সন্ন্যাসী রাজার গল্পটা জানেন তো?

ইংরেজ আমলে পূর্ববঙ্গের সর্ববৃহৎ রাজ্যের যে রাজা রানীর পরকীয়ার বলী হয়ে প্রান হারান৷ অতঃপর একদশক পর মৃত রাজা সন্ন্যাসীর বেশে ফিরে এসে একযুগেরও বেশি সময় ধরে আইনী লড়াই করে অবশেষে নিজের জমিদারী ফিরে পান৷

নাহ আমি বিখ্যাত অভিনেতা উত্তম কুমারের চলচিত্র “সন্ন্যাসী রাজা”র গল্প বলছি না, বলছি ঐ চলচিত্র যে ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল জয়দেবপুরের ভাওয়াল রাজার রোমাঞ্চকর সেই বাস্তব কাহিনীর কথা৷

এখনো জয়দেবপুরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে সেই রাজত্বের নানান নিদর্শন, তৎকালিন ভাওয়াল রাজাদের যে রাজবাড়িটা এখন জেলা প্রশাসককের কার্যালয় হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে বিস্তৃতির দিক থেকে ঢাকার নবাব স্টেটের পর এটাই সবচেয়ে বড় রাজবাড়ী আর ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন সেই রাজাদের শ্মশানের একাংশ৷

সময় করে একদিন চলে আসতে পারেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরের এই ইতিহাস ঐতিহ্যমন্ডিত জনপদে, ইতিহাসের পথ ধরে হেটে যেতে যেতে কিছু সময়ের জন্য ভাওয়াল রাজাদের হারানো জৌলুসে হারিয়েও যেতে পারেন৷

যেভাবে আসবেনঃ ঢাকা থেকে সড়কপথে গাজীপুর চৌরাস্তায় এসে সরাসরি রাজবাড়ী যাওয়ার সিএনজি পেয়ে যাবেন(ভাড়া ১৫-২০টাকা)৷ ট্রেনে আসতে চাইলে জয়দেবপুর স্টেশনে নেমে রিকশা নিলেই হবে (ভাড়া ১০টাকা)৷ রাজবাড়ী থেকে শ্নশানঘাট রিকশায় ১৫-২০ টাকা নিবে৷

যারা ঢাকা থেকে ডে ট্যুর করতে চাচ্ছেন তারা প্ল্যানে একই সাথে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, নুহাশপল্লী, ন্যাশনাল পার্ক এসব রাখতে পারেন৷ সকাল সকাল এসে চমৎকার একটা ডে ট্যুর করে ঢাকায় ফিরে যেতে পারবেন৷

Post Copied From:শাকিল রাসেল‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

নুহাশ পল্লী

পিরুজ আলী গ্রামে অবস্থিত যা কিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) ঢাকার অদূরে গাজীপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন এই প্রাকৃতিক নৈসর্গ নুহাশ পল্লী। গাজীপুর (Gazipur) চৌরাস্তা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হোতাপাড়া বাজার। সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত নুহাশ পল্লী যা ৪০ বিঘা জায়গা নিয়ে তৈরি। একেবারে জঙ্গলের ভিতরে হঠাৎ করে এক টুকরো পরিচ্ছন্ন উদ্যান। শান্ত সৌম্য পরিবেশ। উপরে লিচু, জাম আর শান্তির প্রতীক জলপাই গাছ। নিচে সবুজ ঘাসের গালিচা। যেন এক টুকরো শান্তি নিকেতন। এইখানে চির নিদ্রায় হুমায়ূন আহমেদ, উত্তরাধুনিক বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী লেখক। কি কি আছে নুহাশ পল্লীতেঃ এখানে ২৫০ প্রজাতির দূর্লভ ঔষধি, মসলা জাতীয়, ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছের গায়ে সেটে দেয়া আছে পরিচিতি ফলক, যা দেখে গাছ চেনা যাবে সহজেই। সবুজ মাঠের মাঝখানে একটি বড় গাছের উপর ছোট ছোট ঘর তৈরি করা হয়েছে। উদ্যানের পূর্ব দিকে রয়েছে খেজুর বাগান। বাগনের এক পাশে “বৃষ্টি বিলাস” নমে অত্যাধুনিক একটি বাড়ি রয়েছে। নুহাশ পল্লীর আরেক আকর্ষণ “লীলাবতী দীঘি।
দীঘির চারপাশ জুড়ে নানা রকমের গাছ। রয়েছে সানকাধানো ঘাট। পুকুরের মাঝখানে একটি দ্বীপ। সেখানে অনেকগুলো নরিকেল গাছ। এছাড়া এখানে দেখা মিলবে হুমায়ূন আহমেদের আবক্ষ মূর্তি ও সমাধিস্থল, পদ্মপুকুর, সরোবরে পাথরের মৎসকন্যা, প্রাগৈতিহাসিক প্রানীদের অনুকীর্তি, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অ্যাবড়োথেবড়ো সুইমিং পুল যেখানে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (Sunil Gangopadhyay) এবং হুমায়ূন আহমেদ একসঙ্গে জলে নেমেছিলেন, দাবার গুটির প্রতিকৃতি, টি-হাউসসহ নানা রকম দৃষ্টিনন্দন সব স্থাপত্য।
ভূত বিলাস, বৃষ্টিবিলাসসহ তিনটি বাংলো রয়েছে এই বাগানবাড়িটিতে।

