সীতাকুণ্ড এবং চট্টগ্রাম শহরে ঘুরে দেখা

উদ্দেশ্য ছিল এবারের বিজয় দিবস পালন করব চন্দ্রনাথের চূড়ায়। যেই কথা সেই কাজ। ৬ জন মিলে প্ল্যান ফিক্সড করলাম। সাগর সৈকত আমাকে বেশি টানে তাই আমার উদ্দেশ্য পড়ন্ত বিকেলে বিচগুলো ঘুরে দেখা। গ্রুপে পাহাড় বা ঝর্ণা লাভার আছে তাই সব মিলিয়ে প্ল্যান।

#চন্দ্রনাথ পাহাড়
#গুলিয়াখালি বিচ
#সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক
#সুপ্তধারা ও সহস্রাধারা ঝর্ণা
#বাশাবাড়িয়া বিচ
#নেভাল ভেন্যু
#পতেঙ্গা বিচ
#পারকি বিচ

সীতাকুণ্ড এবং চট্টগ্রাম শহরে ঘুরে দেখব। ১ রাত থাকা এবং দুই দিন ঘুরাঘুরির জন্য বাজেট ধরলাম ২০০০ টাকা। মোট ১২০০০ টাকা কালেক্ট করে যাত্রা শুরু করলাম ১৫ তারিখ রাতে।

ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আন্ত:নগর ট্রেন গুলো সীতাকুণ্ড স্টেশনে থামে না তাই শ্যামলী পরিবহনে ৪৮০ টাকায় টিকেট কেটে আব্দুল্লাহপুর থেকে উঠলাম। আর পরের দিন বিজয় দিবস হওয়াতে টিকেট আগের দিনই কেটে রাখলাম।
সীতাকুণ্ড পৌছালাম ভোর ৫.৪৫ এ। ওখান থেকে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে পায়ে হেটেই রওনা দিলাম চন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে। ২ ঘন্টায় পাহাড়ে ওঠে স্বস্তির নি:শ্বাস ছাড়লাম। উঠতে আপনার যতটা কষ্ট হবে পাহাড়ের চূড়ায় বসে ৫ মিনিটের মধ্যেই আপনার মনে প্রশান্তি ফিরে আসবে।
১০ টার মধ্যে চন্দ্রনাথ পাহাড় দেখা শেষ করে গুলিয়াখালির দিকে রওনা দিলাম। ইকো পার্ক কাছে হত, খরচও কম হত কিন্তু সবাই টায়ার্ড থাকায় বিচ ঘুরে আসলাম আগে।
গুলিয়াখালি বিচ নিয়ে এর আগেও পোস্ট হইছে। সত্যিই অসাধারণ। গোসল করার জন্য আদর্শ জায়গা না তবুও আমারা নেমে ছিলাম।

১২ টায় গুলিয়াখালি ত্যাগ করে ইকো পার্ক ঢুকলাম। গেইট থেকে সুপ্তধারা হেটেই গেলাম। দূরত্ব:১.১ কিমি।
সিএনজি দিয়েও কিছুদূর গিয়ে আবার পাহাড়ের পাদদেশে নামতে হবে। পানি কম ছিল ঝর্ণায় কিন্তু একেবারে ছিল না এরকম না।
সহস্রাধারায় নাকি আরো পানি কম এবং একটু দূর হওয়ায় যাওয়া হয়নি।

ইকো পার্ক থেকে বের হয়ে বাশবাড়িয়ার বিচে পৌছালাম বিকাল ৪ টায়। বিচে বসে সুর্যাস্ত দেখার মত অতুলনীয় সৌন্দর্য আমার কাছে আর কোথাও নেই।
বিজয় দিবস হওয়ায় এখানে এসে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সরু রাস্তায় প্রাইভেট কারের ঢল নামে আর তাই প্রচুর হাটতে হয়েছে।

প্রথম দিন শেষ। রাতে ফিরলাম চিটাগাং রেইলওয়ে স্টেশন এ। ভাবলাম ফিরতি টিকেট কেটে হোটেল চেক ইন দিব কিন্তু টিকেট পেলাম না। বের হয়ে সৌদিয়া বাসের টিকেট কাটলাম। হোটেল এ দুই রুম নিলাম। ভাড়া ১০০০ টাকা টোটাল। যথেষ্ট আরামদায়ক ছিল রুমগুলা।

