কেওক্রাডং

কেওক্রাডং বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। এর উচ্চতা ৯৮৬ মিটার বা ৩২৩৫ফুট প্রায়

কেওক্রাডং যেতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে বান্দরবান। বান্দরবান শহর থেকে চান্দের গাড়ি(ফোর হুইল ড্রাইভ), বাস, সি এন জি করে রুমা যাওয়া যায়। বান্দরবান শহর থেকে রুমা যেতে সময় লাগবে কমবেশি ২ ঘণ্টার মত। নিয়ম অনুযায়ী রুমা বাজার থেকে পাহাড়ে কোথাও বেড়াতে যেতে হলে আপনাকে গাইড নিতে হবে৷গাইডকে সাথে নিয়ে আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে নিয়ম অনুযায়ী নাম,ঠিকানা,ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য নিবন্ধন করতে হবে।

রুমা বাজার থেকে কেওক্রাডং যাবার পথ হলো রুমাবাজার>বগা লেক>কেওক্রাডং।
রুমা বাজার থেকে সার্ভিস এর কিংবা রিজার্ভ চান্দের গাড়ী করে যেতে হবে বগা লেক বা বগা লেক এর কাছাকাছি যতদুর গাড়ী যায়। শীতকালে চান্দের গাড়ী বগালেক পর্যন্তই যায়, বর্ষায় চান্দের গাড়ীর শেষ গন্তব্য থাকে কমলা বাজার পর্যন্ত। এর পর আপনাকে পায়ে হেঁটে (ট্রেক করে) বগালেক উঠতে হবে। সাধারনত পর্যটকগন বগালেকে রাত্রীযাপন করে থাকেন।
খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে বগালেক থেকে রওয়ানা দিলে কেওক্রাডং পৌছতে সময় লাগবে তিন থেকে সারে তিন ঘণ্টার মত।

Post Copied From:

Jahid Hossain Dipu‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

বগালেক কেউক্রাডং ট্যুর

বাংলাদেশের কিছু সর্বোচ্চ উঁচু পাথরের পাহাড়ের মধ্যে কেওক্রাডং বর্তমানে ৪ নম্বর
ছোট করে আমি আমার ভ্রমন কাহিনি লিখছি!
সকাল ৮ টায় খাওয়া দাওয়া সেরে সকাল ৮:৩০ এ স্থানীয় বাস এ করে রুমা বাজার এর উদ্দেশে রওয়ানা হই।। ১২ টার মধ্যে রুমা বাজার পৌঁছালাম । । গাইড ঠিক করে আগে আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে দুপুর ১২ টার দিকে রওয়ানা হলাম বগালেক এর উদ্দেশে । । ১৩ জনের গুুপ নিয়ে জিপ করে বগােলেকের উদ্দেশ্যে যাএা। পাহাড়ি উচু নিচু রাস্তা,চারপাশের প্রকৃতি মনোমুগ্ধকর। অবশেষে গাড়ির পথ শেষ বিকেল ৩ টায় এরপর হাটা শুরু ৩০ মিনিট পাহাড়ি পথ বেয়ে পৌছালাম বগালেক। বগালেক এর সৌন্দর্য দেখে সব কষ্ট কোথায় চলে গেল বুঝলাম ই না । আবার আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে লেক এ মগ কেটে গোসল টা সবাই ভাল ই উপভোগ করেছিলাম। ( লেকে কিছু accident
হওার কারনে লেকের ঘাঁট থেকে নিচে নামা নিষেধ, সো হাঁটু পানি তে ডুব দাও নয়তো মগ দিয়ে গোসল করো ) কটেজ আগে থেকে বুক করা ছিল । জন প্রতি ভাড়া ১৫০ । অতঃপর খাওয়া দাওয়া সেরে হালকা বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যার গাইডকে নিয়ে কেওক্রাডং এর প্লান বানালাম সবাই । আড্ডা তহ আছে ই । খাবার এ সবজি
তে জন প্রতি ১০০-১২০ এবং বন মুরগি তে ১৫০
ডে ২; সকাল সকাল হালকা নাস্তা করে আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে রওয়ানা হলাম স্বপ্নের কেওক্রাডং এর উদ্ধেশ্যে । রাস্তায় পরবে বেশ কিছু ছোট বড় ঝর্না । লতা ঝর্না, চিংড়ি ঝর্না আর ও আছে নাম না জানা ছোট কিছু ঝর্না । । আনুমানিক ২:৩০ ঘণ্টা হাঁটার পর পৌঁছালাম সেই স্বপ্নের কেওক্রাডং এ । যেহেতু আজই আমাদের রুমা ফেরার প্লেন তাই ৩০ মিনিটে কিছু গ্রুপ ফটো আর বিস্রাম নিয়ে রওয়ানা বগালেক এর দিকে । এবার কষ্ট কিছুটা কম , কারন এখন আপনাকে আপনার নিজের পায়ে ব্রেক লাগাতে হবে শুধু 😀 মানে হল, এখন শুধু পাহাড় থেকে নামার পালা। ২ ঘণ্টায় বগালেক এসে পড়ি । হালকা বিস্রাম নিয়ে গোসল সেরে রওয়ানা হই জিপ এ করে যাত্রা শুরু করি রুমা পর্যন্ত । আর্মি ক্যাম্প এর কাজ সেরে খাওয়া শেষ করে বান্দরবন এর উদ্দেশে রওয়ানা হলাম ৪টায়। ৭টায় পৌঁছেগেলাম বান্দরবন । আহ শান্তি 😀
লক্ষণীয় বিশয়ঃ খুব বেশি জামাকাপড় নেবেন না। পাওয়ার ব্যাংক, ক্যাপ , মুজা , পানির বোতল , দরকারি মেডিসিন , তুলা সাথে রাখবেন। ট্র্যাকিংয়ের সময় কলা খাবেন অনেক , কলা আপনার পেশিকে কর্মক্ষম রাখবে । জোঁক এর জন্য লবন নিবেন সাথে । কোথাও কোন কিছু লিখে জায়গা
নষ্ট করবেননা। পাহাড়ি রা এগুলো পছন্দ করেনা । 

