সেন্টমার্টিন ট্যুরের খরচাপাতি; সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

ঢাকা/চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া আসায় কত খরচ আর কোথায় কত সময় লাগে সে ব্যাপারে লিখব আজকে!

ঢাকা টু টেকনাফ বাস ভাড়া ৯০০ (নন-এসি); ১৫০০-২০০০ (এসি)

টেকনাফ টু সেন্টমার্টিন- যাওয়া আসা ভাড়া ৫৫০ থেকে শুরু, শীপভেদে ১০০০/১২০০ টাকা নিবে! যাওয়া আসার টিকেট একসাথেই কাটা হয়, কবে যাবেন আর কবে ফিরবেন সেটা আগে থেকে বলে দিতে হয়, সেন্টমার্টিনে ১ দিন থাকেন বা ২ দিন থাকেন, ভাড়া একই!

আর কেউ যদি টিকেটে উল্লেখিত তারিখে না ফিরে অন্যদিন ফিরতে চান তাহলে সেটাও সম্ভব, তবে সেক্ষেত্রে সীটের নিশ্চয়তা থাকবেনা!

ঢাকা থেকে টেকনাফগামী বাসগুলো সাধারণত ৭ টা বা ৭:৩০ এ ঢাকা থেকে রওনা দেয়, পরদিন সকাল ৭/৮ টায় শীপের ঘাটে আপনাকে নামিয়ে দিবে, ওখান থেকেই শীপ ধরতে পারবেন! সাধারণত ৯:৩০ মিনিটের দিকে শীপগুলো সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, ১১:৩০ বা ১২ টার ভেতরে শীপ সেন্টমার্টিনে পৌছে!
বিকেল ৩ টার দিকে শীপ সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়!

দুপুরে বা বিকেলে টেকনাফ থেকে কোন শীপ সেন্টমার্টিন যায়না, আবার সকালেও সেন্টমার্টিন থেকে কোন শীপ টেকনাফ আসেনা, সব শীপের শিডিউল একই রকম!

শীপ মিস করলে ট্রলারে চড়ে যেতে পারেন, ভাড়া ২০০ টাকা, শুধু যাওয়া কিংবা আসা! টেকনাফ শহর থেকেই ট্রলারগুলো ছাড়ে!

ছুটির দিনগুলোতে আগে থেকেই শীপের টিকেট কেটে রাখা ভাল, অন্যান্য দিন ঘাটেই টিকেট মিলবে!

সেন্টমার্টিনে থাকার খরচ জনপ্রতি ৩০০-৫০০ পড়ে, অর্থাৎ মোটামুটি মানের হোটেল/রিসোর্টে এক রুমের ভাড়া সাধারণত ১২০০-২০০০ টাকা নেয়, এক রুমে ৪ জন থাকা যায়! পিক টাইম বা টানা কয়েকদিন ছুটির দিন থাকলে রুমের ভাড়া আরো একটু বাড়তে পারে!

সেন্টমার্টিনে ৭০-৮০ টাকায় সকালের নাস্তা, ১৩০-১৮০ টাকায় দুপুর আর রাতের খাবার খেতে পারেন সামুদ্রিক মাছ দিয়ে! রুপচান্দা দিয়ে খেতে চাইলে দামটা একটু বেশিই পড়বে! রাতের বেলা বার-বি-কিউ ১৭০-২০০ টাকা পড়তে পারে, গেলে অন্তত এক বেলা এটাও ট্রাই করে দেখতে পারেন!

ছেড়াদ্বীপ যাবেন অবশ্যই, এটা না দেখে ফিরবেন না!

ট্রলারে চড়ে গেলে জনপ্রতি ১৫০ টাকা নিবে ভাড়া, স্পীডবোট রিজার্ভ ১৬০০-১৮০০ টাকা নিবে যাওয়া আসা, দরদাম করে যা পারেন, একটা স্পীডবোটে ৬ জন বসা যায়! ট্রলার বা স্পীডবোট আপনার জন্যে দেড় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করবে ছেড়াদ্বীপে, আবার আপনাদেরকে নিয়ে ফিরে আসবে! যেখানে শীপ থামে সেখানেই ছেড়াদ্বীপ যাওয়ার বোট পাওয়া যায়! ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছেড়াদ্বীপ ঘুরে ফিরে আসা যায়!

সাইকেল চালিয়ে বা হেটে হেটেও ছেড়াদ্বীপ যাওয়া যায়, তবে তা ভাটার সময়, স্থানীয়দের কাছ থেকে জোয়ার ভাটার সময় জেনে নিতে পারেন!

প্রতিটি ডাব ৪০-৬০ টাকায় পাবেন!

সাইকেল ঘণ্টাপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়া নিবে!

আর সকাল ১০/১১ টার দিকে অথবা বিকেলের কোন এক সময়ে পারলে জেটির পাশে এসে বসে থাকবেন, পানির রঙ দেখে মন ভরে যাবে!

চট্টগ্রাম থেকেও সরাসরি টেকনাফের বাস আছে, সিনেমা প্যালেস (লাল দীঘির পাড়) থেকে রাত ১২/১ টার দিকে কিছু বাস ছাড়ে, সকালে টেকনাফ পৌছে, ভাড়া ৪০০ টাকা!

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে শহর থেকে টেকনাফ যাওয়া লাগবে প্রথমে, ভাড়া ১৫০ টাকা নিবে! খুব ভোরে রওনা দিতে হবে, নয়তো শীপ মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে!

কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফ গিয়ে শীপ ধরা সম্ভব না, প্রাইভেট গাড়িতে করে গেলে সম্ভব হতেও পারে!

অনেকেই ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম গিয়ে তারপর অইদিনই বাসে করে কক্সবাজার/টেকনাফ গিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন, এটা কোন মতেই সম্ভব না! চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতেই তো ৪-৫ ঘন্টা লেগে যায়, টেকনাফ তো আরো বহুদূর!

কিছু অনুরোধ-
ভ্রমণের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে প্রবাল নিয়ে আসবেন না!
যেখানে সেখানে পানির বোতল, খালি প্যাকেট ইত্যাদি অপচনশীল জিনিস ফেলবেন না!

শীপে চড়ে যাওয়ার সময় অনেককেই দেখা যায় চিপসের খালি প্যাকেট সমুদ্রে ফেলে দেয়, এমনটা করবেন না প্লিজ, আপনার সাথে থাকা ভ্রমণসঙ্গীকেও এ ব্যাপারে সতর্ক করুন!

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

আকাশ সমুদ্রের মিলনমেলা(কক্সবাজার,সেন্টমার্টিন ভ্রমণ)

যেভাবে গিয়েছি এবং কোথায় কেমন খরচ (জনপ্রতি) হয়েছে সব সিকোয়েন্সিয়ালি দিয়ে দিলাম…

***৯ ডিসেম্বর ২০১৭***
—————————-
#যাত্রাঃ ঢাকা ফকিরাপুল থেকে “হানিফ পরিবহণের” (#Hanifparibahan) বাসে করে সন্ধ্যা ৭টায় টেকনাফের উদ্দেশ্য আমরা ১০জন বন্ধু রওনা দেই। (বাস টিকিট-৯০০টাকা, টি-শার্ট-৩০০ টাকা; মোট-১২০০ টাকা)

***১০ ডিসেম্বর ২০১৭***
***কক্সবাজার***
====================
#টেকনাফঃ সকাল ৮টায় আমরা টেকনাফের “কেয়ারী ঘাটে” (#KeariSindbad) পৌঁছাই। সমুদ্রে ঐদিন ৩ নাম্বার সতর্কতা সঙ্কেত থাকায় শীপ বন্ধ ছিল। আমাদের আগে থেকেই প্লান ছিল আমরা সেন্টমার্টিন থেকে ঘুরে কক্সবাজার যাব। যেহেতু সেন্টমার্টিন যাওয়া হচ্ছে না তাই সবাই মিলে ঠিক করলাম আগে কক্সবাজার ঘুরি তারপর যদি আবহাওয়া ঠিক হয় এবং সতর্কতা সঙ্কেত তুলে নেয়া হয় তাহলে সেন্টমার্টিন যাব। তাই আর দেরি না করে কেয়ারী ঘাটেই সকালের নাস্তা সেরে “সরাসরি স্পেশাল” পরিবহণে করে কক্সবাজার চলে যাই। (খরচঃ নাস্তা-৫০ টাকা, বাস ভাড়া-১৮০টাকা; মোট-২৩০টাকা)

#কক্সবাজারঃ কক্সবাজার পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা ১২টা বেজে যায়। দু’জনকে হোটেল খুঁজতে পাঠিয়ে দিয়ে আমরা কয়েকজন বিচের আশেপাশে ঘুরতে থাকি। তারা কিছুক্ষণের মধ্যে হোটেল কনফার্ম করে আমাদের ইনফর্ম করলে আমরা হোটেলে চলে যাই।

