গোলাপগ্রাম – Ville de Fluir

ঢাকার অদূরে ছিমছাম প্রকৃতির মাঝে গড়ে ওঠা সাদুল্লাহপুর গ্রামটি গোলাপগ্রাম হিসেবে পরিচয় পাচ্ছে অনেক ভ্রমণপ্রেমীর কাছে ।
শুধু নামে নয়,আক্ষরিক অর্থেই একে গোলাপগ্রাম বলা যায় ।
কারণ আস্ত একটা (বা একাধিক ) গ্রামে বিস্তীর্ণ ক্ষেতের পর ক্ষেত জুড়ে চাষ হচ্ছে অজস্র গোলাপফুলের ।
সে সাথে স্বল্প পরিসরে অন্য আরো কিছু ফুল এবং ফুলকপির :p
নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা থেকে একটু মুক্তি নিয়ে ফুসফুসটা নির্মল ধূলোহীন হাওয়ায় ভরে নিতে যেতে পারেন গোলাপগ্রামে ।
আমাদের বন্ধুদের গতসপ্তাহের ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় কিছু কথা বলছি ।
গোলাপগ্রামের বিভিন্ন পোস্ট টিওবিতে সম্প্রতি প্রচুর করা হয়েছে ।
তাই কিভাবে যাবেন কী খাবেন ইত্যাদি কমন এবং বহুল আলোচিত অংশটুকু স্কিপ করে সরাসরি পড়তে পারেন Point to be Noted অংশটুকু ।
.
কিভাবে যাবেন –
রুট ১ – মিরপুর,ধানমন্ডি , নবীনগর বা চন্দ্রা থেকে বাসে আসতে পারেন CMB . এটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্টপেজ আগে ( ঢাকার দিক থেকে ) ।
দলে ভাড়ী থাকলে CMB থেকে ইজিবাইক রিজার্ভ নিতে পারেন । সরাসরি গোলাপগ্রামে ২৫০ টাকা । ৮ জন বসতে পারবেন ।
এছাড়া সিএনজিও নিতে পারেন ।
আর যদি আমার মতো একা হন , তাহলে ফলো মি-
CMB – ইজিবাইকে চারাবাগ ( ১৫ টাকা ) – ইজিবাইক বা লেগুনায় আকরান বাজার ( ৫ টাকা ) – রিকশা বা ইজিবাইকে গোলাপগ্রাম ( রিকশায় ৪০ টাকা , ইজিবাইকে সম্ভবত ২০ টাকা )
রুট ২ – যারা চৌরাস্তা বা উত্তরার আশেপাশে থাকেন , প্রথমে চলে আসুন আব্দুল্লাহপুর । আর ধানমন্ডি, ক্যান্টনমেন্ট,মিরপুরওয়ালা চলে আসুন মিরপুর ১ এ ।
এবার আব্দুল্লাহপুর থেকে বেঁড়িবাধ ভায়া মিরপুরগামী বাসে উঠুন বা মিরপুর থেকে বেঁড়িবাধ ভায়া আবদুল্লাহপুরগামী বাসে উঠুন ।
নেমে পড়ুন বিরুলিয়া বেঁড়িবাধের ৩ রাস্তার মিলনস্থলে ।
এখান থেকে ইজিবাইকে সরাসরি গোলাপগ্রাম বা প্রথমে আকরান বাজার,তারপর গোলাপগ্রাম ।
গোলাপগ্রাম থেকে সরাসরি ব্রিজের গোড়ায় নামিয়ে দিয়েছিলো । ভাড়া ২০০ টাকা । ৮ জন বসতে পারবেন । আমরা অবশ্য ৯ জন বসেছিলাম । :p
আমরা ফিরে আসার সময় এই রুটটা ব্যবহার করেছি ।
যাওয়ার সময়েও হিসাবটা একই হবার কথা ।
তবে আমি ফিরতি পথে বিকেলে বেঁড়িবাঁধে কোনো সিএনজি-ইজিবাইক দেখিনি । সন্ধ্যা দেখে ছিলো না, নাকি থাকেই না সেটা বলতে পারছিনা । এটা একটু মাথায় রাখবেন ।
.
এতোক্ষণ কি কিছু মিস করছিলেন ? Here we go! 😀
রুট ৩ – গোলাপগ্রামে যাওয়ার এটা সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট ,কারণ ট্রলার ভ্রমণের আনন্দ !
এর জন্যে প্রথমে চলে আসুন মিরপুর ১ । সেখান থেকে আলিফ,মোহনা বা লেগুনাযোগে আসুন দিয়াবাড়ি বটতলা ট্রলার ঘাটে (৫ টাকা ) ।
সেখান থেকে ট্রলারযোগে সরাসরি সাদুল্লাহপুর ( জনপ্রতি ২৫ টাকা )- তারপর অটোতে গোলাপগ্রাম (১০ টাকা ) ।
তুরাগের পানি কমতির দিকে থাকলেও , আপনার গোলাপগ্রাম ভ্রমণের অর্ধেকটা আনন্দ থাকবে ৪৫ মিনিটের এই ট্রলার ভ্রমণে ।
আমি জানি , কারণ আমি এই রুটটা ব্যবহার করি নাই, অতঃপর আমাকে সব বন্ধুরা ট্রলার ভ্রমণে কত মজা করেছে সেই ফিরিস্তি আর ছবি সহ্য করতে হয়েছে 🙁 -_-
.
এছাড়া চন্দ্রা,আবদুল্লাহপুর বা নবীনগর থেকে আসতে পারেন আশুলিয়া বাজার । সেখান থেকে চারাবাগ-আকরান বাজার-গোলাপগ্রাম ।
যার যার সুবিধা মতোন রুট ব্যবহার করতে পারেন । দলে ভারী হলে বিরুলিয়া বেঁড়িবাঁধ,আশুলিয়া বাজার বা CMB , সব জায়গা থেকেই ইজিবাইক রিজার্ভ নিতে পারেন । ভাড়া ২০০ – ২৫০ টাকা পড়তে পারে ।
.
Point To be Noted :
প্রথমবারে যাওয়ার পদ্ধতিটাই কনফিউশন তৈরী করে , তাই এটা নিয়ে বিস্তারিত বললাম ।
এবার অতিদ্রুত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে চোখ বুলিয়ে নিন –
১.আকরান বাজার থেকে গোলাপগ্রাম যাওয়ার পথে চালককে বলুন মূল গোলাপক্ষেতগুলোর ওখানে নিয়ে যেতে । যেখানে Lake Island এর একটা বিশাল বিলবোর্ড আছে । অন্যথায় অন্য পাশে চলে যেতে পারেন । কারণ বিশাল গ্রামজোড়াই ফুলের বাগান ।
২. গোলাপগ্রামের মূল অংশে কয়েকটা মুদি দোকান ছাড়া তেমন দোকান দেখিনি । তাই খাওয়ার ব্যাপার থাকলে আকরান এসে করতে পারেন ।
৩. বিশাল একটা গ্রাম জুড়ে গোলাপের চাষ হওয়ায় , এলাকাটা বড় হলেও দেখার দৃশ্য সব জায়গায় একই ।
তাই ঘন্টা দুয়েকেই মনে হবে যা দেখার ছিল দেখা শেষ । তাই পুরোটা দিন কাটানোর জন্যে আদর্শ জায়গা নয় ।
৪ . গোলাপগ্রামে গিয়ে ভুলেও ছবি তোলা বা অন্য কারণে ক্ষেতে নেমে পরবেন না ।
আমার সামনেই ২/৩ টা ঘটনা দেখেছি যে , ওনারা বেশ ভদ্রভাবে কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছেন ক্ষেতে নামার কারণে ।
কারণটা স্বাভাবিক । আমাদের মতো আনাড়িরা অসাবধানে গাছের ক্ষতি করতে পারি ।
আর সারাদিনে যদি ৫০০ লোক আসে এখানে , আর তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকেও যদি না নামার কথা বলতে হয়, তবে এক সপ্তাহেই যে কারো ধৈর্য্য চ্যুতি ঘটবে ।
ক্ষেতের মাঝে হাটাচলার জন্যে আইল বা পথ আছে , মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেয়ার জন্যে সুন্দর বসার স্থান আছে । এগুলো ব্যবহার করুন । ক্ষেতে না নামলে কেউ কিছুই বলবে না ।
আর অনুমতি নিয়ে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে ছবিও তুলতে পারেন ।
৫.ফুল মানে রঙ,আর রঙ মানেই আলোর খেলা । তাই রৌদ্রঝলমলে দিনে যাওয়ার চেষ্টা করুন ।
সারাদিন যদি শৈত্যপ্রবাহ থাকে , তবে পরিবেশ ও দিনটা কিছুটা মরা মরা লাগতে পারে ।
৬.চাইলে প্রিয় মানুষের জন্যে ফুল কিনে নিয়ে যেতে পারেন । এখানে বাজারে সন্ধায় একটা ফুলের হাট বসে । তবে স্বাভাবিকভাবেই আমরা সেটা দেখতে পাইনি ।
ক্ষেতের ওখানেও একটা ছোট দোকান আছে । এছাড়া সরাসরি ওনাদের কাছ থেকে কিনতে পারেন । ৫০ টা গোলাপের একটা তোড়া ১৫০ বা তার কিছু বেশি ।
**৭. খেয়াল করুন , পুরো পোস্টে কোথাও জমিদার বাড়ির কথা উল্লেখ করিনি । কারণ আমাদের যদি ভুল না হয়ে থাকে , তাহলে এই জমিদার বাড়ির ব্যাপারটা একটা ওভাররেটেড মিথ ।
বেড়িবাঁধের ব্রিজের গোঁড়া থেকে ডান দিকে ছোট একটা ব্রিজ চলে গেছে গ্রামের ভেতর । জমিদার বাড়ির যে ছবিটা দেয়া হয় , সেটা সহ আরো প্রাচীন কয়েকটা ভগ্নপ্রায় বাড়ি এগ্রামে আছে । তবে এগুলোকে জমিদার বাড়ি হিসেবে এলাকার সিনিয়র সিটিজেনরাই মানতে নারাজ ।
আমাদের অভিজ্ঞতা বলি , এক মধ্যবয়স্ক চাচাকে জমিদার বাড়িটা কোথায় জিজ্ঞেস করাতে তিনি কিছুটা রুক্ষ্ণ স্বরেই বলেছিলেন , ‘ কিসের জমিদার বাড়ি ? কার বাড়ি ? কবে জমিদার ছিলো ?’
তবে বাচ্চারা একে জমিদার বাড়ি হিসেবে ভালোই চেনে । কারণটা হয়তো আমাদের মতোন আগন্তুকদের জিজ্ঞাসা ।
এমনিতে এলাকার মানুষের আচরণ স্বাভাবিক হলেও , ওনাদের দেখে মনে হচ্ছিলো আমরা কোনো ট্যুরিস্ট প্লেসে নয় , কারো বাসায় দাওয়াতে যাচ্ছি ।
কারণটা বোঝা গেলো কথিত জমিদার বাড়িটা দেখে ।
ছোট ,ভগ্নপ্রায়,অনেক পুরোনো , প্রাচীন নির্মাণশৈলিতে নির্মিত দোতলা/তেতলা কয়েকটা বাড়ি । তবে এগুলোকে ঠিক জমিদার বাড়ি বলা যায়না ।
উপরন্তু এখানে মানুষ থাকে , উঠানে বাচ্চারা খেলছে , স্বল্প পরিসরের জায়গা এবং বাড়ির সামনে কোনো একটা সংস্থার সাইনবোর্ড টানানো,এবং একটা স্থানীয় মুদি দোকান ।
অর্থাৎ জমিদার বাড়ি দেখার ইচ্ছেতে সব দিক থেকে গূড়ে বালি ।
বাড়ির ভেতরে পর্যটক ঢোকার পরিবেশ নেই , আপনার ইচ্ছেও করবে না । আফটার অল , আমরা কারো রুমের ভেতরে নিশ্চয় ঘুরে দেখতে চাইতে পারি না ।
জমিদার বাড়ির কথা শুনে পানাম,বালিয়াটি, টাঙ্গাইলের জমিদার বাড়ির ছবি মনে এঁকে গেলে আপনাকে অবশ্যই হতাশ হতে হবে । ঠিক আমার মতোন ।
তবে পুরোনো বাড়ি দেখতে চাইলে যেতে পারেন । জমিদার বাড়ি দেখতে নয় ।
তবে এলাকাটা সুন্দর । আর বেড়িবাঁধের বিশাল রাস্তার পাশ থেকে চলে যাওয়া ব্রীজটাও সুন্দর ।
এপথে ফিরতে চাইলে পড়ন্ত বিকেলে এখানে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতে পারেন কিছুক্ষণ । ভালো লাগবে । ব্রীজের নিচের নদী বা খালটায় পানি থাকলে আরো চমৎকার লাগতো ।
.
তবে গোলাপগ্রাম নিয়ে পোস্টগুলো বাস্তবতার নিরিখে আমার কাছে কিছুটা অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে ।
এমন পোস্ট দেখে খুব বিশাল কিছুর আশা নিয়ে গেলে কিছুটা আশাভঙ্গ হতে পারে । ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তাই খোলামেলা মতামত দিলাম ।
এছাড়া বছরের শেষের ফ্রি সময়টুকু কাটানোর জন্যে হাতের কাছে গোলাপগ্রাম নিঃসন্দেহে একটি ভালো জায়গা ।
তবে যাওয়ার আগে কোনো একটি পোস্টের(যেমন আমারটার) উপর ভরসা না করে টিওবির সার্চবক্সে লিখুন গোলাপগ্রাম ।
এসম্পর্কিত সব পোস্ট এসে যাবে । একটু সময় নিয়ে পড়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে নিন।
.
তারপর আর কী, বন্ধুরা মিলে প্ল্যান করুন আর বেড়িয়ে পড়ুন একদিন ।
আর আদর্শ ট্রাভেলারের বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে যেকোনো ধরণের আবর্জনা(কাগজ,বোতল,প্লাস্টিকের প্যাকেট) যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন ।
স্পটে নির্দিষ্ট স্থান না পেলে সাথে করে নিয়ে আসুন যেখানে ডাস্টবিন আছে ।
পরিবেশ আমাদের জন্যে রূপসী । তার রূপ পরবর্তীদের জন্যে অম্লান রাখা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব ।
বিশাল পোস্ট ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ।
বানান ভুল,তথ্য ভুল, শব্দচয়নসহ যেকোনো ধরণের ভুলের জন্যে দুঃখিত ।
.
সতর্ক থাকুন , নিরাপদ থাকুন ।
বেড়াতে থাকুন ।
Life is too short to explore the treasure of the nature 🙁
Make the best use of every chances.
Happy Traveling .

Post Copied From:Al Xayeed‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

চাঁদপুর ট্রিপ

ইলিশের বাড়ি হিসেবে বিখ্যাত জেলা চাঁদপুর বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বে চট্টগ্রাম ডিভিশনে অবস্থিত। ছোট্ট, শান্তিপ্রিয় এই জেলা শহরে ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ তে আমরা ৬ জন গিয়েছিলাম একদিনের ট্রিপে। তারই গল্প এবার শেয়ার করব আপনার সাথে।

#কিভাবে_যাবেন 
ঢাকা সদরঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৬ টার পর থেকে অনেক লঞ্চ ছেড়ে যায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে। যেকোনোটায় উঠে পড়লেই এনাফ। আমরা রওনা হয়েছিলাম বোগদাদিয়া ৭ লঞ্চে সকাল ৮.৩৫ এ। ডেক ভাড়া ১০০ টাকা। এছাড়াও সিটিং ব্যবস্থা আছে। ১৫০-২২০ টাকার মধ্যে সিটে বসে যেতে পারবেন। কেবিন ব্যবস্থাও আছে। সে ব্যাপারে তেমন কোন ইনফরমেশন জানাতে পারছি না বলে দুঃখিত। সময় লাগবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। নদীর চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করতে করতে আরামে জার্নি করবেন।

ফেরার লঞ্চ পেয়ে যাবেন ২.৩০ টা থেকেই। আমরা ঢাকা ফেরার জন্য রওনা হয়েছিলাম সোনার তরী লঞ্চে বিকাল ৩.৪০ এ। ভাড়া একই। কিন্তু বিকেলের নদী এক অন্য লেভেলের মানসিক শান্তি দেবে আপনাকে। গ্যারান্টি দিলাম।

#কি_কি_দেখবেন_এবং_খাবেন
লঞ্চ ঘাটে নেমে বাইরে অপেক্ষমান অটো নিয়ে চলে যাবেন বড় স্টেশন নামে একটা জায়গায়। ভাড়া নেবে পার হেড ১০ টাকা। চাইলে হেটে যেতে পারেন। ম্যাক্সিমাম ১০ মিনিট লাগবে। শান্ত, সুনিবিড়, মফঃস্বল পরিবেশ। ভালো লাগতে পারে আপনার।

#বড়_স্টেশন এ পৌঁছে দেখতে পাবেন “জেলা ব্রান্ডিং পর্যটন কেন্দ্র”। নির্মাণাধীন। খুব বেশি আশা করলে ভুল করবেন। আমাদের ঢাকা শহরের যেকোনো অতি সাধারণ পার্কের মত দেখতে। কিন্তু আকর্ষণীয় ব্যাপারটা হচ্ছে মেঘনা নদীর পাড়। বেশকিছু ঝালমুড়ির দোকান আছে। আলাওল নামে একজনের বানানো ঝালমুড়ি ট্রাই করতে পারেন। এক্সেপশোনাল টেস্ট। দাম ১০ টাকা। আর ঘুরে বেড়াতে পারেন মেঘনা নদীতে। বোট রিজার্ভ নিতে পারেন ঘণ্টাখানেকের জন্য।

বিভিন্ন লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য বিখ্যাত ও কুখ্যাত
#পদ্মা_মেঘনা_ডাকাতিয়া_নদীর_মোহনা সহ মোহনার পরেই নদীর বুকে জেগে ওঠা একটা বিশাল চর এলাকা ঘুরিয়ে আনবে আপনাকে। ভাড়া পড়বে ৪০০ – ৫০০ টাকা। এখন নদী শান্ত। সো বিখ্যাত এবং কুখ্যাত সেই মোহনার ওপরেই বোট দিয়ে অবস্থান করতে পারবেন আরামে। এরপর আবার ফিরে আসবেন পর্যটন কেন্দ্রের নৌকা ঘাটে। এবং বেরিয়ে আসবেন ওখান থেকে।

পর্যটন কেন্দ্র থেকে বের হলে খাবার হোটেল পাবেন। ইলিশ এখন বিক্রি করছে ১২০ টাকা প্রতি পিস হিসেবে। যদি নিজে ইলিশ কিনে হোটেলে রান্না করিয়ে খেতে চান তো যেতে হবে পর্যটন কেন্দ্র থেকে বেরিয়েই হাতের ডানে রেল স্টেশনের দিকে। রেল লাইনের পাড়ে মাছের আড়ত। কিনে নেবেন দামদর করে। আমরা কিনেছিলাম মোটামুটি বড় সাইজ একটা ইলিশ ৪৫০ টাকায়। এবং পিস করা হয়েছিলো ৬ টা। খাওয়া শেষ করে এবার বেরিয়ে পড়ুন। গন্তব্য ওয়ান মিনিট আইস্ক্রীম।

#ওয়ান_মিনিট_আইস্ক্রীম
অটোতে করে ৫ টাকা পার হেড ভাড়া লাগবে কালীবাড়ি নামক একটা জায়গায় যেতে। সেখানে নেমে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে বিখ্যাত ওয়ান মিনিট আইস্ক্রীমের দোকানটা কোথায়। প্লাস্টিকের গ্লাসে করে খাবেন। দাম ৪০ টাকা। স্বাদ নিয়ে খুব বেশি এক্সাইটেড হওয়ার কিছু নেই আসলে। ছোটবেলার পাইপ আইস্ক্রীমের মত স্বাদ। ভালো লাগতেও পারে আপনার।

ব্যস। আর তেমন কিছু দেখার নেই। এবার হাল্কা ঘুর ঘুর করতে করতে চলে আসুন লঞ্চ ঘাটে। দেখেশুনে উঠে পড়ুন লঞ্চে। বিকেলটা নদীতে উপভোগ করতে করতে চলে আসুন ঢাকায়।

হ্যাপি ট্রাভেলিং 

Post Copied From:Rajvi Bd‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সেন্টমার্টিন বা কক্সবাজার ভ্রমনের এটিই সব থেকে ভালো সময়

সমুদ্রের প্রতি অন্যরকম একটা টান কেন জানি খুব কাজ করে… আর সেক্ষেত্রে সেন্টমার্টিনের প্রতি টান টা একটু বেশিই…. তাইতো একই বছরে ৩য় বারের মত ছুটে গিয়েছিলাম এই প্রবাল স্বর্গরাজ্যে… হ্যাঁ, উদ্দেশ্য একটাই স্বচ্ছ প্রকৃতি আর নীল দিগন্তের কাছাকাছি আরও একটিবার নিজেকে সমর্পণ করা……
গত ৫.১২.২০১৭ গিয়েছিলাম এই বছরের জন্য সর্বশেষ ট্যুর দিতে…
মজার ব্যাপার ছিল… বছর টা শুরু হয়েছিল এই সেন্টমার্টিন দিয়ে আবার শেষ ও হল এই সেন্টমার্টিনকে দিয়েই……

প্রথমেই বলে রাখি… সেন্টমার্টিন বা কক্সবাজার ভ্রমনের এটিই সব থেকে ভালো সময়… সেন্টমার্টিন যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে টেকনাফ লঞ্চঘাটে… ঢাকার শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলী, কলাবাগান, ফকিরাপুল, কমলাপুর, সায়দাবাদ সহ বিভিন্ন যায়গা থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন পরিবহনের এসি/ননএসি বাস টেকনাফের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ৬ থেকে রাত ৮ টার মধ্যেই ছেড়ে যায়.. ননএসি বাসের ভাড়া সিট প্রতি ৯০০ টাকা…এসি বাসে গেলে আপনাকে গুনতে হবে সিট প্রতি ১৫০০-১৭৫০ টাকা। ঢাকা থেকে টেকনাফের দূরত্ব কম বেশি ৪৭০ কিলোমিটার…. পরদিন সকাল ৮ টা নাগাদ পৌছে যাবেন টেকনাফ লঞ্চ ঘাটে…

বাস থেকে নেমেই জাহাজের টিকিট কেটে নেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ… টেকনাফ থেকে প্রতিদিনই ৪-৫টি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়… তবে আবহাওার অবস্থা অনুযায়ী তারতম্য ঘটে… তাই সেন্টমার্টিন ভ্রমণের প্ল্যান করার আগে অবশ্যই আবহাওার পূর্বাভাস দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিবেন… টেকনাফ থেকে প্রতিদিনই এল.সি.টি. কুতুবদিয়া, কেয়ারি সিন্দবাদ, এম ভি গ্রীনলাইন সহ বেশ কিছু জাহাজ সেন্ট মার্টিন যাওয়া আসা করে… তবে ভুল করেও কেউ টাকা বাঁচানোর জন্য ট্রলারে করে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার কথা ভাববেন না। জাহাজে বেশ কয়েকটি শ্রেণীর টিকিট রয়েছে… শ্রেণী ভেদে টিকিটের দাম ৫৫০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে ওপেন ডেকে গেলেই আপনি নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন… জাহাজের টিকিট কাটার সময় চেষ্টা করবেন কাউন্টারের লোকদের যত সম্ভব বুঝিয়ে দাম কমানোর… তবে সেটা অবশ্যই জন সম্মুখে নয়… নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি কাউন্টারের ভেতর দরদাম করে ওপেন ডেকের ৭০০ টাকার টিকিট ৫৫০ পর্যন্ত নামিয়ে আনতে পেরেছিলাম… তবে যারা প্রথমবার সেন্টমার্টিন যাবেন তাদের জন্য বলছি… টিকিট কাটার সময় কেউ যেন বুঝতে না পারে যে এটিই আপনার প্রথম ভ্রমণ… দেখবেন অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাচ্ছে…

সবকটি জাহাজ ই সকাল ৯ঃ৩০ এ ঘাট থেকে রওনা হয়ে যাবে… জাহাজ যত সামনে আগাবে নাফ নদী ততই আপনার সামনে তার সৌন্দর্য তুলে ধরবে… আর জাহাজের দুপাশ দিয়ে অজস্র গাংচিল আপনাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে আপনার গন্তব্য পর্যন্ত… জাহাজে অবশ্যই এমন কোন কিছু করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন যা আপনার জন্য কোন অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতার কারন হয়ে দাড়ায়… আপনার জন্য যাবতীয় নির্দেশনা জাহাজেই মাইকিং করে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে… দুপুর ১২ টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন সেন্টমার্টিন জেটিতে… জাহাজ থেকে নামার সময় অবশই সাবধানতা অবলম্বন করবেন… এরপর চলে যাবেন ব্রিজ ধরে সেন্টমার্টিন বাজারে… মান ও সুযোগ সুবিধা ভেদে অনেক রকম রিসোর্ট গড়ে উঠেছে এখানে… নিজের রুচি ও সামর্থ্য যাচাই করেই বেছে নিবেন… ভাড়া রুম প্রতি ১০০০-৩৫০০ পর্যন্ত… তবে অবশ্যই দরদাম করে নিবেন…

ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়ুন দুপুরের খাবারের জন্য… আগেই বলে রাখি… সেন্টমার্টিন এর খাবারের স্বাদের প্রতি আগে থেকেই অনেক বেশি প্রত্যাশা নিয়ে না আসাই ভালো… নিজের পছন্দ মত বুঝে শুনে খাবার নির্বাচন করবেন… তবে এখানে প্রায় সব খাবারের হোটেলে একটা ব্যাপার দেখা যায়… ভাত মাথা পিছু ৪০ টাকা আনলিমিটেড… তবে সামুদ্রিক মাছের স্বাদ না নিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে আসবেননা…

সমুদ্রে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার ভাটার সময় জেনে নামবেন… আর অবশ্যই লাল পতাকা যুক্ত যায়গা গুলোয় পানিতে নামা থেকে বিরত থাকবেন… সাঁতার জানা না থাকলে খুব বেশি দূর না যাওয়াই ভাল… চাইলে বীচের উপর রাখা চেয়ার ভাড়া নিয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে কিছুক্ষন হারিয়ে যেতে পারেন সুবিশাল সমুদ্রের মাঝে… বিকালে চাইলে সাইকেল ভাড়া করে বেরিয়ে পরতে পারেন পুরো দ্বীপটি ঘুরে দেখতে… কারণ পায়ে হেঁটে পুরোটা ঘুরে দেখা বেশ কষ্টকর… আর অবশ্যই সূর্যাস্ত মিস করবেননা… হয়তো এটি ই হতে পারে আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ সূর্যাস্ত… রাতের আকাশে কোটি কোটি তারার মেলা বসে সেন্টমার্টিনের আকাশে… জীবনে মনে রাখার মত কিছু সময় যদি আলাদা রাখতে চান… তাহলে বেরিয়ে পড়ুন রাতের আকাশ টা একবার দেখে আসার জন্য… চেষ্টা করবেন পরদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে… সেন্ট মার্টিনের সূর্যোদয় যেন সৃষ্টিকর্তার আরেকটি উপহার… জেটি থেকে খুব সুন্দর দেখা যায় সূর্যোদয়…

