যারা একদিনে একটা ব্যাপক ট্যুর দিতে চান এই পোষ্টটি তাদের জন্য

একদিনে চট্টগ্রামের বিখ্যাত ৫টি স্পট ঘোরার গল্প :

অনেকেই গ্রুপে বাশবাড়িয়া,মহামায়া,গুলিয়াখালি নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন।আমারও একই পোষ্ট তবে ভিন্নতা রয়েছে স্পট,সময় ও টাকায়।
আমি বলব একদিনে মহামায়া লেক, গুলিয়াখালি বীচ, বাশবাড়িয়া বীচ, কুমিরা ব্রীজ ও চট্টগ্রাম বন্দর ঘোরা।

যেভাবে যাবেন :

ঢাকার টিটিপাড়ায় স্টার লাইন,এনা পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে। রাতে স্টার লাইন বা এনাতে করে চলে যান সরাসরি ফেনী শহর এসএসকে রোডে।সেখানে রাত টুকু কাউন্টারে থেকে ভোরে ফেনীর মহিপাল মোড় হতে চট্টগ্রামগামী বাসে করে চলে যান মিরসরাই এর ঠাকুরদীঘি বাজার।বাজার হতে cng করে চলে যাবেন মহামায়া ইকো রেসোর্ট।ঘোরা শেষ করে ফিরে আসুন ঠাকুরদীঘি বাজারে।
সেখান থেকে আবার বাসে করে চলে যান সীতাকুন্ড বাজার। বাজারে গিয়ে cng reserve করে নিয়ে যাবেন গুলিয়াখালি বীচ।দেখা শেষে সীতাকুন্ড বাজারে এসে, লেগুনা করে চলে যান বাশবাড়িয়া বাজার। বাজার হতে রিক্সা করে সোজা বাশবাড়িয়া বীচ। বীচ ঘুরে চলে আসুন বাশবাড়িয়া বাজারে। সেখান থেকে লেগুনা বা মিনিবাসে করে চলে যাবেন বড় কুমিরা বাজার।বাজার হতে রিক্সা/cng করে চলে যাবেন কুমিরা ব্রীজ এবং আবার ফিরে আসবেন বড় কুমিরা বাজার। সেখান থেকে মিনিবাস বা লেগুনার মত গাড়িতে চলে যান চট্টগ্রাম শহরের অলংকার মোড়ে।ঐখানে পেয়ে যাবেন ১১ নং রুটের বাস। উঠে বলবেন বন্দর ৪নং গেট ( কাস্টম)। নেমে বন্দর ভবন ঘুরে আবার ১১নং রুটের বাসে করে চলে আসুন অলংকার মোড়ে। ২মি. হেটে চলে আসুন একে খান রোডে।ঐখানে সকল ঢাকাগামী বাসের কাউন্টার।টিকিট কেটে ফিরে আসুন ঢাকায়।

★আমরাও এভাবেই গিয়েছি★

খরচ + সময় :

১. ঢাকা – ফেনী বাসে : ননএসি-২৮০/- ও এসি-৩৫০ (৩-৩.৩০ঘন্টা)
২. ফেনীর মহিপাল হতে ঠাকুরদীঘি বাজার : ৪০-৫০/- (৪০-৫০মি.)
৩. ঠাকুরদীঘি – মহামায়া cng up+down : ১৫+১৫=৩০/- (যেতে ৫-৭মি.)
এবং মহামায়া লেকে ঢুকতে ১০/- ফি দিতে হয়
ও কায়াকিং ১ঘন্টা ২০০-৩০০/- (student ২০০/-)
৪. ঠাকুরদীঘি – সীতাকুন্ড বাজার : ৪০-৫০/- (৩০-৩৫মি.
৫. সীতাকুন্ড বাজার – গুলিয়াখালি বীচ Full Cng reserve: ২৫০/- (up+down) (যেতে ১৫-২০মি.)
৬.সীতাকুন্ড বাজার – বাশবাড়িয়া বাজার : ১৫/- (১৫মি.)
৭. বাশবাড়িয়া বাজার – বাশবাড়িয়া বীচ : ২০+২০ =৪০/- (up+down) (যেতে (১০-১৫মি.)
৮. বাশবাড়িয়া বাজার – বড় কুমিরা : ১০/- (১৫মি.)
৯. বড় কুমিরা – কুমিরা ব্রীজ রিক্সায় : ২০+২০ =৪০/- (up+down) (যেতে ১০-১৫মি.)
১০. বড় কুমিরা – চট্টগ্রাম অলংকার মোড় : ২৮-৩০/- (৪০-৪৫মি.)
১১. অলংকার মোড় – বন্দর : ২০+২০ = ৪০/- (যেতে ২৫মি.)
১২. ঢাকা ফেরা : ননএসি ৪৮০/- ও এসি ১২৫০/- (৬-৭ ঘন্টা)