কিভাবে যাবেনঃ
আপনি পুরান ঢাকা থেকে যেতে চাইলে গুলিস্তান থেকে ঢাকা পরিবহনের বাস যেটা কাপাসিয়া যায় এবং প্রভাতী বনশ্রীর বাস যেটা বরমী যায় সেটাতে উঠুন, মহাখালী থেকে আসতে চাইলে সম্রাট লাইন , রাজদূত পরিবহন, ডাউন টাউন, বাসে উঠুন। এবার আপনি হোতাপারা নামক স্থানে নেমে সিএনজি বা লেগুনা বা যান্ত্রিক রিক্সায় নুহাস পল্লীতে যেতে পারবেন। মনে রাখবেন ময়মসিংহের বাস ও প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের বাসগুলো গাজীপুর চৌরাস্তায় অনেকক্ষন দেরি করে। কিন্তু সম্রাট লাইন বা রাজদূত বা ঢাকা পরিবহনের বাসগুলো যাত্রি নামিয়ে চলে যায়।

খরচ কত গুনতে হবেঃ
এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নুহাশ পল্লী সকল দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন খোলা থাকে। ১২ বছরের উপরে জনপ্রতি টিকেট লাগবে ২০০ টাকা।

কিন্তু নভেম্বর থেকে মার্চ মূলত পিকনিকের জন্য ভাড়া দেয়া হয়। প্রতিদিন পিকনিকের জন্য ১টি গ্রুপে সর্বোচ্চ ৩০০ জন আসতে পারবে। সরকারি ছুটির দিনে পিকনিকের জন্য গুনতে হবে ৬০ হাজার টাকা, অন্যদিন ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া সরকারি ছুটির দিনে পিকনিকের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া পড়বে ৫০ হাজার টাকা, অন্যদিনগুলোতে ভাড়ার জন্য গুনতে হবে ৪০ হাজার টাকা।

Post Copied From:

M Jahidul Islam Khandaker>Travelers of Bangladesh (ToB)

একদিনে অনেক জায়গাতেই যাওয়া যায়

একদিনে ঘুরাঘুরি।

অনেকেই একদিনে ঘুরাঘুরির ব্যাপারে জানতে চান। একদিনে অনেক জায়গাতেই যাওয়া যায়। এই যেমন নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সোনারগাঁও, নরসিংদী, গাজীপুর, মাওয়া ঘাট, পদ্মা রিসোর্ট, মানিকগঞ্জ জমিদার বাড়ি, গোলাপ গ্রাম। অনেকেই আবার ঘুরাঘুরির জন্য সুদূর সিলেট, শ্রীমঙ্গল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী সাজেস্ট করে বসেন। এগুলা মারাত্মক ভুল গাইড। এগুলাকে ট্যুর বলে না, জাস্ট চুরির মত দৌড়ের উপর থাকা। মানুষ ট্যুর দেয় রিল্যাক্সের জন্য। কিন্তু সেটাই যদি না পাওয়া যায় তাইলে কিসের ট্যুর।

আমি যেহেতু কুমিল্লার তাই একদিনে কুমিল্লা ভ্রমণের ফিরিস্তি দিব। সকাল ৮ টায় সায়েদাবাদ থেকে এশিয়া লাইন/এশিয়া ট্রান্সপোর্টে (যেটা আগে ছাড়ে) চড়ে বসুন। ভাড়া নিবে ২০০ টাকা। কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট এসে নামবেন। সাড়ে ১০ টার আগেই পৌঁছে যাবেন। তবে আপনি যদি এসিতে আসতে চান তাইলে সায়েদাবাদ থেকে এশিয়া এয়ার কন্ডিশন অথবা কমলাপুর থেকে রয়েল কোচে আসতে পারেন। রয়েল অনেক কমফোর্টেবল বাট স্লো। ক্যান্টনম্যান্ট নেমে উত্তর দিকে ১০ মিনিট হাঁটলেই পেয়ে যাবেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত যোদ্ধাদের সমাধি ক্ষেত্র ওয়ার সিমেট্রি। বেশ নিরিবিলি পরিবেশটা আপনার ভাল লাগবে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘুরে দেখতে পারবেন।

