৪০০০ টাকায় সেন্টমার্টিন ঘুরাঘুরি

৩ কাজিন মিলে সেন্টমার্টিন ঘুরে এলাম ২ রাত, ৩ দিন জনপ্রতি মাত্র ৪০০০ টাকায়।

গাবতলি থেকে হানিফ বাসে ভাড়া ৯০০ টাকা টেকনাফ পর্যন্ত।টেকনাফে সকালের নাস্তা ৫০ টাকায়।আমাদের Plan ছিলো যাবো জাহাজে এবং তৃতীয় দিন সকালে ট্রলারে টেকনাফ গিয়ে কক্সবাজার যাবো,ওখানে সারাদিন কাটিয়ে রাতের বাসে ঢাকা।তাই শুধু জাহাজে যাওয়ার টিকিট কাটি ৩২৫ টাকা। সেণ্টমার্টিন পৌঁছাই ১২ টার দিকে।এখান থেকে আমরা Hotel sand shore এ ৪ জনের এক রুম নিলাম ২ রাতের জন্য ১০০০ টাকায়(জনপ্রতি ৩৩৩ টাকা)। এরপর দুপুরের খাবারের জন্য ১০০ টাকার প্যাকেজ নিলাম। ভাত, ডাল, আলু ভর্তা,আর শুটকি মাছের চর্চরি। এরপর একটু রেস্ট নিয়ে বীচে চলে গেলাম,গোসল করে রুমে ফেরত আসলাম। সন্ধ্যায় নাস্তা করে,মুরগীর বারবিকিউ অর্ডার করে চলে গেলাম বিচে। আমাদের পার পারসন ১৫০ টাকা করে লেগেছে। বিচে live টুনামাছ,চিংড়ি,কাকড়া ভাজা খেলাম ৩ জনে,নিলো ২০০ টাকা।রাত ১০টায় BBq খেলাম।খেয়ে আবারও বিচে গেলাম,জোসনা উপভোগ করতে।সেখানে ডাবলসিট ভাড়া করলাম ৫০ টাকা দিয়ে unlimited সময়ের জন্য।পরের দিন সকালে ৫০ টাকায় নাস্তা সেরে পুরো দ্বীপ +ছেঁড়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে সাইকেল ভাড়া নিলাম ৩ঘন্টার জন্য ১৫০ টাকা জনপ্রতি।পথে ডাব খেলাম ৫০ টাকার,এক ডাবে ৩ জনের পেট ভরে গেলো।ঘুরে এসে বীচে গোসল করলাম।বীচ থেকে ১:৩০ এর মধ্যে ফিরে এসে আবার দুপুরের খাবার খেলাম ১০০ টাকার প্যাকেজ এ।ফিরলাম হোটেলে।বিকেলে পাশের হালকা নাস্তা করে,সেখান থেকে কক্সবাজার টু ঢাকার টিকেট কাটলাম ৮০০ টাকা দিয়ে,তুবা লাইনে। তারপর এক হোটেল তিনজনের জন্য একটি সামদ্রিক মাছের bbq অর্ডার দিয়ে,চলে গেলাম বিচে,কোরাল হাফ কেজি নিয়েছিলাম ৩০০ টাকা,সাথে পরটা।রাত ১০টায় ফোন দিলো bbq ready.খেয়ে আবার বিচে।পরের দিন সকালে নাস্তা করে,ট্রলারে উঠে পরলাম ২১০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে,ছাড়লো ১০টায়।টেকনাফ পৌছালাম, ১টায় (এমন আস্তে চলে),সেখান থেকে জনপ্রতি ১৫০ টাকায় কক্সবাজারের গাড়ীতে উঠলাম। পথে পুলিশ চেকিং হলো ৬ বার,সারাদিন না খাওয়া+বুঝলাম কক্সবাজারে আর দিন কাটানো হলো না।সন্ধ্যায় পৌছালাম।বার্মিজ মার্কেটে হালকা কেনাকাটা করে, রাত ১৫০ টাকা দিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে, বীচে ঘোরাঘুরি করে ১০ টায় ঢাকার বাসে উঠে পরলাম।

 

এক দিনে দুই জমিদারবাড়ি

১. পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি (তিন মহলা)
২. বালিয়াটি জমিদারবাড়ি

(আগের পোস্টে কিছু তথ্য কম ছিল যা অনেকেই ইনবক্স করে জানতে চেয়েছেন। আশা করি এখানে তা পাবেন। আগের পোস্টটি মুছে ফেলার জন্য দু:খিত।)

গাবতলি থেকে ‘এস-বি-লিংক’ এ পাকুটিয়া যেতে পারেন। ভাড়া জনপ্রতি ৯০ টাকা। বাস থেকে নেমেই চোখে পড়বে জমিদার বাড়ি।

এখানে দেখবেন একই নকশার উপর তিনটি প্যালেস। তিনটি স্থাপনাই অপূর্ব সুন্দর। আপনার অপছন্দ হবে না।

