নীল জলের লালাখাল ও বোনাস হিসাবে ঘুরে আসুন লালাখাল চা বাগান

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। প্রকৃতিকে একান্তে অনুভব করার জন্য স্থানটি বেশ উপযোগী। পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, নদী, চা-বাগান ও নানা জাতের বৃক্ষের সমাহার লালাখালজুড়ে। যেদিকেই তাকাবেন সেইদিকেই সবুজ আর নীলের সমাহার।
যে ভাবে ঘূড়বেনঃ
লালাখাল ঘুড়ে উপভোগ করতে পারেন নৌকার মাধ্যমে । এখানে ২ ধরনের নৌকা আছে ইঞ্জিন ও ইঞ্জিন ছাড়া। ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া নিবে কমপক্ষে ৮০০-১০০০ টাকা আর নরমাল নৌকা ভাড়া নিবে আনুমানি ১০০-২০০ টাকা । এই নৌকার মাধ্যমে আপনাকে তারা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুড়িয়ে নিয়ে আসবে। ঘুড়তে ঘুড়তে দেখবেন খালের আসল রুপ।
লালাখাল থাকার ব্যাবস্থাঃ
লালাখালের পাশেই রয়েছে একটি নামিদামী রিসোর্ট । ১ রাতের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ৫০০০-১০০০০ টাকা ।এখানে পরিবার নিয়ে থাকতে পারবেন কোন সমস্যা নাই।আমরা ৩ বন্ধু ছিলাম দাম শুনে তাই আমরাও সেইখানে থাকি নাই। আরো দামী রুম রয়েছে এখানে। খুব বেশি মনে হচ্ছে তাই না। যদি বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আসেন আর একটু কম খচরে থাকতে চান। তাহলে আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে। আরো কমে থাকতে হলে আপনার জন্য রয়েছে একটি আকর্ষণীয় উপহার সেটা হলো থাকতে হলে আপনাকে খালের ওপার পাহাড়ের চূড়ায় থাকতে হবে। আনুমানি ৫-৬ তালা উঁচু পাহাড়। সেখানে রয়েছে গ্রামীন দারুন ব্যাবস্থা। এখনো ওইরকম ভাবে থাকার ব্যাবস্থার কাজ শুরু হয়নি। তারপরও আমরা সেখানে থাকতে পেরেছি।এইগ্রামে একজন মানুষ আছে সে থাকার ব্যাবস্থা ধীরে ধীরে চালু করছে। যার বাসায় আমরা ছিলাম তার নাম হলোঃ “নিবারন”ভাই। তার ঘর সম্পূর্ণ মাটির ঘর এবং নিবারন ভাইয়ের নিজের হাতে বানানো ঘর। দেখলে আপনার মন ভরে যাবে। তিনি খুব ভাল মানুষ। সে এই এলাকার স্থানীয় মানুষ। সো চিন্তার কোন কারন নাই। রাতে থাকতে হলে খাবারের জন্য বাজার করা অবশ্যই দরকার। নিবারন ভাইয়ের নিজের দোকান আছে সেখানেই বাজার করতে পারেন অথবা তাকে টাকা দিলে সে বাজার থেকে সদাই করে নিয়ে আসবে বা আপনারাও আনতে পারেন ।খাবার খরচ আপনাদের উপর ডিপেন্ড করে। আমরা আলাদাভাবে খাবারের জন্য ৩৫০ টাকা খচর করে ছিলাম। যদি মুরগী-গরুর মাংস বা মাছ কিনতে চান। রাতে চাইলে BBQ ও করতে পারেন তার । তার বাসার সামানে অনেক বড় ভাল মানের উঠানের ব্যাবস্থা রয়েছে। সাবধান বেশি চিৎকার করে আনন্দ করতে যাবেন না কারন- গ্রামের মানুষরা খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরে। এ কারনেই বললাম কারন আমরা ৩ বন্ধু তার বাসায় ১ রাতে থেকেছিলাম। ২-৩ জন হলে সে থাকার ব্যাবস্থা করে দিবে।আমরা তার বাসায় ফ্রী থেকেই ছিলাম। অনেক জোরাজুরির পরেও তাকে টাকা দিতে পারি নাই আমরা  । আগামীতে সে আরো রুম বানানোর কাজ শুরু করবেন যা বলেছিল আমাদের। তখন মেবি প্রতিটি বিছানার জন্য ১০০-১৫০ টাকা চার্জ করতে পারে। সকালের লালাখালের রুপ ও চা বাগান উপভোগ করতে চাইলে তাহলে নিবারন ভাইকে গাইড হিসাবে পুরো সকালটা আপনাকে পায়ে হেঁটে পুরো লালাখালের রুপ লালাখালের পাহাড়ি রুপ বেয়ে বর্ডার এলাকা ও চা বাগান ঘুড়িয়ে দেখাবে। তার জন্য আনুমানিক ৫০০ টাকা তার সময়ের খরচ দিলে সে অনেক খুশি হবে। বিষয়টা দারুন না।
এখানে কমে থাকতে হলে আপনাকে খালের ওপার যেতে হবে । খাল পারাপার এর জন্য এক এক জনকে ৫ টাকা করে নিবে । ওপার উঠেই একটি সুন্দর ও ছোট বাজার দেখবেন । বাজারের পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাম তার- “নিশ্চিতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়” । বাজারে কাউকে জিজ্ঞাস করলেই দেখিয়ে দিবে নিবারন ভাইয়ের দোকান কোনটা । তার বাসায় যদি থাকতে চান অবশ্যই তাকে আগে ফোন দিতে হবে। যদি থাকতেই চান তার ওখানে তাহলে ফোন নাম্বারের জন্য আমাকে ইনবক্স করলেই হবে।
লালাখাল যাওয়ার ব্যাবস্থাঃ
সিলেট বাস স্টাড থেকে জাফলং এর লোকাল বাস পাবেন। বাসে উঠে ৩০-৩২ কিঃমি দূরে নেমে যাবেন সারিঘাট। ভাড়া নিবে আনুমানিক ৩০-৩৫ টাকা। সারিঘাট নেমে অটো পাবেন সেখানেই তারা লালাখাল বলেই ডাক দিবে। উঠে পরেন অটোতে ৭ কিঃমি দূরেই নেমে যাবেন লালাখাল। ভাড়া নিবে মাত্র ১৫ টাকা।
সাবাধানঃ এই খালে গোসল করার থেকে না করাই ভাল। গ্রামের লোকরাও এই খালে গোসল করতে নিষেধ করে থাকে। আর যদি আপনি খুব সাঁতারু হয়ে থাকেন তাহলে এটা আপনার উপর ডিপেন্ড করে।
প্রথম লিখলাম তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন 🙂 ।

