শীতলপুর লেক

লোকেশনের অভাবে পুরোন লোকেশনগুলোর উপর বেশি চাপ পড়ে যাচ্ছে। তাই নতুন ডেষ্টিনেশন এর সন্ধান দিচ্ছি। একটা অনুরোধ থাকবে পরিবেশের কথা ভাববেন। অপঁচনশীল কিছু দয়া করে ফেলে আসবেন না।

শীতলপুর লেক

এখানে শেষ গিয়েছি ২০১৫ সালে। ছবিটাও সে সময়ের। পাহাড়ের মাঝখানে একটা হ্রদ। ডানপাশের তীরে ভালো করে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন মাচা বেঁধেছে স্থানীয় ত্রিপুরারা। ওরা এখানে জুম করেছে। এই লেকে ড্যাম দিয়ে সে পানি রড উৎপাদনে ব্যবহার করছে একটি স্টিল কোম্পানী। অথবা বলা যায় ড্যাম দেয়ার ফলেই বৃষ্টির পানি আর ছড়ার পানি জমা হয়ে এ লেকের সৃষ্টি। কৃষকদের সেঁচকাজের সুবিধার্থে মহামায়া, নীলাম্বর (বাওয়াছড়া), সহস্রধারা তৈরী করেছে পাউবো। কিন্তু এই লেকের মত আরো অন্তত চারটি লেক তৈরী হয়েছে বানিজ্যিক প্রয়োজনে। সেসবের ব্যাপারে ভবিষ্যতে লিখবো।

বি:দ্র: যাদের তেল বেশি তারা এ পথে ট্রেক করে হাটহাজারী দিয়ে বের হতে পারবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছন দিয়ে। তবে এ পথে ধুর বা ট্রেইল নেই, করে নিতে হবে। আর একটি বাম দিক করে ট্রেক করলে বেরোবেন আলমপুর চা বাগান হয়ে। এপথে ধুর বা ট্রেইল আছে।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে সীতাকুন্ড। সেখান থেকে যেতে হবে শীতলপুর। স্পেসিফিকলি চৌধুরী ঘাটায় নামতে হবে। তারপর পুব দিকে এক কিলো হেটে পাহাড়। পাহাড়ের ভেতর ত্রিপুরা পাড়া পেরিয়ে ৩০ মিনিটের ট্রেক।

আবারো অনুরোধ থাকলো ময়লা আবর্জনা ফেলে আসবেন না। নীরবে ট্রেক করবেন। আদিবাসীদের সন্মান করবেন। লেকে নামবেন না। জুমের ফসলের ক্ষতি করবেন না।

post Copied From:Apu Nazrul>Travelers of Bangladesh (ToB)

মেঘের দেশে ২ দিন

আমরা ২৪ জন,গন্তব্য সাজেক।
এই শুক্রবার রাত ১১ টার গাড়িতে রওনা হলাম,পৌছালাম সকাল ৭ টায়।মালিক সমিতি থেকে গাড়ি নিলাম,শুধু সাজেক যাওয়া আসা করলে আর সাজেকে ১ দিন থাকলে ভাড়া ৭১০০ আর সাথে থাকা খাওয়ার জন্যে হাজার খানেক টাকা গুনতে হয়।সাজেকের যাওয়ার রাস্তার বর্ণনা দেওয়ার ভাষা খুজে পাওয়া দুষ্কর, এক কথায় বলতে গেলে ভয়ংকর সুন্দর।আমাদের কটেজ ঠিক করা ছিল,মেঘ মাচাং।সকালের মেঘ কিং বা সবুজ পাহাড় সাথে রাতের তারা দেখার আর্দশ স্থান মেঘ মাচাং এর বারান্দা।দুপুরে আর্মিংদের রেস্টুরেন্ট এ খাবার পর রুইলুই পাড়া ঘুড়লাম।বিকেলে সুর্যাস্ত দেখতে গেলাম কংলাক পাড়া।
সাজেকের শেষ প্রান্তে কংলাক পাহাড়। এর চূড়াতেই কংলাক
পাড়ার অবস্থান। সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প থেকে এক কিলোমিটার দূরে এ গ্রামের অবস্থান।
এ গ্রামেও
লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস। কংলাক পাড়া থেকে
ভারতের লুসাই পাহাড় খালি চোখে দেখা যায়।
এ গ্রামের নিচে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আরও
কয়েকটি গ্রাম আছে। তবে এ গ্রামগুলো খুবই দুর্গম।
সন্ধ্যায় আমরা সবাই এক সাথে বসলাম হ্যালি প্যাডের পাশের পাহাড়ে।আকাশে চাঁদ না থাকলেও তারাদের মেলা বসেছিল এই দিন।রাতে আর্মিদের রেস্টুরেন্টে বার বি কিউ করলাম,২৫০ টাকা মাথাপিছু।
পরের দিন ভোর ৫ টা,সাজেকের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য যেন আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছিল।পূর্ব কোণে হাল্কা লাল আর চারিদিকে মেঘের মেলা।ভারতের মিজোরাম আর আমাদের পাহাড়ের মধ্যে যেন মেঘের সমুদ্র।এই সৌন্দর্য় হজম করতে না করতেই পাহাড়ের এক কোণায় সূর্য মামার আগমন। সূর্যের আলো পেয়ে আমাদের চারিদিক যেন শুভ্রতায় ভরে গেল।
সকালে নাস্তা করলাম চিম্বাল রেস্টুরেন্টে, তাদের খিচুড়ি ছিল অসাধারণ,ডিম দিয়ে খিচুরি ১০০ টাকা।
এরপর গন্তব্য খাগড়াছড়ি। যাবার পথে গাড়ি খারাপ হওয়ায় দুপুরে ব্যাম্বো সুট আর রাতে সিস্টেম রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কথা থাকলেও শুধু
ব্যাম্বো সুটে রাতে খেলাম।আর দুপুরবেলা গেলাম আলুটিলা,রিসাং ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রিজ।আলুটিলার অন্ধকার আর রিসাং এর উচু থেকে ড্রাইভিং এর আসল মজা না নিলে খাগড়াছড়ি ভ্রমণ অসম্পূর্ণই থেকে যায়……….

Post Copied From:

Nasrullah Kanon‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)