সূর্যোদয় দেখে নাস্তা সেরে বেড়িয়ে পড়ুন ছেড়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে। সেন্টমার্টিনে এসে ছেড়া দ্বীপ দেখে না গেলে বলবো এই জীবণে অনেক কিছু দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন তাও আবার এত কাছে এসেও….। আর যারা যেদিন আসবেন সেদিনই টেকনাফ ফিরে যাবেন তাদের জন্য ১ মিনিট নিরবতা ছাড়া আর কিছু বলতে পারছিনা….. উপরে যা কিছু বলা হল সব কিছু থেকেই তারা বঞ্চিত হবেন…।

যাই হোক, জেটি থেকে ছেড়া দ্বীপ যাওয়ার ৪টি উপায় আছে…. ট্রলার, গাম বোট, স্পীড বোট এবং পায়ে হেটে…. ট্রলারে যেতে হলে লাগবে কম বেশি ৩০ মিনিট… জন প্রতি লাগবে ১৫০ টাকা…. গাম বোটে যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট আর জন প্রতি লাগবে ২০০ টাকা…..স্পীড বোটে যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট… আর জনপ্রতি ৩০০ টাকা…. যেভাবেই যাননা কেন ছেড়া দ্বীপ ঘুরতে সময় পাবেন ১ ঘণ্টা….আর পায়ে হেঁটে গেলে অবশ্যই ভাটার সময় রওনা হবেন… যদিও সময় বেশি লাগবে…তাও অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা নিতে পারেন… অবশ্যই সেখানকার ডাব খেয়ে আসতে ভুলবেননা… এক কথায় অমৃত….৩০-৪০ টাকার ডাবের পানি খেয়ে লাখ টাকার তৃপ্তি পাবেন এটুকু বলতে পারি।… ছেড়া দ্বীপের কাছাকাছি গেলেই দেখবেন স্বচ্ছ পানির তলদেশে নানা রঙের প্রবাল আর ছোট ছোট মাছ……

দুপুরের খাবার শেষে ২ঃ৩০ এর মধ্যে জেটিতে উপস্থিত থাকবেন…। কারন জাহাজ গুলো ২ঃ৪৫ এ একে একে টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে… যারা শুধুমাত্র সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য আসবেন তারা চাইলে সেন্ট মার্টিন থেকেই ঢাকার টিকিট কেটে নিতে পারেন। জাহাজ বিকাল ৫ঃ৩০ এর মধ্যেই টেকনাফ লঞ্চঘাটে পৌঁছে যাবে…। যারা কক্সবাজার যাবেন তারা ঘাট থেকেই রাস্তা পার হয়ে কক্সবাজারের বাসে উঠে যাবেন… টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের ভাড়া ১৫০ টাকা…।

একটা কথা সব সময়ই মনে রাখবেন…। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেয়ে প্রকৃতির কোন প্রকার ক্ষতি হয় এমন যে কোন প্রকার কাজ থেকে বিরত থাকবেন…। কারন আপনার বা আমার ছোটখাটো অবহেলাও প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে… আর আমাদের সম্পদের ক্ষতি মানে আমাদের নিজেদের ই ক্ষতি…। আর দেশকে যত কাছ থেকে দেখবেন দেশের প্রতি ভালবাসা ততই বাড়বে…।

Post Copied From:

Tariqul Islam Chowdhury Rafi‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

মহামায়ায় কায়াকিং:

কায়াকিং বহি:বিশ্বে জনপ্রিয় এডভেঞ্চারের স্পোর্টসের নাম।আমাদের দেশে এর ধারনা সম্পূর্ণ নতুন।আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম লেক কাপ্তাইয়ে সর্বপ্রথম কায়াকিং শুরু হয়। খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে জলে ভেসে বেড়ানোর রোমাঞ্চকর এই স্পোর্টসটি।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক যেন এক মায়াজাল।একবার যিনি যাবেন বার বার যেতে চাইবেন। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলা ভূমি পুরো এলাকাটি।ছোট বড় অসংখ্য উকি দিয়ে থাকা পাহাড়,চার পাশের সবুজের চাদরে মোড়ানো অথৈ স্বচ্ছ নীলাভ জল আর শুনসান নিরবতায় একা একা হারিয়ে যেতে চাইবে দূর বহুদূর।বৃষ্টির দিনে লেকে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎ দেখা মেলে চঞ্চলা কিশোরীর মতো দূরন্ত ঝর্ণার।যতই বিকেল গড়িয়ে আসে ততই যেন বাড়ে লেকের রূপ। নিবিড় হয় প্রকৃতি, আপন হয় দূরের সবুজ পাহাড়।

কাপ্তাইয়ের পর এবার এমন পরিবেশে পর্যটক টানতে নতুনভাবে যোগ হয়েছে কায়াকিংয়ের নতুন পর্ব।পাহাড় ঘেরা মহামায়ায় কায়াকিং এর অভিজ্ঞতা অদ্ভুত সুন্দর।নিজেই হয়ে উঠুন নিজ সাম্পানের মাঝি আর অবলোকন করুন নিস্তব্দ সুন্দর সবুজ পাহাড় উকি দিয়ে থাকা মহামায়াকে।দূরেই যেখানে পাহাড় ছুঁয়েছে আকাশকে, মেঘেরা ভেসে বেড়ায় আপন মনে সেখানে টলটলে জলে আপনি নিজেই দেখতে পাবেন নিজের স্পষ্ট ছবি।আগে যেখানে মহামায়া ছিল শুধুমাত্র পারিবারিক বিনোদন স্থান এখন কায়াকিং এর সুবাদে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে কাছে হওয়ার তুলনামূলক দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মহামায়া,দৃষ্টি কাড়ছে তরুনদের কাছে।আর সে কারণেই মহামায়া কায়াকিং পয়েন্টে বাড়ছে পর্যটকদের ভীড়। প্রতিদিন কায়কিং করছেন শতাধিক দর্শনার্থী।

মহামায়া কায়াকিং পয়েন্টের অন্যতম কর্নধার ছোট ভাই শামীম জানাল বাংলাদেশে কাপ্তাইয়ের পরে এখানেই আছে কায়াক নৌকা। আর কোথাও এমন অ্যাডভেঞ্চার নেয়ার সুযোগ নেই যাত্রীদের।মহামায়ার কায়াক গুলো অন্যস্থান থেকে আরো উন্নত ও নিরাপদ। এগুলো সম্পূর্ন আমদানী করা হয়েছে বাইরে থেকে।

কায়াকিং এর মজার অভিজ্ঞতা নিতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন লেকের মাঝে ৮ কিলোমিটার।ঘন্টা প্রতি গুনতে হবে মাত্র ৩০০ টাকা।ছাত্রদের জন্য এই খরচ আরও কম। মাত্র ২০০ টাকা।এক নায়ে চড়া যাবে ২ জন। রয়েছে নিধারিত সীমানা রেখা।এর বাইরে গেলে পর্যটকদের গুনতে হয় ১ হাজার টাকা জরিমানা। ঘন্টা ২ ঘুরে বেড়ালে যে অনন্য অভিজ্ঞতা হবে তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আপনার জীবনে, এটা নিশ্চিত।

এমন অভিজ্ঞতা নিতে আর কি দেরি করা ঠিক হবে? হবে না কিন্তু!আনন্দকর হোক আপনার ভ্রমন।

পথঘাট:ঢাকা-চট্টগ্রামের যে কেনো বাসে করে সরাসরি নামতে হবে মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘী বাজারে।ঢাকা থেকে গেলে মিরসরাইয়ের আগে আর চট্টগ্রাম থেকে গেলে মিরসরাইয়ের পরে। সেখান থেকে সিএনজি বা অটোরিক্সা যোগে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই পৌছে যাবেন মহামায়ায়।

Post Copied From:Arifur Rahaman UjJal>Travelers of Bangladesh (ToB)

সেন্টমার্টিন ট্যুরের খরচাপাতি; সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

ঢাকা/চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া আসায় কত খরচ আর কোথায় কত সময় লাগে সে ব্যাপারে লিখব আজকে!

ঢাকা টু টেকনাফ বাস ভাড়া ৯০০ (নন-এসি); ১৫০০-২০০০ (এসি)

টেকনাফ টু সেন্টমার্টিন- যাওয়া আসা ভাড়া ৫৫০ থেকে শুরু, শীপভেদে ১০০০/১২০০ টাকা নিবে! যাওয়া আসার টিকেট একসাথেই কাটা হয়, কবে যাবেন আর কবে ফিরবেন সেটা আগে থেকে বলে দিতে হয়, সেন্টমার্টিনে ১ দিন থাকেন বা ২ দিন থাকেন, ভাড়া একই!

আর কেউ যদি টিকেটে উল্লেখিত তারিখে না ফিরে অন্যদিন ফিরতে চান তাহলে সেটাও সম্ভব, তবে সেক্ষেত্রে সীটের নিশ্চয়তা থাকবেনা!

