চাঁদপুর ট্রিপ

ইলিশের বাড়ি হিসেবে বিখ্যাত জেলা চাঁদপুর বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বে চট্টগ্রাম ডিভিশনে অবস্থিত। ছোট্ট, শান্তিপ্রিয় এই জেলা শহরে ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ তে আমরা ৬ জন গিয়েছিলাম একদিনের ট্রিপে। তারই গল্প এবার শেয়ার করব আপনার সাথে।

#কিভাবে_যাবেন 
ঢাকা সদরঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৬ টার পর থেকে অনেক লঞ্চ ছেড়ে যায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে। যেকোনোটায় উঠে পড়লেই এনাফ। আমরা রওনা হয়েছিলাম বোগদাদিয়া ৭ লঞ্চে সকাল ৮.৩৫ এ। ডেক ভাড়া ১০০ টাকা। এছাড়াও সিটিং ব্যবস্থা আছে। ১৫০-২২০ টাকার মধ্যে সিটে বসে যেতে পারবেন। কেবিন ব্যবস্থাও আছে। সে ব্যাপারে তেমন কোন ইনফরমেশন জানাতে পারছি না বলে দুঃখিত। সময় লাগবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। নদীর চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করতে করতে আরামে জার্নি করবেন।

ফেরার লঞ্চ পেয়ে যাবেন ২.৩০ টা থেকেই। আমরা ঢাকা ফেরার জন্য রওনা হয়েছিলাম সোনার তরী লঞ্চে বিকাল ৩.৪০ এ। ভাড়া একই। কিন্তু বিকেলের নদী এক অন্য লেভেলের মানসিক শান্তি দেবে আপনাকে। গ্যারান্টি দিলাম।

#কি_কি_দেখবেন_এবং_খাবেন
লঞ্চ ঘাটে নেমে বাইরে অপেক্ষমান অটো নিয়ে চলে যাবেন বড় স্টেশন নামে একটা জায়গায়। ভাড়া নেবে পার হেড ১০ টাকা। চাইলে হেটে যেতে পারেন। ম্যাক্সিমাম ১০ মিনিট লাগবে। শান্ত, সুনিবিড়, মফঃস্বল পরিবেশ। ভালো লাগতে পারে আপনার।

#বড়_স্টেশন এ পৌঁছে দেখতে পাবেন “জেলা ব্রান্ডিং পর্যটন কেন্দ্র”। নির্মাণাধীন। খুব বেশি আশা করলে ভুল করবেন। আমাদের ঢাকা শহরের যেকোনো অতি সাধারণ পার্কের মত দেখতে। কিন্তু আকর্ষণীয় ব্যাপারটা হচ্ছে মেঘনা নদীর পাড়। বেশকিছু ঝালমুড়ির দোকান আছে। আলাওল নামে একজনের বানানো ঝালমুড়ি ট্রাই করতে পারেন। এক্সেপশোনাল টেস্ট। দাম ১০ টাকা। আর ঘুরে বেড়াতে পারেন মেঘনা নদীতে। বোট রিজার্ভ নিতে পারেন ঘণ্টাখানেকের জন্য।

বিভিন্ন লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য বিখ্যাত ও কুখ্যাত
#পদ্মা_মেঘনা_ডাকাতিয়া_নদীর_মোহনা সহ মোহনার পরেই নদীর বুকে জেগে ওঠা একটা বিশাল চর এলাকা ঘুরিয়ে আনবে আপনাকে। ভাড়া পড়বে ৪০০ – ৫০০ টাকা। এখন নদী শান্ত। সো বিখ্যাত এবং কুখ্যাত সেই মোহনার ওপরেই বোট দিয়ে অবস্থান করতে পারবেন আরামে। এরপর আবার ফিরে আসবেন পর্যটন কেন্দ্রের নৌকা ঘাটে। এবং বেরিয়ে আসবেন ওখান থেকে।