★আমাদের ট্যুর শেষ করতে মোট খরচ : ১৭১০/- প্রতি জনে★

বি: দ্র : আমরা গিয়েছিলাম দুজন। এখানে per person এর খরচ দেওয়া হয়েছে। দুজন থাকায় আমাদের খরচ একটু বেশি পরে। তবে এগুলা একদম basic খরচ যা না করলেই নয়। সকাল,দুপুর ও রাত এর খাওয়া দাওয়ার খরচ আপনাদেরর নিজের উপর। আর যত বেশি মানুষ হবে,আপনাদের খরচও কমবে।

আর মুল কথা হল যে, আপনাকে মহিপাল থেকে রওয়ানা দিতে হবে সকাল ৭-৭:৩০টা এর মধ্যে। যদি না দিতে পারেন তবে একদিনে cover করতে কষ্ট হয়ে যাবে। আর এভাবে follow করলে একদিনেই আপনি এই জায়গাগুলো দেখে আসতে পারবেন। আমার সব জায়গা শেষ করে ঘড়িতে সময় বিকাল ৫.২০ মি.

আর গুলিয়াখালি ও বাশবাড়িয়া সন্ধ্যার আগেই complete করতে হবে।কেননা সন্ধ্যার পর জায়গাটা safe না। লোকাল পোলাপান মাঝে মধ্যে Disturb করে।

তাই সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই এই স্পটগুলো যুরে আসার জন্য।✌✌

Post Copied From:Sheikh Fardin Oyon>Travelers of Bangladesh (ToB)

অবশেষে ঘুরে আসলাম চন্দ্রনাথ পাহাড়

হাটু আর কোমরের ব্যাথা এখনো ভাল হয়নি :-D।১২০০ফুট উপরে উঠা এত সহজ না 😀 একদিনের ট্যুর ছিল।৬জন বন্ধু মিলে বেশ ভাল একটা ট্যুর দিলাম।কিন্তু আমাদের কিছু ভুল ছিল।যেমন:-
১)সকালবেলা তেমন একটা নাস্তা না করেই পাহাড় এ উঠেছি।
২)সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছি পানি না নিয়ে উঠেছি।আপনারা পানির বোতলের সাথে শুকনা খাবার নিয়ে যেতে পারেন…
আমাদের সময় স্বল্পতার কারনে গুলিয়াখালি,বাঁশবাড়িয়া যেতে পারিনি।আপনারা যারা যেতে চান তারা এই দুইটা প্লেসও সাথে ঘুড়ে আসতে পারেন।
আর খরচটা কেমন হয়েছিল..? আমাদের ট্যুরটা একটু ডিফরেন্ট ছিল।তাই খরচ সম্পর্কে কিছু বললাম না।আর আমরা কুমিল্লা থেকে গিয়েছি ত তাই খরচ খুব কম হয়েছে…..
দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে ট্যুরিস্টদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
সবশেষে যারা ১২০০ ফুট উপরে উঠতে চান তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো 😀 😀

Post Copied From:Sabik Rahman‎>Travelers of Bangladesh (To

কমলদাহ ট্রেইল+ গুলিয়াখালি ট্যুর

I guess বাংলাদেশের most underrated trail গুলোর মধ্যে একটি। কমলদাহ ট্রেইলে যাওয়ার আগে ফেসবুক, ব্লগ অনেক ঘাটাঘাটি করে হাতে গোনা কিছু ঝর্না-ক্যাসকেড এর নাম ই পেলাম। স্পেশালি রূপসী এবং ছাগলকান্ধা নিয়েই ম্যাক্সিমাম রিভিউ অথচ এই ট্রেইলের প্রতি বাকেবাকে যে এতোএতো রহস্য লুকিয়ে আছে তা কয়জন ই জানে। ☺☺ট্রাস্ট মি, আপনার একটি বিস্ময় কাটতে না কাটতেই নতুন কোন বিস্ময় আপনার সামনে চলে আসবে।এই ট্রেইলে আপনি পাবেন ১৭ টির মতো ঝর্না+ ক্যাসকেড, সো বুঝতেই পারছেন কি আছে এর বাকে বাকে।

আমার কাছে এই ২ ট্রেইলের চেয়ে অনেক বেশি রকম ভালো+ এডভেঞ্চারিয়াস লেগেছে কমলদাহ।
যাই হোক ডিরেক্ট ট্যুর রিভিউ তে যাওয়া যাক :
আমি মোটামুটিভাবে সবকিছু in details এ বলার চেষ্টা করবো, তারপরেও কিছু জানার থাকলে feel free to ask.
এয়ারপোর্ট টু ফেনী (মেইল ট্রেন, ৯০ টাকা)>ফেনী স্টেশন টু মহিপাল (১৫)>ব্রেকফাস্ট (৪৫ টাকা)> মহিপাল টু বড়দারোগাহাট (৪০)>কমলদাহ ট্রেইল ( গাইড খরচ ৭০ টাকা)>দুপুরের খাবার (১০০)>বড়দারোগাহাট টু গুলিয়াখালি (৬০)> গুলিয়াখালি টু সীতাকুণ্ড (৩০টাকা)> সীতাকুন্ড টু মহিপাল (৬০ টাকা) > রাতের খাবার(৮০)>মহিপাল টু ঢাকা (৩০০)।
উপরের সবগুলো হিসেব Per person এর জন্য দেয়া, আমাদের খরচ হয়েছে মোট ৮৯০ টাকা প্রতিজন। আমরা সংখ্যায় ৯ জন ছিলাম। চেষ্টা করবেন ১০ জনের টিম যাওয়ার এতে খরচ বাচবে ☺☺আমাদের ১ দিনের শর্ট ট্যুর ছিল।
কমলদাহ ট্রেইল নিয়ে কিছু কথা : যারা এক্সট্রিম ট্যুর পছন্দ করেন তাদের জন্য একদম পারফেক্ট প্লেস এটা। রূপসী+ছাগলকান্ধা+দুধতলী+ সাতমারাধর+আটমারাধর+ বৈদ্য+ পাথরভাঙা এই ৭ টি ঝর্না এই রূটের পপুলার ঝর্না। ছাড়াও এই রূটে আরো ৫ টি ঝর্না আছে যার মধ্যে ৩ টির নাম ই এখনো দেয়া হয়নি ( খুব বেশি রকমের টাফ রূট ২ টিতে যাওয়ার, জাস্ট ২ আঙুলের উপর ভর দিয়ে সারা বডির ওয়েট রাখতে হবে কিছু জাগায়) একদম ডু ওর ডাই সিচুয়েশন যাকে বলে। মোটেও বাড়িয়ে বলছি না, ভিডিও করার ইচ্ছা ছিল বাট কোনভাবেই ক্যামেরা বের করতে পারি নি ওই সিচুয়েশন এ। যাদের ট্রেক করার এক্সপেরিয়েন্স নেই তাদের না যাওয়াই ভালো এরকম প্লেসে, ঝর্নাটি এতোটাই দূর্গম প্লেসে যে স্থানীয় লোকরাও নাকি এখানে আসে না ( আমাদের গাইড বলছিল এটার নাম নেই, আমারা যেনো কোন নাম দিয়ে যাই)।
বেশ লম্বা ট্রেইল, মোটামুটি হাতে ৮ ঘন্টা সময় নিয়ে যাবেন, এর বেশি হলে ভালো। প্রথমবার গেলে গাইড নিবেন নাহলে সবগুলো দেখতে পারবেন না, স্পেশালি ৩ টা ঝর্না বেশ দূর্গম পথে( আমি নিজেও ভুলে গেছি কিভাবে গাইড আমাদের নিয়ে গিয়েছে) 😂😂
কিভাবে যাবেন??
– বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে বড়দারোগারহাট নামবেন। বড়দারোগা থেকে উলটা( ঢাকার দিকে) তাকালেই দেখবেন ইটের ভাটা আছে ওই পথ ধরে আগাতে থাকবেন।
– পথে ২ টা খাবার হোটেল পাবনে, পুকুরের পাশে একটি হোটেল দেখবেন (ওইখানে খাবার অর্ডার দিয়ে যাবেন, আর কিন্তু সামনে হোটেল নেই) ওদের কাছেই ব্যাগ রেখে যাবেন (রান্না বেশ মজা, ট্রেকে গিয়ে এরকম রান্না খুব কম ই পেয়েছি) মালিকের নাম জয়নাল, বেশ ভালো মানুষ। সব ঘুড়ার ইচ্ছা থাকলে এখান থেকেই গাইড নেয়া ভালো, উনার ভাই মফিজ ( অস্থির লোক,গাইড্রা নরমালি একটু ফাকিবাজ হয় বাট উনি উল্টো আমাদের জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল, আমরা তো জানতাম ও না এতোগুলো ঝর্না আছে এখানে।01821573302 ( জয়নাল চাচার নাম্বার, উনাকে বললেই উনি সব এরেঞ্জ করে দিবেন)। গাইড খরচ ৬০০-৭০০ ( যে সার্ভিস দিছে টাকা উশুল হয়ে গেছে)
– সামনে এগুলো একটা ঝিরিপথ পাবেন, রাস্তাটা ২ ভাগে বিভক্ত।একদিকে রুপসী আরেকদিকে ২ টা ঝর্না( নাম বলতে পারে নাই) বামদিকে আগে যাবেন ( ওই ২ টা ঘুড়ার জন্য) তারপর ব্যাক করে আবার ঝিরিপথে এসে ডানদিকে
– ডানদিকে রুপসী ঝর্না পাবেন। একটু হাটলেই।
– কমলদহের উপরে উঠেই ছোট একটি ক্যাসকেড* (আল্লাহর খুম) পার হয়ে ঝিরি পথে গেলে একটু পর ঝিরিপথ দুভাগ পাবেন। হাতের বামে একটি এবং ডানে একটি