ঢাকা থেকে টেকনাফগামী বাসগুলো সাধারণত ৭ টা বা ৭:৩০ এ ঢাকা থেকে রওনা দেয়, পরদিন সকাল ৭/৮ টায় শীপের ঘাটে আপনাকে নামিয়ে দিবে, ওখান থেকেই শীপ ধরতে পারবেন! সাধারণত ৯:৩০ মিনিটের দিকে শীপগুলো সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, ১১:৩০ বা ১২ টার ভেতরে শীপ সেন্টমার্টিনে পৌছে!
বিকেল ৩ টার দিকে শীপ সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়!

দুপুরে বা বিকেলে টেকনাফ থেকে কোন শীপ সেন্টমার্টিন যায়না, আবার সকালেও সেন্টমার্টিন থেকে কোন শীপ টেকনাফ আসেনা, সব শীপের শিডিউল একই রকম!

শীপ মিস করলে ট্রলারে চড়ে যেতে পারেন, ভাড়া ২০০ টাকা, শুধু যাওয়া কিংবা আসা! টেকনাফ শহর থেকেই ট্রলারগুলো ছাড়ে!

ছুটির দিনগুলোতে আগে থেকেই শীপের টিকেট কেটে রাখা ভাল, অন্যান্য দিন ঘাটেই টিকেট মিলবে!

সেন্টমার্টিনে থাকার খরচ জনপ্রতি ৩০০-৫০০ পড়ে, অর্থাৎ মোটামুটি মানের হোটেল/রিসোর্টে এক রুমের ভাড়া সাধারণত ১২০০-২০০০ টাকা নেয়, এক রুমে ৪ জন থাকা যায়! পিক টাইম বা টানা কয়েকদিন ছুটির দিন থাকলে রুমের ভাড়া আরো একটু বাড়তে পারে!

সেন্টমার্টিনে ৭০-৮০ টাকায় সকালের নাস্তা, ১৩০-১৮০ টাকায় দুপুর আর রাতের খাবার খেতে পারেন সামুদ্রিক মাছ দিয়ে! রুপচান্দা দিয়ে খেতে চাইলে দামটা একটু বেশিই পড়বে! রাতের বেলা বার-বি-কিউ ১৭০-২০০ টাকা পড়তে পারে, গেলে অন্তত এক বেলা এটাও ট্রাই করে দেখতে পারেন!

ছেড়াদ্বীপ যাবেন অবশ্যই, এটা না দেখে ফিরবেন না!

ট্রলারে চড়ে গেলে জনপ্রতি ১৫০ টাকা নিবে ভাড়া, স্পীডবোট রিজার্ভ ১৬০০-১৮০০ টাকা নিবে যাওয়া আসা, দরদাম করে যা পারেন, একটা স্পীডবোটে ৬ জন বসা যায়! ট্রলার বা স্পীডবোট আপনার জন্যে দেড় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করবে ছেড়াদ্বীপে, আবার আপনাদেরকে নিয়ে ফিরে আসবে! যেখানে শীপ থামে সেখানেই ছেড়াদ্বীপ যাওয়ার বোট পাওয়া যায়! ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছেড়াদ্বীপ ঘুরে ফিরে আসা যায়!

সাইকেল চালিয়ে বা হেটে হেটেও ছেড়াদ্বীপ যাওয়া যায়, তবে তা ভাটার সময়, স্থানীয়দের কাছ থেকে জোয়ার ভাটার সময় জেনে নিতে পারেন!

প্রতিটি ডাব ৪০-৬০ টাকায় পাবেন!

সাইকেল ঘণ্টাপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়া নিবে!

আর সকাল ১০/১১ টার দিকে অথবা বিকেলের কোন এক সময়ে পারলে জেটির পাশে এসে বসে থাকবেন, পানির রঙ দেখে মন ভরে যাবে!

চট্টগ্রাম থেকেও সরাসরি টেকনাফের বাস আছে, সিনেমা প্যালেস (লাল দীঘির পাড়) থেকে রাত ১২/১ টার দিকে কিছু বাস ছাড়ে, সকালে টেকনাফ পৌছে, ভাড়া ৪০০ টাকা!

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে শহর থেকে টেকনাফ যাওয়া লাগবে প্রথমে, ভাড়া ১৫০ টাকা নিবে! খুব ভোরে রওনা দিতে হবে, নয়তো শীপ মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে!

কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফ গিয়ে শীপ ধরা সম্ভব না, প্রাইভেট গাড়িতে করে গেলে সম্ভব হতেও পারে!

অনেকেই ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম গিয়ে তারপর অইদিনই বাসে করে কক্সবাজার/টেকনাফ গিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন, এটা কোন মতেই সম্ভব না! চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতেই তো ৪-৫ ঘন্টা লেগে যায়, টেকনাফ তো আরো বহুদূর!

কিছু অনুরোধ-
ভ্রমণের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে প্রবাল নিয়ে আসবেন না!
যেখানে সেখানে পানির বোতল, খালি প্যাকেট ইত্যাদি অপচনশীল জিনিস ফেলবেন না!

শীপে চড়ে যাওয়ার সময় অনেককেই দেখা যায় চিপসের খালি প্যাকেট সমুদ্রে ফেলে দেয়, এমনটা করবেন না প্লিজ, আপনার সাথে থাকা ভ্রমণসঙ্গীকেও এ ব্যাপারে সতর্ক করুন!

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ইন্ডিয়া ট্যুর এর খুঁটিনাটি

জীবনের প্রথম গেলাম ইন্ডিয়া। এটাই আমার প্রথম দেশের বাহিরে যাওয়া তাও আবার একা একা। সর্বমোট ১০ দিন ছিলাম ইন্ডিয়া তার মধ্যে ঘুরেছি হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ,মদ্ধ প্রদেশ,দিল্লী এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল।

@@যাই হোক এখন আসি কখন ,কোথায় এবং কিভাবে ঘুরলাম তা বর্ণনা করা যাক@@

প্ল্যান করেছিলাম এক মাস আগেই। প্ল্যান মতোই ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য এপ্লাই করি এবং কোন ঝামেলা ছাড়া প্রথম বারেই পেয়ে যাই। যেহেতু একা ছিলাম তাই একটু ভয় তো থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিশেষে ভয় কে জয় করেছি।