এরপর আবার ক্যান্টনম্যান্ট ফিরে আসুন। রাস্তায় দাঁড়ালেই কুমিল্লা শহরগামী অনেক বাস যেমন পাপিয়া, কুমিল্লা হোমনা, সুগন্ধা, বিরতিহীন পাবেন। যে কোন একটায় উঠে পরুন। শাসনগাছা নামবেন। ভাড়া নিবে ১০ টাকা। এরপর অটোতে করে চলে যান কুমিল্লা জজ কোর্টের সামনে। সর্বোচ্চ ১৫ টাকা নিবে। সেখান থেকে কুমিল্লা পার্ক ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যাবেন ধর্মসাগরের উত্তর পাড়। চোখ জুড়ায়ে দেখুন ঐতিহাসিক ধর্মসাগর। আপনি চাইলে ধর্মসাগরের ভিতরে বোট রাইড করতে পারেন। ধর্মসাগর দেখতে দেখতে একবারে চলে আসুন দক্ষিণ মাথায়। এরপর একটু সামনে হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন কান্দিরপাড়।

যদি রসমালাই নিতে চান তাইলে কান্দিরপাড় থেকে পূর্বদিকে হাটা দিন। যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই মাতৃভান্ডার দেখায়া দিবে। রসমালাই কিনে কান্দিরপাড় থেকে সিএনজিতে উঠুন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের। ২০ টাকা নিবে ভাড়া। বিশ্বরোড পৌছাতে পৌছাতে ততক্ষণে লাঞ্চ টাইম হয়ে যাবে। লাঞ্চ করতে পারেন দেশের প্রথম ৩ স্টার হোটেল নুরজাহানে। তবে খাবার ব্যয়বহুল। হোটেলের বাহিরের প্লেসটা আপনার ভাল লাগবে। পুরাই একটা মিনি পার্ক। খাবার অর্ডার করে বাইরে বসে খেতে পারেন। চেয়ার টেবিল বসানোই আছে। তখন মনে হবে আপনি বনভোজনে বসে খাচ্ছেন। আর যদি আপনার বাজেট কম তাইলে বিশ্বরোডে আরও অনেক হোটেল পাবেন। ঐগুলাতেও খেতে পারেন। আপনি যদি আমার মত লেটে লাঞ্চ করার লোক হন তাইলে লালমাই পাহাড় দেখে ফিরার সময় লাঞ্চ করতে পারেন বিশ্বরোডেই। বিশ্বরোড থেকে সিএনজিতে চলে যান লালমাই বাজারে। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২০ টাকা। লালমাই বাজার থেকে অটোতে চলে যান চন্ডিমুড়া পাহাড়ে। লাল মাটি ঘেরা পাহাড়ের পরিবেশ আপনাকে অন্য রকম অনুভূতি দিবে। ঘণ্টা খানেক চারপাশটা ঘুরে দেখেন। তবে সাবধান পাহাড়ের বেশি ভিতরে যাবেন না। ছিনতাইয়ের শিকার হতে পারেন। লালমাই পাহাড় দেখে আবার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে ফিরে আসেন।

সেখান থেকে মাইক্রোতে করে চলে আসুন কোটবাড়ি বিশ্বরোড। ভাড়া নিবে ১৫ টাকা। এরপর সিনজিতে করে সোজা কোটবাড়ি বাজার। ১০ টাকা নিবে প্রতিজনে। সিএনজি থেকে নেমেই দেখতে পারেন তাক লাগানো বার্ডের গেট। তবে বার্ডের ভিতরে ঢুকতে দিবে না কারও রেফারেন্স ছাড়া। অবশ্য জাতীয় দিবসগুলোতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। বার্ডের গেট দেখে সোজা পশ্চিম দিকে হাটা দিন। সাইনবোর্ডই আপনাকে জানিয়ে দিবে ইটাখোলা মুড়ার কথা। সেখানে একটা প্রাচীন বিহার আছে। সাথে ধ্যানমগ্ন এক মূর্তি। ২০/২৫ মিনিটে সব দেখা শেষ করে আবার কোটবাড়ি বাজারে ফিরে আসুন। এরপর অটো/সিনজিতে উঠে পরুন। ড্রাইভারকে বললেই শালবন বিহারের গেটে নামায়া দিবে। ভাড়া নিবে ১০ টাকা।