২য় দিন
হোটেল লিভ করে ১০ টার দিকে নেভাল ভেন্যু। দেখার মত কিছুই নাই ভর দুপুরে। এরপর পতেঙ্গা বিচ। জোয়ার ছিল যখন আমরা গেলাম। ওখানে লাঞ্চ সেরে পারকির চর।

পারকি নিয়ে দুইটা কথা না বললেই নয়। আন্ডার রেটেড বিচ বলা যায়। বিচের সকল সৌন্দর্যই এটাতে আছে শুধু উত্তাল ঢেঊ ছাড়া।
ওখান থেকেই সুর্যাস্ত দেখে ফেরার পথে পায়ে হেটে কর্ণফুলী ব্রিজ পার হয়ে ছিলাম। রাতের আলোতে ব্রিজ অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।
ফিরতি বাস রাত ১০.১০ এ। রেইলওয়ে স্টেশন থেকে।

এবার আসি খরচে। ৬০০০ টাকা আসা যাওয়া বাস ভাড়া ৬ জনের। ১০০০ টাকা হোটেল ভাড়া।
বাকি থাকল ৫০০০ টাকা। এর মধ্য দুই দিনের সকল খাওয়া দাওয়া, সিএনজি, লেগুনা,মিনি বাস ভাড়া, পার্ক এন্ট্রি ফি। উল্লেখ্য আমরা রাতের খাবার একটু হালকা খেয়ে ছিলাম।
সময় টাকে সুন্দর ডিস্ট্রিবিউট করে যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন এভাবে। ইন্টারনাল ভাড়া গুলা লিখলাম না। কারো জানার ইচ্ছা থাকলে জিজ্ঞেস কর‍তে পারেন।

Post Copied From:

MI Tanim‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

অবশেষে ঘুরে আসলাম চন্দ্রনাথ পাহাড়

হাটু আর কোমরের ব্যাথা এখনো ভাল হয়নি :-D।১২০০ফুট উপরে উঠা এত সহজ না 😀 একদিনের ট্যুর ছিল।৬জন বন্ধু মিলে বেশ ভাল একটা ট্যুর দিলাম।কিন্তু আমাদের কিছু ভুল ছিল।যেমন:-
১)সকালবেলা তেমন একটা নাস্তা না করেই পাহাড় এ উঠেছি।
২)সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছি পানি না নিয়ে উঠেছি।আপনারা পানির বোতলের সাথে শুকনা খাবার নিয়ে যেতে পারেন…
আমাদের সময় স্বল্পতার কারনে গুলিয়াখালি,বাঁশবাড়িয়া যেতে পারিনি।আপনারা যারা যেতে চান তারা এই দুইটা প্লেসও সাথে ঘুড়ে আসতে পারেন।
আর খরচটা কেমন হয়েছিল..? আমাদের ট্যুরটা একটু ডিফরেন্ট ছিল।তাই খরচ সম্পর্কে কিছু বললাম না।আর আমরা কুমিল্লা থেকে গিয়েছি ত তাই খরচ খুব কম হয়েছে…..
দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে ট্যুরিস্টদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
সবশেষে যারা ১২০০ ফুট উপরে উঠতে চান তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো 😀 😀