-হাতের বামের ঝিরি পথে যাবেন প্রথমে।
-এই ঝিরিপথে গেলে কিছুটা দুর গেলে আবারো দেখবেন হাতের ডানদিকে আরেকটি ঝিরি পথ পাবেন (এইটায় এখোনি যাবেন না)
-সোজা ঝিরিপথে একটু এগুলে ছাগলকান্দা ঝর্ণা পাবেন (এটার উপরে উঠতে চাইলে পাশের পাহাড় দিয়ে উঠতে পারবেন, রাস্তাটা খুঁজে নিয়েন)
-ছাগলকান্দা ঝর্ণা দেখে ফিরার সময় ৪নং পয়েন্টে যে হাতের ডানের ঝিরি কথা বলছিলাম ঐটা দিয়ে যাবেন এখন
-একটু আগালে একটা ক্যাসকেড পাবেন, ঐ ক্যাসকেডের পাশ দিয়ে খুব রিস্কি পথ দিয়ে ক্যাসকেডের উপরে যাবেন।
– তারপর সামনে এগুলো আবারো দুটি ঝিরিপথ পাবেন।
-দু ঝিরিপথের শেষ মাথায় দুটি ঝর্ণার দেখা পাবেন।
স্পেশালি ডানেরটা দিয়ে গেলে বড় ঝর্না পাবেন, এটার উপরে উঠলে আরো ঝিরিপথ আছে, একটু আগিয়ে কিছু ক্যাস্কেড পাবেন, তারপর পাহাড় বেয়ে আবার উপরে উঠলে পাবেন আরো একটি ঝর্না
-ঐখান থেকে ব্যাক করে ৪ নং পয়েন্টে আসবেন, তারপর ২নং পয়েন্টে ফিরে আসবেন।
-এবার ২ নং পয়েন্টের ডানের ঝিরিতে যাবেন, মাঝখানে একটি ঝর্ণা পাবেন। এই ঝর্নার পাশের হাল্কা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে উপরে উঠে পড়ুন,
-এরপর আবারো ঝিরিপথ পাবেন, একটু এগুলো আরেকটি ক্যাসকেড পাবেন। এই ক্যাসকেড ডিঙিয়ে উঠে পড়ুন।
– তারপর ঝিরিপথে একটু এগুলে সব শেষে ছোট একটি ঝর্না পাবেন, তখন মনে হবে আর সামনে যাওয়া যাবে না।
-এখানে থেমে ছোট এই ঝর্ণাটির পাথর বেয়ে উপরে উঠে যাবেন, উঠার পরই নিজেকে অন্ধকার এক সুরঙ্গে আবিষ্কার করবেন। সামনে এগুবেন… ২মিনিট পরই পাথরভাঙ্গা ঝর্ণার দেখা পাবেন ।
– ঝর্না দেখে আবার ব্যাক করবেন একদম যেখান থেকে শুরু করেছেন। একটু আগালেই দেখবে হাতের বামে একটি, ডানে একটি রাস্তা আছে ( ডানের টি দিয়ে গেলে রুপ্সী দিয়ে নামতে পারবেন)। তবে ওইটা দিয়ে যাবেন না, বাম দিয়ে যাবেন (শর্টকাট) একটু আগালেই দেখবেন নিচে নামার পাহাড়ি রাস্তা, নামলেই সমতল ভূমি পেয়ে যাবেন। এরপর হাটতে থাকবেন একসময় দেখবেন ঠিক যেখান থেকে শুরু করেছেন সেখানেই চলে আসবেন।
গুলিয়াখালি বীচ :
ওইটাকে আসলে সীবিচ বলা উচিত না ( আমি এটলিস্ট সীবিচ বলতে যা বুঝি)। যারা নিরিবিলি পছন্দ করেন তাদের জোস লাগবে, খুব সাজানো প্লেস একটা। মনে হচ্ছিল প্রকৃতিক ভাবে না, মানুষ নিজের মতো করে গুছিয়ে বানিয়েছে। তবে সাগরের পানি বেশ নোংরা, পানিতে নেমে ধাপাধাপি করতে চাইলে না যাওয়াই বেটার।
কিভাবে যাবেন?
বড়দারোগাহাট থেকে রিসার্ভ লেগুনায় গুলিয়াখালি বাধ, ওইখান থেকে পায়ে হেটেও যেতে পারেন/ বোটে করেও যেতে পারেন ( বোটে ভাড়া ৫০)। হেটে( খালিপায়ে) যাবেন, ঢাকার পিচ ঢালা রাস্তায় বড় হওয়া মানুষদের এরকম সবুজ ঘাষের উপরে হাটতে ভালো লাগাই উচিত।
কিছু টিপস:
1. মেইল ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ৯:৩০ এর মধ্যে কমলাপুর চলে যাবেন এবং প্লাটফর্ম এর শেষ মাথায় দাড়াবেন, এতে সিট পাওয়ার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে।
2. লোকাল বাসে উঠার আগে দামাদামি করে নিবেন .
ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখবেন, সাথে পানি ক্যারি করবেন, প্লাস্টিক এর জুতা ব্যবহার করবেন।
3. সব ঘুড়তে চাইলে গাইড নিবেন ( অনেক কনফিউজিং রূট), আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তুলে ধরার (কতোটুকু মনে রাখতে পারছি, জানি না)
#Happy_Traveling

Post Copied From:Ashik Samad‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

কমলদাহ ট্রেইল এবং গুলিয়াখালি ট্যুর

I guess বাংলাদেশের most underrated trail গুলোর মধ্যে একটি। কমলদাহ ট্রেইলে যাওয়ার আগে ফেসবুক, ব্লগ অনেক ঘাটাঘাটি করে হাতে গোনা কিছু ঝর্না-ক্যাসকেড এর নাম ই পেলাম। স্পেশালি রূপসী এবং ছাগলকান্ধা নিয়েই ম্যাক্সিমাম রিভিউ অথচ এই ট্রেইলের প্রতি বাকেবাকে যে এতোএতো রহস্য লুকিয়ে আছে তা কয়জন ই জানে। ☺☺ট্রাস্ট মি, আপনার একটি বিস্ময় কাটতে না কাটতেই নতুন কোন বিস্ময় আপনার সামনে চলে আসবে।এই ট্রেইলে আপনি পাবেন ১৭ টির মতো ঝর্না+ ক্যাসকেড, সো বুঝতেই পারছেন কি আছে এর বাকে বাকে। আমি কিছুদিন আগেই খৈয়াছড়া+ নাপিত্তাছড়া নিয়ে একটি রিভিউ দিয়েছিলাম গ্রুপে,
আমার কাছে এই ২ ট্রেইলের চেয়ে অনেক বেশি রকম ভালো+ এডভেঞ্চারিয়াস লেগেছে কমলদাহ।
যাই হোক ডিরেক্ট ট্যুর রিভিউ তে যাওয়া যাক :
আমি মোটামুটিভাবে সবকিছু in details এ বলার চেষ্টা করবো, তারপরেও কিছু জানার থাকলে feel free to ask.
এয়ারপোর্ট টু ফেনী (মেইল ট্রেন, ৯০ টাকা)>ফেনী স্টেশন টু মহিপাল (১৫)>ব্রেকফাস্ট (৪৫ টাকা)> মহিপাল টু বড়দারোগাহাট (৪০)>কমলদাহ ট্রেইল ( গাইড খরচ ৭০ টাকা)>দুপুরের খাবার (১০০)>বড়দারোগাহাট টু গুলিয়াখালি (৬০)> গুলিয়াখালি টু সীতাকুণ্ড (৩০টাকা)> সীতাকুন্ড টু মহিপাল (৬০ টাকা) > রাতের খাবার(৮০)>মহিপাল টু ঢাকা (৩০০)।
উপরের সবগুলো হিসেব Per person এর জন্য দেয়া, আমাদের খরচ হয়েছে মোট ৮৯০ টাকা প্রতিজন। আমরা সংখ্যায় ৯ জন ছিলাম। চেষ্টা করবেন ১০ জনের টিম যাওয়ার এতে খরচ বাচবে ☺☺আমাদের ১ দিনের শর্ট ট্যুর ছিল।
কমলদাহ ট্রেইল নিয়ে কিছু কথা : যারা এক্সট্রিম ট্যুর পছন্দ করেন তাদের জন্য একদম পারফেক্ট প্লেস এটা। রূপসী+ছাগলকান্ধা+দুধতলী+ সাতমারাধর+আটমারাধর+ বৈদ্য+ পাথরভাঙা এই ৭ টি ঝর্না এই রূটের পপুলার ঝর্না। ছাড়াও এই রূটে আরো ৫ টি ঝর্না আছে যার মধ্যে ৩ টির নাম ই এখনো দেয়া হয়নি ( খুব বেশি রকমের টাফ রূট ২ টিতে যাওয়ার, জাস্ট ২ আঙুলের উপর ভর দিয়ে সারা বডির ওয়েট রাখতে হবে কিছু জাগায়) একদম ডু ওর ডাই সিচুয়েশন যাকে বলে। মোটেও বাড়িয়ে বলছি না, ভিডিও করার ইচ্ছা ছিল বাট কোনভাবেই ক্যামেরা বের করতে পারি নি ওই সিচুয়েশন এ। যাদের ট্রেক করার এক্সপেরিয়েন্স নেই তাদের না যাওয়াই ভালো এরকম প্লেসে, ঝর্নাটি এতোটাই দূর্গম প্লেসে যে স্থানীয় লোকরাও নাকি এখানে আসে না ( আমাদের গাইড বলছিল এটার নাম নেই, আমারা যেনো কোন নাম দিয়ে যাই)।
বেশ লম্বা ট্রেইল, মোটামুটি হাতে ৮ ঘন্টা সময় নিয়ে যাবেন, এর বেশি হলে ভালো। প্রথমবার গেলে গাইড নিবেন নাহলে সবগুলো দেখতে পারবেন না, স্পেশালি ৩ টা ঝর্না বেশ দূর্গম পথে( আমি নিজেও ভুলে গেছি কিভাবে গাইড আমাদের নিয়ে গিয়েছে) 😂😂
কিভাবে যাবেন??
– বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে বড়দারোগারহাট নামবেন। বড়দারোগা থেকে উলটা( ঢাকার দিকে) তাকালেই দেখবেন ইটের ভাটা আছে ওই পথ ধরে আগাতে থাকবেন।
– পথে ২ টা খাবার হোটেল পাবনে, পুকুরের পাশে একটি হোটেল দেখবেন (ওইখানে খাবার অর্ডার দিয়ে যাবেন, আর কিন্তু সামনে হোটেল নেই) ওদের কাছেই ব্যাগ রেখে যাবেন (রান্না বেশ মজা, ট্রেকে গিয়ে এরকম রান্না খুব কম ই পেয়েছি) মালিকের নাম জয়নাল, বেশ ভালো মানুষ। সব ঘুড়ার ইচ্ছা থাকলে এখান থেকেই গাইড নেয়া ভালো, উনার ভাই মফিজ ( অস্থির লোক,গাইড্রা নরমালি একটু ফাকিবাজ হয় বাট উনি উল্টো আমাদের জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল, আমরা তো জানতাম ও না এতোগুলো ঝর্না আছে এখানে।01821573302 ( জয়নাল চাচার নাম্বার, উনাকে বললেই উনি সব এরেঞ্জ করে দিবেন)। গাইড খরচ ৬০০-৭০০ ( যে সার্ভিস দিছে টাকা উশুল হয়ে গেছে)
– সামনে এগুলো একটা ঝিরিপথ পাবেন, রাস্তাটা ২ ভাগে বিভক্ত।একদিকে রুপসী আরেকদিকে ২ টা ঝর্না( নাম বলতে পারে নাই) বামদিকে আগে যাবেন ( ওই ২ টা ঘুড়ার জন্য) তারপর ব্যাক করে আবার ঝিরিপথে এসে ডানদিকে
– ডানদিকে রুপসী ঝর্না পাবেন। একটু হাটলেই।
– কমলদহের উপরে উঠেই ছোট একটি ক্যাসকেড* (আল্লাহর খুম) পার হয়ে ঝিরি পথে গেলে একটু পর ঝিরিপথ দুভাগ পাবেন। হাতের বামে একটি এবং ডানে একটি
-হাতের বামের ঝিরি পথে যাবেন প্রথমে।
-এই ঝিরিপথে গেলে কিছুটা দুর গেলে আবারো দেখবেন হাতের ডানদিকে আরেকটি ঝিরি পথ পাবেন (এইটায় এখোনি যাবেন না)
-সোজা ঝিরিপথে একটু এগুলে ছাগলকান্দা ঝর্ণা পাবেন (এটার উপরে উঠতে চাইলে পাশের পাহাড় দিয়ে উঠতে পারবেন, রাস্তাটা খুঁজে নিয়েন)
-ছাগলকান্দা ঝর্ণা দেখে ফিরার সময় ৪নং পয়েন্টে যে হাতের ডানের ঝিরি কথা বলছিলাম ঐটা দিয়ে যাবেন এখন
-একটু আগালে একটা ক্যাসকেড পাবেন, ঐ ক্যাসকেডের পাশ দিয়ে খুব রিস্কি পথ দিয়ে ক্যাসকেডের উপরে যাবেন।
– তারপর সামনে এগুলো আবারো দুটি ঝিরিপথ পাবেন।
-দু ঝিরিপথের শেষ মাথায় দুটি ঝর্ণার দেখা পাবেন।
স্পেশালি ডানেরটা দিয়ে গেলে বড় ঝর্না পাবেন, এটার উপরে উঠলে আরো ঝিরিপথ আছে, একটু আগিয়ে কিছু ক্যাস্কেড পাবেন, তারপর পাহাড় বেয়ে আবার উপরে উঠলে পাবেন আরো একটি ঝর্না
