এক ঝলক আপনার ৪:৫০ ঘণ্টার জার্নিকে ৪.৫ সেকেন্ড ভুলিয়ে দিবে। এত বাতাস ছিল যে ব্যালেন্স রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ১০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতার এই ঝর্ণার পানি নিচে পরতে পরতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ধোয়ার সৃষ্টি করে। এই জন্যই এর নামকরণ করা হয়েছে ধূপপানি ঝর্ণা। চারপাশ মোটামুটি আবদ্ধ থাকায় বাতাসে পানির কণা এত থাকে যে, আপনি কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বের করতে পারবেন না- যদি না সেটা ওয়াটার প্রুফ হয়।।

এখানে প্রায় ১ ঘন্টার মত গোছল করার সময় পাবেন। ঝর্ণার একদম নিচে যেতে হলে অবশ্যই গাইডের সাহায্য নিবেন। কারন কয়েক জায়গায় প্রায় ৬ ফিট গর্ত আর পানির নিচে এলোমেলো বড় বড় পাথর আছে।।

১১ টার মধ্যে রওনা দিতে হবে। ফেরার পথে ধূপপানি মন্দির দেখে আসবেন। সর্বোচ্চ ১১:৩০ টায় মধ্যে আপনাকে ধূপপানির মায়া ত্যাগ করে ফিরতে হবে নতুবা বিলাইছড়ি থেকে ৪:৩০টায় ছেড়ে যাওয়া শেষ লোকাল বোট ধরতে পারবেন না।।

**সতর্কতা:
১) আপনাকে অবশ্যই সময়ের সাথে চলতে হবে। কারন এখানের লোকাল বোট + রাঙ্গামাটি থেকে ফিরতি বাস( রাত ৮:৩০) Sharp time এ চলে।
২) এখানে Teletalk আর Robi ছাড়া অন্য কোন সিমের নেটওয়ার্ক থাকে না।
৩) ধুপপানি হচ্ছে এক বৌদ্ধ বিক্ষুর তীর্থ স্থান। তাই এখানে এসে চিল্লাপাল্লা ও উচ্চবাচ্য করবেন না।

**যা সাথে থাকতেই হবে:
১) ভোটার আইডি কার্ড (1st priority)
(অন্যথায় কলেজ/ভার্সিটি আই,ডি,কার্ড বা জন্মসনদ/পাসপোর্ট এর ফটোকপি)
২) যথেষ্ট পরিমান পলিথিন
৩) ট্রেক করার উপযোগী জুতা/সেন্ডেল

**বাজেট:
বাস ভাড়া (৫৫০*২)= ১১০০ টাকা
কাপ্তাই থেকে বিলাইছড়ি বোট (৫৫*২)= ১১০ টাকা
শুক্রবার দুপুরের ও রাতের খাবার + শনিবারে সকালের নাস্তা (৬৫+১১০+৬০)= ২৩৫ টাকা
হোটেল, মাঝি, ডিঙি নৌকা, গাইড (১০০০+ ৩০০০+১০০০+৫০০= ৫৫০০/৮জন)= ৬৮৫ টাকা
অন্যান্য খরচ =২৫০ টাকা
• ৮ জনের গ্রুপে সর্বমোট প্রায় ২৪০০ টাকার মত পরেছিল।

**মাঝির মোবাইল নং:
01558121103 (নিত্য রঞ্জন)
নৌকা বেশ বড় এবং মাঝি অত্যন্ত আন্তরিক ছিল।
উলুছড়ি থেকে নেয়া গাইড ছিল ‘টাইগার’।

[বি.দ্র. আমরা যেদিন ঝর্ণা দেখতে যাই, তার আগের ২/৩ দিন ভালই বৃষ্টি হয়েছে, এমনকি আমাদের ট্রেকিং এর মাঝেও বেশ লম্বা সময় ধরে বৃষ্টি ছিল। তাই রাস্তা পিচ্ছল এবং ঝর্ণায় যথেষ্ট তেজ ছিল। শীতকালে গেলে বৃষ্টির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবেন।

♦♦ আমরা ঢাকা ফিরবার পথে কাপ্তাই বাস স্ট্যান্ড পৌঁছেছিলাম ৮:৪০ এ, কিন্তু শেষ বাস ছিল ৮:৩০ এ। মাত্র ১০ মিনিট দেরি করে আসায় আমরা বাস পাই নি। পরে ৩ বার সিএনজি চেঞ্জ করে চট্টগ্রাম বাস স্ট্যান্ড- দামপাড়া যাই। সেখান থেকে ঢাকার বাসে উঠি।]

** পোস্টের যেকোন ভুল ক্ষমা-দৃষ্টি চোখে দেখবেন।।

post Copied from:AB Tanvir>Travelers of Bangladesh (ToB)

খুবই স্বল্পখরচে দুই দিনে ঘুরে আসুন বিলাইছড়ির মুপ্পোছড়া,ন’কাটা ছড়া ও ধূপপানি ঝর্না।