#হোটেল_কক্সবাজারঃ আমরা কলাতলি বিচের কাছাকাছি বিচ ওয়ে হোটেলের গোলিতে “প্রতীক জিনিয়া” (Protik Jinia) নামের একটি এপার্টমেন্টে ৩,৫০০ টাকায় (২ দিনের জন্য) একটি ফ্লাট ভাড়া নেই। ৩ রুমের ফ্লাট, ২টা বাথরুম, ২টা বেলকনি, একরুম এসি, এক কথায় আমাদের ১০ জনের জন্য অসাধারণ। তবে একটু দামাদামি করলে দিন প্রতি ১৫০০ টাকা মানে দু’দিনের জন্য ৩০০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যেতাম (খরচঃ হোটেল ভাড়া বাবদ ৩৫০ টাকা)

#সমুদ্রে_গোসলঃ সমুদ্রে ২টা থেকে ভাটা শুরু হয়। তখন সমুদ্রে গোসল করা রিস্কি, আর ২ টার পর সমুদ্রে গোসল করতে নামতেও দেয় না। তাই দেরি না করে আমরা ১টার মধ্যেই সুগন্ধা বিচে চলে যাই। দশজন একসাথে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে সবাই মিশে যেতে থাকি। একজন ফটোগ্রাফার নিয়েছিলাম। সমুদ্রে গোসল করবার সময় সবাই এক এক করে, গ্রুপে অনেক ছবি তুলেছি। আমরা মোট ৩৬০টি ছবি তুলি। এরজন্য ফটোগ্রাফারকে আমাদের দিতে হয়েছে ৬০০ টাকা। (খরচঃ ছবি বাবদ জনপ্রতি খরচ ৬০ টাকা)

(নোটঃ সমুদ্রে গোসল করতে চাইলে অবশ্যই ২টার আগে যাবেন। ২টার পর দ্রুত ভাটা চলতে থাকে। তখন সমুদ্রের পানি দ্রুত নেমে যেতে থাকে তাই স্রোতে ভেসে যাবার রিস্ক থাকে এবং গোলস করেও মজা থাকে না। সমুদ্রে গোসল করতে যাবার আগে মোবাইল ফোন, জুতা, টাকা-পয়সা অন্যান্য সরঞ্জাম না নিয়ে যাওয়াই ভালো। কেননা বিচে এগুলো রাখার কোন সেফটি প্লেস নেই। বিচ ফটোগ্রাফারদের দিয়ে ছবি তুলে নেবার আগে দামাদামি করে নিন। এরা ৫টাকা করে চাবে। দামাদামি করলে ২.৫-৩ টাকায় রাজি হয়। ছবি তুলে দেবার পর ছবিগুলো নেবার আগে ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ছবিগুলো সিলেক্ট করে নিন কোন কোন ছবিগুলো আপনার ভালো লেগেছে এবং বাকিগুলান ডিলিট করে দিন। কেননা তারা এক ছবি ৩/৪বার স্নাপ নেয় যার ফলে বারতি টাকা দাবি করে। মনে রাখবেন ছবি সিলেক্ট করবার সময় একবারই সিলেক্ট এবং ডিলিট করবেন। তারা দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয় না।)

#চাদের_গাড়ি_ভাড়াঃ সমুদ্রে গোসল সেরে হোটেলে ফিরে আধা ঘন্টার মধ্যে সবাই রেডি হই। আমরা ঠিক করি দুপুরের খাবার শেষ করে “ইনানী বিচে” (#InaniBeach) যাব। সুগন্ধা বিচের মাথায় মেইন রোডে ইনানী বিচে যাবার জন্য চাদের গাড়ি এবং অটো ভাড়া পাওয়া যায়। আমরা দামাদামি করে ১২০০ টাকায় একটা চাদের গাড়ি রিজার্ভে ভাড়া করি। যেটা আমাদের ইনানী বিচে নিয়ে যাবে এবং নিয়ে আসবে। (জনপ্রতি খরচঃ ১২০ টাকা)

#দুপুরের_খাবারঃ গাড়ি ভাড়ার ঝামেলা শেষ হয়ে গেলে ঐ গাড়িতে করেই আমরা খাবার হোটেলে যাই। কক্সবাজারে দুটি জনপ্রিয় খাবার হোটেল আছে। একটি “শালিক” এবং অন্যটি “পোউশি”। ইনানী বিচে যাবার পথে #শালিক_রেস্তরা পরে। আমরা শালিক রেস্তরায় কম্বাইন্ড করে দুপুরের খাবার খাই। খাবার আইটেমঃ ভাত,
২ প্লেট ভর্তা (৫জের জন্য এক প্লেট এনাফ), ডাল ২ বাটি, বিফ মাংস (২টা)। রেটিং ৮.৫/১০। আমরা মাছের কোন আইটেম নেইনি কারন আমরা ঠিক করেছিলাম সেন্টমার্টিন গিয়ে মাছ খাব। আর কক্সবাজারে মাছের দামও বেশি। আমাদের মোট খরচ হয় ১১০০ টাকা (জনপ্রতি খরচঃ ১১০ টাকা)

#মেরিন_ড্রাইভঃ সমুদ্রের পারে বিচ ঘেসে চলে গেছে দীর্ঘ পিচঢালা পথ। মেরিন ড্রাইভ। এই পথ দিয়ে গাড়িতে চলবার অনুভূতিও অন্যরকম। গাড়ি চলছে, পাশেই সমুদ্রের বেলাভূমি। বেলাভূমি ঘেসে সমুদ্র। সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বেলাভুমির তটে। সূর্যও ডুবি ডুবি করছে। সমুদ্রের গর্জন। কিছুদুর পরপর পথের দুধারে ছোট-বড় রেস্টুরেন্ট, সেনাবাহিনীর ক্যাম্প, সুপারি আর পানের বাগান। সব মিলিয়ে মেরিড ড্রাইভের পিচঢালা পথ সমুদ্রের দীর্ঘ সী-বিচের মতই অপূর্ব।

#ইনানী_বিচঃ মেরিন ড্রাইভ ধরে ইনানী বিচে পৌঁছতে পৌঁছতে আমাদের সাড়ে ৪টা বেজে যায়। কক্সবাজার যাবার পর থেকে যেটাই দেখছি সেটাতেই মুগ্ধ হচ্ছি। ইনানী বিচ দেখেও মুগ্ধ হলাম। পায়ের স্যান্ডেল হাতে নিয়ে সমুদ্রের পানিতে বিচ ধরে হাটা দিলাম। কিছুক্ষণ পরপর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এসে শীতল জলে বারবার পা ভিজিয়ে দিচ্ছে আর আমি ফিরে যাচ্ছি ফ্যান্টাসিতে। এখানেও ফটোগ্রাফারে গিজগিজ করছে। একজন ফটোগ্রাফার ঠিক করে নিয়েছিলাম। তাকে দিয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম। নিজের ফোনের ক্যামেরা দিয়েও প্রকৃতির কিছু ছবি তুললাম। কিছুক্ষণ পর সূর্যাস্ত শুরু হলো। ওয়েদার ভালো ছিলনা, তাই সূর্যাস্ত মন মত দেখা গেল না। একটু সূর্য থাকে আবার মেঘ ঢেকে দেয়। হাটু পানিতে নেমে সূর্যের লুকোচুরি দেখে উঠে এলাম। বিচের একপাশে ডাব বিক্রি হয়। ৪৫ টাকা করে ১০টা ডাব নিয়ে সবাই খেলাম। (খরচঃ ছবি-৭০টাকা, ডাব-৪৫টাকা; মোট-১১৫টাকা)

#কেনাকাটাঃ ইনানী বিচ থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা ৭টা বেজে যায়। কিছু কেনাকাটার জন্য সবাই মিলে বিচের পাশেই লাবনি পয়েন্টের মার্কেটে চলে যাই। অনেকে অনেক কিছু কেনে। আমি শুধু কয়েক আইটেমের আচার কিনেছিলাম। (খরচঃ ৫০টাকা)

#রাতের_খাবারঃ রাতের খাবার খেতে আমরা সবাই “পোউশি” রেস্তরায় যাই। লাবনি পয়েন্ট থেকে ১০-১৫ টাকা ভাড়ায় অটো (অটো রিক্সা) পাওয়া যায়। আমরা রিজার্ভে ৪০ টাকা করে দুটি অটোতে করে “পোউশি” রেস্তরায় যাই। আমরা যেতে যেতে লেট হওয়ায় রাতের খাবার শেষই হয়ে গিয়েছিলো। পোউশিতেও আমরা ভর্তার ২টা আইটেম নেই এবং ডাল নিয়েছিলাম। তবে শালিকের মত ভালো লাগেনি। লেট হবার কারনেও হতে পারে। রেটিং ৬/১০। (খরচঃ ৯৫ টাকা)