Post Copied from:Hashem Sarwar>Travelers of Bangladesh (ToB)

কেওক্রাডং বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় না, তাজিংডং ও না !

কেওক্রাডং বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু পাহাড় না! তবে উঁচু পাহাড় কোনটি? এটা কি তাজিংডং? না সেটিও না, তাজিংডং বাংলাদেশের উঁচু দশটি পাহাড়ের মাঝেও নেই ! তবে বাংলাদেশের উচু পাহাড় কোনটি ? উচু পাহাড়টা মাপার উপায় কি ? আচ্ছা মানলাম এটা উচু পাহাড়, কিন্তু এর চেয়ে যে উচু পাহাড় নেই তার প্রমাণ কি?‬

বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু পাহাড় বান্দরবন জেলার দক্ষিনে মায়ানমার সীমান্তে। প্রাচীন ম্যাপগুলোতে এর নাম মদলত্ল্যাং (Modol tuang): আর বর্তমানে ট্র্যাকারদের কাছে সাকাহাফং নামে বেশ পরিচিতি পেয়েছে।‬

পাহাড়ের উচ্চতা মাপার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। আধুনিক কালে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এর উচ্চতা মাপা হয়। এগুলো অনেক বেশী সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য দেয়। আর স্যাটেলাইটের প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে আমেরিকা-রাশিয়া। আমেরিকার নাসা থেকে প্রকাশিত ভৌগলিক তথ্যে দেখা যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু স্হান কেওকাড়াডং না, বরবগ এর থেকে দক্ষিন-পুবে মায়ানমার সীমান্তে । একই ভাবে রাশিয়ান স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ডেটাও বলে একই কথা ।‬

২০০০ -২০০৫/৬ এর দিকে বাংলাদেশের উচু পাহাড় কোনটা – এটা নিয়ে বেশ কথা হত, মতামত আসত। তখন এটা নি্যে উইকিতে বেশ আলোচনাও হত । এই সব আলোচনায় রেফারেন্স হিসেবে দেওয়া হত আমেরিকা- রাশিয়ার স্যাটেলাইট ও SRTM ডেটার কথা । SRTM ডেটাতে দেখা যেতো “কেও” বাংলার উচু চুড়া না, বরং মায়ানমার সীমান্তের একটি বিশেষ স্হানই উচু। ভৌগলিক অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশে জায়গাটা নির্দিষ্ট ছিল, কিন্ত এর নাম পরিচয় বিস্তারিত মানুষের জানা ছিল না।‬