প্রতিটি মহলের রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য। লতাপাতার চমৎকার কারুকাজ আপনাকে মুগ্ধ করবে। প্রতিটি বাড়ীর মাঝ বরাবর মুকুট হিসাবে লতা ও ফুলের অলংকরণে কারুকার্য মন্ডিত পূর্ণাঙ্গ দুই সুন্দরী নারী মুর্তি এবং সাথে এক মূয়ূর সম্ভাষণ জানাচ্ছে অথিতিকে। কার্নিশের উপর রয়েছে বিভিন্ন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য সুন্দর সুন্দর ছোট আকৃতির নারী মূর্তি। তিনটি স্থাপনাই অপূর্ব শিল্প সুষমামণ্ডিত। এছাড়াও দেখবেন নাট মন্দির, বিশাল মাঠ এবং দ্বিতল নাচঘর।

‘উপেন্দ্র সরোবর’ নামে বিশাল একটি পুকুর এই উপজেলায় আছে যা স্থানীয় ভাবে ‘বারো ঘাটলা পুকুর’ নামে পরিচিত।(এখানে যেতে হলে সময় ও খরচ একটু বেশি লাগবে। আপনাদের হাতে সময় থাকলে যেতে পারেন। )

পাকুটিয়া টাংগাইল এ হলেও কাছাকাছি টাংগাইলের বিখ্যাত চমচম পাইনি। তবে হরেক রকম মিষ্টি পাবেন যা তাজা এবং বানানোর প্রক্রিয়াও কিছুটা দেখতে পাবেন।

পাকুটিয়া দেখে চলে যান বালিয়াটিতে। পাকুটিয়া থেকে বাসে বা সিএনজিতে যেতে পারেন। ভাড়া নিবে ১৫/৩০ টাকা। (ঈদের জন্যা আমাদের থেকে ৪০ টাকা করে নিয়েছে)

বালিয়াটিকে জমিদারবাড়ি না বলে রাজপ্রাসাদই বলা চলে। লিখে এর সৌন্দর্য বর্ণনা করা সম্ভব না। এখানে রয়েছে চারটি প্রাসাদ আর এদের অন্দরমহল। প্রাসাদে প্রবেশের জন্য রয়েছে চারটি সিংহদুয়ার। প্রাসাদের সামনে ও পেছনে বিশাল পুকুর। ‘রং মহল’ নামে একটি প্রাসাদে জাদুঘর করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে জমিদারদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিশপত্র। জমিদারদের ব্যবহৃত দৃষ্টিনন্দন অনেকগুলো আয়না আছে সেখানে। জমিদারদের আয়নায় দেখতে পারেন নিজেকে।😜😜
প্রাসাদের পেছনে অন্দরমহল একদম পেছনে দৃষ্টিনন্দন পুকুর।

সব দেখে চলে আসুন সাটুরিয়া (ভ্যান/সিএনজি ভাড়া ২০/১৫)। সাটুরিয়া থেকে এস-বি-লিংকে ঢাকা (ভাড়া ৭৫)।

যাতায়াত: মোট খরচ হবে ২০০/২২০ টাকা। (গাবতলি-পাকুটিয়া-সাটুরিয়া-গাবতলি) বাকিটা আপনার পার্সোনাল খরচ।

খাওয়াদাওয়া : পাকুটিয়া ও বালিয়াটিতে ছোটখাটো খাবার হোটেল আছে। সারুটিয়ার ভালো মানের খাবার হোটেল পাবেন।

এটা এক দিনের ট্যুর। সকাল ৭/৮ টায় বাসে উঠলে রাত ৭/৮ টায় ফিরে আসতে পারবেন।(সময় মত রওনা দিলে)

পাকুটিয়ার সবসময় খোলাই থাকে। একটি বাড়ি কলেজ হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। বাকি দুইটাও ব্যবহার করা হচ্ছে । তাই অফডে তে গেলে ভালো করে ঘুরতে পারবেন।যেকোন দিন গেলেও সমস্যা নাই।

আর বালিয়াটি রবিবার বন্ধ। সোমবার অর্ধ-দিবস খোলা। (সরকারি ছুটির দিন বন্ধ)

বাইক নিয়ে যাওয়া যাবে।(রাস্তা খুব বেশি খারাপ না)😂😂

জমিদারবাড়িতে এখন জমিদার নাই তাই হাতি ঘোড়াও নাই। কেউ হাতি ঘোড়া দেখার আশা করে যাবেন না।😒😒

সব মিলিয়ে ৫০০ টাকায় খুব ভালোভাবে ঘুরে আসতে পারবেন। চাইলে ৩০০/৪০০ টাকা দিয়েও সম্ভব।

ছবি তোলার জন্য জায়গাটা দারুণ

Post Copied From:Shahadat H Apu‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