***১১ ডিসেম্বর ২০১৭***
——————————
আবহাওয়া খারাপ থাকায় সূর্যোদয় দেখতে পারিনি। তাছাড়া কক্সবাজার ঘোরাঘুরি আমাদের গত কালই শেষ হয়ে গিয়েছিলো। ভেবেছিলাম আজই সেন্টমার্টিন রওনা দেব এবং ২দিন সেখানে থাকব। আবহাওয়া ঠিক না হওয়ায় আরও একদিন আমাদের কক্সবাজার কাটাতে হল। ঠিক করেছিলাম মহেশখালী গিয়ে আদিনাথের মন্দির আর পাহাড় ঘুরে আসব। টিমের অনেকে যেতে রাজি না হওয়ায় কক্সবাজারেই অলস দিনের ঘাটি গাড়লাম। সকালের নাস্তা শেষ করে কয়েকজন সুইমিং পুলে গেল সাঁতার কাটতে। আমরা কয়েকজন কলাতলি বিচ, সুগন্ধা বিচ, লাবনি পয়েন্ট ঝাউবন দিয়ে ঘুরাঘুরি করলাম। লাবনি বিচে ঘন্টায় ২০ টাকা করে ৩টা বিচ চেয়ার ভাড়া করে গা এলিয়ে দিলাম। সমুদ্র দেখছি এমন সময় অনুভব করলাম কেউ একজন মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। তাকিয়ে দেখি একটা পিচ্চি মাথায় মাসাজ করে দিচ্ছে। অনেক বলবার পরেও চলে না যাওয়ায় শেষমেশ রাজি হয়ে বললাম ঠিক আছে ২০ টাকা দেব। পিচ্চির মাথা মাসাজে মোহিত হয়ে গেলাম। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, শরীর শিরশির করা শীতল বাতাস, পিচ্চির মাজাস সব মিলিয়ে ঘন্টা খানেক ভালোই সময়য় কাটল। এরপর সুইমিং পুলের ওরাও চলে এল।

সবার পেট ভরাই ছিল। বিকেলের দিকে হালকা খাবার খেয়ে নেবার পর অনেকে বলল বার্মিজ মার্কেটে যাবে কেনাকাটা করবার জন্য। মার্কেটে ঘুরতে আমার ভালো লাগে না। তাই আমি এবং আর দু’জন মিলে আমরা তিনজন হোটেলে ফিরে এলাম। অন্যরা মার্কেটে গেল। বিপিএলের খেলা চলছিলো। খেলা দেখলাম। কেনাকাটা শেষ করে সবাই রাতে এল। আমরা আবার শালিকে গেলাম রাতের খাবার খেতে। সেম আইটেম নিলাম। তবে আজকে ভর্তার বদলে নিলাম ২ প্লেট সবজি (রাতের আইটেম সবজি)। রেটিং ৭/১০। (খরচঃ সকালের নাস্তা- ৫০টাকা; চেয়ার ভাড়া, মাসাজ, চিপস-৭০ টাকা; বিকেলে পারাটা চা-২০ টাকা; রাতের খাবার-১১০ টাকা; মোট- ২৫০ টাকা)

***১২ ডিসেম্বর ২০১৭***
***সেন্টমার্টিন***
=====================
#কক্সবাজার_থেকে_টেকনাফঃ কক্সবাজারে বেশকিছু ট্যুর এজেন্ট আছে যারা সেন্টমার্টিন যাবার যাত্রীদের কক্সবাজার থেকে টেকনাফ জাহাজ ঘাটে পৌঁছে দেয়। আগেরদিন রাতেই আমরা ১০ জনের জন্য ১৫০ টাকা করে ১৫০০ টাকা দিয়ে টিকিট করে রেখেছিলাম। সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে সেই ট্যুরিস্ট বাসে করে আমরা টেকনাফ কেয়ারী ঘাটের উদ্দেশ্য রওনা দেই। (খরচঃ ১৫০ টাকা)

#কেয়ারী_ঘাটঃ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আমরা কেয়ারী ঘাটে পৌঁছাই। কেয়ারী সিন্দবাদ শীপের টিকিট তাদের ঢাকা অফিস থেকেই নিয়ে রেখেছিলাম। তাই টিকিট নিয়ে কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি। বাস থেকে নেমেই কাউন্টারে রিপোর্টিং করি। সময় না থাকায় কেয়ারী ঘাট থেকে সকালের নাস্তা পার্সেল নিয়ে সরাসরি শীপে উঠে পড়ি। সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঘাট থেকে শীপ ছেড়ে যায়। (শীপের টিকিট-৫৫০টাকা, সকালের নাস্তা_১টা পারাটা, হাফ ডিম-২৫টাকা; মোট-৫৭৫ টাকা)

#শীপ_ভ্রমণঃ আমরা শীপের মেইন ডেক নিয়েছিলাম। মেইন ডেকের ভাড়া সব চেয়ে কম। মাত্র ৫৫০ টাকা। এছাড়াও শীপে ওপেন ডেক, এসি ডেক আছে। ওগুলোর ভাড়া একটু বেশি। তবে মেইন ডেক নিলেও মজা কিন্তু ওপেন ডেকের মতই। শীপ ঘাট থেকে ছেড়ে যাবার কিছুক্ষণ পড়েই সবাই ডেক থেকে বেড়িয়ে করিডোর এবং রেলিঙয়ের কাছে চলে আসে। নাফ নদী হয়ে শীপ সমুদ্রে ঢুকবার আগে থেকেই শতশত গাঙচিল (Sea Gull) শীপ ধরে উড়ে উড়ে আসে। যাত্রীরা চিপস, বিস্কিট ছুঁড়ে দেবার সাথে সাথে ছোঁ মেরে ধরে ফেলে। গাঙচিলের খাবার ছোঁ মেরে ঠোটে নেবার এই দৃশ্যও চমৎকার। নদী এবং সমুদ্রের মোহনায় আসববার সাথে সাথে শীপে মাইকে এনাউন্স করে দেয়া হয়। দেখার মত কোন দৃশ্য এলেও শীপ থেকে মাইকে বলে দেয়া হয় কোনটা কী? সমুদ্রের এক পাশে মায়ানমার, অন্যপাশে বাংলাদেশ। সমুদ্রের কোলঘেঁষে পাহাড় আর অরণ্যের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য শীপ থেকে দেখলে যে কারও মন পুলকিত হবে।

#সেন্টমার্টিনঃ দুপুর ১২টায় আমরা সেন্টমার্টিন পৌঁছাই। আমাদের মধ্য থেকে তিনজন যায় হোটেল কনফার্ম করতে। আমরা বাকিরা সবাই বাজারে অপেক্ষা করি। এসময় অনেকে তাদের হোটেল নেবার জন্য আমাদের রিকোয়েস্ট করতে থাকে। আধাঘন্টার মধ্য ঐ তিনজন হোটেল কনফার্ম করে আসে।

#সেন্টমার্টিন_হোটেলঃ সেন্টমার্টিনে আমরা বাজারের পাশে “স্বপ্ন বিলাস” রিসোর্টের দুটা রুম নিয়েছিলাম। ভাড়া পরেছিলো ১৩০০ টাকা। বাজারের পাশে বিধায় একটু বেশীই ছিল। আরও ভেতরে হোটেল নিলে আরও কমে পাওয়া যেত। একদম ভেতরে বাগান বাড়ির দিকে “নীল সীমান্ত” নামে একটা একটা রিসোর্ট আছে। বাজার থেকে ভ্যান ভাড়া ১৫-২০ টাকা। হাফ বিল্ডিং রিসোর্ট, তবে সুন্দর। যেটা ২রুম এটাস্ট বাথ, তিন বেড মাত্র ৭০০ টাকায় দিতে রাজি হয়েছিলো। ঘরোয়া পরিবেশ, বাড়ি ভর্তি নাড়িকেল গাছ, সারাক্ষণ সমুদ্রের গর্জন শোনা যায়, বার্বিকিউ এবং খাবারের সুব্যবস্থা ছিল। তবে আমাদের টিমের কয়েকজনের পছন্দ না হওয়ায় আমরা রিসোর্টটা নিতে পারিনি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দ হয়েছিলো। অল্প খরচে থাকার জন্য বেস্ট রিসোর্ট। (খরচঃ ১৩০ টাকা)
নোটঃ কক্সবাজারের মত সেন্টমার্টিনেও হোটেল ভাড়া নিতে হলে দামাদামি করতে হবে। প্রয়োজনে ছ্যাঁচড়ামি করতে হবে। মনে রাখবেন ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত হোটেল এবং রিসোর্টের ভাড়া অনেক কম। ৪ জন থাকার এক রুম ৬০০-১০০০ টাকায় পাবেন।

