যারা একদিনে টাংগুয়ার হাওর,জাদুকাটা,নীলাদ্রি, বারেক টিলা ট্যুর দিতে চান পোস্টটি তাদের জন্য

১)দেশের যেকোন জায়গা থেকে সুনামগঞ্জের নতুন ব্রীজের এখানে চলে আসেন।নতুন ব্রীজ শহর থেকে সামান্য দূরে।এখানে আসার পরেই অনেক লেগুনা,মোটরসাইকেল দেখতে পাবেন।যেহেতু আপনার উদ্দ্যেশ্য দিনে দিনে সব স্পট কাভার করা তাই মোটর সাইকেল “রিজার্ভ” নিবেন।এক মোটরসাইকেলে ২/৩ জন বসা যাবে।রিজার্ভ মোটরসাইকেলের ভাড়া নিবে সাইকেল প্রতি ১০০০ টাকা(যত পারেন বারগেনিং করবেন)।কয়টা বাইক নিবেন এটা মেম্বারের উপর নির্ভর করছে।আমরা ৭ জনে ৩ টা বাইক নিছিলাম।টোটাল ৩০০০টাকা(জনপ্রতি ৩৩০)।এরা আপনাকে সব স্পট দেখিয়ে সন্ধ্যায় আবার নতুন ব্রীজের এখানে এনে দিবে।

(২)প্রথমে জাদুকাটা নদী দেখাতে নিয়ে যাবে।নতুন ব্রীজ থেকে সময় লাগবে দেড় ঘন্টা।জাদুকাটা নদীতে কিছুক্ষণ থেকে তারপর নদী পার হয়েই বারেক টিলা।টিলার উপর থেকে নদীর ভিউ অস্থির😍

(৩)তারপর আপনাকে নিয়ে যাবে লাইমস্টোন লেক/কেয়ারি/নীলাদ্রি।৪৫ মিনিট এর মত লাগবে।এখানে গোসল সেরে নিবেন।তবে খুব সাবধান।

(৪) তারপর বরছড়া বাজারে গিয়ে লাঞ্চ সেরে নিবেন।

(৫)তারপর আপনাকে নিয়ে যাবে “ডাম্পের বাজারে”।এখানে গিয়ে টাংগুয়ার হাওর ঘুরার জন্য নৌকা ঠিক করবেন।আমরা ৭ জন ছিলাম।ছোট নৌকার ভাড়া পড়ছে ১০০০ টাকা(জনপ্রতি ১৪২)দামাদামি করবেন।

(৬)ডাম্পের বাজার থেকে টাংগুয়ার হাওর ওয়াচ টাওয়ারে যেতে সময় লাগবে দেড়/দুই ঘন্টা।ওয়াচ টাওয়ারে গিয়ে ছবি টবি তুলে পানিতে ঝাপাঝাপি করে আবার ব্যাক করেন।

(৭)ওয়াচ টাওয়ার থেকে আবার নৌকা ডাম্পের বাজারে আসবে।বাইক চালক এখানে অপেক্ষা করবেন।তারপর তারা আবার আপনাকে নতুন ব্রীজের এখানে নামিয়ে দিবেন।সময় লাগবে দুই /আড়াই ঘন্টা প্রায়।
রাতে যেহেতু অনেক কুয়াশা পড়ে তাই অহেতুক লেইট করবেন না।

(৮)নতুন ব্রীজ থেকে অটোতে পুরাতন ব্রীজে চলে আসবেন।অনেক গাড়ি পাবেন।রাতের গাড়িতে ব্যাক করেন আর থাকতে চাইলে এখানেই অনেক হোটেল আছে।

ছবি::জাদুকাটা নদী😍

#happytravelling
#travellingdiaries

Post Copied From:Asif Muqtadir‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

রক্তি নদী, সুনামগঞ্জ

ভারতীয় বর্ডারের কাছে নদীটার অবস্থান।প্রচুর পাথর তোলা হয় নদী থেকে।রৌদ্রজ্বল দিনে নদীর আসল সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়।নদীটা পার হলেই বারেক টিলা। এই নদির আরেক নাম বাংলাদেশ অংশে যাদুকাটা।সুনামগঞ্জ থেকে ভাড়া মোটর সাইকেলে লাউয়েরগড় বাজার আসবেন, একটু হাটলেই নদী পাবেন। ঢাকা হতে বাসে সরাসরি সুনামগঞ্জ আসা যায় (শ্যামলি সার্ভিস ভাল)। থাকবেন জেলা শহরে রেস্ট হাউস বা হোটেলে আর ঘুরুন বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম ও হাসন রাজার দেশে।সুরমা নদী ও টাংগুয়ার হাওর ত অবশ্যই দেখবেন।