পর্যটন কেন্দ্র থেকে বের হলে খাবার হোটেল পাবেন। ইলিশ এখন বিক্রি করছে ১২০ টাকা প্রতি পিস হিসেবে। যদি নিজে ইলিশ কিনে হোটেলে রান্না করিয়ে খেতে চান তো যেতে হবে পর্যটন কেন্দ্র থেকে বেরিয়েই হাতের ডানে রেল স্টেশনের দিকে। রেল লাইনের পাড়ে মাছের আড়ত। কিনে নেবেন দামদর করে। আমরা কিনেছিলাম মোটামুটি বড় সাইজ একটা ইলিশ ৪৫০ টাকায়। এবং পিস করা হয়েছিলো ৬ টা। খাওয়া শেষ করে এবার বেরিয়ে পড়ুন। গন্তব্য ওয়ান মিনিট আইস্ক্রীম।

#ওয়ান_মিনিট_আইস্ক্রীম
অটোতে করে ৫ টাকা পার হেড ভাড়া লাগবে কালীবাড়ি নামক একটা জায়গায় যেতে। সেখানে নেমে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে বিখ্যাত ওয়ান মিনিট আইস্ক্রীমের দোকানটা কোথায়। প্লাস্টিকের গ্লাসে করে খাবেন। দাম ৪০ টাকা। স্বাদ নিয়ে খুব বেশি এক্সাইটেড হওয়ার কিছু নেই আসলে। ছোটবেলার পাইপ আইস্ক্রীমের মত স্বাদ। ভালো লাগতেও পারে আপনার।

ব্যস। আর তেমন কিছু দেখার নেই। এবার হাল্কা ঘুর ঘুর করতে করতে চলে আসুন লঞ্চ ঘাটে। দেখেশুনে উঠে পড়ুন লঞ্চে। বিকেলটা নদীতে উপভোগ করতে করতে চলে আসুন ঢাকায়।

হ্যাপি ট্রাভেলিং 

Post Copied From:Rajvi Bd‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঘুরে আসুন চাঁদপুর

কাল ৮ টার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের লঞ্চে উঠলাম, তিন ঘন্টার লঞ্চ জার্নি শেষে সকাল ১১ টায় নামিয়ে দিলো চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে। লঞ্চের ডেকে ভাড়া সব লঞ্চেই ১০০ টাকা করে নিবে।
চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে বের হলেই দেখতে পাবেন সিএনজি, অটো রিক্সা। সিএনজি অথবা অটোরিক্সায় চড়ে চলে যাবেন বড় ষ্টেশনে ষ্টেশনে ১০ টাকা,নামিয়ে দেবে পর্যটন কেন্দ্রের সামনে। যায়গাটা এখনো নির্মানাধীন। তবে শেষ হয়ে গেলে মোটামুটি সুন্দর একটা যায়গা হবে। ওখানে চটপটি, ফুসকা,ডিম, মুড়ি পাবেন হালকা নাস্তার জন্য।
আমি মুড়ি আর ডিম খেয়েছিলাম। বসে আড্ডা দেওয়ার মত ভালো একটা যায়গা জেলা পর্যটন কেন্দ্র। অনায়াসে এক দেড় ঘন্টা কাটিয়ে উঠা যায়।
কিন্তু আপনাকে তো উঠতেই হবে আড্ডা ছেড়ে কারন আপনাকে যেতে হবে চাঁদপুরের সবচেয়ে সুন্দর যায়গা তিন নদীর মোহনা পার হয়ে নদীর চরে। চরটা একদম সী বিচের মত ভালই বিচের ফিল পাওয়া যায়।আর নৌকা ভ্রমণটা মনে রাখবার মত ভাল লাগা গ্যারান্টেড।
নৌকা ভারা আপ-ডাউন ৫০ টাকা প্রতিজন।(রিজারভ ৫০০ টাকা)

এবার আপনার পেট চোঁ চোঁ করবে। ভাববেন অনেক তো হালকা নাস্তা করা হলো, এবার একটু পেটপুজো হোক পুরোদমে। স্বাভাবিকভাবেই ভাতের হোটেলে যাবেন। গিয়ে ভাত আর মাছ পাবেন। ইলিশ মাছ ভাজা আর নদীর ছোট মাছের তরকারি। আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে খাবেন। অনেক ভালো লাগবে। এক পিস মাছের দাম পড়বে ৬০-৮০ টাকা। জনপ্রতি ২০০-২৫০ এর মধ্যে বেশ ভালো খেতে পারবেন।
আমরা চারজন ছিলাম তাই ৭০০ গ্রাম ওজনের একটা ইলিশ ৪৫০ টাকায় কিনে ফ্রাই করে খেয়েছি।লোক বেশী হলে এটা ট্রাই করতে পারেন।
খাওয়া – দাওয়া পর্ব শেষ হলে সোজা চলে যান রেল স্টেশন ,ট্রেন দেখতে ভাল লাগলে দেখুন না হলে ছবি তুলুন , আড্ডা দিন ভাল লাগবে যায়গাটা।
ভাই অনেক হয়েছে এইবার ফিরার পালা, কারন মনে আছে কি আমরা একদিনের সর্ট ট্রিপে আসছি।

বর্তমানে সকাল ৬ টা থেকেই লঞ্চ আছে আর পরবর্তী লঞ্চ ৭.২০ এ সোনারতরী ।
এরপর ৮.০০, ৮.৩৫, ৯.১৫, ৯.৫০, ১০.৫০, ১১.৪৫ থেকে রাত ১২.৩০
নির্ধারিত সময়েই ছাড়ে।

যারা সকালে গিয়ে বিকালে ফিরতে চান ববিকালে ৩.৪০, ৫.০০, বা সন্ধ্যা ৬.০০ ও ৭.০০ এর লঞ্চে ফিরতে পারেন।
***লঞ্চে চেয়ার ভাড়া – ১৫০ টাকা
*** সিঙ্গেল কেবিন – ৪০০ টাকা
*** ডাবল কেবিন – ৮০০ টাকা।

আমাদের পার পারসন খরচ হয়েছিল ৫৫০ টাকা।
#Happy_Travelling.
#Naymul_hassan
#solo_Traveller.

Post Copied From:

Naymul Hasan>

ইলিশের দেশ চাঁদপুর নদী ভ্রমন

কিছু না ভেবে ঠিক করলাম চাঁদপুরে হবে মিশন। খুব সকালে উঠে বেরিয়ে পরলাম সদরঘাটের লালকুঠিরে। এখান থেকেই ছেড়ে যায় লঞ্চ আবার আসেও এখানেই। এসে দেখি বড় বড় লঞ্চ আমাকে হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে। দেরি না করে ঘাট প্রবেশের ৫ টাকা দিয়ে একটি টিকিট নিয়ে হই হই করে ঢুকে পরলাম। তারপর দেখলাম ৮টা বেজে ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে বোগদাদীয়া-৭ লঞ্চটি। অনেক বড় আর বেশ লাক্সারিপূর্ন। যথাসময় লঞ্চ ছাড়ে। কিছু দূর যেতে নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে এসে পড়লাম টের ই পেলাম না। ১১টা বেজে ৩০ মিনিটে পৌছে গেলাম। তারপর লঞ্চ থেকে নেমে ঘাট থেকে বের হয়ে অটোতে আসলাম বড় স্টেশন তিন নদীর মোহনা দেখতে। যেখানে আছে পদ্মা, মেঘনা আর ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মিলনস্থল। এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন হাজার মানুষের সমাগম হয়। মন ভরে দেখে বের হলাম চাঁদপুরের বিখ্যাত ওয়ান মিনিটের আইসক্রিম, দই আর মিষ্টি খেতে। খাওয়া শেষ করে আবার ঘাটে ফিরে এইখানের একটি হোটেলেঢুকে গরম গরম টাটকা ইলিশ মাছ ভাজা আর চাক বেগুন ভাজা দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। এখন ফেরার পালা। ৩ টা বেজে ৪০ মিনিটে লঞ্চ সোনারতরী। বিকেলে নদীর মনোরম রুপ দেখতে দেখতে ফিরে এলাম ঢাকা। আমি বলবো এক দিনে ঘুরে আসার জন্য পারফেক্ট। সকাল ৬ টা থেকে এক ঘণ্টা পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়। চাঁদপুর থেকেও সকাল ৭ টা থেকে এক ঘন্টা পর পর লঞ্চ ছেড়ে আসে। চাইলে পরিবার প্রিয়জন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। যে আসনে আপনি যেতে চান যেতে পারবেন টিকিট কেটে।
লঞ্চের ভাড়া-
সিংগেল কেবিন- ৫০০
ডাবল কেবিন- ৮০০
ফ্যামিলি কেবিন- ১৫০০
ভি আই পি কেবিন- ২০০০
ফাস্টক্লাস চেয়ার- ২৫০
চেয়ার- ১৫০
ডেক- ১০০