Post Copied From:SaiMon HosSain‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সাতার কাটতে কার না ইচ্ছে হয়

এরকম স্বচ্ছ জলে একবার সাতার কাটতে কার না ইচ্ছে হয়…!

হালকা সবুজ রঙের পানি,১৫-২০ ফুট গভীর কিন্তু একদম নিচ পর্যন্ত দেখা যায়,রৌদ্রময় দিনে আপনি অনায়াসে পানিতে নৌকার ছাড়া দেখতে পারবেন!কখনো কখনো মনে হবে নৌকাগুলো পানিতে নয় শুন্যে ভাসছে!

কিভাবে যাবেনঃ আফসোসে কথা হলো জায়গাটা বাংলাদেশে নয়,ইন্ডিয়ার ডাউকি।

আমরা আমরা বাংলাদেশের জাফলংয়ে দাঁড়িয়ে যে ব্রীজটা দেখি,তা এই ব্রীজের নিচের দৃশ্য! ইশ,আরেকটু হলেই আমাদের হয়ে যেতো!

এখানে যেতে হবে আপনার ইন্ডিয়ার ভিসা থাকতে হবে।তারপর তামাবিল সীমান্ত পার হয়ে,শেয়ার জীপে ৫০ রুপি দিয়ে চলে যান ডাউকি ব্রীজে।

Post Copied From:Bishan Sadid>Travelers of Bangladesh (ToB)