Post Copied Post:A Al Mamun Rony‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

বিকল্প পথে টাংগুয়ার হাওর-টেকেরঘাট

গ্রুপে আজ পর্যন্ত যত গুলো টাংগুয়ার হাওর ট্যুর বিষয়ে পোস্ট দেখেছি তার সবগুলোই সিলেট দিয়ে।কিন্তু চাইলে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা পথে আপনি চাইলে একদিনের মধ্যে প্রায় সবগুলো স্পট বেশ সময় নিয়ে কাভার করতে পারেন।যদি এক দিনের মধ্যে গ্রুপ করে যেতে চান,তাহলে স্বল্প খরচে এই রুট টা আমার মনে হয় বেশ উপযুক্ত।
প্রথমে ট্রেনে করে ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ বাই ‘হাওর এক্সপ্রেস’,ঢাকা থেকে ছাড়ে রাত ১১ টা ৫০এ,মোহনগঞ্জ পৌছায় ভোর ৬ টায়।মোহনগঞ্জ পৌঁছানোর পর রেলস্টেশন থেকে সেদিন কার রাত ১১:৩০ টায় ছাড়া ঢাকা গামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের টিকেট কেটে রাখুন,কাউন্টার খুলবে ৭ টায়।মাঝখানের সময় টা রেস্ট রুমে ফ্রেশ হতে আর নাস্তা করে নিতে পারেন।তারপর অটোরিকশা করে সেখান থেকে ধর্মপাশা যেতে ২০ মিনিট এর মত লাগবে,ধর্মপাশা থেকে লেগুনা ভাড়া করতে হবে,লেগুনায় করে রাস্তার দুই ধারে হাওর দেখতে দেখতে চলে যাবেন মধ্যনগর বাজার,সময় নিবে দেড় ঘন্টা।সেখান থেকে ট্রলার ভাড়া করে তিন/সাড়ে তিন ঘন্টা হাওর দেখতে দেখতে চলে যাবেন টেকেরঘাট নীলাদ্রি লেকের কাছাকাছি।এখানের সুবিধা হচ্ছে অনেক টা সময় হাওর দেখতে দেখতে যেতে পারবেন,আর এখানে নৌকার ভাড়াও বেশ কম,সবচেয়ে বড় নৌকার ভাড়াও ৪০০০/৪৫০০ এর বেশি হবে না,অনায়াসে এগুলা তে করে ২৫ জন ঘুরতে পারবেন।সেখানে নৌকা রেখে বাইকে করে তারপর বড়াইছড়া ঝরনা,বারেক টিলা,জাদুকাটা নদী ঘুরে আসা যাবে।দুপুরে খাওয়া দাওয়া ট্যাকেরঘাট বাজারে।
ফেরা শুরু করবেন বিকাল ৫ টায়,একইভাবে।লেগুনার নাম্বার রেখে দিলে তারা সময়মত মধ্যনগর থাকবে।সকাল নাগাদ ঢাকায় পোঁছে যেতে পারবেন।

Post Copied From:সাবরিন নাঈম সিয়াম>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঘুরে আসুন অপরূপ সৌন্দর্যময় টাংগুয়ার হাওর।