Post Copied From:Ekla Pothik‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

শর্ট ট্যুরের লিস্টে চাঁদপুর শহর

খুব ট্যুর দিতে ইচ্ছে করছে? হাতে টাকা পয়সাও কম? সময়ও কম? তাহলে আপনার শর্ট ট্যুরের লিস্টে চাঁদপুর শহর মোটামুটি একটা যায়গা করে নিতে পারে। এক দিনের ট্যুর হিসেবে যায়গাটা খারাপ না।

কিভাবে যাবেনঃ

সকাল সকাল চলে যান সদরঘাট। গিয়ে সরাসরি চাঁদপুরের একটা লঞ্চে উঠে পড়ুন।প্রথম লঞ্চ ছাড়ে সকাল ৬:০০ এ। এর কিছুক্ষণ পর পরই একটা করে লঞ্চ ছাড়ে। লঞ্চ ভাড়া ১০০-৮০০ টাকার মধ্যে কোয়ালিটির উপর ডিপেন্ড করে। ১০০ টাকা দিয়ে ডেকের টিকিট কেটে নিলে টাকাও বাঁচবে আর রেলিং এর ধারে ভর দিয়ে দুই পাশের অসাধারণ দৃশ্যটাও উপভোগ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বসার যায়গার অভাবে চাঁদপুর পৌছাতে পৌছাতে আপনার পা দুখানি সুস্থ নাও থাকতে পারে। তাই ১৫০ টাকা দিয়ে চেয়ার কোচে চলে যাবেন। অন্তত একটা বিশ্রাম নেওয়ার যায়গা পাবেন।

পথে খাবারের জন্য সবচেয়ে ভালো হয় বাসা থেকে খেয়ে বেরোলে। আর যদি পুরোটাই বাইরে খাওয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে হোটেলে খাবার সেরে নিতে পারেন। লঞ্চের ক্যান্টিনের খাবার এড়িয়ে যাওয়া উত্তম কারণ অতিরিক্ত দাম রাখে তারা। চাইল বাহির থেকে খাবার নিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখতে দেখতেও খেতে পারেন। লঞ্চ জার্নি তো, যা খাবেন তাই ভালো লাগবে।

চাঁদপুর পৌছানোর পরঃ

পৌছাতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা লাগবে। লঞ্চ থেকে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে পড়ুন। ঘাট থেকে শিডিউলটা জেনে তারপর বের হবেন। বের হয়ে একটা অটো নিয়ে চলে যান বড় স্টেশনে। অটো ভাড়া ১০ টাকা। নামিয়ে দেবে পর্যটন কেন্দ্রের সামনে। যায়গাটা এখনো নির্মানাধীন। তবে শেষ হয়ে গেলে মোটামুটি সুন্দর একটা যায়গা হবে। ওখানে চটপটি, ফুসকা, মুড়ি পাবেন হালকা নাস্তার জন্য। অন্যগুলোর কথা জানি না, মুড়িটা মারাত্মক লেগেছে। হয়তো পেটে ক্ষিদে ছিল তাই। বসে আড্ডা দেওয়ার মত ভালো একটা যায়গা জেলা পর্যটন কেন্দ্র। অনায়াসে এক দেড় ঘন্টা কাটিয়ে উঠা যায়।

এবার আপনার পেট চোঁ চোঁ করবে। ভাববেন অনেক তো হালকা নাস্তা করা হলো, এবার একটু পেটপুজো হোক পুরোদমে। স্বাভাবিকভাবেই ভাতের হোটেলে যাবেন। গিয়ে ভাত আর মাছ পাবেন। ইলিশ মাছ ভাজা আর নদীর ছোট মাছের তরকারি। আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে খাবেন। অনেক ভালো লাগবে। এক পিস মাছের দাম পড়বে ৬০-৮০ টাকা। জনপ্রতি ২০০-২৫০ এর মধ্যে বেশ ভালো খেতে পারবেন।