এরপর টিকেট কেটে ঢুকে পরুন প্রাচীন ঐতিহ্যে ঘেরা শালবন বিহারে। ২০ টাকা প্রবেশ ফি। বিহারের চারপাশের কৃত্রিম পরিবেশটাও আপনাকে নাড়িয়ে দিবে। ঘণ্টা দেড়েক এখানে কাটাতে পারেন। এরপর দেখতে পারেন ময়নামতি মিউজিয়াম। প্রবেশ ফি ১০ টাকা। তবে এটার ভিতরে এখন তেমন কিছুই নাই। শালবন বিহার থেকে বেরিয়ে রাস্তার পশ্চিম পাশে যে বন দেখতে পাবেন ঐটাই শালবন । শালবনে ঘুরাঘুরি করতে পারেন। বৈকালিক স্ন্যাকস করতে পারেন কাশবন রিসোর্টে। আশা করি সাড়ে ৫ টার আগেই আপনার সব দেখা হয়ে যাবে। এরপর শালবন বিহারের গেট থেকে সিনজিতে উঠে পরুন। কোটবাড়ি বিশ্বরোড নামবেন। ২০ টাকা নিবে।

এরপর অপেক্ষা করতে থাকেন এশিয়া ট্রান্সপোর্টের। বাস আসলে হাত দেখালেই থামাবে। উঠে পড়ুন। ২০০ টাকা নিবে। আর আপনি যদি এসিতে আসতে চান তাইলে কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে মাইক্রো দিয়ে ক্যান্টনম্যান্ট চলে আসুন। ভাড়া নিবে ২০ টাকা। ক্যান্টনম্যান্ট থেকে এশিয়া এয়ার কন্ডিশন/রয়েল কোচে উঠতে পারবেন। আশা করি রাত ৮ টার আগেই আপনি ঢাকা পৌঁছে যাবেন।
কোন সমস্যা হলে বলতে পারেন।

Post Copied From:Masud Sarker Rana‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

একদিনে ঘুরাঘুরির

অনেকেই একদিনে ঘুরাঘুরির ব্যাপারে জানতে চান। একদিনে অনেক জায়গাতেই যাওয়া যায়। এই যেমন নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সোনারগাঁও, নরসিংদী, গাজীপুর, মাওয়া ঘাট, পদ্মা রিসোর্ট, মানিকগঞ্জ জমিদার বাড়ি, গোলাপ গ্রাম। অনেকেই আবার ঘুরাঘুরির জন্য সুদূর সিলেট, শ্রীমঙ্গল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী সাজেস্ট করে বসেন। এগুলা মারাত্মক ভুল গাইড। এগুলাকে ট্যুর বলে না, জাস্ট চুরির মত দৌড়ের উপর থাকা। মানুষ ট্যুর দেয় রিল্যাক্সের জন্য। কিন্তু সেটাই যদি না পাওয়া যায় তাইলে কিসের ট্যুর।

আমি যেহেতু কুমিল্লার তাই একদিনে কুমিল্লা ভ্রমণের ফিরিস্তি দিব। সকাল ৮ টায় সায়েদাবাদ থেকে এশিয়া লাইন/এশিয়া ট্রান্সপোর্টে (যেটা আগে ছাড়ে) চড়ে বসুন। ভাড়া নিবে ২০০ টাকা। কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট এসে নামবেন। সাড়ে ১০ টার আগেই পৌঁছে যাবেন। তবে আপনি যদি এসিতে আসতে চান তাইলে সায়েদাবাদ থেকে এশিয়া এয়ার কন্ডিশন অথবা কমলাপুর থেকে রয়েল কোচে আসতে পারেন। রয়েল অনেক কমফোর্টেবল বাট স্লো। ক্যান্টনম্যান্ট নেমে উত্তর দিকে ১০ মিনিট হাঁটলেই পেয়ে যাবেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত যোদ্ধাদের সমাধি ক্ষেত্র ওয়ার সিমেট্রি। বেশ নিরিবিলি পরিবেশটা আপনার ভাল লাগবে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘুরে দেখতে পারবেন।

এরপর আবার ক্যান্টনম্যান্ট ফিরে আসুন। রাস্তায় দাঁড়ালেই কুমিল্লা শহরগামী অনেক বাস যেমন পাপিয়া, কুমিল্লা হোমনা, সুগন্ধা, বিরতিহীন পাবেন। যে কোন একটায় উঠে পরুন। শাসনগাছা নামবেন। ভাড়া নিবে ১০ টাকা। এরপর অটোতে করে চলে যান কুমিল্লা জজ কোর্টের সামনে। সর্বোচ্চ ১৫ টাকা নিবে। সেখান থেকে কুমিল্লা পার্ক ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যাবেন ধর্মসাগরের উত্তর পাড়। চোখ জুড়ায়ে দেখুন ঐতিহাসিক ধর্মসাগর। আপনি চাইলে ধর্মসাগরের ভিতরে বোট রাইড করতে পারেন। ধর্মসাগর দেখতে দেখতে একবারে চলে আসুন দক্ষিণ মাথায়। এরপর একটু সামনে হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন কান্দিরপাড়।