আমাদের ১ দিনের হাওর ভ্রমণের খুঁটিনাটি:-
আমরা ৮ জন ঢাকার ফকিরাপুল থেকে সুনামগঞ্জ এর উদ্যেশ্যে বাসে উঠলাম রাত ১০ টায়। (টিকেট ৫৫০/-)। ভোর ৬ টায় পৌঁছালাম সুনামগঞ্জ পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এ। ওখানে নেমে সকালের নাস্তা সেরে উঠলাম তাহিরপুরগামী লেগুনায়। রিজার্ভ করার দরকার নাই, লোকাল হিসেবে ওগুলা যায়, প্রতি জন ৮০ টাকা করে ভাড়া। প্রায় দেড় ঘন্টা পর আমরা তাহিরপুর উপজেলার সামনে নামলাম। কিছুদূর হেঁটে নৌকার ঘাটে পৌঁছালাম। ১ দিনের জন্যে নৌকা দরদাম করা শুরু করলাম। আমরা ৩০০০ দিয়ে ১ দিন ১ রাত এর জন্য নৌকা ঠিক করলাম। নৌকা দরদাম করে ঠিক করতে হবে, প্রথমে অনেক ভাড়া চাইবে। রান্নার বাবুর্চির জন্য এক্সট্রা টাকা চাইতে পারে, আমাদের ২ জন মাঝি রান্না নিজেরা রান্না পারত, তাই আমাদের ঝামেলা হয়নাই।
এরপর ঘাট সংলগ্ন বাজার থেকে আমরা বাজার করে আনলাম প্রায় ১৫০০ টাকার মত। কিছুক্ষণ পর আমরা রওনা দিলাম হাওর এর উদ্যেশ্যে।
হাওরের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ঘন্টাখানেক পর আমরা এলাম ওয়াচ টাওয়ারে। আমরা পানিতে নেমে গোসল করলাম,খুব ই স্বচ্ছ আর পরিষ্কার পানি, গভীরতা ও কম, ইচ্ছামত পানিতে লাফাতে পারবেন, তবে সাঁতার না জানলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যাবেন। মাঝিদের রান্না শেষ হলে আমরা দুপুরের খাবার পর্ব সারলাম। এরপর আমাদের নৌকা আবার চলতে শুরু করল। বিকালের দিকে টেকেরঘাট পৌঁছালাম। ওখানে নেমে প্রথমেই মোটরবাইক এ করে রওনা হলাম বারিক্কাটিলার উদ্যেশ্যে। প্রতি বাইক এ ২ জন করে আসা যাওয়া মোট ২০০ টাকা। আধাঘন্টা পর ওখানে পৌঁছে দেখলাম জাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিনের মাজার আর ঝর্ণা। যাই হোক, এরপর টেকেরঘাট ফিরে এসে স্থানীয় বাজারে চা নাস্তা খেলাম। আশেপাশে ঘুরাঘুরি করলাম। কেয়ারী (নিলাদ্রী) লেক দেখলাম। রাতে নৌকায় ফিরে রাতের খাবার সারলাম।
এরপর নৌকার ছাদ এর উপর শুয়ে জ্যোৎস্নায় আলোকিত হাওর দেখতে লাগলাম। জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। রাতে আমাদের নৌকা টেকেরঘাট এই বাঁধা ছিল। ওখানেই রাতে আমরা ছিলাম। নিরাপত্তা নিয়ে কোন ভয় নাই ওখানে। পরদিন খুব ভোরে উঠে পায়ে হেঁটে গেলাম লাকমাছড়া ঝর্ণায়। ওখানে ঘুরে এসে নৌকায় এসে আমরা তাহিরপুর ফিরে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। দেড় ঘন্টা পর তাহিরপুর আসলাম। এরপর আগের মত লেগুনা করে সুনামগঞ্জ শহরে ফিরে আসলাম। এখান থেকে বাস এ ফিরে যেতে পারেন ঢাকা। (সকালে বাস ছাড়ে কিনা সিউর না, কারণ আমরা সিলেট গেসিলাম ওখান থেকে, না হলে সিলেট গিয়ে ওখান থেকে ঢাকার বাস এ উঠতে পারবেন)।
* আমাদের মত গ্রুপ হলে যাতায়াত, খাওয়া, ১ দিন ১ রাত নৌকা ভাড়া সব মিলিয়ে পার হেড ১৮০০- ২০০০ এর মধ্যে হয়ে যাবে। আপনারা চাইলে ২ রাতের জন্য নৌকা ভাড়া করতে পারেন, সেক্ষেত্রে নৌকা ভাড়া দ্বিগুণ লাগবে আর কি। টাংগুয়ার হাওর মিস করবেন না, এটা আপনার জীবনের অনেক স্মৃতিময় ভ্রমণ হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে। আর সম্ভব হলে জ্যোৎস্নার সময়ে যাবেন। চাঁদের আলোয় হাওর অপার্থিব সুন্দর।

Post Copied From:Tanjimul Alam‎>Travelers of Bangladesh (ToB)