-ঐখান থেকে ব্যাক করে ৪ নং পয়েন্টে আসবেন, তারপর ২নং পয়েন্টে ফিরে আসবেন।
-এবার ২ নং পয়েন্টের ডানের ঝিরিতে যাবেন, মাঝখানে একটি ঝর্ণা পাবেন। এই ঝর্নার পাশের হাল্কা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে উপরে উঠে পড়ুন,
-এরপর আবারো ঝিরিপথ পাবেন, একটু এগুলো আরেকটি ক্যাসকেড পাবেন। এই ক্যাসকেড ডিঙিয়ে উঠে পড়ুন।
– তারপর ঝিরিপথে একটু এগুলে সব শেষে ছোট একটি ঝর্না পাবেন, তখন মনে হবে আর সামনে যাওয়া যাবে না।
-এখানে থেমে ছোট এই ঝর্ণাটির পাথর বেয়ে উপরে উঠে যাবেন, উঠার পরই নিজেকে অন্ধকার এক সুরঙ্গে আবিষ্কার করবেন। সামনে এগুবেন… ২মিনিট পরই পাথরভাঙ্গা ঝর্ণার দেখা পাবেন ।
– ঝর্না দেখে আবার ব্যাক করবেন একদম যেখান থেকে শুরু করেছেন। একটু আগালেই দেখবে হাতের বামে একটি, ডানে একটি রাস্তা আছে ( ডানের টি দিয়ে গেলে রুপ্সী দিয়ে নামতে পারবেন)। তবে ওইটা দিয়ে যাবেন না, বাম দিয়ে যাবেন (শর্টকাট) একটু আগালেই দেখবেন নিচে নামার পাহাড়ি রাস্তা, নামলেই সমতল ভূমি পেয়ে যাবেন। এরপর হাটতে থাকবেন একসময় দেখবেন ঠিক যেখান থেকে শুরু করেছেন সেখানেই চলে আসবেন।
গুলিয়াখালি বীচ :
ওইটাকে আসলে সীবিচ বলা উচিত না ( আমি এটলিস্ট সীবিচ বলতে যা বুঝি)। যারা নিরিবিলি পছন্দ করেন তাদের জোস লাগবে, খুব সাজানো প্লেস একটা। মনে হচ্ছিল প্রকৃতিক ভাবে না, মানুষ নিজের মতো করে গুছিয়ে বানিয়েছে। তবে সাগরের পানি বেশ নোংরা, পানিতে নেমে ধাপাধাপি করতে চাইলে না যাওয়াই বেটার।
কিভাবে যাবেন?
বড়দারোগাহাট থেকে রিসার্ভ লেগুনায় গুলিয়াখালি বাধ, ওইখান থেকে পায়ে হেটেও যেতে পারেন/ বোটে করেও যেতে পারেন ( বোটে ভাড়া ৫০)। হেটে( খালিপায়ে) যাবেন, ঢাকার পিচ ঢালা রাস্তায় বড় হওয়া মানুষদের এরকম সবুজ ঘাষের উপরে হাটতে ভালো লাগাই উচিত।
কিছু টিপস:
1. মেইল ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ৯:৩০ এর মধ্যে কমলাপুর চলে যাবেন এবং প্লাটফর্ম এর শেষ মাথায় দাড়াবেন, এতে সিট পাওয়ার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে।
2. লোকাল বাসে উঠার আগে দামাদামি করে নিবেন .
ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখবেন, সাথে পানি ক্যারি করবেন, প্লাস্টিক এর জুতা ব্যবহার করবেন।
3. সব ঘুড়তে চাইলে গাইড নিবেন ( অনেক কনফিউজিং রূট), আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তুলে ধরার (কতোটুকু মনে রাখতে পারছি, জানি না)
#Happy_Traveling