Post Copied From:Sabik Rahman‎>Travelers of Bangladesh (To

চন্দ্রনাথ পাহাড়

সীতাকুণ্ড বন্দর নগরি চট্টগ্রাম এর অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান। শুধুমাত্র চট্টগ্রামেরই নয় বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের লীলাভুমি সীতাকুণ্ড। আর এই সীতাকুন্ডের বিভিন্ন আকর্ষনের মধ্যে অন্যতম হলো চন্দ্রনাথ পাহাড়। এই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বিখ্যাত চন্দ্রনাথ মন্দির। এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২০০ ফুট। সিড়ির সংখ্যা প্রায় ,২২০০+টি।। রাস্তা এতই চড়াই যে ৫ মিনিট উঠার পর আপনাকে বিশ্রাম করতে হবে ১৫ মিনিট। এই পাহাড়ে উঠার জন্যে বেশ প্রস্তুতি নিয়েই উঠতে হয়। টা না হলে হয়ত আপনার উপরে উঠা আর সম্ভব হয়ে উঠবে না। রোদ যত চড়বে আপনারও তত বেশি কষ্ট হবে। লাঠি,পানি,হালকা খাবার ইত্যাদি নিয়ে উঠাই ভালো। তবে যেহেতু পাহাড়ে উঠতে হবে তাই নিজের সাথে যত কম জিনিসপত্র নেওয়া যায় ততই ভালো। তাছাড়াও পথেই আপনি ছোট ছোট দোকান পাবেন। বিশ্রাম করার জায়গাও পাবেন। একবার ঊঠা শুরু করার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। পাহাড়ের মায়াবি রূপ আপনাকে উপরের দিকে নিয়ে যাবে। তখন আপনার মনে হবে আহা। এখান থেকে এত সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে আরেকটু উপরে গেলে দৃশ্য টা আরো কত সুন্দর হবে? ২০ মিনিট হাটুন আর ১০ মিনিট বিশ্রাম নিন। আর অবশ্যই প্রকৃতির অসম্ভব রূপের শূধা পান করুন। এভাবে আপনি আপনার গন্তব্যে অর্থাৎ পাহাড়ের চূড়ায় পৌছে যাবেন। পাহাড়ের চূড়া থকে যে দৃশ্য দেখা যায় তার রূপ ভাষায় প্রকাশ করতে একটু কষ্ট হওয়ারই কথা। তবে এটুকু বলে দিতে পারি যে এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়া থেকে শহর,শহর পেড়িয়ে সমুদ্র এবং সমুদ্র পেড়িয়ে সন্দ্বীপ পর্যন্ত দেখা যায়। সময় নিয়ে ঘুরে আসুন

post Copied From:Robin Khan>Travelers of Bangladesh (ToB)

চন্দ্রনাথের পাহাড়ের চুড়ার গল্প

সবাইকে পাহাড়ে যেতে শুনেছি, পাহাড়ের চুড়ায় উঠে মেঘের সাথে গা ভাসিয়ে দিতে শুনেছি। কিন্তু নিজে কখনো যাইনি, মেঘের সাথে গা ভাসানোও হয়নি। অনেক দিনের সে ইচ্ছে কিছুটা পুরন হয়েছে চন্দ্রনাথের পাহাড়ের চুড়ায় উঠে। গত শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পরি চন্দ্রনাথের পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। চট্টগ্রাম থাকার সুবাদে আমার খুব কাছেই ছিল গন্তব্য। অলংকার থেকে বাস এ ৪৫ মিনিটের পথ (ভাড়া ৪০ টাকা)। বাস থেকে নেমে অটো করে চন্দ্রনাথের মন্দির (রিসার্ভ ভাড়া ৫০-৬০ টাকা)। বেস শুরু হল অভিযান “চন্দ্রনাথের পাহাড়”। তবে অভিযানের শুরুতেই পেয়ে গেলাম TOB এর এক মেম্বারকে। সে একা, পরিচয় হল। এবার শুরু করলাম পাহাড়ে উঠা, উঠতে উঠতে জানতে পারলাম, সেই ভাইটি এরি মধ্যে বাংলাদেশের ৫১ জেলা ঘুরা শেষ। কথা বলতে বলতে ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের একটু বেশি সময় লেগেছিল পাহাড়ের চুড়ায় চন্দ্রনাথের মন্দিরে পৌছতে। প্রথম দর্শনে সাদা মেঘের ছোয়া যেন ঊশ্ন অভিনন্দন জানালো আমাদের। সেদিনি প্রথম দেখা মেঘের সাথে। সেখানে কিছুক্ষন থেকে নেমে এসে চলে যাই বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। সেখানে কিছুক্ষন থেকে চলে আসি আপন নিড়ে। প্লান আছে সামনে আরো tour দেয়ার।

সত্যি কথা, এর সবই হয়েছে TOB এর পোস্ট গুলো দেখে। এই গ্রুপ এর পোস্ট গুলো ঘর মুখো মানুশকেও বাধ্য করবে অজানার উদ্দেশ্যে হারিয়ে যেতে।

 

এক ঢিলে তিন পাখি!

হ্যা মাত্র একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন খৈয়াছড়া ঝর্ণা, চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে।
যাবার উপায়- রাত ১০:৩০ কিংবা ১১:৩০ এর চট্টগ্রামগামী ট্রেনে উঠে চলে যান ফেনী জাংশন(শোভন চেয়ার -২৪৫), সেখানে থেকে ট্রেনে (২০ টাকা)চলে যান বার তাকিয়া কিছুক্ষন হাটলেই খৈয়াছড়া যাবার পথ পেয়ে যাবেন, সেখান থেকে সিএনজি(২০ টাকা) র মাধ্যমে মেই রোডে আসুন, বাস কিংবা লেগুনায়(৩০) সীতাকুণ্ড বাজার, ওখান থেকে সিএনজি(২০) তে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে পৌছে যান। ওটা দেখা শেষ হলে আবার সিএনজিতে(২০) বাজারে ফিরে আসুন, ওখান থেকে লেগুনায়(২০) বাশবাড়িয়া বাজার আর সেখান থেকে সিএনজি(২০) তে সমুদ্র সৈকতে চলে যান,আবার বাজারে ফিরে আসুন সিএনজিতে(২০), বাসে চট্টগ্রাম(৩০) পৌছে ওখান থেকে ঢাকার ট্রেনে(২৫০) উঠুন।

খাবারের খরচ আপনাদের উপর নির্ভর করে। তবে ১২০০ টাকা এনাফ সব সহ।
Post Copied From:Gowrab Das Dip‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

একদিনে চন্দ্রনাথ পাহাড় আর নাপি্ত্তছড়া ঝর্ণা

রাতের ১১.০০ সময় বাসে উঠলাম এনা পরিবহণ ভয়ে ছিলাম সকালে ঠিক মত পৌছাবো কীনা😊 ভালভাবেই সকাল ৫ টার সময় নামলাম। সীতাকুণ্ড বাজার কাউন্টার এ ১ ঘন্টা ২০ মিনিট মত বসে ছিলাম। তারপর সকালের নাস্তা করে সিএনজি তে ৫০ টাকা দিয়ে গেলাম পাহাড়ের নীচ পর্যন্ত।বাঁশ নিলাম যারা যাবেন অবশ্যই বাঁশ নিবেন।আরো একটা গ্রুপের দেখা পেলাম।হালকা শুকনা খাবার এবং ব্যাগ যেন হালকা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন ব্যাগ ভারি হওয়াতে উঠতে কষ্ট হয়েছিল।আমরা যেদিন গেলাম সেদিন রাজশাহী থেকে ৫০ জন এর একটা গ্রুপ আসছিল মাঝপথ যেয়ে অনেকে ফিরে আসতেছি মনোবল একটু কমে যাচ্ছিল যাক অবশেষে ২ ঘন্টার মতো লেগেছিল উপরের ভিউ দেখার পর কষ্ট লাঘব হয়েছিল 😁😁.নামার সময় ৪৫ মিনিট এর মতো লেগেছিল।৬ দিকে পাহাড় ওঠা সেরা রোদ্দুর কম লাগবে। আমরা ১১.৩০ দিকে পাহাড় থেকে নামার পর সিএনজি দিয়ে আসলাম সীতাকুণ্ড বাজার এ রোড ক্রস করে লেগুনা করে নয়দুয়ার বাজার পর্যন্ত আসতে হবে লেগুনা তে উঠার পর সবাই বলতেছিল সাবধানে যাবেন কারণ আসার ২ দিন আগে একজন মারা গিয়েছিল। নয়দুয়ার বাজার এ নেমে হাটা শুরু করার পর একজন গাইড নিলাম ৩০০ টাকা লোক খুবই কম ছিল মারা যাবার কারণে। গাইড দের যে ব্যবসা ৫০০ ৬০০ চায় বলে না নিলে মারা যাবেন এগুলা খুবই বিরক্তিকর ছিলো ।ঝিরিপথ এর শুরুর দিকে যে হোটেল আছে ঐ খানে ব্যাগ রাখলাম এবং দুপুর খাবার অর্ডার করে গেলাম ৪ ঝর্ণাই দেখেছিলাম জোহর আজনের সময় গিয়েছিলাম মাগরিব এর সময় ফিরে আসলাম। পুরা সময় রোদ্দুর এর ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছিল সকালে যাওয়া ভাল কষ্ট কম হবে। মোট ১৭ কিলো হেটেছিলাম।
৭ বাসে করে ব্যাক বাসায় ১ টার সময় পৌছেছিলাম।

Post Copied From:Ahnas Hossain>Travelers of Bangladesh (ToB)

চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দির

চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দির … <3
হিন্দুধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান, অন্যতম শক্তিপীঠ। এখানে সতী দেবীর ডান হাত পড়েছিল, গ্রন্থমতে। প্রতিবছর শিবরাত্রিতে বিশেষ পূজা হয়, তাছাড়া প্রতিদিন অনুসারী এবং ট্যুরিষ্ট যাওয়া-আসা করে।
পশ্চিমে সমুদ্রের হাতছানি এবং সীতাকুন্ড শহর, পূর্বে পাহাড়ের রেঞ্জ সাদা মেঘের ভেলা, আর আপনি ১১৫০ ফিট উচুতে হলুদ, বেগুনি
সাদা ছোট ছোট ফুলের মাঝে – কবি হলে হয়তো সাজিয়ে লিখতে পারতাম। বিভূতিভূষণ হয়তো এখানে বসেই আরেকটি আরণ্যক লিখতে পারতেন।
একদিনে দুইটা ট্যুরের মাঝে রাখবেন খুব সকালে চন্দ্রনাথ, বিকালে বাশবাড়ীয়া, কুমিরা, ভাটিয়ারী বা ইকোপার্ক।

যেভাবে যাবেনঃ যেকোন যায়গা থেকে সীতাকুন্ড বাজার। যেখান থেকে সিএনজি করে পাহাড়ের পাদদেশে।
বাসে – ফেনীর মহীপালে নেমে চট্রগ্রামমুখী বাস পাবেন।
ট্রেনে – ষ্টেশনে থেকে মহীপাল – সীতাকুন্ড।

টিপসঃ অবশ্যই ভারী ব্যাগ রাখবেন না, নয়তো প্রচুর খাটনি হবে। পানি সাথে রাখবেন। প্রচুর পানি আছে এমন ফল পেয়ারা, আপেল নিতে পারেন। যাওয়ার আগে কিংবা মাঝপথে ভারী খাবার না খাওয়াই ভালো।
**বোটানিকাল গার্ডেন হয়ে আসাটা রিস্কি, সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
**পাহাড় ওঠার সময় বামে উঠে, ডানে নামবেন তাহলে সহজ হয়।
## প্রকৃতিকে পরিচ্ছন্ন রাখা যদি আপনার দায়িত্ব না মনে হয়, প্রকৃতি উপভোগ

করার অধিকার আপনার নাই|

Post Copied From:MD Mostafizur Rahman>Travelers of Bangladesh (ToB)

চন্দ্রনাথ পাহাড়!!

এখন পর্যন্ত যারা এখানে যান নি , আপনার জীবনের সমস্ত এ্যাডভেঞ্চার এর সাথে যুক্ত করতে পারেন নতুন একটি নাম – চন্দ্রনাথ পাহাড় ৷
মূলত এটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত ৷ তাই আপনি যখন এই পাহাড়ে যাবেন , তখন ছোট-বড় শখানেক বা তার কিছু কম সংখ্যক মন্দির দেখতে পাবেন । হাজার বছড়ের ঐতিহ্যবাহী শ্রী চন্দ্রনাথ মন্দির এর উপর এই পাহাড়ের নামকরণ করা হয়-চন্দ্রনাথ পাহাড় । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০৫০-১১০০ ফিট উচ্চতায় এই মন্দির এর অবস্থান ৷ তবে ভয়ের তেমন একটা কারন নেই , কেননা এই পাহাড়ের চূড়ায় যাওয়ার জন্য একদম পাদদেশ থেকে চূড়া পর্যন্ত কনক্রিট এর সিড়ি করে দেয়া আছে ৷ তবে সিঁড়ি গুলো অত্যন্ত খাড়া ৷ হাঁটুর জোড় না থাকলে বিশ্রাম নিয়ে যাওয়াই শ্রেয় ৷ আর উপরে উঠতে উঠতে পাহাড় আর প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করুন I কুয়াশা/মেঘে ভড়া আকাশ , সবুজের সমারহ , ছোট ছোট অনেক বাচ্চা পাহাড় সত্যি আসাধারন ৷ আর একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে , পাহাড় গুলো পাথুরে আর ঝড়ঝড়ে রুক্ষ । এমন খাড়া পাথুরে প্রায় ১৭৫/১৮০ ডিগ্রী পাহাড় আমাদের দেশে দেখা যায় না ৷
যাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই তারা খুবই অল্প সময়ে ঘুড়ে আসতে পারেন ৷ সাথে কাছাকাছি গুলিয়াখালি , বাশবাড়িয়া এবং কুমিড়াঘাট সী-বিচ গুলো ঘুড়ে আসতে পারেন একই দিনে ৷
যেভাবে যাবেন :
ঢাকা থেকে রাত ১১ টায় কমলাপুর ষ্টেশন এ ঢাকা মেইল এ ১২০ টাকা টিকেট কেটে উঠে পড়ুন সীতাকুণ্ড এর উদ্যেশ্য ৷ সকাল ৭:৩০ এ আপনি পৌঁছে যাবেন সীতাকুণ্ড স্টেশন এ । সীতাকুন্ড নেমে নাস্তা সেড়ে ফেলুন । ষ্টেশন থেকে একটু সামনে চলে যান রেললাইন ধরে ৷ অটো বা সি এন জি তে চলে যান চন্দ্রনাথ , ভাড়া ১৫-২০ টাকা ৷ তারপর দুপুরের মধ্যে ঘুড়া শেষ করে সীতাকুন্ড ফিড়ে ভোজ সেড়ে ফেলুন ৷ একটু হেঁটে মেইন রোড চলে যান ৷ গুলিয়াখালি যেতে চাইলে রোড এ উঠতে হবে না ৷ ব্রীজ এর নিচে সি এন জি আছে ৷ জনপ্রতি ২০-৩০ টাকা ৷ অনেক সুন্দর যায়গা ৷ আর বাশবাড়িয়া বা কুমিড়া যেতে হলে বাস এ উঠে পড়ুন ৷ ভাড়া ১৫-২৫ ৷ কুমিড়া ২৫ টাকা , নামবেন বড় কুমিড়া ৷সেখান থেকে অটো বা সি এন জি ১০ টাকা ৷
আর বাশবাড়িয়া বাস এ ১৫ টাকা , ওইখান থেকে বীচ ২০ টাকা ৷

ফেরার পালা । সীতাকুন্ড চলে আসুন , রাত ৮ টার মধ্যে । ৮.৩০ এ জালালাবাদ মেইল এ ফেনী চলে আসুন ৷ টিকেট ২০-২৫ টাকা ৷ টিকেট না কাটলেও সমস্যা নেই ৷ রাত ১২ টায় ঢাকা মেইল এ ঢাকা ফেরত চলে আসুন ৷
উল্লেখ্য : ঢাকা মেইল যাওয়ার সময় সীতাকুন্ড থামে , আসার সময় না ৷ আন্তঃ নগর পরিহার করা অধিক সুবিধাজনক । কেননা , যাওয়ার সময় আপনার হয় নামতে হবে ফেনী না হয় চট্টগ্রাম ৷ ফেনী নামাবে রাত ১:৩০ এ ৷ আর সকাল ৭টার আগে সীতাকুন্ড এর ডেমু ট্রেইন ছাড়া আর নাই ৷ সারারাত ফ্রি ওয়াইফাই চালানো ছাড়া ঘুমাতেও পাড়বেন না ৷ একই অবস্থা ঢাকা ফেরার ক্ষেত্রেও ৷ সিদ্ধান্ত আপনার ৷

এই শিডিওল যাদের জন্য : বৃহস্পতিবার রাত রওনা দিবেন , শুক্রবার সারাদিন ঘুড়বেন , রাত এ রওনা দিয়ে সকালে অফিস/ক্লাস করবেন ৷ যাদের হাতে এর থেকে বেশি সময় নেই তাদের জন্য শিডিওল ৷

খরচ : মেইল ট্রেইন এ আসা যাওয়া , অটো ভাড়া , খাওয়া সব কিছু মিলিয়ে ৭০০-৮০০ টাকা ৷
আর বাস বা ডিরেক্ট ট্রেন এর জন্য ১১oo – ১৪০০ টাকা এর মধ্যে ।

আর কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট এ জানান , আমি অধম ভ্রমণ বিষয়ে তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব ( যত টুকু জানি )

Post Copied From:Tanvir Ahmed‎>Travelers of Bangladesh (ToB)