অবশ্য স্যাটেলাইট ডেটার সাথে খুবই অল্প লোক পরিচিত ছিল, আর এই ডেটা কিভাবে পাঠোদ্ধার করতে হয় তাও বেশীর ভাগ মানুষের কাছে অজানা ছিল। তাই স্যাটেলাইট ডেটায় “কেওক্রাডং” উচু না, এটা লোকের বলাবলি করত, কিন্তু এথেকে খুব স্পষ্টভাবে কিছু প্রমাণ করে দেবার সামর্থ তখন আমাদের ছিল না। পাশাপাশি সময় গুগুল আর্থ জনপ্রিয় হতে থাকে, আর লোক-জনও বাংলাদেশের উচু পাহাড়টার খোজ করতে থাকে! আর যার ফলে বাংলাদেশের “সবচেয়ে উচু” জায়গাটা তখন চিহ্নিত হয়ে যায়, আর কেউ তা দেখতে চাইলে তা গুগুল আর্থে দেখানও সম্ভব হয়।‬

এসব ছিল স্যটেলাইট ডেটার হিসাব নিকাশ। হাতে কলমে কোন সরাসরি মাপ নেওয়ার তথ্য তখনও আমাদের কাছে ছিল না! এ বিষয়ে প্রথম যিনি তিনি হচ্ছেন ব্রিটিশ অভিযাত্রী Ginge Fullen http://www.gingefullen.com/gingefullen.html ফুলেন সাহেব মিশন নিয়েছেন বিশ্বের তাবৎ দেশের সবচেয়ে উচু চুড়াগুলোতে উঠবেন! বিশাল কষ্টসাধ্য প্রায় অসম্ভব একটা মিশন। আর সেই মিশনের ধারাবাহিকতায় তিনি হাজির হন বাংলাদেশ!‬

SRTM ডেটা ওপর ভিত্তি করে, GPS হাতে করে তিনি স্বশরিরে খুজে বের করেন আমাদের দেশের সবচেয়ে উচু চুড়াটা! তার সাথে গাইড ছিলেন পাহাড়ি বোম সম্প্রদায়ের মাষ্টার ” লাল ময়”। এর আগেই তিনি প্রায় শতাধিক দেশের সর্বোচ্চ চুড়া ছুয়ে ফেলেছেন, তার সাথে তার মুকুটে যোগ হল আরেকটি পালক! ফুলেন সহেব বলেন “My successful attempt to achieve a World Record to climb the highest peak in all 47 countries in Europe – a record”‬

ফুলেনের অভিযান পত্র-পত্রিকায় এলে এই পাহাড় নিয়ে ব্যাপক সারা পড়ে, আর আগ থেকেই সচেষ্ট বিভিন্ন এডভেন্চার ক্লাবও পেয়ে যায় সেখানে যাবার খুব স্পষট দিক নির্দেশনা! যাই হোক বাংলাদেশের ট্রেকিং দল গুলোর মধ্যে ” ইয়াহিয়া খান ” সাহেব একদল তরুণ ট্রেকার নিয়ে এই পাহাড় চড়েন সম্ভবত ২০০৮ -এ, ফুলেনের পরের বছর। আর তার দুদিন বাদে এটাতে উঠতে সক্ষম হন নেচার-এডভেন্চার দলের সদস্যরা । আর এরপর প্রতিবছরই সেখানে যাবার ধারাবাহিকতা চলতে থাকে এডভেন্চার প্রেমিকদের মাঝে।‬

ফুলেনের অভিযানসহ আরও বহু অভিযাণের প্রাপ্ত GPS ডেটায় দেখা গেল এটি কেওকাড়াডং থেকে অনেক উঁচু (প্রায় ২০০ ফুট), আর এর উচ্চতা ৩৪০০ ফুটের চেয়েও বেশী!‬

এরপর বিভিন্ন দল সেখানে গিয়ে এর উচ্চতা মেপেছে,( নেচার এডভেন্চার, ডি-ওয়ে : http://www.facebook.com/dway.expeditors , বাংলাট্রেক, আরো অনেক ), আর সেই সাথে মাপা হয় “কেও” এর উচ্চতাও । আর এভাবেই প্রমান হয় কেওকড়াডং বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু পাহাড় নয় এটা হচ্ছে মদক মুয়াল/ ত্লাং বা সাকাহাফং ।‬