যদি রসমালাই নিতে চান তাইলে কান্দিরপাড় থেকে পূর্বদিকে হাটা দিন। যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই মাতৃভান্ডার দেখায়া দিবে। রসমালাই কিনে কান্দিরপাড় থেকে সিএনজিতে উঠুন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের। ২০ টাকা নিবে ভাড়া। বিশ্বরোড পৌছাতে পৌছাতে ততক্ষণে লাঞ্চ টাইম হয়ে যাবে। লাঞ্চ করতে পারেন দেশের প্রথম ৩ স্টার হোটেল নুরজাহানে। তবে খাবার ব্যয়বহুল। হোটেলের বাহিরের প্লেসটা আপনার ভাল লাগবে। পুরাই একটা মিনি পার্ক। খাবার অর্ডার করে বাইরে বসে খেতে পারেন। চেয়ার টেবিল বসানোই আছে। তখন মনে হবে আপনি বনভোজনে বসে খাচ্ছেন। আর যদি আপনার বাজেট কম তাইলে বিশ্বরোডে আরও অনেক হোটেল পাবেন। ঐগুলাতেও খেতে পারেন। আপনি যদি আমার মত লেটে লাঞ্চ করার লোক হন তাইলে লালমাই পাহাড় দেখে ফিরার সময় লাঞ্চ করতে পারেন বিশ্বরোডেই। বিশ্বরোড থেকে সিএনজিতে চলে যান লালমাই বাজারে। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২০ টাকা। লালমাই বাজার থেকে অটোতে চলে যান চন্ডিমুড়া পাহাড়ে। লাল মাটি ঘেরা পাহাড়ের পরিবেশ আপনাকে অন্য রকম অনুভূতি দিবে। ঘণ্টা খানেক চারপাশটা ঘুরে দেখেন। তবে সাবধান পাহাড়ের বেশি ভিতরে যাবেন না। ছিনতাইয়ের শিকার হতে পারেন। লালমাই পাহাড় দেখে আবার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে ফিরে আসেন।

সেখান থেকে মাইক্রোতে করে চলে আসুন কোটবাড়ি বিশ্বরোড। ভাড়া নিবে ১৫ টাকা। এরপর সিনজিতে করে সোজা কোটবাড়ি বাজার। ১০ টাকা নিবে প্রতিজনে। সিএনজি থেকে নেমেই দেখতে পারেন তাক লাগানো বার্ডের গেট। তবে বার্ডের ভিতরে ঢুকতে দিবে না কারও রেফারেন্স ছাড়া। অবশ্য জাতীয় দিবসগুলোতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। বার্ডের গেট দেখে সোজা পশ্চিম দিকে হাটা দিন। সাইনবোর্ডই আপনাকে জানিয়ে দিবে ইটাখোলা মুড়ার কথা। সেখানে একটা প্রাচীন বিহার আছে। সাথে ধ্যানমগ্ন এক মূর্তি। ২০/২৫ মিনিটে সব দেখা শেষ করে আবার কোটবাড়ি বাজারে ফিরে আসুন। এরপর অটো/সিনজিতে উঠে পরুন। ড্রাইভারকে বললেই শালবন বিহারের গেটে নামায়া দিবে। ভাড়া নিবে ১০ টাকা।

এরপর টিকেট কেটে ঢুকে পরুন প্রাচীন ঐতিহ্যে ঘেরা শালবন বিহারে। ২০ টাকা প্রবেশ ফি। বিহারের চারপাশের কৃত্রিম পরিবেশটাও আপনাকে নাড়িয়ে দিবে। ঘণ্টা দেড়েক এখানে কাটাতে পারেন। এরপর দেখতে পারেন ময়নামতি মিউজিয়াম। প্রবেশ ফি ১০ টাকা। তবে এটার ভিতরে এখন তেমন কিছুই নাই। শালবন বিহার থেকে বেরিয়ে রাস্তার পশ্চিম পাশে যে বন দেখতে পাবেন ঐটাই শালবন । শালবনে ঘুরাঘুরি করতে পারেন। বৈকালিক স্ন্যাকস করতে পারেন কাশবন রিসোর্টে। আশা করি সাড়ে ৫ টার আগেই আপনার সব দেখা হয়ে যাবে। এরপর শালবন বিহারের গেট থেকে সিনজিতে উঠে পরুন। কোটবাড়ি বিশ্বরোড নামবেন। ২০ টাকা নিবে।

এরপর অপেক্ষা করতে থাকেন এশিয়া ট্রান্সপোর্টের। বাস আসলে হাত দেখালেই থামাবে। উঠে পড়ুন। ২০০ টাকা নিবে। আর আপনি যদি এসিতে আসতে চান তাইলে কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে মাইক্রো দিয়ে ক্যান্টনম্যান্ট চলে আসুন। ভাড়া নিবে ২০ টাকা। ক্যান্টনম্যান্ট থেকে এশিয়া এয়ার কন্ডিশন/রয়েল কোচে উঠতে পারবেন। আশা করি রাত ৮ টার আগেই আপনি ঢাকা পৌঁছে যাবেন।
কোন সমস্যা হলে বলতে পারেন।

Post Copied From:Masud Sarker Rana‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সোহাগ পল্লী কালিয়াকৈার গাজীপুর।

সোহাগ পল্লী কালিয়াকৈার গাজীপুর।
প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা এই পার্কটির চারদিকে শালবন এর ভিতরে বিশাল জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে পার্কটি। খুব নিরিবিলি পরিবেশ কোলাহল মুক্ত একটি আর্দশ জায়গা। পরিবার নিয়ে একটি সুন্দর দিন কাটানোর জন্য অনবধ্য জায়গা। সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থাকায় প্রচুর পর্যটক আসে।

থাকা ও খাওয়ার জন্য কটেজ আছে আপনি চাইলে রাত যাপন করতে পারবেন।

যেভাবে যাবেন।

দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে আপনাকে প্রথমে আসতে হবে চান্দরা গাজীপুর এর পর সেখান থেকে অটো কিংবা বাইকে করে সোহাগ পল্লী ভাড়া ১০০ টাকা নিবে। পার্কের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা।

Post Copied From:Rohul Amin>Travelers of Bangladesh (ToB)

সাফারি পার্ক ভ্রমন এবং টিপস

সাফারি পার্ক ভ্রমন এবং টিপস

——————————–

সাবধানঃ মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি। ঐদিন গেলে বাঘ/সিংহের সাথে সাক্ষাত হবে না।

——————————————————————————-

আমি মূলত আর্মচেয়ার ট্রাভেলার। নিজের খুপড়ি ছেড়ে খুব একটা বের হইনা রাস্তার যানজট-গরম-বাসের পিছনে ছুটাছুটি-ভিতরে ঢুইকা চ্যাপ্টা হওয়া ইত্যাদি কারনে। অলসের ধারি যাকে বলে। বিয়ের পর বউকে নিয়েও কোথাও যাই নি। এইবার ১লা বৈশাখের দিন ঘ্যানঘানানি শুনতে শুনতে ভাবলাম কাছে কোথাও যাই। তাই গেলাম নতুন জিনিস সাফারি পার্ক দেখতে। বের হয়ে পড়লাম আল্লাহর নাম নিয়ে ৬ মাসের পুত্র আরিজ সমেত। সাথে পাশের বাসার ২টা জমজ বাচ্চা।

 

গিয়ে মনে হলো – বাহ্! একটা কামের কাম হইছে! এই রকমের জিনিস যদি সরকার আরো কয়টা বানাইয়া দেয়, তাইলে সুন্দরবনটা মানুষের আত্যাচার থেকে বাঁচে। কি সুন্দর বাঘ দেখা যায় বনের মধ্যে! সিংহ জিরাফ সব আছে। আর মানুষে যত খুশি প্যাকেট বোতল ফালাইয়া যাক কোন সমস্যা নাই। এসি বাসের মধ্যে বসে ঘুরে ঘুরে দেখা যায়। মাইক দিয়ে আবার বলেও দেয় কোনটা কোন প্রানী, কোন দিকে তাকালে দেখা যাবে। যাইতেও কোন কষ্ট নাই। বউ-বাচ্চা (৩ মাসের হইলেও অসুবিধা নাই) সব নিয়া একসাথে যাওয়া যায়। আমি তো রীতিমতো মুগ্ধ! এইবার বুঝতে পারলাম, মানুষে প্লাষ্টিকের খালি বোতল-প্যাকেট ইত্যাদি ফালায় বলে যারা ভ্রমনকারীদের দোষ দেয়, তারা না জেনে দেয়। এই দোষ সম্পূর্ণ সরকারের। সরকার যদি এই রকমের সাফারি পার্ক আর কয়টা কইরা দিত, কে যাইতো ঐসব জায়গায়! সুন্দরবনে গিয়া বাঘ দেখছে কেউ আমি আজও শুনি নাই কারো মুখ থেকে। বেহুদাই কষ্ট করতে ঐখানে যাবে কে যদি এমন আর কয়েকটা সাফারি পার্ক থাকে!