এ কাজটি তখনই করতে পারেন যখন আপনারা সর্বোচ্চ দুইজন থাকবেন। এর বেশি যদি হয় তাহলে আরেক কাজ করতে পারেন। পর্যটন কেন্দ্র থেকে বের হয়ে রেল স্টেশনের দিকে হাঁটা দিন। ৩-৪ মিনিট হাঁটলেই পৌছে যাবেন। রেল ফ্যান হলে কিছুক্ষন ট্রেন দেখতে পারেন। কিন্তু আপনার টার্গেট হলো স্টেশনের উলটো পাশে মাছের আড়ত। যাবেন, আর দেখবেন ইলিশের বাহার। দামও ঢাকার তুলনায় কম। সঙ্গে মানুষের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ইলিশ মাছ কিনে ফেলুন। আমরা ছিলাম চারজন। মাঝারি সাইজের একটা ইলিশ নিয়েছিলাম ৪০০/- দিয়ে। মৌসুমে আরও কমে পাবেন। মাছ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক দেখায়। তা না করে চলে যান আরেকটু ভেতরে। দেখবেন কতগুলো ভাতের হোটেল। পছন্দ মত একটায় ঢুকে যান। গিয়ে মাছটা ধরিয়ে দিয়ে বলুন ভেজে দিতে। মাছের সাইজের উপর ডিপেন্ড করে ৮০-১৫০ টাকা পর্যন্ত মাছ প্রতি নিতে পারে। আধা ঘন্টার মধ্যে আপনাকে মাছ রেডি করে সামনে দেবে। ধোয়া ওঠা গরম ভাত, আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে যখন কবজি ডুবিয়ে খেতে থাকবেন, মনে হবে সত্যি, বাঙালী হওয়া স্বার্থক। সাথে যদি একটা পাবদা মাছের তরকারী থাকে তাহলে তো কথাই নেই। আমরা গিয়েছিলাম মনু মিয়ার হোটেলে। মাছ ভাজা সহ আমাদের বিল এসেছে মোট ৪০০/-।

মেইন কোর্স তো হলো। এবার ডেজার্ট। আরেকটা অটো নিয়ে চলে যান কালীবাড়ি। ভাড়া ৫/-। খুঁজুন বিখ্যাত “ওয়ান মিনিট” মিষ্টির দোকান। গিয়ে বলুন একটা আইসক্রিম দিতে। ৪০/- রাখবে। এটার এভালুয়েশন আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম। সব কিছু বলে দিতে নেই।

হাতে সময় থাকলে চাইলে বড় স্টেশনে এসে আড্ডা দিতে পারেন নাহলে লঞ্চ ঘাটে গিয়ে ঢাকায় ব্যাক করার ধান্দা করতে পারেন।

এভাবে মোটামুটি গোছের একটা শর্ট ট্যুর দিয়ে আসতে পারেন। আমাদের এক এক জনের ৭০০/- এর মত খরচ হয়েছে।

যাওয়া আসার জন্য এম ভি সোনার তরী, রফরফ, আল বোরাক, ময়ূর ব্যবহার করতে পারেন। সবগুলোর ভাড়া মোটামুটি একরকমই।

এডিটঃ এক বড় ভাই এই তথ্যগুলো যোগ করলেন।

বর্তমানে সকাল ৬ টা থেকেই লঞ্চ আছে আর পরবর্তী লঞ্চ ৭.২০ এ সোনারতরী ।
এরপর ৮.০০, ৮.৩৫, ৯.১৫, ৯.৫০, ১০.৫০, ১১.৪৫ থেকে রাত ১২.৩০
নির্ধারিত সময়েই ছাড়ে।

যারা সকালে গিয়ে বিকালে ফিরতে চান ববিকালে ৩.৪০, ৫.০০, বা সন্ধ্যা ৬.০০ ও ৭.০০ এর লঞ্চে ফিরতে পারেন।

ডেক ভাড়া -১০০,
চেয়ার নন এসি -১৫০

কেবিন ননএসি সিঙ্গেল ৪০০-৫০০
ডাবল -৮০০

Post Copied From:Nushaer Abrar>Travelers of Bangladesh (ToB)