আর “কেওক্রাডং ” এর উপরের ফলকেও লেখা আছে এটা ৩১৭২ ফুট ।‬

আর এই উচ্চতা গুলো আর্মির সার্ভে যন্ত্রপাতির সাহায্যে মাপা এবং খুবই সঠিক মাপ দেয়।‬

অন্যদিকে 1:250,000 US Army Topographic (Series U502, U.S. Army Map Service, 1955) and 1:200,000 Soviet Military Topographic map. – এতে দেখা যায় মদকের চুড়াটি ৩৪৫৪ ফিট এটাও GPS ডেটার সাথে খুবই মিলে ।‬

পাহাড়ের খোজ খবর নিতে বেশ আগ্রহী হয়ে ২০০৬ এ google earth – এ জায়গাটা চিহ্নিত করে একটা পাবলিক মার্ক -ও বসিয়েছিলাম । পরবর্তীতে এই জায়গাটায় google earth – আরো অনেকগুলো মার্ক পড়ে । আর এ থেকেও আপনি নিশ্চত হতে পারবেন যে হাজার হাজার google earth ইউজারদের কাছে, এই স্হানটি -ই সবচেয়ে উচু।‬

For the US and Rashan Maps please visit : http://www.banglatrek.org/?page_id=64‬

এত কিছুর পরও তর্কের খাতিরে কেউ বলতে পারে, বুঝলাম জায়গাটা ৩৪০০ ফুটের বেশী উচু, আর মানলামও এটি কেওক্রাডং থেকে উচু, কিন্তু এর থেকে উচু চুড়াও তো বাংলাদেশে থাকতে পারে ! কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন এটাই বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে উচু ?‬

এর বেশ কয়েকটি জবাব আছে । প্রথমে আসবে টপোগ্রফিক ম্যাপ। বিশ্ব ব্যাপী এটি ব্যবহার হয় পাহাড় পর্বত আর উচা নিচা জায়গার মাপ বের করার জন্য । আর বাংলাদেশের টপোগ্রফিক ম্যাপ পাবেন আপনি maps.googe.com – এ।‬

বাংলাদেশের টপোগ্রাফিক মাপ দেখলেও আপনার কাছে খুব সহজেই পরিষ্কার হবে যে মায়ানমার সীমান্ত – এবং বিশেষ করে মদকের ঐ চূড়াটাই দেশের সবচেয়ে উচু স্হান। সারা দেশে আর কোন ষ্হানই এরূপ উচু না!‬

আর একটি জবার হচ্ছে বড় বড় চূড়াগুলো বিক্ষিপ্ত ভাবে যেখানে সেখানে থাকে না । এগুলো সারিবদ্ধ ভাবে থাকে এক একটি মাউন্টেন রেন্জ – এ। আর বাংলাদেশের ৩০০০ ফুটের চেয়ে উচু রেন্জের সংখাও নির্দিষ্ট । আর এই কয়টা রেন্জ ধরে আপনি গুগুল আর্থ দেখলেই পেয়ে যাবেন উচু চুড়া গুলো!‬

উপরের পদ্ধতি দুটো হচ্ছে আপনি নিজের চোখে যখন খুজতে যাবেন। আর তা না করে আপনি স্যাটেলাইট ডেটা ডাউনলোড করেই পেয়ে যেতে পারেন পাহাড়ের চৌদ্দ গুষ্টির খবর ।‬

মদক টং/টুয়াং বা সাকাহাফং যে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পিক তা নিম্নের সবগুলো উপায়ে মিলিয়ে দেখা হয়েছে: (Fazlay Rabby on a post )‬

১ । US 1:250K Topo Map‬

২। Russian 1:200K topo Map‬

৩। SRTM data‬

৪। ASTER (Advanced Spaceborne Thermal Emission and Reflection Radiometer)‬

৫। Google Earth‬

৬। Data Recoarded by trekkers using‬

৭। handheld GPS receiver.‬

এছাড়াও maps.google.com – E টপগ্রফিক ম্যাপ আসে, কনটোর লাইন দেখা যায়, সেখানেও উচু একটা জায়গাই দেখা যায়। বিস্তারিত রেফারেন্স এর জন্য ” বাংলাট্রেক” এর সাইট ভিজিট করুন। http://www.banglatrek.org/