 

সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছি, ভ্রমনে যেত চান, সাফারি পার্ক যান। বউ-বাচ্চা সব সহ। আর যেতে যাতে কোন কষ্ট না হয়, সে জন্য কিছু টিপস শেয়ার করছিঃ

 

১. অবশ্যই একটা করে ছাতা নিয়ে যাবেন পার হেড। আপনাকে প্রথমে মেইন গেইট দিয়ে ঢুকার লাইন দিতে হবে। গেইটে এসে গাড়ি দিয়ে নেমেই মনে করবেন না যে ফট করে ভিতরে ঢুকে যাবেন। ২০০ গজ পিছনে গিয়ে গুতোগুতি করে আগে টিকেট নিতে হবে। প্রতি টিকেট ৫০ টাকা। ৫ বছরের নীচে কারো জন্য কোন টিকেট লাগবে না। টিকেট নিয়ে লাইন ধরে ভিতরে ঢুকতে হবে।

 

২. ভিতরে ঢুকার পরেই মনে করবেন না যে সামনেই বাঘের খাঁচা দেখতে পাবেন। গেট দিয়ে ঢুকে ৫০০ গজের মত গেলে আরেকটা গেইট আছে। ওটার নাম “কোর সাফারি পার্ক”। ঐ গেটের ভিতরে সব বাঘ-ভাল্লুক আছে। ওখানে ঢুকার জন্য আরেকটা লাইন আছে। সেই লাইনে আবার বাঁশ দেয়া। তাই মনে করবেন না যে পড়ে এসে আগে ঢুকে পড়বেন! কোন চান্স নাই। বাঁশের মধ্য দিয়ে লাইন দিয়ে গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকতে হবে। এই গেইটে পাড়া দিলেই দেখবেন টিকেট নিয়ে কয়েকজন দাঁড়ানো। এইখানে আবার টিকেট কাটতে হবে। পার হেড ৫০ টাকা। ৫ বছরের নীচে কারো টিকেট এইখানেও লাগবে না।

 

৩. টিকেট নিয়ে এইবার সামনে তাকেলেই বুঝবেন এতক্ষণ গেইটের বাইরে থেকে আপনি লাইনের লেজটা দেখতে পাচ্ছিলেন। সামনেরটা শরীর সহ মাথা। এইখানেও বাঁশ দেয়া। নো ওভার টেকিং! মিনিমান ঘণ্টা দেড়েক লাইনে দাঁড়ানোর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন। এই লাইনের সামনে একটা করে এসি অথবা নন এসি বাস অথবা একটা ছোট পিকআপ (হাইলাক্স) এসে থামলে সেগুলোতে উঠে পড়তে হবে। বসার সীট পাবেন নিশ্চিত। দাঁড়ানো প্যাসেঞ্জার নেয়া এদের নিষেধ। সার্ভিস ভালো রাখার জন্য।

 

৪. বাসে যদি উঠে থাকেন, সেটা ভরা মাত্রই চলতে শুরু করবে। আর সাথে সাথে একটা মাইক আপনার কানের উপরে বিকট স্বরে স্বাগত জানাবে। যদি সম্ভব হয় এয়ার প্লাগ নিয়ে যাবেন আগে থেকে। নয়ত কানে সামান্য সমস্যা হতে পারে যদি আপনি দৈবক্রমে বাসের পিছনের সীটে পড়ে যান।

 

৫. বাস চলবে আর একটু পর পর থামবে। কানের উপর মাইক আপনাকে সবসময় জানিয়ে দিবে কোন দিকে তাকালে কি দেখা যাবে। “ডানে তাকান – গাছের উপর ভাল্লুক” “বায়ে তাকান – সাদা সিংহ; দেখা শেষ হইছে? এত সুন্দর দেখাই তাও নাকি আপনারা কিছু দেখেন না। খালি ড্রাইভারের দোষ” “কেউ গাড়ির গ্লাস খুলবেন না; নামতে চাইলে বলেন নামাইয়া দিব”।

 

৬. ঠিক দশ মিনিটের মধ্যে আপনার সাফারি শেষ হবে। আপনি যেখান থেকে উঠেছেন  ঠিক সেখানে নামিয়ে দিবে। নেমে গেট ইত্যাদি পার হয়ে বাইরে চলে আসতে পারবেন। এবার আর লাইন ধরতে হবে না। কোন টিকেটও লাগবে না। ৫ বছরের বেশি বয়স হলেও না।

 

৭. গেট থেকে বের হয়ে ডানদিকে গেলে আরেকটা ঢোকার গেইট আছে। ওটা দিয়ে ঢুকতে টাকা লাগবে না। ভিতরে ঢুকলে নেটের ঘর বানানো আছে। ওখানে ঢুকতে টিকেট লাগবে। ১০ টাকা পার হেড। ৫ বছরের নীচে টাকা লাগবে না। নেটের ঘরে ঢুকলে অনেক সুন্দর সুন্দর পাখি আছে। বড় বড় নীল রঙের পাখি। অনেক কিউট! আপনি এখানে পাখির সাথে ছবি তুলতে পারবেন। কেউ কিছু বলবে না। মাথার উপরেও পাখি। দেখতে ভুলবেন না।

 

৮. ঘর থেকে বের হয়ে সামনে গেলে শিশু পার্ক। এখানে শিশুরা খেলতে পারবে। কোন টাকা লাগবে না।