ঢাকা-কাপ্তাই এর সরাসরি বাসে উঠে পড়ুন। ভাড়া ৫৫০ টাকা। চেস্টা করববেন ১০ টার ভিতরের বাস ধরার। সকাল ৮.৩০ ও ১০.৩০ এই দুই সময়ে কাপ্তাই হতে বিলাইছড়ির লোকাল বোট ছেড়ে যায়। ১০ টার বাসে আসলেলে সহজেই ধরতে পারবেন। এখানের ট্রেইল গুলো খুব সময়সাপেক্ষ ও যথেষ্ট পরিশ্রমের তাই সকাল সকাল রওনা হয়ে যাওয়াটাই ভালো।বোটে ঊঠার আগে ফিরতি টিকেট করে নেয়া ভালো। এখান থেকে ঢাকার শেষ বাস ৮.৩০ এ ছেড়ে যায়। হালকা নাস্তা করে নৌকায় উঠে পড়ুন। একেবারে যথা সময়ে নৌকা ছেড়ে যাবে।
বোটে ভাড়া নিবে ৫৫ টাকা। আর বোট রিজার্ভ নিলে ভাড়া পড়বে ১০০০-১৫০০ টাকা(দামাদামির উউপর নির্ভরশীল)।১.৫-২ ঘন্টার মতো লাগে বিলাইছড়ি যেতে।
যেতে যেতে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য আপনি না চাইলেও আপনাকে বিমোহিত করবে এবং হালকা হিমেল হাওয়া খুব সুন্দর ঘুমের আবেশ দিবে। পথে আর্মির প্রথম চেকপোস্ট পড়বে। সেখানে বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
*এখানে বলে রাখা ভালো-সবার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে সবথেকে সুবিধা। অন্যথায় কলেজ/ভার্সিটি আই,ডি,কার্ড বা জন্মসনদ/পাসপোর্ট এর ফটোকপি সাথে রাখুন। প্রত্যেকের জন্যই লাগবে।
বিলাইছড়ি যেয়ে সোজা হাসপাতাল ঘাটের দিকে চলে যান। এখানে হোটেল বলতে নিরিবিলি হোটেল এন্ড রিসোর্ট নামে একটি হোটেল রয়েছে।সেখানে রূম ঠিক করে নিন। ৪ জনের রুম ৫০০ টাকা,দুই জনের রুম ৩০০ টাকা(ফিক্সড)। এরপরে দুইদিনের জন্য বোট ঠিক করে নিন। তিনটা ঝর্নার জন্য বোট ভাড়া পড়বে ২৫০০ টাকা।
*আমরা যে বোট নিয়েছিলাম তা ওখানের তুলনামূলক বড় বোট ছিলো। মাঝিও খুব ভালো আর বন্ধুসুলভ। ২০ জনের মতো যাওয়া যাবে। সুবিধার্থে
রওনা হবার আগে ভাতঘর নামে ওখানেই একটা হোটেল আছে সেখানে খাবারের অর্ডার দিয়ে দিন।
দুপুরে আমরা ডিম ভাজি,আলু ভর্তা,ডাল,ভাত এর অর্ডার দিয়েছিলাম। খরচ ৬৫ টাকা।
নৌকায় উঠে পড়ুন। সাথে হালকা শুকনা খাবার নিতে পারেন। ৩০ মিনিটের যাত্রার পর মুপোচ্ছড়া ট্রেইলের মাথায় চলে যাবেন। এখান থেকে গাইড নিতে হবে। এখানে গাইডের খরচ ৫০০ টাকা এটা মোটামুটি ফিক্সড। হাঁটা শুরু করে দিন। ১.৫-২ ঘন্টার মতো লাগতে পারে মুপ্পোছড়ায় পৌঁছাতে (গ্রুপের ট্রেকিং অভিজ্ঞতা ও স্পিডের উপরে নির্ভরশীল)। পথে ন’কাটা ছড়া ঘুরে যাবেন। মুপোচ্ছড়ার পৌছানোর পর দেখবেন কিভাবে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। বিস্তৃত বিশাল এক ঝর্ণা। এখানে যতক্ষন ইচ্ছা জমপেশ গোসল দিয়ে নিন।
ফিরতে ফিরতে দুপুর পার হয়ে যাবে। গিয়ে খেয়ে নিন এবং বিকেলে মাঝিকে নিয়ে এলাকা ঘুরে দেখতে পারবেন। আশেপাশে অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান আছে। নৌকা ঠিক করার সময় মাঝির সাথে কথা ঠিক করে নিতে হবে সেক্ষেত্রে। এর জন্য কিছু বখশিশ বা অতিরিক্ত টাকা সে দাবী করতে পারে।
রাতের খাবারে আমরা মুরগি,আলু ভর্তা,ডাল, ভাত খেয়েছিলাম। খরচ জনপ্রতি ১১০ টাকা।
ধুপপানির ট্রেইল অনেক দীর্ঘ তাই খুব সকালে রওনা দিতে হয়। চেস্টা করবেন ভোর ৬-৬.৩০ এর মধ্যে বেরিয়ে পরতে। সকালের নাস্তার জন্য রাতেই আমরা ভুনাখিচুড়ি ও ডিমভাজির অর্ডার দিয়ে রেখেছিলাম। জনপ্রতি ৬০ টাকা করে তারা প্যাকেট করে সকালেই দিয়েয়ে দেয়। ব্রেকফাস্ট ও সাথে শুকনা খাবার ও পানি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। হোটেলে বললে তারাই কলসিতে টিউবওয়েল এর পানি দেয় অথবা কিনে নিতে পারেন।