যাত্রা বর্ণনা ঃ
——————-
ঢাকা টু কোলকাতা ট্রেনে মৈত্রী এক্সপ্রেসে ২৫০০ টাকা। ঢাকা কেন্টনমেন্ট থেকে ওঠতে হয়েছে। ৩০ দিন আগে টিকিট কেটেছিলাম। রিটার্ন টিকিট করা ভালো নইলে আসার সময় টিকিট পাওয়া যায়না।
কোলকাতায় নেমে সেখান থেকে টেক্সি নিয়ে সোজা নিউ মার্কেট এরিয়া ( মারকুইস স্ট্রিট) এ নেমে টাকা /ডলার চেঞ্জ করেছি একটা হোটেল নিয়েছিলাম ১২০০ রুপী দিয়ে(বিমান লজ) সেখানে একদিন থেকে পরের দিন টেক্সি করে সোজা কোলকাতা এয়ারপোর্ট। টেক্সি ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা নিয়েছে। কোলকাতা থেকে প্লেনে করে সোজা দিল্লী। প্লেনের টিকিট করেছিলাম ঢাকা থেকে ৫৫০০ টাকা তে ওয়ানওয়ে টিকিট। দিল্লী নেমে সেখান থেকে উবার করে পাহারগঞ্জ । ভাড়া এসেছিল ৫২৩ রুপী। সেখানে একদিন হোটেল এ থেকে ( রাজ মহল ইন) পরের দিন রুম চেক আউট দিয়ে সোজা চলে যাই উবার করে মজনুকা টিলা ভাড়া আসে ২০০ টাকার মতো।হোটেল ভাড়া ছিল ১০০০ রুপী। অস্থির একটা হোটেল আমার কাছে ভালো লেগেছে। যাই হোক মজনুকা টিলা পৌঁছে সেখান থেকে হেটে গেলাম তানিস্ক হলিডেস ট্রাভেলস । চাইলে অটো করে যাওয়া জায় ভাড়া পার হেড ১০ রুপী।এ ঐখান থেকে মানালির জন্য সন্ধ্যা ৭.৩০ টার
বাসের একটা টিকিট নিলাম। টিকিটের দাম ৯০০-১০০০ রুপী একটু মুলামুলী করলে এর কমেও আসা যায়,কারণ আমি গিয়েছিলাম ৭৫০ রুপী দিয়ে কিন্তু আসার সময় তা পারা একটু কস্টের। দিল্লীতে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে ৭ টার সময় হাজির হলাম বাসের সামনে। লাগেজে ব্যাগ রাখতে ২০ রুপী করে নিবে প্রতিটা ব্যাগের জন্য। বাস ছাড়লো ঠিক একজেক্ট সময়ে। যাত্রা পথে দুইবার বিরতি পরবে প্রথম বার হয়তো হারিয়ানা দ্বিতীয় বার চান্ডীগর আমার একজেন্ট মনে নেই । বাস ছাড়ার ঠিক ১৪ ঘণ্টা পর বাসের সবাইকে মানালি নামিয়ে দেয়। নেমে আমি থান্ডারড হয়ে গেছিলাম। এতো ঠাণ্ডা আগে কখনো পাই নাই। সেখান থেকে একটা টেক্সি নিয়ে চলে গেলাম মাল রোড ভাড়া ৫০ রুপী আবার চাইলে হেটেও যাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে উঠলাম হোটেলে( হোটেল মানালি কমর্ফোট) আগেই বুক করা ছিল। ভাড়া ৬০০ রুপী ডবোল বেড। এক্সটা হিটার নিলে ৩০০ রুপী বেশী পে করতে হবে পার ডে। হোটেল থেকেই জানালা খুল্লেই দেখতে পাবেন বিশাল বরফের পাহার পাশেই একটি বাঙালি খাবারের হোটেল পাবেন ( শ্রী শান্তি নিকেতন)।সেই হোটেল এর অমলেট টা আমার কাছে ভালো লেগেছিল। এর পর থাকার হোটেল এর সাথে ১০০০ রুপী কন্টাক্ট করে টেক্সি করে বেড়িয়ে পরলাম স্নো পয়েন্ট এর উদ্দেশ্য করে তখন রাথাং পাস বন্ধ ছিল। যাবার পথে বরফে থাকার জন্য ড্রেস ভাড়া পাওয়া যায় ২৫০-৩০০ রুপীর ভিতরে। সেগুলে ভাড়ায় পরে চলেগেলাম বরফে অনেক ক্ষণ থাকলাম বরফের মাঝে হাল্কা স্নোফল হচ্ছিল সেখানে । সেখানে থেকে অনেক ক্ষণ সময় দিয়ে পুরোটা ঘুরে চলে গেলাম ওল্ড মানালি যাবার পথে ড্রেস গুলো ব্যাক করলাম। ওল্নাড মানালি গিয়ে টেক্সি ছেড়ে দিলাম। তখন ভাবলাম টেক্সি না নিয়ে হেটে আসলে আমাদের ১০০০ রুপী বেচে যেতো সামান্য এতটুকু রাস্তা তাই নাকি ১০০০ রুপী? অল্ড মানালির ব্রিজের নিচে নেমে ছবি তুলে সিরি বেয়ে চলে গেলাম পাহারের উপর হেটে হেটে চলে গেলাম হাদিম্বা টেম্পল সেখান থেকে আসে পাসের স্পট গুলো দেখলাম। পরের দিন কিছু সপিং করলাম আর আশে পাশে ঘুরা ঘুরি করলাম। সেখানে কাশ্মেরী ভালো শাল পাওয়া যায় যদি একটু সময় দিয়ে কেনা যায় আর রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর শো-পিছ। দু দিন থেকে আবার দিল্লীর উদ্দেশ্য করে রউনা দিলাম টিকিট কাটলাম আগের বাসেই এটার কাউন্টার মানালির একেবারে মেন রাস্তায় মোড়ে গিয়ে ঠিক হাতের ডান পাশেই। ৪.৩০ এর বাস। আসার সময় আর তেমন কমাতে পারিনি ৮৫০ রুপীতে আসতে হয়েছে। বাস ছাড়লো ঠিক ৪.৩০ এ। বাস আমাদের কাশ্মিরী গেট নামিয়ে দিল ভোর ৬ টায়। সেখান থেকে আবার পাহারগঞ্জ। হোটেলে (হারে কৃস্ন) উঠলাম। বাজে একটা হোটেল।ঐখানে যে রুম ছারভেন্ট সে বলে -“হাম হিন্দুস্তানিকো ভাই মান্তেহে ওর বাকি ছাভিকো কাস্টমার মান্তাহে”। হোটেল ভাড়া ৭০০ রুপী কিন্তু আগে জানলে ৩০০ দিয়েও থাকতাম না। অনলাইন এ একরকম আর সামনা সামনি এক রকম। এর পর সেখানে হোটেল থেকে দিল্লী ঘোরার জন্য টেক্সি বুক করলাম ১৪০০ রুপী সন্ধ্যা ৬:৩০ পর্যন্ত। আগে জানলে নিজেরাই টেক্সি করে নিতাম। তাহলে আরো রুপী বাচাতে পারতাম। টেক্সি করে বেড়িয়ে পরলাম প্রথমে দিল্লী গেট আবার অনেকে বলে ইন্ডিয়ান গেট এর পর দিল্লী জামে মসজিদ সেখান থেকে জুম্মার নামাজ পরলাম
এতো মানুষ একসাথে নামাজ মনে হয় প্রথম পরলাম। এর পর চলে গেলাম দিল্লী লাল কেল্লা,এর পর লোটাস টেম্পল এবং সব শেষএ নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাঝার। সেখান থেকে সোজা হোটেল এর পর রাতের খাবার খেয়ে আগ্রার জন্য হোটেলে থেকে বাস বুক করলাম এক একজনের সিট এর দাম পরলো ৭০০ রুপী। আগে জানলে বাসে না গিয়ে শেয়ার করে গারি দিয়ে যেতাম খরচ পরতো ১২০০ রুপী তাই প্রতারিত হতাম না। রাতে ঘুমিয়ে সকাল ৬ টার দিকে একজন হুন্ডা দিয়ে নিয়ে গেলো বাসের সামনে সেখানে বাসে উঠে প্রথমে নিয়ে গেলো আগ্রা লাল কেল্লা যেটা কিনা সম্রাট আকবর বানিয়েছিলেন তার শাসন আমলে । সেখান থেকে চলে গেলাম আগ্রা তাজমহল তাজমহল সেখান থেকে তাজমহল যাবার পথে অনেক দোকানে থামিয়েছিল যাদের সাথে ট্র্যাভেল কোম্পানি গুলোর চুক্তি থাকে কাস্টমার এনে দেবার জন্য। যাই হোক আমাদের শাহজাহান এর তাজমহ্ল ঘোরার সময় খুব কম পেলাম। সব জায়গার টিকিট যেমন আগ্রা আকবরের লাল কেল্লা এবং তাজমহল এর প্রবেশ টিকিট নিজেরাই কাটা ভালো বাস ওয়ালাদের কাছে দিলে তারা রুপী বেশী নেয় আর ভয় দেখায় এই হবে সেই হবে । অনেক চিটারি করে।যাই হোক তাদের নির্দিষ্ট সময়ে বাস ছেড়ে দেয় দিল্লী উদ্দেশ্য করে। বাস আমাদের আবার সেখান থেকে দিল্লী নামিয়ে দিয়ে যায়। পরের দিন ফ্লাইট কোলকাতার। দিল্লী থেকে টিকিট কেটেছিলাম। দিল্লী টু কোলকাতা প্রাইজ পরেছিল ৭৮০০ রুপী। সকালে অটো নিয়ে চলে গেলাম দিল্লী এয়ারপোর্ট। ভাড়া এসেছিল ৪০০ রুপী। কোলকাতায় পৌছে সেখান থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে ভাড়া করলাম মারকুইস্ট স্ট্রিট । সেখানে অনেক খোজা খোজি করার পর একটা হোটেল( রাজ গেস্ট হাউজ) পেলাম .। হোটেল টা আসলেই অনেক সুন্দর কিন্তু বাহির থেকে তা মনে হয় না। সুন্দর ৩ তলা থেকে। রুম ভাড়া ১৪০০ রুপী। কোলকাতার হোটেল ভাড়া অনেক বেশী এবং খাওয়া দাওয়ার খরচো। পরের দিন সেখান থেকে চলে গেলাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল । টেক্সি ভাড়া ১০০ রুপী। গিয়ে টিকিট কাউন্টারে শুধু বলেছি দাদা দুটো টিকিট দিন সে আমার কাছ থেকে ২০ রুপী রেখে বাকী ৮০ রুপী ফেরত দিল ।টিকিট নিয়ে পাশের তাকিয়ে দেখলাম ২০ রুপী শুধু ইন্ডীয়ান দের জন্য আর নন ইন্ডীয়ান ২০০ রুপী। যাই হোক টিকিট নিয়ে সুন্দর মতো ঢুকে যাই ভিতরে । কিছুক্ষণ ঘুরা ঘুরি করে ছবি চুলে বিপরীত গেট দিয়ে বেড়িয়ে যাই। বেচে গেলো ১৮০ রুপী হা হা হা। আবার ১০০ রুপী দিয়ে চলে আসলাম নিউ মার্কেট সাখান থেকে কিছু কেনা কাটা করলাম এর পর বাসার জন্য কিছু কেনার জন্য একটা টেক্সি নিয়ে চলে গেলাম কলেজ স্ট্রীট সেখান সব বড় বড় কাপড়ের শো-রুম। সব ফিক্সড দোকান । কেও আপনাকে ঠকাতে পারবে না । মোহীনি মোহন, আদী ঢাকেশ্বরী আরোও অনেক । সেখান থেকে কেনা কাটা করে আবার চলে আসি হোটেল এ । দু দিন কোলকাতা থেকে পরের দিন শ্যামলী ডাইরেক্ট বাসে ঢাকার রউনা দিলাম ভাড়া পরেছিল ১৪০০ রুপী। আসার সময় ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশী কাস্টমস কে কিছু দিতে হয়েছিল। এটাকে আমি চাঁদাবাজি ছাড়া অন্য কিছু বলবো না । ইউনিফরম পরে কিভাবে টাকার জন্য হাত পাতছে ইন্ডীয়া আর বাংলাদেশের পুলিশ ।টাকা না দিলে হয়রানী করছে।যাই হোক সব ঝামেলা শেষে এই পারে আবার ঠিক সেই বাসেই উঠে বসলাম। ফেরী পেতে আমাদের তেমন কোন সমস্যা হয় নাই। কিন্তু ফেরী পার হয়ে ড্রাইভার চোখে আর কিছু দেখে নি । চারিদিক কুয়াশায় ঢেকে গেছে হেড লাইট দিয়েও তেমন কোন কাজ করছে না । আল্লাহ আল্লাহ করে হর্ন বাজাতে বাজাতে বাজাতে এগুতে থাকে আর এই ফাকে আমিও কখন ঘুমিয়ে যাই বুঝতে পারি নি । চোখ খুলে দেখি অনেকেই নামছে আর বাস থামিয়ে রেখেছে আমি মনে করলাম হয়তো এসে পরেছে পরে জানতে পারি এটি কল্যাণপুর । সেখান থেকে বেশী সময় লাগে নি কমলাপুর আসতে। ঠিক রাত ৩ টার দিকে বাস আমাকে কোমলাপুর নামালো। সেখান থেকে আল্লাহর অশেষ রহমতে একটি রিকশা পেয়ে গেলাম । রিকশা ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে চলে আসলাম বাসার সামনে। বাসায় উঠতে উঠতে ৪ টার কাছা কাছি।

এর সাথেই শেষ হলো আমার ইন্ডিয়া মিশন তাও আবার একা বুকে অনেক সাহস নিয়ে।

Post Copied From:ftakhairul Alam Tomal‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

বগালেক ট্যুরের খরচাপাতি

১২/১৩ জন গেলে ৩০০০ টাকার মধ্যেই বগালেক ঘুরে আসা যাবে, সেই হিসেবটা দিব আজকে!

ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়া আসা ৬২০+৬২০=১২৪০ টাকা

প্রথমদিন সকালের নাস্তা- ৭০ টাকা

বান্দরবন টু রুমা বাস ভাড়া- ১২০ টাকা

রুমাতে দুপুরের খাবার- ১৩০

রুমা টু কমলাবাজার চান্দের গাড়ি- ২০০ টাকা (রিজার্ভ ২৫০০ টাকা নিবে, একটা গাড়িতে ১৩ জন বসা যায়)

বগালেকে রাতে থাকা- ১৫০ টাকা

রাতের খাবার- ১৫০ টাকা

২য় দিন সকালের নাস্তা- ৮০ টাকা

দুপুরের খাবার- ১৫০ টাকা

ফেরার পথে চান্দের গাড়ি ভাড়া- ২০০

গাইডের খরচ- ১৫০ টাকা (২ দিনে গাইডকে ১২০০ টাকা দিতে হয়, উনার থাকা খাওয়ার খরচও আপনাদের বহন করতে হবে, ছোট একটা ফরমও কিনতে হয়, টোটাল ২০০০ এর বেশি না, তাহলে ১৩ জন গেলে জনপ্রতি ১৫০ টাকাই পড়বে)

রুমা টু বান্দরবন – ১২০ টাকা

বান্দরবনে বাসে উঠার আগে রাতের খাবার- ১৪০

তাহলে সর্বমোট খরচ দাঁড়ালো – ১২৪০+৭০+১২০+১৩০+২০০+১৫০+১৫০+৮০+১৫০+২০০+১৫০+১২০+১৪০=২৯০০

আর ১০০ টাকা যেখানে খুশি খরচ করেন!

১৩ জনের জায়গায় ১০/১১ জন গেলে জনপ্রতি খরচ আরো ২০০-২৫০ টাকা বাড়বে, গাইড আর রুমা থেকে কমলাবাজার যাওয়ার চান্দের গাড়িতেই এই এক্সট্রা খরচটা হবে, বাকিসব খরচ যত জনই যান না কেন একই থাকবে!

শীতকালই হচ্ছে বগালেক ঘুরে আসার উপযুক্ত সময়, অনেকেই হয়তো যাওয়ার প্ল্যান করতেছেন, আশা রাখি এই হিসেবটা আপনাদের কম খরচে ট্যুর করার ক্ষেত্রে কাজে দিবে!

যারা কখনো যান নাই তারা অন্তত একবারের জন্য হলেও ঘুরে আসুন!

কঠিন কোন পথ না, যে কেউ সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন, কমলাবাজার থেকে বগালেকে উঠতে ৩০-৩৫ মিনিটের মত ট্রেকিং করা লাগে মাত্র!

বন্ধুদের নিয়ে এখনই প্ল্যান করে ফেলুন, ভাল লাগার মত একটা জায়গা!

নেক্সটে কেক্রাডং ঘুরে আসার ডিটেইলস খরচ নিয়ে পোস্ট দিব, আপাতত বগালেক ঘুরে আসুন!

আর কেউ যদি বগালেক+কেওক্রাডং একসাথে ঘুরতে চান তাহলে ১ দিন এক্সট্রা থাকা লাগবে, আরো ৭০০-৮০০ টাকা মত খরচ হতে পারে!

গত শীতকালে আমি বগালেক পর্যন্ত গিয়েছি, তাই বগালেক পর্যন্ত হিসেব দিলাম! ছবি গুগুল থেকে নিয়েছি, আমার মোবাইলে ভাল ছবি আসেনা 😉

এই শীতে কেওক্রাডং ঘুরে এসে কেওক্রাডং নিয়ে লিখব ইনশাআল্লাহ!

সবার কাছে অনুরোধ থাকবে ঘুরতে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না, পানির বোতিল, চিপসের প্যাকেট- ইত্যাদি নিজের ব্যাগে করে নিয়ে এসে উপযুক্ত জায়গায় ফেলবেন!

যেখানেই ঘুরতে যাই না কেন, সব জায়গায়তেই এসব চোখে পড়ে, খারাপ লাগে খুব!

আসুন, নিজে সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি!

ট্যুরিস্ট স্পটকে আবর্জনার ভাগাড় না বানাই, সৌন্দর্য রক্ষা করি

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঘুড়ে আসুন বনলতা সেনের নাটোর

উত্তরা গণভবনঃ ঘুড়ে আসুন বনলতা সেনের নাটোর, খেয়ে আসুন নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা ।

প্রায় তিনশত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ীটি নাটোরের উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম নাটোর দিঘাপতিয়ার উত্তরা গণভবন। দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দয়ারাম রায়।
সাড়ে ৪১ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই গণভবন টি ।

অসম্ভব পরিপাটি আর গোছানো এই দর্শনীয় স্থান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করে হাজারো দর্শনার্থী, আপনিও এসে প্রাচীন ইতিহাসের এই দর্শনীয় স্থান দেখে নিজের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ঝুলি কে করতে পারেন আরো পরিপূর্ণ ।

উত্তরা গণভবনের প্রবেশ পথের বিশাল ফটকটি আসলে একটি বিরাটাকৃতির পাথরের ঘড়ি। ঘড়িটি রাজা দয়ারাম সেই সময় ইংল্যান্ড থেকে আনিয়েছিলেন। ঘড়িটির পাশে রয়েছে একটি বড় ঘণ্টা। এক সময় এই ঘণ্টাধ্বনি বহুদূর থেকে শোনা যেতো। প্রাসাদের ভিতর বহু প্রাচীন ও দুর্লভ প্রজাতির গাছের সমাবেশ ও সমারোহ। এখানে আছে রাজ-অশোক, সৌরভী, পরিজাত, হাপাবমালি, কর্পূর, হরীতকী, যষ্টিমধু, মাধবী, তারাঝরা, মাইকাস, নীলমণিলতা, হৈমন্তীসহ বিভিন্ন দুর্লভ প্রজাতির ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষ। প্রাসাদের মধ্যে পরিখা বা লেকের পাড়ে এসব বৃক্ষাদির মহাসমারোহ।
উত্তরা গণভবন চত্বরে গোলপুকুর, পদ্মপুকুর, শ্যামসাগর, কাছারিপুকুর, কালীপুকুর, কেষ্টজির পুকুর নামে ছয়টি পুকুর রয়েছে।

যেভাবে আসবেনঃ

ঢাকা থেকে আসতে চাইলে গাবতলী বা কল্যাণপুর থেকে রাজশাহী গামি যেকোনো বাস( হানিফ, শ্যামলী, তুহিন, ন্যাশনাল) উঠে পড়বেন।
ভাড়া পরবে নন এসি-৩৭০ টাকা , এসি ৯০০ টাকা ।
সময়ঃ জ্যাম না থাকলে ৫ ঘন্টা, জ্যাম থাকলে ৮/৯ ঘন্টা, যমুনা সেতু পার হওয়ার পর দেড় ঘন্টার মত সময় লাগে ।

নাটোর শহর থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এই প্রাচীণ নিদর্শন, সেখানে যাবেন কোনো অটোরিকশা বা রিকশায় ।

প্রবেশ টিকিট মূল্যঃ ২০ টাকা প্রতিজন ।

বিঃদ্রঃ ছবি তোলার জন্য আদর্শ স্থান, ক্যামেরা নিতে ভুলবেন না !!

