ষাইট্টার বটগাছ

মনে হয়না ঢাকার এত কাছে এত বড় আর কোন মহীরুহ টিকে আছে এখনো। বিশাল এলাকা নিয়ে অবস্থিত ষাইট্টার বটগাছটি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে একটা সবুজ তাবু বিছানো। তলে আসলে মনে হবে সেই সবুজ তাবুতে ঢুকে পড়েছেন। গাছ আসলে দুইটা। একটা বট-আরেকটা পাকুড়। নিচে মন্দিরও আছে। এলাকায় এই বটগাছকে নিয়ে নানা মিথ প্রচলিত। বিশেষ করে পূর্ণিমা রাতে গাছতলে একদল শিশুকে খেলা করতে দেখেছেন এমন দাবীদার প্রত্যক্ষদর্শী দু-তিনজনের সাথে কথা হলো। আরেক কাহিনী শুনলাম ধানতারা বাজারে। এই বটগাছের ডাল কাটলে নাকি ক্ষতি হয় তাই এভাবে মাটি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ডালপালা। ডাল পালা কেটে কয়েকজন মারা গেছেন তাই নাকি ভয়ে কেউ ডাল কাটে না। যাই হোক আমি এসব বিশ্বাস করিনা কিন্তু শুনতে বেশ ভালোই লাগে।

যেভাবে যাবেন: গাবতলী থেকে বাসে ধামরাই, ধামরাই থেকে লেগুনায় ধানতারা বাজার, সেখান থেকে রিকসায় ষাইট্টার বটগাছ বললেই নিয়ে যাবে

Post Copied From:Apu Nazrul>Travelers of Bangladesh (ToB)

পুরান ঢাকার মোগল স্থাপনা “হোসেনী দালান ও ইমামবাড়া”

ঘুরে আসলাম পুরান ঢাকার মোগল স্থাপনা ” হোসেনী দালান ও ইমামবাড়া” থেকে মোগল শাসনামলে ১৭শ শতকে নির্মিত হয়। ইমারতটি হোসেনের কারবালার প্রান্তরে মৃত্যুবরণ স্মরণে নির্মিত।

প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো এ স্থাপনা মোগল আমলের ঐতিহ্যের নিদর্শন। মোগল সম্রাট শাহজাহানের আমলে এটি নির্মিত হয়।

গাবতলী থেকে ঠিকানা / শুভেচ্ছা গাড়ি করে চাঁনখারপুল ভাড়া নিবে ২০ টাকা করে। সেখানে হেটে কিম্বা রিকসা করে হোসেনী দালান।

বাংলাদেশেররাজধানী ঢাকা শহরের পুরানো ঢাকা এলাকায় অবস্থিত একটি শিয়া উপাসনালয় এবং কবরস্থান। বিকল্প উচ্চারণ হুস্নী দালান এবং ইমারতের গায়ে শিলালিপিতে ফারসী ভাষায় লিখিত কবিতা অনুসারে উচ্চারণ হোসায়নি দালান। এটি মোগল শাসনামলে ১৭শ শতকে নির্মিত হয়। ইমারতটি মুহাম্মদের পৌত্র হোসেনের কারবালার প্রান্তরে মৃত্যুবরণ স্মরণে নির্মিত। প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো এ স্থাপনা মোগল আমলের ঐতিহ্যের নিদর্শন। মোগল সম্রাট শাহজাহানের আমলে এটি নির্মিত হয়।[১] এর নির্মাণকাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। ইমামবাড়ার দেয়ালের শিলালিপি থেকে জানা যায়, শাহ সুজার সুবেদারির সময় তাঁর এক নৌ-সেনাপতি মীর মুরাদ এটি হিজরী ১০৫২ সনে (১৬৪২ খ্রিস্টাব্দ) সৈয়দ মীর মোরাদ কর্তৃক নির্মিত হয়।তিনি প্রথমে তাজিয়া কোণা নির্মাণ করেন। ইমামবাড়া তারই পরিবর্ধিত আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া তাঁর ‘বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ’ বইয়ে ভবনের দেয়ালে লাগানো শিলালিপির কথা উল্লেখ করেছেন। প্রত্নতাত্তি্বকরা পরীক্ষার পর দেখেছেন ওই শিলালিপিটি নকল নয়। শিলালিপিতে উল্লেখ রয়েছে নির্মাতা হিসেবে মীর মুরাদের নাম। ঐতিহাসিক এম হাসান দানীও বলেছেন, ‘মীর মুরাদই এখানে প্রথম ছোট আকারের একটি ইমামবাড়া স্থাপন করেছিলেন। পরে এটি ভেঙে যায় এবং নায়েব-নাজিমরা নতুন করে তা নির্মাণ করেন। ইতিহাসবিদ জেমস টেলর তাঁর বইয়ে উল্লেখ করেন, ১৮৩২ সালেও আদি ইমামবাড়া টিকে ছিল। ইস্ট-ইন্ডিয়া কম্পানির আমলে দুই দফায় ইমামবাড়ার সংস্কার হয়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ভবনটি প্রায় বিধ্বস্ত হয়।পরে খাজা আহসানউল্লাহলক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে তা পুন:নির্মাণ ও সংস্কার করেন। ১৯৯৫-এ একবার এবং পরবর্তীতে ২০১১ তে পুনর্বার দক্ষিণের পুকুরটির সংস্কার করা হয়। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে পুর্রহোসেনী দালান ইমামবাড়ার সংস্কারসাধন ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়।
বিবরণসম্পাদনা
হোসেনী দালানের দক্ষিণাংশে রয়েছে একটি বর্গাকৃদির পুকুর। এর উত্তরাংশে শিয়া বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের কবরস্থান অবস্থিত। দালানটি সাদা বর্ণের, এবং এর বহিরাংশে নীল বর্ণের ক্যালিগ্রাফি বা লিপিচিত্রের কারূকাজ রয়েছে। একটি উঁচু মঞ্চের ওপর ভবনটি নির্মিত। মসজিদের অভ্যন্তরেও সুদৃশ্য নকশা বিদ্যমান।
২০১১’র সংস্কারসম্পাদনা ইরান সরকারের উদ্যাগে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে হোসেনী দালানের ব্যাপক সংস্কার সাধন করা হয়। ইরান সরকার এতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে। ইরানের স্থপতিবিদ ও শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ফলে ইরানের ধর্মীয় স্থাপনার বাহ্যিক রূপ ও নান্দনিকতা এ সংস্কার কাজে প্রতিফলিত হয়েছে। মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সংস্কারের আগে ভেতরে রং-বেরঙের নকশা করা কাচের মাধ্যমে যে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল, তা পরিবর্তন করে বিভিন্ন আয়াত ও মুদ্রা লিখিত নীল রঙের টাইলস লাগানো হয়েছে। একইভাবে এর পূর্বদিকের ফটকে এবং উত্তর দিকের চৌকোনা থামগুলোয় আয়াত ও সুরা লিখিত নীল রঙের টাইলস লাগানো হয়েছে। টাইলসগুলো ইরান থেকে আমদানি করা এবং এতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইরানের ধর্মীয় শিল্প

Post Copied From:Mohammad Sajib Khan Regan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)