#দুপুরের_খাবারঃ হোটেলে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খাই “নোয়াখালী রেস্তরায়”। আইটেম ভর্তা, ডাল, মাছ। হোটেলের রুমের মত খাবারও অনেক দামাদামি করতে হবে। (খরচঃ ভাত-৩০টাকা, ডাল-১০টাকা, ভর্তা-১০টাকা, টুনা ফিশ ভাজি-৪০টাকা; মোট- ৯০ টাকা)

#সেন্টমার্টিন_ঘোরাঘুরিঃ খাবার পর সাবাই সাইকেল নিয়েই বিচ ঘুরতে বের হয়েছিলো। তবে আমি হেটেই বিচ ঘুরেছি। একবার সাইকেল নিয়েছিলাম ঘন্টায় ৪০ টাকা করে। কিছুক্ষণ চালাবার পর বিরক্ত হয়ে ২০ টাকা জরিমানা দিয়ে ফেরত দিয়েছি। সমুদ্রের কূল ঘেঁষে হেটে হেটে বিচ দেখার মজাই আলাদা। হেটে হেটে বিচ দেখতে দেখতে সূর্যাস্ত দেখলাম। এক সময় হুমায়ূন স্যারের “সমুদ্র বিলাস” এর সামনে পৌঁছে গেলাম। গেটে বলে ভেতরে ঢুকলাম। ভেতরে রিসোর্টের সংস্কার কাজ চলছে। অন্ধকারে ঘুরে ঘুরে দেখ বেড়িয়ে পড়লাম। আর কিছুদুর সামনে গিয়ে বিচের পাশে এক দোকানে চা খেলাম। অদুরেই বিচে ছোট ছোট দোকান বসেছে গরম গরম মাছ, কাঁকড়া ভাজির। অনেকে মাছ বেছে দিচ্ছে, দোকানি সেগুলো ভেজে দিচ্ছেন। চা খেতে খেতে যতদূর চোখ যায় দেখে নিলাম।

#রাতের_খাবারঃ রাতে তেমন ক্ষুধা না লাগায় সবাই পারাটা, ডিমভাজি, কাঁকড়া ভুনা খেলাম। তবে আমি ডিমভাজি আর পারাটা খেয়েছি। কাঁকড়া ভাজি কিংবা ভুনা ১২০ টাকা করে ছিল। (খরচঃ ২টা পারাটা-২০টাকা, ডিমভাজি-৩০ টাকা; মোট-৫০টাকা)

#কেনাকাটাঃ রাতের খাবার শেষ করে অনেকে বাড়ির জন্য শুঁটকি কিনেছিলো। শুঁটকি কেনার জন্য সেন্টমার্টিন বেস্ট। আমি কিছুই কিনিনি…

***১৩ ডিসেম্বর ২০১৭****
——————————-
#সূর্যোদয়ঃ সূর্যোদয় দেখার জন্য সকাল ৬টার মধ্যেই ঘাটের (শীপ থেকে যেখানে নেমেছেন) বিচে চলে যেতে হবে। সূর্যোদয় দেখতে গিয়ে অপূর্ব কিছু দৃশ্যের দেখা মেলে। রাতভর সমুদ্রে বয়ে চলা ট্রলারগুলো সে সময় পারে ভিড়ে। জেলেরা ট্রলার থেকে মাছ নামায়। ছোট থেকে শুরু করে বিশাল বিশাল সে সব মাছ। জীবনের প্রথম চাক্ষুস এমন সাইজের মাছ দেখলে কার না বিস্ময় জাগবে! বিচে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে সকালের নাস্তা সেরে ফেলি। (খরচঃ পারাটা-২০টাকা, ডিম ভাজি-৩০টাকা; মোট-৫০ টাকা)

#ছেঁড়াদ্বীপঃ হোটেল থেকে চেকআউট করে ব্যাগগুলো হোটেলের কাউন্টারে রেখে আমরা ছেঁড়াদ্বীপের উদ্দেশ্য রওনা দেই। সেন্টমার্টিন ঘাট থেকেই ছেঁড়াদ্বীপের স্পীডবোট, লাইফবোট যায়। অনেকে সাইকেল নিয়েও বিচ ধরে ছেঁড়াদ্বীপ যান। আমরা ঐদিনই ফিরতি শীপে করে টেকনাফ ফিরব তাই সাইকেল নিয়ে রিস্ক নিইনি। ঘাট থেকে ২০০ টাকা ভাড়ায় একটা লাইফবোট নিয়ে ছেঁড়াদ্বীপ যাই। স্পীডবোট ৩০০ টাকা ভাড়া। লাইফবোটে ছেঁড়াদ্বীপে যেতে আমাদের সময় লেগেছিল ২৫ মিনিটের মত। স্পীডবোটে ১০-১৫ মিনিট লাগে।
ছেঁড়াদ্বীপে পৌঁছেই ডাবের দোকান পেয়ে সবাই ডাব খেয়ে নিলাম। প্রতিটা ডাব ৫০টাকা করে। সেন্টমার্টিন গেলে ছেঁড়াদ্বীপ না গেলে সেন্টমার্টিন যাওয়া বৃথা। কেননা সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্যের পূর্ণতা দেয় ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণ। ছেঁড়াদ্বীপ পুরোটা ঘুরে আমি এতটাই বিস্মিত হয়েছিলাম যে ঠিক করেছি আবার যদি কখনো যাই তাহলে ছেঁড়াদ্বীপে তাবু গেড়ে ক্যাম্প করব। সাইকেল নিয়ে গেলে পুরো দ্বীপটা ঘুরে দেখতে সমস্যায় পরবেন। তাই আমার মনে হয় ছেঁড়াদ্বীপ পুরোটা দেখতে হলে হেটেহেটে দেখাই উত্তম। ছেঁড়াদ্বীপে মৌসুমি পাথর নামে একটা পাথর আছে। যেখানে নায়িকা মৌসুমি ছবির শুটিং করতে এসে পাথরে নিজের নাম লিখে গিয়েছিলেন। (খরচঃ ২৫০ টাক)

#টেকনাফ_এবং_ঢাকা_ফেরতঃ ছেঁড়াদ্বীপ থেকে ফিরেই দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। হোটেলের কাউন্টার থেকে ব্যাগ নিয়ে ঘাটে থেমে থাকা শীপে উঠে গেলাম। ঠিক ৩টায় শীপ টেকনাফের উদ্দেশ্য ছেঁড়ে গেল। ডেকের জানালা দিয়ে কিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে সেন্টমার্টিনকে বিদায় জানালাম। টেকনাফ পৌঁছতে পৌঁছতে বিকেল ৫টা পার হয়ে গেল। আগে থেকেই বাসের টিকিট বুকিং দেয়া ছিল। কিছুক্ষণ পড়েই বাস চলে এল। চারদিনের বিস্ময়কর ট্যুর শেষ করে সবাই আবার ফিরে চললাম ব্যস্ত নগরীতে। (খরচঃ বাস ভাড়া-৯০০টাকা)


****আমার মোট খরচ****
———————————-
৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত
ট্যুর বাবদ মোট খরচঃ ৪৮২৫ টাকা (যারা ধুমপান করেন তাদের খরচ কিছুটা বাড়তে পারে)
এবং কিছু হাবিজাবি হাত খরচ গেছে।

****গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য এবং টিপস****
————————————————
>>স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, NID কার্ড সাথে নিবেন।
>>অল্প খরচে কক্সবাজার কিংবা সেন্টমার্টিন থাকতে হলে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ট্যুর প্লান করুন। এসময় ৪-৫জন থাকার মত হোটেল ভাড়া ৭০০-১০০০ এর মধ্যেই পাওয়া যায়। ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে পুরোপুরি ট্যুরিস্ট সিজন শুরু হয় তখন হোটেলগুলোর ভাড়া বেড়ে যায়।
>>হোটেল ভাড়া করবার সময় দামাদামি করুন এবং প্রয়োজনে চূড়ান্ত লেভেলের ছ্যাঁচড়ামি করুন।
>>কক্সবাজারের বিচ ফটোগ্রাফারদের দ্বারা ছবি তুলে নেবার আগে দামাদামি করুন। শুধু বিচ ফটোগ্রাফার না লোকাল যানবাহনে যাত্রার পূর্বেও দামাদামি করে নিন।
>>৭-১০ জনের টিমের মধ্যে গেলে খরচ কম হবে। তবে টিমের মধ্য গেলে কম্বাইন্ড করে থাকা, খাওয়ার মনমানসিকতা থাকতে হবে। এতে খরচ অনেক কমে যায়। যেমন আমরা একটা ডিমভাজি ২জন করে খেয়েছি। এক প্লেট ভর্তা ৫জন মিলেমিশে খেয়েছি।
>>শুধু কক্সবাজার না, সেন্টমার্টিনের সব কিছুর ক্ষেত্রে দামাদামি করে নিবেন।
>>টিমের সাথে গেলে অবস্যই সেক্রিফাইসড করবার মত মেন্টালিটি ধারণ করবেন। মনে রাখবেন ট্যুরে টিম মেম্বারের সাথে সামান্য মন কষাকষি ট্যুরের খরচ বাড়ানো থেকে ট্যুরের আনন্দ নষ্ট করে দিতে পারে।
>>ঘুরতে গিয়ে কেউ ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করবেন না। এতে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন দূষিত হয় তেমনি আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও নষ্ট হয়।

*****হোটেল/বাস/শীপের তথ্য*****
——————————————–
#হানিফ_পরিবহণঃ
ঢাকা কাউন্টার (ফকিরাপুল)- 01713201729
কক্সবাজার কাউন্টারঃ 01713402635
টেকনাফ কাউন্টারঃ 017303776365

#কেয়ারী_সিন্দবাদ_শীপঃ
ঢাকা অফিসঃ 01817148735
কক্সবাজার অফিসঃ 018172104215
টেকনাফ অফিসঃ 01819379083

#কক্সবাজার_হোটেলঃ
প্রতীক জিনিয়া
Rifat Bhai- 01836046043

#সেন্টমার্টিন_হোটেলঃ
স্বপ্ন বিলাস
Alamgir Vhai- 01905062237; 01905062237

নীল সীমান্ত (অল্প খরচে থাকতে চাইলে)
ফোন নাম্বারঃ 01859397005

Post Copied From:Humayun Hanif‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সাম্প্রতিক সময়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

এই মাসের ১২ তারিখে কয়েকজন বন্ধু মিলে সেন্টমার্টিনে গিয়েছিলাম। দ্বীপটিতে এটি আমার দ্বিতীয়বারের মতো ভ্রমণ। প্রথমবারের অভিজ্ঞতার তুলনায় এবার এখানে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্য করলাম। আগ্রহীদের অবগতির স্বার্থে খরচসহ এই ট্যুরের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করছি।

ঢাকা থেকে টেকনাফ রুটে বেশকিছু ভালো বাস আছে। আমরা গিয়েছি শ্যামলীতে। সার্ভিস মোটামুটি। এই রুটে সব ননএসি বাসের ভাড়া ৯০০ টাকা। এসি বাসের ভাড়ায় ভিন্নতা রয়েছে। বাস টেকনাফে শিপঘাটের একেবারে কাছে এনে নামিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে সবার প্রতি পরামর্শ থাকবে, রাত সাড়ে আটটার আগের বাসে উঠে পড়তে। কোনক্রমে বাস দেরী করে টেকনাফ পৌছালে শিপ মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আমরা গিয়েছিলাম কেয়ারি সিন্দাবাদ শিপে করে। এই মুহূর্তে চলাচল করছে কেয়ারি সিন্দাবাদ (ননএসি), এলসিটি কুতুবদিয়া (ননএসি), কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন (এসি) ও গ্রিন লাইন (এসি)। ননএসি শিপের মেইন ডেকের ভাড়া ৫৫০ টাকা এবং ওপেন ডেকের ভাড়া ৭০০ টাকা করে। এসি শিপের ভাড়া ১,০০০ থেকে ১,৪০০ টাকার মধ্যে। এবার যথেষ্ঠ সংখ্যক শিপ ছাড়ে নি বলে শিপের টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে।
অনেককে দেখলাম, সিট পান নি বলে দাড়িয়ে দাড়িয়ে যাচ্ছেন। ব্যপারটা খুব কষ্টকর না হলেও বয়স্কদের জন্য খানিকটা পরিশ্রমের। তবে শুনতে পেলাম, দু’একদিনের মধ্যে বে ক্রুজ এবং ফারজান ক্রুজ নামের দুটি শিপ চলাচল করতে শুরু করবে।

শিপ টেকনাফ থেকে ছাড়ে সকাল সাড়ে নয়টায়, সেন্টমার্টিনে এসে পৌছায় বারোটায়। শিপঘাটে নেমে হাঁটা শুরু করলাম। ঘাটের একটু সামনে সারি সারি ভ্যান দাঁড়িয়ে রয়েছে। নিজেদের রিসোর্ট/হোটেল খুব বেশী দূরে না হলে হেঁটে যাওয়া-ই ভালো। কেননা, সবগুলো শিপ কাছাকাছি সময়ে পৌছায় বলে তখন ভ্যান ভাড়া হয় খুবই বেশী। আমাদের রিসোর্টের নাম ছিলো Sea View Resort & Sports। ফেইসবুকে রিসোর্টটির রেটিং খুব ভালো দেখে এর সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। এর লোকেশন ছিল চমৎকার, বীচের খুব কাছে।

কম খরচের ব্যপারটাকে মাথায় রেখে আমরা তাবুতে ছিলাম। দুটি তাবুতে মোট সাতজন মানুষ। প্রথমদিন নর্থ বীচে গোসল করে ও ভাড়ায় নেয়া সাইকেল চালিয়ে কাটিয়ে দিলাম। সেন্টমার্টিনের পানি কক্সবাজারের তুলনায় অনেক বেশী নীল। যারা কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন, দুটি-ই ভ্রমণ করবেন বলে ভাবছেন, তাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে কক্সবাজার দিয়ে শুরু করতে। নইলে সেন্টমার্টিনকে দেখে আর কক্সবাজারকে ভালো লাগবে না।

দ্বিতীয় দিন সকালে ছেড়া দ্বীপ দেখতে গেলাম। ছেড়া দ্বীপে ইঞ্জিনের নৌকায় করে যেতে হয়। জনপ্রতি খরচ হয় ১৫০ টাকা। এছাড়া স্পিডবোট বা গামবোটেও যাওয়া যায়। এগুলো খানিকটা ব্যয়বহুল। যাওয়া-আসা ও ভ্রমণ মিলিয়ে ছেড়া দ্বীপের জন্য চার ঘণ্টার মতো সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। ছেড়া দ্বীপে এসে ধারালো প্রবালের ঘায়ে অনেকের পা কেটে যায়। এর জন্য ব্যান্ডেজ বা সমজাতীয় ব্যবস্থা সাথে রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সমুদ্র ছাড়া সেন্টমার্টিনে দেখার মতো আর কিছু নেই। আমাদের একদিন থাকার কথা ছিল। কিন্তু সমুদ্রের মায়ায় পড়ে আমরা আরো একদিন বেশী থাকবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ফলে শিপে আজ আমরা এসেছি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। গতকাল এলে নিজেদের সিটে বসে আসতে পারতাম। বলতে ভুলে গেছি, ফেরার শিপ দুপুর তিনটায় ছাড়ে। টেকনাফে এনে নামিয়ে দেয় সন্ধ্যা ছয়টায়। টেকনাফ থেকে কক্সবাজারে বাসে ১৬০ টাকা নেয়।

সেন্টমার্টিনের খাবারকে বৈচিত্রময় বলা যায় কিনা জানি না। কিন্তু সামুদ্রিক মাছের জন্য এটি একেবারে আদর্শ একটি স্থান। হরেকরকম রেস্ট্যুরেন্টে তাজা মাছ কেটে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আপনি বললেই ভেজে এনে পাতে তুলে দেবে। ভাত-মাছ-ডাল-সবজি খেতে চাইলে ১৯০-২০০ টাকা বাজেট রাখতে হবে। মাছের মধ্যে থাকবে কোরাল/সুরমা/সুন্দরী/লইট্টা ইত্যাদি। রূপচাঁদা খেতে চাইলে ৩০০ টাকা পড়বে। তবে রূপচাঁদা খেতে না চাওয়া-ই ভালো। কালোচান্দা বা টেকচান্দা এনে হাজির করার করার সম্ভাবনা প্রচুর।

কিছু কথাঃ
*সেন্টমার্টিনের রিসোর্টগুলোতে এখন ঘন ঘন চুরি হচ্ছে। জিনিসপত্র সাবধানে রাখতে হবে।
*বীচের কাছাকাছি রিসোর্টে থাকার পরামর্শ থাকবে। সমুদ্রের সান্নিধ্য দিনটিকে রঙ্গিন করে তুলবে। এই ডিসেম্বর মাসের ১৫, ১৬, ২২-২৫, ৩১ তারিখে সেন্টমার্টিনের সকল রিসোর্টের ভাড়া হবে অত্যধিক বেশী। যাদের বাজেট কম, এই দিনগুলো তাদের এড়িয়ে চলতে হবে।
*বারবিকিউ চাইলে রেস্ট্যুরেন্ট থেকে ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। চিকেন বারবিকিউ ২০০-২২৫ টাকার মধ্যে এবং কোরালের বারবিকিউ ৩০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
*সেন্টমার্টিনে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রুম বা স্যাটেলাইট টেলিভিশন পাবেন না।

Happy Traveling 

Post Copied From:Faisal Mahmudur>Travelers of Bangladesh (ToB)

৪০০০ টাকায় সেন্টমার্টিন ঘুরাঘুরি

৩ কাজিন মিলে সেন্টমার্টিন ঘুরে এলাম ২ রাত, ৩ দিন জনপ্রতি মাত্র ৪০০০ টাকায়।

গাবতলি থেকে হানিফ বাসে ভাড়া ৯০০ টাকা টেকনাফ পর্যন্ত।টেকনাফে সকালের নাস্তা ৫০ টাকায়।আমাদের Plan ছিলো যাবো জাহাজে এবং তৃতীয় দিন সকালে ট্রলারে টেকনাফ গিয়ে কক্সবাজার যাবো,ওখানে সারাদিন কাটিয়ে রাতের বাসে ঢাকা।তাই শুধু জাহাজে যাওয়ার টিকিট কাটি ৩২৫ টাকা। সেণ্টমার্টিন পৌঁছাই ১২ টার দিকে।এখান থেকে আমরা Hotel sand shore এ ৪ জনের এক রুম নিলাম ২ রাতের জন্য ১০০০ টাকায়(জনপ্রতি ৩৩৩ টাকা)। এরপর দুপুরের খাবারের জন্য ১০০ টাকার প্যাকেজ নিলাম। ভাত, ডাল, আলু ভর্তা,আর শুটকি মাছের চর্চরি। এরপর একটু রেস্ট নিয়ে বীচে চলে গেলাম,গোসল করে রুমে ফেরত আসলাম। সন্ধ্যায় নাস্তা করে,মুরগীর বারবিকিউ অর্ডার করে চলে গেলাম বিচে। আমাদের পার পারসন ১৫০ টাকা করে লেগেছে। বিচে live টুনামাছ,চিংড়ি,কাকড়া ভাজা খেলাম ৩ জনে,নিলো ২০০ টাকা।রাত ১০টায় BBq খেলাম।খেয়ে আবারও বিচে গেলাম,জোসনা উপভোগ করতে।সেখানে ডাবলসিট ভাড়া করলাম ৫০ টাকা দিয়ে unlimited সময়ের জন্য।পরের দিন সকালে ৫০ টাকায় নাস্তা সেরে পুরো দ্বীপ +ছেঁড়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে সাইকেল ভাড়া নিলাম ৩ঘন্টার জন্য ১৫০ টাকা জনপ্রতি।পথে ডাব খেলাম ৫০ টাকার,এক ডাবে ৩ জনের পেট ভরে গেলো।ঘুরে এসে বীচে গোসল করলাম।বীচ থেকে ১:৩০ এর মধ্যে ফিরে এসে আবার দুপুরের খাবার খেলাম ১০০ টাকার প্যাকেজ এ।ফিরলাম হোটেলে।বিকেলে পাশের হালকা নাস্তা করে,সেখান থেকে কক্সবাজার টু ঢাকার টিকেট কাটলাম ৮০০ টাকা দিয়ে,তুবা লাইনে। তারপর এক হোটেল তিনজনের জন্য একটি সামদ্রিক মাছের bbq অর্ডার দিয়ে,চলে গেলাম বিচে,কোরাল হাফ কেজি নিয়েছিলাম ৩০০ টাকা,সাথে পরটা।রাত ১০টায় ফোন দিলো bbq ready.খেয়ে আবার বিচে।পরের দিন সকালে নাস্তা করে,ট্রলারে উঠে পরলাম ২১০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে,ছাড়লো ১০টায়।টেকনাফ পৌছালাম, ১টায় (এমন আস্তে চলে),সেখান থেকে জনপ্রতি ১৫০ টাকায় কক্সবাজারের গাড়ীতে উঠলাম। পথে পুলিশ চেকিং হলো ৬ বার,সারাদিন না খাওয়া+বুঝলাম কক্সবাজারে আর দিন কাটানো হলো না।সন্ধ্যায় পৌছালাম।বার্মিজ মার্কেটে হালকা কেনাকাটা করে, রাত ১৫০ টাকা দিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে, বীচে ঘোরাঘুরি করে ১০ টায় ঢাকার বাসে উঠে পরলাম।

 

মেরিন ড্রাইভের পাশে বীচে ক্যাম্পিং মাত্র ২৩০০ টাকার

ঢাকা টু কক্স – ৮০০+৮০০=১৬০০ টাকা (যাওয়া আসা)

ক্যাম্পিং এর জন্য আমার পছন্দের জায়গা ৪৫ কিলো দূরে শামলাপুর।

কক্স টু শামলাপুর ৮০+৮০=১৬০ (যাওয়া আসা)

২ বেলা সকালের নাস্তা: ৫০+৫০=১০০
৩ বেলা মূল খাবার: ১৩০+১৩০+১৩০= ৩৯০
খাবারের জন্য শামলাপুর বাজারে হোটেল আছে, বীচের পাশেও একটা হোটেল আছে! ১২০ টাকায় ভালভাবেই খাওয়া দাওয়া করা সম্ভব! রুপচাদা বা নিজের পছন্দের অন্য কোন সামুদ্রিক মাছ খেতে চাইলে একটু বাড়বে খাবারের খরচ!

তাহলে টোটাল খরচ দাঁড়ালো : ১৬০০+১৬০+১০০+৩৯০= ২২৫০ টাকা!

নিজের তাবু থাকলে এর চাইতে বেশি আর খরচ হবেনা এই ট্যুরে! যাদের তাবু নেই তারা ঢাকা থেকে প্রতি রাত ১০০ টাকা হিসেবে তাবু ভাড়া নিয়ে যেতে পারেন!

ঢাকায় ফেরার আগে কক্সবাজার শহরেরর লাবনী পয়েন্ট বা কলাতলিতেও ঘুরতে পারেন, আলাদা কোন খরচ নেই!

এখন যদি কেউ শামলাপুর থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপও ঘুরে আসতে চায় তাহলে কিছু খরচ বাড়বে! এই দ্বীপটাও অনেক সুন্দর, কেউ চাইলে ক্যাম্পিং করার পরের দিন (২য় দিন) সকালে ওখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন, তখন আরো ২০০-২৫০ টাকা খরচ হবে! শামলাপুর থেকে দক্ষিণে অর্থাৎ টেকনাফ সদরের আরো পরে এই দ্বীপ! শামলাপুর থেকে ফিরে আসার সময় জনপ্রিয় দুই পর্যটন স্পট ইনানী ও হিমছড়িও ঘুরে আসতে পারেন! এক্সট্রা ২০ টাকা খরচ হবে মাত্র!

মূল খরচ অই ২৩০০ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, বাড়তি স্পটে ঘুরতে চাইলে খরচ বাড়বে!

কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে প্ল্যান করে ফেলুন, বীচের পাড়ে ক্যাম্পিং এর মজাই আলাদা! আর সেটা যদি চাঁদনী রাতে হয় তাহলে তো কথাই নেই!

ক্যাম্পিং এর জন্য এই জায়গাটা কেন আমার পছন্দ তা নিয়ে কয়েকদিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, সেটাও দেখে নিতে পারেন! এদিকে বীচ আর মেরিন ড্রাইভ রোড অনেক বেশি সুন্দর! বাথরুম ও গোসলের ব্যবস্থা আছে, নিজেরা রান্না করতে চাইলে পাশে বাজারও আছে!

সতর্কতা:

– একসাথে অন্তত ১০-১২ জনের গ্রুপ যাওয়া বেটার!

– সন্ধ্যার পর একাকী ক্যাম্প সাইট থেকে দূরে কোথাও যাবেন না!

– বড় গ্রুপ হলে মেয়েরাও যেতে পারবেন!

আরো কিছু জানার থাকলে নক করতে পারেন!

আগামী নভেম্বরে আমরা কয়েকজন এই খরচে এখানে একটা ক্যাম্পিং ট্যুর দিতে পারি, কেউ আমাদের সাথে চাইলে ইনবক্সে জানাতে পারেন!

আর প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনেও মাত্র ২৮০০-২৯০০ টাকায় ক্যাম্পিং ট্যুর দেওয়া সম্ভব, সেটা নিয়ে আরেকদিন লিখব !

যারা নিয়মিত ঘুরতে পছন্দ করেন তারা নিজেরা তাবু কিনে ফেলতে পারেন, কম খরচে ঘুরার জন্য তাবু জিনিসটা খুব কার্যকরী! সাজেক, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজারে সবাই যখন হোটেলে থাকবে তখন আপনি থাকবেন তাবুতে! তখন ট্যুরের খরচ অনেক কমে যাবে!