জাফলং ভ্রমণ

ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট। এক রাত আবাসিক হোটেলে থাকা যায়। যদিও বাসে সময় সাশ্রয় হবে।
সকাল ৭ টা তে রওনা দিলে জাফলং থেকে ফিরতে বেশি বেলা হয় না, দুপুর ৩টের মধ্যেই ফেরা যায় শহরে। ভেবেছিলাম বিছানাকান্দি যাব, কিন্তু জাফলংয়েরই জয় হলো।
মেঘালয় পাহাড়ের ঝর্ণায় জাফলং অন্যতম।
না বাস, না মাইক্রো, আমার হতচ্ছাড়া vomiting tendency এর কারণে CNG ভাড়া করা হল। অবশ্য তাতে যাত্রাপথ উপভোগ করা গিয়েছে নিজের ইচ্ছে মতো, পথিমধ্যে CNG থামিয়ে প্রকৃতির মধ্যে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ ছিল। শহর থেকে উপশহর যেতে ৩০ মিনিট, তারপর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পাহাড়ের দেখা। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ এখানে আরো প্রশস্ত, আরো বেশি সবুজ যেন! তামাবিল রোডের দুই ধারে বিরাটকায় পুকুর, লেক ও বলা চলে। পুকুরের টলটলে জলে মেঘলা আকাশের mirror image!!
সাদা সাদা মেঘপরীরা ওড়না ছুঁইয়ে ভেসে চলেছে পাহাড়ের চূরা ঘেঁষে। মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের গায়ে দুগ্ধফেননিভ ঝর্ণার জল সমতলে নেমে এসে জলার সৃষ্টি করেছে। তাতে স্নানরতা সামান্যা এক খাসিয়া নারীকে দেখে এই স্বর্গরাজ্যের অপ্সরী মনে হলো!
জাফলং পৌঁছাতে মোট ৩ ঘণ্টা লাগলো, যেহেতু CNG। একদিকের রাস্তায় জাফলং, অন্যদিকে তামাবিল সীমান্ত ঘাঁটি, যেখানে ভারতীয় ট্রাক মালামাল বহন করে শিলং পাহাড়ের রাস্তা ধরেছে।
একটা ৩০ তলা পাহাড় বেয়ে জাফলংয়ের জলধারা, সেটা পেরিয়ে একটা ছোট্ট নদীতে পাথর উত্তোলন দেখলাম। নদী পেরিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার পায়ে হাঁটা বালিয়ারি, সেখানেই প্রথম চোরাবালির খেলা দেখলাম। নদী পার হতে চোখে পড়লো ঝুলন্ত ব্রিজ, মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের সেতুবন্ধন এটা। পাথর ততুলা চলছে অবিরত। ভারতীয় পর্যটকের মাইক্রো চলেছে ব্রিজ দিয়ে শিলং পাহাড়ে, আর পাদদেশে বাংলাদেশী পর্যটকের ভিড়। সবাই সবাইকে দেখছে, ব্যবধান কেবল সীমান্তে, পারস্পারিক আনন্দের লেনদেনে যা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি।
বালিয়ারি পেরিয়ে ‘মায়াবী ঝর্ণা’, মাধবকুণ্ডও ফেল এর কাছে!! ৪ তলার উঁচ্চতা থেকে নেমে এসে আছড়ে পড়ছে পাথরের বুকে। জলরাশি যে প্রচন্ড স্রোতে নেমে এসেছে তাতে দাঁড়িয়ে থাকাই দায়! এছাড়াও চা বাগান, রাজবাড়ি দেখা যাবে পায়ে হেঁটে।
ফেরার পথে আবার পাহাড় ভাঙতে গিয়ে দম বন্ধ হবার জোগাড়, যদিও ৭ বছরের পিচ্চি গাইডটা দিব্যি আছে!! বাবা ছিলেন সাথে, তিনি মাটিতেই বসে পড়লেন অগত্যা।
যদিও CNG তে রাস্তা এবার কমই মনে হলো, এ পথে যেহেতু একবার এসেছি…….. তাছাড়া সাথে নিয়ে যাচ্ছি অনেকটা সৌন্দর্য্যের স্মৃতি।

Post Copied From:দেবারতি অনন্যা‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ডিবির হাওর

যেভাবে যাবেন – প্রথমে সিলেটে আসতে হবে! সিলেটের বন্দরবাজার শিশু পার্ক থেকে জাফলং গামী লেগুনা/বাস যায়! সেখানে জৈন্তাপুর বাজারে নামবেন বলে উঠতে পারবেন… ভাড়া নিবে লেগুনা ৩৫টাকা, বাস ৪০ টাকা। জৈন্তাপুর বাজারে নেমে টমটম করে বা হেঁটেও ডিবির হাওর যেতে পারবেন.. পার পারসন ৫ টাকা ভাড়া নিবে… চাইলে রিক্সা করেও যেতে পারেন, ৫০-৬০ টাকা নিবে এবং হাওরের সামনে নামিয়ে দিবে, এরপর হাওরে ছোট ছোট নৌকা পাবেন। নৌকার ছোট ছেলেকে ১০০-১৫০ টাকা দিলেই ঘন্টাখানিক পুরো হাওরের শাপলার বিল ঘুরিয়ে দোখাবে 🙂

* যত সকালে যাবেন তত সতেজ শাপলা দেখতে পাবেন.. ৮ টার দিকে গেলে কুয়াশা + শাপলা + পাখি দেখতে পাবেন… ১০-১১ টায় শাপলা মজে যায় আর রোদ উঠে যায়, শাপলা কম পাবেন, মজা পাবেন না…


টোটাল খরচ : বন্দরবাজার থেকে ৩৫ টাকা + ৫ টাকা… আসার সময় জৈন্দাপুরের কোন রেস্টুরেন্টে ডিম পরোটা বা মুগডাল পরোটা চা খেয়ে নিবেন… 😍

Post Copied From:

জায়গাটার নাম ডিবির হাওর

ঘুরে আসুন সিলেটের সবচেয়ে সুন্দর শাপলার বিল ডিবির হাওর থেকে! জায়গাটার নাম ডিবির হাওর :-*

যেভাবে যাবেন:- দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে প্রথমে সিলেটে আসতে হবে! সিলেটের বন্দর শিশু পার্ক থেকে জাফলং গামী লেগুনা যায়! সেখানে জৈন্তাপুর বাজারে নামবেন বলে উঠতে পারবেন! ভাড়া নিবে ৩৫টাকা! জৈন্তাপুর বাজারে নেমে টমটম করে ডিবির হাওর যেতে পারবেন। পার পারসন ৫ টাকা ভাড়া নিবে! হাওরে ছোট ছোট নৌকা পাবেন। নৌকার ছোট ছেলেকে ১০০ টাকা দিলেই ঘন্টাখানিক পুরো হাওরের শাপলার বিল ঘুরিয়ে দোখাবে 🙂

বি দ্র:- যত সকালে যাবেন তত সতেজ শাপলা দেখতে পাবেন! ১২টার পর শাপলাগুলো রোদের কারণে মজে যায়। হ্যাপি ট্রাভেলিং

Post Copied From:Kowsar Ahmed Kaif‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