আর আসার সময় শহরের ভেতর থেকে মৌচাঁক মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে কাঁচাগোল্লা নিতে ভুল করবেন না ।।

Post Copied From:Mostafizur Rahman Apple‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

রোজ গার্ডেন,ঢাকা

কিভাবে যাওয়া যায়:
ঢাকার সদরঘাট, গুলিস্থান, মতিঝিল বা সায়দাবাদ হতে রিকশা বা সিএজিযোগে রোজ গার্ডেন যাওয়া যায়।
রোজ গার্ডেন পুরান ঢাকার টিকাটুলিস্থ কে এম দাস লেনের একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। তৎকালীন নব্য জমিদার ঋষিকেশ দাস বিশ শতকের তৃতীয় দশকে (সম্ভবত ১৯৩০ সালে) গড়ে তোলেন এ গার্ডেন। উনিশ শতকের শেষের দিকে বলধার জমিদারের বাগান ও বাড়ি (যা বর্তমানে বলধা গার্ডেন নামে পরিচিত) উচ্চবিত্তদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

ইতিহাস বলধার জমিদার নিজে নাট্যকার ছিলেন এবং তাঁর বাড়িতে নিয়মিত গান বাজনার আসর বসতো। ঢাকার একজন ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে হৃষিকেশ দাস একদিন বলধার এক জলসায় গেলে সেখানে নিম্ন বর্ণের হওয়ায় তাঁকে অপমান করা হয়। এরই ফলশ্রুতিতে একই রকম বাগান ও বাড়ি নির্মাণ করে এর প্রতিশোধ নিতে তিনি দৃঢপ্রতিজ্ঞ হন বলে কাহিনী প্রচলিত আছে। এভাবেই নির্মিত হয় রোজ গার্ডেন। সমগ্র ভারতে অদ্বিতীয় গোলাপ বাগান সমৃদ্ধ বাড়ি হওয়ার কারনেই এর নাম হয় ‘বোজ গার্ডেন’। বেশীর ভাগ উপাত্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে ১৯৩০ সালের দিকেই হৃষিকেশ বাবু এ বাগান নির্মাণ শুরু করেন। এই বাগানের জন্য তিনি চীন, ভারত, জাপান ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে মাটিসহ গোলাপের চারা এনে লাগিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে ঋণের দায়ে তিনি তাঁর সন্মানের প্রতীক এই জৌলুসপূর্ণ বাগানবাড়িটি ১৯৩৬ সালে খান বাহাদুর মৌলভী কাজী আবদুর রশীদের কাছে বিক্রয় করে দিতে বাধ্য হন। সত্তর সালের দিকে ‘রোজ গার্ডেন’ লীজ দেয়া হয় ‘বেঙ্গল স্টুডিও’কে। ১৯৮৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ‘রোজ গার্ডেন’কে সংরক্ষিত ভবন বলে ঘোষণা করে। এরপর প্রথম হাত বদল হয় ১৯৩৭ সালে। ১৯৬৬ সালে আবদুর রশীদের বড় ভাই কাজী হুমায়ুন বশীর এই রোজ গার্ডেনের মালিকানা লাভ করেন। এ সময় তাঁর নামেই রোজ গার্ডেন হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। কাজী হুমায়ুন ১৯৭০ সালে ।ততকালীন স্বনামধন্য চলচিত্র উন্নয়ন সংস্থা বেঙ্গল ষ্টুডিও ও মোশন পিকচার্স লি: এর কাছে বাড়িটি ভাড়া দেন। শেষে ১৯৯৩ সালে বাড়িটির অধিকার ফিরে পান কাজী রকিব, হুমায়ুন সাহেবের পারিবারিক বংশধর। বাড়িটির বর্তমান মালিক তিনি ও তাঁর স্ত্রী লায়লা রাকিব।

স্থাপত্যিক আশ্চর্য ‘রোজ গার্ডেন’। হৃষিকেশ বাবু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দুর্লভ সব গোলাপ গাছে সুশোভিত করেছিলেন এ বাগান। পুরো এলাকা সাজিয়েছিলেন ইউরোপীয় ঢঙে। ভবনটির অবাক করা নির্মাণশৈলী আর মুগ্ধ করা নকশা সবার মন কাড়ে। পরবর্তী সময়ে তৎকালীন হিন্দু সমাজের উচ্চবিত্ত ও জমিদারদের আড্ডা জমতে থাকে রোজ গার্ডেনকে ঘিরে। সে সময় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ঋষিকেশ ও রোজ গার্ডেনের নাম। তখন বহু উৎসুক জনতা রোজ গার্ডেন দেখতে আসতেন। এখানেই গড়ে ওঠে দেশের বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগ।

দর্শনীয় অংশ রোজ গার্ডেনের পশ্চিম বাহু এবং উত্তর বাহুর মধ্যবর্তী অংশে দুটি মূল ফটক আছে। প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য পশ্চিম দিকের ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে প্রথমেই আছে একটি বিস্তীর্ন খোলা প্রাঙ্গন। এখানে মঞ্চের উপর দন্ডায়মান আছে কয়েকটি সুদৃশ্য নারী মূর্তি। পূর্বাংশের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে একটি আয়তাকার পুকুর। পুকুরের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের মাঝামাঝি একটি করে বাধানো পাকা ঘাট আছে। এর পূর্বাংশে আছে পশ্চিমমূখী একটি দোতলা ইমারত। এ ইমারতটির নাম হলো “রশিদ মঞ্জিল”। রশিদ মঞ্জিলের প্রবেশপথের অনতিদূরের সম্মুখের চত্বরে ইটও সিমেন্ট নির্মিত একটি সুন্দর ফোয়ারা দেখা যায়। একটি সাত ধাপ বিশিষ্ট সিঁড়ি দিয়ে রশিদ মঞ্জিলের প্রথম তলায় আরোহন করা যায়। এর সামনের দিকের মাঝামাঝি অংশের প্রতি কোঠার পাশাপাশি তিনটি খিলান দরজা আছে। উপরের তলায় প্রতিটি খিলানের উপর একটি করে পডিয়াম আছে। ‌টিমপেনামগুলো লতাপাতার নকশা এবং রঙ্গিন কাঁচ দিয়ে শোভিত। এর সামনে আছে বাইরের দিকে উপবৃত্তাকার উদগত অপ্রশস্ত বেলকনি। এর দুপাশে একটি করে করিনথীয় পিলার আছে। পিলারগুলোর দুই পাশের অংশে প্রতি তলায় আছে একটি করে খিলাল দরজা। এদের প্রতিটির কাঠের পাল্লার ভনিসীর ব্লাইন্ড ও টিমপেনামে লতাপাতার নকশা দেখা যায়। এবং সামনেই অপ্রশস্ত খোলা বেলকনি আছে। এর উপরাংশের কার্ণিস বক্রাকার যা বেলস্ট্রেড নকশা শোভিত। অপরাপর অংশের কার্ণিসগুলোও একই রকম। মধ্যবর্তী অংশ ছাদের সামনের ভাগে আছে আট কোনাকার এবং খিলান সম্বলিত বড় আকারের ছত্রী। এর ছাদ একটি আধাগোলাকার গম্ভুজ ঢাকা। ইমারতটির দু-কোনে দুটি করিনথীয় পিলার দেখা যায়। এদের শীর্ষেও ছত্রী নকশা আছে। এলাকার ভূমি পরিকল্পনায় নির্মিত রশিদ মঞ্জিলের প্রতি তলায় মোট ১৩ টি ছোট ও বড় আকারের কোঠা আছে। প্রথম তলায় প্রবেশের পর পশ্চিমাংশের বাঁ দিকে আছে উপরের তলায় যাওয়রা জন্য ঘুর্ণায়মান সিঁড়ি। এ ইমারতের পূর্ব বাহুর বাম পাশে আছে দুই বাহু বিশিষ্ট আর একটি দোতালা ইমারত। ডান পাশে পরবর্তীকালে আরও কিছু ইমারত নির্মিত হয়েছে। বাইরে ও ভেতরের দিকে পুরোপুরি চুনকামসহ গতরলেপনে আবৃত এ ইমারতের খিলানের টিমপেনামের রঙ্গিন কাঁচের অলঙ্করণ বেশ আকর্ষণীয়।

বর্তমান অবস্থা ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন বর্তমানে নাটক ও টেলিফিল্ম শ্যুটিং স্পট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সত্তরের দশকের জনপ্রিয় ছবি মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চিত্রায়িত হয়েছিল এ বাড়িতে। শবনম, রহমান ও গোলাম মোস্তফা প্রমুখ ছবির পাত্র-পাত্রী। পরে এ ভবনে আরো অনেক ছবির চিত্রায়ণ হয়েছে। এই ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য এখন বিভিন্ন নাটক ও টেলিফিল্মেওও অবলোকন করা যায়।

অবস্থান:
রোজ গার্ডেন পুরান ঢাকার টিকাটুলিস্থ কে এম দাস লেনের একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন।

Post Copied From:Rakibul Islam Rakib‎>Travelers of Bangladesh (ToB)