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

Radiant Fish World

ছবি দেখে নিশ্চয় ভাবছেন এটা দেশের বাইরের কোন জায়গা, ঠিক যেন ডিসকভারি আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফি কিংবা এনিমেল প্ল্যানেটে দেখানো বিরল ও কিম্ভুতকিমাকার সব সামুদ্রিক প্রাণীর সমাবেশ । এ কি করে বাংলাদেশে সম্ভব!!

জ্বি না। ভুল ভাবছেন। এই প্রথম আমাদের দেশে ( আমার জানা মতে) আন্তর্জাতিক মানের একুরিয়াম স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে আর তার ফলাফল চোখের সামনেই।

কক্সবাজার, ঝাউতলা এলাকাতেই গত ৩০ নভেম্বর, ২০১৭ তে উদ্বোধন হয় Radiant Fish World এর।

জনপ্রতি টিকেট মূল্য ৩০০ টাকা। এছাড়া ভিতরে একজন ভদ্রলোক আছেন যিনি ডি এস এল আর ক্যামেরাতে ছবি তুলে দেন ( প্রতি ছবি — ৫০ টাকা) । নিজেরা ক্যামেরা নিলে তো কথাই আলাদা। আর উপরে একটি রেস্টুরেন্ট ও আছে যার পরিবেশও অনেক সুন্দর।
ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য আছে খেলাধুলার সুব্যবস্থা।

কক্সবাজার ভ্রমণে এখন সবাই হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ এর পাশাপাশি এখানেও বেড়াতে আসবে, আসতে বাধ্য।
কারণ নিজের দেশে এত সুন্দর ও প্রশংসাকারী একটি উদ্যোগ ঠিক কতটুকু সফল হয়েছে তা একবার হলেও পরখ করা উচিত।

বিচিত্র ও নতুন সব সামুদ্রিক প্রাণীর এমন সমাবেশে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য।
যাঁরা এখনো এই ব্যাপারে শুনেন নি আর তাই যাওয়া হয়নি, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন Radiant Fish World.

সেন্টমার্টিন ট্যুর প্ল্যান

কিছুদিন পূর্বে আমরা ১০ জনের গ্রুপ সেন্টমার্টিন আর কক্সবাজার ঘুরে এলাম। ২ রাত, ৩ দিনের এই ট্যুরে আমাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছে ৩৮৫০ টাকা। আপনারা যারা আমাদের মত বাজেট ট্রাবেলার তাদের জন্য আমি পুরো খরচ এর বিস্তারিত তুলে ধরছি।

আমাদের যাত্রা শুরু সায়েদাবাদ থেকে হানিফ নন এসি বাস, রাত ৭:৩০ এ। ভাড়া ৯০০ টাকা, টেকনাফ পর্যন্ত।
এখানে আমি পার পারসন হিসেব তুলে ধরছি।
টেকনাফ পৌঁছে নাস্তা সেরে নিন, ৫০ টাকায়। জাহাজের আপ ডাউন টিকেট ৫৫০ টাকা। এটা স্ট্যান্ডিং টিকেট। নাফ নদী আর সাগর দেখতে দেখতে সেণ্টমার্টিন পৌঁছাবেন বেলা একটায়। এখান থেকে আমরা রিয়াদ গেস্ট হাউজে ১০ জনের বড় এক রুম নিলাম ৮০০ টাকায়। জন প্রতি ৮০ টাকা করে। এরপর দুপুরের খাবারের জন্য ১৫০ টাকার প্যাকেজ নিলাম। ভাত, ডাল, সবজি ইচ্ছেমত। সাথে ১ টা ২০০ গ্রাম ওজনের টুনা মাছ,পার পারসন। এরপর একটু রেস্ট নিয়ে বীচে চলে যান,গোসল করে রুমে ফেরত আসুন। এরপর সাইকেল ভাড়া নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন পুরো দ্বীপ ঘুরতে। ২ ঘন্টার সাইকেল ভাড়া ৬০ টাকা। দ্বীপের শেষ প্রান্তে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখে ফিরে আসুন। এর পর রাতের জন্য বারবিকিউ অর্ডার করে বীচে চলে যান সাগরের ঢেউ উপভোগের জন্য। মুরগীর বারবিকিউ এর জন্য আমাদের পার পারসন ২০০ টাকা করে লাগছে। এক্সট্রা ২০০ টাকায় একটা হাফ কেজি ওজনের কোরাল ফ্রাই ও দিছে। বারবিকিউ হলে, ওরাই আপনাকে ফোন দিয়ে জানাবে। খাবার খেয়ে ইচ্ছে হলে বীচে যেতে পারেন। আর না হয় রুমে চলে যান।
সকালে ভোরে উঠে পড়ুন, আর সূর্যোদয় দেখতে বেরিয়ে পড়ুন। এরপর ৫০ টাকায় নাস্তা সেরে ছেঁড়া দ্বীপের ট্রলারে চেপে বসুন। ১৫০ টাকা আপ ডাউন। ১:৩০ ঘন্টা ওখানে কাটিয়ে আবার সেন্টমার্টিন ফিরে আসুন ১২ টার মধ্যে। এবার এসেই বীচে গোসল করতে চলে যান।সাবধান লাল কাপড় টানানো এরিয়া এড়িয়ে চলুন। বীচ থেকে ১:৩০ এর মধ্যে ফিরে এসে আবার দুপুরের খাবার খেয়ে নিন ১৫০ টাকার প্যাকেজ এ। এরপর ৩ টার আগেই টেকনাফগামী জাহাজে চড়ে বসুন। ৬ টার মধ্যে টেকনাফ পৌঁছাবেন। জনপ্রতি ১৫০ টাকায় কক্সবাজার গামী গাড়ীতে চেপে বসুন। আর একটা কথা সবাই ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ভার্সিটির আইডি কার্ড সাথে রাখবেন। এই পথে পুলিশ চেকিং হয়।

রাত ৮:৩০ এর মধ্যে কক্সবাজার পৌঁছাবেন। আমরা সী হিল হোটেল এ ডাবল দুই রুম ভাড়া নিছি ২০০০ টাকায়। পার পারসন ২০০ টাকা। রাতের খাবার কম্বাইন্ড করে জনপ্রতি ১৫০ টাকা। এরপর অনেক রাত পর্যন্ত বীচে আড্ডা দিয়ে ৩ টার দিকে হোটেল ফিরে এলাম। সকাল বেলা জনপ্রতি ৫০ টাকায় নাস্তা সেরে হিমছড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম,অটোতে। আপ ডাউন পার পারসন ৫০ টাকা করে। ১২:০০ টার মধ্যে হোটেল ফিরে আসলাম। আগের রাতে ঢাকার ফিরতি টিকেট কেটে রাখলাম,৮০০ টাকা করে। হিমছড়ি থেকে ফিরে বীচে গোসল করলাম। দুপুরের খাবারের জন্য জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে খরচ হল। বলে রাখা ভালো আমদের হোটেল চেক আউট ১২:০০ টায় শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা একটা রুম ৮০০ টাকায় নিয়ে রাখি। যেহেতু, আমাদের বাস ছিল রাত ৯:৩০ এ। দুপুরের খাবারের পর একটু রেস্ট নিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে বীচে চলে গেলাম। সন্ধ্যার পর বার্মিজ মার্কেট এ সময় কাটিয়ে, বীচে ঘোরাঘুরি করে ৯ টায় হোটেল এ ফিরে এলাম। এরপর হোটেল চেক আউট করে রাতের বাসে ঢাকার উদ্দ্যেশে উঠে পড়লাম।

নিচের ভিডিওটি সেন্টমার্টিন থেকে ছেঁড়াদ্বীপ যাওয়ার সময় করা।

জাহাজের টিকেট বুকিং এর নাম্বার – 01823438150
(জালাল ভাই)

রিয়াদ গেস্ট হাউজ – 01860617152( নাজির ভাই

Post Copied From:

Saif Mahmud‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

ছেড়া দ্বীপ

৯ কি.মি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সেন্টমার্টিন দ্বীপ! তার থেকে মাত্র ৩ কি.মি দূরে ছেড়া দ্বীপের অবস্থান!ছেড়া দ্বীপের সৌন্দর্যের কাছে সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য হার মানবে! প্রবাল,গাছপালা,আর সমুদ্রের ঢেউ ছেড়া দ্বীপের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে!ডাব খেতে খেতে খেতে পুরো দ্বীপটা রাউন্ড মেরে দিন! ভিডিওটা যে জায়গাতে করা ওই জায়গাটা এরিয়ে চলুন,এই জায়গাটা সব থেকে রিস্কি! খালি পায়ে ছেড়াদ্বীপে যাওয়ার মত বোকামি করবেন না! প্রবাল গুলা এতটাই দাড়ালো যে বড় ধরনের দুর্ঘটানা ঘটে যেতে পারে! ছেড়াদ্বীপে কয়েকটি উপায়ে যাওয়া যায়! স্পিডবোট,ট্রলার,সাইকেল আর পায়ে হেটে! তবে সবচেয়ে মজা পাওয়া যাবে সাইকেল চালিয়ে গেলে,পুরো গ্রামটা ঘুরে দেখে যেতে পারেবন! সাইকেলের ভাড়া ঘন্টা হিসেবে নেয়,ট্রলার ভাড়া ১৫০,আর স্পিডবোট ১৭০০ টাকা রিজার্ভ!ট্রলার আর স্পীডবোটে করে গেলে এক ঘন্টার বেশি থাকতে পারবেন না!

এবার সেন্ট মার্টিন সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি! প্রথমে সবার একটা কিনফিউশন দূর করে দেই! অনেকই মনে করতেছে রহিংা জনিত ইস্যুর কারণে শীপ চলাচল বন্ধ রয়েছে! কিন্তু না, এখন সব ধরনের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে! যথাসময়ে কেয়ারি সিন্দাবাদ,কুতুবদিয়া চলাচল করে! কম খরচে থাকতে,খেতে হলে সেন্ট মার্টিনে গিয়ে আপনাকে দুনিয়ার সেরা ছেছড়া হতে হবে! তানাহলে আপনাকে কুপাই দিবে! ৫০০ টাকার হোটেল চাইবে ২০০০ টাকা! ১০০ টাকার মাছ চাইবে ৩০০ টাকা! সু সব কিছু দরদাম করে নিবেন! সেন্ট মার্টিন খুবই নিরাপদ একটি জায়গা,সারা রাত আপনি বীচে সময় কাটাতে পারবেন! তবে গত ২৭ নভেম্বর একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে! আমাদের সামনের হোটেলের সেকেন্ড ফ্লোর থেকে একটি মোবাইল চুরি হয়ে গেছে! এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটে নাই,যার জন্য হোটেল কতৃপক্ষ দুক্ষ প্রকাশ করেছে! যাইই হউক সবাই সবার মালামাল নিজ দায়িত্তে রাখুন! তবে সেন্ট মার্টিনের মানুষগুলা খুবই ভাল!
এবার আমি খরচ সম্পর্কে কিছু আইডিয়া দিচ্ছি! আমার খরচটাই তুলে ধরলাম এতে আপনারা বাকিটা বুঝে নিয়েন! চট্রগ্রাম থেকে বাসে করে কক্সবাজার ২৫০ টাকা ভাড়া! সেখান থেকে সিএনজি করে শাপলাপুর ১৫০ টাকা জনপ্রতি! শাপলাপুর থেকে ১০০ টাকা করে টেকনাফ!মেরিন ড্রাইভ উপভোগ করার জন্য রাস্তা ভেংগে ভেংগে গেছি! বাসে গেলে আপনি মেরিন ড্রাইভ উপভোগ করতে পারবেন না! ১ ঘন্টা+৩০ মিনিট টোটাল ১.৩০ ঘন্টা সময় লাগবে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ যেতে! টেকনাফ থেকে লোকাল সিএনজি ২০ টাকা কেয়ারি শীপ ঘাট! সেখান থেকে ৫৫০ টাকা শীপ ভাড়া যাওয়া আসা! তারপর সেন্ট মার্টিনে পৌছে হোটেল সী-স্যান্ডে রুম বুক করছিলাম ৫০০ টাকা দিয়ে!১০০০ টাকা চাইছিল,তরকারি কিনার মত দামদর করে ৫০০ টাকা দিয়ে রুম নিয়েছিলাম! এখন অফ সিজন তাই পর্যটক কম! তাই আপনার থেকে যত নিতে পারে ততই লাভ! হোটেলেটা বেশ ভালল ছিল,সামনে খোলামেলা জায়গা ছিল! আর হ্যা একটা দোলনা ও ছিল! আর খাবারের খরচ হয়েছিল প্রতিবেলা ১৬০ টাকা করে! কোরাল মাছ ১০০,ভাত ৩০ টাকা(যত ইচ্ছে খেতে পারবেন),সবজি ৩০ টাকা! ছেড়াদ্বীপে গিয়েছিলাম স্পীডবোট শেয়ার করে, তাই খরচটা একটু বেশিশি হয়েছিল! আমার ৪ বেলা খাওয়া সহ চট্রগ্রাম পৌছা পর্যন্ত খরচ হয়েছিল ৩৮০০ টাকার মত! আমি রুমে একা থেকেছিলাম,শেয়ারে থাকলে হয়ত একটু খরচ কম হত! তবে ১০ তারিখের পর গেলে হোটেল ভাড়া ৩ ডাবল হয়ে যাবে!
সেন্ট মার্টিনে কারেন্টের ব্যবস্থা নাই,তাই পারলে সবাইবাই পাওয়ার ব্যাংক সাথে নিয়ে যাবেন! ওখানে রবি,বাংলালিংক,এয়ারটেল,গ্রামীনফোনের নেটওয়ার্ক সার্ভিস ভাল!😊
দারুচিনি বীচের যে পাশে লাল পতাকা দেওয়া আছে ওইপাশে নামবেন না! কয়েকট গভীর গর্ত আছে,এখানে কয়েকজন মারাও গেছে! আমি কোথাও ঘুরতে গেলে সেখানকার সম্পর্কে ভাল করে জেনে আসি যাতে করে অন্যদেরকে হেল্প করতে পারি!😊
টাকা বেশি থাকলে মাষ্ট বি ট্রাই করিয়েন স্কুবা করার জন্য!😍
কেউ ঘুরতে গিয়ে দয়াকরে পরিবেশ নষ্ট করবেন না!ময়লা,আবর্জনা যথাযথ স্থানে ফেলুন!
মোবাইলে টাচে একটু প্রবলেম তাই লিখতে কষ্ট হচ্ছিল! লেখায় ভূল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!
কোন কিছু জানার থাকলে ইনবক্স করিয়েন!
যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে টেকনাফ গামী যেকোন বাসে করে টেকনাফ, টেকনাফ ঘাট থেকে ট্রলার অথবা শীপে করে সেইন্ট মার্টিন্স দ্বীপ। সেইন্ট মার্টিন্স থেকে ট্রলার, সাইকেল বা পা পায়ে হেটে ছেড়া দ্বীপ। থাকার জন্য অফ সিজনেও ২-৩ টি রিসোর্ট খোলা থাকে, আর সিজনে সব হোটেল আর রিসোর্ট খোলা পাবেন।

Post Copied From:

Rony Bhuiyan‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ

স্বপ্নের এই কারনে বললাম যে প্রায় ২৬ বছর লাগলো মেরিন ড্রাইভ সড়কটি করতে ।
বঙ্গোপসাগর এর পাশ দিয়ে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত যা বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক।অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে আজকের মেরিন ড্রাইভ।এই সড়ক টি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয় ১৯৮৯ সালে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন সরকার ৪৮ কিঃমিঃ দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প গ্রহণ করেন। ২ কিঃমিঃ নির্মানের পর এর কাজ বন্ধ হয়ে যায় । সাগরের প্রবল স্রোতে বিলীন হয়ে যায় সড়ক টি । পরবর্তিতে ১৯৯৫ সালে এর নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়। তখন এর নির্মান কাজের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।সাগরের প্রবল স্রোত, অর্থ সংকট ও সরকারের সদ ইচ্ছার অভাবে শুরু হয়েও শেষ হচ্ছিলনা সড়কটির কাজ।মাঝে কয়েক বছর কাজ বন্ধ থেকে পুনরায় ২০০৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।বর্তমান সরকারের আগ্রহ ও সদ ইছার কারনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠিন পরিশ্রমে এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৭ সালের ৬ মে এক বছর আগেই শেষ হয়। এটির নির্মান কাজ চলাকালীন ২০১০ সালের ১৪ জুন পাহাড় ধসে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছয় সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়।আমার মতে জীবনে একবার হলেও এই সড়ক টি দেখা দরকার।
বিভিন্ন উপায় আপনি এই সড়কটি ঘুরতে পারেন
পায়ে হেটে, সাইক্লিং করে, প্রাইভেট কারে চরে, চান্দের গাড়ি দিয়ে।
মেরিন ড্রাইভ ঘুরতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে প্রথমে কক্সবাজার তার পর বিভিন্ন উপায় মেরিন ড্রাইভ সড়কটির ঘুরে দেখতে পারেন।
আর স্যালুট জানাই তাদের কে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের, আজ আমরা স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ এর বাস্তব রুপ দেখছি ।
তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া

Post Copied From:Ripon Shakh>Travelers of Bangladesh (ToB)