তুমি হও যমুনা রাধে আমি ডুইবা মরি

কোথায় পাবো হার কলসি কোথায় পাবো দড়ি? তুমি হও যমুনা রাধে আমি ডুইবা মরি”। আহ, রাধার জন্য কৃষ্ণ যমুনাতে ডুবিয়া মরিতে চায়, আবার এর তীরেই সৌধ হয়ে আছে মমতাজ-শাহজাহানের তাজমহল। মহাকালের আরো কতো যে হৃদয় ঘটিত ঘটনার সাক্ষী এই যমুনা। এজন্য যমুনাকে দেখার লোভ কেইবা সামলাতে পারে। তাই একদিনের ছুটিতে একা, দোকলা অথবা দলবল নিয়ে চলে যেতে পারেন সিরাজগঞ্জের হার্ডপয়েন্ট বাঁধে। এখানে শেষ বিকেলের আলোর সাথে যমুনা নদীর সৌন্দর্য এক কথায় অপার্থিব মনে হবে।

যেভাবে যাবেনঃ মিরপুর ২, গাবতলি, সাভার থেকে এস আই এন্টারপ্রাইজের গাড়ি সরাসরি যায় সিরাজগঞ্জ শহরে। আবার মহাখালি থেকেও একই বাস সরাসরি সিরাজগঞ্জ যায়। গাবতলি থেকে সময় লাগবে প্রায় ৩.৫-৪ ঘণ্টা। শহরে নেমেই রিকশাওয়ালা মামাকে বললেই হার্ডপয়েন্ট বাঁধে নিয়ে যাবে। সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিট। সিরাজগঞ্জ শহরকে বছরের পর বছর টিকিয়ে রেখেছে এই বাঁধ। যাওয়া আসা বাস ভাড়া পার পার্সন ২৫০+২৫০=৫০০ টাকা। আর রিকশা ভাড়া নিবে ৩০+৩০=৬০ টাকা।

Post Copied From:Nazrul Islam Ronok‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সর্টকাট ট্যুর প্লান

যারা এই শীতে কুয়াকাটা যেতে চাচ্ছেন

#ট্যুর_প্লান:

ঢাকা থেকে বিকালের লঞ্চে উঠে পরদিন খুব সকালে পটুয়াখালি লঞ্চঘাট নামবেন। ১০/- টাকা দিয়ে চৌরাস্তা এসে পটুয়াখালির গাড়িতে উঠে পরবেন। ২ ঘন্টার মধ্যেই কুয়াকাটা।

আপনি চাইলে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চেও যেতে পারেন। বরিশাল থেকে কুয়াকাটার সরাসরি বাস আছে। সেক্ষেত্রে বাসে (+-)৩০ কি:মি: বেশি জার্নি করতে হবে।

আবার ঢাকার গাবতলি/সায়দাবাদ থেকে সরাসরি কুয়াকাটার বাসেও যেতে পারেন।

১ম দিন সকালে হোটেলে চেক ইন। দুপুরে সুমুদ্দ্রস্নান। একটা মোটরসাইকেল ভাড়া করবেন ৬০০-৮০০ টাকায়। বিকালে লেবুর বন, তিন নদির মোহনায় সুর্যাস্ত দেখবেন।

২য় দিন: খুব ভোরে ৪:৩০ ঐ মোটরসাইকেল অয়ালা রাই আপনাকে নিয়ে যাবে গংগামতির চর। সুর্য্যদয়, লাল কাকড়ার চর দেখে ফেরার পথে রাখাইন পল্লি, মার্কেট, কুয়া, বৌদ্ধ মন্দির, ২০০ বছরের পুরাতন নৌকা দেখে হোটেলে ফিরবেন। দুপুরে খাবার পর ফাতরার বনে ঘুরে আস্তে পারেন। রাতের গাড়িতে ফিরবেন। লঞ্চে ফিরতে চাইলে অবশ্যইই বিকাল ৫:০০ টার আগে পটুয়াখালি লঞ্চঘাট থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ঐ দিন ফাত্রার বন প্লান থেকে বাদ দিতে হবে।

চাইলে বরিশাল হয়েও লঞ্চে ফিরতে পারেন। বরিশাল থেকে ঢাকার শেষ লঞ্চ ছাড়ে রাত ৯:০০ টায়।

#খরচা_পাত্তি:
ঢাকা-পটুয়াখালি লঞ্চে
-ডেকে (+-)৩০০/-
-কেবিনে-১০০০/২০০০/- সিংগাল/ডাবল।

পটুয়াখালি লঞ্চঘাট থেকে চৌরাস্তা অটো -১০/-
চৌরাস্তা-কুয়াকাটা বাসে ১৪০/-

মোটরসসাইকেল দুইদিন দুইজন (+-)৭০০/-

ফাত্রার বনে ট্রলার প্যাকেজ (+-) ২৩০/-

হোটেল ডাবল রুম ভাড়া ১০০০-২৫০০/- মাঝারি মানের।

নাস্তা ৪০-১০০/-
দুপুর/রাতের খাবার ১০০-২৫০/- পার মিল পার হেড।

বাসভাড়া: নন এসি
গাবতলি-কুয়াকাটা
সাকুরা, গোল্ডেন লাইন, কনক পরিবহন(+-)৭০০/-

সায়দাবাদ-কুয়াকাটা
সাকুরা, কুয়াকাটা এক্সপ্রেস ৫৫০/-

Be smart,
be a traveller
Follow travel ethics
Happy travelling