Post Copied From:Ashik Samad‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

চন্দ্রনাথ, গুলিয়াখালি আর বাঁশবাড়িয়া

বিগত দুই তিন মাস ধরে আমার সবচেয়ে প্রিয় গ্রুপ Traveller’s of Bangladesh এ চন্দ্রনাথ, গুলিয়াখালি আর বাঁশবাড়িয়া এর পোস্ট দেখে দেখে সিতাকূন্ডে যাবার আগ্রহ বেড়ে যায়।পাশাপাশি সিতাকূন্ড ধাম সনাতন ধর্মাবলম্বিদের পবিত্র স্থান হওয়ায় আর ছোট ভাই আগ্রহ প্রকাশ করায় উতসাহ বেড়ে যায় দুই গুন। সিধ্যান্ত নেই যাবই যাব সিতাকূন্ডে যা আছে কপালে 😂😂
সময় বিষয়ক কিছু তথ্য আসা করি সবার কাজে লাগবে:
তাই চিটাগাং থেকে গত ১৭ ই নভেম্বর সকাল ৭ টায় অলংকার মোড় থেকে বাসে করে রওয়ানা দেই
সিতাকূন্ডের উদ্দেশ্য করে।ড্রাইভার কাকুকে বলা ছিল সিতাকূন্ড বাজার নামিয়ে দিতে।ঠিক ১ ঘণ্টা পর বাজারে পউছে যাই।বাজার থেকে অটোতে করে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে চলে যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট।অইখান থেকে ঢোকার পথে হাতের বাম দিক দিয়ে পাহাড় এর উপরে উঠতে সময় লাগে ১ঘণ্টা ২০ মিনিট। মন্দিরে ঘণ্টা খানিক কাটিয়ে একই পথ দিয়ে নিচে নামতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সোজা বড় বাজারে।
বড় বাজারে রেস্তরাঁ থেকে খেয়ে CNG রিজার্ভ করি বাঁশবাড়িয়া আর গুলিয়াখালি এর উদ্দেশ্য করে।বাজার থেকে প্রথমে বাঁশবাড়িয়া যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা। ওইখান থেকে গুলিয়াখালি CNG তে যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা। এবং গুলিয়খালি থেকে সিতাকূন্ড বাজার এ আসতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। অইখান থেকে বাসে করে ব্যাক টু চিটাগাং।
আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একদিনে সব কাভার করা এবং তাতে আমরা সফল।
ছবিটি গত ১৭ ই নভেম্বর আমার হাতে তোলা।
সত্যিই সুন্দর আমাদের এই বাংলাদেশ

Post Copied From:Pratik Biswas‎>Travelers of Bangladesh (ToB)