চরভৈরবী নদীর পাড়

চরভৈরবী;চাঁদপুর।

✵যেভাবে যাবেন-ঢাকা লালকুঠি ঘাট থেকে চরভৈরবী গামী লঞ্চে উঠে চরভৈরবী ঘাট(শেষ ঘাট) এ নামলেই হবে।ডেক ভাড়া ১৫০ টাকা।চাইলে কেবিনও নিতে পারেন।সেক্ষেত্রে কেবিন ভেদে ৫০০-১০০০ টাকা লাগবে।আর চাঁদপুর থেকে যারা যেতে চান তাদের ডেক ভাড়া ৫০ টাকা লাগবে।

✵চাইলে লঞ্চেই দুপুরের খাবার সেরে নিতে পারেন! কিংবা চরভৈরবী নেমে মেঘনা নদীর পাড়ে লঞ্চ ঘাট এলাকায় অনেক ফুসকা; চটপটি ও খাবারের দোকান আছে।এছাড়াও রয়েছে খাঁটি দুধের মালাই চা!

✵চরভৈরবী থেকে ইলিশ সহ নদীর তাজা মাছও চাইলে কিনতে পারেন।সেখানে রয়েছে আড়ত! সেটিও ঘুরে দেখতে পারেন।সব মিলিয়ে মেঘনা পাড়ের সহজ-সরল জনজীবন ও প্রকৃতি দুটোই আপনাকে মুগ্ধ করবে।

✵প্রতিদিন সকাল ৯ টা ১০ মিনিট এ ঢাকা থেকে চরভৈরবীগামী লঞ্চটি ছেড়ে যায়।মাঝে চাঁদপুরে বেলা ১২ টা ৪০ মিনিট এ ঘাট দেয়।চরভৈরবী (শেষ ঘাট) দেয় দুপুর ৩ টার একটু আগেই। আবার সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে একি লঞ্চটি সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।সব মিলিয়ে পুরো ১ দিনের ভ্রমণ।

Post Copied From:Aktheruzzaman Khan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ

অসস্থান : চাঁদপুর
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০১/২০১৭ইং

পথের হদিস : ঢাকা > চাঁদপুর > হাজীগঞ্জ > হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23.251588, 90.854133

১৩৩৭ বঙ্গাব্দে হাজী আহমদ আলী পাটোয়ারী “হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ” প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনিই এর প্রথম মোতওয়াল্লী। প্রায় ২৮,৪০০ বর্গফুট আয়তনের বিশাল মসজিদ এটি, প্রায় ১০ হাজার মুসল্লী এক সাথে একানে নামাজ পরতে পারেন। এর কারুকাজময় সুউচ্চ ১৮৮ ফুটের মিনারটি খুবই দৃষ্টিনন্দন। যতদূর জানা যায় বর্তমানে “হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ”-টি দেশের ৬ষ্ঠ বৃহৎ মসজিদ।

চাঁদপুর বেলগাঁও চা-বাগান

অনেকদিন আগে এই গ্রুপেই কেউ একজন চট্টগ্রাম এ চাবাগান নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিল। ওনার পোষ্ট পড়েই আজ গিয়েছিলাম চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক “চাঁদপুর বেলগাঁও চা-বাগান” এ। অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা। যেদিকেই তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। পাহাড়, লেক,টিলা কি নেই! আর সবচেয়ে বড় কথা চাবাগান টা অসম্ভব বড়। কেউ যদি কোন ছুটির দিনে পরিবারকে নিয়ে একদিন সবুজের মাঝে কাটিয়ে আসতে চান তাহলে এরচেয়ে ভাল জায়গা হয় না। 😊

যাওয়ার উপায়:-
চিটাগাং এর যে কোন স্থান থেকে প্রথম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল আসতে হবে। সেখান থেকে সিটিং বাসে চাঁদপুর। ভাড়া ৮০ টাকা। ওখান থেকে সিএনজিতে চাবাগান। ভাড়া ১৫০ টাকা রিজার্ভ। একজন গেলেও যেই ভাড়া পাঁচজন গেলেও একই ভাড়া। আর অবশ্যই যেই সিএনজিতে যাবেন সেই সিএনজি রেখে দিবেন নাহলে আমার মত দেড়ঘন্টা হেঁটে বাসস্টপ পর্যন্ত আসতে হবে