 

৯. আরেকটু সামনে গেলে আরেকটা নেটের ঘর। ওর ভিতরে প্রজাপতি আছে। বাসা থেকে দুরবীন নিয়ে যাবেন। তাহলে সুন্দর করে দেখতে পারবেন।

 

১০. আরো সামনে গেলে “প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র”। ওখান থেকে মনে হয় প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করা যায়। কিন্তু আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারিনি। ওটা দিয়ে ঢোকার গেইট বন্ধ ছিল। টিকেট কাটলে খুলে দিবে এমন কোন সিস্টেমও দেখিনি।

 

১১. পাশেই ক্যাকটাসের ঘর। ওখানে মনে হয় ক্যাকটাস দেখা যায়। আমাদের এনার্জি কম ছিল। তাই উঁকি দিতে পারিনি কাছে গিয়ে। আপনারা অবশ্যই দেখে নেবেন। সামনে কুমিরের খাঁচাও আছে। অবশ্যই দেখবেন। সুন্দরবনেও কিন্তু কুমির দেখতে পারবেন না।

 

১২. এবার গেট দিয়ে বাইরে এসে দেখবেন অনেক বাঘ-ভাল্লুক-হাতি-কুমিরের মুর্তি আছে। ওগুলোর সাথে হেলান দিয়ে অনেক অনেক ছবি তুলতে পারবেন। কেউ কিছু বলবে না। ডানদিকে গেলে মনে হয় আরো কিছু দেখার আছে। অবশ্যই খোঁজ নিবেন।

 

১৩. ঘুরাঘুরি শেষ হলে বাইরে চলে আসবেন সর্বপ্রথমে যেই গেইট দিয়ে ঢুকেছিলেন সেই গেইট দিয়ে।

 

১৪. প্রথমে যে বলেছিলাম ছাতা নিতে মনে আছে? তার কারন ভিতরে অনেক উদ্ভিদ আছে, কিন্তু কোন গাছ নাই। সব গজারি। শুধু কাণ্ড, কোন শাখা-প্রশাখা নাই। তাই কোন ছায়া নাই। যতক্ষণ লাইনে থাকবেন বা ঘুরাঘুরি করবেন কোথাও ছায়া পাবেন না। কাজেই ছাতা নিতে ভুলবেন না। আর সাথে পাটি/মাদুর ইত্যাদি কিছু একটা অবশ্যই নিবেন। আপনি ভিতরে বসার মত অনেক মাটি পাবেন, কিন্তু কোথাও কোন ঘাস পাবেন না – সব বালি। কাজেই অধৈর্য্য/পা ব্যাথা ইত্যাদি জনিত কারনে বসতে চাইলেও বসতে পারবেন না যদি মাদুর না থাকে।

 

১৫. ফ্লাক্সে করে ঠাণ্ডা পানি নিবেন বেশি করে। ভিতরে কোথাও পানি দেখি নাই। লেক আছে, কিন্তু সেগুলো খাওয়ার পানি না।

 

১৬. মেইন রোড থেকে পার্কে ঢুকতে একটা চিপা রাস্তা আছে। ওখানে গুতাগুতি করে সবাইকে ঢুকতে হয়। অনেক জ্যাম হয়। তাই ধৈর্য্য ধরে বসে থাকবেন। ড্রাইভারদের গালাগালি করবেন না। বেশি করে ঠাণ্ডা পানি খাবেন।

 

১৭. গলিতে ঢুকার জায়গা ছেড়ে সামনে চলে গেলে একটা সুন্দর নামের রিসোর্ট+রেস্টুরেন্ট আছে। এখানে ঢুকলে গলার উপরের বাকি অংশ কেটে রেখে দেবে। উর্দ্ধাংশ ফেরত নিয়ে আসতে চাইলে ওটা থেকে আরো ২-৩ কিলো সামনে গেলে আরেকটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে দেখলাম। ভালই মনে হয়েছে। চেক করে দেখতে পারেন। এসিও আছে ওখানে।

 

১৮. আরো কিছু জানতে চাইলে এইখানে মন্তব্য লিখতে পারেন। আমরা যেই পর্যন্ত গেছি আপনার প্রশ্ন তার মধ্যে থাকলে অবশ্যই উত্তর দেব।

 

 

অ.ট. বাসায় এসে আরিজের মাকে বলালাম, দারুন ঘুরাঘুরি হলো। খুব মজা। আগামীকাল চলো চিরিয়াখানা যাই। সবটা ঘুরে দেখতে হবে। কিন্তু সে রাজি না। তার ছেলের নাকি একদিনেই এক কেজি ওজন কমেছে। আর কমাতে রাজি না। তাই আপাতত ২-৩ বছর আর কোন ভ্রমনে যেতে রাজি না। কোন মতেই না!