মিনি কক্সবাজার

ঘুরে এলাম মৈনট ঘাট, দোহার
মিনি কক্সবাজার নামে ডাকা হয় একে,
১০৬ কিমি: বিচ না হোক ৪/৫ কি:মি: বিচ তো আছেই
ঢাকার কাছে এই টাই বা কম কিসের?

নদীর বিশালতা……
মেঘের কারুকাজ…….
সুর্যের মিষ্টি আলো………
আকাশের নীল………………
পদ্মার অপরুপ সুন্দর্য, আর অপরুপ সুন্দর সুর্যাস্ত দেখতে যেতে পারেন আপনারা।

যেভাবে যাবেন:
২ ভাবে যাওয়া যায়:

১/ গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে দিয়ে দোহার গামি বাসে উঠে পরুন। মনে রাখবেন, দোহারের সব বাস মৈনট ঘাট যায়না, যমুনা ডিলাক্স পরিবহন এবং এন মল্লিক বাস একদম মৈনট ঘাট পর্যন্ত যায়। বাসে উঠার আগে অবশ্যই জিজ্ঞেস করে নিবেন বাসটি কি মৈনট ঘাট যাবে কিনা। গুলিস্তান থেকে মৈনট ঘাট ৯০ টাকা ভাড়া, সময় লাগবে ২ ঘন্টা। মৈনট ঘাট থেকে শেষ বাসটি সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকার উদ্যেশ্যে ছেড়ে আসে, তাই বাসে গেলে ৬ টার আগেই বাসের কাছে চলে আসুন।

২/ মোহাম্মাদপুর বাস স্টান্ড দিয়ে বসিলা ৩ রাস্তা মোরে চলে যাবেন, এখানে থেকে CNG রিজার্ভ নিয়ে যাবেন, শুধু যাওয়া ১০০০ টাকা নিবে, দরাদরি করলে আরো কম নিতে পারে। এক CNG তে ৪ জন বসতে পারবেন।

* যাদের নিজেদের গাড়ী বা বাইক আছে তাদের তো কোন কথাই নেই, আরামে যেতে পারবেন, আর অনেক বন্ধুরা মিলে গেলে মাইক্রো অথবা আরো বেশি হলে বাস রিজার্ভ নিয়ে চলে যান। বাইক পার্কিং নিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তায় থাকে, আসলেই ভয়ের বেপার, না নেয়াটাই ভাল, আর অনেকেই দেখলাম বাইক নিয়েই পানির কাছে চলে গিয়েছে, আর মৈনট ঘাটের পাশে নতুন একটা খাবার হোটেল হয়েছে, ঐটার সামনে বাইক পার্কিং করার যায়গা আছে,

ঘুরে আসুন পদ্মার বুকে, নৌকায় করে ঘুরে বেড়ান
স্পিড বোটেও ঘুরতে পারেন। আমি ছোট সাইজের একটা ট্রলার ভাড়া নিয়েছিলাম ১ ঘন্টার জন্য ২০০ টাকা দিয়ে, একা ছিলাম তাই ভাড়া কম নিয়েছে, এমনিতে ৫০০ করে নেয় ঘন্টা। মজার বেপার, স্রোত কে উপেক্ষা করে আমার ট্রলার প্রায় ২ কি:মি: গিয়ে মাঝি নৌকা মাঝ নদী তে নিয়ে গেল, তার পর ইঞ্জিন বন্ধ করে দিল, একদম নিস্তব্দ, আমি নৌকায় শুয়ে মনের সুখে গান ধরলাম,

“পদ্মার ঢেউ রে……………

শ্রোতা যদিও ছিল মাঝি ভাই। স্রোতের টানে নৌকা একা একাই চলে এল আবার ঘাটের সামনে,

খাবার দাবার ততটা ভাল কিছু পেলাম না যদিও, পাপর ভাজা পাবেন ইন্সট্যান্ট বানানো, মৈনট ঘাট এর পাশে ২ টি হোটেল আছে, চাইলে মাছ দিয়ে ভাত খেতে পারেন দুপুরে। আর পাবেন ফুচকা, আপুদের প্রিয় খাবার যদিও এখন আপুদের পাল্লায় পরে ভাইয়ারাও খায়, টেস্ট করা হয়নাই

আর কার্তিকপুরের নামকরা মিষ্টি খেতে ভুলবেন না।
ওখানে যারা যায় কার্তিকপুর বাজার থেকে মিষ্টি নিয়ে আসে, আমি কিছুই আনিনাই, দু:খিত।

একটা কথা বলে রাখি:
এখানে দুপুরের পরে যাওয়াই ভাল। কারন সকালে গেলে বিকাল পর্যন্ত অনেক রোদ এ আপনাকে কাটাতে হবে, আর এমন যায়গায় আপনি ছাউনি ও পাবেন না। তাই এমন সময় বাসা থেকেকে বের হবেন যেন দুপুরের কিছু পরে পৌছে যান, আর বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সময় টা তে মৈনট তার সুন্দর্য বিলি করে।

সতর্কতা:
যারা সাতার পারেন না তারা পানিতে নামবেন না। নামলেও হাটু পানি পর্যন্ত নামুন, আর যারা সাতার পারেন, তারাও দূরে যাবেন না,
এখানকার গভিরতা অনেক বেশি, এবং স্রোতের টান প্রচুর, ওখানকার কর্তিপক্ষ একটু পর পর পানি তে নামার জন্য বারণ করে।
মনে রাখবেন, আগে নিজের জীবন, সতর্কতা নিজের কাছে।

Post Copied From:Nayeem Hossain>Travelers of Bangladesh (ToB)