পথে দ্বিতীয় ও তৃতীয় আর্মি ক্যাম্প পড়বে। সেখানে পরিচয়দান পর্ব আবার পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
২ ঘন্টার মতো জার্নি শেষে ধুপপানি ট্রেইলের মাথায় পৌঁছাবেন। সেখান হতে ছোট ডিঙি নৌকায় করে ২০ মিনিটের একটা পথ পারি দিতে হয়। এখানে নোকাপ্রতি ৩০০ টাকা দিতে হবে। ৪-৫ জন করে বসা যাবে। গ্রুপ হিসেবে এখানে ধুপপানি ট্রেইল সংস্কার এর জন্য ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হবে এবং ৫০০ টাকা দিয়ে গাইড নিতে হবে।
এর পর শুরু দীর্ঘ পথচলার। বৃস্টি হলে পথটা যেনো আরো দীর্ঘ হয়ে যায়। দোয়া করবেন যেনো বৃস্টি না হয়। তাহলে পথ এত কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে যায় যে আপনার মনে দুই একবার সবকিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করার বোধোদয় হতে পারে! দুটি পাহাড়ে উঠা লাগবে। চলার পথে সাবধানতা অবলম্বন করুন নাহয় অসংখ্যবার ধপাস ধপাস শব্দ শোনার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। চাইলে অডোমস মেখে নিতে পারেন। এখানে যেতে যেতে বিশালাকার কিছু মশক-মশকী আপনার দৃস্টি আকর্ষণ করতে পারে। ১.৪৫-২ ঘন্টার মতো অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে ধুপপানি পাড়ায় পৌঁছাবেন। সভ্যতা থেকে অনেক দূরের এই পাড়ায় ৫-৬ টা ফ্যামিলি কীভাবে জীবনধারণ করে সেটা ভেবে ভেবে চাইলে পথের ক্লান্তিটা দূর করার কিছু চেস্টা করতে পারবেন। এখানে একটা দোকান আছে সেখানে চাইলে হালকা কিছু খেয়ে নিবেন। এর পর ২৫-৩০ মিনিটের খাঁড়া একটা ঢাল আছে। কিছুদূর নামার পরেই আপনি ধুপপানির রাজকীয় গর্জন শুনতে পারবেন। এই গর্জনরত ঝর্না আপনার বাকিটা পথচলাটায় আপনার সহচর হিসেবে থাকবে।
প্রথম দেখায় প্রেম বলতে যদি আদৌ কিছু থেকে থাকে তাহলে তার প্রকৃত স্বাদ পাবেন আপনি ধুপপানির প্রথম রুপ দর্শনে। রুপে-গুনে-সৌন্দর্য্যে এই ঝর্না নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যান এই অপার সৌন্দর্য্যে। লুফে নিন যতটা পারেন। স্মৃতিতে গেঁথে নিন অমূল্য গাঁথা।
*এখানে বলে রাখা ভালো ধুপপানি হচ্ছে এক বৌদ্ধ বিক্ষুর তীর্থ স্থান। তিনি সপ্তাহে ছয়দিন ধ্যান করেন( রবিবার বাদে)। তাই এখানে এসে চিল্লাপাল্লা ও উচ্চবাচ্য করবেন না।
_
বিকেল ৪.৩০ টায় বিলাইছড়ি থেকে কাপ্তাই এর শেষ লোকাল বোট ছেড়ে যায়। এটা ধরতে হলে ধুপপানি থেকে আগেভাগেই চলে আসুন। নতুবা আস্তেধীরে এসে রিজার্ভ বোট নিয়ে কাপ্তাই চলে যেতে পারবেন। যাওয়ার আগে হালকা খাবার-দাবার সেড়ে নিন। আমরা বোট মিস করেছিলাম দেখে রিজার্ভ এসেছিলাম কাপ্তাই। আর কাপ্তাই থেকেও বাস মিস করায় চিটাগাং পর্যন্ত সিএনজি তে এসে পরে বাস ধরা লাগছে। এ কারণে এখানে আমাদের খরচ একটু বেশি গেছে।
_
আমরা ৮ জন ছিলাম। আমাদের মাথাপিছু ২৪০০ টাকার মতো লেগেছে দুইদিন একরাতে।
_
ঘুরতে গিয়ে দয়া করে কেউ পরিবেশ নস্ট করবেন না। যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলবেন না। দেশটা আমাদেরই তাই এর সৌন্দর্য রক্ষার দায়িত্বটাও আমাদের।
*ভুলত্রুটি নিজ গুণে ক্ষমা করবেন।
#happy_travelling

Post Copied From:Neazul Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)