জাফলং ভ্রমণ

ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট। এক রাত আবাসিক হোটেলে থাকা যায়। যদিও বাসে সময় সাশ্রয় হবে।
সকাল ৭ টা তে রওনা দিলে জাফলং থেকে ফিরতে বেশি বেলা হয় না, দুপুর ৩টের মধ্যেই ফেরা যায় শহরে। ভেবেছিলাম বিছানাকান্দি যাব, কিন্তু জাফলংয়েরই জয় হলো।
মেঘালয় পাহাড়ের ঝর্ণায় জাফলং অন্যতম।
না বাস, না মাইক্রো, আমার হতচ্ছাড়া vomiting tendency এর কারণে CNG ভাড়া করা হল। অবশ্য তাতে যাত্রাপথ উপভোগ করা গিয়েছে নিজের ইচ্ছে মতো, পথিমধ্যে CNG থামিয়ে প্রকৃতির মধ্যে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ ছিল। শহর থেকে উপশহর যেতে ৩০ মিনিট, তারপর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পাহাড়ের দেখা। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ এখানে আরো প্রশস্ত, আরো বেশি সবুজ যেন! তামাবিল রোডের দুই ধারে বিরাটকায় পুকুর, লেক ও বলা চলে। পুকুরের টলটলে জলে মেঘলা আকাশের mirror image!!
সাদা সাদা মেঘপরীরা ওড়না ছুঁইয়ে ভেসে চলেছে পাহাড়ের চূরা ঘেঁষে। মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের গায়ে দুগ্ধফেননিভ ঝর্ণার জল সমতলে নেমে এসে জলার সৃষ্টি করেছে। তাতে স্নানরতা সামান্যা এক খাসিয়া নারীকে দেখে এই স্বর্গরাজ্যের অপ্সরী মনে হলো!
জাফলং পৌঁছাতে মোট ৩ ঘণ্টা লাগলো, যেহেতু CNG। একদিকের রাস্তায় জাফলং, অন্যদিকে তামাবিল সীমান্ত ঘাঁটি, যেখানে ভারতীয় ট্রাক মালামাল বহন করে শিলং পাহাড়ের রাস্তা ধরেছে।
একটা ৩০ তলা পাহাড় বেয়ে জাফলংয়ের জলধারা, সেটা পেরিয়ে একটা ছোট্ট নদীতে পাথর উত্তোলন দেখলাম। নদী পেরিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার পায়ে হাঁটা বালিয়ারি, সেখানেই প্রথম চোরাবালির খেলা দেখলাম। নদী পার হতে চোখে পড়লো ঝুলন্ত ব্রিজ, মেঘালয় আর শিলং পাহাড়ের সেতুবন্ধন এটা। পাথর ততুলা চলছে অবিরত। ভারতীয় পর্যটকের মাইক্রো চলেছে ব্রিজ দিয়ে শিলং পাহাড়ে, আর পাদদেশে বাংলাদেশী পর্যটকের ভিড়। সবাই সবাইকে দেখছে, ব্যবধান কেবল সীমান্তে, পারস্পারিক আনন্দের লেনদেনে যা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি।
বালিয়ারি পেরিয়ে ‘মায়াবী ঝর্ণা’, মাধবকুণ্ডও ফেল এর কাছে!! ৪ তলার উঁচ্চতা থেকে নেমে এসে আছড়ে পড়ছে পাথরের বুকে। জলরাশি যে প্রচন্ড স্রোতে নেমে এসেছে তাতে দাঁড়িয়ে থাকাই দায়! এছাড়াও চা বাগান, রাজবাড়ি দেখা যাবে পায়ে হেঁটে।
ফেরার পথে আবার পাহাড় ভাঙতে গিয়ে দম বন্ধ হবার জোগাড়, যদিও ৭ বছরের পিচ্চি গাইডটা দিব্যি আছে!! বাবা ছিলেন সাথে, তিনি মাটিতেই বসে পড়লেন অগত্যা।
যদিও CNG তে রাস্তা এবার কমই মনে হলো, এ পথে যেহেতু একবার এসেছি…….. তাছাড়া সাথে নিয়ে যাচ্ছি অনেকটা সৌন্দর্য্যের স্মৃতি।

Post Copied From:দেবারতি অনন্যা‎>Travelers of Bangladesh (ToB

প্রকৃতি কন্যা

প্রকৃতি কন্যা নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। মূল শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে যার অবস্থান।

পিয়াইন নদীর সচ্ছ পানি, সীমান্ত ঘেঁষে আকাশের দিকে হেলে পরা ডাইকি পাহাড়, নানা রঙের নুড়ি পাথর, ডাউকি ব্রিজ, অপরুপ মেঘরাশি সব মিলে এক অন্যরকম ভাললাগা। শীত অথবা বর্ষা সব সময় ঘুরার জন্য জাফলং উপযুক্ত সময় হতে পারে, বর্ষায় দূর হতে ঝর্নাধারা বেশ উপভোগ্য আবার শীতের স্নিগ্ধতা এনে দেয় শান্ত সবুজ সমারোহ।

Post Copied From:M.i. Shatil‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

আমার সিলেট ট্যুর

সিলেটে অনেকেই গেছেন, অনেক প্ল্যান অনেক পোস্ট আছে,আমি জাস্ট আমার এক্সপিরিয়েন্স এর কিছু অংশ শেয়ার করছি।
বর্ষাকালে গিয়েছিলাম , আমি বলব এটা একই সাথে সৌভাগ্য আর দুঃভাগ্য ছিলো আমাদের… যাই হোক সিলেটের আসল রুপ দেখতে হলে বর্ষাকাল ই বেস্ট
আমরা ৬ জন ছিলাম, আর আমাদের ট্যুর স্পট ছিল
হাম হাম ঝর্ণা , লাউয়াছড়া উদ্যান, রাতারগুল,বিছন কান্দি, আর জাফলং
মোট ৩ দিন ছিলাম , আমাদের থাকার কোন খরচ লাগে নাই, সব ই সিলেট এম,সি কলেজের কিছু বন্ধুর ভালোবাসা
তা ছাড়া যাতায়াত খাবার আর ঘুরাঘুরির পর বাসা থেকে বের হওয়া আর বাসায় ফেরা পর্যন্ত জনপ্রতি খরচ পড়েছে ২০০০ টাকা ,
প্রথম দিন হাম হাম ঝর্ণা , শ্রীমঙ্গল থেকে জীপ ভাড়া করলাম ১৫০০ টাকায়
প্রথমে লাউয়াছড়া উদ্যান , চা বাগানের পাশে দিয়ে প্রথম ওইখানে গেলাম, ভালোই ছিল জায়গা টা ,একটা বানর তার বাচ্চা নিয়ে বসে ছিল গেইটের সামনে,ওদের রুটি খাওাইলাম ,কিছুক্ষন উদ্যানে ঘুরে রওনা দিলাম হাম হাম এ
,প্রায় ৪ ঘন্টার মত ট্রেক করতে হয়েছিল, তখন খুব কষ্ট হয়েছিলো,কিন্তু এখন এটাই সিলেটের বেস্ট এক্সপিরিয়েন্স ,ভাল হয় একটা গাইড নিয়ে গেলে,আমাদের কাছে ২৫০ তে রাজি হয়েছিল পরে আমরা ওনার কষ্টের কথা ভেবে ৩০০ দিয়ে দিসি ।
বৃষ্টির দিন বলে এত টাইম লাগে,যদিও এই দিনে না গেলে ঝর্ণার পানি না ও দেখতে পারেন, ওইদিন রাতে ট্রেনে সিলেট রওনা দেই, পরের দিন রাতারগুল আর বিছন কান্দি।
রাতারগুলের ঘাট ২ টা ,একটায় ভাড়া ১৫০০ আরেকটায় ৬০০ টাকার মত
বিছকান্দি তে আমরা নৌকা পেয়েছিলাম ১০০০ টাকায়
ওই জায়গায় ওইদিন ভারত বাংলাদেশের বাজার বসেছিল
সপ্তাহে ২ ১ দিন বসে মনে হয় ওই বাজার টা,ওনেক চকলেট পাবের ওখানে ^_^
এই ২ জায়গায় যাওয়ার জন্য সি এন জি ভাড়া ছিল ১৫০০ র মত(৫ জন বসা যায়)
পরের দিন জাফলং
জাফলং এ বাস এ গিয়েছিলাম সিলেট শহর থেকে ভাড়া ৪০ করে দিয়েছিলাম
জাফলং এর নৌকার ভাড়া টা ঠিক মনে নাই, ৫০০ টাকা নিয়েছিল মনে হয়
সাথে খাসিয়া পল্লী ও ঘুরে আসতে পারেন, বৃষ্টির মধ্যে খাসিয়ে দের পান বাগানে ঘুরার মজাই আলাদা,আর তার পর যদি হয় ওদের বানানো সিঙ্গারা <3
আর নিজের জিনিস নিজের কাছে রাখবেন যতটা সম্ভব,আমাদের কিছু খারাপ সৃতি থেকে বলছি, তা ছাড়া আমার লাইফের সবচেয়ে ভাল ট্যুরের মধ্যে একটি ছিল সিলেট ট্যুর,
ভুল কিছু লিখে থাকলে দুঃখিত , আর আমার মত ট্যুর লাভার দের জন্য অনেক শুভকামনা , সবাই ভাল থাকবেন ^_^

Post Copied From:Nihal Asif Khan‎>Travelers of Bangladesh (ToB

সিলেটের বড় পাহাড়

সিলেটের বড় পাহাড় দেখতে যাওয়া বা মেঘালয়ের পাহাড় মানেই জাফলং,বিছানাকান্দি। কিন্তু আকাশ পরিষ্কার থাকলে শহর থেকেই তা উপভোগ করা যায়।
সিলেটকে বোধহয় এজন্যেই মেঘালয়ের পাদদেশ বলা হয়।
ঢাকা থেকে যারা সড়কপথে যাবেন তারা হুমায়ন রশীদ চত্ত্বরের ব্রিজে নেমে এই মনোরম দৃশ্য অবলোকন করতে পারবেন।
ভোরের আলো যখন ফুটতে শুরু করে তখনই বেস্ট সময়।জাফলং বা বিছানাকান্দি তো যাবেনই কিন্তু সিলেটে প্রবেশের মুখেই যদি এই পাহাড় গুলো আপনাকে আমন্ত্রন জানায় তবে মন্দ কি।
আজকের ছবি।ভোর ৬.৪৫ ২৩/১১/১৭

Post Copied From:Heera Roy‎>Travelers of Bangladesh (ToB)