ছোট একটা tour এর plan

time duration দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১০ টা। খরচ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা জনপ্রতি। ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়ার বাসে উঠবেন দুপুর ১২ টায়। ভাড়া জনপ্রতি ৭০ টাকা। জ্যাম না থাকলে ১.৩০ টার মধ্যে মাওয়া। ঘাটে গিয়ে যেকোনো হোটেল ইলিশ মাছ, মাছর ডিম, ভর্তা দিয়ে একপেট খেয়ে নিবেন। অমৃত মনে হবে। ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে খাওয়া হয়ে যাবে। এরপর লন্চ এর টিকিট কাটবেন মাঝির ঘাটের। ভাড়া জনপ্রতি ৩৫ টাকা। সময় লাগবে ১.১৫ থেকে ১.৩০ ঘন্টা। দুপুর এর দিকে একটু ভীর থাকে তারপরেও শিতের দুপুরের নরম রোদে লন্চের ডেকে বসে থাকতে খারাপ লাগবে না। পদ্দা সেতুর পাইলিং কাজ দেখতে পারবেন খুব কাছ থেকে। ৪ টার দিকে মাঝির ঘাট নামবেন। গরুর দুধের এক কাপ চা খেয়ে নিতে পারেন। নদীর পাড় ধরে হাটতে পারেন। পড়ন্ত বিকেলে একপাশে নদী আর একপাশে বিভিন্ন সবজির খেত। কখোনো শরিষা খেত। খারাপ লাগবে না মোটেও। কম দামে জাষ্ট খেত থেকে তোলা ফ্রেশ শাক সবজি কিনতে পাবেন। শিতকালে মাঝির ঘাট থেকে ঢাকার লাষ্ট লন্চ সন্ধ্যা ৭ টায়। সাধারনত এই সময় যাত্রী খুব কম থাকে। ডেকের উপর হাত পা ছড়িয়ে বসতে পারবেন। এই ১.৩০ ঘন্টার জার্নি মনে রাখার মত। শুনশান নিরবতা। চারিদিক অন্ধকার। মাথার উপর খোলা আকাশ। মাঝে মাঝে একটু আলো অন্য কোন লন্চের অথবা কোনো ড্রেজার মেশিনের। সব মিলিয়ে ভালোই লাগবে। ৮.৩০ এর দিকে মাওয়া পৌছে যাবেন। ঘাট থেকে ঢাকার অনেক বাস পাবেন।
ইচ্ছা করলে এই tour টাকে আরো expensive or cheap করতে পারেন। মাওয়া ঘাট থেকে মাঝির ঘাট স্পিড বোটে যেতে পারেন। ১৫০ টাকা জনপ্রতি। সময় লাগে ২০ মিনিট। দুপুরের খাবার টা লন্চেই সেরে নিতে পারেন। মেনু্ থাকে সাদা ভাত, ইলিশ ভাজা, মাছের তেল, শুকনা মরিচ ভাজা আর ডাল। পেটে খুধা থাকলে অমৃত মনে হবে। ১০০ টাকায় ভরপেট খেতে পারবেন।

সতকর্তা: মাওয়া থেকে মাঝির ঘাট আর কাওড়াকান্দির লন্চ ছাড়ে। একটু শিওর হয়ে মাঝির ঘাটের লন্চে উঠবেন। নদীর অবস্থা বুঝে স্পিড বোটে উঠবেন। সাধারনত বর্ষাকালে না উঠাই ভালো। ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলবেন না। Local people and culture কে সম্মান দিবেন।

Post Copied From:Jahid Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

পানাম নগর ভ্রমণ

প্রাচীন নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নিদর্শন। প্রায় অনেক দিন ধরেই এই নিদর্শন দেখার ইচ্ছা ছিলো। সময় মিলেছে তো কাউকে পাইনি। আবার কাউকে মিলেছে তখন সময় ছিলো না। এবার দুটো কে একসাথে পেয়ে ইচ্ছাটাকে বাস্তবে রূপ দিলাম। আমরা ৩ জন বন্ধু মিলে পানাম নগরে যাই। এর আগে আমরা “লোকশিল্প জাদুঘর” প্রদর্শন করি। সেখানে অনেক আগের রাজা, শাসক দের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সাজানো আছে। নারীদের অলংকার, বিভিন্ন বাসনকোসন। এছাড়া গ্রাম বাংলার চরিত্র কেমন ছিলো তা দেখেছি। এক কথায় আসলেই খুব সুন্দর একটা যায়গা। 👌
তবে কিছু বিষয় আমাকে বিষাদগ্রস্ত করেছে।
গরু ছাগল বেধে রাখা হয় পানামে। তদারকির জন্য যাদের রাখা হয় তারা ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে না। এছাড়া একটা প্রাচীন যায়গা কে কীভাবে যত্ন করতে হয় তার ধারণা হয়তোবা তাদের মাথায় আন্দাজ করেনা। ইটের প্রাচীরগুলো ভেঙ্গে গেছে অনেক যায়গাতে। কিন্তু আমাদের উচিত এসব সংরক্ষণ করা।
পানাম সিটিতে এন্ট্রি ফিঃ ১৫/=(জনপ্রতি)
লোকশিল্প জাদুঘরে এন্ট্রি ফি ৩০/=(জনপ্রতি)

কীভাবে যাবেনঃ
ঢাকার গুলিস্তান থেকে মোগড়াপাড়া যাওয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জ গামী যেকোনো বাসে উঠে যেতে পারেন।। ভাড়া ৩০-৩৫ টাকা পড়বে(জনপ্রতি)। এরপর সেখানে নেমে অটোরিকশা করে সোজা পানামসিটি। ভাড়া ১৫ টাকা (জনপ্রতি)

 Post Copied From: